ভূগোলবিদগণ নির্ধারিত উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্নভাবে বিশ্বকে রাজনৈতিক অঞ্চলে বিভাজন করেছেন।


ভ‚গোলবিদগণ নির্ধারিত উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্নভাবে বিশ্বকে রাজনৈতিক অঞ্চলে বিভাজন করেছেন।
ষাটের দশকে রাজনৈতিক অঞ্চলে মানব উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রিয়াশীল উপাদান হিসেবে সম্পদ এবং
সাংস্কৃতিক অবস্থানকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো। অপরদিকে, তৎকালীন কম্যুনিষ্ঠ গোষ্ঠীভুক্ত
দেশসমূহ পরিবৃত্ত করে ইউরোপীয় বলয় অনুযায়ী বহুধা সংস্কৃতিভুক্ত আঞ্চলিক প্যাটার্ন তৈরী করে
বিশ্বকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল (চযরষনৎরপশ, ১৯৬৭)। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব দর্শন প্রধানত কাজ
করেছিল। এই পটভ‚মিকায় বিশ্ব রাজনৈতিক অঞ্চলীকরণের ক্ষেত্রে: (ক) বিশ্ব আঞ্চলিক সংস্থা সম্বন্ধে
রাজনৈতিক দর্শন, (খ) সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যমূলক সংগঠন, (গ) কর্ষণযোগ্য ভ‚মি, এবং (ঘ) জনসংখ্যা
আকার - এই চারটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল। ষাটের দশকের শেষে রাজনৈতিক ভ‚গোলবিদগণ
বিশ্বকে বিভিন্ন ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাজন করার প্রয়াস পান। এগুলি সংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হলো।
রাজনৈতিক সংগঠন (জবধষস) এবং শক্তির ত্রিধারা:
(ক) রাজনৈতিক শক্তির আধার হিসেবে বিশ্বকে পাঁচটি আঞ্চলিক সংগঠনে ভাগ করা যায় :
কমনওয়েলথ জাতি গোষ্ঠী - প্রধানত স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বৃটিশ উপনিবেশসমূহকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের
নেতৃত্বে গঠিত রাষ্ট্রসমূহ;
(খ) পশ্চিম ইউরোপের মূল ভ‚মি - যুদ্ধোত্তর পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ;
(গ) উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা- যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাবপুষ্ট উত্তর আমেরিকা ও ল্যাটিন
আমেরিকার রাষ্ট্রসমূহ;
(ঘ) কম্যুনিষ্ট বলয় - প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং সমর্থিত পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ, চীন এবং
কিউবা; এবং
(ঙ) জোট নিরপেক্ষ বা নিরপেক্ষ রাষ্ট্রসমূহ - কতিপয় বিক্ষিপ্ত রাষ্ট্রসমূহের সমম্বয় (যেমন সুইজারল্যান্ড,
স্ক্যান্ডিনেভিয়া দেশসমূহ ইত্যাদি)।
এই রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ প্রকারান্তরে দুইটি প্রধান বিশ্ব শক্তির প্রভাবপুষ্ট ছিল। সাবেক সোভিয়েত
ইউনিয়ন প্রভাবপুষ্ট কম্যুনিষ্ট বলয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবপুষ্ট গণতান্ত্রিক বলয়। তবে অন্তর্বর্তী শক্তি
হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পন্থী কিন্তু যুক্তরাজ্য প্রভাবপুষ্ট পশ্চিম ইউরোপীয় বলয় এর আগে চিহ্নিত করা যায়।
অপরদিকে, জোট নিরপেক্ষ বা নিরপেক্ষ দেশসমূহ প্রধানত ইউরোপীয় প্রান্তীক এলাকা, এশিয়া, উত্তর ও
মধ্য আফ্রিকার কিছু রাষ্ট্রসমূহ দ্বারা গঠিত হয়েছিল।
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, বিশেষ করে সোভিয়েত কম্যুউনিজ্ম্-এর পতনের পর উপরোক্ত পাঁচটি
সংগঠনের মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে এবং রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের মধ্যেও প্রসারিত হয়।
খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চল এবং বিশ্ব শক্তির কৌশলগত সূচক:
সম্ভবত: সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং বিরজমান রাষ্ট্রীয় শক্তির আধার
হিসেবে বিভিন্ন খনিজ সম্পদের, বিশেষ করে খনিজ তেলের উপর নিয়ন্ত্রন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কেননা, খনিজ সম্পদের অবস্থান ও প্রাপ্তি গত প্রায় ৩০০ বৎসর বিশ্ব শিল্পজ উৎপাদন সংস্কৃতিকে
প্রভাবিত করেছে। তৎকালীন কম্যুউনিষ্ট ও অকম্যুউনিষ্ট রাষ্ট্রবলয়ের মধ্যে দ্বন্দ¡ প্রধানত এই খনিজ
সম্পদ নিয়ন্ত্রণের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল।

জবংড়ঁৎপব ঝপড়ঁৎব ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬

চবঃৎড়ষবঁস ৫ ৫ ৫ .. .. ৫
ঈড়ধষ ৫ ৫ ৫ .. ৫ ৫
ওৎড়হ ৫ ৫ ৫ ৫ ৫ ৫
ঈড়ঢ়ঢ়বৎ ৩ ৩ ৩ ৩ .. ৩
ঞরহ ৩ .. .. .. .. ..
খবধফ ৩ ৩ ৩ ৩ ৩ ৩
তরহপ ৩ ৩ .. ৩ .. ৩
ইড়ীঁরঃব ৩ ৩ .. .. .. ৩
গধহমধহবংব ১ .. .. ১ ১ ১
ঞঁহমংঃবহ ১ .. .. .. .. ..
ঈযৎড়সরঁস ১ .. .. .. .. ..
ঞড়ঃধষ নু ৎবমরড়হং ৩৩ ২৭ ২১ ১৮ ১৭ ২৮
ঞড়ঃধষ নু মৎড়ঁঢ়ং ৪৮ ৩৫ ৫৭ ২৫
ট.ঝ.

ঈধহ-

ধফধ
ডবংঃ

ঊঁৎড়ঢ়ব
ঊধংঃ

ঊঁৎড়ঢ়ব
চৎরহপরঢ়ধষষু

টহরঃবফ ঝঃধঃবং

ড়ঁঃষরবৎং
ঙঃযবৎ
ঊ. অংরধ,

ঝড়ারবঃ

চধৎঃ
ঞড়ঃধষ নু সধলড়ৎ

ঢ়ড়বিৎ ধৎবধং ধহফ

ফড়ঁনঃভঁষ ৭৩ ৬৯ ৭৭ ৭৩
সারণী-২.৭.১: প্রধান পরাশক্তি বলয়ের অন্তর্গত অঞ্চলে খনিজ সম্পদ প্রাপ্তির মান (উৎস: চযরষনৎরপশ,
১৯৬৯)

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]