বারিপাত বলতে কি বুঝায়? বারিপাত গঠন, ধরন ও বৈশিষ্ট্য
বারিপাতের কারণ কি?
বারিপাত পরিমাপের বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করুন।


বারিপাত
অনূকুল অবস্থায় বায়ুস্থ জলীয়বাস্প ঘনীভ‚ত হয়; ঘনীভ‚ত বাস্প বায়ুকে ভারী করে তোলে, যখন এ
ঘনীভ‚ত বাস্প এমন ভারী হয় যে আর বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না তখন তা বিভিন্নরূপে ভ‚-
পৃষ্ঠে পতিত হয়। এভাবে জলীয়বাস্প মেঘ হয়ে বা অন্য রূপে ভ‚-পৃষ্ঠে পতনকে বারিপাত বলে।
বারিপাত গঠন (ঋড়ৎসধঃরড়হ ড়ভ চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ)
ঘনীভবনের ফলে অতি ক্ষুদ্র জলকণা বায়ুতে মেঘের আকারে ভাসতে থাকে। ভাসমান এ অতি ক্ষুদ্র
জলকণা জড় হয়ে বৃষ্টির ফোঁটা তৈরী হয়। এ অবস্থা বিশ্লেষণের জন্য দুটি পদ্ধতির প্রস্তাব করা হয়:
ক. বার্জেরণ প্রক্রিয়া (ইবৎমবৎড়হ চৎড়পবংং)
খ. সংঘর্ষ সংযুক্তি প্রক্রিয়া (ঈড়ষষরংরড়হ-ঈড়ধষবংপবহপব চৎড়পবংং)
কিভাবে বারিপাত সংঘটিত হয়?
বারিপাতের ধরন (ঋড়ৎসং ড়ভ চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ)
জলবায়ুর অবস্থা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয় আবার ঋতুভেদে আবহাওয়াগত পরিবর্তনও হয়; ফলে
বারিপাতের বিভিন্ন ধরন হতে পারে। বৃষ্টি এবং তুষারপাত বারিপাতের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের বারিপাত হতে পারে। আবহাওয়ার অবস্থা চিত্রনে বারিপাতের ধরন
গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন ধরনের বারিপাত
শিশির তুষার বৃষ্টি (ঝষববঃ)
হালকা কুয়াশা (গরংঃ) গেøইজ (এষধুব)
ইলশেগুড়ি (উৎরুুষব) জমাট বদ্ধ কুয়াশা (জরসব)
বৃষ্টি (জধরহ) তুষার (ঝহড়)ি
হালকা বৃষ্টি (খরমযঃ জধরহ) তুষার ফলক (ঝহড়ি ভষধশব)
মাঝারি বৃষ্টি (গড়ফবৎধঃব জধরহ) শিলাবৃষ্টি (ঐধরষ)
ভারী বৃষ্টি (ঐবধাু জধরহ) কোমল শিলা বৃষ্টি (এৎধঁঢ়বষ)।
বায়ুস্থ জলীয়বাষ্প ঘনীভ‚ত
হয়ে বায়ুকে ভারি করে
তোলে, তখন এই ভারি বায়ু
বাতাসে ভেসে থাকতে না
পেরে ভ‚-পৃষ্ঠে নেমে আসে।
একে বারিপাত বলে।
স্থানভেদে, ঋতুভেদে
বারিপাতের ধরণে ভিন্নতা
দেখা যায়।

বারিপাতের ধরনসমূহ ও তাদের বৈশিষ্ট্য সারণি ৩.২৪.১-এ আলোচনা করা হলো।
সারণি ৩.২৪.১ : বারিপাতের ধরন ও বৈশিষ্ট্য
বারিপাতের ধরন আকৃতি ভৌত অবস্থা বৈশিষ্ট্যাবলী
শিশির (উব)ি অতি ক্ষুদ্র তরল ভ‚পৃষ্ঠে মূলত: ঘাসের উপর বা গাছের পাতায় জমা হয়।
প্রতিরাতে মাত্র ০.১-১.০ মি.মি. পরিমানে জমতে
পারে। নি¤œ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে তুষারে পরিণত
হয়।
হালকা কুয়াশা (গরংঃ) ০.০০৫-০.০৫ মি.মি তরল স্তর জাতীয় মেঘের ফলে জ¤œ হয়। বায়ু প্রবাহ ১
মিটার/সে: হলে মুখের ত্বকে অনুভব করা যায়।
ইলশে গুড়ি (উৎরুুষব) ০.৫ মি.মি. এর চেয়ে ছোট তরল সাধারণত স্তর জাতীয় মেঘে হয়। এর তীব্রতা ঘন্টায় ১
মিলিমিটার বা তার কম হয়।
বৃষ্টি (জধরহ)
হালকা বৃষ্টি (খরমযঃ জধরহ)
মাঝারী বৃষ্টি (গড়ফবৎধঃব জধরহ)
ভারী বৃষ্টি (ঐবধাু জধরহ)
০.৫ থেকে ৫ মি.মি তরল বর্ষন স্তর অথবা ঝড়ো পুঞ্জ মেঘে হয়।
হালকা বৃষ্টি ঘন্টায় ৩ মিলিমিটার বা তার কম তীব্রতায়
ঘটে। বারিপাতের তীব্রতা ঘন্টায় ৩ মি.মি থেকে ৭.৫
মি.মি হয়।
ঘন্টায় ৭.৫ মি.মি. এর চেয়ে বেশী বৃষ্টিপাতকে ভারী
বৃষ্টি বলে।
তুষার বৃষ্টি (ঝষববঃ) ০.৫-৫ মি.মি কঠিন ক্ষুদ্র বৃত্তাকার বা টুকরা বরফ খন্ডের মত; বৃষ্টি কণার
অধোগতির সময় প্রাক হিমাঙ্কের বায়ুস্তরে (ঝঁন
ভৎববুরহম ধরৎ) জমাট বেঁধে এগুলো গঠিত হয়। বরফ
কণাগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নতুবা টুকরাকারে পতিত হয়।
গেøইজ (এষধুব) ১ থেকে ২ সে.মি পুরু স্তর কঠিন যখন অতিহীম বৃষ্টিকনা কোনো কঠিন বস্তুর সংস্পর্শে
আসে তখন গেøইজ সৃষ্টি হয়। গেøইজ অনেক সময় বেশী
পুরু ও ভারী হয়ে বৈদ্যুতিক সরবরাহ ব্যবস্থা বা
উদ্ভিদের প্রভ‚ত ক্ষতি সাধিত করে।
জমাটবদ্ধ কুয়াশা (জরসব) বিভিন্ন মাত্রায় জমা হয় কঠিন বরফের পালকের মত বায়ুপ্রবাহে তীক্ষèভাবে (চড়রহঃ ঃড়
ঃযব রিহফ) জমা হয়। অতিহীম বস্তুর সংস্পর্শে মেঘ বা
কুয়াশা জমে এ ধরনের পেলব, তুহিন সদৃশ বস্তুকনার
সৃষ্টি হয়।
তুষার (ঝহড়)ি ১ মি.মি থেকে ২ সে.মি. কঠিন ছয়টি তলসমৃদ্ধ বরফের কেলাস (ঈৎুংঃধষ) গঠন করে,
পাত ও সূচাকৃতির (ঘরফফষব) ও হয়। অতিহীম মেঘ
থেকে বরফকণা তৈরী হয়, জলীয় বাস্প বরফের
কেলাস গঠন করে আধো:গতিতে ও তার জমাট অবস্থা
অটুট থাকে।
তুষার ফলক (ঝহড়ি ভষধশব) কয়েকটি বরফের কেলাস (ঈৎুংঃধষ) যুক্ত হয়ে তুষার
ফলকে পরিণত হয়।
শিলা বৃষ্টি (ঐধরষ) ৫ মি.মি. থেকে ১০ সে.মি.
বা তারও বড়
কঠিন শক্ত, গোলাকৃতি বড়ি বা অনিয়ত বরফ টুকরো
আকারের বারিপাত। বিশাল পরিচলন প্রক্রিয়ার
ঝড়োপুঞ্জ মেঘে সৃষ্টি হয়; জমাটবদ্ধ বরফ টুকরো এবং
অতিহীম জলকণা একই সাথে অবস্থান করে।
কোমল শিলা বৃষ্টি (এৎধঁঢ়বষ) ২ থেকে ৫ মি.মি. কঠিন কখনো কখনো মৃদু শৈল (ঝড়ভঃ ঐধরষ) বলে; কোমল
শিলা, বরফের কেলাসের উপর কুয়াশা জমাট (জরসব)
বেঁধে গঠিত হয়, ফলে কোমল বরফের (ঝড়ভঃ ওপব)
আস্তরন পড়ে। এগুলো শিলা বৃষ্টির শিলা পাথর (ঐধরষ
ঝঃড়হব) অপেক্ষা হালকা হওয়ায় ভাসমান বলে মনে
হয়। (ঐধরষ ঝঃড়হব) অপেক্ষা হালকা হওয়ায় ভাসমান
বলে মনে হয়।
বারিপাতের কারণ (ঈধঁংবং ড়ভ চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ)
রুদ্ধতাপীয় শীতলতাই
বারিপাতের মূল কারণ।

রুদ্ধতাপীয় শীতলতা বারিপাতের মূল কারণ। অসম্পৃক্ত বা সম্পৃক্ত বায়ূযখন উর্ধ্বাকাশে পরিচলন
বা অন্য কোনো রূপে গমন করে তখন আয়তন বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। জলীয়বাস্প তাপ
হ্রাসে ঘনীভ‚ত হয়, মেঘের এ ঘনীভবনই সব সময় বারিপাতের মূল কারণ। বারিপাত মূলত: চার
রকম প্রক্রিয়ায় সংগঠিত হয়:
ক. পরিচলন (ঈড়হাবপঃরড়হ চৎরপরঢ়রঃধঃরড়হ)
খ. শৈলোৎক্ষেপ (ঙৎড়মৎধঢ়যরপ চৎরপরঢ়রঃধঃরড়হ)
গ. ঘূর্ণি (ঈুপষড়হরপ চৎরপরঢ়রঃধঃরড়হ) ও
ঘ. সংঘর্ষ বারিপাত (ঋৎড়হঃধষ চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ)।
পরিচলন বৃষ্টি (ঈড়হাবপঃরড়হ চৎরপরঢ়রঃধঃরড়হ)
নি¤œচাপ অঞ্চলের বায়ুউত্তপ্ত হয়ে ওপরে উঠে এবং প্রসারিত হয়। ফলে সহজেই শীতল হয়ে পড়ে।
এভাবে বায়ুর তাপ হ্রাসের ফলে অতিরিক্ত জলীয়বাস্প ঘনীভ‚ত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে
পরিচলন বৃষ্টি বলে। নিরক্ষীয় নি¤œচাপ এলাকায় উর্ধ্বগামী বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাস্প থাকায় সেখানে
নিয়মিত পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।
চিত্র ৩.২৪.১ : বিভিন্ন ধরনের বারিপাত ক) পরিচলন বৃষ্টি, খ) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি, গ) সংঘর্ষ বৃষ্টি
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি (ঙৎড়মৎধঢ়যরপ চৎরপরঢ়রঃধঃরড়হ)
জলীয়বাস্পপূর্ণ বায়ুউঁচুপাহাড় বা পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ওপরে উঠে এবং শীতল হয়ে যে বৃষ্টিপাত
ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে (চিত্র ৩.২৪.১ খ)। পর্বতের অপর পাশে বায়ুশুষ্ক হওয়ায়
বৃষ্টিপাত খুব কম হয়। একে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বা অনুবাদ ঢাল (খববধিৎফ ঝষড়ঢ়ব) বলে। দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ুমেঘালয় পাহাড়ে বাঁধা পাওয়ায় সিলেট ও গারো পাহাড়ের পাদদেশে প্রচুর
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ঘটায়।
ঘূর্ণি বৃষ্টি (ঈুপষড়হরপ চৎরপরঢ়রঃধঃরড়হ)
