পৃথিবীর অভ্যন্তরের সম্ভাব্য ভূতাত্তি¡ক অবস্থান বর্ণনা করুন।


পৃথিবীর অভ্যন্তরের সম্ভাব্য ভ‚তাত্তি¡ক অবস্থা ।
পৃথিবীর অভ্যন্তরের অধিকাংশই আমাদের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়ে গেছে। গর্ত করে
পৃথিবীর মাত্র প্রায় ১০ কি.মি. গভীরের শিলা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে যেখানে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ
প্রায় ৬,৪০০ কি.মি.। কাজেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে সূত্র আহরণ করেই ভ‚-অভ্যন্তর
ভাগ সম্পর্কে ধারণা গড়ে উঠেছে। বিজ্ঞানের এ সমস্ত শাখার মধ্যে ভ‚কম্পন সম্পর্কিত বিভিন্ন
উপাত্ত ও তথ্যই প্রধান। তবে জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থ ও রসায়ন বিদ্যার বিভিন্ন সূত্রও ভ‚
অভ্যন্তরের রহস্য উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
বিভিন্ন বিজ্ঞানী ভ‚-অভ্যন্তর
সম্পর্কে ধারণা
১৮৯৭ সালে জার্মান
ভ‚কম্পবিদ প্রফেসর উইচার্ট
(ডরবপযবৎঃ) ভ‚মিকম্প তরঙ্গ
সঞ্চরণের সময় দূরত্ব
লেখচিত্রে এক আকর্ষণীয়
বিষয় লক্ষ্য করেন। তিনি
দেখেন যে উপকেন্দ্র থেকে
ভ‚কেন্দ্রিক দূরত্ব ১০৪০
পর্যন্ত
বিভিন্ন ভ‚কম্পলিখ যন্ত্রে চ ও
ঝ তরঙ্গ সুন্দর ভাবে ধরা
পড়ে। এর পরে উপকেন্দ্র
থেকে ভ‚কেন্দ্রিক দূরত্ব ১০৪০

পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চ ও ঝ
তরঙ্গ হারিয়ে যায় কিন্তু
১০৪০ ছদ্মনাম
থেকে আবার বড়ু চন্ডিদাস
শক্তিশালী চ তরঙ্গের আবির্ভাব ঘটে (চিত্র : ২.৪.১)। এই ঘটনার ব্যাখ্যা করতে উইচার্ট বলেন নীহারিকা দেবী
যে, পৃথিবীর সুগভীরে একটি বিচ্ছেদ তল রয়েছে। এই তলের সীমানা থেকে কেন্দ্রের দিকে -----
পদার্থের এক আমুল পরিবর্তন ঘটে। -----
পাঠ-২.৪ -----
চিত্র : ২.৪.১ পৃথিবীর কেন্দ্রগামী প্রস্থচ্ছেদ। বৃত্ত মধ্যস্থিত বক্র রেখা হল -----
কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন ভূকম্পন সঞ্চলণের পথ। ছায়া অঞ্চলে চ ও ঝ উভয় -----
হারিয়ে যায়। -----
উইচার্ট ভ‚মিকম্প -----
তরঙ্গ সঞ্চরণের হুতোম পেঁচা
সময়, উপকেন্দ্র -----
থেকে ভ‚কেন্দ্রিক -----
দূরত্ব ১০৪০ জরাসন্ধ
পর্যন্ত -----
বিভিন্ন ভ‚কম্পলিখ
যন্ত্রে চ ও ঝ তরঙ্গ হায়াৎ মামুদ
সুন্দর ভাবে ধরা -----
পড়ে। সুনন্দ বানভট্ট
চিত্র ২.৪.১ ঃ সম্পর্কিত শিরোনাম ও ব্যাখ্যা :
১৯২২ সালে প্রফেসর বেনো গুটেনবার্গ (ইবহড় এঁঃবহনবৎম) যুক্তিসহকারে বলেন যে, উইচার্ট টেকচাঁদ ঠাকুর
বিচ্ছেদ (উরংপড়হঃরহঁরঃু) কঠিন থেকে তরল অবস্থান্তর নির্দেশ করে। ভ‚কেন্দ্রিক দূরত্ব ১০৪০ -----
