পৃথিবীর অভ্যন্তরে উত্তাপের সম্ভাব্য অবস্থা
উষ্ণ প্রস্রবনের পানি, আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যৎপাতের ফলে উৎক্ষিপ্ত উত্তপ্ত লোভা স্রোত প্রবৃতি হতে
বোঝা যায় যে, ভ‚-অভ্যন্তরের দিকে প্রতি ৩২ মিটার অন্তর ১০
সে. তাপ বৃদ্ধি পায়। এরূপে
ভ‚-অভ্যন্তরে তাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকলে পৃথিবীর কেন্দ্রে প্রচÐ উত্তাপ হওয়ার সম্ভবনা
থাকে। বৈজ্ঞানিকদের মতে, পৃথিবীর অভ্যন্তরের গড় তাপমাত্রা প্রায় ১,২৯০০
সে.। এত
অধিক তাপে ভ‚-অভ্যন্তরের কোন বস্তুই কঠিন অবস্থায় থাকতে পারে না, এমনকি তরল
অবস্থাতেও না। এ কারণে পূর্বে সকলেই মনে করতেন যে, প্রচন্ড তাপে কেন্দ্রমন্ডল ও
গুরুমন্ডলের সকল পদার্থই তরল অবস্থা আছে। কিন্তু বর্তমানে ধারণা করা হয় যে, ভ‚-
অভ্যন্তরের পদার্থগুলো পিচের মতো নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক অবস্থায় রয়েছে। পৃথিবীর কেন্দ্রের
চাপ বায়ুমন্ডলের চাপ অপেক্ষা ৩০ লক্ষ গুণ বেশি। প্রত্যেক পদার্থের গলনাঙ্ক চাপে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
হয়। অর্থাৎ কোন বস্তুর উপর চাপ বৃদ্ধি পেলে তাকে গলাতে আরও বেশি তাপের প্রয়োজন।
সুতরাং ভ‚-অভ্যন্তরের উপাদানগুলো তাদের উপরের উপাদানগুলোর প্রচন্ড চাপের ফলে তরল
হতে পারে না। এরা পিচের মতো নমনীয় ও স্থিতিস্থাপক অবস্থায় আছে।
ভ‚-অভ্যন্তরের উপাদানগুলো যে প্রায় কঠিন অবস্থায় আছে তার সপক্ষে বৈজ্ঞানিকগণ কয়েকটি
যুক্তি দেখিয়েছেন। যেমন১. পৃথিবীর অভ্যন্তর তরল হলে সমুদ্রের পানির জোয়ার ভাটার ন্যায় ভ‚-অভ্যন্তরেও জোয়র
ভাটা হতো।
২. পৃথিবীর কোনো এক স্থানে ভ‚মিকম্প হলে তা পৃথিবীর অন্যান্য স্থান হতে ভ‚কম্পন
মাপকযন্ত্র দ্বারা জনা যায়। যে সময়ের ব্যবধানে তা জানা যায় তাতে পৃথিবীর অভ্যন্তর
ভাগ কঠিন অবস্থায় থাকাতেই সম্ভব হচ্ছে।
ভ‚-আন্দোলনে বা অন্য কোন কারণে যদি ভ‚গর্ভের চাপ কোথাও স্থানীয়ভাবে হ্রাস পায়, তাহলে
ভ‚গর্ভের পদার্থ সমূহ তরল অবস্থা প্রাপ্ত হয় এবং ভ‚গর্ভের ফাটল বরাবর ভূপৃষ্ঠের দিকে উঠতে
থাকে এবং ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে। সুতরাং প্রচন্ড চাপের ফলে ভ‚-
অভ্যন্তরের সমুদয় উপাদান তরল অবস্থায় না থেকে যে কঠিন অবস্থায় আছে, সে সম্পর্কে
বর্তমানে আর সন্দেহের অবকাশ নেই।
অভ্যন্তরীণ উত্তাপ :
পৃথিবীর অভ্যন্তরীন উত্তাপ সম্বন্ধে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত,
ঊষ্ণ প্রস্রবণ প্রভৃতি হতে ধারণা করা হয় যে, পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচন্ড তাপ বর্তমান।
বৈজ্ঞানিকগণ এ বিষয়ে নানা প্রকার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে,
পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ৪,০০০০ হতে ৬,০০০০ সেন্টিগ্রেড। পৃথিবীর ওপরিস্থিত বস্তুর প্রচন্ড
চাপের দরুনও ভ‚-অভ্যন্তরে প্রচুর তাপ সৃষ্টি হতে পারে। তেজস্ক্রিয় পদার্থের তেজস্কিয়তার
ফলেও তাপের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর সৃষ্টি হতে এ পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থের দ্বারা প্রচুর তাপ সৃষ্টি
হয়েছে। তাই ভ‚-অভ্যন্তরের প্রচুর তাপ থাকাই স্বাভাবিক।
পাঠ-২.৫
পৃথিবীর অভ্যন্তরের
দিকে প্রতি ৩২
মিটার অন্তর ১০
সে. তাপ বৃদ্ধি
পায়।
ভ‚-অভ্যন্তরে তাপ বৃদ্ধির হার বৈজ্ঞানিকগণ গানিতিক উপায়ে সন্তোষজনক রূপে নির্ণয় করতে
সক্ষম হননি। তবুও বিজ্ঞানী জেফরী, হোম্স এবং এডাম্স এর আঙ্কিক উপায়ে বিভিন্ন
গভীরতায় তাপ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া অনেকটা গ্রহণযোগ্য। হোমসের দেয়া বিভিন্ন গভীরতায়
উত্তাপ সারণী ২.৫.১ এ দেখা যেতে পারে।
সারণি ২.৫.১ : পৃথিবীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন গভীরতায় উত্তাপ
ভ‚-অভ্যন্তরে
গভীরতা কি.মি.
পৃথিবীর মূল উত্তাপ
ডিগ্রী সে.
তেজস্ক্রিয়জাত উত্তাপ মোট উত্তাপ
১০ ৭১ ২৬৪ ৩৪৩
২০ ১৫৯ ৪৪১ ৬০০
৩০ ২৪০ ৫৬০ ৮০০
৪০ ৩১৮ ৬৪০ ৯৫৮
৫০ ৩৯৬ ৬৯২ ১০৮৮
৬০ ৫৭৯ ৭২৭ ১২০৬
৭০ ৫৫৫ ৭৫২ ১৩০৭
৮০ ৬৩৪ ৭৬৮ ১৪০২
৯০ ৭১৩ ৭৭৮ ১৪৯১
১০০ ৭৯০ ৭৮৫ ১৫৭৫
উৎস : ওমহবড়ঁং জড়পশ ধহফ ঃযব উবঢ়ঃযং ড়ভ ঃযব ঊধৎঃয
খনিজ বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদ জেফরী, হোম্স এবং এডাম্স-এর বৈজ্ঞানিক মত গ্রহণ
করেননি। তাঁরা পৃথিবীর কেন্দ্র হতে ওপরের দিকে একই প্রকার সমসত্ত শিলার ধারণা গ্রহণ
করেছেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে, পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগে বিভিন্ন গভীরতায় আপেক্ষিক ঘনত্ব
বিভিন্ন প্রকার ভূ-কম্পন যন্ত্র হতেও এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং বৈজ্ঞানিক ত্রয়ের
পরবর্তী ধারণা কেন্দ্র হতে বাইরের দিকে তাপের সঞ্চালনের হার একই থাকে তা গ্রহণযোগ্য
নয়। কারণ ভ‚-অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর একই উপাদানে গঠিত নয়। বৈজ্ঞানিক গিব্সন ও
গুটেনবার্গ ভ‚-অভ্যন্তরে তাপ নির্ণয়ের জন্য নানা ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাদের
আধুনিক ধারণার সাথে হোমস ও এডাম্সের ধারণা সারণী ২.৫.২ তে দেখা যেতে পারে।
সারণী ২.৫.২ : বিভিন্ন গভীরতায় পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপ সম্পর্কে আধুনিক ধারণার সাথে
এডামস ও হোমসের ধারণার ত‚লনা
গভীরতা কি.মি. আধুনিক ধারণা এডাম্স হোম্স
০ ১০০ সে. ১০০ সে. ১০০ সে.
৩০ ৭৬০০ সে. ৬৩০০ সে. ৮০০০ সে.
৬০ ১৩৩০০ সে. ৯৬০০ সে. ১২০৬০ সে.
বর্তমান ভ‚-অভ্যন্তর ভাগের তাপমাত্রা সম্পর্কে কিছু ধারণা করা সম্ভব হয়েছে। পূর্বেই বলা
হয়েছে ভূত্বক ও নমনীয় মন্ডলের (অংঃযবহড়ংঢ়যবৎব) সীমানায় কঠিন ও তরল পদার্থ মিশ্রিত
অবস্থায় রয়েছে এবং মিশ্রণ গলনাঙ্কের কাছাকাছি রয়েছে। ঐ অঞ্চলের চাপ ও তাপ পরিবেশ
ল্যাবরেটরী পরীক্ষা থেকে এরূপ মিশ্রণের গলনাঙ্ক নির্ণয় করা যায়। এ সূত্র থেকে বলা যায় যে,
১০০ কি.মি. ও ৭০০ কি.মি. গভীর স্থানে আনুমানিক তাপমাত্রা ১,১০০০
সে থেকে ১,২০০০
সে. গুরুমন্ডলে ৪০০ কি.মি. ও ৭০০ কি.মি. এ ভ‚কম্পীয় তরঙ্গে গতিবেগের যে তীক্ষè বিচ্যুতি
বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম এসএসএইচএল
রয়েছে এবং ঐ দুই অংশের চাপ ও তাপ পরিবেশে প্রত্যাশিত পলিমরফ সৃষ্টির যে তাপমাত্রা
প্রয়োজন তা হলো যথাক্রমে ১,৫০০০
সে. এবং ১,৯০০০ ক্রমিক
সে.। এ গভীরতায় উপরোক্ত ১৬
তাপমাত্রা থাকা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। কেন্দ্র মন্ডল ও গরুমন্ডলের সীমানায় তাপমাত্রা ঐ ১৭
স্থানের চাপ তাপ পরিবেশে ১৮
লোহা নিকেল মিশ্রনের ১৯
গলনাঙ্ক গুরুমন্ডলের লোহাম্যাগনেসিয়াম সিলিকেট ২০
গলনাঙ্ক থেকে বেশি ২১
থাকবে। সে ক্ষেত্রে ঐ ২২
সীমানায় তাপমাত্রা ৩,০০০০ ২৩
সে.এর কাছাকাছি হবে। ২৪
একই প্রকার যুক্তির সাহায্যে ২৫
বলা যায় যে, অন্তঃকেন্দ্র ও ২৬
বহিঃকেন্দ্র সীমানায় ২৭
তাপমাত্রা ৪৩,০০০ ২৮
সে. ২৯
হবে। তাপমাত্রার উপরোক্ত ৩০
নির্দিষ্ট মানগুলোকে ব্যবহার ৩১
করে ভ‚-অভ্যন্তরে তাপমাত্রা
বন্টনের লেখচিত্র দেখানো
হলো (চিত্র-২.৫.১)।
আধুনিক মতবাদও যে পরবর্তীকালে পরিবর্তিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে আমরা এ
সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি যে, পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ ভীষণ উত্তপ্ত। কিন্তু উপরের প্রচন্ড চাপে
সকল পদার্থই কঠিন অবস্থায় রয়েছে।
পাঠসংক্ষেপ
পৃথিবীর অভ্যন্তরের অধিকাংশই আমাদের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের বাইরে রয়ে গেছে। তবে
ভূকম্পন সম্পর্কিত উপাত্ত, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থ ও রসায়ন বিদ্যার বিভিন্ন সূত্র ভ‚-
অভ্যন্তরের রহস্য উন্মোচনে গরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
বৈজ্ঞানিকদের ধারণা যে, পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ৪,০০০০
থেকে ৬০০০০
সে.। পৃথিবীর
ওপরিস্থিত বস্তুর প্রচন্ড চাপ ও ভ‚-অভ্যন্তরে তেজস্ক্রিয় পদার্থের দ্বারা প্রচুর তাপের সৃষ্টি
হয়েছে।
চিত্র -২.৫.১ : গভীরতা বৃদ্ধির সঙ্গে গুরুমন্ডলে ও কেন্দ্রমন্ডল অঞ্চলে
তাপমাত্রা পরিবর্তনের লেখচিত্র।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন :
১.১. খনির মধ্যে নামতে থাকলে দেখা যায় যে, প্রতি ৩২ মিটার অবতরণে ........... সে.
তাপ বৃদ্ধি পায়।
১.২. পৃথিবীর কেন্দ্রমন্ডলে গড় তাপমাত্রা প্রায় .......... ।
১.৩. পৃথিবীর কেন্দ্রের চাপ বায়ুমন্ডলের চাপ অপেক্ষা .......... গুণ বেশি।
১.৪. প্রত্যেক পদার্থের গলনাঙ্ক চাপে .......... হয়।
১.৫. ভ‚-অভ্যন্তরের উপাদানগুলো প্রায় .......... অবস্থায় আছে।
১.৬. প্রচন্ড ..........ও .......... ফলে ভ‚-অভ্যন্তরের সমস্ত উপাদান তরল ও কঠিন অবস্থায়
না থেকে পিচের মতো নমনীয় অবস্থায় রয়েছে।
১.৭. ভ‚-কম্পন মাপক যন্ত্রের সাহায্যে ভূ-কম্পন ঢেউ এর .......... বের করা সম্ভব।
১.৮. পৃথিবীর অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্তরের ঘনত্ব ও উপাদান বিভিন্ন হওয়ার দরুনই ভুকম্পন রেখা
.......... হয়ে থাকে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন
১। ভ‚-অভ্যন্তরের সম্ভাব্য অবস্থা বর্ণনা করুন।
২। ভ‚-অভ্যন্তরের উপাদানগুলো যে প্রায় কঠিন অবস্থায় আছে তার সপক্ষে যুক্তিগুলো
উল্লেখ করুন।
৩। ভ‚কম্পন মাপক যন্ত্রের সাহায্যে পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে কতটুকু জানা সম্ভব হয়েছে?
রচনামূলক প্রশ্ন
১। পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ উত্তাপের কারণ ও বিভিন্ন গভীরতায় সম্ভাব্য উত্তাপের পরিমাণ বর্ণনা
করুন।
২। ভূ-অভ্যন্তরের সম্ভাব্য অবস্থা বর্ণনা করুন।
ইউনিট-২ (অতিরিক্ত অনুশীলনের জন্য)
শূন্যস্থান পূরণ করুন :
১। বৈজ্ঞানিকগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ ........ হতে
........ ডিগ্রী সে.।
২। পৃথিবীর ওপরিস্থিত বস্তুর প্রচন্ড ........ দরুন ভ‚-অভ্যন্তরে প্রচুর তাপ সৃষ্টি হতে পারে।
৩। এ পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থের দ্বারা প্রচুর ........ সৃষ্টি হয়েছে।
৪। পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রতি ৩২ মি. গভীরতায় ........ সে. তাপ বৃদ্ধি পায়।
৫। ভ‚-অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তর একই উপাদানে গঠিত ........।
৬। ১০০ কি.মি. গভীর স্থানে আনুমানিক তাপমাত্রা ........ থেকে ........ ডিগ্রী সে.।
৭। কেন্দ্রমন্ডল ও গুরুমন্ডলের সীমানায় তাপমাত্রা ........ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি
হবে।
৮। অন্তঃকেন্দ্র ও গুরুমন্ডলের সীমানায় তাপমাত্রা ........ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি
হবে।
৯। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ ভীষণ ........।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