ভূতাত্তি¡ক সময় মাপনি বলতে কি বোঝায়? ভূতাত্তি¡ক সময়কে বিভিন্ন যুগ ও উপযুগে ভাগ করে ঐ সকল সময় কালে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সবৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।


যে সকল জীব ও উদ্ভিদ পাললিক শিলার নিচে চাপা পড়ে অপেক্ষাকৃত নরম অংশ পচে গেলে শুধ যে শক্ত অংশ মাটির নিচে সঞ্চিত ও রক্ষিত থাকে তাকেই জীবাশ্ম (ঋড়ংংরষ) বলে।

জীবাশ্ম সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সুদূর অতীত কাল থেকে জীবের আবির্ভাব অস্তিত্ব ও
সার্বিক পরিবেশ সম্পর্কে ভূতত্ত¡বিদরা ভ‚তাত্তিক সময় মাপনী ব্যবহারের পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। জীবাশ্ম পাললিক শিলায় সঞ্চিত থাকে এবং এগুলো সাধারণত নদী বাহিত হয়ে স্তরে স্তরে সঞ্চিত করতে থাকে, এবং নদীর মোহনার দিকে ক্রমেই নদীর গতিবেগ হ্রাস পায়। এইভাবে

নদীর মুখে গাছাপালা এবং জীবজন্তুর হাড় ও দাঁত দীর্ঘ সময় ব্যাপী প্রায় অক্ষত অবস্থায়

তলানির নিচে সংরক্ষিত ও স্থায়ীভাবে খনিজে পরিণত হয়। কাদা ও বাল কালক্রমে কঠিন
) অথবা বেলে পাথর (ঝধহফ ঝঃড়হ ) এ পরিণত হতে পারে। এইভাবে বহু মিলিয়ন বছর ধরে জীবাশ্মকে প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয় বা ধ্বংস থেকে রক্ষা করে। তবে আমাদের একটি সুষ্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার যে জীবাশ্ম কি?

তলানীর নিচে সঞ্চিত জীব এবং উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ জীবাশ্ম নামে পরিচিত। পাললিক শিলার
স্তরে স্তরে সুদূর অতীত কালের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জলবায় ক্ষয় প্রক্রিয়া এবং প্রাচীন ভ‚মিরূপের চিহ্ন সংরক্ষিত থাকে। জীবাশ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে অতীতের প্রাণী, উদ্ভিদ ও সার্বিক
পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। জীবাশ্মর অবস্থান, বৈশিষ্ট্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা
বিশ্লেষণ করে ভ‚মির গঠন, বৈশিষ্ট্য বয়স সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় বলেই একে ভূতাত্তি¡ক
সময় মাপনী বলে।

এটা পরিষ্কার যে পাললিক শিলা স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়। এর ফলে সবচেয়ে প্রাচীন জীবাশ্ম গভীরতম স্তরে এবং সা¤প্রতিক কালের জীবাশ্ম তুলনামুলকভাবে ওপরের স্তরে দেখা যায়।

ভ‚তাত্তি¡ক সময়ে শ্রেণীবিন্যাস

ভূতাত্তি¡ক গঠনের ভিত্তিতে ভূতাত্তি¡ক সময়কে চারটি প্রধান যগে ভাগ (ঊৎধং) বিভক্ত করা হয়েছে। এই যুগগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম ও দীর্ঘতম যুগ হলো প্রি-ক্যামব্রিয়ান (চৎব-



নিচে জীবাশ্ম সঞ্চিত হয়ে দীঘ সময় ব্যাপী অক্ষত অবস্থায় থাকে।

জীবাশ্ম সঞ্চিত হয়ে
দীঘ সময় ব্যাপী
অক্ষত অবস্থায়
থাকে।






চারটি পধান যুগে ভাগ বিভক্ত করা হয়েছে।



ঈধসনৎরধ ), যে সময়ে অতি সামান্য জীবের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তখনই প্রি- ক্যামব্রিয়ান শিলা গঠিত হয়েছিল (চিত্র-১: ১.৭)। পরবর্তীতে পেলিওজোয়িক যুগ
(চধষবড়ুড়রপ ঊৎ ) আরম্ভ হয়েছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে এবং শেষ হয় প্রায় ২০০ মিলিয়ন বছল পূর্বে। এই যুগের বেশিরভাগ সময় জুড়ে একমাত্র মেরুদÐী প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল।
এই যুগের শেষে উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ প্রাণীর আগমন ঘটে। পেলিওজোয়িক যুগে শেষের
মেসোজোয়িক (গবংড়ুড়রপ ঊৎ ) যুগের আবির্ভাব ঘটে। যাকে কখনো কখনো বলা হয়

সরীসৃপ প্রাণীর যুগ। কারণ এই যুগে বহু সংখ্যক ডাইনোসর (


রহড়ংড়ঁৎং) টেরোডাকটাইল্স

(চঃবৎড়ফধপঃুষং) এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকারের বিলুপ্ত হয়ে হওয়া সরীসৃপ প্রাণী বাস
করত ও প্রচুর পরিমাণে এদের বংশবৃদ্ধি হয়েছিল। মেসোজোয়িক যুগকে আবার তিনটি
), জুরাসিক (ঔঁৎধংংর ) এবং

ক্রিটাসিয়াস (ঈৎবঃধপবড়ঁং)।

ক্রিটাসিয়াস উপযুগের পর বিরাট সরীসৃপ প্রাণী অধ্যুষিত যুগের বিলুপ্তি ঘটে। কিন্তু এর পূর্বেও প্রকৃত স্তন্যপায়ী প্রাণীর আবির্ভাব ঘটেছিল। প্রথম দিকের স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো ক্ষুদ্র আকৃতির ছিল। সবচেয়ে প্রাচীনতম গ্রæপের কিছ প্রাণী, যাদের জীবাশ্ম জুরাসিক উপযুগের তলানিতে এমনকি আরো প্রাচীন সময়ে ট্রায়াসিক উপযুগের তলানিতে পাওয়া গিয়েছে সেগুলো
মেসোজোয়িক যুগ শেষ হওয়ার পূর্বে মরে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিটাসিয়াস উপযুগে আরো আধুনিক ধরনের ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিস্তার লাভ করতে থাকে এবং সেগুলোর মধ্যে কিছ প্রাচীন সদস্যের অস্তিত্ব আজো রয়েছে।

প্রায় ৭০-৯০ মিলিয়ন বছর পূর্বে সেনোজোয়িক বা টারশিয়ারি যুগ অনুসরণ করে
মেসোজোয়িক যুগকে। এটিকে আবার কয়েকটি উপযুগে ভাগ করা যায়: প্যালিওসিন
), মায়োসিন (গরড়পবহ ),
) ও রিসেন্ট (জবপবহঃ)। সংযক্ত চিত্রে
প্রত্যেক যুগের ও উপযুগের আপেক্ষিক সময় বিরতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে (চিত্র-১)। প্লাইস্টোসিন উপযুগ সম্ভবত প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে আরম্ভ হয়েছিল। এর সঙ্গে পরবর্তী উপযুগ রিসেন্ট উপযুগ। রিসেন্ট উপযুগকে একত্রে কখনো কখনো কোয়ার্টারনারী যুগ বলা হয়।

এই যুগটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, এই যুগই বর্তমান মানব গোষ্ঠীর
(ঐড়সড়ংধঢ়রবহং) আবির্ভাব ঘটে ও পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলে তাদের ক্রমান্বয়ে বিস্তরণ

ঘটে। প্লাইস্টোসিন যুগের শেষের দিকে লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল পৃথিবীর বি¯তÍ


অঞ্চল বরাবর
)। উদাহরণ
অত্যন্ত অসহনীয় শীতল যুগের আবির্ভাব, যাকে বলা যায় হিম যুগ (ওপপ অমব
স্বরূপ বলা যায় যে, বৃটিশ দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ অঞ্চল বিভিন্ন ঘটনায় বরফ সীটের নিচে ঢাকা পড়ে ছিল। এই বরফ চত্বরগুলো উচ্চ ভ‚মি থেকে নিচ দিকে প্রসাতির হয়ে ছিল। এটি এখন
সাধারণভাবে স্বীকার করা হয় যে, পৃথিবীতে চারটি হিমবাহের যুগকে (এষধপরধষ চবৎরড়ফ
) দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এই সময়ে হিমবাহ
ওহঃবৎমষধপরধষ চবৎরড়ফ
পশ্চাদপসরণ করে এবং জলবায়ুর এই অস্থিরতার যুগে উঠেছিল এবং আজকের তুলনায়ও তাপমাত্রা সম্ভবত উষ্ণতর ছিল। এটি এখন সাধারণভাবে স্বীকার করা হয় যে, পৃথিবীতে চারটি
) দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এই সময়ে
ওহঃবৎমষধপরধষ চবৎরড়ফ
হিমবাহু পশ্চাদপসরণ করে এবং জলবায় নাতিশীতোষ্ণ হয়ে উঠেছিল এবং আজকের তুলনায়ও তাপমাত্রা সম্ভবত উষ্ণতর ছিল। জলবায়ুর এই অস্থিরতার যুগে প্রাণিকুলের (মানব জাতিসহ)



