ইতালিতে রেনেসাঁস শুরু হয়। কালক্রমে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে এর প্রভাব বিস্তৃত হতে
থাকে এবং স্থানীয় শিল্প, সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিত হয়ে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিকশিত হয়। সে
জন্য এই সব রেনেসাঁস ফরাসি রেনেসাঁস, ইংরেজ রেনেসাঁস, জার্মান রেনেসাঁস ইত্যাদি নামে
পরিচিত।
ইতালির বাইরে রেনেসাঁসের বিস্তৃতির কারণ
ইতালিতে যে রেনেসাঁসের জন্ম হয় তা পঞ্চদশ শতাব্দীর পর ইউরোপের অন্য সব দেশে
ছড়িয়ে পড়ে। পুরো পঞ্চদশ শতাব্দী জুড়ে ইউরোপের বিভিন্ন এলাকার ছাত্ররা ইতালিতে
পড়তে আসতো এবং ইতালির বলগোনা অথবা পাদুয়ার মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতো।
ইতালি থেকে আলপস পর্বত অতিক্রম করে কালেভদ্রে দু’চারজন ইতালীয় লেখক অথবা
চিত্রশিল্পী ইউরোপের অন্য দেশে যেতেন। এই ভাবে যোগাযোগের ফলে ভাবের আদান -প্রদান
ও নতুন চিন্তা-চেতনা বিকশিত হতে থাকে। কিন্তু ১৫০০ সালের পরই অর্থাৎ ষোড়শ
শতাব্দীতেই উত্তর ইউরোপে শিল্প-সাহিত্যের ব্যাপক প্রসারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে
উঠে। কারণ এর মধ্যে ঐ অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থায়ীত্ব ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখা দেয়। ১৪৯৪
সালের পরে জ্ঞানের আদান-প্রদান আরো ব্যাপকতর হয়। কারণ ঐ সময় ইতালির মাটিতে
ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ চলছিলো। ইউরোপের অন্যান্য দেশের মানুষ
ইতালিয়ানদের কার্যক্রম সচক্ষে দেখার সুযোগ পায়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন স্পেনীয়
রাজার সৈন্যরা শুধু স্পেন থেকেই আসে নি তারা জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং
বেলজিয়াম থেকেও এসেছিলো। অপরদিকে লিওনার্ডোর মতো ইতালীয় চিন্তাবিদেরা উত্তর
ইউরোপের রাজা বা অভিজাতদের সৈন্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলো। এইভাবে ইতালীয়
রেনেসাঁস এক সময় ইতালিতে দুর্বল হয়ে এলেও একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলন হিসেবে
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্রমান্বয়ে জোরদার হয়ে উঠে।
পাঠ - ৩
এস এস এইচ এল
ইউনিট - ৭ পৃষ্ঠা - ৩৬
ইউরোপের অন্যান্য দেশে রেনেসাঁসের বৈশিষ্ট্য
ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিকশিত রেনেসাঁস ইতালির মত কোনোভাবেই একরকম এবং
একই বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ছিল না। ইতালিতে রেনেসাঁস গড়ে উঠেছিলো ধর্মকে অস্বীকার করে,
কিন্তু ইতালির বাইরে বিকশিত রেনেসাঁস ছিল ধর্ম কেন্দ্রিক। এর বড় কারণ হলো মধ্যযুগ
থেকে ইতালি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
লালন করে আসছিলো। মধ্যযুগের শেষ দিকে ইতালির প্রাণবন্ত নগর জীবনে এক ধর্মনিরপেক্ষ
