জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ১। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের অভ্যন্তরীণ সংস্কারসমূহ আলোচনা করুণ।
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার কর্তৃক ভূমিদাস প্রথা বিলোপ সাধনে বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের বর্ণনা দিন।


 জার আলেকজান্ডারের সংস্কারসমূহ;
 এই সংস্কার কার্যক্রমের ব্যর্থতার কারণসমূহ;
 জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের পররাষ্ট্র নীতি;
 রাশিয়ায় নারোদনিক আন্দোলন;
 জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের শাসনামলের মূল্যায়ন।
রাশিয়ার সম্রাট জার প্রথম নিকোলাসের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় পুত্র জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার
সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি যখন সিংহাসনে আসীন হন তখন রাশিয়ার সমাজে এক তীব্র
 জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের শাসনামলের মূল্যায়ন।
রাশিয়ার সম্রাট জার প্রথম নিকোলাসের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় পুত্র জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার
সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি যখন সিংহাসনে আসীন হন তখন রাশিয়ার সমাজে এক তীব্র
 জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের শাসনামলের মূল্যায়ন।
রাশিয়ার সম্রাট জার প্রথম নিকোলাসের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় পুত্র জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার
সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি যখন সিংহাসনে আসীন হন তখন রাশিয়ার সমাজে এক তীব্র
 জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের শাসনামলের মূল্যায়ন।
প্রথম আলেকজান্ডারের চেয়ে ভিন্নমাত্রার মানুষ। পিতা নিকোলাসের মতো সামরিকপ্রীতি এবং পিতামহ
প্রথম আলেকজান্ডারের মতো বাস্তবতা বর্জিত আদর্শ প্রীতি তার মাঝে ছিল না। যে চিন্তা ও গুণের জন্য
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন সেটা হলো তার জনকল্যাণকামী
পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ। বস্তুত দেশের মানুষের জন্য তার কল্যাণ ভাবনা ছিল
প্রবল। জনকল্যাণের জন্য গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে তিনি রাশিয়ার ইতিহাসে অমর হয়ে
আছেন। তার এই সংস্কার পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ছিল তার পিতা জার প্রথম নিকোলাসের আমলে গৃহীত
বিভিন্ন নেতিবাচক পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট সামাজিক অচলাবস্থা ও অরাজকতার অবসান ঘটানো।
কল্যাণমুখী সংস্কার কার্যক্রম শুরুর পূর্বেই জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সংবাদপত্রের উপর থেকে
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে দেন।
তিনি রাশিয়ার নাগরিকদের পশ্চিম ইউরোপে ভ্রমণের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন। তিনি
১৮৫৪-৫৬ সালের ক্রিমিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয়ের জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটকে চিহ্নিত
করেন। বস্তুত:পক্ষে এই যুদ্ধ সময়ে রাশিয়ার সম্রাটের প্রতি জনগণের কোনো প্রকার সমর্থন ছিল না।
সামগ্রিক পটভূমিতে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার অভ্যন্তরীণ সমাজ সংস্কারের দিকে প্রথমেই মনোনিবেশ
করেন। তার অভ্যন্তরীণ সংস্কারমূলক পদক্ষেপসমূহ নি¤েœপ্রদত্ত হলো :
(ক) ভূমিদাস প্রথার বিলোপ সাধন
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পদক্ষেপটি হলো সার্ফ বা ভূমিদাস
প্রথার বিলোপ সাধন। উনিশ শতকে রাশিয়ার সার্ফবা ভূমিদাসরা ছিল সবচেয়ে অত্যাচারিত শ্রেণী।



রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ছিল এই শ্রেণীভূক্ত। এই শ্রেণীর একাংশ ছিল জার