ব্যাপক অভিগমন করেছিল এবং এর প্রভাব সারা বিশ্ব ব্যাপী অনুভূত হয়েছিল। যদিও পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট
এলাকার মধ্যে হিমবাহের
গঠন সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু এদের বিস্তৃতি ছিল আর্কটিক
থেকে ইউরোপের উত্তরাংশ, এশিয়া উত্তর আমেরিকা
মহাদেশসমূহ এবং
আন্টার্কটিকা থেকে এই ভাবে
দক্ষিণ গোলার্ধের একই অঞ্চলে এবং পৃথিবীর সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গে যেমন আল্পস্ ও হিমালয়ে। ভ‚তাত্তি¡ক সময়
মাপনি আসলে প্রাক্কলিত
ভ‚তাত্তি¡ক সময়সচী। এখন প্রশ্ন হলো এই প্রাক্কলিত সময় কিভাবে নির্ণয় করা
হলো এবং এর ওপর কতটুক
নির্ভর করা সম্ভব এমনকি
যদিও এগুলো ব্যাপকভাবে
আসন্ন মান হিসেবে ধরে
নেয়া যায়। কেনো ভ‚তাত্তি¡ক গঠনের জন্য যে আপেক্ষিক সময়ের প্রয়োজন তা সঞ্চিত পদার্থের পুরুত্বের সঙ্গে
তুলনামূলক বিচার করে
মোটামুটিভাবে নিরূপণ করা যায়। তাছাড়াও এ প্রক্রিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ
ভুল-ভ্রান্তি থাকে। এই পদ্ধতি
শুধুমাত্র আপেক্ষিক সময় ¡
মাপনি যোগান দিয়ে থাকে।

জীবাশ্মের আপেক্ষিক প্রাচীনতা নির্ণয়ের জন্য অন্যান্য পদ্ধতি আছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ
) হিসাব করা যায় যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ণাঙ্গ সময়
অনংড়ষঁঃব ঞরসব ঝপধষব
মাপনী বিবর্তনের হার নির্ণয়ে সংখ্যাতাত্তি¡ক বিশ্লেষণ সহায়তা করে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এই বর্ণনায় যে সময় মাপনী ও সময় সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা আসন্ন
মানের প্রাক্কলিত ভিত্তির ওপর নির্ভর করে এবং এগুলোর কিছ কিছ পরবর্তীতে পুনঃবিচার পূর্বক সংশোধান করা প্রয়োজন। কিছ পদ্ধতির মাধ্যমে এ পর্যন্ত যে সকল গণনা



(ঈড়সঢ়ঁঃধঃরড়হং) সম্পন্ন করা হয়েছে তা থেকে দেখা যায় যে, এই গণনা যথেষ্ট যুক্তি
সংগতভাবে সঠিক, কমপক্ষে একটি ব্যাপক পরিসীমার মধ্যে যথার্থ।