তাপ-হ্রাসের ফলে ঘনীভ‚ত
হয়ে বৃষ্টিপাত।
উঁচু পাহাড় বা পর্বতে বাঁধা।

চিত্র : ৩.২৪.৩ বৃষ্টিমাপনী যন্ত্রের সরল গঠন
ঘূর্ণিবাতজনিত কারণে এই বৃষ্টিপাত ঘটে তাকে। ঘূর্ণিবাত কেন্দ্রের বায়ুওপরে উঠে যাওয়ায় এর
তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতল হয়। এ সময় বায়ুর অতিরিক্ত জলীয়বাস্প ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টিপাত
ঘটায় (চিত্র ৩.২৪.২)।
সংঘর্ষ বৃষ্টি (ঋৎড়হঃধষ
চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ)
শীতল ও উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ (অরৎসধংং)
মুখোমূখী হলে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে
উষ্ণ বায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং
শিশিরাংকের সৃষ্টি হয়। পরিশেষে এটি
আরও ঘনীভ‚ত হয়ে বায়ুর সংযোগ স্থলে
বৃষ্টিপাত ঘটায়। এটি সংঘর্ষ বৃষ্টি নামে
পরিচিত (চিত্র৩.২৪.১ গ)। এ ধরনের
বৃষ্টিপাত সাধারণত উচ্চ অক্ষাংশীয়
(ঞবসঢ়বৎধঃব) এলাকায় দেখা যায়।
চিত্র ৩.২৪.২ বজ্রবৃষ্টির রেখাচিত্র
বারিপাত কি প্রক্রিয়ায় সংগঠিত হয়?
বারিপাতের পরিমাপ (গবধংঁৎবসবহঃ ড়ভ চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ)
বারিপাতের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ সবচেয়ে সহজ। সঙ্গতিপূর্ণ প্রস্থচ্ছেদ সম্বলিত
যে কোনো খোলা পাত্রই বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়। বাস্পীভবনের ফলে
অপচয় রোধ ও স্বল্প পরিমাণ বৃষ্টিপাত পরিমাপের
জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। বৃষ্টিপাত
পরিমাপের জন্য বৃষ্টি মাপনী (জধরহ মধঁমব)
ব্যবহার করা হয়। এটি একটি তামার তলাযুক্ত
খোলা মুখবিশিষ্ট মাটিতে এমনভাবে বসানো
থাকে যাতে এর ওপর অংশ ৩০ সেন্টিমিটার
মাটির ওপরে থাকে। বৃষ্টির ফোঁটা কাঁচের পাত্রে
জমা হয় এবং সাধারণত বর্ষাকালে প্রতি ২৪
ঘন্টায় একবার তা খালি করা হয়। কাঁচের
পাত্রে দাগ দেওয়া থাকায় সংগৃহীত পানির
পরিমাণ সহজেই পরিমাপ করা যায়।
আধুনিক আদর্শ বৃষ্টি মাপনী (অরৎসধংং) একটি
২০ সে.মি. ব্যাসের খোলামুখ সংগ্রহ পাত্র (চিত্র
৩.২৪.৩)। এই খোলামুখে পতিত বৃষ্টি ফানেলের মাধ্যমে একটি চোঙ্গাকৃতির (ঈৎড়ড়ং-ঝবপঃরড়হধষ
ধৎবধ) সংগ্রহ পাত্রের প্রস্থচ্ছেদ আয়তন এর এক-দশমাংশ (১/১০) হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দশ
গুন বর্ধিত হয়ে পাঠ দেয় ফলে অতি সামান্য (০.০২৫ সে.মি) বৃষ্টিপাতের ও পরিমাপ করা সম্ভব
ঘুর্ণিবাতজনিত কারণ।
শীতল ও উষ্ণ বায়ুপুঞ্জ
মুখোমুখি হলে।
বৃষ্টি মাপনী যন্ত্রের সাহায্যে
বৃষ্টিপাত পামাপ করা হয়।

হয়। চোঙা সরু মুখ বিশিষ্ট হওয়ায় (ঘধৎৎড়ি ঙঢ়বহরহম) বাস্পীভবনকে হ্রাস করে। ০.০২৫
সে.মি. এর কম বৃষ্টিপাত সামান্য (ঞৎধপব) বৃষ্টি হিসাবে পরিগণিত হয়।
কিভাবে বারিপাত পরিমাপ করা হয়?
