আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে নেটিভদের দায়বদ্ধতা কতটুকু ছিল বলে তুমি মনে কর? 

আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন কেন সহজ হয়েছিল? পরবর্তীতে আফ্রিকানরা কী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে? 
উত্তর ভূমিকা : উপনিবেশ হচ্ছে কোন দেশের উপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া শাসনব্যবস্থা, যার মাধ্যমে ঐ দেশের সম্পদ ও জনগণের উপর শোষণ করা হয়। ইউরোপীয় শক্তিবর্গ পৃথিবীর সর্বত্র তাদের উপনিবেশ স্থাপন করলেও বাকি ছিল আফ্রিকা মহাদেশ। কিন্তু আধুনিক যুগে পদার্পণ করার পরও ইউরোপীয় শক্তিবর্গ তাদের উপনিবেশ স্থাপন অব্যাহত রাখে, যার সর্বশেষ শিকার আফ্রিকা মহাদেশ। উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ে ইউরোপের শক্তিবর্গ আফ্রিকায় প্রবেশ করে এবং মাত্র তিন দশকের মধ্যে পুরো আফ্রিকা দখল করে নেয়। অর্থাৎ সহজেই তারা আফ্রিকা দখল করে নেয়। তাই সহজ দখলের পিছনে আফ্রিকান নেটিভদের ভূমিকা নেহাত কম ছিল না। আফ্রিকার উপনিবেশ স্থাপনে নেটিভদের দায়বদ্ধতা : ইউরোপীয়রা যখন খুব সহজেই আফ্রিকা দখল করে নিল, তখন প্রশ্ন উঠল এত সহজে কিভাবে একটি মহাদেশ সম্পূর্ণ দখল করে নিল? এখানে কি কোন নেটিভদের ভূমিকা ছিল না? থাকলেও তারা তাদের দেশরক্ষায় কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে? সর্বোপরি আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের উপনিবেশ স্থাপনে এ নেটিভদের কতটুকু ভূমিকা কিংবা দায়বদ্ধতা ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আফ্রিকানরা ইউরোপীয়দের কিভাবে গ্রহণ কিংবা বর্জন করেছে। তাহলে তাদের দায়বদ্ধতার চিত্র ফুটে উঠবে। মূলত আফ্রিকার উপনিবেশ স্থাপনে নেটিভদের দায়বদ্ধতা দু'ভাবে পরিলক্ষিত হয়।
যথা: ১. সহযোগিতামূলক দায়বদ্ধতা (Co- operation)।
২. প্রতিরোধমূলক দায়বদ্ধতা (Resistance) । নিম্নে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো
: ১. সহযোগিতামূলক (Co-operation) : ইউরোপীয়রা যখন আফ্রিকায় প্রথম ব্যবসায় বাণিজ্য করতে আসে তখন আফ্রিকার নেটিভরা তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। কারণ আফ্রিকায় ইউরোপীয়রা প্রথমে আসে নিছক ব্যবসায় বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এবং ইউরোপীয় দ্রব্যসামগ্রী তাদের পছন্দনীয় ছিল। তাছাড়া আফ্রিকার দ্রব্যসামগ্রীও বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশে রপ্তানি করা হতো। তাই আফ্রিকার নেটিভরা ইউরোপীয়দের সহযোগিতা করেছিল। আফ্রিকার নেটিভরা ইউরোপীয়দের বিশেষ কতিপয় কারণে সহযোগিতা করেছিল। কারণগুলো হলো নিম্নরূপ :    

আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনের ইতিবৃত্ত পর্যালোচনা কর। অথবা, আফ্রিকায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ কর । অথবা, আফ্রিকায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার সম্পর্কে লিখ। অথবা, আফ্রিকায় ইংরেজ উপনিবেশ স্থাপনের পটভূমি লিখ ।


 উত্তর ভূমিকা : উনিশ শতকে সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী উপনিবেশ ছিল ব্রিটেন এবং ব্রিটিশ উপনিবে পর্যন্ত ব্রিটেন আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করতে পারে নি। ১৮৮০ এর দশকে ব্রিটেন স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে আফ্রিকায় প্রবে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র স্থাপিত হয়েছিল। ফলে ব্রিটেন তখন বিশ্ব পরাশক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ। কিন্তু উনিশ শতকের মধ্যভাগ করে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এক আধিপত্যসহ অন্যান্য আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে। আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রধান কারণ ছিল আফ্রিকার অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে ব্রিটেনে নিয়ে গিয়ে সেখানে শিল্প বিপ্লবে সহায়তা করা এবং উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রীর বাজার আফ্রিকায় তৈরি করা। অতএব আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ বিস্তার ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা কারণ এর পরই ব্রিটিশ নাগরিকরা গর্ব করে বলতে শুরু করে যে, “ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না।” আফ্রিকার ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনের ইতিবৃত্ত : উনিশ শতকের শেষ দশকে অর্থাৎ ১৮৮০ এর দশরে গ্র্যাম্বলের মাধ্যমে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে তাদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্রিটেন। নিম্নে ব্রিটিশদের আফ্রিকায় উপনিবেশের ইতিবৃত্ত বা প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো : 
১. পর্যটকদের বিবরণ : কলম্বাসের জলপথ আবিষ্কারের পর ইউরোপীয়রা পৃথিবীর সর্বত্র আবিষ্কারের নেশায় বেরিয়ে পড়ে এবং এরা ছিল পর্যটক শ্রেণির। এ পর্যটকগণ আফ্রিকার বিভিন্ন এলাকায় পরিভ্রমণ করে এবং আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদের বিবরণ সম্বলিত গ্রন্থ প্রকাশ করে। এ পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন ডেভিড লিভিংস্টোন, রিচার্ড বার্টন, মনগোপার জন স্পেক প্রমুখ। এদের বিবরণ পড়ে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শ্রেণি আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে উৎসাহী হয়ে পড়ে এবং শাসক গোষ্ঠীকে চাপ প্রয়োগ করে। ফলে সরকারও তাঁর নীতি পরিবর্তন করে আফ্রিকা সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে পড়ে। 
২. পুঁজিপতিদের উদ্ভব : অষ্টাদশ শতকে ব্রিটেনে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়। এ শিল্পবিপ্লব বলতে বুঝায় শিল্পকারখানায় ব্যাপক উৎপাদন। অষ্টাদশ শতকে আধুনিক শিল্পকারখানার যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে শিল্পকারখানায় ব্যাপক উৎপাদন হতে থাকে। ফলে শিল্পকারখানার মালিক শ্রেণির হাতে প্রচুর অর্থ আসে। এ অর্থ আসার ফলে ব্রিটেনে ধনতন্ত্রী ব্যবস্থার উদ্ভব ঘটে। ধনতন্ত্রের উদ্ভবের ফলে ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তির সৃষ্টি করে এবং পুঁজিপতিদের উত্থান ঘটে। ঠিক ব্রিটেনের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। শিল্পবিপ্লবের ফলে ব্রিটেনে পুঁজিপতি শ্রেণির উদ্ভবে তাদের হাতে প্রচুর অর্থ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। পুঁজিবাদের বিস্তারই ধনতন্ত্রী সমাজের মূল লক্ষ্য। কিন্তু পুঁজিবাদের বিস্তার ইংল্যান্ডে আর সঙ্কট ছিল না। কারণ ব্যাংক ঋণ ছিল খুবই কম। অন্যদিকে, পুঁজির বিনিয়োগ ইংল্যান্ডে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের পুঁজিপতি শ্রেণি বিকল্প দেশ হিসেবে আফ্রিকায় তাদের পুঁজিবিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে যাতে সরকার আফ্রিকায় সুযোগ করে দেয়। সরকার ও ব্যবসায়ী শ্রেণিকে সন্তুষ্ট করার জন্য আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
 ৩. ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী শ্রেণির প্রচারণা : আফ্রিকার ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনের পিছনে ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এ সময় তাঁদের প্রচার ও প্রচারণা ব্রিটিশ সরকার ও জনগণকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। এ সময় ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী শ্রেণি প্রচারণা চালায় যে, “আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপন, বাজার তৈরি ও ব্যবসায় বাণিজ্য পরিচালনার মাধ্যমে শুধু ব্যবসায়ী শ্রেণিই নয়, সমাজের সকলেরই লাভ হবে। তাছাড়া আফ্রিকার উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করলে পুঁজিবাদ বিকশিত হবে। ফলে সরকারের আয় বৃদ্ধি পাবে। সরকার এ বাড়তি আয় দিয়ে অধিক সংখ্যক রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।” সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় বেশ উৎসাহ যুগিয়েছিল । 
৪. নতুন বাজার অনুসন্ধান : আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনের পিছনে অন্যতম প্রেক্ষাপট ছিল ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শ্রেণির নতুন বাজার অনুসন্ধান করা। ব্রিটেনে শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে প্রচুর শিল্পজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয় এবং ব্রিটিশ চাহিদা পূরণের পর বিপুল পরিমাণ দ্রব্য উদ্বৃত্ত থাকে। এ উদ্বৃত্ত দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয়ের জন্য নতুন বাজারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়। ফলে ব্রিটিশ পণ্যের চাহিদা ইউরোপের বাজারে তেমন ছিল না। এ অবস্থায় ব্রিটিশ পণ্য বিক্রির জন্য একমাত্র পথ খোলা ছিল আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করা । 
৫. কাঁচামালের প্রয়োজনীয়তা : শিল্পবিপবের ফলে ইংল্যান্ডের প্রচুর শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। এসব শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হতো প্রচুর কাঁচামাল বিশেষকরে লোহা, সোনা, হীরা, ম্যাঙ্গানিজ, এলুমিনিয়াম, তামা, ইস্পাত, কার্পাস তুলা প্রভৃতি। কিন্তু এ কাঁচামাল ইউরোপে তেমন না থাকায় ব্রিটেনে কাঁচামালের অভাব দেখা দেয়। ফলে কাঁচামালের সন্ধানে ব্যবসায়ীরা বেরিয়ে পড়ে। শিল্পের জন্য প্রচুর কাঁচামাল আফ্রিকা মহাদেশে ছিল। তাই ব্যবসায়ী শ্রেণি আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে আগ্রহী হয়ে পড়ে এবং সরকারকে এ ব্যাপারে চাপ দেয় ।  
৬. খ্রিস্টান মিশনারি জিল : খ্রিস্টান মিশনারি জিল হচ্ছে খ্রিস্টান মিশনারিদের আবেগ। ইউরোপীয় খ্রিস্টান মিশনারিগণ নিজেদেরকে সর্বদা সেরা জাতি ভাবত এবং তাদের ধর্মকে মনে করত সেরা ও শান্তির ধর্ম। তারা বলত, যীশুর বাণী হলো শান্তির বাণী এবং এ বাণী প্রচার করে পৃথিবীতে শান্তি আনতে হবে। তাঁদের মতে, খ্রিস্টান জগৎ হচ্ছে সভ্য পৃথিবীর অন্যান্য জগৎ বিশেষ করে আফ্রিকান জগৎ হচ্ছে অসভ্য জগৎ। তাই অসভ্য জগৎকে সভ্য করার দায়িত্ব তাদের। এ জিল বা আবেগ থেকে তাদের মনে ব্যবসায়ী শ্রেণির ন্যায় আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের চিন্তা প্রবেশ করে। তাই তারাও সরকারের উপর আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। জগৎ এবং 
৭. উগ্র জাতীয়তাবাদ : উনিশ শতকের ইউরোপের ইতিহাস উগ্র জাতীয়তাবোধের ইতিহাস। এ সময় ইউরোপীয় দেশসমূহ নিজেদেরকে সেরা জাতি ভাবতে শুরু করে এবং অন্যান্য জাতিকে নিম্ন জাতি মনে করতো। তাঁদের মতে, উন্নত ইউরোপীয় জাতি অন্যান্য অনুন্নত জাতিকে পরাভূত করবে এটাই নিয়ম। এ সময় ব্রিটেনেও উগ্র জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। ফলে তারা আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ডিজরেলী স্বয়ং নিজ জাতিকে জাতীয় গৌরবে উদ্বুদ্ধ করে যাতে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন সহজ হয়। 
৮. প্রযুক্তিগত আবিষ্কার : আফ্রিকায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক রাজ্য প্রতিষ্ঠার পিছনে আরেকটি প্রেক্ষাপট হচ্ছে ব্রিটিশ প্রযুক্তির উন্নতি ও কিছু বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের আবিষ্কার। এ সময় ব্রিটেনে রেলওয়ে, গানপাউডার, কুইনাইন, টেলিগ্রাফ, বাষ্পচালিত জাহাজ প্রভৃতি আবিষ্কার করা হয় যা আফ্রিকার উপনিবেশ স্থাপনের মূল সহায়ক হিসেবে কাজ করে। উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনে উপর্যুক্ত কারণ বা প্রেক্ষাপটসমূহ দায়ী ছিল। ১৮৮০ এর দশকে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে ব্রিটেন আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে এবং তারা প্রথম উপনিবেশ স্থাপন করে দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরবর্তীতে অন্যান্য আফ্রিকায়ও ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপিত হয়। ফলে তারা আফ্রিকায় বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় আফ্রিকায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশের সংখ্যা বেশি ছিল। আফ্রিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনের পর সেখানে তাদের শাসনব্যবস্থা কায়েম করে প্রায় অর্ধশতক বছর রাজত্ব করেছিল। 

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]