সুলতান বরবক শাহ
নাসিরউদ্দিন মাহমুদের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রুকনউদ্দিন বরবক শাহ বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
৮৬৩ হতে ৮৭৮ হিজরি পর্যন্ত তাঁর মুদ্রা পাওয়া গেছে। সিংহাসনে আরোহণের পূর্বে পিতার রাজত্বকালে
তিনি সাতগাঁও-এর শাসনকর্তা হিসেবে কর্মদক্ষতার পরিচয় দেন। সুলতান হিসেবেও তিনি অনুরূপ
কৃতিত্বের পরিচয় দেন। তাঁর সুদীর্ঘ রাজত্বকাল বাংলায় মুসলিম শাসনের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান
অধিকার করে আছে।
বরবক শাহের সামরিক ক্ষেত্রে কৃতিত্বের ইতিহাস আমরা বিখ্যাত সৈনিক দরবেশ শাহ ইসমাইল গাজির
জীবনী “রিসালাত-উস-কোহাদা' হতে জানতে পারি। পীর মুহাম্মদ শাত্তারী ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে এটি রচনা
করেন। বরবক শাহ তাঁর রাজত্বের প্রথম দিকে উড়িষ্যারাজ গজপতির বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। শাহ
ইসমাইল গাজির নেতৃত্বে এই বাহিনী গজপতিকে পরাজিত করে গড়মন্দারণ উদ্ধার করেন। এর কিছুকাল
পর শাহ ইসমাইল কামরূপরাজ কামেশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সন্তোষের রণক্ষেত্রে তুমুল যুদ্ধে
বাংলার সেনাবাহিনীর পরাজয় ঘটে। সামরিক বিজয়ে ব্যর্থ হলেও শাহ ইসমাইল গাজি তাঁর সাধুগুণের দ্বারা
উদ্দেশ্য হাসিল করেন। তাঁর গুণে মুগ্ধ হয়ে কামরূপরাজ আতœসমর্পন করেন ও ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।
পরবর্তীতে ঘোড়াঘাটের হিন্দু সেনাধ্যক্ষ ভান্ডসী রাওয়ের কুপ্ররোচনায় বরবক শাহের আদেশে (১৪৭৪ খ্রি:)
ইসমাইলকে হত্যা করা হয়।
বরবক শাহের রাজত্বকালে হাবশী দাসগণ শাসনকার্যে প্রাধান্য লাভ করে। কথিত আছে, তিনি প্রায় আট
হাজার ক্রীতদাস সংগ্রহ করে রাজ্যের দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ করেছিলেন। হাবশীদের এই প্রাধান্য
বিস্তারের ফলেই পরবর্তীকালে তারা সিংহাসন অধিকার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
বরবক শাহ নিজে বিদ্বান ছিলেন এবং পন্ডিত ব্যক্তিদের তিনি পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়
মালাধর বসু ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়' গ্রন্থ রচনা করেন। বরবক শাহ মালাধর বসুকে ‘গুণরাজ খান' উপাধি দান
করেছিলেন। মালাধর বসুর পুত্র সত্যরাজও ‘খান' উপাধি পেয়েছিলেন। স্থাপত্য শিল্পক্ষেত্রেও বরবক শাহের
অবদান রয়েছে। গৌড়ে রাজপ্রাসাদ এবং ‘দাখিল দরওয়াজা' নামে পরিচিত বিরাট প্রবেশ- তোরণটি তাঁর
স্থাপত্যকীর্তির অন্যতম নিদর্শন।
সুলতান শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহ
বরবক শাহের উত্তরাধিকারী হিসেবে তাঁর পুত্র শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁর
রাজত্বকালের বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীকালের ঐতিহাসিকগণ তাঁকে ধর্মনিষ্ঠ, সচ্চরিত্র,
আদর্শবাদী, ন্যায়নিষ্ঠ ও সুদক্ষ নরপতি বলে প্রশংসা করেছেন। স্থাপত্য শিল্পে তাঁর বিশেষ অবদান ছিল বলে
মনে হয়। তাঁর আদেশে বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। এর মধ্যে গৌড়ের কদমরসুল মসজিদ,
দরসবাড়ি মসজিদ ও তাঁতীপাড়া মসজিদ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কানিংহামের মতে গৌড়ের লোটন মসজিদও
তাঁরই কীর্তি। তাঁর আমলের শিলালিপিসমূহের প্রাপ্তিস্থান হতে মনে হয় যে, তিনি বিশাল সাম্রাজ্য অক্ষুন্ন
রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। মুদ্রা ও শিলালিপি প্রমাণে বলা যায় যে, তিনি ৮৮৫ হিজরি পর্যন্ত (১৪৮০-৮১
খ্রি:) রাজত্ব করেন।
ইউসুফ শাহের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সিকান্দর শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। কিছু মস্তিষ্ক বিকৃতির জন্য
অল্পদিন পরেই তাঁকে অপসারিত করে ইউসুফ শাহের অন্য পুত্র জালালউদ্দিন ফতেহ শাহকে সিংহাসনে
বসানো হয়। লিপি ও মুদ্রা প্রমাণে বলা যায় যে, তিনি ৮৮৬ হতে ৮৯২ হিজরি (১৪৮১-৮৬ খ্রি:) পর্যন্ত
রাজত্ব করেন।
রুকনউদ্দিন বরবক শাহ ও ইউসুফ শাহের শাসনকালে হাবশী ক্রীতদাসদের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে।
অত্যাধিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে তারা অকস্মাৎ উদ্ধত হয়ে ওঠে। ফতেহ শাহ তাদের ক্ষমতা খর্ব করতে
মনস্থ করেন এবং উদ্ধত দাসদের প্রাণদন্ডের আদেশ দেন। ফলে বিরোধীদল ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ফতেহ
শাহকে হত্যা করে প্রাসাদরক্ষী সুলতান শাহজাদা “বরবক শাহ” উপাধি ধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ
করেন। এইভাবে বাংলার মুসলিম রাজ্যে ইলিয়াস শাহী বংশের গৌরবময় শাসনের অবসান ঘটে। এবং
হাবশী ক্রীতদাসদের শাসনের সূত্রপাত ঘটে।
প্রায় ছয় বৎসর কাল (৮৯০-৮৯৬ হি:; ১৪৮৭-১৪৯৩ খ্রি:) বাংলায় হাবশী শাসন কায়েম ছিল। বাংলার
মুসলিম শাসনের ইতিহাসে এই ছয় বৎসর এক কালো অধ্যায়। এই ছয় বৎসরে চারজন হাবশী বরবক শাহ,
মালিক আন্দিল, দ্বিতীয় নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ ও শামসউদ্দিন মুজাফফর শাহ সিংহাসন অধিকার করেন
এবং প্রত্যেক সুলতানই নিহত হয়েছিলেন। ষড়যন্ত্র, বিদ্রোহ, হত্যা ও নাতিদীর্ঘ রাজত্ব বাংলাকে বিপর্যস্ত
করে তুলেছিল।
ইলিয়াস শাহী যুগের কৃতিত্ব
বাংলার ইতিহাসে ইলিয়াস শাহী যুগ একটি স্মরণীয় যুগ। এই বংশ বাংলায় প্রায় ১২০ বৎসর কাল
শাসনকার্য পরিচালনা করে। ফখরউদ্দিন মুবারক শাহ যদিও প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে
ইলিয়াস শাহই সমগ্র বাংলায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে স্বাধীন সুলতানি দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন। ফিরোজ শাহ তুঘলকের বাংলা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা দুই দুইবার ব্যাহত করে ইলিয়াস শাহী
সুলতানগণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। বাংলার স্বাধীনতা দীর্ঘস্থায়ী করতে তাঁদের এই সাফল্য নিশ্চয়ই
সাহায্য করেছিল।
দিল্লির সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ফলে বাংলাদেশের ইলিয়াস শাহী শাসকগণ স্বাভাবিক কারণেই দেশীয়
জানগণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ফলে মুসলিম শাসন বাংলাীয় মুসলিম শাসনে পরিণত হয়। উচ্চ
রাজপদে হিন্দুদের নিয়োগ, দেশীয় ভাষা ও সাহিত্যের সমাদর এবং দেশীয় পন্ডিত ও কবিদের পৃষ্ঠপোষকতা
ইলিয়াস শাহী শাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশে মুসলিম সামরিক
বিজয়কে সাংস্কৃতিক বিজয় দ্বারা সুসম্পন্নকরণে ইলিয়াস শাহী বংশের বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে।
স্থাপত্য শিল্পের উৎকর্ষের ক্ষেত্রেও ইলিয়াস শাহী বংশের বিশেষ অবদান রয়েছে। এই যুগে বাংলার মুসলিম
স্থাপত্য শিল্প স্থানীয় বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হয়ে এক নতুন রূপ ধারণ করেছিল। বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকাহ্ ও
সমাধিসৌধ এই যুগে নির্মিত হয়েছে।
ইসলাম ধর্ম ও সংষ্কৃতির বিস্তার ও প্রসারের ক্ষেত্রেও ইলিয়াস শাহী সুলতানগণ বলিষ্ট ভ‚মিকা গ্রহণ
করেছিলেন। মসজিদ মাদ্রাসা, ও খানকাহ্ স্থাপনের সাথে সাথে তাঁরা প্রায় সকলেই সুফি ও আলেমদের
বিশেষভাবে সাহায্য করতেন। ফলে ইসলাম ধর্মও ব্যাপক প্রসার লাভ করে।
বাংলার মুসলিম রাজ্যকে বহির্বিশ্বের সাথে পরিচিত করার কৃতিত্বও ইলিয়াস শাহী সুলতানদের। আরবদেশ
ও পারস্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং দীর্ঘকালব্যাপী চীনের সাথে দূত বিনিময়ের মাধ্যমে ইলিয়াস
শাহী সুলতানগণ বাংলাকে বর্হিবিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন।
সুতরাং বলা যায় যে, স্বাধীনতা দৃঢ় করে সমগ্র বাংলাব্যাপী মুসলিম রাজ্য অক্ষুন্ন রেখে, স্থানীয়
জনসাধারণের সহযোগিতা লাভ করে, স্থানীয় ভাষা ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করে, শিল্পকলা বিশেষ করে
স্থাপত্য শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে ইলিয়াস শাহী শাসকগণ বাংলার মুসলিম রাজ্যকে এক নতুন রূপ
দান করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সারসংক্ষেপ
ইলিয়াস শাহের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারীগণ শাসন অব্যাহত রাখেন। সুলতান সিকান্দার শাহ ৩৫
বছর যাবত অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে রাজ্য শাসন করেন। এরপর গিয়াসউদ্দিন আযন শাহ বিশাল
সাম্রাজ্যের অধিপতি হন। তিনি অত্যন্ত আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। এর কিছুকাল পর
বাংলার রাজনীতিতে রাজা গণেশের আবির্ভাব ঘটে। বলা হয়ে থাকে আযম শাহের হত্যা হতে শুরু
করে ফিরোজ শাহের হত্যা ও অপসারণ গণেশের প্রভাবেই ঘটে। পরবর্তী ইলিয়াস শাহী যুগে
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ, বরকত শাহ, শামসউদ্দিন ইউসুফ শাহ প্রমুখ রাজত্ব করেন। রাজত্বের শেষ
দিকে ষড়যন্ত্র, বিদ্রোহ, হত্যা ও নাতিদীর্ঘ রাজত্ব ছিল প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলার ইতিহাসে ইলিয়াস শাহী
যুগ স্মরণীয়। রাজনৈতিক কৃতিত্বের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিজয় এই যুগকে মহিমানি¦ত করেছে।
বাংলার মুসলিম রাজ্যকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করার কৃতিত্ব একান্তই ইলিয়াস শাহী সুলতানদের।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। আদিনা মসজিদ নির্মাণ করেনÑ
(ক) ইলিয়াস শাহ (খ) শামসউদ্দিন ফিরোজ শাহ
(গ) সিকান্দার শাহ (ঘ) গিয়াসুদ্দিন আযম শাহ।
২। গিয়াসুদ্দিন আযম শাহ কার উত্তরাধিকারী ছিলেন?
(ক) ইলিয়াস শাহ (খ) সিকান্দার শাহ
(গ) শামসউদ্দিন ফিরোজ শাহ (ঘ) ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
৩। মা-হুয়ানের বিবরণ হতে জানা যায়Ñ
(ক) রাজনৈতিক চিত্র (খ) ধর্মীয় চিত্র
(গ) বৈদেশিক সম্পর্ক (ঘ) আর্থ-সামাজিক চিত্র।
৪। জালালউদ্দিনের পিতার নাম Ñ
(ক) গণেশ (খ) আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ
(গ) গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ (ঘ) শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
৫। সুলতান বরকত শাহ কোন বংশের সুলতান?
(ক) ইলিয়াস শাহী (খ) পরবর্তী ইলিয়াস শাহী
(গ) মোবারক শাহী (ঘ) হুসেন শাহী।
৬। ইলিয়াস শাহী যুগের স্থায়িত্বÑ
(ক) ২১০ বৎসর (খ) ১২০ বৎসর
(গ) ১৩০ বৎসর (ঘ) ৩১০ বৎসর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১। মা-হুয়ানের বিবরণের ভিত্তিতে বাংলার আর্থ-সামাজিক জীবনচিত্র অঙ্কন করুন।
২। রাজা গণেশ সম্পর্কে একটি টীকা লিখুন।
৩। সুলতান জালালউদ্দিন মাহমুদ শাহ সম্পর্কে যা জানেন লিখুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১। বাংলায় স্বাধীন সুলতানির দৃঢ় প্রতিষ্ঠায় সিকান্দার শাহের কৃতিত্ব নিরূপণ করুন।
২। সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন করুন।
৩। রাজা গণেশ কে? তাঁর শাসনামলে বাংলার রাজনৈতিক অবস্থার পরিচয় দিন।
৪। পরবর্তী ইলিয়াস শাহী আমলে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস বর্ণনা করুন।
৫। বাংলার ইতিহাসে ইলিয়াস শাহী যুগের অবদান মূল্যায়ন করুন।
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি
১। আবদুল করিম, বাংলার ইতিহাস, সুলতানিআমল।
২। আবদুল মমিন চৌধুরী ও অন্যান্য, বাংলাদেশের ইতিহাস।
২। ঔধফঁহধঃয ঝধৎশধৎ (বফ.), ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ইবহমধষ, ঠড়ষ-ওও.
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত