ভ‚মিরূপের উৎস ও উন্নয়নের ব্যাখ্যা করা হয় প্রাপ্তিসাধ্য তথ্যের ভিত্তিতে এবং এই তথ্য
সংগৃহীত হয় এদের বর্ণনা ও শ্রেণীবিভাগ থেকে। ভ‚মিরূপের ব্যাখ্যায় উপনীত হওয়া যায় নানা পদ্ধতির মাধ্যমে যেমন- (ক) ভ‚মিরূপ ও জলবায়ুর মধ্যে সম্পর্কে স্থাপনের মাধ্যমে (জলবায়
ভ‚মিরূপ পদ্ধতি, ঈষরসধঃব এবড়সড়ৎঢ়যড়ষড়মু অঢ়ঢ়ৎড়ধপ ), অথবা ভ‚মিরূপ ও গঠন বা শিলার
প্রকার (গঠন আকৃতি পদ্ধতি, ঝঃৎঁপঃঁৎব-ভড়ৎস অঢ়ঢ়ড়ৎধপয , (খ) ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে
ভ‚মিরূপ উৎস ও উন্নয়ন (পর্যায়ক্রমিক অথবা ঐতিহাসিক পদ্ধতি, (
ঈ
যৎড়হড়ষড়মরপধষ ড়ৎ
ঐরংঃড়ৎরপধষ অঢ়ঢ়ড়ৎধপয) এবং (গ) প্রক্রিয়া ও গঠনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে
(চৎড়পবংং-ভড়ৎস অঢ়ঢ়ৎড়ধপয)।
ভ‚মিরূপ ব্যাখ্যার গঠন-আকার পদ্ধতির ভিত্তি হিসেবে গাঠনিক ভ‚মিরূপবিদ্যা (ঝঃৎঁপঃঁৎধষ এবড়সড়ঢ়যড়ষড়ম ) যেখানে ভ‚মিরূপ উদ্ভবের নিয়ামক হিসেবে ভ‚তাত্তি¡ক গঠনকে প্রধান নিয়ন্ত্রক বলে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং ভ‚তাত্তি¡ক গঠন ও শিলার বৈশিষ্ট্য কোন বিশেষ ভ‚মিরূপ গঠনে (যেমন পাহাড়ের ঢাল, উপত্যকার পার্শ্ব ইত্যাদি) এবং সাধারণ ভ‚মিরূপ ও
ভূমিরূপের সম্মিলিত রূপ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। “জলবায় ভ‚মিরূপ বিদ্যায়” দেখা যায় যে
কোনো বিশেষ জলবায় অঞ্চলে বিশেষ ধরনের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভ‚মিরূপের উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়।
ভ‚মিরূপের “ঐতিহাসিক বা পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি” (ঐরংঃড়ৎরপধষ ড়ৎ ঈযৎড়হড়ষড়মরপধষ
অঢ়ঢ়ৎড়ধপ ) ভিত্তি হলো যে, সময়ের সাথে সাথে ভ‚মিরূপের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন হয়।
“ঐতিহাসিক বা
চ ) অনুযায়ী সকল ভৌত নিয়ম বা আইন এবং প্রক্রিয়া যেগুলো আজ কার্যকরী রয়েছে সেগুলো সমস্ত ভূতাত্তি¡ক সময় জুড়েও কার্যকরী ছিল তবে সম্ভবত আজকের মত একই তীব্রতায় কার্যকরী ছিল না এবং “বর্তমান অতীতের চাবিকাঠি” (চৎবংবহঃ রং ঃযব কবু ঃড় ঃযব চধংঃ), পৃথিবীর ইতিহাসের চক্রাকার প্রকৃতি ও ডেভিসের “ভ‚মিরূপের উদ্ভব ডেভিসের প্রবর্তিত যৌবন, পরিণত ও বার্ধক্য পর্যায়ের বিবর্তনের বর্ণনা অন্তভর্‚ক্ত করেছেন। বিবর্তনের এই ধারাকে নগ্নীভবন পঞ্জী (উবহঁফধঃরড়হ ঈযৎড়হড়ষড়ম ) বলে।
পযায়ক্রমিক পদ্ধতি” ভিত্তি হলো যে, সময়ের সাথে সাথে ভূমিরূপের
পযায়ক্রমিক পরিবতন হয়।
) ধারনা, বিভিন্ন সমতলীকরণ পৃষ্ঠ ডেভিসের আংশিক ক্ষয়চক্র দিয়ে
ঃবৎৎধপব
ব্যাখ্যা করার চেষ্টা হলেও এতে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। পেঙ্কের (ড.চবহপশ) পিডমন্ট
) এর পেডিপ্লেন ধারণা, বুল্লার ক্রান্তীয় সমতলীকরণ ধারণা
খ.ঈ. করহম
সমতলীকরণ তলের নতুন ব্যাখ্যা উপস্থিত করেছে। এসব ধারণার মূল্যায়নের কাজ, নতুন ধারণার অবতারণা ভ‚মিরূপবিদ্যার এই বিষয়কে সজীব গবেষণা ক্ষেত্র করে রেখেছে।
অনেক দেশে বিশেষ করে আমেরিকা যক্তরাষ্ট্রে আধুনিক ভ‚মিরূপবিদ্যার রূপ ও প্রক্রিয়া পদ্ধতি
), সম্পর্ক অনুসন্ধানই প্রধান বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ
ঋড়ৎস ধহফ চৎড়পবংং অঢ়ঢ়ৎড়ধপয
পদ্ধতিতে বিচ‚র্ণীভবন, পরিবহন, ক্ষয়, পুঞ্জিত ক্ষয়, সঞ্চয় প্রভৃতি প্রক্রিয়ার কার্যবিধি, কার্যকারিতার হার সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এরা এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে কিভাবে সম্পর্কযক্ত রয়েছে তা নির্ণয় করার চেষ্টা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, প্রক্রিয়া সম্পর্কে বি¯তÍ
অনুসন্ধান ভ‚মিরূপবিদ্যার মূল্যবান কাজ
পদ্ধতিতে ভূমিরূপ সমীক্ষায় কোনো বিরাট অঞ্চলের দীঘ ভ-তাত্তিক সময়ে ভূমিরূপের
বিবতনের
পযায়ক্রমিক বা চক্রাকার পদ্ধতির বিবরণ
গবেষণামলক পদ্ধতি, ঐতিহাসিক পদ্ধতির বিকল্প
একথা উলডিজ্র (ঝ.ড.ডড়ড়ষফৎরফম ) প্রমুখ অনেক ভ‚মিরূপবিদ্যা মনে করে না। উলড্রিজের মতে ভ‚মিরূপবিদ্যার প্রধান কাজ প্রক্রিয়ার অনুসন্ধান নয়। এছাড়াও এই অভিমত প্রকাশ করা
হয় যে, ভ‚গোল শিক্ষাপ্রাপ্ত ভ‚মিরূপবিদদের মধ্যে প্রক্রিয়ার অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয়
বিশেষ জ্ঞানের অভাব রয়েছে। রূপ ও প্রক্রিয়া সম্পর্ক নির্ণয় পদ্ধতি অনুসরণে আরও কতকগুলো বাধা রয়েছে। যেমন-রাসায়নিক বিচূর্ণীভবন, ক্ষয়ীভবন প্রভতি প্রক্রিয়া এত ধীর গতিতে সম্পন্ন হয় বা বৃষ্টি ধৌতকরণ ও কয়েক প্রকার ক্রমপুঞ্জীত ক্ষয় প্রক্রিয়ার কার্যবিধি
এতই বিরতিপূর্ণ হয় যে দীর্ঘকাল ধরে ধৈর্য্য সহকারে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। কঠিন শিলার
ওপর গঠিত ভ‚মির পরিবর্তন এক মানুষের জীবনে ধরা নাও পড়তে পারে। তাছাড় বর্তমানে অনেক ভ‚মিরূপ অতীত কালের ভিন্ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্বন্ধ যক্ত হয়ে গড়ে ওঠে। এরূপ ক্ষেত্রে অতীত প্রক্রিয়ার সবটাই ধারণা পর্যায়ে পৌঁছায়। বর্তমান অতীত উন্মোচনের চাবিকাঠি এরূপক্ষেত্রে অতীত প্রক্রিয়ার সবটাই ধারণা পর্যায়ে পৌঁছায়। বর্তমান অতীত উন্মোচনের চাবিকাঠি (চৎবংবহঃ রং ঃযব কবু ঃড় ঃযব চধংঃ) নীতি অনুসারে অতীতের প্রক্রিয়ার প্রকৃতি
সম্বন্ধে ধারণা করা সব সময় সম্ভব হয় না, কারণ একই রকম প্রক্রিয়া একই রকম রূপের সৃষ্টি
করবে তা জোর করে বলা যায় না।
ভ‚মিরূপের তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ পদ্ধতি :
স্থানিক ও কালিক মাত্রার ওর নির্ভর করে ও ভ‚মিরূপবিদদের লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রেখে কোন অঞ্চলের ভ‚মিরূপ বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা বিভিন্ন পদ্ধতিতে অগ্রসর হওয়া যায়। কল্পনাপ্রসূত ভিত্তির ওপর নির্ভর করে ভ‚মিরূপ সমীক্ষাকে দুইভাবে ভাগ করা যায়: (১) ঐতিহাসিক পদ্ধতি
) এবং (২) কার্মিক পদ্ধতি (ঋঁহপঃরড়হধষ অঢ়ঢ়ৎড়ধপ )। বিরাট অঞ্চলের দীর্ঘ ভ‚তাত্তি¡ক সময়ের ভ‚মিরূপের বিবর্তন চিহ্নিত করার পদ্ধতিকে ঐতিহাসিক পদ্ধতি
বলে। আর কার্মিক পদ্ধতি হলো বর্তমানে চলমান প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র অঞ্চলের ও স্বল্প সময়ের ভ‚মিরূপ সম্পর্কতি পদ্ধতি। বিরাট অঞ্চলের ভ‚মিরূপ বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা দুই পদ্ধতিতে অগ্রসর
হওয়া যেতে পারে, যেমন-(১) ঐতিহাসিক বা ক্রমপুঞ্জীত পদ্ধতি (ঈযৎড়হড়ষড়মরপধষ
অঢ়ঢ়ৎধপয
)। অন্যদিকে ভ‚মিরূপ
), ও (২)
বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা করা যায়- (১) আঞ্চলিক পদ্ধতি (জবমরড়হধষ অঢ়ঢ়ৎড়ধপয
ঝ )।
ঐ ) :
জুড়ে বিরাট অঞ্চলের ভ-
দৃশ্যাবলীর
সম্মিলিত রূপ সমীক্ষাই আঞ্চলিক পদ্ধতির আওতাভক্ত।
ঐতিহাসিক পদ্ধতিতে ভ‚মিরূপ সমীক্ষায় কোনো বিরাট অঞ্চলের দীর্ঘ ভ‚-তাত্তি¡ক সময়ে ভ‚মিরূপের বিবর্তনের পর্যায়ক্রমিক বা চক্রাকার পদ্ধতির বিবরণ। এই পদ্ধতি অতি উচ্চ মাত্রায়
)। কারণ অজানা ঘটনা ও তাদের সাড়া (জবংঢ়ড়হং ) অত্যন্ত সীমিত জানা তথ্য ও প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বর্ণিত।
সংখ্যাতাত্তি¡ক ও গবেষণামূলক পদ্ধতি (ছঁধহঃরঃরাব ধহফ ঊসঢ়রৎরপধষ অঢ়ঢ়ৎড়ধপ )- :
এই পদ্ধতি ঐতিহাসিক পদ্ধতির বিকল্প। বিরাট অঞ্চলের ভ‚মিরূপ বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যার জন্য
যথেষ্ট পরিমাণ ঐতিহাসিক তথ্য অনুপস্থিত (সাধারণত পরবর্তী ভ‚মিরূপ প্রক্রিয়ার সক্রিয়তার
জন্য) সেখানে সংখ্যাতাত্তি¡ক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। বৃহদাকার ভ‚মিরূপের ভ‚মিরূপ বৈশিষ্ট্যের গবেষণামূলক সমীক্ষায় ভূদৃশ্যাবলীর জ্যামিতিক পরিমাপ ও তাদের সংখ্যাতাত্তি¡ক বিশ্লেষণ জড়িত।
এই সংখ্যাতাত্তি¡ক পদ্ধতিটি ১৯৪০ সালে মার্কিন যক্তরাষ্ট্রে উন্নয়ন ঘটে এবং পরবর্তীতে ভ‚মিরূপবিদরা সারা বিশ্বে এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভ‚মিরূপ পরিমিতি (গড়ৎঢ়যড়সবঃৎর ) বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল কখনো কখনো ভুল ও বিপথে
চালিত করে। মাঠ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এগুলোর সত্যতা যাচাই না করলে ভ‚মিরূপ সমস্যার সমাধানে ভুল সিদ্ধান্ত উপনীত হতে পারে।
আঞ্চলিক পদ্ধতি (জবমরড়হধষ অঢ়ঢ়ৎড়ধপয) :
দীর্ঘ ভ‚তাত্তি¡ক সময় জুড়ে বিরাট অঞ্চলের ভূদৃশ্যাবলীর সম্মিলিত রূপ সমীক্ষাই আঞ্চলিক
পদ্ধতির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে “বৃহৎ” ও “মাঝারী” ভ‚মিরূপবিদ্যা (
বমধ ধহফ
)। প্রকৃতপক্ষে আঞ্চলিক পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে ভ‚মিরূে গ চক্রাকার
গবংড় এবড়সড়ৎঢ়যড়ষড়মু
পর
)। সমীক্ষা যেখানে
বিবর্তন ও আরো অধিকতর নির্মোচন পুঞ্জী (উবহঁফধঃরড়হ ঈযৎড়হড়ষড়মু
আঞ্চলিক থেকে মহাদেশীয় স্কেল পর্যন্ত জড়িত। এটা পরিষ্কার যে ভ‚দৃশ্যাবলী সমীক্ষায়
আঞ্চলিক পদ্ধতি ঐতিহাসিক পদ্ধতির সাদৃশ্য।
পদ্ধতিগত (কার্মিক) পদ্ধতি (ঝুংঃবসধঃরপ ঋঁহপঃরড়হধষ অঢ়ঢ়ৎড়ধপয) :
বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন পরিবেশিক অবস্থায় ভ‚মিরূপ প্রক্রিয়া বিভিন্ন পরিমাপের ও বিভিন্ন ধরনের ভ‚মিরূপের উদ্ভব ঘটায় যেগুলো পদ্ধতিগত ভ‚মিরূপ সমীক্ষায় অন্তভর্‚ক্ত। এই পদ্ধতি ভ‚দৃশ্যাবলীর উদ্ভব ও উন্নয়নে কারণগত নিয়ামক দুই প্রকারের। যথা- (ক) প্রক্রিয়া-আকার
চ )।
), এবং (খ) গঠন-আকৃতি পদ্ধতি (ঝঃৎঁপঃঁৎব-ভড়ৎস
অঢ়ঢ়ৎড়ধপয
গবেষণা পদ্ধতি (জবংবধৎপয গবঃযড়ফং) :
ভ‚মিরূপ প্রক্রিয়াসমূহের ব্যাখ্যায় ও মডেল গঠনে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হয়। চোরলী (জ.ঔ. ঈযড়ৎষবু, ১৯৬৬) উপাত্ত সংগ্রহের তিনটি ধাপ ও পদ্ধতির কথা উল্লেখ
করেছেন যা তাত্তি¡ক কর্মে স্বাভাবিকভাবে সহায়তা করে। ভ‚মিরূপবিদ্যায় গবেষণা পদ্ধতিতে
চোরলীর মতানুযায়ী মাঠ পর্যবেক্ষণ, ল্যাবরেটরী পর্যবেক্ষণ, অফিস পর্যবেক্ষণ ও তাত্তি¡ক কর্মকে অর্ন্তভুক্ত করেছেন।
ভ‚মিরূপ কাজে “মাঠ পর্যবেক্ষণ” (ঋরবষফ ঙনংবৎাধঃরড় ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন
করে। ভ‚মিরূপ সমীক্ষার পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে মাঠ পর্যবেক্ষনের উপাত্ত গুণবাচক ও
সংখ্যাবাচক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, নির্মোচন পঞ্জী স্কুলের (ঝপযড়ড়ষ ড়ভ
উবহঁফধঃরড়হ ঈযৎড়হধষড়ম )। ভ‚মিরূপবিদগণ ভ‚দৃশ্যাবলী পুঞ্জিত বিবর্তন তথ্য আঞ্চলিক ও
বৃহৎ স্কেলে গুণবাচক মাঠ র্যবেক্ষণের মাধ্যমে পেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ভ‚মিরূপ সমীক্ষার
)ও প্রক্রিয়া আকার (ঋড়ৎ ) পদ্ধতি ভ‚মিরূপের আকার প্রক্রিয়া ও পদার্থের (শিলার) সুক্ষè সংখ্যাতাত্তি¡ক উপাত্ত দাবী করে। ল্যাবরেটরী পর্যবেক্ষণ পরীক্ষাগারে সংগৃহীত নমুনার সংখ্যাসূচক পরিমাপ বের করা হয়। যেমন-শিলা ও মাটির নমুনার রাসায়নিক
ও যান্ত্রিক ধর্ম, পানির রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য, ক্ষয়প্রাপ্ত পদার্থ ও অন্যান্য তলানির দানার আকৃতি ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদিও পরীক্ষাগারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষাকর্ম পরিচালনায় প্রাপ্ত তথ্য প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রাপ্ত তথ্যের তুলনা প্রকৃত ঘটনার যথার্থতা প্রমাণ করে।
অফিস পর্যবেক্ষণ মূলত মানচিত্র বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত। আজকাল ভ-সংস্থান মানচিত্র
), বিমান চিত্র (অরৎ চযড়ঃড়মৎধঢ়যং) ও উপগ্রহ চিত্র (ঝধঃবষষরঃব
ওসধমবৎরবং) অত্যান্ত প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। এই সকল মাধ্যম থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংগৃহীত উপাত্ত ভ‚মিরূপবিদদেরকে ভ‚মিরূপ
পরিবর্তনের পরিমাণ ও হার স²ভাবে পরিমাণ করতে সহায়তা করে।
পক্রিয়াসমূহের ব্যাখ্যায় ও মডেল
গঠনে বিভিন উৎস
থেকে তথ্য সংগহের পয়োজন হয়।
বিশ্লেষণ পদ্ধতি (
গ
বঃযড়ফং ড়ভ ধহধষুংরং) :
সšোষজনক
ভ‚মিরূপ সমস্যার সন্তোষজনক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার তিনটি বিকল্প পথ রয়েছে। যেমন- (১) আরোহ পদ্ধতি, (২) অবরোহ পদ্ধতি ও (৩) বিশ্লেষণ পদ্ধতি। সবগুলোই কোন কোন
ভূমিরূপ বিদ্যা পৃষ্ঠা-২৩
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার তিনটি বিকল্প পথ
রয়েছে। যেমন- (১) আরোহ পদ্ধতি, (২) অবরোহ পদ্ধতি ও (৩) বিশেষণ পদ্ধতি।
বিশেষ ভ‚মিরূপের প্রকৃতি ও উদ্ভব সম্পর্কে উপসংহারে পৌঁছার জন্য উপাত্ত সংগ্রহ, তাদের
শ্রেণীবিভাগ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অগ্রসর হতে হয়।
ভ‚মিরূপ সমস্যার আরোহ পদ্ধতিতে কোনে বিশেষ সমস্যার পর্যবেক্ষণের তথ্যের ভিত্তিতে
সঠিক ভাবে সমস্যাকে সংজ্ঞায়িত ও শ্রেণীবিভাজনে যুক্তি ও বিশ্লেষণের পর্যায়ক্রমিক ধাপ, এলোমেলো ঘটনার যুক্তিসংগত বিন্যাস করে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়। এখানে উল্লেখ করা
দরকার যে, আরোহ পদ্ধতিতে প্রথমে উপাত্ত সংগ্রহও সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত ও শ্রেণীবিভাজরে পর বাস্তব পৃথিবী সম্পর্কে চ‚ড়ান্ত উপসংহারে পৌঁছান। এখানে সর্বশেষ পর্যায়গুলো মডেল বা তত্ত¡ গঠন। অন্যভাবে বলা যায় যে, পর্যবেক্ষণের তথ্যে উপর নির্ভর করে চ‚ড়ান্ত উপসংহারে
উপনীত হয়। তাত্তি¡ক কারণ সম্পর্কিত ব্যাপক এলাকার পর্যবেক্ষণ জড়িত থাকলে ও অত্যন্ত
সহজ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন হলে এই পদ্ধতি খুবই উপযক্ত।
এই পদ্ধতি সীমাবদ্ধতা এই যে বাস্তব পৃথিবী সম্পর্কে প্রথমেই কোনো সাধারণীকরণ করা হয় না। সুতরাং উপাত্ত সংগ্রহে বিরাট শ্রম ভেস্তে যায়। যেহেত সবশেষে মাত্র একটি উপসংহারে উপনীত হতে হয়। সুতরাং এমন সিদ্ধান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে এবং কখনো কখনো
এমনকি ভুল প্রতিপন্নও হতে পারে যা ভ‚মিরূপতাত্তি¡কভাবে উল্লেখযোগ্য কিন্তু চ‚ড়ান্ত ফলাফলে
অনুক‚ল নাও হতে পারে। ফলে ইচ্ছাকৃতভাবে বা অগোচরেই এটি অগ্রাহ্য করতে পারে।
অবরোহ পদ্দতিতে ভ‚মিরূপ সমস্যার ব্যাখ্যা করতে প্রথমেই বাস্তবব পৃথিবীর সম্পর্কে সম্ভাব্য
প্রকল্প গঠন প্রক্রিয়া জড়িত। তার পরবর্তীতে এর ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণার জন্ম দেয় এবং তার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রকৃত মাঠ পর্যবেক্ষণ ও আগাম ধারণার মধ্যে তুলনা করে চ‚ড়ান্তভাবে প্রমাণ করতে হয় যে প্রকল্পটি গ্রহণযোগ্য না বাতিলযোগ্য।
আরোহ পদ্ধতি (বিদ্যমান প্রকল্প পদ্ধতি) ও অবরোহ পদ্ধতি (কার্যোপযোগী প্রকল্প পদ্ধতি) এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো যে প্রথমটিতে পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সর্বশেষ পর্যায়ে তত্ত¡ গঠন করা হয় এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিতে কার্যোপযোগী প্রকল্প প্রথমেই অনুমান করা
) হয় এবং অনুমানকৃত প্রকল্পের (বহুমুখী প্রকল্প) সিদ্ধান্তকরণ ও গঠন বিশ্লেষণ
উবফঁপব
পদ্ধতিরে আওতাভক্ত এবং বিকল্প অনুযায়ী উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়, ফলে গবেষক কোন বিশেষ প্রকল্পের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হন না। পর্যবেক্ষণের ঘটনাসমূহের সঙ্গে অনুমান করা সকল বিকল্প
প্রকল্পের তুলনা করে সেই প্রকল্পটিকে চ‚ড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হয় যেটি মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে
বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষণের দ্বারা নিশ্চিতকরণ সম্ভব হয়। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে বিশ্লেষণ
পদ্ধতির ভ‚মিরূপ বিশ্লেষণ আরোহ ও অবরোহ পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে সক্ষম।
সবশেষে বলা যায় যে, পদ্ধতিতেই (যে কোনো আলোচিত হয়েছে তাতে) প্রধান প্রয়োজনীয় বিষয় পর্যবেক্ষণ। এই পর্যবেক্ষণ যতদূর সম্ভব সংখ্যাতাত্তি¡ক ভিত্তি ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা প্ের য়াজন। প্রকল্প গঠন ও পরীক্ষায় কল্পনা ও সমন্বয় প্রয়োজন।
পাঠসংক্ষেপ
মডেল একটি কাঠামোগত ধারণা যা কোনো প্রকৃত ঘটনা, কোনো প্রকল্প, কোনো তত্ত¡ বা
কোনো আইনের প্রতিনিধিত্বকারী। মডেলে কার্মিক ভ‚মিকার অন্তর্ভুক্ত দৃষ্টিভঙ্গিগুলো হলো মনস্তাত্তি¡ক, অর্জনক্ষম, যৌক্তিক, আদর্শ ও গাঠনিক দৃষ্টি ভঙ্গি। অবস্থার পরিচিতি ও বর্তমান বাস্তবতার ভিত্তিতে মডেলকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যথা-(১) বর্ণমনামূরক মডেল, ও (২) রীতিবদ্ধ মডেল। ভ‚মিরূপ বিজ্ঞানীর প্রধান কাজ হলো (১) ভূমিরূপের বর্ণনা, (২) শ্রেণী বিভাজন ও (৩) ভ‚মিরূপের ব্যাখ্যা দান। সাধারণ ভাবে ভ‚মিরূপ বর্ণনায়
(১) আত্মনিষ্ঠ, (২) নৈর্ব্যক্তিক ও (৩) উদ্ভব সম্বন্ধীয় বিষয় অন্তভর্‚ক্ত করা হয়। ভ‚মিরূপকে
দুটো ভিত্তিতে শ্রেণী বিভাজন করা যেতে পারে। যেমন- (ক) সংখ্যাতাত্তি¡ক ভিত্তি ও (খ) উদ্ভবজনিত ভিত্তি। নানা পদ্ধতির মাধ্যমে ভ‚মিরূপের ব্যাখ্যায় উপনীত হওয়া যায়।
যেমন- (ক) ভ‚মিরূপ ও জলবায়ুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে (খ) ঐতিহাসিক
প্রেক্ষাপটে ভ‚মিরূপ উৎস ও উন্নয়ন ও (গ) ভ‚মিরূপ ও প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে। ভ‚মিরূপের সমীক্ষায় ঐতিহাসিক ও কার্মিক পদ্ধতি অবলম্বণ করা হয়। চোরলী ভ‚মিরূপ গবেষণা পদ্ধতিতে মাঠ পর্যবেক্ষণ, ল্যাবরেটরী পর্যবেক্ষণ, অফিস পর্যবেক্ষণ ও তাত্তি¡ক কর্মকে অন্তর্ভক্ত করেছেন।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ১.৬
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন:
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন:
১.১. ভ‚মিরূপের “ঐতিহাসিক বা পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতির” ভিত্তি হলো যে, সময়ের সাথে সাথে
ভ‚মিরূপের ........ পরিবর্তন হয়।
১.২. কল্পনাপ্রসুত ভিত্তির ওপর নির্ভর করে ভ‚মিরূপ সমীক্ষাকে ...... অগ্রসর করা যায়।
১.৩. এই পদ্ধতিটি ........ সালে মার্কিন যক্তরাষ্ট্রে উন্নয়ন ঘটে এবং পরবর্তীতে সারা বিশ্বে এ
পদ্ধতিটি গ্রহণ করে।
১.৪. দীর্ঘ ........ সময় জুড়ে বিরাট অঞ্চলের ভুদৃশ্যাবলীর সম্মিলিত রূপ সমীক্ষাই আঞ্চলিক
পদ্ধতিটি গ্রহণ করে।
১.৫. আজকাল ভ-সংস্থান মানচিত্র ........ ও উপগ্রহ চিত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহরে মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত।
১.৬. ভ‚মিরূপ সমস্যার সন্তোষজনক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার তিনটি বিকল্প পথ রয়েছে। যেমন- (১) আরোহ পদ্ধতি, (২) ........ পদ্ধতি ও (৩) বিশ্লেষণ পদ্ধতি।
২. সত্য হলে (স) মিথ্যা হলে (মি) লিখুন :
২.১. ভ‚মিরূপের উৎস ও উন্নয়নের ব্যাখ্যা করা হয় প্রাপ্তিসাধ্য তথ্যের ভিত্তিতে এবং এই তথ্য
সংগৃহীত হয় এদের শুধ মাত্র বর্ণনা থেকে।
২.২. ভ‚মিরূপ কাজে “মাঠ পর্যবেক্ষণ” (ঋরবষফ ঙনংবৎাধঃরড় ) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন
করে।
২.৩. ভ‚মিরূপ সমস্যার সন্তোষজনক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার তিনটি বিকল্প পথ রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। ভ‚মিরূপ সমীক্ষার ঐতিহাসিক পদ্ধতি কি?
২। ভ‚মিরূপ সমীক্ষার কার্মিক পদ্ধতি কি?
৩। সংখ্যাতাত্তি¡ক ও গবেষণামূলক পদ্ধতি কি?
৪। আঞ্চলিক পদ্ধতি কাকে বলে?
৫। চোরলী প্রস্তাবিত ভ‚মিরূপ উপাত্ত সংগ্রহের ধাপ ও পদ্ধতিগুলো বর্ণনা করুন।
৬। ভ‚মিরূপ ব্যাখ্যায় আরোহ পদ্ধতি, অবরোহ পদ্ধতি ও বিশ্লেষণ পদ্ধতি আলোচনা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. ভ‚মিরূপের ব্যাখ্যা দিন। ভ‚মিরূপের তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ পদ্ধতি বর্ণনা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