কিভাবে বায়ুমন্ডল উষ্ণ বা শীতল হবার প্রক্রিয়াগুলো কি কি?


অনেকগুলি প্রক্রিয়া সম্মিলিতভাবে বায়ুমন্ডলকে শীতল বা উষ্ণ করে থাকে। এসব প্রক্রিয়া গুলো
নি¤œরূপ:
১. বিকিরণ (জধফরধঃরড়হ)
২. পরিবহন (ঈড়হফঁপঃরড়হ)
৩. বাস্পীয় প্রস্বেদন (ঊাধঢ়ড়ঃৎধহংঢ়রৎধঃরড়হ)
৪. পরিচলন (ঈড়হাবপঃরড়হ) ৫. অনুভ‚মিক পরিচলন (অফাবপঃরড়হ) ৬. রূদ্ধতাপীয় শীতলক্রিয়া (অফরধনধঃরপ ঈড়ড়ষরহম) ৭. সংকোচন (ঈড়সঢ়ৎবংংরড়হ) বিকিরণ (জধফরধঃরড়হ) তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ মাধ্যম ছাড়া একবস্তু থেকে অন্য বস্তুৃতে স্থানান্তরিত হতে পারে। এ স্থানান্তরে শক্তি ও স্থানান্তরিত হয় (তাপ ও আলো হিসাবে)। সৌরশক্তি বিকিরণ পদ্ধতিতে বায়ুমন্ডলে আসে। বায়ুমন্ডলের ভিতর দিয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গের কিছুরশ্মি ভ‚-পৃষ্ঠে পৌঁছে। ভ‚-পৃষ্ঠ এসব তরঙ্গকে শোষণ করে দীর্ঘ তরঙ্গ শক্তিতে পরিণত করে, যা সহজেই বায়ুমন্ডলের জলীয় বাস্প ও কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বারা শোষিত হয়। বায়ুর এ শোষিত তাপের উপর কিছুঅংশ পুনঃবিকিরণের মাধ্যমে ভ‚-
পৃষ্ঠে ফিরে আসে আর কিছুমহাকাশে ফিরে যায়। বায়ুমন্ডল ও ভ‚-পৃষ্ঠের এ তাপ বিনিময় প্রক্রিয়া
বিরামহীন ভাবে চলতে থাকে। বায়ুস্থ জলীয়বাস্প ও কার্বন ডাই অক্সাইড তাপ আচ্ছাদন হিসাবে
কাজ করে। জলীয়বাস্পের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে মহাকাশে তাপের গমন হ্রাস পায়। এজন্য আকাশ
মেঘাচ্ছন্ন হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও মেঘমুক্ত হলে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। বায়ুমন্ডলের তাপ আচ্ছাদন
কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয়বাস্পের এ বিশেষ বৈশিষ্ট্য গ্রীনহাউস প্রভাব (এৎববহ ঐড়ঁংব ঊভভবপঃ)
তৈরী করে। শীতপ্রধান দেশ ও মেরুঅঞ্চলে তুষারপাত থেকে রক্ষা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যে
কাঁচের বড় বড় ঘর তৈরী করে চাষাবাদ করা হয়। এ সমস্ত ঘরের কাঁচ ভেদ করে ক্ষুদ্র তরঙ্গের
আলোক রশ্মি প্রবেশ করতে পারে কিন্তুদীর্ঘ তরঙ্গের রশ্মি বের হতে পারে না। ফলে ঘরের
ভেতরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীর জলবায়ুগত পরিবর্তনে সমগ্র পৃথিবী একটা গ্রীনহাউস হয়ে
