পৃথিবীতে জীবজগতের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ী নিয়ামক সমূহ কি কি?


অশ্মমন্ডল
৩.২ থেকে ৩.৯ পর্যন্ত অশ্মমন্ডল সাধারণত ভ‚-পৃষ্ঠের উপরিভাগের নানা দিক যেমন ভ‚-ত্বক, ভ‚ত্বক
গঠনকারী খনিজ শিলা, বিভিন্ন প্রকার শিলা, ভ‚মির ক্ষয়কার্য, মৃত্তিকা প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করা
হয়েছে।
বায়ুমন্ডল (অঃসড়ংঢ়যবৎব)
৩.১০ থেকে ৩.২৫ পর্যন্ত পাঠে আপনারা বায়ুমন্ডল সম্পর্কে জানবেন। ইতোপূর্বে আপনারা
জেনেছেন যে, বায়ুমন্ডল পৃথিবীর প্রধান গঠন মৌলসমূহের একটি। বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন দিক,
বিশেষত: এর গঠন কাঠামো, উপাদানসমূহ এবং এগুলোর স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্বমাপে
আবহাওয়া ও জলবায়ুর বর্তমান অবস্থা এবং পরিবর্তনের প্রভাব জানা আবশ্যক। এ পাঠে
বায়ুমন্ডলের গঠন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
বারিমন্ডল (ঐুফৎড়ংঢ়বৎব)
৩.২৬ পাঠ থেকে ৩.৩০ পাঠ পর্যন্ত আলোচনায় আমরা বারিমন্ডল সম্পর্কে জানতে পারব। এই
পাঠগুলোতে আপনারা জীবনের প্রয়োজনে পানির গুরুত্ব এর বন্টন, ব্যবহার ও সংরক্ষণ; ভ‚-পৃষ্ঠের
সমুদ্র ও স্থলভাগের ভৌগোলিক বন্টন; পানিচক্র সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া সম্পদ হিসেবে
পানির গুরুত্ব সম্পর্কেও অবগত হবেন।
জীবমন্ডল (ইরড়ংঢ়যবৎব)
পাঠ ৩.৩১ থেকে পাঠ ৩.৩৪ পর্যন্ত জীবমন্ডল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পাঠগুলোতে
প্রাণের বিবর্তন, উদ্ভিদ ও প্রাণী জগৎ, বিবর্তন মতবাদ, উদ্ভিদ বাস্তব্যবিদ্যা, উদ্ভিদের কাঠামো
বিন্যাস, প্রধান উদ্ভিদ বলয় সম্পর্কে জানব। এছাড়াও প্রাণিজ বাস্তব্যবিদ্যা, প্রাণিজ ভৌগোলিক
বলয়, প্রাণীর বন্টন বিন্যাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। মানব বাস্তব্য বিদ্যার অন্তর্গত বিষয়াদি,
মানুষ ও প্রকৃতির সমনি¦তকরণ, মানব বাস্তব্যবিদ্যার বৈশিষ্ট্যাবলী ও ফলিত বাস্তুবিদ্যার উপাদান
সম্পর্কে ধারণা লাভ করব।


পৃথিবী মানুষসহ অন্যান্য জীবের আবাসভ‚মি। পৃথিবী ব্যতীত অন্য কোন গ্রহ জীবের অস্তিত্বের জন্য
উপযোগী কিনা তা প্রমাণিত হয় নাই। জীবের জন্য পৃথিবীর এই উপযোগীতার পিছনে অনেকগুলো
নিয়ামক জড়িত। বিশেষত: তিনটি নিয়ামক পৃথিবী পৃষ্ঠে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির ভিত্তি
তৈরি করেছে।
ক. সূর্য থেকে মাঝারী দূরত্বে পৃথিবীর অবস্থান;
খ. অক্সিজেন সমৃদ্ধ বায়ুমন্ডল এবং
গ. পর্যাপ্ত পানি।
এই সব নিয়ামকের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ায় ভ‚-পৃষ্ঠে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তা নি¤œরূপ:
ক. মাঝারী মাত্রার সূর্যরশ্মির আপাতন;
খ. সহনীয় মাত্রায় তাপের ভারসাম্যতা (ঐবধঃ ইধষধহপব);
গ. বাস্পীয়, তরল ও কঠিন অবস্থায় আর্দ্রতার সর্বত্র অবস্থান।
উপর্যুক্ত পরিবেশের ভিত্তিতেই পৃথিবীতে কার্যরত বিভিন্ন পদ্ধতির গোড়াপত্তন হয়।
পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতি (ঞযব ঊধৎঃযং ঘধঃঁৎধষ ঝুংঃবস)
পৃথিবীর প্রাকৃতিক অবস্থাকে জানার জন্য প্রয়োজন এর গঠনকারী মৌল সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
অতীতে, বিজ্ঞানীরা গঠন মৌলকে পৃথকভাবে জানার চেষ্টা করেছে। বস্তুর গঠনকারী বিভিন্ন মৌল
সমূহ পরস্পর স্বাধীন এই রকম ধারণার ভিত্তিতেই সম্ভবত এই ধরনের অনুসন্ধান পদ্ধতি অনুসরণ
করা হতো। এই পদ্ধতিতে প্রকৃতির বিভিন্ন বস্তুর আন্ত:সম্পর্ক ও পারস্পরিক নির্ভরশীলতার বিষয়
সমূহ গুরুত্ব পায় না। বাস্তবে, পৃথিবীকে একটি একক পদ্ধতি হিসাবে বিবেচনা করা যায়। পৃথিবীর
এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এত সব নিয়ামক একত্রে কর্মরত আছে যে, এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা
লাভ করা অত্যন্ত দূরূহ কাজ। তাই, এর সরলিকরণ প্রয়োজন হয়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতি
সমূহকে সহজে জানার জন্য এর গঠনকারী ৫টি উপবিভাগ চিহ্নিত করা হয়। যথা- জলবায়ু,
মৃত্তিকা, জীবজগত, পানি এবং ভ‚মিরূপ।
প্রতি পদ্ধতিতেই সাধারণ রীতিবদ্ধ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান; ফলে তা সহজেই জ্ঞানকে সংগঠিত করতে
সাহায্য করে থাকে। পদ্ধতিসমূহ দুই ধরনের হতে পারে- উš§ুক্ত বা আবদ্ধ। পৃথিবীর প্রায় সব
পদ্ধতি সমূহকেই উš§ুক্ত পদ্ধতির আওতায় ফেলা যায়। এর কারণ নি¤œরূপ:
ক. প্রতিটি উš§ুক্ত পদ্ধতিতে উপকরণ হিসাবে বাহির থেকে শক্তি ও পদার্থের আগমন ঘটে থাকে।
একইভাবে উৎপাদ হিসাবে এই পদ্ধতি থেকে শক্তি ও পদার্থের বহির্গমন হয়ে থাকে। উদাহরণ
হিসাবে বলা যায়, বায়ুমন্ডলীয় উপরিভাগে সূর্য থেকে মূলত: শক্তির আগমন ঘটে থাকে এবং তা
মিথস্ক্রিয়া, সূর্যরশ্মির আপাতন,
ভারসাম্য, আর্দ্রতা।
সরলীকরণ জীবজগত
মৃত্তিকা।

আবার মহাশূন্যে ও পৃথিবীতে ফিরে যায়। এই চক্র পৃথিবীর তাপ সমতা বা তাপ বাজেট নামে
পরিচিত।
খ. উš§ুক্ত পদ্ধতিতে বাহির থেকে আগত শক্তি, সাময়িকভাবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে; তবে
ধীরে ধীরে তা পদ্ধতির ভিতরে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়।
গ. পদ্ধতির ভিতরগত যে কোন পরিবর্তন ধনাত্মক বা ঋণাত্মক ফিডব্যাক হিসাবে প্রতিফলিত হয়।
ধনাত্মক ফিডব্যাক পদ্ধতির পরিবর্তনকে ত্বরানি¦ত করে এবং ঋণাত্মক ফিডব্যাক পদ্ধতির আদি
অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে বা যে কোন পরিবর্তন গতিকে ¯øথ করে।
ঘ. প্রায় সব পদ্ধতিতে প্রাকৃতিকভাবেই উৎপাদনের উপকরণ ও উৎপাদ মাত্রায় একটি সমতা বজায়
রাখার চেষ্টা করে থাকে। যেমন, বায়ুমন্ডলীয় তাপের ভারসাম্যতা আপতিত সৌরশক্তি এবং
প্রতিফলিত শক্তি প্রায় সমান। তাপের এই ভারসাম্যতা না থাকলে পৃথিবী হয় অধিক উত্তপ্ত না
হয় বেশী শীতল হত, যার কোনটিই জীবজগতের জন্য অনুক‚ল নয়।
পক্ষান্তরে, আবদ্ধ পদ্ধতিতে, উš§ুক্ত পদ্ধতির ন্যায় কোন উপকরণ বা উৎপাদ নাই কিন্তুপদ্ধতির
অভ্যন্তরীন গঠন মৌল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পৃথিবীর অশ্মমন্ডল এই জাতীয় আবদ্ধ পদ্ধতির একটি
উদাহরণ। কারণ, মহাজাগতিক কিছুউল্কাপিন্ড ব্যাতীত অশ্মমন্ডল থেকে কোন বস্তু পৃথিবী পৃষ্ঠ
যেমন ত্যাগ করে না তেমনি এতে যোগ হয় না।
পৃথিবীর বহিরাবরনে যে সব উপ পদ্ধতি (ঝঁনংুংঃবস) আছে তা পরস্পরে বিচ্ছিন্ন নয় বরং
পরস্পরে কার্যকরভাবে সম্পর্কিত। যেমন, পৃথিবীর জলবায়ুও মৃত্তিকার সম্পর্ক নিবিড়। ক্রান্তীয়
বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে যে মৃত্তিকার উদ্ভব হয়েছে তা মূলত: ঐ অঞ্চলের জলবায়ুর সাথে সম্পর্কিত। অতি
বর্ষনের কারণে মাটির খনিজ পানির সাথে সহজেই চুয়ায়ে মাটির নি¤œস্তরে চলে যায়; ফলে
উপরিভাগে অধিক জারিত অক্সিজেন নামক মৃত্তিকা অবশিষ্ট থাকে। আবার, অধিক উষ্ণ ও আর্দ্র
জলবায়ুর কারণে ঐ অঞ্চলে অধিক হারে গাছ-পালা জ¤œায় কিন্তুউদ্ভিদের ঝরা পাতা, মৃত কান্ড দ্রæত
জারিত হওয়ায় মাটিতে জৈব পদার্থ কম থাকে। এইখানে লক্ষ্যনীয় যে, জলবায়ুপদ্ধতি, উদ্ভিজ্জ
পদ্ধতি এবং মৃত্তিকা পরস্পরে সম্পর্কিত। পৃথিবীর অন্যান্য উপপদ্ধতি সমূহ ও একইভাবে একটি
সমনি¦ত পদ্ধতির আওতাভুক্ত।
পৃথিবীর কোন একটি উপপদ্ধতি, যেমন, জলবায়ুসম্পর্কে অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে যে, এর
প্রধান মৌল সমূহ যেমন- সৌর শক্তি ও পানি পৃথিবীর সর্বত্র সমানভাবে বন্টিত নয়। এই সব
মৌলের স্থানভেদে বন্টনগত তারতম্য থেকেই এর শ্রেণী বিভাজনের সূত্রপাত হয়। যেমন, জলবায়ু
বা ভ‚মিরূপের শ্রেণী বিভাগ যা আঞ্চলিক তারতম্যকে সুস্পষ্ট করে তোলে। সাধারণভাবে বলা যায়।
একই উপকরণ ও প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকলে উপপদ্ধতি বিশ্বব্যাপী তা প্রায় একইভাবে সাড়া দেয়।
কিন্তু, বাস্তবে উপকরণ ও প্রক্রিয়াগত তারতম্যের কারণে বিশ্বব্যাপী উপপদ্ধতির আঞ্চলিক বিন্যাস
দেখা যায়।
পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপবিভাগসমূহ
পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতিকে ৪টি প্রধান মন্ডলে ভাগ করা যায়। যথা: অশ্মমন্ডল, বায়ুমন্ডল,
বারিমন্ডল ও জীবমন্ডল। পৃথিবীর এই সব মন্ডল সমূহের অবস্থান বিবেচনা করলে দেখা যায় যে
এরা ঘনত্ব অনুযায়ী উলম্বভাবে সংগঠিত। যেমন, বায়ুর ঘনত্ব সবচেয়ে কম (১.৩ কি: গ্রা:/মি৩)
হওয়ায়-এর অবস্থান ওপরে এবং শিলার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশী (২০০০ কি: গ্রা:/মি৩) হওয়ায় সর্ব
আশ্মমন্ডল, উল্কাপিন্ড, জারণ,
জৈব পদার্থ, ঋণাতœক
ফিডব্যাক।
নিæে অবস্থান করে। পানি (১০০০ কি: গ্রা:/মি৩) ও জৈব পদার্থ (৫০০ কি: গ্রা:/মি৩) মাঝারী
ঘনত্বের, ফলে এদের অবস্থান মাঝামাঝি (চিত্র - ৩.১.১)।
চিত্র ৩.১.১ : পৃথিবীর প্রধান উপ-পদ্ধতি সমূহের পাস্পরিক সম্পর্কের গতিধারা।
বায়ুমন্ডল ভ‚-পৃষ্ঠকে চর্তুদিকে বেষ্টন করে আছে। এই মন্ডলের সাথে জীবের অস্তিত্বের সম্পর্ক; তাই
একে জীবন স্তর নামে ও অবিহিত করা হয়। ভ‚ত্বকের উপরিভাগের কয়েকমিটার থেকে এর শুরু
এবং উর্ধ্বাকাশের প্রায় ৬০,০০০ কি: মি: (৩৭০০০ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত। সূর্য থেকে আগত শক্তি
এর প্রধান চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করে। বায়ুমন্ডল সমুদ্র সমতলে সব চেয়ে ঘন এবং উচ্চতা
বৃদ্ধির সাথে এর ঘনত্ব হ্রাস পায়।
অশ্মমন্ডল পৃথিবীর সব চেয়ে কঠিন ও অধিক পুরুত্ব বিশিষ্ট অংশ যা প্রধানত: গুরুমন্ডল ও কেন্দ্র
মন্ডল এই দুই অংশ নিয়ে গঠিত। পুরুত্বের দিক থেকে উভয় অংশই প্রায় ৩০০০ কি:মি: এর
অধিক পুরু। গুরুমন্ডলের প্রায় ১০০ কি: মি: উপরিভাগই সরাসরি বারিমন্ডল, বায়ুমন্ডল ও
জীবমন্ডলের সাথে মিথষ্ক্রিয়ার অংশ নেয়।
ভ‚-পৃষ্ঠের উপরিভাগের শতকরা ৭১ ভাগ জুড়ে আছে বারিমন্ডল, যা মূলত: বায়ুমন্ডল ও
অশ্মমন্ডলের মাঝখানে অবস্থিত। সাগর মহাসাগরই বারিমন্ডলের প্রধান অংশ যা পৃথিবীর পানির
বেশীরভাগ ধারণ করে আছে এবং বায়ুমন্ডলের বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার প্রধান উৎস।
জীবমন্ডল উদ্ভিদ ও প্রাণী জগত নিয়ে গঠিত। ভ‚-পৃষ্ঠ এদের আবাসস্থল। ভ‚-ত্বকের উপরিভাগের
পানি ও মাটির মিলনস্থলে (ওহঃবৎভধপব) জীবের বিকাশ ঘটে। ভরের গুরুত্ব বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী
মোট জৈব পদার্থের ওজন মাত্র ৮ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন, অথচ বায়ুমন্ডলের মোট ওজন ৫,১৪০
ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন এবং বারিমন্ডলের মোট পানির ওজন ১,৫০০,০০০ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন। এই