শিক্ষা ব্যবস্থা বিকশিত হয়। এর প্রভাবের সঙ্গে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্য চর্চা মিলিত
হয়ে জন্ম হয়েছিলো নতুন এবং ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার। ইউরোপের অপরাপর এলাকাগুলো
ইতালির চেয়ে বাণিজ্য এবং শহর ভিত্তিক অর্থনীতির দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলো।
ফ্লোরেন্স, ভেনিস এবং মিলান যে ভাবে চর্তুপাশের গ্রামাঞ্চলকে রাজনৈতিক দিক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ
করত ইউরোপের কোনো শহর সেভাবে তা করতে পারতো না। এসব অঞ্চলে রাজনৈতিক
ক্ষমতা কেন্দ্রিভ‚ত হচ্ছিল এমন সব রাজাদের হাতে যারা স্বেচ্ছায় যাজকদের শিক্ষাগত এবং
সাংস্কৃতিক আধিপত্য মেনে নিচ্ছিল। ফলে ইউরোপের উত্তরাংশের দেশগুলোতে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত ধর্মশিক্ষায় বিশেষায়িত হয়ে উঠে। গির্জাগুলোই ছিল এসব দেশের
প্রধান ইমারত।
সহজভাবে বলতে গেলে এসব অঞ্চলে রেনেসাঁস ছিল স্থানীয় ঐতিহ্যের ওপর ইতালীয়
রেনেসাঁসের কিছু বৈশিষ্টের সংযোজন। উত্তর-ইউরোপের দেশগুলোতে রেনেসাঁস বলতে যে
আন্দোলন গড়ে উঠে তা ছিল আসলে খ্রিস্টান মানবতাবাদ বা খ্রিস্টান হিউম্যানিজম। ইতালীয়
মানবতাবাদীদের মতো তাঁরাও বিশ্বাস করতেন যে, মধ্যযুগীয় দার্শনিক মতবাদ যুক্তিবিদ্যার
চুলচেরা বিশ্লেষণে এমন ভাবে বন্দি হয়ে গেছে যে এর কোনো বাস্তব প্রায়োগিক মূল্য এখন
আর নেই। কিন্তু ইতালীয় রেনেসাঁস পন্ডিতেরা যা করলেন তা উত্তর-ইউরোপীয়রা করলেন না,
অর্থাৎ ইউরোপীয়রা বাইবেল, ধর্মীয় অনুশাসন, নীতিবাক্য ইত্যাদিকে বাস্তব জীবনের
পথপ্রদর্শক হিসেবে নিলেন। ইতালীয় সমসাময়িকদের মতো তাঁরাও জ্ঞানের জন্য প্রাচীন যুগের
দিকে তাকালেন, কিন্তু তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল খ্রিস্টান ঐতিহ্যের দিকে, গ্রিক ও রোমান
সাহিত্য, দর্শন ও শিল্পকলার দিকে নয়। ইতালির বাইরের ইউরোপের দেশগুলোতে শিল্পীরা
ইতালীয় শিল্পীদের মতো মধ্যযুগীয় গোথিক শিল্প ধারাকে বর্জন করেন এবং এর পরিবর্তে
প্রাচীন কলাকৌশল কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার জন্য চেষ্টা করলেন। তারপরও এ
শিল্পীরা ইতালীয় শিল্পীদের তুলনায় প্রাচীন বিষয়বস্তু তাদের শিল্পের উপজীব্য হিসেবে খুব কমই
ব্যবহার করেছেন। খ্রিস্টান মূল্যবোধের প্রতি ঐতিহ্যগত ভাবে বেশি দায়বদ্ধ থাকার কারণে
তারা কখনো নগ্ন ছবি আঁকতে সাহস করেন নি।
ইংল্যান্ডে রেনেসাঁস
ইংল্যান্ডে রেনেসাঁস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পন্ডিতের কাছে এর শুরুর জন্য ঋণী।
জন কলেট (১৪৬৭-১৫১৯) একজন বিখ্যাত ইংরেজ মানবতাবাদী। তিনি বাইবেলের আক্ষরিক
অর্থের ওপর অক্সফোর্ডে বক্তৃতা দিতেন। মানবতার ধারায় তিনি লন্ডনের সেন্ট পল গির্জার
সঙ্গে লাগানো বিখ্যাত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। এখানকার পাঠ্যসূচিতে তিনি ল্যাটিন ও গ্রিক
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসন পৃষ্ঠা - ৩৭