সরীসৃপ পাণীর পভাব ছিল।








গোষ্ঠীর আবিভাব
ঘটে।


হাড় ও দাঁত (ইড়হবং ধহফ ঞববঃয):
পূর্বের বর্ণনায় এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে জীবাশ্ম বা জীবাশ্ম সংক্রান্ত বিজ্ঞানের সমীক্ষা বিবর্তন তত্তে¡র জন্য সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রমাণ সরবরাহ করে। যেহেত এটি মাধ্যমিক বা আকার আকৃতির যুগ পরিবর্তনকাল প্রদর্শন করে, যা অতীত ভূ-তাত্তি¡ক যুগের বর্ণনা ধারণ করে রাখে। সাধারণত জীবের শরীরের সবচেয়ে কম ধ্বংসযোগ্য অংশ যেমন-শরীরের কাঠামো বিশেষ বা কঙ্কাল অনুক‚ল অবস্থায় ভ-তাত্তি¡ক সঞ্চয়ের মধ্যে রক্ষিত থাকে। জীবের মৃত্যুর পরে নরম অংশ পচে গলে মিশে যায় এবং শক্ত হার ও দাঁত পূর্বের মতই দীর্ঘ সময় সংরক্ষিত থাকে। এই শক্ত হাড় ও দাঁত তলানীর যেমন কাদা বা বালর নীচে চাপা পড়ে নগ্নীভবনের ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া
থেকে সংরক্ষিত থাকে এবং দীর্ঘ সময বা অসীম সময় ব্যাপী অবিকৃত থাকে।


পলল সাধারণত তার উৎপত্তির উৎস ধারন করে রাখে। প্রমাণ স্বরূপ তলানী বা পলল তার গঠন, বুনন ও আকৃতিগত রূপ প্রমাণ হিসেবে পললায়নের সময় রক্ষা করে। এই শিলা বিশেষ সঞ্চয়জাত পরিবেশ ধারণ করে বিধায় একে পাললিক শিলার পৃষ্ঠ (ঝবফরসবহঃধৎু ঋধপরবং)
বলে। সুতরাং সমৃদ্ধ জৈব কাদার মধ্যে রক্ষিত স্বাদ পানির প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবাশ্ম যে

)
জন্য-তত্তের ঈ

সবচেয়ে পত্যক্ষ পমাণ সরবরাহ করে হাড়, দাঁত ও কঙ্কাল।


অথবা আড়াআড়ি সজ্জিত তলানী ও সৈকতের বালুতে তরঙ্গ চিহ্নিত পরিবেশ ও ভ‚তাত্তি¡ক

অবস্থায় তলানী সঞ্চিত হয়েছিল সে সম্পর্কে অবগত হতে পারি। সুতরাং জীবাশ্ম সঞ্চিত
স্থানের পরিবেশের রহস্য সমাধানের সূত্র হিসেবে কাজ করে। কিছ কিছ প্রজাতি সামুদ্রিক,
মোহনা বা স্বাদ পানি অঞ্চলের প্রজাতি। কিছ জীব সমুদ্রের তলদেশে সংযক্ত থাকে যেমন ওয়েষ্টার (ঙুংঃব ), প্রবাল ইত্যাদি এবং এদের উপস্থিতি শুধ সামুদ্রিক পরিবেশই নির্দেশ করে না বরং পানির গভীরতার ধারণা দেয়।

ঞ ) ঃ


মাপনি ব্যবহৃত হয়


আজ যে ভ‚তাত্তি¡ক সময় মাপনি ব্যবহৃত হয় সেটি প্রথম ১৮৩৩ সালে চার্লস লেইলি (ঈযধৎষবং
সেটি পথম ১৮৩৩
সালে চালস লেইলি

খুবষষ চ

ু) প্রকাশ করেন (চিত্র-১.৭.১)। লেইলের শ্রেণী
) দ্বিতীয়
তার পু¯কে পকাশ
করেন।

বিভাগে তিনটি ভাগ রয়েছে। যেমন-প্রাথমিক পর্যয়ের প্যালিওজোয়িক (চধষবড়ুড়রপ
) ও তৃতীয় পর্যায়ের সেনোজোয়িক (ঈবহড়ুড়র )। বৃটেন
ও ইউরোপে এই সময় মাপনির জন্ম হয়েছিল। লেইল শ্রেণীবিভাগ করতে কিছ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিচ্ছেদের (টহপড়হভড়ৎসরঃরবং) আলোকে প্রাথমিক, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে বিভক্ত করেছিলেন। প্রাথমিক শিলা দুই ধরনের। যেমন- কেলাসিত শিলায় (ঈৎুংঃধষষরহব জড়প )
কোনো জীবাশ্ম নেই যেমন আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলায়। পাললিক শিলায় অমেরুদÐী প্রাণী ও
মাছের জাবাশ্মের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলা বৈশিষ্ট্যপ‚র্ণ ছিল কিছ সংখ্যক

শামুক জাতীয় প্রাণীর অবশিষ্টাংশ (ঈবঢ়যধষড়ঢ়ড়ফং ধহফ অসসড়হরঃবং) এবং সরীসৃপ প্রাণী ও ডাইনোসর। তৃতীয় পর্যায়ের শিলা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল শামুস জাতীয় প্রাণী ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর
অবশিষ্টাংশের উপস্থিতির দ্বারা। শিলা স্তরের মধ্যে বিচ্ছেদের প্রাধান্য ও বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে
জীবাশ্মের স্পষ্ট পরিবর্তন ভ‚তাত্তি¡ক সময় মাপনিকে গ্রহণ করতে বাধ্য করে, যাকে বলা হয় যুগ (ঊৎধং) ও উপযুগ (চবৎরড়ফং)। প্রত্যেক পর্যায়ের জীবের উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে



বিভিন্ন পর্যায়ক্রমিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন প্যালিওজোয়িককে পুরাজীবীয় (ঙষফ

), মেসোজোয়িককে মধ্যজীবীয় (গরফফষব খরভব


ও সেনোজোয়িককে নবজীবীয়
খরভব


)
) সময়কে বোঝানো হয়েছে (সারণী-১.৭.১)।

লেইলের শ্রেণীবিভাগের প্রাথমিক সিরিজের (ঝবৎরবং) নিম্নাংশে প্রধানত আগ্নেয় ও রূপান্তরিত
শিলায় গঠিত যেখানে সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করার মত সমান্য জীবাশ্ম উপস্থিত ছিল। এই
শিলাই অবশ্য পৃথিবীর ইতিহাসের তিন চতুর্থাংশ প্রতিনিধিত্ব করে এবং সম্ভবত ৭/৮ ভাগ
রেকর্ড ধারণ করে এটিই পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিরতি যা প্রি-ক্যামব্রিয়ান সময় বলা হয়। এটা আরম্ভ হয়েছিল প্রায় ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন বছর পূর্বে যখন পৃথিবীতে প্রথম শিলার
গঠন হয় এবং শেষ হয়েছিল ক্যামব্রিয়ান পাললিক শিলায় প্রাণীর জীবাশ্ম সৃষ্টির সময় পর্যন্ত। এই জীবাশ্মই যা ক্যামব্রিয়ান সময়ের শুরুর সূচনা করেছিল সেগুলো ছিল প্রধানত ট্রাইলোবাইট




সবচেয়ে বড় বিরতি যা পি-ক্যামবিয়ান সময়
ঞ ) এবং সেগুলো আধুনিক অমেরুদন্ডী প্রাণী। সুতরাং দেখা যায় যে প্রি-ক্যামব্রিয়ান

যুগে জীবের উন্নয়নের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে কিন্তু যতদূর জানা যায় যে তুলনামূলকভাবে খুব
কম প্রাচীন প্রি-ক্যামব্রিয়ান জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অধিকাংশ জীবাশ্মের মধ্যে
শেওলা, কীট এবং একই ধরনের নিচ স্তরের জীবের জীবাশ্ম। ক্যামব্রিয়ান ও পি-ক্যামব্রিয়ান জীবাশ্মের মধ্যে পার্থক্যের কারণ বিরাট সময়ের ব্যবধান এবং এদের মধ্যকার শিলার বয়সের ব্যবধান।
যে কোয়ার্টারনারী যুগে আমরা এখন বাস করি সেটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত। এটি আমাদের নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে এর ইতিহাস বিস্তারিতভাবে আমরা জানি। এটিকে দুই ভাগে ভাগ
করা হয়েছে। যথা-হোলোসিন (রিসেন্ট) ও প্লাইস্টোসিন। হোলোসিন উপযুগের আরম্ভ প্রায়
১১,০০০ বছর পূর্বে যখন সমুদ্র সমতল বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। এ সময় সমুদ্র পৃষ্ঠের স্তরও উষ্ণ হতে আরম্ভ করেছিল ফলে বরফ গলে মহাদেশীয় হিমবাহ পশ্চাদাপসরণ করেছিল।
বরফগলা পানি উত্তর গোলার্ধের মহাদেশগুলোকে আংশিকভাবে নিমজ্জিত করেছিল।
প্লাইস্টোসিন উপযুগকে বলা হয় সময়ের বিরতি যে সময়ে পৃথিবীর বিরাট অংশ হিমবাহে আবৃত ছিল। প্লাইস্টোসিন উপযুগের সূচনা এখনও সূক্ষèভাবে নির্দিষ্ট নয়। কিন্ত এই সময়ে বরফ যুগের আবির্ভাব ঘটে, সমুদ্র সমতল হ্রাস পায়, পৃথিবী পৃষ্ট শীতল হয় এবং মহাদেশীয়
হিমবাহ বৃদ্ধি পায়। প্লাইস্টোসিন উপযুগে এই হিমবাহের হ্রাস ও বৃদ্ধি কয়েকবার ঘটে।

ও ) যুগ

হিসেবে ধরে নেয়া যায়। ভূতাত্তি¡ক সময় মাপনি (সারণি-১.৭.১) থেকে বিভিন্ন যুগ, উপযুগ ও ঐ সময়ের আনুমানিক বয়স, ভ-আলোড়ন, কতিপয় উল্লেখযোগ্য ভ-তাত্তি¡ক গঠন, প্রতিনিধিত্বকারী শিলা ও জীবনের বিকাশ সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন।
পাঠসংক্ষেপ

উদ্ভিদ ও জীবের দেহ পাললিক শিলার নিচে পড়ে যে শক্ত অংশগুলো মাটির নিচে সঞ্চিত ও রক্ষিত থাকে তাকেই জীবাশ্ম বলে। এই জীবাশ্মই ভ‚তাত্তি¡ক সময় মাপনি ও সার্বিক
পরিবেশ সম্পর্কে সাক্ষ্য বহন করে। জীবাশ্মের অবস্থান, বৈশিষ্ট্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা
বিশ্লেষন করে ভ‚মির গঠন, বৈশিষ্ট্য ও বয়স সম্পর্কে ধারণা পাওয়া বলেই একে ভ‚তাত্তি¡ক
সময় মাপণি বলে।
ভ-তাত্তি¡ক সময়কে চারটি প্রধান যুগে বিভক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দীর্ঘতম ও প্রাচীনতম যুগ হলো প্রি-ক্যামব্রিয়ান। পরবর্তী যুগের নাম মেসোজোয়িক। এই যুগকে আবার তিনটি উপযুগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন-ট্রায়াসিক, জুরাসিক ও ক্রিটেসিয়াস। ক্রিটাসিয়াস উপযুগ সরীসৃপ প্রাণীর প্রভাব ছিল। অতি প্রাচীন কিছ প্রাণীর জীবাশ্ম জুরাসিক ও ট্রায়াসিক উপযগের তরানিতে পাওয়া গিয়েছে। ক্রিটোসিয়াস উপযুগে আরো আধুনিক ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিস্তার লাভ করতে পারে।
প্রায় ৭০-৯০ মিলিয়ন বছর পূর্বে টারশিয়ারী যুগের সূচনা হয়। একে পাঁচটি উপযুগে ভাগ করা হয়েছে। কোয়ার্টারনারী যুগে রয়েছে প্লাইস্টোসিন উপযুগে পৃথিবীর বিরাট অঞ্চল হিমবাহ আবৃত ছিল।
ভ‚তাত্তি¡ক সময় মাপনি আসলে প্রাক্কলিত ভ‚তাত্তি¡ক সময়সূচী। কোন ভ-তাত্তি¡ক গঠনের
জন্য যে আপেক্ষিক সময়ের প্রয়োজন তা সঞ্চিত পদার্থের পরুত্বের সঙ্গে তুলনামূলক
বিচার করে মোটামুটিভাবে নিরূপণ করা যায়। জীবাশ্ম বিবর্তন তত্তে¡র জন্য সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রমাণ সরবরাহ করে প্রাণীর হাড়, দাঁত ও কঙ্কাল। এগুলো তলানির নিচে চাপা
পরে দীর্ঘদিন অবিকৃত থাকে। পলল বা তলানি সাধারণত তার উৎপত্তির উৎস ও ইতিহাস ধারণ করে রাখে।
লেইল ভুতাত্তি¡ক সময় মাপনিকে তিনভাগে অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ের প্যালিওজোয়িক বা পুরাজীবীয়; দ্বিতীয় পর্যায়ের মেসোজোয়িক বা মধ্যজীবীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের
সেনোজোয়িক বা নবজীবীয় সময় বুঝিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে সবেচেয় বিরতি হলো
পি-্র ক্যামব্রিয়ান থেকে ক্যামব্রিয়ান সময়ে উপণীত হওয়া। যে কোয়ার্টারনারী যুগে আমরা
এখন বাস করছি সেটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত। এর দুটি ভাগ, যেমন হলোসিন ও প্লাইস্টোসিন। হলোসিন উপযুগ আরম্ভ হয়েছিল প্রায় ১১,০০০ বছর পূর্বে। এর পূর্বে প্লাইস্টোসিন হিমযুগে পৃথিবীর বিরাট অঞ্চল হিমবাহ আবৃত ছিল।



