ভূ-আলোড়ন কাকে বলে? ভূ-আলোড়নকারী শক্তি সমূহের বর্ণনা দিন।
পর্বত গঠন শক্তি সম্পর্কীয় মতবাদ বর্ণনা করুন।


ভ‚-আলোড়ন
ভ‚গর্ভে সব সময় এক ধরনের আলোড়ন চলছে। এ কারণে ভ‚-পৃষ্ঠের কোথাও নেমে যাচ্ছে
আবার নিচের শিলাস্তর অনেকখানি বিচ্যুৎ হয়ে ভ‚-গর্ভে বসে যাচ্ছে। এ আলোড়নের জন্য
সবসময়ই ভ‚-পৃষ্ঠে পরিবর্তন সংঘটিত হচ্ছে। ভ‚-পৃষ্ঠের এই পরিবর্তন, ভ‚-আলোড়নকারী শক্তি,
এর ফলে সৃষ্ট ভ‚মিরূপ, ভ‚মিকম্প প্রভৃতি নিয়ে এই ইউনিটে আলোচনা করা হয়েছে।
এই ইউনিটে আমরা যে সমস্ত পাঠ সম্পর্কে জানবো সেগুলো হচ্ছেপাঠ- ৩.১ ভ‚-আলোড়ন কারী শক্তি
ভ‚-অভ্যন্তরস্থ প্রচন্ড তাপ ও চাপের ফলে সেই তাপের কোন কোন সময় অবস্থা বিশেষে
ভ‚-অভ্যন্তরে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। এর ফলে ভ‚-অভ্যন্তরে প্রবল শক্তির উদ্ভব হয়।
পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উদ্ভুত শক্তি ভ‚ত্বকে বা ভ‚-পৃষ্ঠে আঞ্চলিক বা মহাদেশীয় ভ‚-গঠন
কাঠামোর যে বিকৃত ঘটায় তাকে ভ‚-আলোড়ন (ঞবপঃড়হরপ গড়াবসবহঃ) বলে। ভ‚-
আলোড়নজনিত শক্তির অন্যতম উৎস ভ‚-অভ্যন্তরস্থ তাপ। এ শক্তির ধীর ও মৃদুভাবে বিস্তৃত
এলাকাব্যাপী অথবা দ্রæত ও সজোরে সীমিত এলাকার ভ‚-গঠন কাঠামোর বিকৃতি ঘটায়। ভ‚-
আলোড়নজনিত শক্তি যে সমস্ত প্রক্রিয়ায় ভ‚-গঠন কাঠামোর বিকৃতি ঘটায়। তার একটি ছকে
(৩.১.১.) দেয়া হল :
ছক ৩.১.১. অনুযায়ী এ ভ‚-আলোড়নজনিত শক্তি প্রধানত: দুই ভাগে বিভক্ত :
ক) দ্রæত পরিবর্তনশীল
খ) ধীর পরিবর্তনকারী শক্তি।
ক) দ্রæত পরিবর্তনকারী শক্তি : দ্রæত পরিবর্তনকারী শক্তি ভ‚মিকম্প সম্পর্কে বলতে গেলে বলা
যায়, প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর কঠিন ভ‚-ত্বক সময় সময়ে ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে। এ
কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে। এ কম্পনের ফলে ভ-ত্বকের গঠনের অত্যন্ত দ্রæত পরিবর্তন
আসে। কিন্তু ভ‚মিকম্প ভ‚-ত্বকের ধীর পরিবর্তনের পটভ‚মি তৈরিতে ভ‚মিকা রাখে।
বিশেষভাবে ভু-ত্বকের চ্যুতি গঠনে কাজ করে। এছাড়াও পর্বত গঠনকারী এলাকা সমূহে
ভ‚-কম্পন ও আগ্নেয়গিরি উভয় প্রক্রিয়া সক্রিয় দেখা যায়।
দ্রæত পরিবর্তনকারী শক্তির বৈশিষ্ট্য :
র) প্রাকৃতিক কারণবশত: হয়ে থাকে।
রর) অল্প সময়ে ভ‚-ত্বকে ব্যাপক পরিবর্তন আনে।
ররর) দ্রæত পরিবর্তন ভ‚মিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি উভয় প্রক্রিয়ায় ভ‚-ত্বকের তলদেশে শিলার
গঠনে বিকৃতি ঘটায়।
রা) ভ‚-পৃষ্ঠে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভ‚মিরূপ তৈরি করে।
া) দ্রæত পরিবর্তনকারী শক্তি ধীরে পরিবর্তনের পটভ‚মি তৈরি করে।
উদাহরণ
র) ভ‚মিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভ‚-অভ্যন্তরস্থ গঠন বিকৃতি : শিলা, ভাঁজ, চ্যুতি।
রর) অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ভ‚-অভ্যন্তরস্থ শিলা স্তুপ: ব্যাথোলিথ, ল্যাকোলিথ, ডাইক ও সিল
অন্যতম।
ররর) ভ‚-পৃষ্ঠস্থ আগ্নেয়জাত ভ‚মিরূপের মধ্যে আগ্নেয় পর্বত ও লাভা প্রবাহ অন্যতম।
খ) ধীর পরিবর্তনকারী শক্তি : ভ‚-ত্বকের পরিবর্তনে ধীর পরিবর্তনকারী শক্তি সমূহকে
প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়; র) পর্বত গঠনকারী রর) মহাদেশ গঠনকারী শক্তি।
র) পর্বত গঠনকারী :
পর্বত গঠনকারী শক্তি
সাধারণত শিলা ভাঁজ,
চ্যুতি এ দুই ভাবে
প্রকাশিত হয়।
পর্বত গঠনে শক্তি সম্বন্ধীয়
মতবাদ : ভ‚-আলোড়ন হতে
সৃষ্টি শক্তি কি প্রক্রিয়ায় পর্বত
গঠনে কাজ করে এ সম্পর্কে
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মতবাদ
দেবার চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন
বিজ্ঞানী। তবে তার বেশির
ভাগই গ্রহণযোগ্য হয়নি যুক্তি ও
প্রমাণের অভাবে। বর্তমানে
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতবাদটি
হচ্ছে প্লেট সঞ্চারণ মতবাদ
(চষধঃব ঞবপঃড়হরপ ঞযবড়ৎু)।
প্লেট সঞ্চালণ মতবাদটি চালু হয়
১৯৬০-৭০ দশকে। প্লেট
সঞ্চালণ মতে বলা হয়,
ভ‚গঠনকারী প্লেট সমূহকে ভ‚-
অভ্যন্তরের তাপজনিত পরিচলন
স্রোত শক্তি অর্ধগলিত পিচ্ছিল
এসথোনোস্ফিয়ার
(অবংঃযড়হড়ংঢ়যবৎব) স্তরের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ভ‚-অভ্যন্তরের তাপজনিত
ম্যাগমার পরিচলন স্রোত সম্পর্কিত মতবাদটি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আর্থার হোমস চালু করেন। তিনি
মনে করেন, ভ‚ অভ্যন্তরস্থ উত্তপ্ত গলিত পদার্থ গুরুমন্ডল থেকে পরিচলন স্রোতের মত উপরে
উঠে যায়। পরবর্তীতে তাপ হ্রাস পাবার কারণে আবার এ স্রোত নিম্নগামী হয়। এভাবে ভূ-
অভ্যন্তরে উত্তপ্ত গলিত পদার্থের উর্ধ্ব ও নিম্ন গমনের ফলে পরিবহন সেলের সৃষ্টি হয়। ধারণা
করা হয় পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি পরিচলন স্রোতের ধারা উষ্ণ ও হালকা হয়ে উপরে উঠে
যায়। পরবর্তীতে তাপ হ্রাস পাবার কারণে আবার এ স্রোত নিম্নগামী হয়। এভাবে ভ‚-অভ্যন্তরে
উত্তপ্ত গলিত পদার্থের ঊর্ধ্ব ও নিম্ন গমনের ফলে পরিবহণ সেলের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হয়
পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি পরিচলন স্রোতের সেল বিপরীত দিক থেকে ওপরে উঠে এসে মুখো
মুখি হয়ে আবার নিম্নগামী হয়। এ নিম্নগামী স্রোত ভ‚পৃষ্ঠ বরাবর যে টানের সৃষ্টি হয় তাতে ভ‚-
পৃষ্ঠে ভ‚-অধঃভাঁজ (এবড়ংুহপষরহব) সৃষ্টি হয়। পরবর্তী পর্যায়ে এ নিম্ন অধঃভাজের উভয়
দিকের পরিচলন স্রোতের চাপের ফলে ভাঁজের সৃষ্ট হয় এবং তলদেশ আরো গভীরে গিয়ে
পর্বতের ভিত্তি তৈরি করে।
রর) মহাদেশ গঠনকারী শক্তি
প্রাকৃতিক নিয়মে ভ‚-ত্বকের শিলান্তরের অবস্থানের সময় একটি সাম্য অবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা
চলে যা সমস্থিতি (ওংড়ংঃধংু) নামে পরিচিত। এটি বিস্তৃত এলাকাব্যাপী ভ‚-ত্বকের উর্ধগামী ও
নিম্নগামী অবস্থান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভ‚মিকা রাখে। কম ঘনত্ব বিশিষ্ট ভ‚-ত্বক বেশি ঘনত্ব সম্পন্ন
শিলান্তরের উপরে অবস্থান করে। মহাদেশীয় ভ‚-ত্বক সমুদ্র তলদেশের ভ‚-ত্বকের তুলনায় কম
ঘনত্ব সম্পন্ন, ফলে এ মহাদেশীয় ভ‚-ত্বক সহজেই ভেসে থাকে। ভ‚ত্বকের ক্ষয়কার্যের ফলে
অধঃক্ষেপনসমূহ ঢাল বেয়ে সমুদ্রের তলদেশে জমা হয়। স্থলভাগের ক্ষয়ের ফলে মহদেশের
ভ‚ত্বক এর ওজন হ্রাস পায় ফলে এটি উপরের উঠে আসে। আবার সমুদ্রে এ অধঃক্ষেপগুলো
সঞ্চিত হয়ে এর ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই এর শিলান্তর কিছুটা নিচু হয়। এভাবে সমস্থিতি
মতবাদ অনুযায়ী প্রাকৃতিক ভাবে ভ‚-ত্বকের শিলাস্তরের ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করে।
চিত্র : ৩.১.২ ভূমিরূপের সমিস্থতি (ক) সমখাত বিশিষ্ট বøক সমূহ পানিতে ভাসছে এবং ভারি বøকসমূহ তলদেশে নেমে
ও হালকা বøকসমূহ উঁচু হয়ে ভেসে আছে। (খ) উঁচু পর্বতসমূহের তলদেশ ভূ-ত্বকের অনেক গভীরে নিমজ্জিত।
উৎস : ঐধসনরষরহ ধহফ ঈযৎরংঃরধহংবহ (১৯৯৫)
চিত্র ৩.১.২ থেকে বলা যায়, মহাদেশের উঁচু পর্বতসমূহে ভ‚-ত্বকের অনেক গভীরে নিমজ্জিত
এবং এর পার্শ্ববর্তী স্বল্প উচ্চতা সম্পন্ন এলাকাগুলো ভ‚-অভ্যন্তরের স্বল্প গভীরতায় নিমজ্জিত।
মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় উভয় ভ‚মিরূপই এ ভাসমান অবস্থায় সমিস্থিতি বজায় রাখে।
ইউস্টেটিক আলোড়ন : বিজ্ঞানীদের মতে প্রায় বিশ লক্ষ বছরের পৃথিবীর সমুদ্র তলে যথেষ্ট
পরিবর্তন হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পৃথিবী বেশ কয়েক বার দীর্ঘ সময় ব্যাপী বরফে ঢেকে যায়
এবং বরফের আবরণ মুক্ত হয়। বরফাবৃত হওয়ার সময় সমুদ্র সমতল উপরে উঠে আসে।
এরূপ পৃথিবী ব্যাপী সমুদ্র সমতলের ওঠা নামাকে ইউষ্টেসি (ঊঁড়ংঃধংু) বলে। এর ফলে
পৃথিবীব্যাপী সমুদ্র উপক‚লের বেশ কিছু অংশ সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়।
ভ‚-অভ্যন্তরস্থ প্রচন্ড তাপ ও চাপের ফলে প্রচন্ড শক্তির উদ্ভব হয়। এ শক্তির ক্রিয়ার ফলে
ভ‚-পৃষ্ঠে বা মহাদেশীয় ভ‚-গঠন কাঠামোতে বিচ্যুতি বা পরিবর্তন ঘটায়। এ সমগ্র
প্রক্রিয়াটিই ভ‚ আলোড়ন প্রক্রিয়া। এ ভ‚-আলোড়ন সাধারণত দুভাবে হয়। দ্রæত
পরিবর্তনকারী ও ধীর পরিবর্তনকারী ভ‚-আলোড়ন। দ্রæত পরিবর্তন শক্তির কারণে হঠাৎ
করে কোন অঞ্চলে ব্যাপক পরিবর্তন হয়। এছাড়াও ধীর পরিবর্তনকারী শক্তির ক্রিয়া
পর্বত গঠনকারী ও মহাদেশ গঠনকারী শক্তি হিসেবে কাজ করে। এ প্রক্রিয়া অনেক সময়
নিয়ে পরিবর্তন সাধন করে বলে এটা ধীর পরিবর্তনকারী শক্তি হিসেবে মনে করা হয়। ভ‚
আলোড়ন ভ‚-পৃষ্ঠের উপরিভাগের আকৃতিগত পরিবর্তনে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন () দিন।
১.১. ভ‚-আলোড়ন জনিত শক্তির অন্যতম উৎস ভ‚ অভ্যন্তরস্থ
ক) তাপ খ) চাপ গ) কাঠিন্য ঘ) গ্যাসীয় পদার্থ।
১.২. ভ‚-আলোড়ন জনিত শক্তি কত প্রকার?
ক) দুই খ) তিন গ) চার ঘ) পাঁচ।
১.৩. ধীর পরিবর্তনকারী শক্তির মধ্যে অন্যতমক) মহাদেশীয় ও মহাসমুদ্র গঠনকারী শক্তি
খ) মহাসমুদ্র ও মালভ‚মি গঠনকারী শক্তি
গ) মহাদেশ ও পর্বত গঠনকারী শক্তি
ঘ) উপরের কোনটিই নয়।
১.৪. পর্বত গঠনকারী শক্তি সম্পর্কীয় বর্তমানের সবচেয়ে জোরাল মতবাদটি হচ্ছেক) প্লেট সঞ্চারণ মতবাদ খ) ভ‚-অধ্যৎভাঁজ মতবাদ
গ) সমস্থিতি মতবাদ ঘ) ইউস্টেসি মতবাদ।
১.৫. প্লেট সঞ্চারন মতবাদটি কখন চালু হয়?
ক) ৪০-৫০ এর দশকে খ) ৫০-৬০ এর দশকে
গ) ৬০-৭০ এর দশকে ঘ) ৭০-৮০ এর দশকে।
২. শূন্যস্থান পুরণ করুন :
২.১. ভ‚-অভ্যন্তরে ....... স্রোতের সৃষ্টি হয়?
২.২. ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚-ত্বকের গঠনের অত্যন্ত ....... পরিবর্তন আসে।
২.৩. পর্বত গঠনকারী এলাকা সমূহে ভ‚কম্পন ও ....... উভয় প্রক্রিয়া সক্রিয় দেখা যায়।
২.৪. ভ‚-অভ্যন্তরের তাপজনিত ম্যাগমার পরিচলন স্রোত সম্পর্কিত মতবাদটি ব্রিটিশ বিজ্ঞানী
....... চালু করেন।
২.৫. পৃথিবী ব্যাপী সমুদ্র সমতলের ওঠা নামাকে ....... বলে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. ভ‚-আলোড়ন কাকে বলে?
২. ভ‚-আলোড়ন জনিত শক্তি যে সমস্ত প্রক্রিয়ায় ভ‚-গঠন কাঠামোর বিকৃতি ঘটায় তার ছকটি
উপস্থাপন করুন।
৩. ভ‚-আলোড়নের ফলে দ্রæত পরিবর্তনকারী শক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
৪. পর্বত গঠনকারী শক্তি সাধারণত কিভাবে প্রকাশিত হয়?
৫. পৃথিবীর প্লেটসমূহের নাম লিখুন।
৬. সমস্থিত মতবাদ কি?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. ভ‚-আলোড়ন কাকে বলে? ভ‚-আলোড়নকারী শক্তি সমূহের বর্ণনা দিন।
২. পর্বত গঠন শক্তি সম্পর্কীয় মতবাদ বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]