মানব বাস্তব্যবিদ্যা
মানুষের সাথে উদ্ভিদ, প্রাণী এবং ভৌত পরিবেশের যে সম্পর্ক তাকেই মানব বাস্তব্যবিদ্যা বলে।
মানব বাস্তব্যবিদ্যায় জীবের ভ‚মিকা মূখ্য হলেও যে সব বিষয় ভ‚পৃষ্ঠে সমস্ত জীবের বন্টন, অবস্থান
ও সাংগঠনকে প্রভাবিত করে তাও বিবেচ্য বিষয়। মানুষ, উদ্ভিদ কিংবা প্রাণী কেউ পরস্পর থেকে
বিচ্ছিন্ন নয় এবং একে অপরের সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। মানুষের সাথে জীবের এই
সম্পর্ক শক্তির সাম্যতা (ঊহবৎমু নধষধহপব), জৈব রাসায়নিক চক্র (ইরড়মবড়পযবসরপধষ ঈুপষবং) ও
জনসংখ্যার পরিবর্তন (চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ উুহধসরপং)-এর মাধ্যমে কার্যকর হয়।
মানুষের সাথে পরিবেশ বিশেষত: জৈবজগত ও ভৌত পরিবেশের সম্পর্ক ভ‚গোলের বিশেষ
আলোচ্য বিষয়। মানুষ তার চারপাশের পরিবেশ কর্মকান্ডের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে
আসছে। মানবীয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবর্তন নিয়ে অবশ্য দু'ধরণের বিতর্ক আছে।
মানব বাস্তব্যবিদ্যা কি?
এক ধরনের মতবাদে ধারণা করা হয় যে, প্রাকৃতিক পরিবেশই মানবীয় কর্মকান্ডের ধারা বা প্রকৃতি
নিয়ন্ত্রণ করে, যা প্রাকৃতিক নিমিত্তবাদ নামে পরিচিত। উদাহরণ হিসাবে বলা হয় যে, মরু ও আর্দ্র-
ক্রান্তীয় এলাকায় মানবীয় সাংস্কৃতিক তারতম্য। মরু এলাকায় শুষ্ক জলবায়ুর কারণে কৃষির সুযোগ
সীমিত তাই কৃষির পরিবর্তে মানুষ গবাদি পশু চারণ করে থাকে এবং এই কারণে যাযাবর
(ঘড়সধফরপ) জীবন বেশি পছন্দ করে। এইক্ষেত্রে মানুষের কর্মকান্ডে জলবায়ুর ভ‚মিকা সুস্পষ্ট।
অপরদিকে, আর্দ্র-ক্রান্তীয় এলাকায় সারা বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষি কাজের ব্যাপক সুযোগ
আছে, ফলে এই অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে গবাদিপশু চারণের পরিবর্তে কৃষি কাজই বেশি
প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এখানেও প্রাকৃতিক প্রভাব উল্লেখযোগ্য।
অপর মতবাদে বিশ্বাসীগণ মনে করেন মানুষ উন্নত প্রযুক্তি ও মেধার মাধ্যমে প্রাকৃতিক বাঁধা
অতিক্রম করে যে কোন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে পারে। বর্তমান শিল্প সমৃদ্ধ দেশগুলো
তার অন্যতম উদাহরণ।
মানুষের কর্মকান্ডে প্রাকৃতিক প্রভাব নিয়ে ইতোপূর্বে বেশ কিছুগুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। এই সমস্ত
গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, সে সময়ের আদি অধিবাসীদের উপর প্রাকৃতিক প্রভাব ছিল
অপরিসীম। তবে মানুষের আগুনের ব্যবহার এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের গৃহায়ন (উড়সবংঃরপধঃরড়হ)