#NAME? বনফুল
হয়েছে যেখানে ঝ তরঙ্গ হারিয়ে গেছে। কারণ কোন তরল বা বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে ঝ -----
তরঙ্গ সঞ্চালিত হতে পারে না। অন্যদিকে ঝ তরঙ্গ উইচার্ট বিচ্ছেদ তলে নীচে তরলের সম্মুখীন -----
হলে এর বেগ হঠাৎ অনেক কমে যায় ও ¯েøলের সূত্র অনুযায়ী তরঙ্গ ভ‚পৃষ্ঠের দিকে না বেঁকে মৌমাছি
কেন্দ্রের দিকে বেঁকে যায়। এ জন্যই ভ‚কেন্দ্রিক দূরত্ব ১০৪০ -----
থেকে ১৪০০ -----
মধ্যে (রৈখিক দূরত্ব -----
১১,৫৪০ কি.মি. থেকে ১৫,৯৪০ কি.মি. এর মধ্যে) চ ও ঝ দুই রকম তরঙ্গই যন্ত্রে ধরা পড়ে বীরবল
না। এ অঞ্চলকে চ ও ঝ তরঙ্গের ছায়া অঞ্চল (ঝযধফড়ি জবমরড়হ) বলা হয়। গুটেনবার্গ -----
হিসেব করে দেখান যে, এ বিচ্ছেদ তল ভ‚পৃষ্ট থেকে প্রায় ২,৯০০ কি.মি. গভীরে অবস্থিত। এ -----
বিচ্ছেদ তলকে বর্তমানে উইচার্ট গুটেনবার্গ বিচ্ছেদ বলে। এটা কঠিন গুরুমন্ডল (গধহঃষব) ও -----
তরল কেন্দ্রমন্ডল (ঈড়ৎব) সীমানা নির্দেশ করে। যুগোশ্লাভিয়া (বর্তমান সার্বিয়া) অধিবাসী -----
মোহোরোভিসিক (গড়যড়ৎড়ারপরপ) এরকম আর এক বিচ্ছেদের সন্ধান পান। ১৯০৯ সালে -----
তিনি জানান যে, ভ‚মিকম্প কেন্দ্র থেকে কয়েকশত কিলোমিটার গভীরে চ-তরঙ্গের সময় দূরত্ব গাজী মিয়া
লেখচিত্র নতিমাত্রার এক হঠাৎ পরিবর্তন হয়। এই ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি দুটি স্বতন্ত্র দৃষ্টিহীন
স্তরের কথা উল্লেখ করেন। এ বিচ্ছেদের উপরের স্তরের পুরুত্ব প্রায় ৩০ কি.মি. ও এর মধ্য সত্য সুন্দর দাস
দিয়ে ঝ তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে ৬ কি.মি. বেগে সঞ্চারিত হয় ও এ বিচ্ছেদের নিচের স্তরে চ -----
তরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে ৮ কি.মি. বেগে সঞ্চারিত হয়। এ দুই স্তরের সীমানার বিচ্ছেদ তলকে -----
মোহোরোভিসিক বিচ্ছেদ বা মোহো বা এম বিচ্ছেদ বলে। পরবর্তী কালের গবেষণায় প্রমাণিত ভানুসিংহ
হয় যে, মেহোরোভিসিক বিচ্ছেদের গুরুত্ব সর্বত্র সমান নয়। মহাদেশের নিচে এর গভীরতা ২০ পরশুরাম
থেকে ৬০ কি.মি. এবং পর্বতের নিচেই পুরত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে। মহাসাগরের নিচে এ -----
বিচ্ছেদের পুরুত্ব অনেকটা কম ও সর্বত্র একই প্রকার প্রায় ১১ কি.মি.। -----
১৯৩৬ সালের ডেনমার্কের আই. লেম্যান (ও. খবযসধহহ) আবিষ্কার করেন যে, পৃথিবীর -----
কেন্দ্রমন্ডল সমধর্মী নয়। এটা অন্তত দুটো অংশে বিভক্ত, এক তরল বহিঃকেন্দ্র ও এক কঠিন শওকত ওসমান
অন্তঃকেন্দ্র। -----
