তাপ ও তাপমাত্রা কি?


তাপ ও তাপমাত্রা (ঐবধঃ ধহফ ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব)
তাপ (ঐবধঃ) হচ্ছে শক্তির একটি রূপ, আর তাপমাত্রা (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব) হচ্ছে কোন বস্তুর তাপের
তিব্রতা (ওহঃবহংরঃু) অথবা উষ্ণমাত্রা (উবমৎবব ড়ভ যড়ঃহবংং); এক কথায় বলা যায় তাপমাত্রা হচ্ছে
বস্তুর তাপীয় অবস্থার নির্দেশক।
পদার্থের আণবিক মতবাদ (গড়ষবপঁষধৎ ঃযবড়ৎু ড়ভ সধঃঃবৎ) অনুযায়ী প্রতিটি বস্তুতেই কিছুস্থিতি
শক্তি বর্তমান, এ শক্তিকে বলা হয় অভ্যন্তরীন শক্তি (ওহঃবৎহধষ ঊহবৎমু)। তাপমাত্রা তাপের
তিব্রতার নির্দেশক এবং অণূস্থ শক্তির বিনিময় মাত্রা নির্ধারন করে। শক্তির প্রবাহ এক বস্তু থেকে
অন্য বস্তুতে তাদের একক ভরের তাপের অনুপাতের উপর নির্ভর করে। শক্তি বিনিময় হয় উচ্চ
শক্তি থেকে নি¤œ শক্তি সম্পন্ন বস্তুর দিকে। তাপ-গতিবিদ্যা (ঞযবৎসড় ফুহধসরপং) তাপের এ
বিনিময় নিয়ে বিশদ আলোচনা করে, জলবায়ুনিয়ন্ত্রণে যা বায়ুস্থ পদ্ধতি অনুধাবনেও সহায়তা
করে। তাপ-গতিবিদ্যার সূত্রানুযায়ী -
১. শক্তির অবিনাশিতা (ঈড়হংবৎাধঃরড়হ ড়ভ ঊহবৎমু) সূত্র : দুটি বস্তুর মধ্যে তাপ বিনিময়ের ফলে
তাদের পারস্পরিক তাপের আদান প্রদান হলেও মোট তাপের কোন পরিবর্তন হয় না।
২. তাপ উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নি¤œ তাপমাত্রার দিকে প্রবাহিত হয়।
আণবিক মতবাদ অনুযায়ী পদার্থের পরমাণুতে কণাসমূহ একটা নির্দিষ্ট কেন্দ্রের চারপাশে
ঘূর্ণায়মান। কঠিন বস্তুর কেন্দ্র নিজেই স্থিতিশীল, কিন্তুতরল বা গ্যাসীয় পদার্থের বেলায় পরমাণু
সমূহের কেন্দ্র অস্থির বা চলনক্ষম। গ্যাসীয় পদার্থের প্রতিটি কণা ক্রমাগত ছুটাছুটি করে, গ্যাসীয়
পদার্থের এ শক্তিমত্তা হচ্ছে গতিশক্তি (করহবঃরপ ঊহবৎমু)। তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে গ্যাসীয়
পদার্থের গতিশক্তিরও পরিবর্তন হয়; অন্য কথায় বলা যায় গ্যাসীয় অণুর গতির পরিবর্তনের ফলে
তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। জলবায়ু নিয়ন্ত্রনে বাতাসের গতিবেগ, তাপ বিনিময় এবং প্রকৃতি
উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখে।
তাপ ও তাপমাত্রা কি?
তাপমাত্রার পরিমাপ (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব গবধংঁৎবসবহঃ)
তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্রের নাম হচ্ছে থার্মোমিটার (ঞবৎসড়সবঃবৎ)। অধিকাংশ বস্তু তাপ বৃদ্ধিতে
আয়তনে বেড়ে যায়, আবার শীতল করলে বা তাপ হারালে আয়তন হ্রাস পায়, পদার্থের এ ধর্মের
তাপ এক প্রকার শক্তি।
তাপমাত্রা হচ্ছে কোন বস্তুর
তাপের উষ্ণমাত্রা।
শক্তি অবিনাশি।
তাপ উচ্চ তাপমাত্রা থেকে
নি¤œ তাপমাত্রার দিকে
প্রবাহমান।
থার্মোমিটার।

উপর ভিত্তি করেই থার্মোমিটার প্রস্তুত করা হয়। তাপমাত্রার পরিবর্তনে যে সমস্ত পদার্থের আয়তন
বৃদ্ধি/হ্রাসের সূস্পষ্ট ব্যবধান হয় থার্মোমিটার প্রস্তুতিতে সেগুলোর সহায়তা গ্রহণ করা হয়। ১৭শ
শতকের শেষ ভাগে থার্মোমিটার উদ্ভাবনের পর এর মূল কাঠামোগত তেমন পরিবর্তন হয়নি।
থার্মোমিটারের মূল কাঠামো হচ্ছে কাঁচের নলে আবদ্ধ তরল (খরয়ঁরফ রহ এষধংং) পারদ বা
অ্যালকোহল।
থার্মোমিটার কি?
পরিমাপের স্কেল (ঝপধষব ড়ভ গবধংঁৎবসবহঃ)
তাপমাত্রার গুণগত মানকে সংখ্যাতাত্তি¡ক মানে রূপান্তর হচ্ছে তাপমাত্রার স্কেলের উৎকৃষ্ট ব্যবহার।
নীচে বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রার স্কেল, প্রস্তাবক, পানির স্ফুটনাঙ্ক ও বরফের গলনাঙ্ক দেখানো
হলো। স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্কের মধ্যস্থান সব স্কেলেই তার ব্যবধান অনুযায়ী সমান ভাগে ভাগ করে
নিয়ে প্রতি একক বৃদ্ধি হিসাব করা হয়।
সারণি ৩.১৬.১ : তাপমাত্রা পরিমাপের বিভিন্ন স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক।
তাপমাত্রার স্কেল প্রস্তাবক/উদ্ভাবক বরফ
গলনাঙ্ক
পানির
স্ফুটনাঙ্ক
মধ্যবর্তী
ভাগ
ফারেনহাইট (ঋ) গ্যাব্রিয়েল ডানিয়েল ফারেনহাইট ১৭১৪, জার্মান ৩২ক্ক ২১২ক্ক ১৮০ক্ক
সেলসিয়াস (ঈ) এনড্রেস সেলসিয়াস ১৭৪২, সুইডেন ০ক্ক ১০০ক্ক ১০০ক্ক
কেলভিন (ক) / --- --- --- ২৭৩ক্ক ৩৭৩ক্ক ১০০ক্ক
পরম (অ)
স্কেলগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক হচ্ছে -
ক্কঈ/৫ = (ক্কঋ-৩২)/৯ = (ক্কক-২৭৩) / ৫
তাপমাত্রা পরিমাপের বিভিন্ন স্কেলের সম্পর্ক কি?
বায়ুর তাপমাত্রা ও তাপমাত্রা উত্তাপের ব্যবহার
(অরৎ ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব ধহফ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ড়ভ ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব উধঃধ)
বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। এ পরিমাপ প্রতি ঘন্টায়
কিংবা অবিরামভাবে করা হয়। তবে সাধারনত প্রতিদিনের তাপমাত্রার হিসাব লিপিবদ্ধ করা হয়।
প্রতিদিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা থেকে গড় তাপমাত্রা বের করা হয়। তাপমাত্রার প্রতিদিনের
ব্যবধান ও অনেক সময় লিপিবদ্ধ করা হয়।
প্রতিদিনের গড় থেকে মাসিক গড় হিসেব করা হয়, মাসিক গড় থেকে বাৎসরিক গড় পাওয়া যায়।
বাৎসরিক চরম ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা গড় মাসিক তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ মান থেকে নির্ণয় করা
হয়। মানচিত্রে একই মান সম্পন্ন তাপমাত্রা স্থানগুলো দিয়ে অংকিত রেখাকে সমোষ্ণ রেখা
(ওংড়ঃযবৎস) বলে। বৃহৎ এলাকার তাপমাত্রা বিশ্লেষণেও জলবায়ু পর্যবেক্ষণে সমোষ্ণরেখা
গুরুত্বপূর্ণ।
তরল পারদ বা অ্যালকোহল।
স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্ক।
মানচিত্রে সমতাপমাত্রার
স্থানগুলো যুক্ত করে কোন
অংকিত রেখাকে সমোষ্ণ রেখা
বলে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির ও হ্রাসের দিন, ঋতুপরিবর্তনের সাথে ও দিনের দৈর্ঘ্যরে (উধুষবহমঃয) উপর
নির্ভর করে। রৌদ্রজ্জল দিনের উপর নির্ভর করে তাপমাত্রা বেশী বা কম হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধি, ফল
উৎপাদন ইত্যাদি তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। আবহাওয়া/জলবায়ুউদ্ভিদের ধরণের উপর প্রভাব
ফেলে। ফলে তাপমাত্রা উপাত্ত ব্যবহার করে জলবায়ুঅনুধাবন ও উচ্চ ফলনশীল শস্য উৎপাদন
তরানি¦ত করা যায়।
বায়ুর তাপমাত্রা উপাত্তের ব্যবহার কি?
তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রক (ঈড়হঃৎড়ষং ড়ভ ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব)
তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রক হচ্ছে সেই সব নিয়ামক যাদের উপর ভিত্তি করে এক অবস্থান থেকে অন্য
স্থানের তাপমাত্রা ভিন্ন হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ ভিন্ন মাত্রায় সূর্যালোক পেয়ে থাকে, অক্ষাংশভেদে
তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। কোন স্থানের তাপমাত্রা যে সমস্ত বিষয়ের উপর নির্ভরশীল তা নি¤œরূপ:
১. স্থল এবং জলভাগের ভিন্ন ধর্মী তাপ গ্রহণ (উরভভবৎবহঃরধষ যবধঃরহম ড়ভ ষধহফ ধহফ
ধিঃবৎ);
২. সমুদ্র স্রোত (ঙপবধহ ঈঁৎৎবহঃং);
৩. উচ্চতা (অষঃরঃঁফব);
৪. ভৌগোলিক অবস্থান (এবড়মৎধঢ়যরপ খড়পধঃরড়হ)।
স্থল বা জলভাগের ভিন্নধর্মী তাপ গ্রহণ (উরভভবৎবহঃরধষ যবধঃরহম ড়ভ ষধহফ ধহফ ধিঃবৎ)
স্থল ও জলভাগের তাপ গ্রহণের তারতম্যের জন্য যে সব কারণ দায়ী তা নি¤œরূপ:
 জলভাগ স্বচ্ছ, ফলে বিকিরণ রশ্মি অনেক গভীরে প্রবেশ করে; স্থলভাগ অস্বচ্ছ বলে বিকিরণ
রশ্মি এর গভীরে প্রবেশ করে না। ফলে জলভাগের তুলনায় স্থলভাগ সহজেই উত্তপ্ত হয়ে যায়।
 প্রতি গ্রাম ভরের বস্তুর তাপমাত্রা ১ক্ক সেঃ পরিবর্তনের জন্য যে তাপের প্রয়োজন তাকে বলা হয়
আপেক্ষিক তাপ। পানির আপেক্ষিক তাপ স্থলের চেয়ে প্রায় তিনগুন বেশী। সুতরাং জল
ভাগের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য স্থলভাগের চেয়ে অবশ্যই বেশী তাপ প্রয়োজন হয়।
 বাস্পীভবন স্থলের চেয়ে জল ভাগেই বেশী হয় এজন্য সুপ্ততাপ হিসাবে কিছুতাপ ব্যয়ীত হয়
যা জল ভাগকে শীতল করে।
স্থলভাগ জলভাগ বা সমুদ্র থেকে দ্রæত শীতল বা উষ্ণ হয়। ফলে কোন স্থানের অবস্থান সমুদ্র বা
স্থলের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে তার জলবায়ুনিয়ন্ত্রিত হয়। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় সমুদ্রতলের
বাৎসরিক তাপমাত্রা সীমা স্থলভাগের তুলনায় কম। সমুদ্রের তাপমাত্রাসীমা হচ্ছে -২ক্ক সেঃ থেকে
৩২ক্ক সেঃ অন্যদিকে উš§ুক্ত স্থলভাগে এ সীমা -৮৮ক্ক সেঃ থেকে ৫৮ক্ক সেঃ। সমুদ্রের তাপমাত্রার
প্রাত্যহিক পরিবর্তন ১ক্ক সেঃ এর কম।
স্থলভাগের চেয়ে সমুদ্রের/জলভাগের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে শীতল বা শীতকালে অধিকতর উষ্ণ
থাকে। দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগ মাত্র ২০% অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের পরিমাণ ৪০%।
স্থলভাগ জলভাগ অপেক্ষা
দ্রæত শীতল বা উষ্ণ হয়।
গভীরে প্রবেশ, আপেক্ষিক
তাপ, বাষ্পীভবন।
সমুদ্রের তাপমাত্রার প্রাত্যাহিক
পরিবর্তন ১০
সে. এর কম।

তাপমাত্রার বার্ষিক পরিবর্তনের উপর স্থল ও সমুদ্র ভাগের সরাসরি প্রভাব এ দুই গোলার্ধের
তাপমাত্রা তুলনা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।
কোন কোন বিষয় তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে?