ভাষা সংযোজন করেছিলেন। কলেটের নতুন চিন্তার আদর্শে অক্সফোর্ড সংস্কারক নামে একটি
দল গঠিত হয়। রাজা অষ্টম হেনরি কলেট ও তাঁর সহযোগীদের শুভাকাংক্ষি ছিলেন।
ইংল্যান্ডের রেনেসাঁসে যিনি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছিলেন তিনি হচ্ছেন স্যার
থমাস ম্যুর (১৪৭৮-১৫৩৫)। একজন সফল আইনজ্ঞ হওয়ার পর তিনি ইংল্যান্ডের হাউজ অব
কমন্সের স্পিকার নিযুক্ত হন, পরে ১৫২৯ সালে তিনি লর্ড চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। কিন্তু শীঘ্রই
তিনি রাজা অষ্টম হেনরির বিরাগ ভাজন হন, কেননা সর্বজনীন ক্যাথলিক মতবাদে বিশ্বাসী ম্যুর
রাজার নিয়ন্ত্রণে জাতীয় ধর্ম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার বিরোধী ছিলেন। ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে ম্যুর
হেনরিকে ইংল্যান্ডের গির্জার প্রধান হিসেবে স্বীকার করে শপথ নীতি অস্বীকৃতি জানান। হেনরি
ম্যুরকে জেলে পাঠান। একবছর পর তিনি সেখানে ক্যাথলিক শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুর বহু আগে ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি “ইউটোপিয়া’’ (টঃড়ঢ়রধ) নামে একটি গ্রন্থ রচনা
করেন। ইতিহাসে প্লেটোর রিপাবলিকের পর সবচাইতে সাড়া জাগানো বই হিসেবে পরিচিতি
লাভ করেছে। এই গ্রন্থে ম্যুর সমসাময়িক সমাজের সমালোচনা করেন। ইউটোপিয়া (যে
দেশটির অস্তিত্ব নেই) নামক রাজ্যের আমাউরোট (অসধঁৎড়ঃব) নামক একটি আদর্শ নগরীর
চিত্র এঁকে লেখক দারিদ্র্য, বিনাশ্রমে লব্ধ অর্থ, অনুপযুক্ত লোকের সম্পদ আহরণ, ধর্মের নামে
অত্যাচার, অর্থহীন যুদ্ধে হত্যাকান্ড ইত্যাদির মত সমসাময়িক অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
জানান। ম্যুরের কত্মিত ঐ আদর্শ নগরীর সবাই মিলে সকল সম্পদের অধিকারী ছিলেন। তারা
দিনে মাত্র ছয় ঘন্টা কাজ করে, আর বাকি সময় তাদের অবসর। ঐ সময় তারা বুদ্ধিবৃত্তিক
কাজে ব্যয় করে এবং মানুষের স্বাভাবিক গুণ যেমন বিজ্ঞতা, পরিমিতবোধ, বীরের ন্যায় সহিষ্ণুতা
এবং সুবিচারের মতো গুন অর্জনের চেষ্টা চালায়। ঐ শহরে যুদ্ধ ও মঠতন্ত্র বিনাশ করা হয়েছে,
ঈশ্বর এবং ত্মার স্থায়িত্বে যারা বিশ্বাস করে এমন সবাইকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ম্যুর
ইউটোপিয়ায় খ্রিস্টান ধর্মের পক্ষে কোনো যুক্তি দেন নি, কিন্তু এই বইয়ে বুঝাতে চেয়েছেন,
যদি ইউটোপিয়ার লোকেরা তাদের সমাজকে খ্রিস্টাব্দে প্রত্যাদেশ ছাড়া সুন্দর ভাবে পরিচালনা
করতে পারে তাহলে খ্রিস্টের বাণী প্রাপ্ত ইউরোপের লোকদের আরো ভালভাবে তা পারা
উচিত।
ফ্রান্স
ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিস (১৫১৫-১৫৪৭ খ্রি.) তার রাজদরবারকে জ্ঞান ও আলোর কেন্দ্রে পরিণত
করতে চেয়েছিলেন। নাভারির মার্গারেট (গধৎমধৎবঃ ড়ভ ঘধাধৎৎব) নামে তার এক বোন ছিল,
প্রতিভার দিক থেকে তিনি ফ্রান্সিস থেকে এগিয়ে ছিলেন। এই বুদ্ধিমতী ও আকর্ষণীয় রাণী
ধর্মীয় চিন্তাধারা, প্রাচীন দর্শন এবং ইতালির সাহিত্যে ছিলেন একজন পন্ডিত। মার্গারেটের
ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বিখ্যাত ফরাসি মানবতাবাদী ফ্রাকোস রেবেলেয়াস (১৪৯৪-১৫৫৩ খ্রি.)।
ষোড়শ শতাব্দীর সেরা সৃজনশীল লেখক হিসেবে তিনি বোদ্ধাদের ভালবাসা লাভ করেছিলেন।
একজন সন্যাসী হিসেবে তিনি শিক্ষালাভ করলেও কিছুকাল পর তিনি ডাক্তারি শাস্ত্র পড়ার জন্য
মঠ পরিত্যাগ করেন। চিকিৎসকের পেশা পালনের সঙ্গে তিনি সাহিত্যেরও চর্চা শুরু করেন।
তিনি সাধারণ পাঠকদের জন্য বর্ষপঞ্জিকা, হাতুঁড়ে ডাক্তার এবং জ্যোতিষীদের বিরুদ্ধে বিদ্রæপ
এবং সাধারণের কুসংস্কারপূর্ণ বিশ্বাসের ওপর ব্যঙ্গাত্মক রচনা লিখতে থাকেন। তাঁর সবচাইতে
স্থায়ী রচনা ছিল পাঁচ খন্ডবিশিষ্ট গারগানটুয়া এবং প্যানটাগ্রায়েল (এধৎমধহঃঁধ ধহফ
এস এস এইচ এল
ইউনিট - ৭ পৃষ্ঠা - ৩৮
চধহঃধমৎঁবষ)। রেবেলেয়াস এই গ্রন্থে মধ্যযুগের “গারগানটুয়া ও প্যানটাগ্রায়েল’’ নামক
বিশাল আকৃতির ও প্রচুর ভোজনকারী দুই দানবের অভিযানের বর্ণনা দিয়েছেন। লেখক ব্যঙ্গ
বিদ্রæপময় বর্ণনা এবং তার প্রকৃতিবাদী দর্শন উপস্থাপন করেন। তাঁর চিন্তার মিল দেখা যায়
খ্রিস্টান মানবতাবাদীদের সঙ্গে। তিনি ধর্মের বাহ্যিক আড়ম্বরপূর্ণ সমারোহকে ব্যঙ্গ, মধ্যযুগীয়
দার্শনিক মতবাদকে উপহাস, কুসংস্কারকে ঘৃণা এবং সবরকমের ধর্মান্ধতাকে বিদ্রæপ করতেন।
রেবেলেয়াস সাধারণ মানুষের জন্য সহজ সরল ফরাসি ভাষায় লিখতেন। তিনি তাঁর লেখনিতে
মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছেন বা তাদেরকে নৈতিক জ্ঞান দান করছেন এমন ধারণা দিতেন না। বরং
তিনি চেষ্টা করেছেন মানুষকে আনন্দ ও মজা দিতে। গারগানটুয়া এবং প্যান্টাগ্রায়েলে”র
পাঁচখন্ডেই একইভাবে মানুষ এবং প্রকৃতিকে উচুঁ করে তুলে ধরা হয়েছে। রেবেলেয়াসের
দানবগুলো ছিল আসলে অতিকায় মানুষ-যাদের অন্তরে ছিল অপরিসীম ভালবাসা। এই সব
দানবীয় আকৃতির মানুষের মাধ্যমে যেটা তুলে ধরা হয় তা হচ্ছে সহজাত মানবীয় প্রকৃতির
সবগুলো দিকই শুভ যদি তা অন্যের ক্ষতি না করে। তিনি অস্তিত্বহীন এমন একটা (ধননবু
ড়ভ ঞযবষবসব) আদর্শ সমাজের কথা কল্পনা করেছেন যেখানে কোনো রকম নির্যাতন নেই, বরং
সেখানে এমন একটা পরিবেশ বর্তমান যেখানে থাকবে স্বাভাবিক জীবনের জয়গান। এখানে
মানুষের যা ইচ্ছা হবে তাই কোনো দ্বিধা ছাড়াই সে করবে না।
১৫৫৩ খ্রিস্টাব্দে যখন রেবেলেয়াস মারা যান তখন মাইকেল মনটাইগনির (গরপযবষ
গড়হঃধরমধহব) বয়স ছিল মাত্র বিশ বছর। ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দে তার মুত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছিলেন
ফ্রান্সের প্রধান মানবতাবাদী। তিনি শিক্ষায় আধুনিক মনোবিজ্ঞানের অগ্রদূত, আধুনিক
গদ্যরীতির সৃজনকারী এবং একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি যিনি মনে করতেন মানবজীবনের সমস্যা
অস্পষ্ট ধর্মগ্রন্থের একটি মন্ত্রের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মানবতাবাদ ছিল ভারসাম্যের
পক্ষে ও চরমপন্থার বিপক্ষে, নৈতিকতাবাদী, সংস্কারপন্থী, জ্ঞানচর্চা এবং সমালোচনামূলক
চিন্তার সপক্ষে।
হল্যান্ড
রেনেসাঁসের প্রভাব এবং চিন্তার ক্ষেত্রে হল্যান্ডের অবস্থানও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ডেসিডেরিয়াস
ইরাসমাসকে (উবংরফবৎরঁং ঊৎধংসঁং) (১৪৬৭-১৫৩৬ খ্রি.) বলা হয় খ্রিস্টান
মানবতাবাদীদের যুবরাজ। হল্যান্ডে জন্ম গ্রহণ করলেও তাঁর লেখনীর প্রভাব হল্যান্ডে সীমাবদ্ধ
থাকে নি, তাঁর ব্যাপক ভ্রমণের ফলে উত্তর ইউরোপের অনেক দেশে তাঁর চিন্তাধারা ছড়িয়ে
পড়েছিলো। একজন যাজকের অবৈধ সন্তান ইরাসমাসকে খুব ছোটবেলায় একটি মঠে পাঠিয়ে
দেওয়া হয়। সেখানে ইরাসমাস দেখলেন ধর্ম বা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার কমই ব্যবস্থা রয়েছে, বরং
সেখানে যা ইচ্ছা তা পড়ার বিশাল স্বাধীনতা রয়েছে। প্রাচীন জ্ঞান বিজ্ঞানের যত বই তিনি
পেলেন সব পড়ে ফেললেন। ত্রিশ বছর বয়সে তিনি মঠ ত্যাগ করার অনুমতি পেলেন এবং
প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন। এখানে তিনি ধর্মতত্তে¡র ওপর ¯œাতক ডিগ্রি লাভ করলেন।
কিন্তু শীঘ্রই তিনি প্যারিসের দার্শনিক মতবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন। যাজকের বৃত্তিতে
তিনি কখনো প্রবেশ করলেন না বরং জীবিকা নির্বাহের জন্য শিক্ষকতা এবং লেখনিকে বেছে
নিলেন। সব সময় নতুন শুভানুধ্যায়ী এবং পৃষ্ঠপোষকতা পাবার আশায় তিনি প্রায়ই তার
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসন পৃষ্ঠা - ৩৯
বাসস্থান পরিবর্তন করেন। প্রায়ই তিনি ইংল্যান্ডে যেতেন এবং বেশ কিছু দিন ইতালিতে
বসবাস করেন। নেদারল্যান্ডের কয়েকটি শহরে তিনি বেশ কিছুদিন অবস্থান করে
সুইজ্যারল্যান্ডের বেসেলে শেষ জীবন অতিবাহিত করেন। যেখানেই তিনি থাকতেন সেখান
থেকেই তিনি বড় বড় চিঠির মাধ্যমে তৎকালীন জ্ঞানীগুণী ও রাজাদের সঙ্গে যোগাযোগ
রাখতেন। এই ভাবে ইরাসমাস উত্তর ইউরোপের খ্রিস্টান হিউম্যানিস্টদের নেতা হয়ে বসেন।
ইরাসমাস তাঁর লেখনিকে, তার ভাষায় “খ্রিস্টের দর্শনের’’ প্রচার কার্যে নিয়োগ করেন। তাঁর
মতে খ্রিস্টের উপদেশবাণীর যথাযথ অনুসরণ না করার ফলে সমাজ দুর্নীতি এবং অনৈতিকতায়
ভরে গেছে। তাই তিনি সমসাময়িক লোকদের জন্য তিন ধরনের বই প্রকাশ করেন। প্রথমত,
ছিল মজার উপহাসমূলক গ্রন্থ যেন জনগণ তাদের ভুল রাস্তা সম্পর্কে সচেতন হয়। দ্বিতীয়ত,
নৈতিক গবেষণামূলক গ্রন্থ যেন মানুষ সঠিক খ্রিস্টান আচরণের দিক্নির্দেশনা লাভ করতে পারে,
তৃতীয়ত, পান্ডিত্যপূর্ণ খ্রিস্টানমূল গ্রন্থ। প্রথম শ্রেণীভ‚ক্ত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত প্রেইজ
অব ফলি (চৎধরংব ড়ভ ঋড়ষষু) যা ১৫০৯ খ্রিস্টাব্দে রচিত। এই গ্রন্থে তিনি পান্ডিত্যপূর্ণ দার্শনিক
মতবাদ এবং যুক্তি ছাড়া ধর্মমত এবং সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা ও কুসংস্কারমূলক বিশ্বাসের
সমালোচনা করেন। দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে হ্যান্ডবুক অব দ্যা খ্রিস্টান নাইট
(ঐধহফ নড়ড়শ ড়ভ ঃযব ঈযৎরংঃরধহ কহরমযঃ) এবং কমপ্লেইন অব পিস (ঈড়সঢ়ষধরহঃ ড়ভ
চবধপব)। প্রথমটিতে জনসাধারণকে অন্তরের ভক্তি অর্জনের দিকে আহŸান করা হয়। দ্বিতীয়
গ্রন্থে মানুষকে খ্রিস্টান শান্তিবাদ অন্বেষণের দিকে আকুল ভাবে ডাকা হয়।
ইরাসমাসের সব চাইতে বড় কৃতিত্ব খ্রিস্ট ধর্মের মৌলিক গ্রন্থাবলীর পান্ডিত্যপূর্ণ সংস্করণ।
প্রাচীন ল্যাটিন ধর্মগুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি অগাস্টাইন, জে রোমে এবং
এ্যামব্রোসের গ্রন্থগুলোর বিশ্বাসযোগ্য সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন। ল্যাটিন ও গ্রিক ভাষার
ওপর তার অসাধারণ পান্ডিত্য প্রয়োগ করে তিনি নিউ টেস্টামেন্টের একটি বিশ্বাসযোগ্য
সংস্করণ ছাপান। লরেঞ্জো ভালার (খড়ৎবহমড় ঠধষষধ) নোটস অন দ্য নিউ টেস্টামেন্ট পাঠ
করে তিনি বুঝতে পারেন যে মধ্যযুগে নিউ টেস্টামেন্টের অনুবাদ এবং প্রতিলিপি গ্রহণ করার
সময় অসংখ্য ভুল ভ্রান্তি হয়েছে। এগুলোকে দূর করতে হবে, কারণ খ্রিস্টের বাণী সত্যিকার
ভাবে না জানলে কেউ ভালো খ্রিস্টান হতে পারবে না। দশ বছর সাধনা করে তিনি প্রাপ্য
বাইবেলের প্রাচীন পান্ডুলিপিগুলো পড়েন যেন একটি প্রামাণিক বাইবেল গ্রন্থ তৈরি করতে
পারেন। শেষ পর্যন্ত ১৫১৬ সালে ইরাসমাস গ্রিক নিউ টেস্টামেন্ট প্রকাশ করেন। এর মধ্যে
তিনি তাঁর নিজস্ব ব্যাখ্যা এবং ল্যাটিন ভাষায় তাঁর করা অনুবাদ সংযোজন করেন। ইরাসমাসের
“গ্রিক নিউ টেস্টামেন্ট’’ সকল কালের বাইবেল সংক্রান্ত জ্ঞানের জগতে একটি উল্লেখযোগ্য
গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
জার্মানি
জার্মান খ্রিস্টান হিউম্যানিস্টদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উলরিক ভন হাটেন (টষৎরপয ঠড়হ
ঐঁঃঃবহ), ইরাসমাস এবং ম্যুর ইরাসমাস এবং ম্যুর ছিলেন শান্ত প্রকৃতির। কিস্তু ভন হাটেন
ছিলেন যুদ্ধংদেহী। জার্মান সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের প্রতি নিবেদিত প্রাণ এই লেখক রোমান
এস এস এইচ এল
ইউনিট - ৭ পৃষ্ঠা - ৪০
ঐতিহাসিক টেসিটাসের বই অনুবাদ করে দেখান যে স্বাধীন ও গৌরবদীপ্ত জার্মান বিভিন্ন গোত্র
কিভাবে রোমান সৈন্যবাহিনীর ওপর বিজয়ী হয়েছিলো, অন্যান্য লেখায় তিনি তার ক্ষুরধার
বক্তব্য দিয়ে বিদেশীদের বিরুদ্ধে জার্মানদের প্রতিরোধের বর্ণনা দেন। ভন হাটেনের সবচাইতে
উল্লেখযোগ্য লেখনি ছিল লেটারস অব অবসকিউর মেন (খবঃঃবৎং ড়ভ ঙনংপঁৎব গবহ)। এটা
তিনি আরেক জার্মান মানবতাবাদী ক্রোটাস রুবিয়ানাসের (ঈৎড়ঃঁং জঁনরধহঁং) সঙ্গে
যৌথভাবে লিখেছিলেন। ১৫১৫ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি সাহিত্যের ইতিহাসে তী² এবং
আক্রমণাÍক ও ব্যঙ্গরচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বলে বিবেচিত হয়। জোহান রিউচলিন
(ঔড়যধঁহ জবঁপযষরহ) নামক এক পন্ডিতের পক্ষে প্রচারণার উদ্দেশ্যে এ বইটি লেখা
হয়েছিলো। রিউচলিন হিব্রæ বইপত্র এবং ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তালমুদ পর্যালোচনা করতে
চেয়েছিলেন। যখন বিশ্ববিদ্যালয় এবং জার্মান ধর্মীয় বিচারালয়ের প্রধান ঐ দেশের সমস্ত হিব্রæ
গ্রন্থ পুড়ে ফেলার চেষ্টা করেন রিউচলিন এবং তার অনুসারীরা এর বিরোধিতায় নামেন। যখন
দেখা গেল যুক্তিতর্ক দিয়ে কোনো সমাধান হচ্ছে না তখন রিউচিলিনের সমর্থকরা উপহাস ও
ব্যঙ্গ বিদ্রæপের পথ বেছে নিলেন। ভনহাটন এবং রুবিয়ানাস ইচ্ছাকৃতভাবে বাজে ল্যাটিন
ভাষায় চিঠি লিখলেন। তাঁরা চিঠিগুলোতে এমন একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে
এগুলো কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউচলিনের বিরোধী পন্ডিতেরা লিখেছে। লেখাগুলিতে
হাস্যকর ও কিম্ভুতকিমাকার পান্ডিত্য তুলে ধরা হয়। উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করা যায় এক
চিঠিতে এক লেখক গর্ব করে এমন উদ্ভট তথ্য উল্লেখ করেছেন যাতে বলা হয় জুলিয়াস
সিজার ল্যাটিন ভাষায় ইতিহাস তৈরি করেন নি, কারণ যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে তিনি এতই ব্যস্ত ছিলেন
যে ল্যাটিন শেখার তাঁর সময়ই ছিল না। তৎকালীন গির্জা এই চিঠিগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা
করলেও চিঠিগুলো ব্যাপক প্রচারণা লাভ করে। এসবের মাধ্যমে মানুষের মনে এই ধারণা
জোরালো হয় যে জটিল পান্ডিত্যপূর্ণ ধর্মীয় তত্ত¡ এবং ক্যাথলিক আচার অনুষ্ঠানের চেয়ে যিশুর
আসল আদর্শের প্রতি আন্তরিকতাপূর্ণ ভক্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ইতালির বাইরে রেনেসাঁস তথা খ্রিস্টান মানবতাবাদ যে জোয়ারের মত বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে
পড়েছিলো তা কিন্তু বেশি দিন প্রভাব বিস্তার করে থাকতে পারে নি। প্রোটেস্টান্ট আন্দোলনের
উত্থানের ফলে খ্রিস্টান মানবতাবাদী আন্দোলনে ভাটা পড়ে। এটাই স্বাভাবিক, কেননা
ইউরোপের সংস্কারকরা বাইবেলের আক্ষরিক সত্যের ওপর জোর দেওয়া যাজকদের অনৈতিক
কাজ এবং দুর্নীতি, আড়ম্ভরপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির নিন্দা করে আসলে মার্টিন লুথারের
প্রোটেস্টান্ট আন্দোলনের রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। খুব কম খ্রিস্টান মানবতাবাদী
লুথারের মতো অগ্রসর হয়ে ক্যাথলিক ধর্মের মূলে কুঠারাঘাত করতে রাজি ছিলেন। আর অল্প
যে কজন প্রোটেস্টান্ট হয়ে যান তাঁরাও পূর্বের খ্রিস্টান মানতাবতাবাদীদের মত গঠনমূলক
সমালোচনার পরিবর্তে তীব্র আক্রমণাÍক ভ‚মিকা অবলম্বন করেন। অধিকাংশ খ্রিস্টান
মানবতাবাদী ক্যাথলিক গন্ডির মধ্যে থেকে আড়ম্বরপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির পরিবর্তে ভেতরের
ভাবগত ভক্তির ওপর জোর দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাথলিকরা ক্রমেই সহিষ্ণুতা
হারিয়ে ফেলে। ততদিনে তাঁরা প্রোটেস্টান্টদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ঘোরতর যুদ্ধে। তারা