থেকে সহজেই অনুমেয় যে, অন্যান্য মন্ডলের তুলনায় জীবমন্ডেলের ভর খুবই নগন্য। বিশ্বের
আলোকে জীব মন্ডল মাটি পানিতে অত্যন্ত পাতলা আবরণের ন্যায় বিস্তৃত।
এই ইউনিটে পৃথিবীর মূল গঠন কাঠামোর পদ্ধতি সমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রথমেই, পৃথিবীর
প্রধান গঠন মৌল, অশ্মমন্ডল আলোচনা করা হয়েছে। এরপর বায়ুমন্ডল ও বারিমন্ডল আলোচিত
হয়েছে। সবশেষে, জীবমন্ডল সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পাঠ সংক্ষেপ
পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতি সমূহকে জানার জন্য একে পাঁচটি উপপদ্ধতিতে ভাগ করা হয়।
যথা: জলবায়ু, মৃত্তিকা, জীবজগত, পানি এবং ভ‚মিরূপ। এই সব পদ্ধতি উম্মুক্ত বা আবদ্ধ-
দুই ধরনের হতে পারে। জলবায়ুর প্রধান চালিকাশক্তি সৌরশক্তি ও পানি। মৃত্তিকার উদ্ভব হয়

ভ‚ত্বকের উপরিভাগে। জীবজগত মূলত: বায়ুমন্ডল, মৃত্তিকা ও বারিমন্ডল এই তিন উপবিভাগ
থেকে প্রাপ্ত উপকরণের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.১
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সত্য/মিথ্যা নির্ণয়করুন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
১.১ তিনটি নিয়ামক পৃথিবী পৃষ্ঠে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির ভিত্তি তৈরি করেছে।
ক. সূর্য থেকে মাঝারী দূরত্বে পৃথিবীর অবস্থান;
খ. অক্সিজেন সম্বৃদ্ধ বায়ুমন্ডল এবং
গ. পর্যাপ্ত বায়ু।
১.২ পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতি সমূহকে সহজে জানার জন্য এর গঠনকারী ৫টি উপবিভাগ চিহ্নিত
করা হয়। যথা- জলবায়ু, মৃত্তিকা, জীবজগত, পানি এবং ভ‚মিরূপ।
১.৩ পৃথিবীর জলবায়ুও মৃত্তিকার সম্পর্ক নিবিড়।
১.৪ পৃথিবীর প্রাকৃতিক পদ্ধতিকে ৪টি প্রধান মন্ডলে ভাগ করা যায়। যথা: অশ্মমন্ডল, বায়ুমন্ডল,
বারিমন্ডল ও অজৈবমন্ডল।
১.৫ ভ‚-পৃষ্ঠের উপরিভাগের শতকরা ৭১ ভাগ জুড়ে আছে বারিমন্ডল, যা মূলত: বায়ুমন্ডল ও
অশ্মমন্ডলের মাঝখানে অবস্থিত।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী
১. পৃথিবীতে জীবজগতের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ী নিয়ামক সমূহ কি কি?
২. পদ্ধতির ধরন সমূহ ব্যাখ্যা করুন।
৩. পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপপদ্ধতি সমূহ কি কি?
৪. পৃথিবীর উপপদ্ধতি সমূহ পরস্পর কিভাবে সম্পর্কিত তার উদাহরণ দিন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. পৃথিবী যে নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক পদ্ধতি মেনে চলে সে সম্পর্কেধারণা দিন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]