সোভিয়েত ইউনিয়নে লেনিন প্রবর্তিত নয়া অর্থনীতির পয়োজনীয়তা ও গুরুত ব্যাখ্যা করুন।


বলা হয়। বিভিন সংকটেরঘমবিেখ
ঊসমপড়াজহতড়সাšিরপ¿ক চসড়রষরকপুার) কে টিকিয়ে রাখার জন্যে সাময়িকভাবে ঘসঊমাচজ)তš থেকে কিছুটা সরে এসে এই

নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। সমাজতান্ত্রিক বিপবের পর রাষ্ট্রই জনগণের ভরণ-পোষনের দায়িত নেয়ার

কথা ছিল। কিš বা¯বে দেখা গেল এ কাজে রাষ্ট এখনও সম্পূণ প্র¯ত নয়। এ অবস্থায় ১৯২১ থেকে

১৯২৮ সাল পর্যš আংশিক সমাজতš এবং আংশিক পুঁজিবাদী নীতি অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ পুঁজিবাদ

থেকে সমাজতšে উত্তরণের কালপবে এই মিশ নীতি বা¯বতার কারণে গৃহীত হয়েছিল। এ নীতির তিনটি

বৈশিষ্ট্য ছিল :
ক. রাষ্ট্রীয় সমাজতš; খ. রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ;
গ. ব্যক্তি উদ্যোগে পুঁজিবাদ।

নয়া অর্থনৈতিক নীতির পটভ‚মি-

১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপবের পর জরুরি ভিত্তিতে সমাজতš কায়েমের জন্যে কতকগুলো নীতি চাল

করা হয় যাকে যুদ্ধকালীন সমাজতš (


বলা হয়। কিš ১৯২১ সালে এসে দেখা
গেল যে, এই প্রক্রিয়া ব্যথ হয়েছে। এরডকিধৎছ ঈপড়মসাণসঁিছহলর।ংসপ)্রথমত, প্রথম মহাযদ্ধের সম যে, শিল্পখাতে

যে উৎপাদন হতো এ সময় তা শতকরা দশভাগ (১০%) কমে যায়। দ্বিতীয়ত, কৃষি খাতেও উৎপাদন

কমে যায় এবং ১৯২০-২১ সালে রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুভিক্ষ দেখা দেয়। কয়েক লক্ষ

লোক অনাহারে মারা যায়। অবস্থা এত নাজুক হয়ে দাঁড়ায় যে, যক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও জরুরি ভিত্তিতে

সাহায্য নিতে হয়। এসব কারণে দেখা দেয় কৃষক বিদ্রোহ এবং ১৯২১ সালে নৌবাহিনীতে সংঘটিত হয়

‘কনস্টাডট বিদ্রোহ'।

সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দদিনে জাতীয় অর্থনীতিতে বা¯বমুখী রূপরেখা প্রণয়নের পয়োজন ছিল। ‘বেদনাতা' পত্রিকায় প্রকাশিত কষকদের অসংখ্য চিঠি লেনিন মনযোগ সহকারে পাঠ করেন। তিনি
উপলব্ধি করেছিলেন যে, বর্তমান সংকটময় সময়ে প্রকৃত সমাজতšে উত্তরণ সম্ভব নয়।

বা¯বোচিত এবং সময়োপযোগী অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিই এ চরম সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করতে

পারে। তাই ১৯২১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির দশম কংগেসে লেনিন ঘোষণা করলেন, “আমাদের সব কিছুর বিনিময়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে।” অর্থাৎ পয়োজন হলে, সমাজতš বাদ দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে
হবে। একই সময় তিনি আরো বলেন যে, “তত্ত আমাদের নিকট একটি প্রকল্পমাত্র, কিš পবিত্র ধর্মগ্রš

নয়।”

লেনিনের এই বক্তব্য অত্যš বা¯বসম্মত ছিল। অসাধারণ বা¯ববুদ্ধি তাকে এই নতুন অর্থনৈতিক নীতি রচনায় সাহায্য করেছে। লেনিন বঝেছিলেন যে, পুঁজির পরিপূণ বিকাশ ছাড়া সমাজতš প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই পুঁজিবাদের বিকাশের মাধ্যমে সমাজতšে উত্তরণই ছিল এই নীতির উদ্দেশ্য। এজন্যে লেনিন



নয়া অর্থনৈতিক নীতিকে কৌশলমূলক পশ্চাদপসরণ বলে অভিহিত করেছেন। সংকট কেটে গেলে,

১৯২৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আবার সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার ফিরে যায়।

নয়া অর্থনৈতিক নীতির ফলাফল

এই নীতি সোভিয়েত ইউনিয়নের আথ সামাজিক অব¯াকে বহুলাংশে পরিবর্তিত করে। অথনৈতিতে এর ফলাফল হলো নি¤রূপ

১। কৃষি

১৯১৭ সালে রুশ বিপবের পর লেনিনকে দেশের প্রতিবিপবী শক্তি (কেরেনেস্কি ও তার সমর্থক জোতদার
শ্রেণী) এবং তাদের পষ্ঠপোষক পশ্চিমা পুঁজিবাদী দেশগুলোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়। ১৯১৯ সালের শেষ দিকে এই বিপব-বিরোধী শক্তি পরাজিত হয়। এ সময় সমাজতš প্রতিষ্ঠার জন্যে
কতকগুলো কঠোর নীতি অনুসরণ করা হয়। এই নীতিমালাগুলোকে বলা হয় যুদ্ধকালীন সমাজতন্ত্র। এ

সময় রাষ্ট খাদ্য সংগ্রহ করে নিত এবং সমানভাবে বন্টন করা হতো। এতে দেখা গেল কৃষকরা নিজেদের
অনেকটা বঞ্চিত মনে করতো। ফলে খাদ্য উৎপাদনে তরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। নতুন পদ্ধতিতে বলা হলো যে, এখন থেকে রাষ্ট একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য শস্য নিবে এবং একটা অংশ থাকবে কষকের নিজের। এতে ব্যাক্তিগত স্বার্থের মানবিক প্রবৃত্তির স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল মাত্র। ফলে উৎপাদনে
কৃষকরা অধিকতর উৎসাহ দেখায়। দেখা যায় যে, মাত্র সাত বৎসরের মধ্যে (১৯২১-২৮) সোভিয়েত ইউনিয়ন খাদ্যে ¯য়ংসম্পূণ রাষ্টে পরিণত হয়। কৃষকরা তাদের উদ্বৃত্ত খাদ্য বিক্রি করা আর¤ করে,
অনেক দরিদ কৃষক স্বচ্ছল হয়। বিত্তবান কৃষক পরিণত হয় জোতদার বা ‘কুলাক'-এ। খাদ শস্য

বিপননের জন্যে সারা দেশে বড় বড় বাজারের সৃষ্টি হয় এবং বাজার নিয়šনের জন্য সৃষ্টি হলো একদল

দালাল বা মধ্যসত্তভোগী অনেকে এদেরকে বলেছেন নেপমেন (

পুঁজিবাদী বৈশিষ্ট্যের লক্ষণ দেখা গেল।

২। শিল্পখাতে পরিবর্তন


ঘঊচ গঊঘ)


। এভাবে কষিতে

নতুন নীতি অনুযায়ী শিল্পখাতের তিনটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখা দেয়। এগুলো হল ঃ

(ক) বৃহৎ শিল্প (খ) বিদেশী পুঁজির আমন্ত্রণ (গ) ক্ষুদ শিল্প।

(ক) বৃহৎ শিল্প
বড় ও ভারি শিল্প পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রীয় নিয়šণে রেখে দেয়া হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না রেখে একটি শিল্প ইউনিট পরিচালনা করার জন্য একটি টাস্টি বোড গঠন করা হয়। তবে প্রতিটি শিল্প
কারখানার জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ এবং পণ্য বিতরন বা বিপণনের বিষয়টি রাষ্ট্রের হাতে রেখে দেয়া হয়।

ভারি শিল্প ব্যবস্থাপনার বিষয়ে লেনিন জার্মান পদ্ধতির ভক্ত ছিলেন। তাই তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নে এ

সময় জার্মান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চাল করেন। জার্মান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সাফল্যজনকভাবে পয়োগের জন্যে অনেক জার্মান বিশেষজ্ঞ সোভিয়েত ইউনিয়নে আসেন এবং তাদের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন উপকৃত হয়।

(খ) বিদেশী পুঁজির আমন্ত্রণ

নয়া অর্থনৈতিক নীতি অনুযায়ী লেনিন সোভিয়েত ইউনিয়ন সাহায্য এবং ঋণ আকারে বিদেশী পুঁজির

আমন্ত্রণ জানান। একটি সমাজতান্ত্রিক দেশে বৈদেশিক পুঁজির এ ধরনের খোলামেলা আমন্ত্রণ অভাবনীয় ঘটনা ঘটে। তবে তিনি বঝেছিলেন যে, পুঁজির পরিপূণ বিকাশ ছাড়া সমাজতšে উত্তরণ অসম্ভব। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নে পুঁজির আগমনে ম্রিয়মান শিল্পখাতে প্রাণসঞ্চার হয়। বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের জন্যে সবমোট ২৪০০ দরখা¯ পড়েছিল।



(গ) ক্ষুদ শিল্প

ক্ষুদ শিল্পের ক্ষেত্রেও গোঁড়া সমাজতান্ত্রিক নীতিমালার সম্পূণ বিপরীত নীতি অনুসরণ করা হল। ছোট
ছোট শিল্পকারখানাকে ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দেয়া হল। রাষ্ট্রীয় খাতের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাকেও উৎসাহ দেয়া হল।


৩। ব্যবসা-বাণিজ্য

রফতানি বাণিজ্য রাষ্ট্রীয় নিয়šণে থেকে যায়। তবে এক্ষেত্রে সরকার সরাসরি হ¯ক্ষেপ করতো না।

আমদানি রফতানি পরিচালনার জন্যে কিছ রাষ্ট্রীয় অনমোদিত প্রতিষ্ঠান যেমন


গঠন
করা হয়। অনদিকে দেশের অভ্যšরে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাঞয়ৎধছেফবড়েঝরহেদফয়রাপহধঃয়ব। এর

ফলে ব্যবসা বাণিজ্য ও লেনদেন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এ প্রক্রিয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যে চলে আসল

মধ্যস্বত্ত-ভোগীরা যাদেরকে ঐতিহাসিকরা বলেন ‘নেপমেন' (


। এরা ক্রমাগত এতই
শক্তিশালী হয়ে উঠল যে, রাষ্ট্রীয় কর্ততকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ কঘরঊতেচ লগাগঊঘেলা)। তাই এদের নিয়šণের

জন্যে ১৯২৭ সালে কিছ আদেশ জারি করা হল।


৪। ব্যাংক ও বীমা

নতুন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের পর থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাই

ব্যাংক ব্যবস্থার সংস্কার অপরিহায হয়ে পড়ে। ১৯২১ সালে একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফলে

দেখা যায় যে, ১৯২৭ সালের মধ্যে আর্থিক লেনদেন ব্যাপকভাবে ও দæতগতিতে বৃদ্ধি পায়।

সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বীমার কোন স্থান নেই। কারণ, রাষ্ট্রই সকল মৌলিক সমস্যার সমাধান করে। কিš পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মানুষ নিরাপত্তার জন্যে এবং ভবিষ্যতের বিভিন সমস্যা সমাধানের লক্ষে বীমা পলিসির
আশ্রয় নেয়। প্রথমদিকে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক রাষ্টে বীমা ছিল না। কিš ১৯২১ সালে ব্যক্তি সম্পত্তি
যেমন ঘরবাড়ি ইত্যাদির জন্য বীমা ব্যবস্থা চাল করা হয়। তবে সমাজতš থেকে যতই বিচ্যুতি দেখা যাক না কেন সোভিয়েত অর্থনীতিতে জোয়ার এসেছিল এ সময়।


৫। মুদ্রা ব্যবস্থা

এই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় মুদ্রা ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আনা হয়।

কাগজের মুদ্রার পরিবতে ধাতব মুদ্রা প্রচলন করা হয় যার নাম হলো চেরভোনেতেজ (


৬। পররাষ্ট নীতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন



ঈযবৎাড়হবঃবু)

১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপবের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন বাইরের বিশ থেকে বিচ্ছিন হয়ে যায়। এই

বিচ্ছিন্নতা দেশটিকে জার্মান আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারেনি। কিš সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন নয়া

অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে তখন বহির্বিশ একে স্বাগত জানায়। লেনিনের এই নীতি যে সঠিক ছিল তা

খুব শীঘ্রই প্রমাণিত হয়-১৯২১ সালে স্বাক্ষরিত সোভিয়েত-বিটেন বাণিজ্য চুক্তি থেকে। কারণ-বিটেনের মত দক্ষিণপন্থী একটি দেশের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
লয়েড জজ সোভিয়েত কাঠ আমদানির আগ্রহ দেখান। তিনি বিটেনের সংসদে (

দাঁড়িয়ে বললেন যে, আমরা দৈত্যের সাথে সম্পক চালিয়ে যেতে পারি (

.
ঃ১ড়৯ড়২)২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানির সাথে ‘রাপালো চুক্তি' (

ঐড়ঁংব ড়ভ ঈড়সসড়হং)
ডব ফবধষ রিঃয পধৎহরনধষং


-তে উপনীত হয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়নকে ক‚টনৈতিক ¯ীজকধৃঢ়িতধষষেদড়য়ঞ।ৎবজধঃাুমর্)ানি প্রথম বিশ্বযদ্ধে

পরাজিত হলেও ইউরোপে একটি বড় শক্তি ছিল। তাই এই চুক্তির গুরুত অনেক।



বিদেশী পুঁজি আহŸান করায় র্পুজিবাদী বিশ বিষয়টিকে একটি সুবণ সযোগ হিসেবে মনে করল। যেখা

গেল ১৯২৪ সালের ২৪০০ বিদেশী আবেদন জমা পড়ল পুঁজি বিনিয়োগের জন্য। কিš লেনিন পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে মাত্র ১৭৮ টিকে পুঁজি বিনিয়োগের অনুমতি দেন।
১৯২৪ সালে এক সঙ্গে অনেকগুলো দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নকে ক‚টনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। প্রথমে ইংল্যান্ডের স্বীকৃতি আসে। এরপর ইতালি, নরওয়ে, অষ্ট্রিয়া, গ্রিস, সুইডেন, চীন, ডেনমাক, মেক্সিকো, ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয়। ১৯২৫ সালে জাপান স্বীকৃতি দেয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট স্বীকৃতি দেয় নি। ১৯২৫ সালের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন আšর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হয়।

নয়া অর্থনৈতিক নীতি কি সমাজতš থেকে বিচ্যুতি না কৌশলমূলক পশ্চাদপসরণ ?


নয়া অর্থনৈতিক নীতি (


পয়োজনের তাগিদেই গৃহীত হয়েছিল। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের
আধা-সামšবাদী ও আধঘা-ঊপচুঁ)িজবাদী অর্থনীতি থেকে সমাজতš প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে১৯১৭ সালের পর

লেনিন বিভিন সংকটে পড়েন। কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন হ্রাস, শিল্প ক্ষেত্রে ধস সব মিলিয়ে দেশটিতে

দুভিক্ষাবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থায় তিনি উগ্রপন্থী মার্কসবাদীদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে এই নতুন

অর্থনৈতিক নীতি পয়োগ করেন। ঐতিহাসিকরা এ নীতিকে মিশ অর্থনীতি বলে অভিহিত করেছেন।

লেনিনের এই নীতি অভ্যšরীণ অর্থনীতিকে প্রাণচঞ্চল ও চাঙ্গা করে তলে। অন্যদিকে বৈদেশিক নীতির

ক্ষেত্রেও এটি সফল হয়েছিল। এই নীতির কারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন বহিবিশে পেয়েছিল স্বীকৃতি।

তবে লেনিনের এইনীতি অনুসরণ করার অথ এই নয় যে, তিনি সমাজতš থেকে বিচ্যুতি হয়েছিলেন।

বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা লেনিনের রাষ্ট্রনায়কোচিত চিšাভাবনার ফসল হলো এই

নীতি। ১৯১৭ সালের বিপবের পর লেনিন সমগ অর্থনীতিকে রাষ্ট্রীয় কততে নিয়ে আসেন। কিš

অপ্রত্যাশিতভাবে গৃহযুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রভৃতি সুষ্ঠ অর্থনৈতিক বিকাশের পথে অšরায় সৃষ্টি করে। তখন তীক্ষ বা¯ববোধ থেকে লেনিন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যš (১৯২৪) মিশ অর্থনৈতিক নীতিমালা
অনুসরণ করেন। জাতীয় অর্থনীতির মূল ক্ষেত্রগুলি, যেমন বৃহৎ শিল্প উদ্যোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও

বৈদেশিক বাণিজ্য ইত্যাদি সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রের নিয়šণে ছিল।

নেপ নীতি ভেঙ্গেপড়া অথনীতিকেই শুধ চাঙ্গা করে নি, শ্রমিক ও কষকের অর্থনৈতিক পয়োজনের মধ্যে
সমম্বয় এনেছে। গ্রামীণ ও শহরের অর্থনীতির সংযোগকে দৃঢ় করেছে ও সর্বোপরি সোভিয়েত অথনীতির সাম্যবাদে উত্তরণের পথ প্রশ¯ করেছে। কাজেই চূড়াš বিবেচনায় নয়া অর্থনৈতিক নীতি (
সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের জন্যে একটি যতি চিহ্ন বটে।

ঘঊচ)


এটি যে কৌশলমূলক পশ্চাদপসরণ ছিল তার সমর্থন পাওয়া যায় স্বয়ং লেনিনের একটি বক্তব্যে। লেনিন বলেছিলেন যে, “সমাজতান্ত্রিক ¯রে ক্ষুদ উৎপাদনের মধ্যে ধনতন্ত্রের বীজ নিহিত থাকে।” এই বিষয়টি
মনে রেখে লেনিন বলেছিলেন,“সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছ করছি না। দেশ বাঁচানোর জন্য সাময়িক

পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন আমরা এক ধাপ পিছিয়ে গেলাম যাতে দ'ধাপ অগ্রসর হতে পারি।” দেখা যায় যে, যখন কৃষি শিল্প একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যায় তখন অর্থাৎ ১৯২৮ সালে পরিপূর্ণভাবে সমাজতন্ত্রের নীতি আদশে প্রত্যাবর্তন করে সোভিয়েত ইউনিয়ন।



পাঠোত্তর মূল্যায়ন


নৈর্ব্যক্তিক প্রশ

১। নয়া অর্থনৈতি নীতি প্রবর্তিত হয়
(ক) ১৯১৮ (খ) ১৯২০ (গ) ১৯২১ (ঘ) ১৯২৫

২। লেনিন কোন পত্রিকা থেকে কষকদের দুরবস্থার কথা জানতে পারেন ? (ক) প্রাভদা, (খ) ইত্তেফাক
(গ) গার্ডিয়ান (ঘ) বেদনাতা

৩। কমিউনিস্ট পার্টির কততম কংগেসে নেপ নীতি গৃহীত হয় (ক) দ্বিতীয় (খ) পঞ্চম (গ) দশম (ঘ) ¯œাদশ

৪। সোভিয়েত ইউনিয়নে জোতদার শ্রেণীকে কি বলতো ?

(ক) সাকুলাৎ (খ) মিরাসদার

(গ) কুলাক (ঘ) পলেতারিয়েত

৫। নয়া অর্থনৈতিক নীতির সময় সোভিয়েত ইউনিয়নে যে মুদ্রার প্রচলিত হয় তার নাম ? (ক) রুবল (খ) ডলার
(গ) চেরভোনেটেজ (ঘ) পাউন্ড

উত্তার ১। (গ) ২। (ক) ৩। (গ) ৪। (গ) ৫। (গ)

সংক্ষিপ্ত প্রশ

১. নয়া অর্থনৈতিক নীতি কি?

২. লেনিন কেন এই নীতি গ্রহণ করেছিলেন?

৩. নয়া অর্থনৈতিক নীতির ফলাফল কি হয়েছিল?

৪. নয়া অর্থনৈতিক নীতি কি কৌশলমূলক পশ্চাদপসরণ ছিল?

রচনামূলক প্রশ

১. সোভিয়েত ইউনিয়নে লেনিন প্রবর্তিত নয়া অর্থনীতির পয়োজনীয়তা ও গুরুত ব্যাখ্যা করুন।

২. কী উপায়ে সোভিয়েত নয়া অর্থনীতি কার্যকর হয়েছিল

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]