আফ্রিকার ভৌগোলিক ইতিহাসের উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ আফ্রিকা মহাদেশের প্রাক ঔপনিবেশিক ভৌগোলিক অবস্থার বিবরণ

উত্তরা ভূমিকা : পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশ। কিন্তু এক সময় আফ্রিকাকে বলা হতো ভৌগোলিকভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশ। কারণ তখনকার যুগে ভৌগোলিকভাবে আফ্রিকাকে কেউ জানতো না এবং সভ্যতার আলোও পৌঁছায় নি। মোটকথা, তখনকার যুগে আফ্রিকা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু আজ আর সেই অবস্থা নেই। এখন আফ্রিকাকে সবাই চেনে এবং জানে । আফ্রিকায় আজ সভ্যতার আলো প্রবেশ করেছে এবং উন্নত হয়েছে আফ্রিকা। সভ্যতার এই আলো নিয়ে এসেছে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ। তাই ভৌগোলিকভাবে আফ্রিকা আজ সবার কাছে পরিচিত।
আয়তন ও অবস্থান : আফ্রিকা মহাদেশের আয়তন ১,১২,৬২,০০০ বর্গমাইল এবং সম্মিলিতভাবে আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ, ভারত ও চীন দেশের সমান। পৃথিবীর সমগ্র ভূভাগের এক-পঞ্চমাংশ স্থান দখল করে রয়েছে এ মহাদেশ। আটলান্টিক মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর, লোহিত সাগর, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ মেরু সাগর এ মহাদেশকে বেষ্টন করে রেখেছে। সবগুলো মহাদেশের মধ্যে আফ্রিকাই সর্বাপেক্ষা দুরধিগম্য এবং এজন্য এখানকার অধিকাংশ অঞ্চল এখনো অনুন্নত। এই মহাদেশ সর্বাপেক্ষা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল এবং এখানে রোগব্যাধির প্রকোপও বেশি। এ মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বিরাজ করছে মরুভূমি, ঘাস, জঙ্গল ও গভীর বনভূমি। সবদিক দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর অচেনা ও দুরধিগম্য মহাদেশ।
কাঁচামালের অফুরন্ত ভাণ্ডারও সঞ্চিত রয়েছে এ মহাদেশে। তাইতো ইউরোপসহ পৃথিবীর সকল দেশ আফ্রিকায় ছুটে আসে প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ : আফ্রিকা পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী। শিল্পের জন এবং উপনিবেশ স্থাপন করে। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ পাচার করে নিয়ে যায়। কিন্তু তারপরও শেষ হয় না এই অফুরন্ত সম্পদ। সমগ্র বিশ্বে প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে হীরকের শতকরা ৯৮ ভাগ, স্বর্ণের ৫৫ ভাগ, তামার ২২ ভাগ এবং ম্যাঙ্গানিজ ক্রোমিয়াম ও ইউরেনিয়াম প্রভৃতি দুষ্প্রাপ্য খনিজ ধাতুরও এক বিরাট অংশ এ মহাদেশ থেকে সংগৃহীত হয়। তাছাড়া স বিশ্বের উৎপন্ন কোকোর দুই-তৃতীয়াংশ এবং নারিকেল তেলের তিন-পঞ্চমাংশও এই মহাদেশে উৎপন্ন হয়। দুনিয়ার যত রকম ফসল রয়েছে তার প্রায় সবই এখানে উৎপাদিত হতে পারে। এসব দিক দিয়ে বিপুল সম্পদের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কার্যত আফ্রিকা মহাদেশ অনুন্নত ও দারিদ্র্য রয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও নব্য উপনিবেশবাদ ।
জনসংখ্যা ও উপজাতি : ঔপনিবেশিক যুগে আফ্রিকার মোট জনসংখ্যা ছিল ১৯,৮০,০০,০০০ জন। আফ্রিকার এই সংখ্যা প্রধানত উপজাতি তথা গোত্র বিভাজিত সমাজকাঠামোতে বসবাস করে। আফ্রিকা এত বেশি উপজাতি ও গোত্রে বিভক্ত যে ভাবতেও অবাক লাগে এবং গোত্র বিভাজিত সমাজব্যবস্থাই আফ্রিকার অনুন্নয়নের প্রধান কারণ। অধিকাংশ নৃতত্ত্ববিদের মতে, আফ্রিকার উপজাতিসমূহ প্রধানত হেমীয়, নিগ্রো ও বান্টু- এই তিনটি মূল উপজাতির অন্তর্ভুক্ত। এছাড় আরও একটি জাতি রয়েছে, যাদের বুশম্যান বা বুনো বলা হয়। এই বুনো সম্প্রদায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন এলাকায় বাস করছে এবং একটা শক্তি হিসেবে এদের অস্তিত্ব প্রায় লোপ পাচ্ছে বললেও চলে। তবে বিশেষজ্ঞদের বিবেচনায় 'হেমীয়' জাতি প্রকৃতপক্ষে শ্বেতাঙ্গ জাতিসমূহেরই সমগোত্রীয়। বান্টু শব্দটাও প্রকৃতপক্ষে জাতিবাচক বিশেষ নয়, বরং ভাষাগত পদই মাত্র। কিন্তু তবু এ শব্দ দ্বারা আফ্রিকার দক্ষিণাংশে অধিকাংশ কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসীকে বুঝানো হয়ে থাকে । মধ্য আফ্রিকা ও পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাসমূহের অধিবাসীদেরই 'নিগ্রো' জাতি বলে অভিহিত করা হয়।
আফ্রিকার কৃষি সম্পদ : পৃথিবীর প্রতিটি দেশে কৃষি সম্পদ রয়েছে। কৃষি সম্পদের উপর নির্ভর করেই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে এবং দেশ হয় উন্নত। আফ্রিকায়ও কৃষি সম্পদ রয়েছে। নীলনদের অববাহিকায় সেই প্রাচীনকাল থেকে কৃমি সম্পদের জন্য প্রসিদ্ধ। তাছাড়া কঙ্গো ও নাইজার নদীর অববাহিকাসহ সমগ্র আফ্রিকায় কৃষি সম্পদ ফলে। এ কি সম্পদকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা :
খাদ্যশস্য : খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে- ধান, গম, যব, ভুট্টা, বার্লি, খেজুর, জলপাই, আঙ্গুর, কমলালেবু, আপেল প্রভৃতি অর্থকরী শস্য : অর্থকরী •এলের মধ্যে রয়েছে চা, কফি, কোকো, তুলা, আখ, রবার প্রভৃতি। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ কোকো এবং ২৯ ভাগ কফি আফ্রিকা মহাদেশে উৎপন্ন হয়।
আফ্রিকার বনজ সম্পদ : পৃথিবীর বৃহত্তম বনভূমি আফ্রিকা মহাদেশে রয়েছে। এখানে এত বন-জঙ্গল পরিপূর্ণ যে, অনেক অঞ্চলে সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখা যায় না। ফলে আফ্রিকার অনেক অঞ্চলে প্রবেশ কষ্টসাধ্য। ইউরোপীয়গণ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করলেও অনেক স্থানে প্রবেশ করতে পারে নি এবং সে স্থান সম্পর্কে আমাদের আজও অজানা আফ্রিকার বনভূমিতে রয়েছে অসংখ্য নাম না জানা গাছগাছালি। এখানে বৃক্ষরাজি আফ্রিকাকে ঢেকে রেখেছে। এখানে রয়েছে নদনদী, সাগর, আগ্নেয়গিরি প্রভৃতি। আফ্রিকার বনে জন্মে মেহগনি, রাবার, কর্পূর, আবলুস, খেজুর, কর্ক, সিডার, পাইন প্রভৃতি অসংখ্য বৃক্ষ
আফ্রিকার জীবজন্তু : যেহেতু আফ্রিকার বনজঙ্গলে ঘেরা মহাদেশ, তাই এখানে রয়েছে প্রচুর জীবনজন্তু। আফ্রিকায় বাস করে বিশ্বের ভয়ংকর সব জীব জানোয়ার। এখানে রয়েছে নানা বৈচিত্র্যের পশুপাখি। আফ্রিকার জীবজন্তুর মধ্যে বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জী, বেবুন, গন্ডার, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, হরিণ, খরগোশ, বন্য মহিষ, ঘোড়া, সিংহ, বাঘ, ভালুক, সাপ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে, আফ্রিকার নদী ও হ্রদের পানিতে রয়েছে কুমির, হিপোপোটেমসসহ ভয়ংকর জীব জানোয়ার।
আফ্রিকার শিল্প সম্পদ : একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া অন্যান্য আফ্রিকায় তেমন কোন শিল্প কারখানা গড়ে উঠে নি ফলে আফ্রিকা শিল্প সম্পদে সমৃদ্ধশালী নয়। এর কারণ ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ। আফ্রিকায় যখন উপনিবেশ স্থাপন করা হয় তখন এর কুটির শিল্প ধ্বংস করা হয় এবং এখানে শিল্পের জন্য প্রচুর কাঁচামাল থাকা সত্ত্বেও কোন ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় নি। ফলে স্বাধীনতার পরও আফ্রিকা শিল্প প্রধান দেশে পরিণত হতে পারে নি।
আফ্রিকার নদনদী : আফ্রিকায় তেমন নদীনালা নেই। এশিয়ায় যেমন প্রচুর নদনদী রয়েছে, তেমনি আফ্রিকায় রয়েছে প্রচুর বনজঙ্গল ও মরুভূমি। তাই এ অঞ্চলে নদনদীর সংখ্যা সামান্য। তবে এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম নদ নীলনদ যায় দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৬৬৯ কি.মি, যা মিশরে অবস্থিত। তাছাড়া এখানে রয়েছে সুপ্রশস্ত কঙ্গো নদী যার আয়তন ৪,৩৭৩ কি.