থেকে এই অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়। প্রাণী ও উদ্ভিদের গৃহায়নের ফলে মানুষের খাদ্যের
শক্তির সাম্যতা, জৈব
রাসায়নিক চক্র ও জনসংখ্যার
পরিবর্তন।
জৈব জগত ও ভৌত
পরিবেশ।
প্রাকৃতিক নিমিত্তবাদ। যাযাবর
গবাদিপশু চারণ, শিল্পসমৃদ্ধ
দেশ, প্রাকৃতিক প্রভাব।
জন্য বন্য প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়; পরবর্তিতে অপরিকল্পিত অবাধ
পশুচারণ ও চাষাবাদ ব্যাপক ভ‚মি ক্ষয়ের মাধ্যমে মৃত্তিকার উর্বরতাও হ্রাস পায়।
দশ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে মানবজাতি মূলত: গোষ্ঠিবদ্ধভাবে কৃষিকার্য অথবা পশুপালন
ভিত্তিক বাস্তু সংস্থান গড়ে তোলে। প্লায়োষ্টোসিন যুগের শেষ ভাগে যাযাবর শিকারী থেকে মানুষ
স্থায়ীভাবে কৃষি ও পশুপালনকে প্রধান জীবিকা হিসাবে গ্রহন করে। কৃষিকাজে মনোনিবেশের কারণ
হিসাবে সামগ্রিকভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং ক্রিয়াশীল জলবায়ূও পরিবেশগত
প্রক্রিয়ার প্রত্যক্ষ ভ‚মিকা ছিল। প্রাথমিক চাষাবাদ ও গোষ্ঠিবদ্ধ বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে সীমিত
সম্পদের উৎসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে; উপরন্তুঅজ্ঞাতপ্রসূত সঠিক শস্যপর্যায় অনুধাবন, সংগ্রহ
পদ্ধতি এবং গুদামজাত করণের সমস্যার জন্যও পরিবর্তন অবিরাম ছিল। নিংসন্দেহে কৃষিকাজ
স্থায়ী বসবাস তৈরীতে প্রত্যক্ষ ভ‚মিকা রাখে, তার পাশাপাশি জীবনযাত্রা সহজতর করার জন্য
অকৃষিজ ভিত্তিক পেশা: তাঁত, পরিবহন, বাণিজ্য ও নির্মাণ শিল্পের উদ্ভব হয়। আর এভাবে
হলোসিন যুগের শুরুতে অকৃষিজ বাস্তব্যবিদ্যার উদ্ভবের সাথে নগরায়নের গোড়াপত্তন হয় এবং
পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ যেমন, দক্ষিণ আমেরিকা, নীল-অববাহিকা, মেসোপটেমিয়া (ইরাক), সিন্ধু
অববাহিকা ও চীন নগর সভ্যতার ব্যাপ্তি লাভ করে (চিত্র ৩.৩৪.১)
প্রাকৃতিক নিমিত্তবাদ কি? নিমিত্তবাদের বিপরীত মতবাদ কি?
চিত্র ৩.৩৪.১ : পৃথিবীর প্রাচীন নগর ভিত্তিক সভ্যতা সমূহের বন্টন।
মানব বাস্তব্যবিদ্যার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমাজবিদ্যা জনিত যা গ্রামীণ ও নগর এই
দুটো অংশে বিভক্ত। গ্রামীণ সমাজবিদ্যা সম্পর্কে এধষঢ়রহ (১৯৪৫) এর বক্তব্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয়
এবং নগর বাস্তবিদ্যার ধারণা প্রাথমিক রূপরেখা দেন চধৎশ, ইঁৎমবং এবং গবশবহমরব (১৯২৫)।
বর্তমানে সমাজবিদ্যা গবেষণার অন্যতম বিষয় হলো নগর ও নগরায়ন। এই সমস্ত গবেষণার
বর্তমানে নগরের বসবাসযোগ্য স্থানের গুনগতমান নগরে শক্তি ও সম্পদের ব্যবহার, নগর
সম্প্রসারণ, পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত স্থান ব্যবহার ইত্যাদি।
মানবজাতির ইতিহাস।
থানববাস্তুবিদ্যা
#NAME?
-গ্রামীণ ও নগর।
নগর সম্পর্কে সমাজবিদ্যা জনিত যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে দুটো ধারণা স্পষ্ট হয়:
ক. নগর মানব সভ্যতার একটি চূড়ান্ত রূপ যেখানে অভাব এবং দ্বন্দ¡ কম এবং মানুষ আরামআয়াসে তার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উপভোগ করার জন্য প্রাকৃতিক বাঁধা সমূহ দুর করার চেষ্টা করে
থাকে।
খ. নগর ব্যাপক প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে উঠে। এটি মানুষের জীবন ও মর্যাদা রক্ষাকারী
মৌলিক উপাদান সমূহ ধ্বংস ও সস্তায় পরিণত করার হাজার রকমের উপায় যোগান দিয়ে থাকে।
মানুষ ও প্রকৃতির সমনি¦তকরণ (ওহঃবমৎধঃরড়হ ড়ভ সধহ ধহফ হধঃঁৎব)
মানুষ প্রকৃতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। মানুষের সাথে প্রকৃতির এই অবিচ্ছেদ্যতার ধারণা
থেকেই ওডাম (১৯৩৬) আঞ্চলিকতার মতবাদ তুলে ধরেন। সমাজ সম্পর্কিত এই মতবাদের ভিত্তি
হলো বিভিন্ন এলাকা তাদের সাংস্কৃতিগত ও প্রাকৃতিক তারতম্য সত্বেও পরস্পরে নির্ভরশীল। মানুষ
ও সম্পদের আলোকে স্থানিক ও আঞ্চলিক মাত্রায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমন¦য়ের ভিত্তি গড়ে
উঠতে পারে। উদাহরণ হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্তিকা সংরক্ষণ পরিকল্পনা কথা বলা হয়। এই
পরিকল্পনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল আঞ্চলিকভাবে পশ্চাৎপদ এলাকাগুলোর উন্নয়ন করা যাতে এসব
অঞ্চল জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
যা হোক, এই ধরনের আঞ্চলিকতার অন্তর্নিহিত লক্ষ্য বিভিন্ন অঞ্চল সমূহের একীভ‚তকরণ।
সাংস্কৃতিকভাবে বিভিন্ন এলাকা একটি সামগ্রিক একক হিসাবে কাজ করার এই ধারণার অনুরূপ
বাস্তব্যবিদ্যা ও বাস্তপদ্ধতি মতবাদ চালু আছে। সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত উপাত্তের একীভূত
করণের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে, সামাজিক পরিসংখ্যান যে সাংস্কৃতিক উপাত্তের ভিত্তিতে গড়ে উঠে
তার রাজনৈতিক একক (যেমন: বিভাগ, দেশ ইত্যাদি) প্রায়শ: প্রাকৃতিক এককের সাথে মিলে না
(জলবায়ুঅঞ্চল, মৃত্তিকার ধরন, জীব বলয় ও প্রাকৃতিক অঞ্চল)। এক্ষেত্রে পানি বিভাজিকা একটি
বাস্তবমুখী ব্যবস্থাপনার উপযোগী বস্তুপদ্ধতি একক, যা প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যবলীকে
একীভ‚ত করতে পারে।
কিভাবে মানুষ ও প্রকৃতির সমন¦য় করা সম্ভব?
