ভূমিকম্পের ফলাফল এবং পূর্বাভাস বর্ণনা করুন।


ভ‚মিকম্প প্রবণ অঞ্চল :
পৃথিবীতে বেশ কিছু স্থান আছে, যেখানে ভ‚মিকম্পের প্রবণতা বেশি। বেশির ভাগ ভূমিকম্প
শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ পৃথিবীর অল্প কিছু জায়গায় সংঘটিত হয়, এগুলো আয়তনে দীর্ঘ ও
সরু। এদের মধ্যে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হল পৃথিবীর বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা যেমন
ফিলিপাইন, জাপান ইত্যাদি। এছাড়াও নবীন ভঙ্গিল পর্বতমালা ও সামুদ্রিক শৈলশিরাসমূহ এ
অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। ভ‚মিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোকে তিন ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়। এখন
আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানব।
র) প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশ :
প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটের বাইরের দিকের সীমানা বরাবর ভ‚মিকম্প প্রবণতা সবচাইতে
বেশি। এটি একটি মালার মত এই প্লেটকে ঘিরে আছে। এই অংশের আওতায় জাপান,
ফিলিপাইন, চিলি, অ্যালিউসিয়ান দ্বীপপুঞ্জে, আলাস্কা প্রভৃতি প্রধান ভ‚মিকম্প প্রবণ
অঞ্চল। এ সমস্ত অঞ্চলে অগভীর, মাঝারি গভীর কেন্দ্র বিশিষ্ট ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয়।
রর) ভ‚মধ্যসাগরীয় হিমালয় অংশ :
এই অংশে বেশির ভাগই স্থল ভাগ। এই অংশটি আল্পস পর্বত থেকে শুরু করে
ভ‚মধ্যসাগরের উত্তর তীর হয়ে ককেশাস, ইরান, হিমালয়, ইন্দোচীন ও পূর্ব ভারতীয়
দ্বীপপুঞ্জ হয়ে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। অগভীর ও মাঝারী কেন্দ্র বিশিষ্ট ভূমিকম্প এর
অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই ধরনের ভ‚মিকম্প বিশেষত স্থলভাগে দেখা যায়।
ররর) মধ্য আটলান্টিক ভারত মহাসাগরীয় শৈলশিরা অংশ :
উত্তর দক্ষিণ বরাবর মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা এবং ভারত মহাসাগরীয় শৈলশিরা
মিশে তা আফ্রিকার লোহিত সাগর বরাবর ভ‚মধ্যসাগরীয় অংশের সঙ্গে মিশেছে। এই
অংশের ভ‚মিকম্প প্রায় সবই অগভীর কেন্দ্র সম্পন্ন। এ সমস্ত অগভীর ভ‚মিকম্প কেন্দ্র
বেশিরভাগই স্বাভাবিক চ্যুতির (ঘড়ৎসধষ ঋধষঁঃ) স্থানে সংঘটিত হয়।
ভ‚মিকম্পক্রিয়া :
পৃথিবীর সংঘটিত সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে ভ‚মিকম্প অন্যতম। চীনে এই
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে এক নম্বর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রায় ২০ টি বড়
মাপের ভ‚মিকম্প প্রতিবছর পৃথিবীতে ঘটে থাকে। এর থেকে ১টি বা ২টি মারাত্মক ক্ষতির
কারণ হয়। বিশেষ করে বড় ধরনের ভ‚মিকম্পের ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
চিত্র ঃ ৩.৮.১ : পৃথিবীর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল
ভ‚মিকম্পের প্রচন্ড শক্তি ভ‚-পৃষ্ঠে প্রচন্ড ঝাঁকুনির সৃষ্টি করে। এতে করে ভ‚-পৃষ্ঠে প্রবন
আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। এই ধরনের ঝাঁকুনির তীব্রতা, স্থায়ীত্ব ও এতে যে শক্তি ব্যয়িত হয়
তার পরিমাপেণর ওপর কোন এলাকার ধ্বংসের মাত্রা নির্ভর করে। এছাড়াও ভ‚মিকম্প প্রবণ
এলাকার ধ্বংসের মাত্রা নির্ভর করে ঐ এলাকার শিলার প্রকৃতি, ঘরবাড়ি তৈরির সামগ্রী ও
কাঠামোর ওপর। এছাড়াও ভ‚মিকম্পের প্রভাবে পৃথিবী পৃষ্ঠে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
এগুলো সম্পর্কে এখন আমরা জানব।
ফাঁটল ও চ্যুতির সৃষ্টি :
ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚-ত্বকে অসংখ্য ফাঁটল ও চ্যুতির সৃষ্টি হয়। এই ফাঁটল এর মধ্য দিযে কাঁদা,
উষ্ণ পানি, বালু প্রভৃতি নির্গত হয়। চ্যুতির সৃষ্টি হলে দুই চ্যুতির মধ্যবর্তী ভ‚মি বসে গিয়ে গ্রস্ত
উপত্যকা (জরভঃ ঠধষষবু) এবং উঠে যাওয়ায় হর্স্ট (ঐড়ংৎঃ) বা স্তুপ পর্বত সৃষ্টি হয়।
ভাঁজের সৃষ্টি :
ভ‚মিকম্পের ঝাঁকুনিতে অনেক সময় ভ‚-পৃষ্ঠে ভাঁজের সৃষ্টি হয়। এই ভাঁজ সাধারণত বিস্তুীর্ণ
এলাকা জুড়ে হয় না।
নদ-নদীর গতিপথে পরিবর্তন :
নদ-নদীর গতির ওপর ভ‚মিকম্পের প্রভাব ব্যাপক। ভ‚মি কম্পের ফলে মাটি, বালু, পাথর
প্রভৃতি জমা হয়ে নদীর গতি পরিবর্তন হয়। অনেক সময় নদী শুকিয়েও যায় বা জলাভ‚মির সৃষ্টি
করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ১৯৮৭ সালে ভারতের আসাম রাজ্যে যে ব্যাপক ভ‚মিকম্প
হয় এর ফলে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর তলদেশ কিছুটা উঁচু হয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশে নদীটি
তার গতিপথ পাল্টে বর্তমান যমুনা খাত দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
সমুদ্র তলের পরিবর্তন :
ভ‚মিকম্প সমুদ্র তলদেশে সংঘটিত হলে তখন সেখানে ভ‚মি নিচু হয়ে যায় বা উঁচু হয়ে উঠে।
যেমন ১৯২৩ সালে জাপানের সাগামী উপসাগরের আংশিক ২১৫ মিটার ওপরে উঠে যায়। এর
ফলে সাগরে অত্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি করে, যা উপকুলে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছিল।
ভ‚-কম্পন সৃষ্টি এ সমুদ্র সৃষ্ট এ সমুদ্র ঢেউ ‘সুনামী’ নামে পরিচিত। এ সুনামী লোকালয়ে
আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে। যেমন ১৭০৩ সালে সুনামী থেকে জাপানের উপকূলে যে বন্যা
হয়েছে তাতে প্রায় ১০০,০০০ এর বেশি লোক প্রাণ হারায়। সমুদ্রের তলদেশের ব্যাপক
পরিবর্তন গঠিত হয়।
ভ‚মির উত্থান ও পতন :
ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚মির উত্থান ও পতন হয়। যেমন কখনো কখনো উচ্চভ‚মি সমুদ্রের পানিতে
নিমজ্জিত হয় অথবা সমভ‚মি অঞ্চল বসে গিয়ে সেখানে পানি জমে হ্রদের সৃষ্টি হয়। আবার
সমুদ্রের তলদেশের কোন কোন স্থান উঁচু হয়ে সমুদ্রের মধ্যে দ্বীপের সৃষ্টি হয়।
হিমানি স¤প্রপাত :
ভ‚মিকম্পের ঝাঁকুনিতে গা থেকে বড় বড় বরফের খন্ড হঠাৎ নিচে পড়ে এবং পর্বতের
পাদদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ধ্বংসলীলা : ভূকম্পন কোন জনবহুল এলাকায় হলে তা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পানি, গ্যাস
সরবরাহ ও অন্যান্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বিশেষত আগুনের প্রকোপ
মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। যেমন, ১৯০৬ সালে সানফ্রান্সিসকো এবং ১৯৮৯ সালে একই
শহরের লোমা প্রিয়োটা অংশে যে অগ্নিকান্ড ঘটে তাতেই সম্পদের বেশি ক্ষতি হয়। টোকিওতে
১৯২৩ এবং কোবে শহরে ১৯৯৫ সালে যে ভ‚মিকম্প হয় তাতে অগ্নিকান্ডই বেশি ক্ষতিসাধন
করে। বিশেষত আগুনের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। যেমন, ১৯০৬ সালে
সানফ্রান্সিসকো এবং ১৯৮৯ সারে একই শহরের লোমা প্রিয়েটা অংশে যে অগ্নিকান্ড ঘটে তাইে
স্মপদের বেশি ক্ষতি হয়। টোকিওতে ১৯২৩ এবং কোবে শহরে ১৯৯৫ সারৈ যে ভ‚মিকম্প হয়
তাতে অগ্নিকান্ডই বেশি ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া স¤প্রতি ২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সকাল
৫-৩০ মিনিটে ইরানের ভূমিকম্পে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে ধারণা
করা হয়। (উৎস : দৈনিক প্রথম আলো, ২৯ ডিসেম্বর ২০০৩)।
ভ‚মিকম্প অঞ্চলটি পাহাড়ী হলে তা পাদদেশে লোকালয়ে যে কর্দম ঢল (গঁফ ঋষড়ড়ফ),
ভ‚মিধস/শিলাধ্বস (খধহফ ঝষরফব) নিয়ে আসে তার ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
যেমন, ১৯৫০ সালে আসামে, ১৯৭০ সালে পেরুতে, ১৯৮৫ সালে মেক্সিকোতে এবং ১৯৯০
সালে উত্তর পশ্চিম ইরানে সংঘঠিত ভ‚মকম্পে ব্যাপক ভ‚মিধ্বস ঘটে এবং প্রভুত ক্ষতি সাধিত
হয়। এ ভ‚মিধ্বসে ইরানের প্রায় ৫০,০০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে এবং বহু ঘরবাড়ি ধসে
পড়ে।
গ) ভ‚মিকম্প সমুদ্র তলদেশে সংঘটিত হলে তখন সেখানে ভ‚মি নিচু হয়ে যায় বা উচু হয়ে
উঠে। যেমন, ১৯২৩ সালে জাপানের সাগামী উপসাগরের আংশিক ২১৫ মিটার ওপরে উঠে
যায়। ফলে সাগরে অত্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি করে, যা উপকুলে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে ছিল।
ভুকম্পন সৃষ্ট এর সমুদ্র ঢেউ ‘সুনামী’ নামে পরিচিত। যা এ উপক‚লীয় শহর ও অন্যান্য
লোকালয়ে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি করে। যেমন, ১৭০৩ সালে সুনামী থেকে জাপান উপক‚লে
যে বন্যা হয় তাতে প্রায় ১০০,০০০ এর অধিক লোক প্রাণ হারায়। পর্তুগালের রাজধানী
লিসবন শহর ১৭৫৫ সালে এ ধরনের সুনামী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়; এতে প্রায় ৭০,০০০ লোক
মারা যায়। সারণি ১.৯ এর পৃথিবীতে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য কিছু ভ‚মিকম্পের তালিকা দেওয়া
হল।
সারণি ৩.৮.১. পৃথিবীতে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকম্পের তালিকা :
সাল অবস্থান মৃতের সংখ্যা রিকটার সংখ্যা মন্তব্য
১২৯০ চিহিল (হুপেই চীন) ১০০,০০০
১৫৫৬ সেনসি, চীন ৮৩০,০০০
১৭৩৭ কলকাতা, ভারত ৩০০,০০০
১৭৫৫ লিসবন, পর্তুগাল ৭০,০০০ সুনামী ব্যাপক ক্ষতি
করে
১৯০৬ সানফ্রান্সিসকো, ৭০০ ৮.২৫ ব্যাপক অগ্নিকান্ড ঘটে
ইউ, এস, এ
১৯২০ কেনসু, চীন ১৮০,০০০ ৮.৫০
১৯২৩ টোকিও জাপান ১৫০,০০০ ৮.২ অগ্নিকান্ডই বেশি
ক্ষতি করে
১৯৩৫ কোয়েটা, পাকিস্তান ৬০,০০০
১৯৫০ আসাম, ভারত ১,৫৩০ ৮.৭ ভ‚মিধস ঘটায়
১৯৬০ দক্ষিণ চিলি ৫,৭০০ ৮.৫-৮.৭
১৯৭০ পেরু ৬৬,০০০ ৭.৮ ব্যাপক ভ‚মিধস ঘটায়
১৯৭৬ তেংশান, চীন ৬৫০,০০০ ৭.৬
১৯৯০ উ: প: ইরান ৪০,০০০ ৭.৭
১৯৯২ পূর্ব তুরস্ক ৪,০০০ ৬.০-৬.২
১৯৯৩ কিলারী মহারাষ্ট্র, ভারত ২৫,০০০
১৯৯৪ কওকা, কলম্বিয়া ১,০০০ ৬.৮
১৯৯৫ কোবে, জাপান ৬,০০০ ব্যাপক অগ্নিকান্ড ঘটে
ভ‚মিকম্প পূর্বাভাস (ঊধৎঃযয়ঁধশব চৎবফরপঃরড়হ) : যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঠিক
পূর্বাভাস ক্ষয়ক্ষতির হার কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, দুর্যোগের উৎপত্তির স্থল, সময়,
স্থায়িত্বকাল এবং এর শক্তি মাত্রা ও সম্ভাব্য কবলিত এলাকা সম্পর্কে সঠিক পূর্বাভাস বিশেষ
গুরুত্বপূর্ণ। ভ‚মিকম্পের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা এ সমস্ত বিষয়ে পূর্ব থেকে অনুমানের চেষ্টা
করেছেন। অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে ভ‚মিকম্পের প্রকৃতি আলাদা। বিশেষত, এটি
অকস্মাৎ সংঘটিত হয়; খুবই ক্ষণস্থায়ী এবং ভ‚ অভ্যন্তরে ঘটে তাকে। ফলে সরাসরি
পর্যবেক্ষণের কোন সুযোগ নেই। এতদসত্তে¡ও ভ‚মিবিজ্ঞানীরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন যা
ভ‚মিকম্প অনুমানে সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর প্রধান ভ‚গঠন
এসএসএইচএল বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ভূমিরূপ বিদ্যা পৃষ্ঠা-৯৩
প্লেটসমূহের মানচিত্র প্রণয়ন করেছেন। এ মানচিত্র পৃথিবীর প্রধান ভ‚মিকম্পন প্রবণ অঞ্চল
এবং এ সমস্ত অঞ্চলের ভ‚আলোড়ন প্রকৃতি (চিত্র ৩.৮.১) দেখানো হয়েছে। তাছাড়া এ
মানচিত্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটসমূহের মানচিত্র প্রণয়ন করেছেন। এ মানচিত্র পৃথিবীর
প্রধান ভ‚মিকম্পন প্রবণ অঞ্চল এবং এ সমস্ত অঞ্চলের ভ‚-আলোড়ন প্রকৃতি (চিত্র ৩.৮.১)
দেখানো হয়েছে। তাছাড়া এ মানচিত্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটসমূহের কোথায় সম্ভাব্য
বড় মাপের ভ‚মিকম্প ভবিষ্যতে ঘটতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমানে এ
সমস্ত প্লেটের কোথায় নিয়মিত চাপ মুক্ত হচ্ছে তাও জানা যায়। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন,
যে সমস্ত অঞ্চলে গত ১০০ বছরে ভ‚মিকম্প হয়নি অথচ সাধারণভাবে ভুমিকম্প প্রবণ অঞ্চল
হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে ভ‚মিকম্পের সম্ভবনা খুব বেশি। এগুলোর মধ্যে জনবহুল দক্ষিণ
ক্যালিফোনিয়া, মধ্য জাপান, মধ্য চিলি, তাইওয়ান এবং সুমাত্রার পশ্চিম উপক‚ল উল্লেখযোগ্য।
এ সমস্ত অঞ্চলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে রিখটার মান এ উচ্চ মাত্রার ভ‚মিকম্পের
সম্ভাবনা আছে।
পাঠ সংক্ষেপ
পৃথিবীর সর্বত্র ভ‚মিকম্পের প্রকোপ সমান নয়। বেশির ভাগ ভ‚মিকম্প (প্রায় ৯৫ ভাগ)
শক্তি পৃথিবীর অল্প কিছু জায়গায় উন্মুক্ত হয়, যা আয়তনে দীর্ঘ ও সরু। এদের মধ্যে
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হচ্ছে পৃথিবীর বৃত্তচাপীয় দ্বীপমালা (যেমনফিলিপাইন, জাপান)। এছাড়াও নবীন ভঙ্গিল পর্বতমালা ও সামুদ্রিক শৈলশিরাসমূহ।
ভ‚মিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোকে তিনটি প্রধান অঞ্চরে ভাগ করা যায়-১) প্রশান্ত
মহাসগারীয় অঞ্চল ২) ভুমধ্যসাগরীয়-হিমালয় অঞ্চল ৩) মধ্য আটলান্টিক ভারত
মহাসাগরীয় অঞ্চল। ভ‚মিকম্পের ফলাফলস্বরূপ ব্যাপক প্রাণহানিও সম্পদের অপূরণীয়
ক্ষতি হয়। ভ‚মিকম্পের সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া কার্যত সম্ভব না হলেও ভ‚-বিজ্ঞানীরা বেশ
কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন যা ভ‚মিকম্প অনুমানে সহায়ক হবে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন :
১.১. ভ‚মিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলোকে ........ প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়।
১.২. প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটের ........ দিকে সীমানা বরাবর ভ‚মিকম্প প্রবণতা সবচাইতে
বেশি।
১.৩. অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে ভ‚মিকম্পের ........ আলাদা।
১.৪. যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঠিক ........ ক্ষয়ক্ষতির হার কমাতে সাহায্য করে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
১. প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভ‚মিকম্প প্রবণ অঞ্চলের আওতায় কোন দেশসমূহ পড়ে?
২. মধ্য আটলান্টিক ভারত মহাসাগরীয় শৈলশিলার অংশে ভূমিকম্পের গভীরতা কেমন?
৩. স্রস্ত উপত্যকা কিভাবে সৃষ্টি হয়?
৪. ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে সাধারণত কেমন এলাকা জুড়ে ভাঁজ হয়?
৫. ভ‚মিকম্পে বাংলাদেশে কোন নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১। ভ‚মিকম্প প্রবণ অঞ্চলের বর্ণনা দিন।
২। ভ‚মিকম্পের ফলাফল এবং পূর্বাভাস বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]