মি। অবশ্য আরো কিছু নদনদী রয়েছে। যেমন- নাইজার, জাম্বেসী, অরেঞ্জ, ভোল্টা, গাম্বিয়া, লিম্বোপো, সেনেগাল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ভাষা : আফ্রিকায় ভাষাগত বিচিত্রতা রয়েছে এবং এখানে বহু ভাষা প্রচলিত। প্রায় ৭০০ ভাষা দ্বারা গঠিত আফ্রিকান জনগণ। এসব ভাষার মধ্যে ১০টি সেমীয় মূল ভাষা, ৪৭টি হেমীয় ভাষা, ১৮২টি বান্টু ভাষা এবং ২৬৪টি ‘সুদানীয়' ভাষার প্রচলন রয়েছে। আফ্রিকার এসব ভাষার মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০টি সাম্প্রতিককালে লেখ্যরূপ লাভ করেছে। আফ্রিকা মহাদেশে ইউরোপীয়দের আগমনের পূর্বে আরবি ভাষা ব্যতীত আর তিনটি মাত্র ভাষার বর্ণমালা প্রচলিত ছিল। যেমন- আমহারিক, তামাচেক ও থাই। অন্যান্য ভাষার কোন বর্ণমালা ছিল না। ইউরোপীয়দের আগমনের পর সেখানে ইংরেজি ভাষার বর্ণমালা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। ফলে বর্তমান আফ্রিকায় ইংরেজি ভাষার প্রচলন প্রায় সর্বত্র।
ধর্ম : আফ্রিকা মহাদেশের জনগণ ধর্মীয় ক্ষেত্রে তিন ভাগে বিভক্ত। যেমন- মুসলমান, প্রকৃতিপূজক ও খ্রিস্টান। এই তিনটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যার কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান পাওয়া যায় নি। তবে মুসলমানরা উত্তর এলাকা ও পূর্ব উপকূল অঞ্চলেই বাস করে। পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলেও বিপুল সংখ্যক মুসলমান রয়েছে এবং একটা প্রসারমান ও ব্যাপ্তিশীল শক্তিরূপেই তারা নিজেদের প্রমাণিত করেছে। সমগ্র আফ্রিকার প্রকৃতিপূজক রয়েছে ১১,২০,০০,০০০ এবং খ্রিস্টান জাতি ২,১০,০০,০০০ জন (ঔপনিবেশিক যুগ পর্যন্ত)।
বালির সমুদ্র : আফ্রিকায় রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারা। এই সাহারা মরুভূমিকে বালির সমুদ্র বলে আখ্যায়িত করা হয় এবং এটি পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত। এই সাহারা মরুভূমিকে বালির সমুদ্র বলার কারণ হচ্ছে এটা একটা সমুদ্রের মতোই ইউরোপকে আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সাহারার এ ব্যবধানকে ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যবর্তী ভূমধ্যসাগরের ব্যবধান অপেক্ষাও অনেক বেশি বাস্তব বলে মনে করা হয়। সাহারার ভৌগোলিক অবস্থান আফ্রিকাকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকার এ দু'অঞ্চলের মধ্যে, সাহারা যেমন একটি ব্যবধান প্রাচীরস্বরূপ বিরাজ করছে, তেমনি দু'অঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধনও রচনা করেছে এ মরু অঞ্চল। তাই আফ্রিকা মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে সাহারা অঞ্চল ।
সীমারেখা : আফ্রিকা মহাদেশের সীমারেখায় কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। যুগ যুগ ধরে এটা পরিবর্তন হয়ে আসছে। কারণ যখন যে অঞ্চল দখল করেছে তখন সে অঞ্চল তার সীমারেখা চিহ্নিত করেছে। এখানে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে আদৌ কোন প্রাকৃতিক সীমারেখার অস্তিত্ব নেই। প্রকৃত অবস্থা এই যে, সেখানে এক শ্বেত জাতির শাসন এলাকা শেষ হয়েছে তারপরেই অপর জাতির শাসনাধিকার শুরু হয়েছে বলা যেতে পারে। এর বেশি সীমান্ত রেখায় কোন নিশানাই এখানে নেই। শুরুর দিকে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হিসেবেই বিভিন্ন শ্বেত জাতি তাদের অধিকার সীমা চিহ্নিত করেছিল। তবে যাওয়ার সময় ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় জ্যামিতিক রেখায় সীমারেখা চিহ্নিত করে যান।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশ। এই মহাদেশ প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী। কিন্তু এখানে রয়েছে অসংখ্য গোত্র বিভাজিত সমাজকাঠামো। তাই এখানে উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া যুগে যুগে ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ আফ্রিকাকে শোষণ করছে। এ কারণেও আফ্রিকায় উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। তাইতো আফ্রিকা দরিদ্র ও অনুন্নত দেশ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]