স্থানীয়বায়ু কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
আলোচনা করুন।
বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ পদ্ধতি এবং বায়ুশক্তি


স্থানীয় বায়ু
নিয়মিত ও অনিয়মিত ভিত্তিতে এ সমস্ত বায়ুপুরোপুরি স্থানীয় ভাবে সৃষ্টি হয়। এ বায়ুর প্রভাবাধীন
এলাকা সীমিত এবং ক্ষণস্থায়ী ক্ষুদ্র আয়তনের হলেও এ সব বায়ুপ্রবাহের কিছুবৈশিষ্ট্য আছে যা
স্থানীয় আবহাওয়ার বেশ গুরুত্বপূর্ন। তবে, প্রধান বায়ুপ্রবাহের এ সমস্ত বায়ুর তেমন প্রভাব নেই।
পৃথিবীতে প্রায় কয়েকশ স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ আছে, যা তিনটি প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা:
ক. সমুদ্র ও স্থল বায়ু;
খ. উপত্যকা ও পার্বত্য মৃদুবায়ুএবং
গ. শুষ্ক তাপীয় স্তুপমেঘ পরিচলন বায়ু।
সমুদ্র ও স্থল বায়ু(খধহফ ধহফ ঝবধ ইৎববুব)
উপকূলে সকালের সূর্যতাপ স্থানীয় ভ‚মির তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে নিকটস্থ সমুদ্রের ভারি বায়ু
ভ‚মির দিকে প্রবাহিত হয় (চিত্র ৩.২১.১), একে সমুদ্র বায়ুবলে। বিকালে এ বায়ুর বেগ সবচেয়ে
বেশি হয়। সূর্যাস্তের পর সমুদ্রের চেয়ে স্থলভাগ দ্রæত শীতল হয়ে যায়। তখন স্থলভাগের শীতল বায়ু
সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়, একে স্থলবায়ুবলে।
স্থানীয় বায়ুকাকে বলে?
চিত্র ৩.২১.১ : সমুদ্র বায়ুও স্থলবায়ু
উপত্যকা ও পার্বত্য মৃদুবায়ু(ঠধষষবু ধহফ গড়ঁহঃধরহ ইৎববুবং)
সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া এ বায়ুস্থল ও সমুদ্র বায়ুর ন্যায়। সাধারনত: উপত্যকায় বায়ুপার্বত্য বায়ুর
চেয়ে দুর্বল। দিবাভাগে উপত্যকা বায়ুসৌরতাপে উত্তপ্ত হয়। উত্তপ্ত বায়ুউঁচুপর্বতে/পাহাড়ে বাঁধা
পাওয়ায় পাশে যেতে না পেরে ওপরে উঠে যায়। এ সময় পর্বতের উপরের শীতল ও ভারী বায়ু
নিয়মিত ও অনিয়মিত
ভিত্তিতে।
সমুদ্র ও স্থলবায়ু স্থানীয় বায়ুর
প্রকারভেদ। বিকেলে
সমুদ্রবায়ুর বেগ সবচেয়ে বেশি
হয়।
স্থল ও সমুদ্র বায়ুর ন্যায়।

সরাসরি নীচে উপত্যকার দিকে নেমে আসে। রাত্রে উপত্যকার উভয় ঢাল, সমতলের (ঠধষষবু
ভষড়ড়ৎ) চেয়ে বেশি শীতল হয়ে যায়। এ সময় ঢালের শীতল বায়ুসমতলের দিকে প্রবাহিত হয়।
ইহা মৃদুবায়ুনামে পরিচিত (চিত্র-৩.২১.২)।
চিত্র ৩.২১.২ : উপত্যকা বায়ুও পার্বত্য মৃদুবায়ু
সারণি ৩.২১.১ : পৃথিবীর কিছুস্থানীয় বায়ুও এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
স্থানীয় বায়ুর নাম ভৌগোলিক অবস্থান উৎপত্তি কাল বায়ুর বৈশিষ্ট্য
চিনুক যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বত এলাকার মাঝামাঝি শীতকাল উষ্ণ স্থলভাগে সৃষ্ট
সান্তাআনা ক্যালিফোর্নিয়া শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রæয়ারী) উষ্ণ স্থলভাগ থেকে সমুদ্রগামী
প্যাম্পোরা আর্জেন্টিনা গ্রীষ্মকাল (নভেম্বর-ফেব্রæয়ারী) শীতল, নি¤œচাপ সৃষ্ট
জেনেভা আর্জেন্টিনা গ্রীষ্মকাল উষ্ণ, নি¤œচাপ সৃষ্ট
লেভিচি স্পেন বসন্তকাল উষ্ণ
সিরোক্কা সাহারা-লিবিয়া বসন্তকাল উষ্ণ, স্থল-সমুদ্র
চিলি তিউনিসিয়া বসন্তকাল উষ্ণ, স্থল-সমুদ্র
খামসিন মিসর বসন্তকাল উষ্ণ, স্থল-সমুদ্র
ব্রিকফিল্ডার অস্ট্রেলিয়া (ভিক্টোরিয়া) গ্রীষ্মকাল (নভেম্বর-ফেব্রæয়ারী) উষ্ণ, স্থল-স্থল
মিস্ট্রাল দঃ ফ্রান্স (ভ‚মধ্যসাগরীয় উপকুল) শীতকাল শীতল, স্থল-সমুদ্রগামী
ফন সুইজারল্যান্ড শীতকাল উষ্ণ, সমুদ্র-স্থলগামী
বোরো আড্রিয়াটিক এলাকা শীতকাল শীতল, স্থল-সমুদ্রগামী
স্থানীয় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বায়ু
ঘূর্ণিঝড় (ঈুপষড়হব) ও প্রতীপ ঘুর্ণিঝড় এ ধরনের বায়ুর উদাহরণ। পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে
ঘূর্ণিঝড় ও প্রতীপ ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় একটি অতি পরিচিত শব্দ, কারণ
প্রতিবছরই সাধারণত মার্চ ও নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের বৈশিষ্ট্য নি¤œরূপ:
মৃদু বায়ু।
ঘুর্ণিঝড় ও প্রতীপ ঘুর্ণিঝড়
স্থানীয় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বায়ু
বা পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে
সৃষ্টি হয়।

১. ঘূর্ণিঝড় প্রবল নি¤œচাপের ফলে সৃষ্ট হয়। এ নি¤œচাপ অবস্থানের সমচাপ রেখাসমূহের অবক্রম
অত্যন্ত খাড়া এবং তা বৃত্তাকার রূপ নেয়।
২. উত্তর গোলার্ধে প্রবল ঘূর্ণিবায়ুবামাবর্তে কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয় এবং প্রচন্ড শক্তিতে বায়ু
আবর্তের মাধ্যমে উপরের দিকে উঠতে থাকে। বায়ুআবর্তের কেন্দ্রকে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ বলে।
৩. দ্রæত উর্ধ্বগামী বায়ুজলীয় বাস্পপূর্ণ থাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। ইহা প্রচন্ড শক্তিতে
বাংলাদেশের উপক‚লে আঘাত হানে, ফলে ব্যাপক প্রাণহানী ঘটে এবং সম্পদের বিশেষ ক্ষতি
হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি
উত্তর ও দক্ষিণ আয়নবায়ুর বয়ে আনা বায়ুপুঞ্জ (অরৎ সধংং) যেখানে মিলিত হয় সেখানেই এ
ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। এটি সাধারনত আন্তঃক্রান্তীয় এলাকাতেই সংঘটিত হয়। ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রের
ওপর সৃষ্টি হয়, কারণ বায়ুপুঞ্জ সমুদ্রের ওপর দিয়ে বয়ে আসায় এর বায়ুউষ্ণ ও আর্দ্র নি¤œস্তর
বিশিষ্ট থাকে। কিন্তুএর ওপরের বায়ুস্তর শীতল ও শুষ্ক। যখন এ ধরনের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের
বায়ুস্তর মুখোমুখি হয় তখন একটি স্তর অপর স্তরের ওপরে উঠে যায় (চিত্র ৩.২১.৩)। এ উর্ধ্বগামী
বায়ুদ্রæত শীতল হয় এবং এর আর্দ্রতা ঘনীভ‚ত হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। ঘনীভবনের ফলে যে
সুপ্ততাপ মুক্ত হয় তা ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণনের শক্তি যোগায়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সাধারণত পশ্চিম দিক
থেকে প্রবাহিত হয়। ভ‚মিতে পৌঁছাবার পর উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুসরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘূর্ণীঝড়
দূর্বল হয়ে ক্রমে নিঃশেষ হয়ে যায়। একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পিছনে তিনটি শর্ত কাজ করে:
১. সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি ২৭ক্ক সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিশিষ্ট পর্যাপ্ত উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু।
২. বায়ুভিতরের দিকে প্রবাহিত হবে এবং দ্রæত উর্ধ্বগামী হয়ে খাড়া মেঘপুঞ্জের সৃষ্টি করে যা
মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
৩. উর্ধ্বস্তরে বায়ুবর্হিগামী হবে।
চিত্র ৩.২১.৩ : ঘূর্ণীঝড়ের গঠন কাঠামোতে কেন্দ্রভাগ শান্ত, উভয় পার্শ্বভাগ ঘন উর্ধ্বগামী বায়ুপ্রবাহ ফানেল আকৃতি
ধারণ করে।
সমচাপ রেখা, ঘুর্ণিঝড়ের
চোখ, জলীয়বাষ্প পূর্ণ বায়ু।
উত্তর ও দক্ষিণ আয়নবায়ুর
মিলিত বায়ুপুঞ্জ থেকেই
ঘুর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট আবহাওয়া
১. ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে বায়ুশান্ত থাকে, বায়ুর উষ্ণতা ও আর্দ্রতা বেশী হয়।
২. ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ পৌঁছবার সঙ্গে সঙ্গে দমকা বাতাসের সৃষ্টি হয় এবং ঘন ঘন মেঘ দেখা
দেয়।
৩. অতঃপর ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আসার ফলে প্রবল ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হতে থাকে এবং
প্রায়শ: তা ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটারের বেশী বেগে প্রবাহিত হতে পারে। এ সময় ঘণ মেঘে
আকাশ ছেয়ে থাকে এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে থাকে।
৪. ঘূর্ণিঝড়ের চোখ আসার পর শান্ত অবস্থা ফিরে আসে।
৫. ঘূর্ণীঝড়ের পশ্চাৎভাগ পৌঁছানোর পর পুনরায় ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হতে থাকে, ঘণ মেঘ ও
প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়। এ পর্যায়ে বায়ুঅগ্রবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীত দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
টর্নেডো (ঞড়ৎহধফড়): ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে টর্নেডোর পার্থক্য হল ইহা স্থলভাগে সৃষ্টি হয়।
টর্নেডো ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে অনেক বেশী ধ্বংসাত্বক, কারণ এটি ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটারের বেশী
বেগে প্রবাহিত হতে পারে। তবে, সৌভাগ্যবশত টর্নেডো মাত্র কয়েকশ মিটার প্রশস্ত হয়ে বয়ে
যায়। বাংলাদেশের এপ্রিল-মে মাসে প্রায়শই টর্নেডো ঘটে থাকে।
ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডো কিভাবে সৃষ্টি হয়?
বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ (ডরহফ গবধংঁৎবসবহঃ)
বায়ুপ্রবাহ পরিমাপে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:
১. বায়ুপ্রবাহ দিক (উরৎবপঃরড়হ) ও
২. প্রবাহ মাত্রা বা গতি (ঝঢ়ববফ)।
জলবায়ুবা আবহাওয়া বিশ্লেষনে বায়ুপ্রবাহের দিক ও গতির ভ‚মিকা লক্ষ্যনীয়। বায়ুযে দিক থেকে
প্রবাহিত হচ্ছে সেই দিকের নামে অভিহিত (খধনবষষবফ) করা হয়।
বায়ুপ্রবাহ দিক (উরৎবপঃরড়হ)
বায়ুপ্রবাহের দিক প্রবাহ নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় হয় তাকে বাতপতাকা (ডরহফ
ঠধহব) বলে। এ যন্ত্রে একটি মুক্ত ভাবে ঘূর্ণনক্ষম বাহু থাকে যার এক মাথা সূঁচালুও অন্য মাথা
মাছের লেজের মত চ্যাপটা থাকে। যন্ত্রটিকে একটি অনঢ় চাকতির (উরধষ) উপর বসানো থাকে,
চাকতির উপর উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম এবং কোণের পরিমাপ ডিগ্রীতে সূচিত থাকে। বায়ুপ্রবাহিত
হলে বাহু বা শলাকাটির প্রবাহের তাড়নায় ঘুরে গিয়ে এক সময় স্থির হয়। স্থির অবস্থায় বা যে
কোন সময় শলাকার তীক্ষè দিক নির্দেশকারী সূচক থেকে চাকতির পাঠ লিপিবদ্ধ করা হয় যা বায়ু
প্রবাহের দিক নির্দেশ করে।
প্রবাহমাত্রা/গতি নির্নয় (উবঃবৎসরহধঃরড়হ ড়ভ ডরহফ ঝঢ়ববফ)
শান্তবায়ু, অগ্রবর্তী অংশ, মূল
অংশ, ঘুর্ণিঝড়ের চোখ,
পশ্চাৎভাগ।
টর্ণেডোর সৃষ্টি হয় স্থলভাগে
যা ঘুর্ণিঝড়ের চেয়ে
ধ্বংসাতœক। তবে এটি মাত্র
কয়েকশ মিটার প্রশস্থ হয়।
বাতপতাকা নামক যন্ত্রের
সাহায্যে বায়ু প্রবাহের দিক
নির্ণয় করা হয়।

বায়ুর গতি নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কাপ অ্যানিমোমিটার (ঈঁঢ় অহবসড়সবঃবৎ) ব্যবহার হয়। গতি
পরিমাপ হয় স্পীডো মিটারের মত একটি বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে। এ কাপ অ্যানিমোমিটারে
মুক্তভাবে ঘূর্ণনক্ষম বাহুতে তিন বা ততোধিক (৩/৪টি) বাটি দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত থাকে। বায়ু
সঞ্চালনের সাথে বাটি গুলোর প্রভাবে যন্ত্রের বাহু ঘুরতে থাকে। প্রবাহের বেগ বেশী হলে বাটির
ঘূর্ণনও দ্রæততর হয়। এ ঘূর্ণনমাত্রা স্পীডো মিটারের মত যন্ত্রের সাহায্যে লিপিবদ্ধ করা হয়, বায়ুর
গতি সাধারনত কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় প্রকাশ করা হয়।
বায়ুপ্রবাহ কিভাবে পরিমাপ করা হয়?
বায়ুশক্তি (ডরহফ ঊহবৎমু)
দূষণমুক্ত শক্তির উৎস মূলতঃ অপ্রতুল বা নেই বললেই চলে। অথচ শক্তির ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত
হলে জীবজগৎ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই বায়ুপ্রবাহের শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তি সময় ব্যাপক ভাবে চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। বিশালকৃতির টারবাইন প্রস্তুত
করে বায়ুশক্তিকে ব্যবহার উপযোগী শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া কার্যকর ভাবে গ্রহন করে
পৃথিবীর অনেক স্থানেই শক্তির সাশ্রয় করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় এ ধরনের বিশাল টারবাইন দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। বায়ুপ্রবাহ সুষম ও
অবিরাম হলে বায়ুশক্তির ব্যবহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন সহজ ও নিশ্চিত করা সম্ভব।
বায়ুশক্তিকে কিভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায়?
পাঠ সংক্ষেপ
বায়ুচাপ ও তাপমাত্রার পরিবর্তন থেকে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। বায়ু প্রবাহের ব্যাপ্তি ও
স্থায়ীত্বের ভিত্তিতে ৪ ধরনের প্রবাহ হতে পারে। যথা: নিয়তবায়ু, সাময়িকবায়ু, স্থানীয়বায়ুও
স্থানীয় ধ্বংসাত্বক বায়ুপ্রবাহ। আজকের পাঠে সাময়িক বায়ুসম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
মৌসুমী বায়ু, সাময়িক বায়ুর অন্যতম উদাহরণ। পৃথিবীতে প্রায় কয়েকশত স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ
আছে যা প্রধান তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত। যথাঃ সমুদ্র ও স্থল বায়ু, উপত্যকা ও পার্বত্য মৃদুবায়ু
এবং শুষ্ক তাপীয় স্তুপমেঘ পরিচলন বায়ু।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.২১
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিনÑ (সময় ৩ মিনিট) ঃ
১.১ ঘূর্ণিঝড়ের চোখ বলেক. যে দিকে ঘূর্ণিঝড় প্রবাহিত হয় তাকে খ. কিছুনেই
গ. বায়ুআবর্তের কেন্দ্রকে ঘ. ঘূর্ণিঝড়ের সময় বৃষ্টির ফোঁটাকে
১.২ প্যাম্পোরো হচ্ছে -
ক. অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ খ. আর্জেন্টিনার সাময়িক বায়ু
বায়ুর গতি নির্ণয় করা হয়
কাপ এনিমোমিটার যন্ত্রের
সাহায্যে।
বর্তমান শক্তির উৎস হিসেবে
গৃহীত সকল মাধ্যমেই
পরিবেশ দূষণকারী হিসেবে
চিহ্নিত। এ প্রেক্ষিতে বায়ু
হতে পারে দূষণমুক্ত শক্তির
উৎস।

গ. অস্ট্রেলিয়ার নিয়ত বায়ুপ্রবাহ ঘ. আর্জেন্টিনার স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ
১.৩ মৃদুবায়ুদেখা যায় -
ক. নদীতে খ. প্লেনে
গ. পর্বতে ঘ. বাজারে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (৬ মিনিট) ঃ
১. স্থানীয় বায়ুকি কি?
২. ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডো কিভাবে সৃষ্টি হয়?
৩. পৃথিবীর প্রধান তিন শ্রেণীর বায়ুপ্রবাহ কি কি?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. স্থানীয়বায়ু কাকে বলে? বিভিন্ন প্রকার স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
আলোচনা করুন।
২. স্থানীয় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বায়ুসম্পর্কে বর্ণনা দিন।
৩. বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ পদ্ধতি এবংবায়ুশক্তি সম্পর্কেলিখুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]