ঘনীভবন ও রুদ্ধতাপীয় পরিবর্তনের পার্থক্য করুন।

২ মেঘ কাকে বলে? মেঘ কত প্রকার ও কি কি?
৩. কুয়াশা বলতে কি বুঝায়? কুয়াশার প্রধান ধরনসমূহ ও গঠনপ্রণালী ।


ঘনীভবন ও রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন (ঈড়হফবহংধঃরড়হ ধহফ অফরধনধঃরপ ঈযধহমবং)
যখন বাস্প তরলে পরিণত হয় তখন ঘনীভবন সংঘটিত হয়। ঘনীভবনের ফলে শিশির, কুয়াশা বা
মেঘের সৃষ্টি হয়। এছাড়া আরো অনেক ধরনেরও হতে পারে। বায়ুদুই উপায়ে জলীয় বাস্পে
সম্পৃক্ত হতে পারে। প্রথমত: আরো জলীয় বাস্পের সংযুক্তির মাধ্যমে; দ্বিতীয়ত: বায়ুর তাপমাত্রা
শিশিরাংকে নেমে এলে এবং ইহাই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। ভ‚পৃষ্টের তাপমাত্রা এর উপরস্থ
বায়ুর সাথে বিনিময়ের ফলে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। সন্ধ্যাকালীন ভ‚পৃষ্ঠ শীতল হলে এভাবে
শিশির বা কুয়াশার সৃষ্টি হয়।
বায়ুর সঙ্কোচনের ফলে এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, আবার আয়তন বৃদ্ধি হলে তাপমাত্রা হ্রাস পায় এ
অবস্থাকে রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন (অফরধনধঃরপ ঈযধহমব) বলে। বায়ুর চাপ উপর দিকে কমতে থাকে
ফলে তাপমাত্রাও হ্রাস পায়, একে তাপের ক্রম হ্রাস (খধঢ়ংব-ৎধঃব) বলে। জলীয়বাস্পে অসম্পৃক্ত
বায়ুতে উচ্চতার সাথে তাপমাত্রার হ্রাসের হার ১০০/১০০০ মিটার যাকে শুষ্ক রূদ্ধতাপীয় হার বলে।
তাপমাত্রা হ্রাস পেলে ঘনীভবন শুরু হয়, তখন জলীয় বাস্প সুপ্ত তাপ (খধঃবহঃ যবধঃ) বর্জন করে
ঘনীভ‚ত হতে চায়। আর এ পরিত্যক্ত সুপ্ত তাপ রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তনকে হ্রাস করে বলে জলীয়
বাস্পে সম্পৃক্ত বায়ুতে সিক্ত রূদ্ধতাপীয় হার (ডবঃ ধফরধনধঃরপ ৎধঃব) হয় ৫ক্কসে./১০০০ মিটার, যা
শুষ্ক রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তনের হারের চেয়ে কম।
সুস্থিত (ঝঃধনষব) বায়ুতে মেঘ উর্ধ্বমুখে গমন করে আয়তনে বৃদ্ধি পায় কিন্তুতাপমাত্রার ক্রম হ্রাস
ঘটে। অসম্পৃক্ত জলীয়বাস্প সমৃদ্ধ বায়ুসুস্থিত আকারে থাকে ফলে মেঘের গমন কেবল উলম্ব
বরাবর হয়। এ অবস্থায় তাপমাত্রা হ্রাসের ফলে মেঘের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং মেঘ এর স্বস্থানে নি¤œ
প্রবাহ প্রদর্শন করে। এ ধরনের অবস্থাকে সুস্থিত বায়ু (ঝঃধনষব ধরৎ) বলে। যখন সম্পৃক্ত
জলীয়বাস্প সমৃদ্ধ বায়ুতে সিক্ত রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন (ডবঃ ধফরধনধঃরপ পযধহমব) ঘটে তখন
তাপমাত্রা হ্রাসের হার কম থাকে বলে মেঘের উর্ধ্বমূখী গমন সচল থাকে। এর পরিপার্শ্বিক অবস্থার
চেয়ে মেঘের ঘনত্ব কম থাকে। ফলে জলীয়বাস্পকণা ও মেঘপুঞ্জ থামের মত উর্ধ্বগামী হতে
থাকে। এ অবস্থাকে সচল বা অশান্ত বায়ু(টহংঃধনষব ধরৎ) বলে। এ অবস্থায় উর্ধ্বগামীতার সাথে
সাথে মেঘের আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং মেঘ ছড়িয়ে পড়ে।
দৈনন্দিন আবহাওয়া ও বাতাসের স্থায়ীত্ব: বায়ু সুস্থির অবস্থায় প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে। অশান্ত
(টহংঃধনষব ধরৎ) বায়ুতে বারিপাত তুলনামূলক কম ও হাল্কা হয়।
ঘনীভবন বলতে কি বুঝায়? রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন কি?