পাঠোত্তর মূল্যায়ন ১.৭
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন

১. শূন্যস্থানপরণ করুণ :
১.১. যে সকল জীব ও উদ্ভিদ পাললিক শিলার নিচে চাপা পড়ে অপেক্ষাকৃত নরম অংশ পচে
গেলে শধ যে .......... মাটির নিচে সঞ্চিত ও রক্ষিত থাকে তাকেই জীবাশ্ম বলে।
১.২. কাদা ও বাল কালক্রমে কঠিন আকার ধারণ করে শেল অথবা ..... এ পরিণত হতে
পারে।
১.৩. তলানির নিচে সঞ্চিত জীব এবং উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ ........ নামে পরিচিত।
১.৪. ভ‚তাত্তি¡ক গঠনের ভিত্তিতে ভ‚তাত্তি¡ক সময়কে ......... প্রধান যুগে বিভক্ত করা হয়েছে।
১.৫. প্রায় ৭০-৯০ মিলিয়ন বছর পূর্বে সেনোজোয়িক বা টারশিয়ারী যুগ অনুসরণ করে ..... যুগকে।
১.৬. ........... যুগটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, এই যুগেই বর্তমান মানব গোষ্ঠীর
আবির্ভাব ঘটে ও পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলে তাদের ক্রমান্বয়ে বিস্তরণ ঘটে।
১.৭. পলল সাধারণত তার উৎপত্তির ........ ধারণ করে রাখে।
১.৮. আজ যে ভূতাত্তি¡ক সময় মাপনি ব্যবহৃত হয় সেটি প্রথম ...... সাল চার্লস লেইল তার পুস্তকে প্রকাশ করেন।
১.৯. যে ........ যুগে আমরা এখন বাস করি সেটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত।

২. সত্য হলে (স) মিথ্যা হলে (মি) লিখুন:
২.১. এটা পরিষ্কার যে পাললিক শিলা স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়।
২.২. প্রাথমিক শিলা তিন ধরনের।
২.৩. লেইল শ্রেণীবিভাগ করতে কিছ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিচ্ছেদের (টহপড়হভড়ৎসরঃরবং) আলোকে প্রা থমিক, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে বিভক্ত করেছিলেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১। জীবাশ্ম কি?
২। জীবাশ্ম থেকে আমরা কি ধারণা পাই।
৩। জীবাশ্ম কেন পাললিক শিলার নিচে পাওয়া যায়?
৪। কাদা ও বালুর পরিবর্তিত রূপ কি কি?
৫। জীবাশ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা কি সম্পর্কে ধারণা করতে পারি?
৬। ভ‚তাত্তি¡ক সময় মাপনি বলতে কি বোঝায়?
৭। প্রাচীন না নবীন জীবাশ্ম ওপরে থাকবে বুঝিয়ে বলুন।
৮। ভ‚-তাত্তি¡ক সময়কে কয়টি প্রধন যুগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলো কি কি?
৯। পি-্র ক্যামব্রিয়ান, প্যালিওজোয়িক ও মেসোজোয়িক যুগসমূহের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করুন।
১০। কোন যুগে মানব গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে?
১১। হিমবাহ যুগ ও অহিমবাহযুগ বলতে কি বুঝায়?
১২। পৃথিবীর কোন অঞ্চল হিমবাহ আবৃত ছিল।
১৩। জীবের কোন কোন অংশ জীবাশ্ম হিসেবে উন্নয়নের সম্পর্ক কি?
১৪। লেইলের শ্রেণীবিভাগের সঙ্গে জীবের উন্নয়নের সম্পর্ক কি?
১৫। বিভিন্ন পর্যায়ের শিলায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রাণীর আবির্ভাবের বিবরণ দিন।
১৬। আমরা এখন কোন ভ‚তাত্তি¡ক যুগ ও উপযুগে বাস করছি?
১৭। প্লাইস্টোসিন উপযুগে পৃথিবীতে ও সাগরে কি ধরণের পরিবর্তন এসেছিল?
১৮। আন্তঃহিম যুগ বলতে কি বঝায়?

রচনামূলক প্রশ্ন :
১। ভ‚তাত্তি¡ক সময় মাপনি বলতে কি বোঝায়? ভূতাত্তি¡ক সময়কে বিভিন্ন যুগ ও উপযুগে ভাগ করে ঐ সকল সময় কালে উদ্ভিদ ও প্রাণীর সবৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।
(অতিরিক্ত অনুশীলনের জন্য)



ইউনিট-১

পাঠোত্তর মূল্যায়ণ :
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

১। ১৯৫০ সালের পরে ভ‚মিরূপ বিদ্যায় কি ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়?
২। ভ‚গোল শাস্ত্রে হেরোডটাসের অবদান আলোচনা করুন।
৩। ভ‚গোল শাস্ত্রে অ্যারিস্টোটলের অবদান লিখুন।
৪। ভ‚গোল সম্পর্কে স্ট্রাবোর ধারণা আলোচনা করুন।
৫। অন্ধকার যুগ বলতে কি বোঝেন?
৬। আকস্মিক বিপত্তির যুগ কেন বলা হয়?
৭। একরূপততত্বের প্রবক্তা কে? এখানে কি আলোচনা হয়েছে।
৮। ভ‚মিরূপ বিদ্যায় আধুনিক যুগ কখন আরম্ভ হয়? এবং ভ‚মিরূপ বিদ্যায় কি কি গোষ্ঠীর
আবির্ভাব হয়?
৯। ইউরোপীয় গোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য ভ‚গোলবিদদের নাম লিখুন এবং তাদের অবদান চিহ্নিত করুন।
১০। কোন সময়কে আমেরিকার ভ‚মিরূপবিদ্যার স্বর্ণযুগ বলা হয়? কোন কোন ভ‚মিরূপ বিজ্ঞানীর অবদান এই বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে?
১১। ভ‚মিরূপ বিদ্যায় পাওয়েল, গিলবার্ট, ডাটন ও ডেভিসের অবদান সংক্ষেপে লিখুন।
১২। ডেভিসের “ক্ষয়চক্র” যে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পরিচিত সেগুলোর নাম লিখুন।
১৩। ডেভিসের “ক্ষয়চক্র” সম্পর্কে জার্মান ভ‚মিরূপ বিজ্ঞানীদের সমালোচনা লিখুন।
১৪। ১৯৫০ সালের পরে ভ‚মিরূপ বিদ্যা সমীক্ষায় পদ্ধতি ও ধরনে যে পরিবর্তন এসেছে
সেগুলো লিখুন।
১৫। পরিবেশ ভ‚মিরূপবিদ্যা কাকে বলে?
১৬। পদ্ধতিগত ধারণা বলতে কি বোঝায়? ভ‚মিরূপ পদ্ধতিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি?

শূন্যস্থান পূরণ করুন :
১। ১৯৫০ সালের পরে ভ‚মিরূপবিদ্যায় ........ পদ্ধতির প্রবর্তন ঘটে।
২। হেরোডটাস একজন বিখ্যাত ...... বিদ ছিলেন।
৩। নদী মোহনায় ত্রিকোনাকৃতির ভূভাগের নাম .............।
৪। মিশর নীল নদের দান কে বলেন .............।
৫। অ্যারিস্টোটল একজন প্রখ্যাত গ্রীক ........।
৬। স্ট্রাবো একজন বিখ্যাত ........ ছিলেন।
৭। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দুই দশক ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম দুই দশককে ভ‚মিরূপ বিদ্যার
........ যুগ বলে বিবেচনা করা হয়।
৮। পোওয়েল ভ‚মিরূপের শ্রেণীবিভাগে ........ ভিত্তিকেই প্রাধান্যই দিয়ে দিন।
৯। ......... প্রথম ভ‚বিজ্ঞানী সমস্থিতির কথা বলেছেন।
১০। ডেভিস ......... বিশ্ববিদ্যালয়ের ............. ভ‚গোলের অধ্যাপক ছিলেন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]