বৃষ্টি মাপনী যন্ত্র খোলা জায়গায় বসানো হয় যাতে কোন গাছের বা দালানের পানি ফানেলের ভিতরে
প্রবেশের সুযোগ না পায়। তাছাড়া কাঁচের পাত্রটি ফানেল দ্বারা ঢাকা থাকায় সরাসরি সূর্যালোকের
মাধ্যমে বৃষ্টির পানি বাস্পায়নেরও সুযোগ থাকে না এবং চোঙটি ৩০ সেন্টিমিটার মাটির ওপর
থাকায় ভ‚মির ছিটানো পানিও ফানেলে পৌঁছে না।
সময়ের সাথে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ও পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক মাপনী ব্যবহৃত
হয়। যেমন১. টিপিং বাকেট মাপনী (ঞরঢ়ঢ়রহম-নঁপশবঃ মধঁমব)
২. ওজন মাপনী (ডবরমযরহম মধঁমব)
টিপিং বাকেট মাপনী (ঞরঢ়ঢ়রহম-নঁপশবঃ মধঁমব)
টিপিং বাকেট মাপনীতে দুটি প্রকোষ্ঠ (ঈড়সঢ়ধৎঃসবহঃ) থাকে। এদের প্রতিটি ০.০২৫ সে.মি বৃষ্টি
ধারণ করতে সক্ষম; এগুলো একটি২৫ সে.মি. ফানেলের (ব্যাস ২৫ সে.মি) নিচে বসানো থাকে।
যখন পাত্র প্রকোষ্ঠ পানিতে পরিপূর্ণ হয় তখন এটি ঝুঁকে বা কাত হয়ে পানিশূন্য হয়,
তাৎক্ষণিকভাবে পাত্রটির অন্য প্রকোষ্ঠ ফানেলের নীচে অবস্থান নেয় ও পানি সঞ্চিত হতে থাকে।
প্রতিটি প্রকোষ্ঠ কাত হওয়ার সময় একটি বৈদ্যুতিক বর্তনী সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় (ধহ বষবপঃৎরপধষ
পরৎপঁরঃ রং পষড়ংবফ); ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি গ্রাফে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ লিপিবদ্ধ হয়।
চিত্র ৩.২৪.৪ : টিপিং বাকেট বৃষ্টি মাপনী যন্ত্র।
টিপিং বাকেট বৃষ্টিমাপনী যন্ত্রের বর্ণনা দিন।
ওজন মাপনী (ডবরমযরহম মধঁমব)
বৃষ্টিপাত একটি সিলিন্ডারে সংগ্রহ করা হয়, যা একটি স্প্রীং (ঝঢ়ৎরহম) এর উপর বসানো থাকে।
পানিপূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে এর অবস্থান পরিবর্তন (গড়াবসবহঃ) একটি লেখনী (চবহ) তে
সঞ্চালিত (ঞৎধহংভবৎ) করে লিপিবদ্ধ করা হয়।
টিপিং বাকেট মাপনীতে দুটি
প্রকোষ্ঠ একটি ২৫ সে.মি.
ফানেলের নিচে বসানো
থাকে।

বারিপাত পরিমাপের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার:
১. বৃষ্টি মাপনীকে ঘর বাড়ী, দালান বা কোন বাঁধার (ঙনংঃৎঁপঃরড়হং) আড়ালে রাখা যাবে না;
উš§ুক্ত স্থানে রাখতে হবে।
২. বায়ুও বায়ুপ্রবাহ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বৃষ্টিপাত পরিমাপের জন্য অসুবিধা তৈরী করে। এজন্য
মাপনীর কাছে একটি বায়ুআড়াল (ডরহফ ঝপৎববহ) বসাতে হবে।
৩. তুষারপাতের পরিমাপের সময় দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় : পুরুত্ব ও পানিসম (ডধঃবৎ
ঊয়ঁরাধষবহঃ)। সাধারণত পুরুত্ব কোনো কাঠির সাহায্যে মাপা হয়। সাধারণ বায়ুপ্রবাহেও
তুষার মুক্তভাবে বিচরণ করে (ঋৎববষু ফৎরভঃবফ)। এজন্য বৃক্ষ বা বাড়ী হতে দূরে খোলা স্থানে
একাধিক পরিমাপ নিতে হয় ও গড় মান বের করতে হয়। পানিসম পরিমাপের জন্য নমুনা
সংগ্রহ করে বিগলিত করে পরিমাপ করা হয়। সাধারণত প্রতি দশগুন পুরুত্বের তুষার থেকে ১
গুন পানি পাওয়া যায়। অনেক সময় সমান ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট ৩০ সে.মি. পুরু হালকা তুষার
কিম্বা ৪ সে.মি. পুরুত্বের ঘন তুষার থেকে ১ সে.মি. পানি হতে পারে।
বারিপাত পরিমাপে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন?
পাঠসংক্ষেপ
জলীয় বাস্প মেঘ হয়ে বা অন্য রূপে ভ‚-পৃষ্ঠে পতনকে বারিপাত বলে। বার্জেরন ও সংঘর্ষ
সংযুক্তি এ দু'ধরনের প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিকণা গঠিত হয়। বারিপাত বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
যেমন-শিশির, কুয়াশা, ইলশেগুড়ি, বৃষ্টি, তুষার ইত্যাদি। এসব বারিপাত মূলত: চার রকম
প্রক্রিয়ায় সংগঠিত হয়ে থাকে: ক) পরিচলন, খ) শৈলোৎক্ষেপ গ) ঘূর্নি এবং ঘ) সংঘর্ষ
বারিপাত। বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ও পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত মাপনীহচ্ছে টিপিং বাকেট মাপনী
ও ওজন মাপনী।
বৃষ্টি মাপনীকে আবদ্ধ স্থানে না
রেখে উন্মুক্ত স্থানে রাখতে
হবে, বায়ু আড়াল বসাতে
হবে, পুরুত্ব ও পানিসম।

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
১.১ অনূকুল অবস্থায় বায়ুস্থ জলীয়বাস্প ঘনীভ‚ত হয়।
১.২ জলবায়ুর অবস্থা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন হয় আবার ঋতুভেদে আবহাওয়াগত পরিবর্তনও হয়;
১.৩ রুদ্ধতাপীয় উষ্ণতা বারিপাতের মূল কারণ।
১.৪ নি¤œচাপ অঞ্চলের বায়ুউত্তপ্ত হয়ে ওপরে উঠে এবংসংকুচিত হয়।
১.৫ বারিপাতের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ সবচেয়ে সহজ।
২. শূন্যস্থান পূরণ করুন (সময় ৪ মিনিট) ঃ
২.১ ঘনীভবনের ফলে অতি ক্ষুদ্র---------- বায়ুতে মেঘের আকারে ভাসতে থাকে।
২.২ বারিপাত মূলত ------ রকম প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়।
২.৩ জলীয় বাস্পপূর্ণ বায়ুউঁচুপাহাড় বা পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে উপরে উঠে এবং শীতল হয়ে যে
বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে -------- বৃষ্টি বলে।
২.৪ সংঘর্ষ বৃষ্টিপাত সাধারণত ------- অক্ষাংশীয় এলাকায় দেখা যায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১ বৃষ্টি ও বারিপাতে পার্থক্য কি?
২ পরিচলন ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিতে পার্থক্য কি?
৩ বারিপাতের প্রধান ধরনগুলো কি কি?
৪ বারিপাত সংগঠিত হওয়ার প্রধান প্রক্রিয়া সমূহ কি কি?
৫ বারিপাত পরিমাপে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. বারিপাত বলতে কি বুঝায়? বারিপাত গঠন, ধরন ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করুন।
২. বারিপাতের কারণ কি? বারিপাতের বিভিন্ন প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন।
৩. বারিপাত পরিমাপের বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]