পেশা ও উপজীবিকা কি? এ দু'টির সাথে মানব কর্মকান্ডের
মানব কর্মকান্ড কাকে বলে? এই কর্মকান্ডের শ্রেণীভাগ করুন।


মানবিক ভ‚গোল: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সংক্ষেপে বলতে গেলে পারিসরিক, বাস্তব্য এবং আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভ‚-পৃষ্ঠে পরিবেশের সাথে মানুষ
এবং মানুষের কর্মকান্ডের আন্ত:সম্পর্ক উদঘাটন মানবিক ভ‚গোলের প্রধান উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য
পরিপূরক মানবিক ভ‚গোলে সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণ পদ্ধতি রয়েছে। এই বিশ্লেষণ পদ্ধতি দ্বারা মানব
কর্মকান্ডের বৈশিষ্ট্য ও ধারা উপরোক্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে পর্যালোচনা করাই মানবিক ভূগোলের প্রধান লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য।
নিæে বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলির উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো:
১। পর্যবেক্ষণ: পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণ পদ্ধতির প্রাথমিক পর্যায়। পর্যবেক্ষণ তথ্য সংগ্রহের প্রধান ও
প্রাথমিক উৎস। ভ‚-পৃষ্ঠের নির্দিষ্ট এলাকা সরাসরি পর্যবেক্ষণের দ্বারা তথ্যাদি সংগৃহিত হতে পারে। এ
ছাড়া মানচিত্র, আলোকচিত্র এবং দূর অনুধাবন তথ্য (যেমন, বিমান চিত্র এবং উপগ্রহ চিত্র) ব্যবহার
করেও ভ‚-পৃষ্ঠে মানব কর্মকান্ড এবং পরিবেশগত তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
২। সমীক্ষা: নির্দিষ্ট উপাদান সহযোগে পর্যবেক্ষিত বৈশিষ্ট্যের যথার্থতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য সমীক্ষা বা
গবেষণার বিশেষ ভ‚মিকা রয়েছে। মানবিক ভ‚গোলের বিষয়াদি সমীক্ষার জন্য কোন ক্ষুদ্র এলাকাকে
গবেষণাগার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে এই এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন সমীক্ষা
কৌশল অবলম্বন করা যায়।
৩। মূল্যায়ণ: সংগৃহিত তথ্য বিশ্লেষণ ও যাচাইয়ের জন্য প্রাথমিক ব্যাখ্যামূলক এবং পরিসংখ্যানগত
পদ্ধতির প্রয়োগ তথ্য মূল্যায়ণের অপরিহার্য উপায়। বর্তমানে এই মূল্যায়নে বিভিন্ন কম্পিউটার পদ্ধতি,
যেমন, জি, আই, এস (এওঝ)-এর ব্যবহারের ব্যাপকতা লাভ করছে। মূল্যায়ণের ফলে তথ্য যাচাইকরণ
বিষয়টি সহজ হয়ে পড়ে এবং তথ্যগত ভ্রান্তি নিরসনে সহায়ক হয়।
৪। মানচিত্রায়ণ: মানচিত্রায়ণ মানবিক ভ‚গোল তথা ভ‚গোল শাস্ত্রের বিশ্লেষণ পদ্ধতির বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
দিক। তথ্য মানচিত্রায়নের ফলে নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক উপাদানসমূহের বৈশিষ্ট্য পরিষ্ফুট হয়ে উঠে। বিশেষ
করে মানব কর্মকান্ডের উপাদানসমূহের বিন্যাস (চধঃঃবৎহ), বন্টন (উরংঃৎরনঁঃরড়হ) এবং আঞ্চলিকরণ
(জবমরড়হধষরুধঃরড়হ) ব্যাখ্যা সহজতর হয়। অনেকসময় এই মানচিত্রায়নের সাথে দূর অনুধাবন তথ্য
সংযোগ করে মানুষ পরিবেশ সম্পর্ক বিশ্লেষণের মাত্রা উন্নীত করা যায়।
৫। মডেল প্রণয়ন: বিশ্লেষণভিত্তিক তত্ত¡ উপস্থাপন অথবা মডেল নির্মাণ মানবিক ভ‚গোলে তথ্য
বিশ্লেষণের চূড়ান্ত লক্ষ্য। মডেল তত্তে¡র সরলীকৃত রূপ। প্রকৃত কথায় তত্ত¡ প্রতিষ্ঠায় বাস্তবতার সরলীকৃত
ব্যাখ্যামূলক ধারণা হচ্ছে মডেল। আবার দীর্ঘকাল ও বিভিন্নভাবে পরীক্ষিত ও যাচাইকৃত মডেল তত্তে¡
রূপ লাভ করে।
উপরে বর্ণিত পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিতে ভ‚-পৃষ্ঠে মানব-পরিবেশ সম্পর্ক বিশ্লেষণ মানবিক ভ‚গোলের প্রধান
লক্ষ্য।
পাঠসংক্ষেপ:
পারিসরিক, বাস্তব্য এবং আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভ‚-পৃষ্ঠে পরিবেশের সাথে মানুষ ও মানুষের কর্মকান্ডের
আন্ত:সম্পর্ক উদঘাটন মানবিক ভ‚গোলের প্রধান উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য সাধনে পর্যায়ক্রমিক বিশ্লেষণ
অনুসরণ করা হয়। এই পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিতে ভ‚-পৃষ্ঠে মানব-পরিবেশ সম্পর্ক বিশ্লেষণ মানবিক
ভ‚গোলের প্রধান লক্ষ্য।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন: ১.২
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন:
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন:
১.১. পারিসরিক, বাস্তব্য এবং ---- দৃষ্টিভঙ্গিতে ভ‚-পৃষ্ঠে পরিবেশের সাথে মানুষ এবং মানুষের
কর্মকান্ডের আন্ত:সম্পর্ক উদঘাটন মানবিক ভ‚গোলের প্রধান উদ্দেশ্য।
১.২. পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণ পদ্ধতির ---- পর্যায়।
১.৩. মানবিক ভ‚গোলের বিষয়াদি সমীক্ষার জন্য কোন ---- এলাকাকে গবেষণাগার হিসাবে ব্যবহার
করা যায়।
১.৪. মূল্যায়ণের ফলে তথ্য ---- বিষয়টি সহজ হয়ে পড়ে।
১.৫. ---- মানচিত্রায়নের ফলে নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক উপাদানসমূহের বৈশিষ্ট্য পরিষ্ফুট হয়ে উঠে।
১.৬. মডেল ---- সরলীকৃত রূপ।
সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন:
১. পর্যবেক্ষণ কি?
২. সমীক্ষা কি?
৩. মূল্যায়ন কি?
৪. মানচিত্রায়ন কি?
৫. মডেল প্রণয়ন কি?
রচনামূলক প্রশ্ন:
১. মানবিক ভ‚গোলের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাখ্যা করুন।
২. মানবিক ভ‚গোলের লক্ষ্য অর্জনে পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতিগুলি আলোচনা করুন।
পাঠ-১.৩ মানব কর্মকান্ড
এই পাঠ পড়ে আপনি-
◆ প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড;
◆ মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড;
◆ তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ড; এবং
◆ চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড সম্বন্ধে জানতে পারবেন।
মানবিক ভ‚গোলে মানব কর্মকান্ড বলতে কোন জনগোষ্ঠী বা এলাকার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অর্থনীতিক কর্মকান্ড
বুঝায়। জনগোষ্ঠীর জীবন ধারণের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, গৃহ, হাল-হাতিয়ার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, আবাস
উপকরণ, ঔষধপত্র, ব্যবসা-বাণিজ্যের উপযোগ প্রভৃতি নানাবিধ পণ্য ও পরিচর্যার প্রয়োজন এবং
সেগুলির উৎপাদন (চৎড়ফঁপঃরড়হ), বন্টন (উরংঃৎরনঁঃরড়হ) এই সমস্ত কর্মকান্ডের মূল্য-বাণিজ্যিক ও
সামাজিক উভয়ার্থে রয়েছে। এই কর্মকান্ডের পরিধি ব্যাপক এবং এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রকার
উপজীবিকার বা পেশা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মানুষ যে কর্মের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশাগত বৈশিষ্ট্য
পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসীদের কর্মকান্ডের প্রকৃতি বা ধরণ সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়।
লক্ষণীয় যে, মানুষের পেশা বিচিত্র ও বিভিন্নমুখী হতে পারে। একটি শিল্পোন্নত দেশে প্রায় ১০,০০০
এরও বেশী বিভিন্ন পেশা রয়েছে। সম্ভাবত এত বিপুল সংখ্যক পেশার শ্রেণী বিভাগ এবং পর্যালোচনা
করা সহজসাধ্য নয়। তবে পেশা যেহেতু সামগ্রিক কর্মের বা কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে শ্রেনীভাজন সম্ভব।
সুতরাং সহজপন্থা হিসাবে মানুষের অর্থনীতিক কর্মকান্ডকে সাধারণত: পর্যায়মূলক চারটি শ্রেণীতে ভাগ
করা যায়:
১। প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড (চৎরসধৎু অপঃরারঃরবং);
২। মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড (ঝবপড়হফধৎু অপঃরারঃরবং);
৩। তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ড (ঞবৎঃরধৎু অপঃরারঃরবং); এবং
৪। চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড (ছঁধৎঃবৎৎধৎু অপঃরারঃরবং)
প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড
প্রধানত: প্রকৃতি নির্ভর কর্মকান্ডকে প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড বলে। এই পর্যায়ের কর্মকান্ডে তেমন শিল্প
ভিত্তিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না-ও হতে পারে এবং উৎপাদিত পণ্যের প্রক্রিয়াকরণ সাধারণত ঘটেনা। এই
কারণে একে মানুষের মৌলিক কর্মকান্ডও বলা হয়ে থাকে।
এই কর্মকান্ডের মধ্যে:
#NAME?
শিকার;
- পশুচারণ (ঐবৎফরহম) যেমন, প্রাকৃতিকভাবে পশুপালন;
- কৃষিকার্য (অমৎরপঁষঃঁৎব) যেমন কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রধানত খাদ্যশষ্য; এবং
- উত্তোলন (ঊীঃৎধপঃরড়হ) যেমন, খনন কাজের মাধ্যমে নুড়ি, বালি এমন কি খনিজ দ্রব্য আহরণ।
প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ডে জড়িত প্রধান পেশাজীবী হচ্ছে কৃষক, মৎস্যজীবি , শিকারী, কাঠুরিয়া খনি
শ্রমিক, পশুপালন, মধু বা বনজ দ্রব্য সংগ্রাহক প্রভৃতি। একারণে পেশা ভিত্তিক বা কার্মিক দৃষ্টিভঙ্গিতে
প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড নিæোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়:
- কৃষি: খাদ্যশষ্য এবং অর্থকরী শষ্য;
- মৎস্য আহরণ: মিঠাপানি এবং লোনাপানির মৎস্য আহরণ;
- অরণ্য ও বনজ দ্রব্য আহরণ: কাঠ ও ওষুধী এবং মধূ ইত্যাদি সংগ্রহ;
- পশুপালন: দুগ্ধজাত পণ্য এবং পশু দ্রব্য উৎপাদন ; এবং
- খনিজ দ্রব্য আহরণ: খনন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন খনিজ (কয়লা, তেল ও গ্যাস) উত্তোলন।
অনেক সময় পশুপালনকে কৃষি কর্মকান্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। এই সমস্ত বিভাবিজনের
প্রতিটির একাধিক শ্রেণীভাগ রয়েছে । নির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে স্থান ও কালভেদে এই শ্রেণীবিভাজন হয়ে
থাকে। এর মধ্যে বিশ্ব কৃষির নি¤œরূপ শ্রেণীবিভাজন করা যায় ( চিত্র ১.১.১)
সারণী-১.৩.১
কৃষির শ্রেণীবিভাজন বৈশিষ্ট্য প্রধান অঞ্চল/দেশ উৎপাদিত পণ্য
১। স্বয়ংভোগী কৃষি নিজ চাহিদা পূরণ ও
উদ্বৃত্তবিহীন উৎপাদন।
দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও
কতিপয় প্রশান্ত মহাসাগরীয়
দ্বীপ রাষ্ট্র।
ধান, ভ‚ট্টা ও অন্যান্য
স্থানীয় খাদ্য শস্য।
২। চত্ত¡র কৃষি পাহাড়ী ঢালে পানি সেচ
সমম্বয়কারী।
দক্ষিণ-পূর্বএশিয়ার
পাহাড়ী অঞ্চল।
প্রধানত ধান।
৩। নিবিড় শুষ্ক কৃষি ৪০′′র নিচে বৃষ্টিপাত,
নিবিড় সেচ ভিত্তিক।
মধ্য এশিয়া, প্রধানত: চীন
ও মঙ্গোলিয়া।
প্রধানত ধান, ভুট্টা এবং
যব।
৪। উপনিবিষ্ট কৃষি আর্দ্রবিষুবীয় অঞ্চল,
ঔপনিবেশিক শাসনামল
প্রচলিত বাণিজ্যিক কৃষি।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বএশিয়া
ক্যারিবিয় অঞ্চল,প্রশান্ত
মহাসাগরীয় দ্বীপাঞ্চল।
চা, কফি, রবার, ইক্ষু,
কলা, বাদাম, এবং
আনারস।
৫। চারণ বৃত্তিক
যাযাবর কৃষি
পশুপালন এবং মৌসুমী
অভিগমন ধারা।
উত্তর ইরান, উত্তর ইরাক,
পূর্ব তুরস্ক মধ্য এশিয়া এবং
পূর্ব আফ্রিকা।
মেষ এবং ছাগল
পালন।
৬। বাণিজ্যিক
পশুপালন
(র‌্যানচিং)
বৃহদায়তন বাণিজ্যিক
পুঁজি ভিত্তিক গোবাদি পশু
পালন।
মধ্য যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা,
অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।
মানব উৎপাদনের জন্য
গরু ও মেষ পালন।
৭। বাণিজ্যিক কৃষি বৃহদায়তন বাণিজ্যিক
পুঁজি ভিত্তিক শস্যচাষ।
যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া
আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও
ইউক্রেইন।
গম, ধান, যব, তুলা।
৮। উদ্যান ও শস্য
কৃষি
স্বল্পায়তন বাণিজ্যিক ও
নিবিড় পুঁজিভিত্তিক
চাষাবাদ।
ইউরোপীয় দেশসমূহ বিশেষ
করে নেদারল্যান্ড, জার্মানী,
ফ্রান্স, ইটালী।
গম, আঙ্গুর, আপেল,
শাক-সবজী।
৯। মিশ্রকৃষি স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী
বানিজ্যিকভাবে চাষাবাদ
ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চল, পশ্চিম
যুক্তরাষ্ট্র
গম, ভুট্টা, ফলমূল,
শাক-সবজী।
১০। উদ্যান কৃষি বিশেষ চাহিদা ভিত্তিক,
যেমন শহর বা
লোকালয়ের চাহিদা
অনুযায়ী কৃষিকাজ।
বিশ্বের প্রায় সকল বড় নগরবন্দর সন্নিহিত এলাকায়
বিশেষায়িত কৃষি।
তাজা শাক-সবজী, ফল
এবং টাটকা ফলমূল।
মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড
মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং পরিবর্ধিত রূপমাত্র। এই
পর্যায়ে প্রাথমিক কর্মকান্ড দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্যের উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী
ব্যবহার উপযোগিতা নিশ্চিত করা হয়। এই উৎকর্ষ সাধন প্রধানত: দ্রব্যের প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে
ঘটে থাকে। ফলে দ্রব্যের গুনগত মানই পরিবর্তন হয় না, ইহার ভৌত পরিবর্তন ঘটে। উদাহরণস্বরূপ
উল্লেখ করা যায় যে, প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যদ্বারা উৎপাদিত দ্রব্য যেমন, তুলা থেকে বয়ন শিল্প প্রক্রিয়ার
ফলে বস্ত্র, আকরিক লৌহ থেকে ইস্পাত, ইক্ষু থেকে চিনি ইত্যাদি। মাধ্যমিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পেশা
হচ্ছে শিল্প শ্রমিক এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কীয় সকল পেশা।
সারণী- ১.৩.২
মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড: প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠান
১। শিল্প উৎপাদন: ভারী ও হাল্কা শিল্প।
(ক) ভারী শিল্প : লৌহ ও ইস্পাত শিল্প,
প্রকৌশল যন্ত্রপাতি (রেল ও জাহাজ নির্মাণ),
মটরগাড়ী ও উড়োজাহাজ নির্মাণ,
ভারী রসায়ন শিল্প (অন্যান্য শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন)
(খ) হাল্কা শিল্প :
বস্ত্র বয়ন শিল্প,
রসায়ন ও ঔষধ শিল্প,
খাদ্য ও পানীয় শিল্প,
ইলেকট্রনিক্স শিল্প,
খেলনা ও বিনোদন দ্রব্য নির্মান।
২। বিশ্বের প্রধান শিল্পাঞ্চল :
(ক) উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ; দক্ষিণ-মধ্য ইউরোপ, উরাল-মস্কো এলাকা;
(খ) দক্ষিণ জাপান, দক্ষিণ-পূর্ব চীন, তাইওয়ান;
(গ) উত্তর-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্র;
(ঘ) অন্যান্য এলাকা: কোরিয়া ও ভারত।
কাঁচামালের প্রাপ্তি ও অনুক‚ল ভৌগোলিক এবং অর্থনীতিক অবস্থা অনুযায়ী বিশ্বের কতিপয় শিল্পাঞ্চল
গড়ে উঠেছে। সাধারণভাবে শিল্প অবস্থানের নিয়ামকগুলি হলো: ভ‚মির প্রাপ্যতা, কাঁচামাল ও শ্রমিকের
সরবরাহ, পুঁজি, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং উৎপাদিত দ্রব্যের বাজার। এ ছাড়া সরকারী পর্যায়ে
প্রশাসনিক নীতিমালা অনেক সময় সাহায্যকারী উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ড:
প্রধানত মাধ্যমিক এবং অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ডের উপর নির্ভরশীল কর্মকান্ডকে তৃতীয়
পর্যায়ের কর্মকান্ড বলা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদিত দ্রব্যাদির (যদি উদ্বৃত থাকে) বাজারজাতকরণের
মাধ্যম সমূহ এবং এর জন্য পুঁজি, বিনিয়োগ, বীমা, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা ও সম্পর্কীয় সেবা সমূহ এই
পর্যায়ের কর্মকান্ডের অন্তর্ভ‚ক্ত। মাধ্যমিক পর্যায়ের উৎপাদিত দ্রব্যের বিক্রয়, পরিবহন ও পরিচর্যামূলক
কর্ম তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ড হিসাবে পরিগণিত। এই পর্যায়ের প্রধান কার্যাবলীকে তিন শ্রেনীতে ভাগ
করা যায়:
- সেবা বা পরিচর্যামূলক;
- বাণিজ্যিক; এবং
- অর্থ ব্যবস্থাপনা।
সারণী- ১.৩.৩ : তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ডের শ্রেণীভাগ
কার্যাবলী প্রতিষ্ঠান অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য
ক) সেবা বা পরিচর্যামূলক
বিনোদনমূলক নাট্যশালা, সিনেমা, পার্ক,
স্টেডিয়াম, রেস্তোরাঁ,
চিড়িয়াখানা, চিত্রশালা।
ক্রেতা বা ভোগকারীদের অবস্থানের
নিকট, পরিব্রাজক পথে এবং বহু
ভোগকারীদের চাহিদার পরিপূরক।
বৃত্তিমূলক হোটেল, মোটেল, পেট্রোল
পাম্প, অবসর কেন্দ্র ইত্যাদি।
প্রাকৃতিক যা মানবসৃষ্ট লোকালয়
থেকে দূরে সহজসাধ্য যাতায়াত
ব্যবস্থা সম্পন্ন।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিকিৎসাকেন্দ্র, নিরাময় কেন্দ্র,
হাসপাতাল ও ক্লিনিক।
জনবসত বা নগরকেন্দ্রে সহজসাধ্য
যাতায়াত ব্যবস্থার নিকটবর্তী।
ব্যক্তিগত পরিচর্যামূলক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,
উপাসনালয়।
নির্দিষ্ট জনসংখ্যার চাহিদার সাথে
সম্পর্কযুক্ত, সুগম্যস্থানে অবস্থান।
জন প্রশাসন জন প্রশাসন, বিচার, প্রশাসনিক
সুবিধাদি ও নিরাপত্তা
ব্যবস্থাপনা।
ব্যক্তিগত পরিচর্যামূলকের ন্যায় তবে
গোষ্ঠীগত উদ্দেশ্য বা প্রয়োজন পূরণ
করে।
ব্যবসা মেরামতি সেবা প্রচারণা, বিভিন্ন দ্রব্যের
মেরামত ও বিক্রয় সেবা।
বিশেষায়িত ক্রেতা/ ব্যবহারকারীদের
পরিচর্যাকেন্দ্রিক। লোকালয় ও
কেন্দ্রিয় বাজার ভিত্তিক অবস্থান।


কার্যাবলী প্রতিষ্ঠান অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য
খ) বাণিজ্য :
খুচরা ব্যবসা পেট্রোল পাম্প, মুদি দোকান,
ঔষধের দোকান, লন্ড্রী
বৃহদায়তন শপিং কমপ্লেক্স,
গাড়ী, সাইকেল দোকান
ইত্যাদি।
বিভিন্ন ধরণের ক্রেতা আকৃষ্টকারী
ভাল যাতায়াত ব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত,
ক্রেতা- চাহিদা দ্বারা সমম্বিত। বিভিন্ন
শ্রেণীর দোকানের অবস্থান নির্ধারিত
এবং জনপদের সাথে যোগাযোগ
ব্যবস্থার পূর্বশর্ত।
পাইকারী ব্যবসা বৃহদায়তন আড়ৎ, গুদামজাত
দ্রব্যাদির সমাহার।
ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জনবসত
এলাকা, তবে সাধারণ ক্রেতার চাহিদা
অনুযায়ী নাও হতে পারে।
যাতায়াত এবং যোগাযোগ
ব্যবস্থা
যানবাহন এবং যাতায়াত কেন্দ্র,
বাস/ রেল স্টেশন, সকল প্রকার
টেলিযোগাযোগ সেবা
প্রদানকারী সংস্থা, ডাক ও তার
ব্যবস্থা।
জনগোষ্ঠীর নিয়মিত সেবা গ্রহণ,
জনবসত এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রের
নিকটবর্তী অবস্থান।
গ) অর্থ ব্যবস্থাপনা :
ব্যাংক স্থানীয়/ শাখা ব্যাংক, মুদ্রা
পরিবর্তনকারী সেবা প্রতিষ্ঠান।
বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং লোকালয়ের
নিকট ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা
সংযুক্ত।
বীমা বীমা অফিস এবং বীমা
প্রতিনিধির তৎপরতা।
ব্যাংক-এর অনুরূপ।
ভ‚মি বাজারজাত প্রতিষ্ঠান ভ‚মি লেনদেন অফিস এবং
প্রতিনিধির তৎপরতা।
ক্রেতার অবস্থান ও যাতায়াত ব্যবস্থা
দ্বারা সুনিয়ন্ত্রিত। চাহিদা অনুযায়ী
সেবার পর্যায় নির্ভরশীল।
এই পর্যায়ে গুরুতপূর্ণ পেশা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের বিক্রেতা, পরিবহন কর্মী, প্রশাসনিক কর্মী, ব্যবস্থাপক,
ব্যাংকার, বীমাকর্মী এবং অন্যান্য পরিচর্যামূলক সেবা প্রদানকারী কর্মী।
চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড:
পর্যায়মূলক কর্মকান্ডের দ্বারা মানুষের কার্যাবলীর সামগ্রীক ধরন চিহ্নিত হলেও এমন বহু কর্মক্ষেত্র রয়েছে
যে গুলি নির্দিষ্ট শ্রেণীতে পর্যায়ভুক্ত করার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে অথবা সুনির্দিষ্টভাবে পর্যায়ভুক্ত করা
যায় না। এগুলির মধ্যে শিক্ষালাভ (ছাত্রত্ব), রাজনীতিকদের কর্মকান্ড, আইন বিষয়ক পরামর্শদান বা
মামলা পরিচালনা, কবি ও লেখকদের সাহিত্যকর্ম, শিল্পীর অংকন কর্ম, দার্শনিকের দর্শনকর্ম, সংগীত
শিল্পীর সঙ্গীত সৃষ্টি, পেশাদার খেলোয়াড় বা শরীর চর্চাবিদ, ধর্মীয় মজলিসে পেশাদার ওয়াজকারী
ইত্যাদি। লক্ষ্যণীয় যে, এ সমস্ত প্রতিটি কর্মের সৃজনশীলতা রয়েছে। সমাজে এগুলির চাহিদা রয়েছে
এবং সমাজ গঠনে বিভিন্নভাবে এই সমস্ত কর্মের আর্থিক ও সামাজিক মূল্য রয়েছে।
চতুর্থ পর্যায়ভুক্ত বেশ কিছু কর্মকান্ডের ফলে সুদূর প্রসারী সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব
হয়েছে যা পরিশেষে অন্যান্য কর্মকান্ডের উপর প্রভাব সৃষ্টি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ কবি নজরুল
ইসলামের কবিতা ও গান, কামরুল হাসানের চিত্র কর্ম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক
বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেছে। আন্তর্জাতিক
পর্যায়ে শিল্পী পাবলো পিকাসোর যুদ্ধ বিরোধী চিত্র্য ‘গুয়ের্নিকা' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভৎসতার তীব্র
প্রতিবাদ হিসাবে মানুষের মনে যুদ্ধ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে। তেমনি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে
রিঙ্গো স্টার ও জর্জ হ্যারিসন (বিট্লস্ সদস্য) এর সঙ্গীত বাঙ্গালীদের মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে বিশ্ব জনমত
সৃষ্টিতে বিশেষ অবদান রাখে। এই সমস্ত কর্মকান্ডের আপাত দৃষ্টিতে সরাসরি দ্রব্যমূল্য বা অর্থ মূল্য
দৃশ্যমান হয় না। ফলে অনেকের দৃষ্টিতে এগুলির ব্যবহারগত ভিত্তি সুষ্পষ্ট হয় না। এই ধরনের
কর্মকান্ডকে চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকাÐ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানত : শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষক, কবি, সঙ্গীত শিল্পী প্রভৃতি পেশাজীবিগণ চতুর্থ পর্যায়ের
কর্মকান্ডভুক্ত।
পাঠসংক্ষেপ:
মানব কর্মকান্ড প্রধানত: চার শ্রেণীভুক্ত: প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড, মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড, তৃতীয়
পর্যায়ের কর্মকান্ড এবং চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড। এই সমস্ত কর্মকান্ডে অন্তভর্‚ক্তি হিসাবে মানুষের পেশার
মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা দেখা যায় এবং ্এই ভিন্নতার সামগ্রীক বিশ্ব আঞ্চলিক ধারাও দেখা যায়। তথ্যের
সীমাবদ্ধতার জন্য বিশ্ব বা আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার কর্মকান্ডের আপেক্ষিক গুরুত্ব বা তুলনামূলক
বিশ্লেষণ সহজসাধ্য নয়। তবে সামগ্রীকভাবে পৃথিবীর উন্নত অঞ্চলে মোট শ্রম শক্তির প্রায় ১০ শতাংশ
কৃষি বা প্রাথমিক কর্মকান্ড, ৪০ শতাংশ মাধ্যমিক এবং ৫০ শতাংশ তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ভুক্ত বলে ধরা
যায়। উন্নয়নশীল অঞ্চল এই হার যথাক্রমে ৫০, ১০, এবং ৪০ শতাংশ। তবে কিছু কিছু ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের
ক্ষেত্রে (যেমন, জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, মালদ্বীপ ইত্যাদি) কৃষিভ‚মির স্বল্পতার জন্য এই হার
প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক কর্মকান্ডে যুক্ত জনসংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ, মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০
শতাংশ, তৃতীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ এবং মাত্র ক্ষুদ্র অংশ চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন:
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন:
১.১. মানবিক ভ‚গোলে মানুষের কর্মকান্ড বলতে কোন জনগোষ্ঠী বা এলাকার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ---- কর্মকান্ড
বুঝায়।
১.২. প্রধানত: প্রকৃতি নির্ভর কর্মকান্ডকে ---- পর্যায়ের কর্মকান্ড বলে।
১.৩. প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ডকে ----- কর্মকান্ডও বলা হয়ে থাকে।
১.৪. মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড ----- পর্যায়ের কর্মকান্ডের ওপর নির্ভরশীল এবং ----- রূপমাত্র।
১.৫. মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকাÐের ফলে দ্রব্যের গুনগত মানই পরিবর্তন হয় না, ইহার ----- পরিবর্তন
ঘটে।
১.৬. প্রধানত মাধ্যমিক এবং অনেক সময় ----- পর্যায়ের কর্মকান্ডের উপর নির্ভরশীল কর্মকান্ডকে
তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ড বলা হয়।
১.৭. মাধ্যমিক পর্যায়ের উৎপাদিত দ্রব্যের বিক্রয়, পরিবহন ও পরিচর্যামূলক কর্ম ---- পর্যায়ের
কর্মকান্ড হিসাবে পরিগণিত।
১.৮. ----- পর্যায়ভুক্ত বেশ কিছু কর্মকান্ডের ফলে সুদূর প্রসারি সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন
সম্ভব হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:
১. পেশা ও উপজীবিকা কি? এ দু'টির সাথে মানব কর্মকান্ডের সম্পর্ক নির্দেশ করুন।
২. মানব কর্মকান্ড কাকে বলে? এই কর্মকান্ডের শ্রেণীভাগ করুন।
৩. প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকাÐ কি? দুটি উদাহরন দিন।
৪. মাধ্যমিক পর্যায়ের কর্মকাÐ কি? দুটি উদাহরন দিন।
৫. তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকাÐ কি? দুটি উদাহরন দিন।
৬. চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকাÐ কি? দুটি উদাহরন দিন।
রচনামূলক প্রশ্ন:
১. প্রাথমিক কর্মকান্ড বলতে কি বুঝেন? উদাহরনসহ আলোচনা করুন।
২. মাধ্যমিক কর্মকান্ড সমন্ধে আলোচনা করুন।
৩. তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ডের পূর্ণ আলোচনা করুন।
৪. উদাহরণ সহকারে চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড আলোচনা করুন।
৫. প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ডের সাথে কি কোন যোগসূত্র বা আন্ত:সম্পর্ক

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]