বায়ু দুই উপায়ে জলীয় বাষ্পে
সম্পৃক্ত হয়ে থাকে।
আরো জলীয়বাষ্প সংযুক্তির
মাধ্যমে।
বাযুর তাপমাত্রা শিশিরাংকে
নেমে এলে।
বাষ্প তরলে পরিণত হলে
ঘনীভবন সংঘটিত হয়।
ঘনীভবনের কারণে মেঘ,
কুয়াশা ও শিশির সৃষ্টি হয়।
বায়ুর সংকোচনের ফলে
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবার
সম্প্রসারিত হলে তাপমাত্রা
হ্রাস পায় একে রুদ্ধতাপীয়
পরিবর্তন বলে।
সুস্থিত বায়ু, সিক্ত রূদ্ধ তাপীয়
পরিবর্তন, সচল বা অশান্ত
বায়ু।

ঘনীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা (ঘবপবংংধৎু পড়হফরঃরড়হং ভড়ৎ পড়হফবহংধঃরড়হ)
ঘনীভবনের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে১. বায়ুজলীয় বাস্পে সম্পৃক্ত হতে হবে : জলীয় বাস্পে সম্পৃক্ত হতে হলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়
বায়ুকে আরো জলীয় বাস্পের সংমিশ্রন বা তরলজল বাস্পীভবনের ফলে যোগ হতে হবে,
নতুবা বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাংকে নেমে আসতে পারে।
২. জলীয়বাস্প ঘনীভ‚ত হওয়ার জন্য একটি তল (ঝঁৎভধপব) থাকতে হবে : ভ‚পৃষ্ঠের কাছাকাছি
ধূয়া বা ধূলিকণা (উঁংঃ) এ ধরনের ঘনীভবণ কেন্দ্র (ঈড়হফবহংধঃরড়হ হঁপষবর) হিসাবে কাজ
করে; ফলে কুয়াশা বা শিশির জমতে পারে। অনেক সময় তলের/অবলম্বনের অভাবে তুল্য
আর্দ্রতা শতকরা ১০০ ভাগের অধিক হলেও ঘনীভবন কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। লক্ষ লক্ষ
ঘনীভবনের কেন্দ্র জড়ো হয়ে একেকটি বৃষ্টির ফোটা নেমে আসে। স্বল্প আয়তনের কণাগুলি
বাতাসে ভাসতে থাকে। লবণ কণার ঘনীভবন কেন্দ্রকে পানি গ্রাহী কনিকা (ঐুমৎড়ংপড়ঢ়রপ
হঁপষবর) বলে।
ঘনীভবনের জন্য কেমন অবস্থা প্রয়োজন?
মেঘ (ঈষড়ঁফং)
জলীয়বাস্পের ঘনীভূত রূপই মেঘ। প্রকৃত পক্ষে, মেঘ হচ্ছে সুক্ষèজলকণা (গরহঁঃবফৎড়ঢ়ষবঃং) বা
ক্ষুৃদ্রাকার দৃশ্যমান বরফ টুকরো। আবহাওয়ার সরাসরি নির্দেশক হিসাবে মেঘ অনন্য। সুষ্ঠু
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে মেঘের শ্রেণীবিভাগ জানা প্রয়োজন। ৩.২৩.১ সারণিতে মেঘের প্রকার ভেদ
আলোচনা করা হলো। চিত্র ৩.২৩.১-এ উচ্চতা ও গঠন আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন রকম মেঘ
দেখানো হয়েছে।
চিত্র ৩.২৩.১ : উচ্চতা ও গঠন আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন রকম মেঘ।
মেঘ কাকে বলে?
শিশিরাংক।
তল, ঘনীভবন, কেন্দ্র, পানি
গ্রাহী কণিকা।
জলীয় বাষ্পের ঘনীভ‚ত রূপই
মেঘ।

সারণি ৩.২৩.১ : বিভিন্ন রকমের মেঘ ও তাদের বৈশিষ্ট্যাবলী।
মেঘের শ্রেণী ও উচ্চতা মিটারে মেঘপুঞ্জ বৈশিষ্ট্য
উচ্চমেঘমালা (ঐরময ঈষড়ঁফং)
৬০০০ মিটারের অধিক
পালক মেঘ
(ঈরৎৎঁং)
পাতলা, রেশম সদৃশ, কোমল, বরফ কণার মেঘ।
কখনো কখনো চিকন আকশির (ঐড়ড়শবফ ভরষধসবহঃ)
মত মনে হয় যাকে ঘোটকির লেজ (গধৎবং ঞধরষং)
বলে।
পালক পুঞ্জ মেঘ পাতলা, শুভ্র, বরফ কণার মেঘ, সারি বদ্ধ ক্ষুদ্র ঢেউ
ঢেউ বা
উর্ধ্বস্তর মেঘ
(ঈরৎৎড়ংঃৎধঃঁং)
পাতলা, শুভ্র, বরফ কণার মেঘ, যার ফলে
আকাশটাকে দুধের মত মনে হয় (গরষশু ষড়ড়শ)।
মাঝে মাঝে সূর্য বা চাঁদের চারিপাশে বৃত্তাকার
আলোকবলয় (ঐধষড়ং) তৈরী করে।
মধ্য মেঘমালা (গরফফষব
ঈষড়ঁফং) ২০০০-৬০০০
মিটার
উ¤েœখপুঞ্জ
(অষঃড়পঁসঁষঁং)
শুভ্র বা ধুসর মেঘ বিচ্ছিন্ন বুদবুদের সমষ্টিতে তৈরী
মেঘ পশ্চাদ (ঝযববঢ়-নধপশ) মেঘ। উ¤েœখ স্তর
স্তরীভ‚ত মেঘের অবগঠন সাধারণত পাতলা এবং খুব
মিহি বারিপাত ঘটায়। পাতলা অবস্থায় সূর্য বা
চন্দ্রকে উজ্জল বিন্দুর (ইৎরমযঃ ঝঢ়ড়ঃ) মত দেখায়
কিন্তুকোনো আলোক বলয় তৈরী হয় না।
নি¤œ মেঘমালা ২০০০
মিটারের নিচে
স্তর পুঞ্জ মেঘ মসৃন, ধুসর, বুদবুদ বা জোড়া দেওয়া পাকানো
বেলনের মত মেঘ।
স্তর মেঘ নীচু সুষম মেঘের স্তর, কুয়াশা সদৃশ কিন্তু ভ‚পৃষ্টে স্থির
থকে না,
উলম্ব সৃষ্ট মেঘ মালা (ঈষড়ঁফং
ড়ভ াবৎঃরপধষ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ)
৫০০-১৮০০ মিটার
বর্ষন স্তর মেঘ
(ঘরসনড়ংঃৎধঃঁং)
অনিয়তকার স্তর বিশিষ্ট, গাঢ় ধুসর মেঘ। প্রচুর
বারিপাত ঘটানো মেঘ।
পুঞ্জ মেঘ
(ঘরসনঁং)
মেঘের সতন্ত্র গম্বুজাকৃতির ভাসমান পুঞ্জ, উর্ধ্বমূখি
সঞ্চালনের ফলে নি¤েœ সমতলীয় তল ও উপর দিকে
পুস্প কুঁড়ির মত অভিক্ষেপ থাকে।
ঝড়ো পুঞ্জ মেঘ
(ঈঁসঁষড়হরসনঁং)
স্তম্বাকার মেঘ, মাঝে মাঝে অগ্রভাগ ছড়িয়ে পড়ে
কামারের নেহাই (অহারষযবধফ) এর মাথা আকৃতির
হয়। প্রচুর বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বিদ্যুৎ চমক,
শিলাবৃষ্টি এবং ঘুর্ণিঝড় ঘটিয়ে থাকে।
কুয়াশা (ঋড়ম)
কুয়াশা হচ্ছে ভ‚পৃষ্ঠ সংলগ্ন বা তার কাছাকাছি জমা হওয়া মেঘ। মেঘ ও কুয়াশার মধ্যে স্থান ও গঠন
প্রক্রিয়া ছাড়া ভৌতিক কোনো পার্থক্য নাই। বায়ুর উর্ধ্ব গমন ও রূদ্ধতাপীয় শীতলতার ফলে মেঘ
গঠিত হয়। কিন্তুবিকিরনের মাধ্যমে তাপ বর্জন অথবা একটি শীতল তলের উপর দিয়ে বায়ু
প্রবাহের ফলে কুয়াশা তৈরী হয়। আরেক ধরনের কুয়াশা তৈরী হয় যদি বায়ুতে পর্যাপ্ত জলীয় বাস্প
যোগ হয় এবং বায়ুজলীয়বাস্প সম্পৃক্ত হয়।
শীতলতার ফলে সৃষ্ট কুয়াশা (ঋৎড়মং পধঁংবফ নু পড়ড়ষরহম)
ক. অ্যাডভেকশান কুয়াশা (অফাবপঃরড়হ ঋড়ম): আর্দ্র ও উষ্ণবায়ুকোনো শীতল পৃষ্ঠের উপর দিয়ে
প্রবাহিত হলে কম্বলের মত স্তরের কুয়াশা তৈরী হতে থাকে যাকে অ্যাডভেকশান কুয়াশা বলে।
খ. বিকিরণ কুয়াশা (জধফরধঃরড়হ ঋড়ম): শান্ত, শীতল ও পরিচ্ছন্ন আবহাওয়া সমৃদ্ধ রাতে
বিকিরণের ফলে ভ‚পৃষ্ঠ শীতল হলে শিশিরাংকের চেয়ে কম তাপমাত্রায়, ভ‚পৃষ্ঠের উপর পাতলা
আবরণে কুয়াশা জমে। শীতলতার মাত্রার উপর নির্ভর করে কুয়াশার ঘনত্ব ও বৃদ্ধি পায়।
বায়ুর উর্ধ্ব গমন ও
রুদ্ধতাপীয় শীতলতায় মেঘ
গঠিত হয়।

অধিক ঘনত্বের কুয়াশা নিচে নেমে আসে এভাবে কুয়াশার পকেট তৈরী করে। বড় বড় কুয়াশা
পকেট সাধারনত নদী উপত্যকায় দেখা যায়, ঐ সবক্ষেত্রে অনেক পুরুত্বের কুয়াশা স্তর ও সৃষ্টি
হয়।
গ. উর্ধ্বঢাল কুয়াশা (টঢ়ংষড়ঢ়ব ঋড়ম): অপেক্ষাকৃত আর্দ্র বায়ুপাহাড়ের ঢাল বেয়ে উপরে ওঠে
যেতে থাকলে রূদ্ধতাপীয় শীতলতার ফলে যদি তাপমাত্রা শিশিরাংকে শীতল হয় তবে কুয়াশা
জমা হতে থাকে। ভারী হওয়ায় এটি তখন ঢাল বেয়ে নীচে নেমে আসে।
বাস্পীভবনের ফলে সৃষ্ট কুয়াশা (ঊাধঢ়ড়ৎধঃরড়হ ঋড়ম)
ক. বাস্পীয় কুয়াশা (ঝঃবধস ভড়ম): যখন শীতল বায়ুকোন উষ্ণ পানির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়
তখন ঐ বায়ুকে জলীয় বাস্পে সম্পৃক্ত করতে কিছুপানি বাস্পীভ‚ত হয়। এ বাস্পীভ‚ত বায়ু
শীতল বায়ুর সংস্পর্শে ঘনীভুত হয় ও বায়ুতে ভাসতে থাকে; এর তাপমাত্রা নিচের পানির চেয়ে
বেশী থাকে। এ বাস্পীয় রূপ (ঝঃবধসরহম ধঢ়ঢ়বধৎধহপব) কুয়াশার বাস্পীয় কুয়াশা (ঝঃবধস ভড়ম)
বলে। বাস্পীয় কুয়াশা সাধারনত নীচুস্তরে গঠিত হয় কেন না বাস্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তা
বায়ুতে বাস্পীভবন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
খ. সম্মুখবর্তী বা বারিপাত কুয়াশা (ঋৎড়হঃধষ ড়ৎ চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ ভড়ম): যখন উষ্ণ ও শীতল বায়ু
সংমিশ্রন বা সম্মুখ মিলন হয়, তখন উষ্ণ বায়ুশীতল বায়ুর উপরে উঠে যায় এবং মেঘের সৃষ্টি
হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। নিচের শীতল বায়ুযদি শিশিরাংকের কাছাকাছি তাপমাত্রায় থাকে তবে
বেশ কিছু বৃষ্টি কণা বাস্পীভ‚ত হয়ে কুয়াশা তৈরী করে। এ ধরনের কুয়াশাকে সম্মুখবর্তি
কুয়াশা বা বারিপাত কুয়াশা বলে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ঘনীভ‚ত পানিকণা ভ‚মিতে পতনের
সময় আবার মেঘে পরিণত হয়।
পাঠ সংক্ষেপ
বাতাসের জলীয়বাস্প ঘনীভ‚ত হয়ে শিশির, কুয়াশা বা মেঘের সৃষ্টি করে। আবহাওয়ার একটি
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক মেঘ। কুয়াশা হচ্ছে ভ‚-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বা তার কাছাকাছি জমা হওয়া মেঘ।
মেঘ ও কুয়াশার মধ্যে স্থান ও গঠন প্রক্রিয়া ছাড়া আসলে কোন পার্থক্য নেই।
বাষ্পীয় কুয়াশা।
সম্মুখ মিলন, সম্মুখবর্তী
কুয়াশা বা বারিপাত কুয়াশা।

পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.২৩
১. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৩ মিনিট) ঃ
১.১ বায়ুসঙ্কুচিত হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং প্রসারিত হলে তাপমাত্রার হ্রাস ঘটে, একে বলেক. অবস্থান্তর খ. রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন
গ. আপেক্ষিক পরিবর্তন ঘ. আপেক্ষিক রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন
১.২ আর্দ্র ও উষ্ণবায়ুকোনো শীতল পৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হলে যে কুয়াশা তৈরী হয় তাকে
বলেক. অ্যাডভেকশান কুয়াশা খ. বিকিরণ কুয়াশা
গ. বাস্পীয় কুয়াশা ঘ. উর্ধ্ব ঢাল কুয়াশা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (সময় ২ী৩ = ৬ মিনিট) ঃ
১. রূদ্ধতাপীয় পরিবর্তন কি?
২. ঘনীভবনের জন্য কেমন অবস্থা প্রয়োজন?
৩. কিভাবে বিভিন্ন ধরনের কুয়াশা সৃষ্টি হয়?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. ঘনীভবন ও রুদ্ধতাপীয় পরিবর্তনের পার্থক্য করুন। ঘনীভবনের জন্যপ্রয়োজনীয় অবস্থা
সমূহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন।
২. মেঘ কাকে বলে? মেঘ কত প্রকার ও কি কি? প্রধান মেঘের প্রকারসমূহের বৈশিষ্ট্যাবলী
লিপিবদ্ধ করুন।
৩. কুয়াশা বলতে কি বুঝায়? কুয়াশার প্রধান ধরনসমূহ ও গঠনপ্রণালী ব্যাখ্যা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]