সারণি ৩.১৬.২ : বাৎসরিক গড় তাপমাত্রার অক্ষাংশ ব্যাপী ব্যবধান, ক্কসেঃ।
অক্ষাংশ উত্তর গোলার্ধে সেঃ দক্ষিণ গোলার্ধ সেঃ
০ ০ ০
১৫ ৩ ৪
৩০ ১৩ ৭
৪৫ ২৩ ৬
৬০ ৩০ ১১
৭৫ ৩২ ২৬
৯০ ৪০ ৩১
সমুদ্রস্রোত (ঙপবধহ ঈঁৎৎবহঃং)
সমুদ্রস্রোত ও সন্নিকটবর্তী স্থলভাগের উপর এর প্রভাব অনিয়ত (ঠধৎরধনষব)। উষ্ণ স্রোতের
মেরুমুখী প্রবাহ ও তার প্রভাব সম্পর্কে জানা যায়। উত্তর আটলান্টিক স্রোত, উষ্ণ উপসাগরীয়
স্রোতের বর্ধিতাংশ ইংল্যান্ড ও তার পার্শ্ববর্তি পশ্চিম ইউরোপকে উষ্ণ রাখে, যা এ অক্ষাংশের
স্থলবেষ্টিত অঞ্চল থেকে অনেক বেশী তাপমাত্রা। পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহের কারণে এ উষ্ণতা আরো
খানিকটা স্থলভাগের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
শীতল সমুদ্র স্রোতের প্রভাব নিরক্ষীয় অঞ্চলে অথবা গ্রীষ্মকালে মধ্য (গরফফষব খধঃরঃঁফব) অক্ষাংশ
পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার বেঙ্গুলা শহর দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম উপকুলের
বেঙ্গুলা স্রোতের (ইবহমঁবষধ ঈঁৎৎবহঃ) প্রভাবে শীতল থাকে।
সমুদ্রস্রোত কিভাবে তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে?
উচ্চতা (অষঃরঃঁফব)
উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাত্যাহিক তাপমাত্রার সীমাও পরিবর্তিত হয়। কয়েকটি বিষয়ের উপর এ
তাপমাত্রা পরিবর্তন নির্ভরশীল।
১. উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ বৃদ্ধি পায়, ফলে সৌরশক্তির অল্প পরিমাণই বায়ুতে
শোষিত অথবা প্রতিফলিত হয়।
২. উচ্চতার সাথে সৌর বিকিরণের তীব্রতাও বৃদ্ধি পায় ফলে দিবা ভাগের তাপগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাত্রে
শীতলতা বৃদ্ধি পায়। ফলে তাপমাত্রা উচ্চ ও নি¤œ সীমা অনেক বেড়ে যায়।
সাধারণ বায়ুর তাপের পরিবর্তনের হার (খধঢ়বং ৎধঃব), উচ্চতার সাথে যে পরিমাণ হ্রাস হওয়ার
কথা, পৃষ্ট দেশে তাপ গ্রহণ করে ভ‚-ত্বক উত্তপ্ত হয় বলে তাপমাত্রা সে তুলনায় বেশী থাকে।
উচ্চতা পরিবর্তনের সাথে তাপমাত্রার সম্পর্ক কি?
ভৌগোলিক অবস্থান (এবড়মৎধঢ়যরপ চড়ংরঃরড়হ)
অনিয়ত, মেরুমুখী প্রবাহ,
পশ্চিমা বায়ু।
বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ, সৌর
বিকিরণের তীব্রতা।

কোন স্থানে বায়ুর তাপমাত্রা তার ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর বিশেষ ভাবে নির্ভরশীল।
সমুদ্রপকুলে যেখানে সমুদ্র দিক হতে বায়ুসরাসরি প্রবাহিত হয় আর যে স্থানে মহাদেশের দিক হতে
বায়ু প্রবাহিত হয় এ দুই স্থানের তাপমাত্রা ভিন্ন হয়। সমুদ্র হতে যেখানে বায়ু প্রবাহিত হয়
সেখানকার জলবায়ুহবে মৃদু। কেননা গ্রীষ্মকাল তুলনামূলক শীতল ও মৃদুশীতকাল অবস্থা বিরাজ
করে। অন্যদিকে সমুদ্র বায়ুথেকে রক্ষিত (খববধিৎফ পড়ধংঃধষ ংরঃঁধঃরড়হ) উপকুলে অবস্থিত স্থানে
স্থলভাগ থেকে প্রবাহিত বায়ুর প্রভাব বেশী পরিলক্ষিত হবে। উদাহরণ স্বরূপ ক্যালিফোর্নিয়া ও
নিউইয়র্কের তাপমাত্রার তুলনা করা যেতে পারে।
সারণি ৩.১৬.৩ : সমুদ্র দিক হতে বায়ুপ্রবাহস্থান ও সমুদ্রবায়ুহতে আড়াল (খববধিৎফ) স্থানের মাসিক গড়
তাপমাত্রা ও বাঃসরিক তাপমাত্রার তুলনা (ক্কসেঃ)।
মাস জা: ফে: মা: এ: মে জুন জু: আ: সে: অ: ন: ডি: বাৎসরিক
ইউরেকা, ক্যালিফোর্নিয়া (সমুদ্র হতে প্রবাহ) ৯ ৯ ৯ ১০ ১২ ১৩ ১৪ ১৪ ১৪ ১২ ১১ ৯ ১১
নিউইয়র্ক সমুদ্র হতে বায়ু প্রবাহের আড়াল দিকে -১ -১ ৩ ৯ ১৬ ২১ ২৩ ২৩ ২১ ১৫ ৭ ২ ১১
যে সমস্ত স্থান পাহাড় দ্বারা বিভক্ত, তাদের বায়ুপ্রবাহের ভিন্নতার জন্য ও তাপমাত্রা ভিন্ন হয়।
উদাহরণ স্বরূপ ওয়াশিংটন এর দুটি শহর যা ক্যাসকেড পর্বতমালা (ঈধংপধফব জধহমব) দ্বারা বিভক্ত
তাদের মধ্যে সিয়াটলের (ঝবধঃঃষব) তাপমাত্রায় সমুদ্রের প্রভাব বেশী। অন্যদিকে স্পোকেন
(ঝঢ়ড়শধহব) এর তাপমাত্রায় মহাদেশীয় প্রভাব বেশী লক্ষ্য করা যায়। স্পোকেন এর তাপমাত্রা
শীতকালে সিয়াটল অপেক্ষা ৭ক্ক সেঃ কম অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে ৪ক্ক সেঃ বেশী থাকে।
সারণি ৩.১৬.৪ : পর্বতের বাধার ফলে তাপমাত্রা (ক্কসে.) পার্থক্য:
জা: ফে: মা: এ: মে জুন জু: আ: সে: অ: ন: ডি: বাৎসরিক
সিয়াটল ৪ ৫ ৭ ৯ ১২ ১৫ ১৭ ১৭ ১৪ ১১ ৮ ৬ ১১
স্পোকেন -৩ -১ ৩ ৯ ১৩ ১৬ ২১ ২০ ১৬ ৯ ২ -১ ৯
তাপমাত্রা বিলোমতা ও বায়ুদূষণ (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব ওহাবৎংরড়হ ধহফ অরৎ ঢ়ড়ষষঁঃরড়হ)
সাধারণত: উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় ; একে তাপ হ্রাস হার (খধঢ়ংব জধঃব)
বলে। কিন্তুযদি এমন হয় যে বায়ুর বিভিন্ন উপাদানের ভিন্নতার কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তনের হার
ঋণাতœক না হয়ে উচ্চতার সাথে ধনাত্মক হয় বা বৃদ্ধি ঘটে বিপরীত পরিবর্তন হার দেখা দেয় যা
তাপের উৎক্রম (ওহাবৎংব ষধঢ়ংব ৎধঃব) বলে। এ পরিবর্তন খুব বেশী হলে দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘের
বিকিরণ উর্ধ্বাংশে না গিয়ে নি¤œমুখী হয়; ফলে তাপমাত্রা ক্রমান¦য়ে বাড়তেই থাকে। এ ধরনের
তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে তাপমাত্রা বিলোমতা (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব ওহাবৎংরড়হ) বলে। যদি তীব্র বায়ুপ্রবাহ এ
অবস্থার পরিবর্তন না ঘটায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন নগর অঞ্চলে ধূলা গম্বুজ (উঁংঃ ফড়সব) গঠিত হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান।
বায়ু প্রবাহের ভিন্নতার জন্য ও
তাপমাত্রা ভিন্ন হয়।
সাধারণ উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর
তাপমাত্রা হ্রাস পায়।

চিত্র: ৩.১৬.১ তাপের ক্রমহ্রাস হয় ও উর্ধ্বাকাশে বিচ্ছুরণ।
(ক) বায়ুদূষণে পরিচ্ছন্ন আকাশে স্বাভাবিক বিচ্ছুরণ। (খ) কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে বিলোমতা
তাপমাত্রা বিলোমিতা কি?
পাঠ সংক্ষেপ
তাপ হচ্ছে শক্তির একটি রূপ। তাপমাত্রা হচ্ছে তাপের তীব্রতার মাত্রা। তাপের মাত্রার নানা
ভেদে এর বিভিন্ন তাপীয় অবস্থা প্রকাশ পায়। তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের নাম থার্মোমিটার।
সাধারণভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বস্তুর আয়তন বাড়ে, আবার তাপমাত্রা কমলে আয়তন কমে।
তাপমাত্রা পরিমাপের স্কেল আছে। তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন কিছুনিয়ামক হচ্ছে স্থল
ও জলভাগের ভিন্নধর্মী তাপ গ্রহণ, সমুদ্রস্রোত, উচ্চতা, ভৌগোলিক অবস্থান। এগুলোর
প্রতিটির ভিন্নতায় তাপমাত্রায়ও ভিন্নতা দেখা দেয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.১৬
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৪ মিনিট) ঃ
১.১ তাপ ও তাপমাত্রা হল -
ক. একই খ. শক্তি ও শক্তির নির্দেশক
গ. বল ও শক্তি ঘ. বেগ ও গতি
১.২ তাপমাত্রা নির্ভরশীল নয় -
ক. সমুদ্র স্রোত খ. উচ্চতা
গ. ভৌগোলিক অবস্থান ঘ. দ্রাঘিমার উপর
১.৩ থার্মোমিটার উদ্ভাবিত হয় -
ক. ১৬ শতকে খ. ১৭ শতকে
গ. ১৮ শতকে ঘ. ১৯ শতকে
১.৪ সেলসিয়াস একক আবিষ্কার হয় -
ক. ইন্ডিয়ায় খ. জাপানে
গ. সুইডেনে ঘ. কোথাও না
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১. তাপ ও তাপমাত্রা কি?
২. থার্মোমিটার কি?
৩. তাপমাত্রা পরিমাপের বিভিন্ন পরিমাপের স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক কি?
৪. তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণকারী নিয়ামকসমূহ কি কি?
৫. তাপমাত্রা বিলোমতা কি?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. তাপ ও তাপমাত্রা কি?

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]