অধিকারভূক্ত বলয়ে এবং বাকি অংশ ছিল সমাজের অভিজাত শ্রেণী ও চার্চের অধীনে। ভূমিদাসদের
উপর সীমাহীন শোষণ আর অত্যাচারের কারণে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিতে রাশিয়ার সরকারের
গ্রহণযোগ্যতা ছিল বহুলাংশে কম। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার পরাজয়, অগণিত মানুষের মৃত্যু, দেশে চরম
অর্থনৈতিক সংকট এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি মিলে রাশিয়াতে এক ভয়াবহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি
বিরাজ করতে থাকে। এমতাবস্থায় রাজপরিবার, অভিজাত সমাজের পক্ষে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ
জনগোষ্ঠী ভূমিদাসদের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা অত্যন্তকঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রুশ বিপ্লবের মহানায়ক
মহামতি লেনিন ক্রিমিয়া যুদ্ধ পরবর্তী রাশিয়ার অবস্থাকে বিপ্লবী পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি
সুস্পষ্টভাবে অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে অবহেলিত শ্রেণীর সম্মিলিত এবং দৃঢ় সাংগঠনিক পদক্ষেপ
গ্রহণের ব্যর্থতায় বিপ্লবী পরিস্থিতি কাজে আসেনি। সম্রাট দ্বিতীয় জার আলেকজান্ডার সংস্কার পদক্ষেপ
গ্রহণ করে দেশের ভূমিদাসদেরকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য অভিজাত স¤প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানান।
তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে ১৮৬১ সালে ‘ভূমিদাস মুক্তি নির্দেশ’ নামক
আইন জারি করেন। এই আইন অনুসারে
প্রথমত, সার্ফ বা ভূমিদাস স¤প্রদায়কে দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়;
দ্বিতীয়ত, মুক্তি প্রদানের সাথে সাথে ভূমিদাসদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার প্রদান করা হয়;
তৃতীয়ত, জমিদারদের বা অভিজাত সমাজের জমির একাংশ ভূমিদাসদের প্রদান করা হয় এবং এইজন্য
জমিদারদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়;
চতুর্থত, ভূমিদাসদের জমি সরাসরি তাদের হাতে না দিয়ে গ্রামীণ সংস্থা ‘মির’ এর তত্ত¡াবধানে রাখা হয়।
এই আইন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ভূমিদাসদের মুক্ত কৃষক হিসেবে
রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাদের উপর জমিদার, অভিজাত ও মালিকদের সকল
প্রকার অধিকার এবং কর্তৃত্বের বিলোপ সাধন করেন। সরকার জমিদারদের জমির ক্ষতিপূরণ প্রদানের
জন্য বাৎসরিক ছয় শতাংশ হারে সুদ প্রদানসহ ৪৯ বৎসরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সময় সীমা বেধে
দেয়। তার গৃহীত এই সংস্কার পদক্ষেপ বাস্তবে ভূমিদাসদের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারেনি। একদিকে
তারা ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তাদেরকে প্রদত্ত ভূমির ব্যবস্থাপনা গ্রামীণ সংস্থা ‘মির’
এর হাতে থাকার কারণে তাদের অর্থনৈতিক জীবনে কোনো বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেনি। ফলে দেশের
অর্থনীতিও পিছিয়ে থাকে এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়নি। তবে এই সংস্কার
কর্মসূচির সবচেয়ে ইতিবাচক ফল হলো রুশ সমাজে ভূমিদাস প্রথার বিলুপ্তি।
(খ) বিচার বিভাগের সংস্কার
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কার কর্মসূচির দ্বিতীয় পদক্ষেপ হলো বিচার বিভাগের সংস্কার।
ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিশেষত পশ্চিম ইউরোপে আঠারো ও উনিশ শতকে বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক
সংস্কার সাধিত হলেও রাশিয়ার বিচার ব্যবস্থা ছিল মধ্যযুগের কাঠামোতে আবদ্ধ। তিনি দেশের বিচার
ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য নি¤œলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করেন :
(১) দেশের বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে আলাদা করা হয়। ইতিপূর্বে রাশিয়াতে এই বিভাগ
ছিল শাসন বিভাগের একটি অংশ মাত্র। এই পদক্ষেপের ফলে বিচার বিভাগ একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র
আলাদা বিভাগে পরিণত হয়। একই সঙ্গে বিচার বিভাগের কর্মকান্ডে ব্যাপক গতিশীলতা ফিরে আসে।


(২) বিচারকদের চাকুরী স্থায়ী করে আইন জারি করা হয়। এই সময়ে সরকারিভাবে বিচারক
নিয়োগের নীতিমালা গৃহীত হয়। এই পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বেরাশিয়াতে বিচারক নিয়োগের কোনো নির্দিষ্ট
নীতিমালা ছিল না। আর বিচারক হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি ছিল সমাজের অভিজাত সমাজের
আনুকূল্যতা। ফলে বিচারকদের ছিল না স্বাধীনতা কিংবা সুবিচার করার ক্ষমতা। উপরন্তু ছিল প্রশাসনিক
নিয়ন্ত্রণ। গৃহীত এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগকে আধুনিক ও গতিশীল করে তোলে। যোগ্য, মেধাবি ও সৎ
ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেতে থাকেন।
(৩) সাধারণ মামলার বিচারের জন্য দ্যা জাস্টিস অব দি পিস নামে এক শ্রেণীর স্থানীয় বিচারক
নিয়োগ করা হয়। এই সকল বিচারক স্থানীয় জনসাধারণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। গৃহীত এই ব্যবস্থা
রাশিয়ার স্থানীয় বিচার ব্যবস্থায় এক ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসে। স্থানীয় বিচারক বা জুরি নিয়োগ
করার ফলে বিচার ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
(৪) জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার দেশে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে প্রকাশ্য বিচার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা প্রচলন
করেন। দেশের প্রত্যন্তঅঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক শান্তিস্থাপনে এই
পদক্ষেপ সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
(গ) স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংস্কার
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ক্রিমিয়ার যুদ্ধে সাধারণ মানুষের নির্লিপ্ততা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে স্থানীয়
জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের মধ্যে দিয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের
পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই সংস্কার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তিনি সমগ্র রাশিয়াকে ৩৪টি প্রদেশে এবং
৩৬০টি জেলায় বিভক্ত করেন। প্রত্যেকটি জেলায় গঠিত হয় জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ গঠন করা
হয় জেলার সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিদের নিয়ে। অতপর গঠন করা হয় ৩৪টি প্রাদেশিক পরিষদ। প্রত্যেক
প্রদেশের অধীনস্থ জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয় প্রাদেকি পরিষদ। জেলা ও
প্রাদেশিকউভয় পরিষদের আলাদাভাবে বৎসরে একবার অধিবেশন বসার সিদ্ধান্তগৃহীত হয়। এছাড়া
প্রত্যেকটি প্রদেশে প্রাদেশিক পরিষদ ও প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত জেলা পরিষদসমূহের সমন্বয়ে যৌথ
অধিবেশনও অনুষ্ঠিত হতো। এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণ ও উন্নয়ন, স্থানীয় পর্যায়ে কর ধার্য ও আদায়,
প্রাথমিক শিক্ষা এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ে দায়িত্ব ন্যস্তছিল এই জেলা ও প্রাদেশিক পরিষদের
হাতে। যদিও এই সকল পরিষদের উপর জারের নিয়ন্ত্রণ ছিল তথাপি এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সাধারণ
মানুষ স্থানীয়ভাবে প্রশাসন ও রাজনীতিতে অংশ গ্রহণের সুযোগ লাভ করে। রাশিয়ার সমাজ ও
রাজনীতিতে এই সংস্কারের ফলাফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী।
(ঘ) পৌর প্রতিষ্ঠানের সংস্কার
শাসন ও বিচার বিভাগের সংস্কার কার্যকরি করার পর দ্বিতীয় জার আলেকজান্ডার দেশের পৌর
প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করেন। এক্ষেত্রে তার দুটি পদক্ষেপ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত,
পৌর প্রতিষ্ঠানসমূহে কেবলমাত্র কর দাতাদের ভোট দানের অধিকার প্রদান করা হয়। দ্বিতীয়ত, কর
প্রদানকারীদের প্রত্যক্ষ ভোটে গঠিত হয় নির্বাচিত পৌর পরিষদ। এই পৌর পরিষদ সরকারি নিয়ন্ত্রণে
ছিল। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল পৌর এলাকার বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পন্ন করা। বিশেষত,
রাস্তাঘাট নির্মাণ, পয় প্রণালী-ব্যবস্থা সংরক্ষণ, আইনশৃঙ্খলা তদারকি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর
রাখা প্রভৃতি।
অভ্যন্তরীণ সংস্কার পদক্ষেপের ব্যর্থতা
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার কর্তৃক গৃহীত দেশের অভ্যন্তরীণ সামাজিক, শাসনতান্ত্রিক, বিচার বিভাগ ও
পৌর ব্যবস্থার সংস্কার পদক্ষেপ ছিল তৎকালীন রাশিয়ার আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে


প্রগতিশীল পদক্ষেপ। তার এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সাধারণ মানুষকে আশান্বিত করে তুলেছিল। কিন্তু
চূড়ান্তপরিণতিতে এই সকল কল্যাণকামী সংস্কার পদক্ষেপ সমাজ ও রাজনীতিতে ইতিবাচক সুফল বয়ে
আনতে পারেনি। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কার পদক্ষেপের ব্যর্থতার কারণসমূহ নি¤œরূপ:
প্রথমত, সমাজে ভূমিদাস শ্রেণীকে মুক্তি প্রদান করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা মুক্তি লাভ করেনি। তাদের
উপর সামন্তজমিদার শ্রেণীর নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলেও গ্রামীণ সংস্থা মির এর কর্তৃত্ব বজায় থাকে। ফলে এরা
পূর্ণভাবে মুক্তি লাভ করেনি। উপরন্তু এরা ছিল দীর্ঘকালীন ঋণভারে জর্জরিত। ফলে জার দ্বিতীয়
আলেকজান্ডারের পদক্ষেপ ভূমিদাস শ্রেণীর মাঝে কোনো প্রকার নতুন আশার আলো কিংবা নতুন
উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলতে পারেনি। এই অবস্থা বছরের পর বছর চলতে থাকার পর তাদের মাঝে হতাশা
দেখা দেয়। তাই বলা যায় যে, ভূমিদাসদের মুক্তি প্রদানের বিষয়টি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হওয়া
সত্তে¡ও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
দ্বিতীয়ত, দ্বিতীয় জার আলেকজান্ডারের পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নের জন্য যে পরিমাণ দক্ষ ও শিক্ষিত
কর্মচারীর প্রয়োজন ছিল তা রাশিয়াতে ছিল না। বিচার বিভাগ পরিচালনার জন্য দক্ষ, সৎ,
দায়িত্বপরায়ণ বিচারকের অভাব ছিল। যে সকল কর্মচারীর উপর এই সকল সংস্কার বাস্তবায়নের দায়িত্ব
অর্পিত হয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিল অসৎ ও দুর্নীতিপরায়ণ। এই সকল কর্মচারী এই সংস্কার
পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ছিল। ফলে সংস্কার কার্যক্রমের সুফল জনগণের কাছে পৌছেনি।
তৃতীয়ত, জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার এই সকল সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি নিজেই
কোনো প্রকার আদর্শদ্বারা পরিচালিত হননি। এমনকি এই সকল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্দেশ্য এবং চূড়ান্ত
লক্ষ্য সম্পর্কে তার কোনো সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। তিনি অনেকটা আবেগের বশবতী হয়ে এই সকল
উদারনৈতিক সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সংস্কার কার্যক্রমের ব্যর্থতার পটভূমিতে এক পর্যায়ে
মানুষের মাঝে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠলে তিনি নির্মমভাবে বিদ্রোহ দমন করেন এবং উদারনীতি
পরিত্যাগ করেন।
চতুর্থত, এই সকল সংস্কার পদক্ষেপের ব্যর্থতার একটি বড় কারণ হলো রাশিয়াতে একটি আধুনিক
শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনুপস্থিতি। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার এমনকি তার পূর্বসূরিরাও রাশিয়ার
সমাজের জন্য সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গিয়ে পশ্চিম ইউরোপের বৃটেন, ফ্রান্স, ইতালি প্রভৃতি
দেশসমূহকে অনুসরণ করেছেন। এই সকল দেশের মূল সামাজিক শক্তি ছিল আধুনিক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত
শ্রেণী। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় এই শ্রেণীর ভূমিকা ছিল মুখ্য। ইউরোপে উদারনৈতিক ভাবধারার
ধারক ও বাহক ছিল এই শ্রেণী। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সময়ে রাশিয়াতে একটি শিক্ষিত আধুনিক
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ ঘটেনি। ফলে সমাজ কল্যাণমূলক উদারনৈতিক সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে
যাওয়ার সামাজিক শক্তির অনুপস্থিতিতে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের পদক্ষেপ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
পঞ্চমত, জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কার কার্যক্রম ব্যর্থতার জন্য ইতিহাসবিদদের অনেকে উনিশ
শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় বিকশিত নিহিলিজম মতবাদ ও আন্দোলনকে দায়ী করে থাকেন।
এই মতবাদ ও আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল রাশিয়ার সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে
আমূল পরিবর্তন সাধন করা। তাদের মতে রাশিয়ার সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন ছাড়া জনকল্যাণমূলক
কোনো পদক্ষেপ ইতিবাচক ফল প্রদান করতে পারে না। প্রথম পর্যায়ে এই আন্দোলন সমাজ
পরিবর্তনের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী পর্যায়ে এটা একটি সশস্ত্র আন্দোলনে পরিণত হয়।
সমাজের শিক্ষিত ও চিন্তাশীল কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক, দার্শনিক সকলেই ছিল এই মতের
সমর্থক। সাধারণ মানুষের মাঝে নিহিলিজম আন্দোলন ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই আন্দোলন


বিস্তারের কারণে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং জনগণের কাছে
গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
সংস্কার কার্যক্রমের ব্যর্থতা, নিহিলিজম নামের গণআন্দোলনের ব্যাপক বিস্তার, অভিজাত শ্রেণীর দুর্নীতি
আর অসাধুতা ইত্যাদি সবকিছু মিলে রাশিয়াতে এক সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করতে থাকে। ১৮৬৬
সালে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে একটি হত্যা প্রচেষ্টার ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হলে তিনি উদারনীতি
পরিত্যাগ করে যথারীতি চরম প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠেন। ফলে গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম আর এগিয়ে
যায়নি। আপাতদৃষ্টিতে জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কার কার্যক্রম ব্যর্থতার পর্যবসিত হলেও এর
ফলাফল হয়েছিল খুবই সুদূরপ্রসারি। ভূমিদাস প্রথার বিলোপ সাধন রাশিয়াতে সামন্তবাদের পতনের গতি
ত্বরান্বিত করে। এই সময় থেকে শুরু হয় রাশিয়াতে আধুনিক পুঁজিবাদের বিকাশ ও শিল্পায়ন প্রক্রিয়া।
একই সঙ্গে বিকাশ ঘটে আধুনিক শ্রমিক শ্রেণীর। নিহিলিজম আন্দোলন এবং সমাজে শ্রমিক বিকাশ- এই
দুয়ের সমন্বয়ে রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের দানাবন্ধন ঘটে। ১৮৬১ সালে সংস্কার কার্যক্রম
গৃহীত হওয়ার পর রাশিয়ায় হাজার হাজার মাইল রেলপথ নির্মিত হয়। ভূমিদাসেরা দলে দলে শ্রমিকে
পরিণত হয়ে কলে কারখানায় এবং নির্মাণ ও খনির কাজে যোগদান করতে থাকে। ফলে রাশিয়ার
অভ্যন্তরীণ সমাজ বিন্যাসে এক গুণগত পরিবর্তন সাধিত হয়। বিশ শতকের রাশিয়ায় সমাজ বিপ্লবের
ভিত্তিভূমি তৈরি হয় এই সময়ে।
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের পররাষ্ট্র নীতি
দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের পূর্বপুরুষ জার নিকোলাস এবং জার প্রথম আলেকজান্ডারের কালে ইউরোপে
রাশিয়ার সম্মান ও প্রতিপত্তি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছিল। সারা উনিশ শতক জুড়ে অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্য
দখল করার একটা প্রবণতা রাশিয়ার জারদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। উপরন্তু তাদের প্রয়াস ছিল
ভূমধ্যসাগর কিংবা পারস্য উপসাগরের জলপথের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। জার দ্বিতীয়
আলেকজান্ডারের পররাষ্ট্র নীতি আবর্তিত হয়েছিল উপরোক্ত তিনটি বিষয়কে ঘিরে। এইজন্য তার
পররাষ্ট্র নীতিতে নি¤œলিখিত পদক্ষেপসমূহ লক্ষ্য করা যায়।
প্রথমত, তিনি পূর্বসুরি শাসকদের অবলম্বিত পথ বাতিল করে পশ্চিম ইউরোপ থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন
করার নীতি গ্রহণ করেন। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার এবং তার সহযোগী অভিজাত শ্রেণীর এই ধারণা
বন্ধমূল ছিল যে পশ্চিম ইউরোপের চিন্তা ও দর্শনের প্রভাবে রাশিয়ার সাধারণ মানুষ জার বিরোধী
আন্দোলন করছে। এই বিশ্বাস থেকে তিনি পশ্চিম ইউরোপ বিশেষত ফ্রান্স ও বৃটেনের ব্যাপারে রুদ্ধদ্বার
নীতি গ্রহণ করেন। ১৮৬৩ সালে পোল্যান্ডে বিদ্রোহ দেখা দিলে ফরাসি সরকার পোল্যান্ডের জনগণের
আন্দোলনকে সমর্থন করে। এই সময় প্রæশিয়া জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে সমর্থন প্রদান করলে
রাশিয়া-প্রæশিয়া মৈত্রী গড়ে উঠে। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
দ্বিতীয়ত, জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল দখলে প্রয়াসী ছিলেন।
ইউরোপের রাজনীতিতে প্রæশিয়ার সমর্থন লাভ করে তিনি ইতিপূর্বে সম্পাদিত প্যারিসের সন্ধির শর্তাবলী
ভঙ্গ করে কৃষ্ণসাগর এবং বলকান অঞ্চলে প্রভাববিস্তারে অগ্রসর হন। বলকান উপদ্বীপের বিশাল অঞ্চল
তখনো অটোমান তুর্কি সুলতানদের সাম্রাজ্যভূক্ত এলাকা। রাশিয়ার এই আগ্রাসী তৎপরতার মুখে ১৮৭৭
সালে বলকান উপদ্বীপকে ঘিরে রুশ তুর্কি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সান স্টিফানোর সন্ধির দ্বারা এই যুদ্ধের
পরিসমাপ্তি ঘটে। সন্ধির শর্তানুসারে রাশিয়া কৃষ্ণসাগর ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে নৌ যাতায়াতের জন্য তুর্কি
সুলতানের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা আদায় করেন। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রাশিয়ার প্রতিপত্তি বিস্তার
বৃটেন, ফ্রান্স ও ইতালিকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। পশ্চিম ইউরোপের শক্তিবর্গ ভূমধ্যসাগর প্রশ্নে রাশিয়ার
প্রবল বিরোধিতা করলে ১৮৭৮ সালে রাশিয়া বার্লিন সন্ধিতে সাক্ষর করতে বাধ্য হন। বার্লিন সন্ধির


দ্বারা সান স্টিফানো সন্ধিতে প্রাপ্ত রাশিয়ার অনেক সুবিধা বাতিল করা হয়। এর ফলে জার দ্বিতীয়
আলেকজান্ডার ইউরোপের রাজনীতিতে এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েন।
তৃতীয়ত, ইউরোপের রাজনীতিতে ব্যর্থ হওয়ার পর জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার এশিয়ার দিকে
মনোনিবেশ করেন। মধ্য এশিয়া অঞ্চলে আগ্রাসী অভিযান পরিচালনা করে তিনি পারস্য ও
আফগানিস্তানের অনেক এলাকা দখল করে নেন। ফলে রাশিয়ার দক্ষিণ সীমানা ককেসাস অঞ্চল পর্যন্ত
বি¯তৃত হয়। চীনের সাথে তাইগুনের সন্ধির দ্বারা জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার প্রশান্তমহাসাগরীয়
অঞ্চলের বন্দর ভ- াদিভস্তকের ওপর কর্তৃত্ব অর্জন করেন। এছাড়া আমুর নদীর অববাহিকার বিশাল
অঞ্চল রাশিয়ার দখলে আসে। তাই বলা যায় যে ইউরোপে রাশিয়ার পররাষ্ট্র নীতি ব্যর্থ হলেও এশিয়াতে
তা সাফল্য অর্জন করে।
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সময় রাশিয়াতে একটি কৃষক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। রাশিয়ার
ইতিহাসে এই আন্দোলনকে নারোদনিক বা জনগণের আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
বস্তুত ১৮৬১ সালে ভূমিদাস প্রথার বিলুপ্তির পর সত্যিকার অর্থে ভূমিদাসরা মুক্ত না হওয়ায় রাশিয়াতে
একটানাভাবে কৃষক বিদ্রোহ চলতে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে কৃষকদের এই আন্দোলন সফল না হলেও
রাশিয়াতে সমাজবাদী আন্দোলনের বিকাশে এই নারোদনিক আন্দোলন বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কারমুখী কার্যক্রম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার পটভূমিতে তিনি উদার
নীতি পরিত্যাগ করে চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও দমননীতি গ্রহণ করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রের
উপর কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়ে সমাজবাদী আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে
জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের নির্দেশে এটাকে নির্মমভাবে দমন করা হয়। এর পরিণতিতে রাশিয়াতে
সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ১৮৭৯ এবং ১৮৮০ সালে পরপর দুবার জার দ্বিতীয়
আলেকজান্ডারকে হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়। শেষ পর্যন্ত১৮৮১ সালে সন্ত্রাসবাদীদের গুপ্ত হামলায়
সেন্ট পিটার্সবার্গে তিনি নিহত হন। তার শাসনামলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ভূমিদাস প্রথার
বিলোপ, বিচার ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন এবং স্থানীয় সরকার কাঠামোতে সংস্কার। তার সময়ে রাশিয়ার
গ্রামীণ সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন হয়। শিল্পায়নের বিস্তার ঘটে এবং ভূমিদাস শ্রেণী শ্রমিক শ্রেণীতে
পরিণত হয়। এই সময় থেকে রাশিয়াতে শ্রমিক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে এবং সমাজতান্ত্রিক
আন্দোলন বিকশিত হয়।


পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
১। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ক্ষমতায় আসেন
(ক) ১৮৫০ সালে (খ) ১৮৫৫ সালে
(গ) ১৮৬১ সালে (ঘ) ১৮৭৫ সালে
২। শাসন সংস্কার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রাশিয়াকে ভাগ করা হয়
(ক) ৩৫০টি জেলায় (খ) ৩৬০টি জেলায়
(গ) ৩৭০টি জেলায় (ঘ) ৩৮০টি জেলায়
৩। সান স্টিফানোর সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়
(ক) রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে (খ) রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে
(গ) রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে (ঘ) রাশিয়া ও বৃটেনের মধ্যে
৪। বার্লিন সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়
(ক) ১৮৭০ সালে (খ) ১৮৭৮ সালে
(গ) ১৮৮২ সালে (ঘ) ৮৯০ সালে
৫। ভøাদিভাস্তক বন্দর অবস্থিত
(ক) প্রশান্তমহাসাগরে (খ) আটলান্টিক মহাসাগরে
(গ) ভারত মহাসাগরে (ঘ) ভূমধ্যসাগরে
৬। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার নিহত হন
(ক) যুদ্ধ ক্ষেত্রে (খ) দরবারের মন্ত্রীর হাতে
(গ) গুপ্ত সন্ত্রাসী দলের হাতে (ঘ) বিদেশের মাটিতে।
উত্তর: ১। (খ), ২। (খ), ৩। (ক), ৪। (খ), ৫। (ক), ৬। (গ)।
রচনামূলক প্রশ্ন
১। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের অভ্যন্তরীণ সংস্কারসমূহ আলোচনা করুণ।
২। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সংস্কারসমূহের ব্যর্থতার কারণসমূহ বিশ্লেষণ করুণ।
৩। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার কর্তৃক ভূমিদাস প্রথা বিলোপ সাধনে বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের বর্ণনা দিন।
৪। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান পদক্ষেপসমূহ আলোচনা করুণ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। ভূমিদাসদের বা সার্ফদের মুক্তি সংক্রান্তআইন কখন জারি করা হয়?
২। ‘মির’ কি?
৩। ‘পিস অব দি জাস্টিস’ বলতে কি বুঝায়?
৪। নিহিলিজম আন্দোলন কি?
৫। নারোদনিক আন্দোলন কি?
৬। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার কীভাবে মারা যান?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]