গেলে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
পরিবহন (ঈড়হফঁপঃরড়হ)
দুটি অসম উষ্ণতার বস্তু যখন পরস্পরের সংস্পর্শে আসে যখন আণবিক ক্রিয়ায় পদার্থের মাধ্যমে
তাপ পরিবাহিত হয়। অণুসমূহের পারস্পরিক সংঘর্ষের মাধ্যমে অণু-শক্তি বেশী উষ্ণতা থেকে কম
শক্তি স্থানান্তরিত হয়।
পুন: বিকিরণ, তাপ বিনিময়,
ক্ষুদ্রতরঙ্গের আলোকরশ্মি,
দীর্ঘ তরঙ্গের আলোকরশ্মি।

উষ্ণতার দিকে সমতা না আসা পর্যন্ত স্থানান্তরিত হয়। বিকিরণ তাপে ভ‚-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হলে
সন্নিকটবর্তী বায়ুস্তর ও পরিচলন প্রক্রিয়ায় উত্তপ্ত হয়। বায়ুর তাপ পরিবাহিতা কম বলে নিচের স্তরই
শুধুপরিবহন প্রক্রিয়ায় উত্তপ্ত হয়।
বাস্পীয়-প্রস্বেদন (ঊাধ ঢ়ড়ঃৎধহংঢ়রৎধঃরড়হ)
বাস্পীভবনের জন্য পানি কিছুসুপ্ত বা লীনতাপ গ্রহন করে। এই প্রচ্ছন্ন তাপে (খধঃবহঃ ঐবধঃ)
বায়ুমন্ডলেও প্রবাহিত হয়। স্থলভাগ থেকে বাস্পীয়-প্রস্বেদনের ফলে বায়ুমন্ডলে তাপের এ স্থানান্তর
হয়। সাধারনত: একগ্রাম পানিকে বাস্পে পরিণত করতে ৫৯০ ক্যালরী তাপের প্রয়োজন হয়।
অবস্থার পরিবর্তন হলে সুপ্ত বা প্রচ্ছন্ন তাপ পরিত্যাগের মাধ্যমে বাস্প ঘনীভ‚ত (ঈড়হফবহংধঃরড়হ)
হয়ে বারিপাত হয়, এ সুপ্ততাপ তখন বায়ুমন্ডলে অবমুক্ত হয়।
পরিচলন (ঈড়হাবপঃরড়হ)
পদার্থের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ কণাগুলো শীতল অংশে স্থানান্তরিত হয়ে তাপের যে সঞ্চালন করে তাকে
পরিচলন প্রক্রিয়া বলে; তরল বা গ্যাসীয় পদার্থে পরিচলন প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালিত হয়। কোনো
স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অথবা তাপ শোষণের ফলে বায়ুউত্তপ্ত হলে তা সম্প্রসারিত ও কম
ঘনত্বের হয়। এ অবস্থায় হালকা বায়ুউপরে উঠে যায় এবং পার্শ্ববর্তী ভারী ও শীতল বায়ুএ খালি
জায়গা দখল করে। এভাবে তাপ বায়ুমন্ডলের নি¤œস্তর থেকে উচ্চস্তরে সঞ্চালিত হয়।
অনুভ‚মিক পরিচলন (অফাবপঃরড়হ)
পরিচলন প্রক্রিয়ায় তাপের অনুভ‚মিক স্থানান্তরকে অনুভ‚মিক পরিচলন বা অফাবপঃরড়হ বলে। বায়ু
প্রবাহের মাধ্যমে তাপ মেরু এলাকা থেকে নিরক্ষীয় এলাকায় পুনঃবন্টিত হয়। অনুভ‚মিক পরিচলন
স্থানীয় বা অনেক বিস্তৃত অঞ্চলেও সংঘটিত হয়।
কিভাবে বায়ুমন্ডল উষ্ণ হয়?
রূদ্ধতাপীয় শীতলক্রিয়া (অফরধনধঃরপ ঈড়ড়ষরহম)
পরিচলন পক্রিয়ায় তাপীয় সঞ্চালনে বায়ুর উচ্চমূখী গমনের ফলে রূদ্ধতাপীয় শীতলক্রিয়া সাধিত
হয়। সরাসরি সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত সূর্যশক্তি গ্রহণ করে ভ‚-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুউত্তপ্ত ও হালকা হয়ে
উপরে উঠতে থাকে। সম ঘনত্বের ও অবস্থার বায়ুস্তর না পাওয়া পর্যন্ত এই উর্ধ্ব গমন অব্যাহত
থাকে। উর্ধ্বমুখী গতিতে এর তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে থাকে, তাপমাত্রা হ্রাসের হার ৩০০ মিটারে ২.৬ক্ক
সেঃ, এই মানকে বলা হয় শুষ্ক রূদ্ধতাপীয় অবনতি হার (উৎু অফরধনধঃরপ খধঢ়ংব-ৎধঃব)। ক্রান্তিয়
অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে এই পদ্ধতিতে বেশী তাপ সঞ্চালিত হয়। শিশিরাংক (উবি ঢ়ড়রহঃ) এর নীচে
বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাসে রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তনই একমাত্র পদ্ধতি। বজ্রপাতের ধরন এই রূদ্ধতাপীয়
পরিবর্তন পক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। মেঘ ঘনীভ‚ত হয়ে বারিপাত হতে রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন
প্রক্রিয়ার অবদানই মুখ্য।
আনবিক ক্রিয়া, তাপ
পরিবাহিতা।
সুপ্ত বা লীন তাপ, প্রচ্ছন্ন
তাপ।
তাপ সঞ্চালন, তাপ শোষণে
বায়ু সম্প্রসারিত হয়।
স্থানীয় এবং বিস্তৃত অঞ্চলে
সংঘটিত হয়।
উর্ধ্ব গমন, তাপমাত্রা হ্রাসের
হার ৩০০ মিটারে ২.৬ ০
সেঃ।

চিত্র ৩.১৫.১ : রূদ্ধতাপীয় অবনতী হার। উর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহে শুষ্ক বায়ুর তাপমাত্রা প্রতি ৩০০ মিটারে ২.৬ক্ক
সেলসিয়াস হ্রাস পায়, কিন্তুআর্দ্রবায়ুর তাপ হ্রাসের হার প্রতি ৩০০ মিটারে ১.৫ক্ক সেলসিয়াস।
সংকোচন (ঈড়সঢ়ৎবংংরড়হ)
নি¤œগামী বায়ু উপরের বায়ুস্তরের চাপে সংকুচিত হয় ফলে বায়ুর কণা (অণু) গুলো উচ্চচাপে
পরস্পরের সন্নিকটবর্তী হয়, যার ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটে।
পাঠ সংক্ষেপ
অনেকগুলি প্রক্রিয়া সম্মিলিতভাবে বায়ুমন্ডলকে শীতল বা উষ্ণ করে থাকে। এসব প্রক্রিয়া গুলো
নি¤œরূপ:
১. বিকিরণ (জধফরধঃরড়হ)
২. পরিবহন (ঈড়হফঁপঃরড়হ)
৩. বাস্পীয় প্রস্বেদন (ঊাধঢ়ড়ঃৎধহংঢ়রৎধঃরড়হ)
৪. পরিচলন (ঈড়হাবপঃরড়হ)
৫. অনুভ‚মিক পরিচলন (অফাবপঃরড়হ)
৬. রূদ্ধতাপীয় শীতলক্রিয়া (অফরধনধঃরপ ঈড়ড়ষরহম)
৭. সংকোচন (ঈড়সঢ়ৎবংংরড়হ)।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. শূন্যস্থান পূরণ করুনÑ (সময় ২ মিনিট) ঃ
১.১ বাস্পীভবনের লীনতাপ --------- ক্যালরি।
১.২ শুষ্ক রূদ্ধতাপীয় শীতলতার হার প্রতি ৩০০ মিটারে ------ সে.।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১. কিভাবে বায়ুমন্ডল উষ্ণ বা শীতল হবার প্রক্রিয়াগুলো কি কি?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. বায়ুমন্ডলের উষ্ণায়ন প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]