ক্যাথলিক মতাদর্শের সামান্য সমালোচনাকে ভিতরে ভিতরে শত্রæর সঙ্গে সহযোগিতা মনে
করতে থাকে। মানবতাবাদী খ্রিস্টান ইরাসমাস কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মৃত্যুকে
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসন পৃষ্ঠা - ৪১
বরণ করে নেন। কিন্তু তার বেশ কিছু দুর্ভাগা অনুসারীকে স্পেনীয় ধর্মীয় বিচারালয়ের হাতে
সাজা ও গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছিলো।
এস এস এইচ এল
ইউনিট - ৭ পৃষ্ঠা - ৪২
সারসংক্ষেপ
ইতালিতে শিল্প সাহিত্য ও চিত্রকলায় যে নবজাগরণ শুরু হয়েছে তা ইউরোপের - বিশেষ করে উত্তর
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। ইংরেজ, ফরাসি কিম্বা জার্মান রেনেসাঁস কিন্তু ইতালীয়
রেনেসাঁসের হুবহু প্রতিলিপি নয়। ইতালীয় রেনেসাঁসের কিছু দিক স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে
মিলিত হয়ে আলাদা ভাবে বিকশিত হয়। ইতালির রেনেসাঁস ধর্মকে বাদ দিয়ে গড়ে উঠলেও
ইউরোপের অন্যান্য দেশে ইরাসমাস, থমাস ম্যুর, রেবেলেয়াস প্রমুখ মানবতাবাদী ধর্মকে কেন্দ্র করেই
মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তাঁদের লেখনি চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে মার্টিন লুথারের প্রোটেস্টান্ট আন্দোলনকেই
সহযোগিতা করেছে।
বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসন পৃষ্ঠা - ৪৩
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
১। ইতালির বাইরে ইউরোপে রেনেসাঁস বিকশিত হয়
(ক) ষোড়শ শতাব্দীতে (খ) পঞ্চদশ শতাব্দীতে
(গ) চর্তুদশ শতাব্দীতে (ঘ) ত্রয়োদশ শতাব্দীতে
২। মধ্যযুগের শেষ দিকে ইউরোপে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল
(ক) ধর্মনিরপেক্ষ (খ) ধর্মকেন্দ্রিক
(গ) কিছুটা ধর্মনিরপেক্ষ কিছুটা ধর্মভিত্তিক (ঘ) নিজস্ব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভিত্তিক
৩। থমাস ম্যুর ইংলাান্ডের রাজার সহানুভ‚তি হারালেন - কেননা
(ক) তিনি ’’ইউটোপিয়া’’ নামক বই লিখেন
(খ) তিনি বাইবেলের সমালোচনা করেন
(গ) তিনি রাজার সমালোচনা করেন
(ঘ) তিনি রাজাকে ইংল্যান্ডের গির্জার প্রধান হিসেবে স্বীকার করেন নি।
৪। রেবেলেয়াস এর গ্রন্থের নাম
(ক) ইউটোপিয়া (খ) গারগানটুয়া ও প্যানটাগ্রায়েল
(গ) এ্যাবে অব থালমি (ঘ) প্রেইজ অব ফলি
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর
১। (ক), ২। (খ), ৩। (খ), ৪। (খ)
রচনামূলক প্রশ্ন
১। ইতালির বাইরে ইউরোপীয় দেশ সমূহের সঙ্গে ইতালীয় রেনেসাঁসের পার্থক্যের ওপর
আলোচনা করুন।
২। ইউরোপীয় রেনেসাঁসে এ- ইরাসমাসের অবদান মূল্যায়ন করুন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। কী উপায়ে ইতালীয় রেনেসাঁস ইউরোপের অন্যান্য দেশকে প্রভাবিত করেছিলো?
২। উত্তর-ইউরোপে খ্রিস্টান মানবতাবাদী আন্দোলন কী ভাবে মার্টিন লুথারের আন্দোলনকে
সহায়তা করেছে?
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত