অয়ন বায়ুকাকে বলে?
মৌসুমী বায়ুর বৈশিষ্ট্য কি?
ঐড়ৎংব খধঃরঃঁঃব কি?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
বায়ুপ্রবাহ কেন হয়? নিয়ত বায়ুপ্রবাহ বর্ণনা করুন।


বায়ুপ্রবাহ (ডরহফং)
স্থানীয় বায়ুচাপ ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে বায়ুপ্রবাহ হয়। ব্যাপ্তি ও স্থানীয় কালের উপর
নির্ভর করে বায়ুপ্রবাহ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন,
১. নিয়তবায়ু
২. সাময়িকবায়ু
৩. স্থানীয় বায়ু
৪. স্থানীয় ধ্বংসাতœক বায়ুপ্রবাহ।
নিয়তবায়ু(চষধহবঃধৎু রিহফং)
নিয়তবায়ুপৃথিবীর চাপবলয় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সারাবছর একই দিকে প্রবাহিত হয়; অয়নবায়ু,
পশ্চিমবায়ুও মেরুবায়ুএর উদাহরন।
অয়নবায়ু(ঞৎধফব রিহফ)
বিষুবীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়, ফলে বায়ুউত্তপ্ত ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। ওপরে
চাপ কম থাকে ফলে বায়ুছড়িয়ে পড়তে পারে। বায়ুতাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে শীতল হয়। নিচের
ক্রমাগত উচ্চচাপের বায়ুপ্রবাহের ফলে এ শীতল বায়ুনীচে নামতে পারে না তাই বায়ুর উপর স্তর
দিয়ে এটি মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়। ৩০ক্ক অক্ষাংশ বরাবর উভয় গোলার্ধেই এ ভারী বায়ু
নি¤œমুখী প্রবাহ হয়ে ভ‚-পৃষ্ঠের উপর দিয়ে পুনরায় বিষুব রেখা মুখে প্রবাহিত হয়। এভাবে বায়ুর নি¤œ
ও উচ্চ স্তর জুড়ে একটি অদৃশ্য বায়ুকোষের সৃষ্টি হয়। এ অদৃশ্য বায়ুকোষ আবিষ্কারকের
নামানুযায়ী হ্যাডলী কোষ (ঐধফষবু ঈবষষ) বলা হয়। উত্তর গোলার্ধে এ প্রবাহ উত্তরায়ন ও দক্ষিণ
গোলার্ধে দক্ষিণায়ন নামে পরিচিত। কোরিওলিস (ঈড়ৎরড়ষরং) প্রভাবের ফলে ফেরেলের সুত্রানুযায়ী
অয়নবায়ুদক্ষিণ পূর্ব দিক হতে প্রবাহিত হয়। ফলে উত্তর গোলার্ধে উত্তর পূর্বায়ন (ঘড়ৎঃয-ঊধংঃ
ঞৎধফবং) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ পূর্বায়ন (ঝড়ঁঃয ঊধংঃ ঞৎধফবং) বায়ুপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়
(চিত্র- ৩.২০.১)। ৩০ক্ক অক্ষাংশে সর্বদা উচ্চচাপ সম্পন্ন বায়ুপ্রবাহ হয়, যা মেঘমুক্ত উষ্ণ ও শুষ্ক,
ফলে মরুময় জলবায়ুর সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর বৃহৎ মরুগুলো ৩০ক্ক অক্ষাংশের কাছাকাছি অবস্থিত।
যেমন, উত্তর গোলার্ধে সাহারা, আরব, লিবিয়া, থর ও দক্ষিণ গোলার্ধে কালাহারি মরুভ‚মি।
উত্তর পূর্বায়ন বায়ু ও দক্ষিণ পূর্বায়ন বায়ু বিষুব রেখার কাছাকাছি মিলিত হয়ে উর্ধ্বাকাশে
ট্রপোমন্ডলে (ঞৎড়ঢ়ড়ংঢ়যবৎব) উঠে যায়। বায়ুপ্রবাহদ্বয়ের এ মিলন অঞ্চলকে আন্তক্রান্তীয় মিলন
অঞ্চল (ওহঃবৎঃৎড়ঢ়রপধষ ঈড়হাবৎমবহপব তড়হব) বা সংক্ষেপে আই.টি.সি.জেড (ওঞঈত) বলে।
নি¤œচাপ অঞ্চলে, বিষুবীয় সীমানায় অনেক সময় অয়নবায়ুদ্বয় মিলিত অবস্থায় আসে না। তখন শান্ত
ও ইতস্তু বায়ুপ্রবাহের একটি অবস্থা তৈরী হয় যাকে বলা হয় শান্তবলয় (উড়ষফৎঁসং)। নাবিকেরা
পৃথিবীর চাপ বলয় দ্বারা
নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় নিয়তবায়ু
সারাবছর একই দিকে
প্রবাহিত হয়।
উত্তর পূর্বায়ন বায়ু ও দক্ষিণ
পূর্বায়ন বায়ু বিষুবরেখার
কাছাকাছি মিলিত হয়ে
ট্রপোমন্ডলে যায়। এ মিলিত
অঞ্চলকে আই.টি.সি. জেড
বলে।

এ অবস্থানকে জাহাজ চলাচলের অসুবিধার জন্য এড়িয়ে চলে। আই টি সি ঋতুপরিবর্তনের সাথে
কিছুটা উত্তরে বা দক্ষিণে সমোষ্ণ রেখার পরিবর্তনের সমান্তরালে স্থান পরিবর্তন করে।
চিত্র ৩.২০.১ : অয়নবায়ু, উত্তর পূর্বায়ন ও দক্ষিণ পূর্বায়ন বায়ুপ্রবাহ।
২৫ক্ক থেকে ৪০ক্ক অক্ষাংশে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপের বায়ুযেখান দিয়ে উচ্চচাপে (অহঃপরপুপষড়হব)
কোষ গঠন করে ফিরে আসে, সে অঞ্চলকে মধ্য-উপক্রান্তীয় অশ্ব অঞ্চল (ঐড়ৎংব ষধঃরঃঁফবং) বলে।
অয়নবায়ুকাকে বলে?
পশ্চিমা বায়ু(ডবংঃবৎষরবং)
৩৫ক্ক থেকে ৬০ক্ক অক্ষাংশের মাঝে উভয় গোলার্ধে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও হালকা বায়ুপ্রবাহিত হয়ে
মেরু অভিমুখে গমন করে। এ বায়ুকে পশ্চিমা বায়ুবলে (চিত্র ৩.১৭.২)। উত্তর গোলার্ধে এ বায়ু
দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। উত্তর
গোলার্ধে স্থলভাগের আধিক্যের জন্য বায়ুপ্রবাহ ইতস্তু ও স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন গতির হলেও গড়
গতি দক্ষিণ পশ্চিমেই হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে প্রবাহ মোটামুটি নিয়ত। দক্ষিণ গোলার্ধে এ প্রবাহ ৪০ক্ক
থেকে ৬০ক্ক অক্ষাংশে সর্বাধিক। এ অঞ্চলকে বলা হয় ‘গর্জনশীল চল্লিশা' (জড়ধৎরহম ঋড়ৎঃরবং),
‘উম্মত্ত পঞ্চাশ' (ঋঁৎরড়ঁং ঋরভঃরবং) এবং ‘শাণিত ষাট' (ঝপৎবধসরহম ঝরীঃরবং)।
পশ্চিমা বায়ুকাকে বলে?
মেরু দেশীয় পূবালী বায়ু(চড়ষধৎ ঊধংঃবৎষরবং)
শান্ত বলয়।
মধ্য-উপক্রান্তীয় অশ্ব অঞ্চল।
৩৫স্ফ থেকে ৬০স্ফ অক্ষাংশের
মাঝে উভয় গোলার্ধে
অপেক্ষাকৃত উষ্ণ ও হালকা
বায়ু প্রবাহিত হয়ে মেরু
অভিমুখে যায় তাকে পশ্চিমা
বায়ু বলে।

পশ্চিমা বায়ুর প্রবাহ ৬০ক্ক অক্ষাংশে উর্ধ্বমুখে নিক্ষিপ্ত হয়ে মেরুগামী হয়। এ বায়ুআবার শীতল ও
ভারী হয়ে নিচে নেমে ভ‚-পৃষ্ঠ ঘেষে ৬০ক্ক অক্ষাংশের দিকে ধাবিত হয়। উত্তর গোলার্ধে উত্তরপূর্ব
দিক হতে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ পূর্ব দিক হতে প্রবাহিত হয়, তাদেরকে যথাক্রমে সুমেরু ও
কুমেরু বায়ুবলে।
মেরুদেশীয় পূবালী বায়ুকাকে বলে?
সাময়িক বায়ু(চবৎরড়ফরপধষ ডরহফং)
মৌসুমী বায়ু: মৌসুমী বায়ুসাময়িক বায়ুর অন্তভর্‚ক্ত। আরবী ভাষায় ‘মওসুম' শব্দের অর্থ ঋতু। এ
বায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে এর দিক পরিবর্তন হয়। মৌসুমী বায়ুএকটি
আঞ্চলিক বায়ু। এই বায়ুপ্রধানত দক্ষিণ এশিয়ায় দেখা যায়। তাছাড়া উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার
কিছুঅংশ, চিলি, স্পেন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।
চিত্র ৩.২০.২ : মৌসুমী বায়ু ক. জুলাই মাসের প্রবাহ খ. জানুয়ারী মাসের প্রবাহ।
এশিয়ার মৌসুমী বাযু: এশিয়ার জুলাই ও জানুয়ারী মাসের মৌসুমী বায়ুর একটি তুলনামূলক চিত্র
তুলে ধরা হল।
মৌসুমী বায়ুর বৈশিষ্ট্য কি?
জুলাই মাসের বৈশিষ্ট্য (চিত্র ৩.২০.২): জুলাই মাসে মধ্য এশিয়ার উষ্ণতা পার্শ্ববর্তী পূর্ব ও দক্ষিণ
এশিয়ার ও নিকটবর্তী সাগরের চেয়ে অনেক বেশি থাকে।
১. এশিয়ার ওপর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে প্রবল নি¤œচাপের সৃষ্টি হয়। একই সময়ে ভারতপাকিস্তানের থর মরুভ‚মিকে কেন্দ্র করে পাঞ্জাব এলাকায় আরেকটি অপেক্ষাকৃত ছোট আকৃতির
প্রবল নি¤œচাপের সৃষ্টি হয়।
২. অস্ট্রেলিয়ায় শীতকাল এবং উত্তরাংশে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়।
৩. অস্ট্রেলিয়ার উচ্চচাপ বলয় থেকে এশিয়ার নি¤œচাপ বলয় অভিমুখী বায়ুপ্রবাহিত হয়। কিন্তু
নিরক্ষরেখা অতিক্রম করার পর ডান দিকে বেঁকে যায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে অগ্রসর
হয়। এটি যতই উত্তরে অগ্রসর হয় ততই এশিয়ার নি¤œচাপের (অহঃরপষড়পশরিংব পরৎপঁষধঃরড়হ)
ঋতু পরিবর্তনের সাথে
মৌসুমী বায়ুর দিক পরিবর্তিত
হয়।
ভারত ও পাকিস্তানের থর
মরুভ‚মি।
এশিয়ার নি¤œচাপের বামাবর্ত
সঞ্চালন।

বামাবর্ত সঞ্চালন দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলে এ বায়ুজাপান ও ইন্দোচীন বরাবর দক্ষিণ দিক
থেকে প্রবহিত হয়।
৪. উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়ের বায়ুদক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে নিরক্ষীয় বলয় অতিক্রম করে ভারতীয়
নি¤œচাপের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ুনিরক্ষীয় বলয় অতিক্রম করার পর কোরিওলিস শক্তির
প্রভাবে ডান দিকে বেকে যায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ভারত-শ্রীলংকা-মায়ানমারের
দিকে অগ্রসর হয়। বঙ্গোপসাগরে পৌঁছার পর এ বায়ু ভারতীয় নি¤œচাপের বামাবর্ত বায়ুর
আওতায় আসে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তরাংশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে
পাঞ্জাব অভিমুখে প্রবাহিত হয়।
জানুয়ারী মাসের বৈশিষ্ট্য (চিত্র ৩.২০.২) : শীতকালের মাঝামাঝি, মধ্য এশিয়ার উষ্ণতা খুব কমে
যায়। ফলে এই অঞ্চলে এ সময় উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় পূর্ব ও দক্ষিণ সাগরের ওপর উষ্ণতা
বেশি থাকায় নি¤œচাপের সৃষ্টি হয়।
১. মধ্য এশিয়া ও পাঞ্জাবে প্রবল উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। হিমালয় বায়ুদ্বারা উভয় বায়ুপৃথক থাকে।
২. অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মকাল এবং এর উত্তরাংশে প্রবল নি¤œচাপের সৃষ্টি হয়।
৩. এশিয়ার উচ্চচাপ অংশ থেকে বায়ুঅস্ট্রেলিয়ার প্রবল নি¤œচাপ অভিমুখে প্রবাহিত হয়। জাপান
ও উত্তর চীনের ওপর দিয়ে এ বায়ুউত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। দক্ষিণ চীন ও
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বায়ুকোরিওলিস শক্তির প্রভাবের জন্যে ডান দিকে বেঁকে যায়; ফলে বায়ু
উত্তর-পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হতে থাকে। এ ভাবে নিরক্ষীয় বলয়ে পৌঁছবার পর তা আবার
বামে সরে গিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হতে থাকে।
৪. পাঞ্জাবে উচ্চচাপ অংশের বায়ুউত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে নিরক্ষীয় বলয়ে এসে পৌঁছে। নিরক্ষীয়
বলয়ে এ বায়ুদক্ষিণ গোলার্ধের উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ অংশ থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন
বায়ুর সঙ্গে মিলিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার মৌসুমী বায়ুর গুরুত্ব
দক্ষিণ এশিয়ার আওতাভ‚ক্ত বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক দেশের
জন্য বর্ষাকালীন (জুলাই-আগস্ট) মৌসুমী বায়ুর গুরুত্ব অপরিসীম। এ সব দেশের কৃষি পন্য যেমন,
ধান, পাট, চা ও ইক্ষুর উৎপাদন বহুলাংশে এ মৌসুমী বায়ুজনিত বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল।
বর্ষাকালীন মৌসুমী বায়ুর সময়মত আগমন ও প্রয়োজনীয় পরিমাণে বৃষ্টিপাত এ সব কৃষি ফসল
উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্রগ্রাম উপকুলে পহেলা জুনে মৌসুমী জনিত বৃষ্টিপাত শুরু হয়
এবং পরবর্তি ১ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বাংলাদেশের আওতায় চলে আসে। এ উপমহাদেশের কৃষি
ফসল পঞ্জি (ঈৎড়ঢ় ঈধষবহফবৎ) বর্ষাকালীন এ মৌসুমী বৃষ্টির আগমন ও প্রস্থানের সঙ্গে সমনি¦ত।
নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে বর্ষা শুরু হলে অকাল বন্যা দেখা দেয়, তাতে বাংলাদেশের বোরো ও আউস
ধান তলিয়ে যায় এবং চৈতালী ফসলের (যেমন মরিচ, তিল, কাউন) ব্যাপক ক্ষতি হয়। আবার বৃষ্টি
দেরীতে শুরু হলে খরায় পুড়ে যায় অথবা ফলন খুব কমে যায়, পানির অভাবে রোপা ধান লাগানো
যায় না অথবা লাগানো রোপা ধান শুকিয়ে যায়। চা, পাট ও ইক্ষুর ফলন কমে যায়।
এশিয়ার মৌসুমী বায়ুর প্রভাব কি?
পাঠ সংক্ষেপ
কোরিওলিস শক্তি।
মধ্য এশিয়া ও পাঞ্জাব।
ডান দিকে বেঁকে যায়।
উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর
কৃষিপণ্যের উৎপাদন মৌসুমী
বায়ুর উপর নির্ভরশীল। তাই
সার্বিকভঅবে কৃষিকাজকে
মৌসুমী বায়ুর জুয়াখেলা বলা
হয়।

স্থানীয় বায়ুচাপ ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের ফলে বায়ুপ্রবাহ হয়। ব্যাপ্তি ও স্থানীয় কালের উপর
নির্ভর করে বায়ুপ্রবাহ কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন, নিয়তবায়ু, সাময়িকবায়ু, স্থানীয়
বায়ু, স্থানীয় ধ্বংসাতœক বায়ুপ্রবাহ। আজকের আলোচনায় নিয়তবায়ুসম্পর্কে আমরা জেনেছি।
নিয়তবায়ুর কয়েকটি উদাহরণ হচ্ছে- অয়নবায়ু, পশ্চিমাবায়ুও মেরুবায়ু। পৃথিবীর চাপ বলয়
দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় নিয়তবায়ুসারা বছর একই দিকে প্রবাহিত হয়। ৩০ক্ক অক্ষাংশে
অয়নবায়ুএবং ৩৫ক্ক থেকে ৬০ক্ক অক্ষাংশে পশ্চিমা বায়ুএবং ৬০ক্ক অক্ষাংশের উপরে মেরুবায়ু
দেখা যায়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.২০
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৪ মিনিট) ঃ
১.১ নিয়ত বায়ুর উদাহরণ নয়ক. অয়ন বায়ু খ. মৌসুমী বায়ু
গ. পশ্চিমা বায়ু ঘ. মেরু বায়ু
১.২ সারা বছর একই দিকে প্রবাহিত হয়ক. স্থানীয় বায়ু খ. ঘূর্ণী বায়ু
গ. নিয়ত বায়ু ঘ. গরম বায়ু
১.৩ অয়ন বায়ুপ্রবাহিত হয়ক. ১০ক্ক অক্ষাংশ খ. ২০ক্ক অক্ষাংশ
গ. ৩০ক্ক অক্ষাংশ ঘ. ৬০ক্ক অক্ষাংশ
১.৪ গর্জনশীল চল্লিশা অবস্থিতক. অশ্ব অঞ্চলে খ. পশ্চিমা বায়ুতে
গ. সাময়িক বায়ুতে ঘ. অষ্ট্রেলিয়ায়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (৩ী২=৬ মিনিট) ঃ
১. অয়ন বায়ুকাকে বলে?
২. মৌসুমী বায়ুর বৈশিষ্ট্য কি?
৩. ঐড়ৎংব খধঃরঃঁঃব কি?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. বায়ুপ্রবাহ কেন হয়? নিয়ত বায়ুপ্রবাহ বর্ণনা করুন।
২. বায়ুপ্রবাহ ব্যাপ্তি ও স্থানীয় কালের উপর ভিত্তি করে কত প্রকার এবং সাময়িক বায়ুবর্ণনা
করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]