স্ক্র্যাম্বল ফর আফ্রিকা Scramble For Africa বলতে কী বুঝায়? আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের স্ক্র্যাম্বলের কারণসমূহ লিখ ৷

উত্তর ভূমিকা : পৃথিবীর সমগ্র ভূভাগের এক-পঞ্চমাংশ স্থান দখল করে আছে আফ্রিকা মহাদেশ। অথচ ও বিশাল মহাদেশ এক সময় ইউরোপীয়দের উপনিবেশবাদের শিকার হয়েছিল যদিও আজ স্বাধীন মহাদেশ।
স্ক্র্যাম্বল : Scramble ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে কিছু পাওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি বা হুড়াহুড়ি করা। অর্থাৎ উনিশ শতকের শেষ দশকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ আফ্রিকায় প্রবেশ করে সেখানে তাদের নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের হুড়াহুড়ি শুরু করে, যা স্ক্র্যাম্বল নামে খ্যাত। পৃথিবীর উন্নত দেশ ছিল পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ। তারা পৃথিবীর সর্বত্র সাম্রাজ্য স্থাপন করে বিশ্ব জয়ের কঠিন প্রতিজ্ঞা নামে এবং একাজে বেশি সফলতা পায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স। অষ্টাদশ শতকে ব্রিটেনে শিল্পবিপ্লবের পর সমগ্র ইউরোপে শিল্পবিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ইউরোপের বাজার সংকুচিত হয়ে যায় এবং নতুন বাজারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু ইতোমধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলো এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশ দখল করে নিয়েছে। বাকি ছিল শুধু আফ্রিকা মহাদেশ। আফ্রিকা ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ এবং প্রাকৃতিক ও শিল্পের কাঁচামাল সমৃদ্ধ অঞ্চল। তাই এ কাঁচামাল দখলের লক্ষ্যে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় আগমনের প্রচেষ্টা করে এবং এ প্রচেষ্টা থেকে আফ্রিকা দখলের চিন্তা মাথায় এসে যায়। কারণ আফ্রিকা ছিল গোর বিভাজিত দুর্বল রাষ্ট্র। অতএব ইউরোপীয় শক্তি বর্গ আফ্রিকা দখলের জন্য একযোগে এগিয়ে আসে এবং তারা আফ্রিকা দখল করার জন্য একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ ঘটনাটি ঘটে ১৮৮০ এর দশকে এবং পরবর্তী ৩০ বছরের জন্য ইউরোপীয়রা আফ্রিকা দখল করে নেয়। ইতিহাসে এটাই স্ক্যাম্বল বা Scramble For Africa নামে পরিচিত।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইউরোপের ইতিহাসে শিল্পবিপ্লব আফ্রিকার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। কারণ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটেই ইউরোপীয় দেশসমূহ আফ্রিকায় স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে উপনিবেশ স্থাপন করে ।

আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের স্ক্র্যাম্বলের কারণসমূহ লিখ ৷


উত্তরা ভূমিকা : উনিশ শতকে আফ্রিকায় যে স্ক্র্যাম্বলের ঘটনা ঘটে তার পিছনে ইউরোপীয়দের শিল্পবিপ্লব মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে এর পশ্চাতে আরো কতিপয় কারণ বিদ্যমান ছিল যা ছিল ইউরোপীয় কারণ। নিম্নে এ কারণগুলো উল্লেখ করা হলো :
১. পর্যটকদের প্রভাব : কলম্বাসের জলপথ আবিষ্কারের পর ভারতবর্ষসহ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ইউরোপীয় পর্যটকগণ আগমন করে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখে। আফ্রিকায় বিপুল ঐশ্বর্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ দেখে তারা আশ্চর্য হয়ে যায় এবং ইউরোপের উন্নয়নের পথ খুঁজে পায়। তারা ইউরোপে ফিরে সরকারকে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে উৎসাহ প্রদান করেন।
২. নতুন বাজার তৈরি : অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর ইউরোপের অন্যান্য ক্ষেত্রেও শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়। শিল্পকারখানার উদ্বৃত্ত পণ্যসামগ্রী ইউরোপসহ ভারতবর্ষের বাজারও সয়লাব হয়ে গেছে। একমাত্র বাকি ছিল আফ্রিকা মহাদেশ। তাই ইউরোপীয় শক্তিবর্গ তাদের নতুনবাজার সৃষ্টির জন্য একযোগে আফ্রিকায় প্রবেশ করে স্ক্র্যাম্বলের সৃষ্টি করে।
৩. পুঁজির বিনিয়োগ : পুঁজিবাদী শ্রেণি তাদের অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য নতুন দেশ খুঁজতে থাকে। কারণ পুঁজির ধর্মই হচ্ছে বিস্তার করা। অতএব পুঁজির বিস্তার ও বিনিয়োগ করার জন্যই আফ্রিকাকে বেছে নিয়ে সেখানে স্ক্র্যাম্বলের সৃষ্টি করা হয়।
৪. কাঁচামালের প্রয়োজনীয়তা : শিল্পকারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রীর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ইউরোপে ছিল না। এসব কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে সোনা, রুপা, হীরা, তামা, পিতল, রাবার, কয়লা, গ্যাস, তেল, ইস্পাত প্রভৃতি। এসব কাঁচামাল আফ্রিকায় প্রচুর পাওয়া যেত। এ কাঁচামাল হস্তগত করার জন্য ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় একসাথে প্রবেশের
প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতাই ক্র্যাম্বলের জন্ম দেয় । ৷
৫. ভৌগোলিক অধিকার : ১৫ শতকে কলম্বাসের আটলান্টিক মহাসাগর উন্মুক্তকরণ নীতির দ্বারা জলপথ আবিষ্কার আফ্রিকায় ইউরোপীয় ক্র্যাম্বলের অন্যতম কারণ। কেননা এ ভৌগোলিক আবিষ্কারের ফলেই আফ্রিকা সম্পর্কে ইউরোপীয়রা জানতে পারে এবং এ জলপথ ধরেই তারা আফ্রিকার উপকূলে পৌঁছায়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের এ উপনিবেশ সৃষ্টির পিছনে শুধু আফ্রিকাই দায়ী ছিল না। এর পশ্চাতে প্রধান কারণ ছিল ইউরোপীয়দের মধ্যে শিল্পবিপ্লব ও সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা ।

স্ক্র্যাম্বল ফর আফ্রিকা বলতে কী বুঝ?


অথবা, স্ক্র্যাম্বল ফর আফ্রিকা বা আফ্রিকা দখলে ইউরোপের প্রচেষ্টার ধারণা দাও ।
উত্তর ভূমিকা : ইউরোপের ইতিহাসে ক্র্যাম্বল (Scramble) একটি পরিচিত শব্দ। উনিশ শতকের শেষ দশকে ইউরোপীয় দেশসমূহ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের লক্ষ্যে একযোগে আফ্রিকা মহাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
স্ক্র্যাম্বল ফর আফ্রিকা : Scrambe ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে কিছু পাওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি বা হুড়াহুড়ি করা, অর্থাৎ উনিশ শতকের শেষ দশকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ আফ্রিকায় প্রবেশ করে সেখানে তাদের নিজেদের উপনিবেশ স্থাপনের জন্য হুড়াহুড়ি শুরু করে, যা স্ক্র্যাম্বল নামে খ্যাত। পৃথিবীর উন্নত দেশ ছিল পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ। তারা পৃথিবীর সর্বত্র সাম্রাজ্য স্থাপন করে বিশ্ব জয়ের কঠিন প্রতিজ্ঞায় নামে এবং একাজে বেশি সফলতা পায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স। অষ্টাদশ শতকে ব্রিটেনে শিল্পবিপ্লবের পর সমগ্র ইউরোপে শিল্পবিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ইউরোপের বাজার সংকুচিত হয়ে যায় এবং নতুন বাজারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু ইতোমধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলো এশিয়া মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশ দখল করে নিয়েছে। বাকি ছিল শুধু আফ্রিকা মহাদেশ। আফ্রিকা ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ এবং প্রাকৃতিক ও শিল্পের কাঁচামাল সমৃদ্ধ অঞ্চল। তাই এ কাঁচামালের দখলের লক্ষ্যে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় আগমনের চেষ্টা করে এবং এ চেষ্টা থেকেই আফ্রিকা দখলের চিন্তা মাথায় এসে যায়। ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকা দখলের জন্য একযোগে এগিয়ে আসে এবং তারা আফ্রিকা দখল করার জন্য একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ ঘটনাটি ঘটে ১৮৮০ এর দশকে এবং পরবর্তী ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপীয়রা আফ্রিকা দখল করে নেয়। ইতিহাসে এটিই স্ক্র্যাম্বল বা Scramble for Africa নামে পরিচিত।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, উনিশ শতকের শেষে পুরো আফ্রিকা অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপীয়দের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। স্বার্থবাদী ইউরোপীয় শক্তির স্বার্থে আফ্রিকার বিভাজনই Scramble for Africa I

আফ্রিকা মহাদেশ কিভাবে স্ক্র্যাম্বুলের কবলে পতিত হয়?


অথবা, আফ্রিকা মহাদেশে কিভাবে স্ক্র্যাম্বল ঘটে?
উত্তর ভূমিকা : ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকা দখলের জন্য একযোগে এগিয়ে আসে এবং তারা আফ্রিকা দখল করার জন্য একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ ঘটনাটি ঘটে ১৮৮০ এর দশকে এবং পরবর্তী ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপীয়রা আফ্রিকা দখল করে নেয়। ইতিহাসে এটাই ক্র্যাম্বল বা Scramble for Africa নামে পরিচিত।
স্ক্র্যাম্বুলের কবলে আফ্রিকা মহাদেশ : ইউরোপের ইতিহাসে ক্র্যাম্বল একটি পরিচিত শব্দ এবং উনিশ শতকের পৃথিবীর একটি আলোচিত বিষয়। ১৮৮০ এর দশকে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ Scramble for Africa এর মাধ্যমে আফ্রিকায় প্রবেশ করে এবং পরবর্তী ত্রিশ দশকের মধ্যে সমগ্র আফ্রিকা দখল করে নেয়। ইউরোপীয় শক্তিবর্গ এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয় ষোড়শ শতক থেকে এবং তা উনিশ শতক পর্যন্ত চলে । ইউরোপ এ সময় অতি উন্নত সভ্যতায় রূপান্তরিত হয় এবং আধুনিক বিশ্বের সকল ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। তারাই বিশ্ববাসীর সামনে আধুনিক জগৎ নিয়ে আসে। ইউরোপীয় দেশে এসময় শিল্প কারখানায় ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং শিল্পের ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন সূচীত হয় যা শিল্প বিপ্লব নামে পরিচিতি পায়। শিল্প বিপ্লবের ফলে প্রচুর দ্রব্যসামগ্রী

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]