ভ‚মিকম্প : সংজ্ঞা ও কারণ -----
ভ‚মিকম্প ভ‚পৃষ্ঠে দ্রæত পরিবর্তন সাধনকারী প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত। ভ‚মিকম্প একটি প্রাকৃতিক
দুর্যোগ। পৃথিবীর বহু অঞ্চলেই এর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সভ্যতার বহু ধ্বংসলীলার কারণ
হিসাবে ভ‚মিকম্পকে সরাসরি দায়ি করা যায়। ধারণা করা হয়, গত ৪০০০ বছরে ভ‚মিকম্পের
ধ্বংসলীলায় পৃথিবী প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ্য লোক মারা গেছে। ভ‚মিকম্প সম্পর্কে অতীতের
চেয়ে বিজ্ঞানীরা এখন অনেক বেশি তথ্য জানেন। কিন্তু তা স্বত্তে¡ও ভ‚মিকম্প থেকে নিজেদের
রক্ষা করার ক্ষেত্রে এখনও প্রায় অসমর্থ। এর অন্যতম কারণ, ভ‚মিকম্প কখন সংঘটিত হবে
তা পূর্ব থেকে সঠিকভাবে এখনও অনুমান করা সম্ভব হয় না। কোন ধরনের পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই
তা সংঘটিত হয় বা হতে পারে। তাছাড়া ভূমিকম্প করা সম্ভব হয় না। কোন ধরনের পূর্ব
লক্ষণ ছাড়াই তা সংঘটিত হয় বা হতে পারে তাছাড়া ভ‚মিকম্প যেমন জানমালের ক্ষতি করে
পাঠ-৩.৫
চিত্র ঃ ৩.৫.১ ঃ ভূমিকম্প কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, তীব্রতা ও সমভূকম্পন রেখার সম্পর্ক (রোমান সংখ্যা ভূকম্পন
তীব্রতা নির্দেশ করছে)
তেমনি অত্যন্ত স্বল্প সময়ে ভ‚-পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তাই ভ‚মিকম্প ভ‚-বিজ্ঞানে
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং প্রথমেই জানা যাক, ভূমিকম্প কি?
ভ‚-অভ্যন্তরের কোন কারণে বিপুল শক্তি মুক্ত হওয়ার ভ‚পৃষ্ঠে যে প্রবল ঝাঁকুনি বা ভ‚মিকম্পের
সৃষ্টি হয় তাকে ভ‚মিকম্প বলে। একটি শান্ত পুকুরে ঢিল ছুড়লে যে ঢেউ এর সৃষ্টি হয় তা
পকুরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে ভ‚মিকম্পের ক্ষেত্রেও ভ‚-অভ্যন্তরের যেখানে
শক্তিমুক্ত হয়, সেখানে থেকে পানির ঢেউয়ের মত শক্ত শিলায় তরঙ্গের সৃষ্টি করে এবং তা দ্রæত
চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভ‚-অভ্যন্তরে যেখানে শক্তিমুক্ত হয় তাকে কেন্দ্র (ঋড়পঁং) বলে। কেন্দ্র
থেকে লম্বালম্বিভাবে ভ‚-পৃষ্ঠের উপরিস্থিত বিন্দু উপকেন্দ্র (ঊঢ়রপবহঃৎব) নামে পরিচিত।
ভ‚কম্পকেন্দ্র থেকে দূরত্ব বৃদ্ধির সাথে ভ‚-কম্পশক্তি হ্রাস পায়। ভ‚-কম্পশক্তি সম্পন্ন এলাকাকে
যুক্ত করে মানচিত্রের উপর যে রেখা পাওয়া যায় তাকে সমভ‚কম্পন রেখা (ওংড়ংবরংসধষ ষরহব)
বলে। চিত্রের সাহায্যে এগুলো ভালভাবে বুঝা যায়।
ভ‚কম্প তরঙ্গের উৎপত্তি ও গতি :
ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র হতে ভ‚কম্পন তরঙ্গ প্রথমে ভ‚পৃষ্ঠস্থ উপকেন্দ্রে পৌঁছে। এ কম্পন কোন
একটি নির্দিষ্ট এলকায় শেষ হয়ে যায় না। কয়েক হাজার মাইল পার হয়ে এই কম্পন মূল উৎস
হতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে।
ভ‚মিকম্পের এ কম্পন যত দূরে পৌঁছাবে ততই এর তীব্রতা হ্রাস পায়। কয়েক শত মাইল পার
হলে প্রচন্ডতম ভ‚কম্পনের কম্পনও মানুষের পক্ষের অনুভব করা সম্ভব। বর্তমানে মানুষ
ভ‚মিকম্প লেখ (ঝরবংসড়মৎধঢ়য) নামক যন্ত্রের সাহায্যে মৃদুতম কম্পনও ধরতে সক্ষম।
ভ‚মিকম্পের কারণ :
নানাবিধ কারণে ভ‚মিকম্প হয়। সাধারণতঃ প্রাকৃতিক ভ‚মিকম্পন অভ্যন্তরীণ ও কৃত্রিম
ভ‚মিকম্প বাহ্যিক কারণে হয়। বৈজ্ঞানিকগণ গবেষণা করে ভ‚মিকম্পের নিম্নলিখিত কারণসমূহ
নির্ণয় করেছেন :
১. কোন কারণে ভ‚-অভ্যন্তরে বড় রকমের শিলাচ্যুতি ঘটলে ভ‚মিকম্প হয়। চ্যুতির ফলে
কোন অংশ নীচের দিকে ধসে যায়, আবার কোন অংশ উপরের দিকে ওঠে আসে। নীচের
অংশ যতই তলদেশের দিকে দেবে যা, ততই ভ‚-অভ্যন্তরস্থ তাপে গলে ভ‚পৃষ্ঠের
তলদেশে জমা হয়ে বের হয়ে আসতে উপরের দিকে ঠেলে বের হয়ে আসতে চেয়েছে।
২. ভ‚-আলোড়নের ফলে ভ‚-অভ্যন্তর প্রবল ফ্রিকশান (ঋৎরপঃরড়হ) হয়ে কতক অংশ ধ্বসে
পড়ে (খধহফংষরঢ়), এতে ভ‚মিকম্প হয়।
৩. ভ‚-অভ্যন্তর উত্তপ্ত। তাই তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হচ্ছে। ফলে শিলাস্তর ভারসাম্য
বজায় রাখার জন্য স্থান পরিবর্তন করলে ভ‚ত্বক কম্পিত হয়।
৪. ভুগর্ভে সঞ্চিত বাস্প চাপ বেশি হলে নিম্নভাগে প্রবল ভাবে ধাক্কা দেয়, এতে ভ‚মিকম্প
হয়।
৫. ভ‚গর্ভে চাপ হ্রাস পেলে এর অভ্যন্তরস্থ উত্তপ্ত কঠিন পদার্থ গলে নিচের দিকে নেমে যেতে
ও আলোড়িত হতে থাকে, এতে ভ‚ত্বক কেঁপে উঠে।
৬. ইলাষ্টিক রিবাউন্ড এর কারণে শিলাস্তর নিচের দিকে পতিত হলেও ধাক্কা খেয়ে পূর্বের
স্থানে ফিরে ভ‚ত্বক এ ভ‚মিকম্পের সৃষ্টি করে।
৭. আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময় বহির্মূখী বাষ্প রাশির চাপে ভ‚মিকম্প হয়।
৮. পাহাড় পর্বত থেকে বড় রকম শিলাচ্যুতি হলে ভ‚মিকম্প হয়।
৯. হিমবাহ অঞ্চলে হিমানী স¤প্রপাত হলে (আধষধহপযব) তুষার খন্ডের আঘাতে ভ‚মিকম্প
হয়।
১০. ভ‚-ত্বকের পানি ভ‚অভ্যন্তরে উত্তাপের কারণে বাষ্পে পরিণত হয়। এ বাষ্পের উর্ধ্বমুখী
চাপের ফলে ভূকম্পন হয়।
১১. খনি অঞ্চলের ভ‚-পৃষ্ঠের নিম্নের কতক অংশ হঠাৎ ধসে পড়ে ভ‚কম্পন হয়।
১২. ভ‚-গর্ভস্থ আগ্নেয় পদার্থের ঊর্ধ্বমুখী চাপের ফলে ভ‚কম্পন হয়।
উপরের কারণগুলি বিশ্লেষণ করলে প্রধানতঃ দুটি প্রধান কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। যেমনক. প্লেট সমূহের সংঘর্ষের ফলে ভ‚-ত্বকের যে ফাঁটলের সৃষ্টি হয় তা ভ‚কম্পন ঘটিয়ে থাকে।
খ. ভ‚-অভ্যন্তরে বা ভ‚ত্বকের নীচের ম্যাগমার সঞ্চারণ অথবা চ্যুতি রেখা বরাবর চাপ মুক্ত
হওয়ায় ভূকম্পন হয়ে থাকে।
এই মতবাদটি সংক্ষেপে নিম্নরূপ :
কোন স্থানের শিলার উপর
পরস্পরে বিপরীত দিক থেকে চাপ
প্রয়োগ হয়। এ প্রাকৃতিক কারণে
প্রয়োগকৃত চাপ অনুভ‚মিক ভাবে
অথবা উলম্বভাবে পরস্পর বিপরীত
দিকে ক্রিয়াশীল হয়। ঐ স্থানের
শিলা প্রয়োজনমত আকার
পরিবর্তন করে এ চাপ সহ্য করে
যতক্ষণ না চাপ পীড়নমাত্রা
অতিক্রম করে। শিলা স্তরগুলি খুব
শক্তভাবে বিন্যস্ত থাকে বলে এ সব
শিলা যথেষ্ঠ চাপ সহ্য করতে পারে
কিন্তু চাপ ক্রমাগত বাড়তে থাকলে
দুই বিপরীতমুখী চাপ শিলার যে
স্থানে সমান হয় সেখানে (ঋধঁষঃ
ষরহব) তৈরি হয়। চাপ যখন পীড়ন
মাত্রা অতিক্রম করে তখন হঠাৎ
চ্যুতির স্থান বরাবর শিলাস্তর
বিযুক্ত হয়ে যায় এবং এক স্তর
উপরে এবং অন্য স্তর নিচে নেমে
আসে। শিলার এ বিযুক্ত হওয়ার
সময় নির্গত শক্তিই ভ‚মিকম্প
ঘটায়। চ্যুতির ফলে ভ‚মিকম্পের
সময় আমরা দেখি যে কিছুক্ষণ
পরপর বেশ কয়েকবার ভ‚মিকম্প
হয়। কারণ কোন কোন স্থানে
শিলাচ্যুতির ফলে চ্যুতিরেখা
বরাবর পার্শ্ববর্তী স্থানে বিপরীত
মুখী চাপ বাড়ে এবং চ্যুতি
দীর্ঘায়িত হয়। এ চ্যুতির ফলে
শিলান্তরের বিন্যাস একই থাকে
শুধু স্থান পরিবর্তিত হয় মাত্র। চিত্র ৩.৫.১-এ দেখা যাচ্ছে
চিত্র ঃ ৩.৫.১ ঃ ইলাস্টিক রিবাউন্ড মতবাদ ভিত্তিক শিলায়
স্থিতিস্থাপক শক্তি মুক্তির বিভিন্ন ধাপ।
ক) প্রথম অবস্থায় দুটি শিলাখন্ড একটি ফাটল/চ্যুতি দ্বারা বিভক্ত এবং একটি কাঠের বেড়া
দ্বারা উভয়ই সংযুক্ত।
খ) দ্বিতীয় অবস্থায়, শিলাখন্ডে দুটি বিপরীতমুখী চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাঁ দিকে খন্ড কিছুটা
উপরে উঠে গেছে।
গ) তৃতীয় পর্যায়ে, বাঁ দিকের শিলাখন্ডে চ্যুতি বরাবর পেছনে সরে গেছে এর ফলে উপরের
কাঠের বেড়া ভেঙ্গে গেছে।
ঘ) শেষ পর্যায়ে শিলাখন্ড চাপমুক্ত হয়েছে এবং নতুন অবস্থায় সরে গেছে।
কাজেই আমরা বুঝতে পারছি যে, চাপের মুখে শিলা বেঁকে যায় এবং স্থিতিস্থাপক শক্তি জমা
হয়। এই চাপ সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে শিলা ভেঙ্গে যাবে এবং জমে থাকা স্থিতিস্থাপন
শক্তি ভ‚কম্পন তরঙ্গ হিসাবে পড়ে।
ভ‚মিকম্পের ফলাফল : ভূ-ত্বকের আঞ্চলিক পরিবর্তনকারী প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে ভ‚মিকম্প
একটি। ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚-পৃষ্ঠে এবং ভ‚-অভ্যন্তরে নানারূপ পরিবর্তন দেখা যায়। নীচে
ভ‚মিকম্পের ফলাফল উল্লেখ করা হ’ল।
র) ভূমিকম্পের ফলে ভ‚-ত্বকে ভাঁজের সৃষ্টি হতে পারে;
রর) নদ-নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে;
ররর) ভ‚-ত্বকে ফাঁটল ও চ্যুতির সৃষ্টি হতে পারে;
া) সমুদ্রতলের পরিবর্তন হতে পারে;
ার) ভ‚মির উত্থান ও পতন হতে পারে;
ারর) হিমানী স¤প্রপাত হতে পারে;
াররর) ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, কল-কারখানা ধ্বংস হতে পারে;
রী) জীব জন্তু ও গাছ পালার ধ্বংস হতে পারে; এবং
ী) জন জীবনে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে।
পাঠসংক্ষেপ :
ভ‚মিকম্প ভ‚-পৃষ্ঠে দ্রæত পরিবর্তন সাধনকারী একটি প্রক্রিয়া। এটি একটি প্রাকৃতিক
দূর্যোগ। বর্তমানে মানুষ এই ভ‚মিকম্প সম্পর্কে অতীতের চেয়ে অনেক বেশি তথ্য
জানতে পেরেছেন এবং সচেতন হয়েছেন। তবুও ভ‚মিকম্প থেকে নিজেদের রক্ষা করতে
আমরা প্রায় অসমর্থ। এর অন্যতম কারণ ভ‚মিকম্পের পূর্বাভাস সঠিকভাবে জানা আজও
সম্ভব হয়নি। ভূমিকম্পের ফলে একদিকে যেমন জান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়
অন্যদিকে ভ‚পৃষ্ঠে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। তাই ভ‚-বিজ্ঞানে এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন :
১.১. ভ‚কম্পন পরিবর্তন ঘটায়র) ধীরে রর) দ্রæত ররর) অতি দ্রæত গতিতে
১.২. ভ‚কম্পনের সঠিক পূর্বাভাস
র) সম্ভব রর) সম্ভব নয় ররর) কোনটিই নয়।
১.৩. দূরত্ব বাড়ার সাথে ভ‚কম্পন মাত্রা
র) কমে রর) বাড়ে ররর) দুইটিই।
১.৪. ভ‚মিকম্প মাপন যন্ত্রের নাম
র) লিমোগ্রাফি রর) রেডিওগ্রাফি ররর) সিসমোগ্রাফ।
২. শূন্যস্থান পূরণ করুন :
২.১. ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র থেকে লম্বালম্বিভাবে ভ‚-পৃষ্ঠের উপরিস্থিত বিন্দু ......... নামে
পরিচিত।
২.২. সাধারণত ভ‚ত্বকের কয়েক মাইল ......... ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি হয়।
২.৩. ভ‚মিকম্পের কম্পন যত ......... পৌঁছাবে ততই এর তীব্রতা হ্রাস পাবে।
২.৪. প্লেট সমূহের সংঘর্ষের ফলে ভ‚ত্বকে যে ......... সৃষ্টি হয় তা ভ‚কম্পন ঘটিয়ে থাকে।
২.৫. ভ‚মিকম্প ভ‚পৃষ্ঠে ......... পরিবর্তন সাধনকারী একটি প্রক্রিয়া।
২.৬. ভ‚মিকম্পের ফলে ......... স¤প্রপাত হতে পারে।
৩. সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. ভ‚মিকম্প বলতে কি বুঝেন?
২. ভ‚মিকম্প কেন হয়?
৩. ভ‚তরঙ্গ কি?
৪. চিত্রসহ ইলাষ্টিক রিবাউন্ড মতবাদ ব্যাখ্যা করুন।
৪. রচনামূলক প্রশ্ন :
১. ভ‚মিকম্প কি? ভ‚-কম্প তরঙ্গের উৎপত্তি ও গতি আলোচনা করুন।
২. ভ‚মিকম্পের কারণ ও ফলাফল আলোচনা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