মানব বাস্তুবিদ্যার সাধারণ বৈশিষ্ট্যাবলী (এবহবৎধষ ঈযধৎধপঃবৎরংঃরপং ড়ভ ঐঁসধহ ঊপড়ষড়মু)
আধিপত্য: অন্যান্য জীবের তুলনায় মানুষ অনেক বেশী সংগঠিত এবং সে তার সাংগঠনিক জোটের
মাধ্যমে অন্য জীবের উপর আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম। অবশ্য এ আধিপত্য বিষয়টি জটিল এবং এর
সংখ্যাতাত্তি¡ক পরিমাপ অসুবিধজনক। মানুষ প্রায়শ:ই ভাবে সে তার পাশের পরিবেশ পুরোপুরি
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কিন্তুবাস্তবে তা সম্ভব হয় না। মানুষ তার কক্ষের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম হলেও বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান খাদ্যের জন্য তাকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর নির্ভর করতে
হচ্ছে যা সহজেই জলবায়ুযেমন, উষ্ণ এবং শীত, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয়।
তাই মানুষের বাস্তবতার আলোকে বাস্তুপরিবেশের উপর কাম্যমাত্রার নির্ভরশীলতা মেনে নেওয়ার
ধারণা গ্রহণ করা উচিত বলে বাস্তুবিদগণ মনে করেন।
প্রাকৃতিক বাঁধা, প্রাকৃতিক
পরিবর্তন।
ওডাম ১৯৩৬ আঞ্চলিকতা
মতবাদ।
একীভ‚তকরণ, রাজনৈতিক
একক।
আধিপত্য বিস্তার বাস্তু
পরিবেশ।
এইলক্ষ্যে তারা মনে করেন মানুষের নিজেরই তার জনসংখ্যা বিষয়গুলোতে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। যে
সমস্ত বিষয়ের প্রতি যতœবান হওয়া প্রয়োজন তা নি¤œরূপ:
ক্স জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা;
ক্স কোন এলাকার ধারণ ক্ষমতার আলোকে তার কাম্য জনসংখ্যা ও এর গঠন কাঠামো নির্ধারিত
হওয়া;
ক্স যেখানে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণ অকার্যকর; সেইক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের প্রস্তুতি থাকতে
হবে।
মানব বাস্তব্যবিদ্যায় সাধারণ বৈশিষ্ট্যাবলী কি কি?
ফলিত বাস্তুবিদ্যার উপাদানসমূহ (ঈড়সঢ়ড়হবহঃং ভড়ৎ ধহ ধঢ়ঢ়ষরবফ যঁসধহ ঊপড়ষড়মু)
মানুষ যদি তার নিজের বেঁচে থাকার জন্যও প্রয়োজনীয় সম্পদ টেকসই ঝঁংঃধরহধনরষরঃু রাখতে
চায় তা হলে ব্যবস্থাপনুায় নি¤œলিখিত সংস্কারসমূহ আনতে হবে।
ক. স্থানীয় সম্পদ ও এলাকা অনুযায়ী জনসংখ্যায় নিয়ন্ত্রণ আনা, বংশবৃদ্ধি যাতে কোন স্থানের
ধারণ ক্ষমতার আলোকে ঘটে থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা;
খ. জনসংখ্যার সঠিক আকার ও বন্টন এবং শহর এলাকার এক তৃতীয়াংশ উš§ুক্ত স্থান হিসাবে
রাখার জন্য আঞ্চলিক ভ‚মি ব্যবহার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। এই কাজে প্রয়োজনীয়
ক্ষমতা প্রদানসহ পরিবেশ কমিশন গঠন করতে হবে যা রাষ্ট্রীয় আঞ্চলিক ও স্থানীয় পরিকল্পনা
সমূহ কার্যকর করার দায়িত্ব নেবে;
গ. সীমিত সম্পদের উপর জনসংখ্যার ঘনত্ব ও চাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে কর আরোপে পুন:বিন্যাস
প্রয়োজন, যাতে উচ্চহার বংশবৃদ্ধির গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। (প্রকৃতিতে যেমন অতিরিক্ত বংশবৃদ্ধি
প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়);
ঘ. পরিবেশ ও ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে আইন ও ঔষধের গুণগত মানের প্রতি অধিক গুরুত্বদান;
ঙ. কাম্য জনসংখ্যা কত হবে সে বিষয়ে অবশ্যই একটি স্থির সিদ্ধান্ত আসা;
চ. পণ্যের মূল্য নির্ধারণে আন্তর্জাতিককরণ হতে হবে যাতে পণ্যের উৎপাদন, বর্জ্য ও পুন:
প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ সমূহ পৃথক পৃথক ভাবে বিবেচনার প্রয়োজন না হয়;
ছ. উর্ধ্বমুখী অর্থনীতি যেখানে সংখ্যার চাইতে গুণগত মানের দিকে সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়;
জ. পুন: প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কঠোর সংরক্ষণ নীতি পানি এবং সমস্ত খনিজ ও জীব সম্পদের উপর
আরোপ;
ঝ. উপজাত (ইুঢ়ৎড়ফঁপঃ) ব্যবহারের প্রতি বিশেষ যতœবান হওয়া;
ঞ. নগর গ্রামীণ জনগণের পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ককে একটি একক পদ্ধতি (টৎনধহজঁৎধষ পড়সঢ়ষবী ধং ড়হব ংুংঃবস) হিসাব বিবেচনা করা;
ট. কোন সমস্যার বিচ্ছিন্ন সমাধান বা তাৎক্ষণিক প্রযুক্তিগত সমাধান না খুঁজে একটি বিস্তৃত
দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের আলোকে পদ্ধতি বিজ্ঞানের দিকে বেশি মনোনিবেশ করা; এবং
ঠ. শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিপূর্ণ মানুষ ও পরিবেশ সচেতন বা প্রতিবেশ বাস্তুবিদ্যায় বিশেষ গুরুত্ব
আরোপ;
ধারণ ক্ষমতা, জনসংখ্যার
সঠিক আকার ও বন্টন,
সীমিত সম্পদ, পরিবেশ ও
ভোক্তার স্বার্থ, স্থির সিদ্ধান্ত,
পৃথক বিবেচনা, গুণগত মান,
আরোপ, উপজাতি, একক
পদ্ধতি, পদ্ধতি বিজ্ঞান, শিক্ষা
ব্যবস্থা।
ফলিত বাস্তুবিদ্যার উপাদানসমূহ কি কি?
পাঠ সংক্ষেপ
মানুষের সাথে উদ্ভিদ, প্রাণী ও ভৌত পরিবেশের যে সম্পর্ক, তাকেই মানব বাস্তব্যবিদ্যা বলে।
জীবের সাথে মানুষের এই সম্পর্ক শক্তির সাম্যতা, জৈব রাসায়নিক চক্র ও জনসংখ্যার
পরিবর্তন এর মাধ্যমে কার্যকর হয়। মানুষের কর্মকান্ডে প্রকৃতি নির্ভরশীলতা ও প্রকৃতি
নিয়ন্ত্রিত হওযা উভয় ধরনের মতবাদ চালুআছে। সভ্যতার শুরুতে কৃষিকাজই অন্যতম
কর্মকান্ড ছিল। পরবর্তীতে নগর ও গ্রামীণ পৃথক সামাজিক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। নগর মানব
সভ্যতার চূড়ান্ত রূপ।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.৩৪
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৩ মিনিট) ঃ
১.১ মানব বাস্তব্যবিদ্যা হচ্ছে মানুষের সাথে-
ক. উদ্ভিদ ও ভৌত পরিবেশের সম্পর্ক খ. মানুষ ও আলো বাতাসের সম্পর্ক
গ. প্রাণী, উদ্ভিদ ও ভৌত পরিবেশের সম্পর্ক ঘ. কল কারখানা ও বাসস্থানের সম্পর্ক
১.২ গ্রামীণ সমাজবিদ্যা সম্পর্কে যাত্রা শুরু হয় যার বক্তব্য দিয়ে তিনিক. ঙফঁস খ. এধষঢ়রহ
গ. চধৎশ ঘ. গবশবহমরব
১.৩ আঞ্চলিকতা মতবাদের উদ্ভব হয় মানুষের সাথে প্রকৃতিরক. অবিচ্ছেদ্যতার ধারণা থেকে খ. বৈরী জলবায়ুর প্রকারভেদ থেকে
গ. জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনের ভ‚মিকা থেকে ঘ. সহ অবস্থান ও আঞ্চলিকতা থেকে
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ( সময় ২ী৩ = ৬ মিনিট) ঃ
১. মানুষের কর্মকান্ডে পরিবেশের পরিবর্তন সম্পর্কিত মতবাদগুলি কি কি?
২. মানব বাস্তব্যবিদ্যায় সমাজবিদ্যাজনিত বিষয়ের ভ‚মিকা কি?
৩. মানুষের প্রয়োজনীয় সম্পদ সমূহের নিয়মিত প্রবাহ ধারা অক্ষুণœ রাখতে হলে কি করতে হবে?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. মানব বাস্তব্যবিদ্যা আলোচনা করুন।
২. মানববাস্তব্যবিদ্যার সাধারণ বৈশিষ্ট্যাবলী কি কি? ফলিত বাস্তুবিদ্যার উপাদানসমূহ কি?
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