শুধুমাত্র বহিঃকেন্দ্রের ভেতর দিয়ে সঞ্চরিত চ তরঙ্গের গতিবেগ থেকে লেম্যান এর আবিষ্কার -----
চ-তরঙ্গের গতিবেগ বেশি। অন্তঃকেন্দ্র কঠিন হলে এটা সম্ভব। কঠিন অন্তঃকেন্দ্রে ব্যাসার্ধ প্রায় কালকূট
১,৩০০ কি.মি.। ভূকম্পনের সঞ্চরণের সময় দূরত্ব বক্ররেখার নথিমাত্রারর পরিবর্তন বিশ্লেষণ -----
করে বেনো গুটেনবার্গ ও হ্যারল্ড জেফ্রী গভীরতার সঙ্গে ভুকম্পের গতিবেগের সম্পর্কের নীল লোহিত
লেখচিত্র উদ্ভাবন করেন। এতে দেখা যায় যে, প্রায় ৪০০ ও ৭০০ কি.মি. গভীরতায় চ ও ঝ -----
তরঙ্গের গতিবেগের দ্রæত পরিবর্তন হয়। গুরুমন্ডলের মধ্যে এদেরকে দুটি দ্বিতীয় ক্রমের -----
বিচ্ছেদ বলা হয়। পরবর্তীকালে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর ডন অ্যান্ডারসন (উড়হ অহফবৎংড়হ) -----
এবং তার সহকর্মীরা এ সম্পর্কে আরও গবেষণা করেন এবং আরও পরিমার্জিত গতিবেগ -----
লেখচিত্র অঙ্কন করেন। এতে ৪০০ ও ৭০০ কি.মি. এর বিচ্ছেদ দুটো আরও সুষ্পষ্টভাবে ধরা -----
পড়ে। আরও একটি বিষয়ে এরা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এটা হলো যে ভুকম্পনের বেগ
১৫০-২৫০ কি.মি. গভীরতায় এক নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছায়। একে নিম্ন ভ‚মিকম্পীয় বেগ মন্ডল
(খড়ি ঠবষড়পরঃু তড়হব) বলা হয়। এই মন্ডলের নিম্ন গতিবেগ থেকে এ ধারণা জন্মে যে,
বিচ্ছেদ তল ভ‚পৃষ্ট
থেকে প্রায় ২,৯০০
কি.মি. গভীরে
অবস্থিত।
লেম্যান আবিষ্কার
করেন যে, পৃথিবীর
কেন্দ্রমন্ডল সমধর্মী
নয়। এটা
অন্তঃকেন্দ্র ও
বহিঃকেন্দ্র নামে দুই
ভাগে বিভক্ত।
এক পাতলা
পাললিক শিলার
আবরনের নিচে
মহাদেশীয় ভূ-ত্বক
দুটি স্তলে বিভক্ত।
এখানে শিলা গলনাঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। গুরুমন্ডলের এ স্তরকে নমনীয় মন্ডল
(অংঃযবহড়ংঢ়যবৎব) বলে।
ভ‚-অভ্যন্তর ভাগের শিলার গঠন :
ভ‚-ত্বক :
ভ‚কম্পীয় নির্দশন থেকে অনুমান করা যায় যে, এক পাতলা পাললিক শিলার আবরণের নিচে
মহাদেশীয় ভ‚-ত্বক দুটি স্তরে বিভক্ত। এদের মধ্যে ভ‚কম্পীয় তরঙ্গের গতিবেগের এক বিচ্ছেদ
রয়েছে। এ বিচ্ছেদকে অনেক সময় কনরাড বিচ্ছেদ (ঈড়হৎধফ উরংপড়হঃরহঁরঃু) বলে।
নিম্ন মহাদেশীয় ভ‚-ত্বকের মানাঙ্ক আনুমানিক ২.৯ গ্রাম/সে.মি.৩ এবং ঐ অংশে চাপের
পরিমাণ ৭ থেকে ১০ কিলোবার, চ-তরঙ্গের গতিবেগ আনুমানিক ৬-৮ কি.মি./সেকেন্ড।
এরকম চাপের মধ্যে গ্যাব্রো ও ডাইওরাইটের পূর্বোক্ত ধরনের ঘনাঙ্ক ও গতিবেগ লক্ষ্য করা
যায়।
গুরুমন্ডল : লক্ষ্য করা গেছে ঊর্ধ্ব গুরুমন্ডলে (ভূ-ত্বকের নিম্ন সীমা থেকে প্রায় ৪০০ কি.মি.
গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে) চ-তরঙ্গের গতিবেগ ৭.৯ থেকে ৮.২ কি.মি/সে.। এ অংশের
ঘনাঙ্ক সুনিশ্চিতভাবে বলা না গেলে সম্ভবত এটা ৩.৩.-৪.৪. গ্রাম/সে.মি.৩। ঊর্ধ্ব গুরুমন্ডলের
ঘনাঙ্ক ও চাপের অনুরূপ পরিবেশ ভ‚কম্পীয় গতিবেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খনিজ হলো অলিভি,
পাইরোক্সিন, গার্নেট এবং সম্ভবত অ্যাস্ফিবোল। এ সমস্ত ম্যাফিক (গধভরপ) খনিজ মিশ্রণে
প্রধানত অতি ক্ষারীয় পেরিডোইট (অলিভিন-পাইরোক্সিন মিশ্রণ) ও একলোগাইট (পাইরোক্সি
ও গার্নেট মিশ্রণ) জাতীয় শিলার সৃষ্টি হয়। চিত্র-২.২.১ : পৃথিবীর কেন্দ্রগামী প্রস্থচ্ছেদের এক
অংশে ভ‚-অভ্যন্তরের গঠন দেখানো হয়েছে।
কেন্দ্রমন্ডল : ভ‚-কম্পীয় সূত্র থেকে বোঝা যে, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ কি.মি. গভীর কেন্দ্রের
ঊর্ধ্ব সীমানায় শিলার ঘনাঙ্ক ৫.৫ গ্রাম/ সে.মি.৩ থেকে তীক্ষèভাবে বেড়ে ১০ গ্রাম/সে.মি.৩ তে
পৌঁছায়। আরও গভীরে উপাদানের ঘনাঙ্ক বেড়ে ১২ বা ১৩ গ্রাম./সে.মি.৩ হয়। এর অর্থ
কেন্দ্রমন্ডলের ঘনাঙ্ক গুরুমন্ডলের দ্বিগুণ। হিসেব করলে দেখা যাবে যে যদিও কেন্দ্রমন্ডল
পৃথিবীর আয়তনের ১৬% অধিকার করে আছে কিন্তু এ অংশেই পৃথিবীর ভরের ৩২%
কেন্দ্রীভ‚ত হয়েছে।
বর্তমানে সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, বহিঃকেন্দ্র ৮০% লোহা ও নিকেল এবং ২০%
সিলিক দিয়ে তৈরি। তবে আগেই বলা হয়েছে কেন্দ্রমন্ডলের উপাদান সম্পর্কে প্রত্যক্ষ সূত্র
নেই। সাধারণভাবে অন্তঃকেন্দ্রের উপাদান বহিঃকেন্দ্রের উপাদানের মতো ধরে নেওয়া হয়।
পাঠসংক্ষেপ
পৃথিবীর অভ্যন্তরের অধিকাংশই আমাদের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়ে গেছে। তবে
ভ‚-কম্পন সম্পর্কতি উপাত্ত, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থ ও রসায়ন বিদ্যার বিভিন্ন সূত্র
ভ‚-অভ্যন্তরের রহস্য উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন।
বিভিন্ন বিজ্ঞানী, যেমন, উইচার্ট, গুটেনবার্গ, ভ‚-অভ্যন্তরের কঠিন ও তরল অবস্থা সম্পর্কে
তথ্য প্রদান করেন। মোহোরোভিসিক এক বিচ্ছেদ তলের সন্ধান পান। তিনি দেখেনে যে,
ভ‚কম্পন কেন্দ্রের থেকে কয়েকশত কি.মি. গভীরে চ-তরঙ্গের সময় দূরত্ব লেখচিত্রের
নতিমাত্রায় এক হঠাৎ পরিবর্তন হয়। এই ঘটনার ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি দুইটি স্বতন্ত্র
স্তরের কথা উল্লেখ করেন। এই দুই স্তরের বিচ্ছেদ তলকে মোহোরোভিসিক বিচ্ছেদ
বলে। লেম্যান আবিষ্কার করেন যে, পৃথিবীর কেন্দ্রমন্ডল সমধর্মী নয়। এটা অন্তঃকেন্দ্র ও
বহিঃকেন্দ্র নামে দুটি ভাগে বিভক্ত।
ভূমিকম্পের বেগ ১৫০-২৫০ কি.মি. গভীরতায় এক নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছায়। একে নিম্ন
ভ‚মিকম্পীয় বেগ মন্ডল বলা হয। গুরুমন্ডলের এই স্তরকে অ্যাস্থিনোস্ফীয়ার বা নমনীয়
মন্ডল বলে। ভূ-ত্বক গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের বিভিন্ন গভীরতায় ভূ-কম্পনের বেগ, চাপ,
স্থিতিস্থাপকতা, শিলার গঠন ও ঘনাঙ্কের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
কেন্দ্রমন্ডলের ঘনাঙ্ক গুরুমন্ডলের দ্বিগুণ যদিও কেন্দ্রমন্ডল পৃথিবীর আয়তনের ১৬%
অধিকার করে আছে কিন্তু এই অংশেই পৃথিবীর ভরের ৩২% কেন্দ্রীভ‚ত হয়েছে।
বর্তমানে ধারণা করা হয় যে, ভ‚-অভ্যন্তরে পদার্থগুলো পিচের মতো নমনীয় ও
স্থিতিস্থাপকতা অবস্থায় রয়েছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ২.৪
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
১. শূন্যস্থান পুরণ করুন :
১.১. গর্ত করে পৃথিবীর মাত্র প্রায় ........ কি.মি. পর্যন্ত স্থানের শিলা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে
যেখানে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায়........ কি.মি.।
১.২. উইচার্ট লক্ষ্য করেন যে উপকেন্দ্র থেকে ভ‚কেন্দ্রিক দূরত্ব ........ ডিগ্রী পর্যন্ত বিভিন্ন
ভ‚মিকম্পলিখ যন্ত্রে ........ ও ........ তরঙ্গ সুন্দরভাবে ধরা পড়ে।
১.৩. কোন তরল বা বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে ........ তরঙ্গ সঞ্চারিত হতে পারে না।
১.৪. ভ‚কেন্দ্রিক দূরত্ব ........ থেকে ........ মধ্যে চ ও ঝ দুই রকম তরঙ্গই ধরা পরে না।
১.৫. মোহোরোভিসিক বিচ্ছেদের গভীরতা সর্বত্র ........ নয়। মহাদেশের নিচে এর গভীরতা
........ থেকে ........ কি.মি. এবং পর্বতের নিচে এ গভীরতা সবচেয়ে ........ থাকে।
১.৬. লেম্যান আবিষ্কার করেন যে, পৃথিবীর কেন্দমন্ডল ........ নয়।
১.৭. কঠিন অন্তঃকেন্দ্রের ব্যাসার্ধ প্রায় ........ কি.মি.
১.৮. নিম্ন মহাদেশীয় ভুত্বকের ঘনাঙ্ক আনুমানিক ........ গ্রাম/সে.মি৩ এবং ঐ অংশে চাপের
পরিমাণ ........ থেকে ........ কি.মি./সে.।
১.৯. ঊর্ধ্ব গুরুমন্ডলে চ ত্বরঙ্গের গতিবেগ ....... থেকে ........ কি.মি./সে।
১.১০.ভ‚পৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ কি.মি. গভীরে কেন্দ্রের ঊর্ধ্ব সীমানায় শিলা ঘনাঙ্ক ........
/সে.মি.৩ থেকে বেড়ে ........কি.মি.৩/সে.
১.১১.কেন্দ্রমন্ডলের ঘনাঙ্ক গুরুত্বমন্ডলের ........।
১.১২.কেন্দ্রমন্ডল পৃথিবীর আয়তনের ........ অধিকার করে আছে।
১.১৩. সাধারণভাবে মনে করা হয় যে কেন্দ্রমন্ডল প্রধানত ........ ও অল্প পরিমাণ ........
দিয়ে তৈরি।
১.১৪.সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, বহিঃকেন্দ্র ........ লোহা ও নিকেল এবং ........
সিলিকন দিয়ে তৈরি।
সংক্ষিপ্ত উত্তর
১. উইচার্ট বিচ্ছেদ ও চ ও ঝ তরঙ্গের ছায়া অঞ্চল বলতে কি বোঝায়?
২. মোহোরোভিসিক বিচ্ছেদ বলতে কি বোঝায়?
৩. কেন্দ্রমন্ডল সম্পর্কে লেম্যানের ধারণা বর্ণনা করুন।
৪. কনরাড বিচ্ছেদ বলতে কি বোঝায়?
৫. গুরুমন্ডলের তাপ, চাপ ও ঘনাঙ্ক বর্ণনা দিন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. পৃথিবীর অভ্যন্তরের সম্ভাব্য ভ‚তাত্তি¡ক অবস্থান বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]