দক্ষিণ আফ্রিকায় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার আলোচনা কর। অথবা, দক্ষিণ আফ্রিকায় উপনিবেশবাদ সম্পর্কে প্রবন্ধ লিখ ৷ উত্তরা৷ ভূমিকা : দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস অত্যন্ত জটিল ইতিহাস। দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্ভবের পিছনে ওলন্দাজদের কথা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ওলন্দাজ নাবিক জ্যান ভ্যান রিবেক ১৬৫২ সালের ৬ এপ্রিল প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ উপদ্বীপে আসে এবং এখানে তিনি ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করেন। এরপর ক্রমান্বয়ে এ অঞ্চলে ওলন্দাজদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক লোক উপকূলভাগের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় এখানকার অধিবাসীদের সাথে ওলন্দাজদের কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং এসব যুদ্ধে ওলন্দাজগণ জয়লাভ করে এখানে আধিপত্য বিস্তার করে। এ সময় ইংরেজগণ এ অঞ্চলে এসে পড়ে এবং ১৭৯৫ সালে ব্রিটেন ওলন্দাজদের কাছ থেকে উত্তমাশা অন্তরীপ কেড়ে নেয়। ফলে শুরু হয় ব্রিটিশদের বসবাস এবং বিপুল সংখ্যক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক দলে দলে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বসতি স্থাপন করতে থাকে। এদিকে ইংরেজদের দখলনীতির ফলে ওলন্দাজগণ কেপ এলাকা ত্যাগ করে দেশের অভ্যন্তরভাগে 'ভাল' নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে বসবাস করতে থাকে। ১৮৫২ সালে ওলন্দাজ অভিযাত্রীরা আধুনিক ট্রান্সভালে ‘দক্ষিণ আফ্রিকা গণতন্ত্র' নামে এক শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করে এবং এর দু'বছর পরে প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট। পরবর্তী প্রায় পঞ্চাশ বছর কাল এ অঞ্চলে ইংরেজগণ ও ওলন্দাজ বুয়ারদের মধ্যে নানা ব্যাপারে তীব্র বিরোধ চলতে থাকে। অবশেষে ১৮৭৭ সালে ইংরেজগণ বলপূর্বক ওলন্দাজদের দ্বারা শাসিত দক্ষিণ আফ্রিকা গণতন্ত্র দখল করে নেয় এবং পরবর্তীতে এ অঞ্চল দক্ষিণ আফ্রিকা নামে পরিচিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ আগমন : তৎকালিন যুগে ব্রিটেন ছিল সবচেয়ে বৃহৎ শক্তিশালী ঔপনিবেশিক শক্তি। তারা পৃথিবীর সর্বত্র উপনিবেশ স্থাপন করলেও আফ্রিকায় কোন উপনিবেশ স্থাপন করে নি উনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত। ব্রিটেনের শিল্পবিপ্লবের পর ব্যবসায়ী শ্রেণি তাদের পুঁজি বিনিয়োগ, কাঁচামাল সংগ্রহ ও বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য বেরিয়ে পড়ে। এ সময় ব্রিটেন পর্যটকগণ আফ্রিকা ঘুরে এসে ব্রিটেনের ব্যবসায়ী শ্রেণিকে সেখানে ব্যবসায় বাণিজ্যের জন্য উৎসাহ উপনিবেশবাদের কারণসমূহ লেখ। , উপনিবেশবাদের কারণ সম্পর্কে লেখ। উত্তরা ভূমিকা : ১৮৮০ এর দশকে আফ্রিকায় ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ প্রবেশ করে। পরবর্তী শকের মধ্যে সমগ্র আফ্রিকা দখল করে নিয়ে সেখানে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করে। তবে ইউরোপীয়দের এ বশের পশ্চাতে কিছু কারণ ছিল অকারণে তারা উপনিবেশবাদের সূচনা করে নি।
উপনিবেশবাদের কারণ : উপনিবেশবাদের কারণ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. পর্যটকদের বিবরণ : কলম্বাসের জলপথ আবিষ্কারের পর ভারতসহ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ইউরোপীয় গণ আগমন করে এবং তারা আফ্রিকার অফুরন্ত ধন-সম্পদের সন্ধান পায়। তাদের বর্ণনা ইউরোপীয়দের থেকে পীয়দের মধ্যে এ সম্পদ আহরণের স্পৃহা দেখা যায় ।
২. ধর্মান্তরিত করার লক্ষ্যে : আফ্রিকা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ, একারণে এখানে সভ্যতার আলো দেখানো জন ছিল । এ সুযোগ নেয় মিশনারিরা। তারা আফ্রিকাতে সভ্যতার আলো দেখানোর পাশাপাশি সেখানকার মানুষকে রিত করার চেষ্টায়ও উপনিবেশবাদের সূচনা করে ।
৩. শিল্পের কাঁচামাল আহরণ : অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে শিল্পবিল্পব হবার পর শিল্পকারখানায় প্রচুর দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদিত থাকে । অন্যদিকে ইংল্যান্ডের পর ইউরোপের অন্যান্য দেশেও শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়। এর ফলে শিল্প কারখানার উদ্বৃত্ত দেন সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য বাজারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় । এ প্রয়োজনীয়তা থেকেই উপনিবেশবাদের সূচনা হয়। 128 প্রকাশনী লিমিটেড
৪. উন্নত আৰিষ্কাৰ : উনিশ শতকে ইউরোপে রেলইঞ্জিন, বাম্পচালিত নৌকা, টেলিগ্রাফ, গান পাউডারসহ বিভি
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের বাহ্যিক কারণগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমে ঔপনিবেশিক শাসকরা বাহ্যিক দিকগুলো ভেবেছিল। পরবর্তীতে তারা গভীরভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়। এ সমস্ত আবিষ্কার আফ্রিকায় উপনিবেশবাদের উত্থান করে। ভেবেছিল এবং সে অনুযায়ী কাজ করেছিল।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত