হিমবিধৌত সমভূমি, এস্কার, কেম, ভ্যালি ট্রেন, ভার্ব।
হিমবাহ গলিত পানি ধারার সঞ্চয় দ্বারা গঠিত ভূমিরূপ-এর বর্ণনা দিন।


(ক) হিমরেখা, (খ) হিমশৈল, (গ) সার্ক, (ঘ) ইউ-আকৃতি উপত্যকা, (ঙ) তুষার, (চ)
হিমবাহ, (ছ) ঝুলন্ত উপত্যকা, (জ) গ্রাবরেখা, (ঝ) প্রান্ত গ্রাবরেখা, (:) ফিয়র্ড (ট)
হিমবিধৌত সমভ‚মি, (ঠ) ড্রামলিন ও (ড) পিরামিডীয় শৃঙ্গ।
অনেক সময় হিমবাহ গলিত পানি ধারা বালু, কর্দম, কাঁকর প্রভৃতি বহুদূর পর্যন্ত বহন করে
থাকে। এ সকল পদার্থ পরে অসমানভাবে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার ভ‚মিরূপ গঠন
করে। এ জাতীয় ভ‚মিরূপ স্তরে স্তরে গঠিত হয় বলে এদের হিমবাহের স্তরীভ‚ত সঞ্চয়ও
(ঝঃৎধঃরভরবফ উবঢ়ড়ংরঃ) বলা হয়। এ প্রক্রিয়ার সাহায্যে হিম বিধৌত সমভ‚মি, এস্কার, কেম ও
কেম সোপান, ভ্যালিট্রেন, ভার্ব প্রভৃতি ভ‚মিরূপ গঠিত হয়।
১) হিমবিধৌত সমভ‚মি (এষধপরধষ ঙঁঃধিংয চষধরহ) : অনেক সময় হিমবাহ গলিত পানি
ধারা সূক্ষèতর পদার্থগুলোকে হিমবাহিক উপত্যকার বাইরে পাখার ন্যায় সঞ্চিত হয়।
এরূপ পাখার ন্যায় সমভ‚মিকে হিমবিধৌত সমভ‚মি বলা হয়। এদের উপরিভাগ সাধারণত
অসমান থাকে। বরফের
প্রান্তদেশের নিকট
বৃহদাকৃতির প্রস্তরখন্ড এবং
প্রান্তদেশ থেকে দূরে সূ²
কণা সঞ্চিত হয়ে থাকে।
একে আউটওয়াশ বলে
(চিত্র-৫.১৪.১)। এই সূ²
আউটওয়াশের মধ্যে
অনেক সময় বরফের
টুকরা থেকে যায় এবং
পরে বরফ গলে ঐ অংশটি অবনমিত হয়ে গর্তের সৃষ্টি করে। এভাবে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
গর্তযুক্ত আউটওয়াশকে কেটলিহোল বা গর্ত (কবঃঃষব-যড়ষব) বলা হয়।
২) এস্কার (ঊংশবৎ) : হিমবাহ-বাহিত প্রস্তর, কাঁকর, বালি প্রভৃতি নিম্নে বরফ-গলিত পানি
ধারার মাধ্যমে যে সকল অঞ্চলে সঞ্চিত হয়, সেখানে প্রস্তরখন্ড (এৎধাবষ) ও বালির দ্বারা
গঠিত আঁকাবাঁকা শৈলশিরা (ঝরহঁড়ঁং জরফমবং) গঠিত হতে দেখা যায় একে এস্কার
বলে। এরা সাধারণত ৫০-৯০ মি. উঁচু, ৮-২৪ কি.মি. লম্বা এবং কয়েকশ মিটার প্রশস্ত
হয়। এস্কার হিমবাহের তলদেশে বা পার্শ্বে গঠিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটাই
হিমবাহিক অঞ্চলের যাতায়াত পথরূপে ব্যবহৃত হয়। ফিনল্যান্ড, সুইডেন প্রভৃতি দেশে
প্রচুর এস্কার দেখতে পাওয়া যায়।
৩) কেম (কধসব-যড়ষব) : কখনও কখনও হিমবাহের শেষ প্রান্তে ধীরে ধীরে পলি সঞ্চিত
হয়ে কোনাকৃতি ব-দ্বীপের সৃষ্টি হয়। হিমবাহ গলিত পানি স্রোতের দ্বারা গঠিত এরূপ বদ্বীপকে কেম বলে। হিমবাহের মধ্যস্থিত ফাটলে প্রবাহিত জলধারা সঞ্চয়ের ফলে
শৈলশিরার মতো কেম সৃষ্টি হতে পারে। এদেরকে ক্রিভাস কেম (ঈৎবাধংংব কধসব)
বলে। এটি অনুরূপভাবে গঠিত এস্কারের সমগোত্রীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে সাধারণত
এস্কারের দৈর্ঘ্য বেশী থাকে। কেম সঞ্চিত হয়ে হিমবাহিক উপত্যকার উভয় পাশে সমতল
সোপানের ন্যায় যে ভ‚-ভাগের সৃষ্টি হয় তাকে কেম সোপান (শধসব ঞবৎৎধপব) বলে।
৩) ভ্যালি ট্রেন (ঠধষষবু ঞৎধরহ) : পার্বত্য উপত্যকায় অনেক সময় আউটওয়াশ-এর বালু,
কর্দম প্রভৃতি গ্রাবরেখারও নিচে প্রবাহিত হয়ে উপত্যকার নিম্নাংশে প্রসারিত হয়। এটি
পাঠ-৫.১৪
চিত্র ৫.১৪.১ : গ্রাবরেখার, ড্রামলিন এবং আউট ওয়াস
হিমবাহ গলিত
পানি ধারা সঞ্চিত
ভূমির-রূপ যেমনহিমবেধৌত
সমভূমি, এস্কার,
কেম ও কেম
সোপান, ভ্যাটিট্রেন,
ভার্ব ইত্যাদি।
অনেক সময় নদীর দ্বারা ব্যবচ্ছিন্ন ও হয়। এরূপ ব্যবচ্ছিন্ন আউটওয়াশকে ভ্যালি ট্রেন
বলে।
৩) ভার্ব (ঠধৎাব) :
আউটওয়াশ-এর অতি সূ² অংশগুলো অনেক সময় প্রান্তীয় হিম হ্রদে (চৎড়মষধপরধষ ষধশব)
পতিত হয়। পরে তা পানির তলদেশে সঞ্চিত হয়ে ভার্ব-এর সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মকালে
হিমবাহের গলনের ফলে নদীর ক্ষয় দ্রæত হয় এবং তখন হ্রদের পানিতে সূ² পলি (ঝরষঃ)
এবং কর্দম (ঈষধু) উভয়ই চলে আসে। পলি পানির তলদেশে দ্রæত সঞ্চিত হয় বটে কিন্তু
কর্দম বহুদিন ধরে পানির তলায় সঞ্চিত হয়। ফলে ভার্ব-এ একটি সূ² এবং একটি
অপেক্ষাকৃত স্থূল স্তর দেখা যায়। এ দুটি স্তর যথাক্রমে হালকা ও গাঢ় রং দ্বারা নির্দেশিত
হয় এবং এ দুটি স্তর একটি বছরের সঞ্চয়কে নির্দেশ করে। সুইডেনে হ্রদে সঞ্চিত ভার্ব-
এর স্তর গণনা করে প্লাইস্টোসিন যুগের বয়স গণনা করা সম্ভব হয়েছে।
পাঠসংক্ষেপ :
হিমবাহ দুভাবে সঞ্চয়কার্য করে থাকে। প্রথমটি হলো হিমবাহ নিজেই কাঁকর, প্রস্তরখন্ড,
বালু, কর্দম ইত্যাদি সঞ্চয় করে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে হিমগলিত পানি ধারা
নানা প্রকার পদার্থ সঞ্চয় করে। প্রথমটিকে বলা হয় (ক) হিমবাহের সঞ্চয় (এষধপরধষ
উবঢ়ড়ংরঃং) এবং দ্বিতীয়টিকে বলা হয় (খ) হিমবাহ গলিত পানি ধারার সঞ্চয় (ঋষাঁরড়এষধপরধষ উবঢ়ড়ংরঃং)। হিমবাহ দ্বারা জমাকৃত তলানিতে কোনো স্তর থাকে না এ জাতীয়
সঞ্চয়কে অস্তরীভ‚ত সঞ্চাত (টহংঃৎধঃরভরবফ উৎরভঃ) বলে। হিমবাহ গলিত পানি ধারার
সঞ্চয় দ্বারা যে ভ‚মিরূপের উদ্ভব হয় তাতে স্তর থাকায় ঐ ধরনের সঞ্চয়কে স্তরীভ‚ত
সঞ্চাত (ঝঃৎধঃরভরবফ উৎরভঃ) বলা হয়।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. শূন্যস্থানপূরণ করুন :
১.১. পাখার ন্যায় সমভ‚মিকে ............. সমভ‚মি বলা হয়।
১.২. ............ সাধারণত ৫০-৯০ মি. উঁচু. ৮-২৪ কি. মি. লম্বা এবং কয়েকশ মিটার প্রশস্ত
হয়।
১.৩. কখনও কখনও হিমবাহের শেষ প্রান্তে ধীরে ধীরে পলি সঞ্চিত হয়ে কোনাকৃতি ব-দ্বীপের
সৃষ্টি হয়, এরূপ ব-দ্বীপকে ................ বলে।
১.৪. ব্যবচ্ছিন্ন ...................কে ভ্যালি ট্রেন বলে।
১.৫. সুইডেনে হ্রদে সঞ্চিত ভার্ব-এর স্তর গণনা করে............ যুগের বয়স গণনা করা সম্ভব
হয়েছে।
১.৬. এভাবে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্তযুক্ত আউটওয়াশকে ............ বা গর্ত (কবঃঃষব-যড়ষব) বলা
হয়।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. সংজ্ঞা দিন
হিমবিধৌত সমভ‚মি, এস্কার, কেম, ভ্যালি ট্রেন, ভার্ব।
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. হিমবাহ গলিত পানি ধারার সঞ্চয় দ্বারা গঠিত ভ‚মিরূপ-এর বর্ণনা দিন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]