ইউরোপীয় শাসনের প্রতি আফ্রিকানদের প্রতিরোধের অর্থনৈতিক কারণ কী ছিল? 

ইউরোপীয় শাসনের প্রতি আফ্রিকানদের প্রতিরোধের অর্থনৈতিক কারণ সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ। 
উত্তরা ভূমিকা : ইউরোপীয়গণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আফ্রিকাতেও উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ে ইউরোপীয়রা আফ্রিকাতে প্রবেশ করে এবং সেখানে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করে। আফ্রিকায় প্রবেশকালে ইউরোপীয়দের আফ্রিকানরা সহযোগিতা করলেও পরবর্তীতে তারা প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে । ইউরোপীয় শাসনের প্রতি আফ্রিকানদের প্রতিরোধের অর্থনৈতিক কারণ : ইউরোপীয় শাসনের প্রতি আফ্রিকানদের প্রতিরোধের অর্থনৈতিক কারণ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :  
১. বাণিজ্যের মাধ্যমে শোষণ : ইউরোপীয়দের আফ্রিকাতে শোষণ করার অন্যরকম একটি পদ্ধতি ছিল বাণিজ্য। ইউরোপীয়রা তাদের শিল্পকারখানায় তৈরি কাপড়, অলংকার, মদ এবং আধুনিক অস্ত্র আফ্রিকায় নিয়ে আসে। কারণ এগুলোর প্রতি আফ্রিকানদের আগ্রহ ছিল। এসব পণ্যের বিনিময়ে তারা আফ্রিকা থেকে স্বর্ণ, হাতির দাঁত, দাস ইত্যাদি ইউরোপে নিয়ে যেত । 
 ২. নির্ভরশীলতা তৈরি : ইউরোপীয়রা আফ্রিকানদের এমনভাবে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করেছিল যে, আফ্রিকানরা ইউরোপীয়দের অনুগত হতে বাধ্য হয়েছিল। যেমন- ইউরোপীয়রা আগ্নেয়াস্ত্র প্রথমে জনপ্রিয় করার জন্য বিনামূল্যে বিতরণ করতো। এগুলোর কার্যকারিতা বুঝতে পেরে আফ্রিকানরা ইউরোপীয়দের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে উঠে এবং চুক্তি করতে বাধ্য হয়। 
 ৩. দাস ব্যবসায় : দাস ব্যবসায় ইউরোপীয়দের জন্য অত্যন্ত লাভজনক ছিল। তারা আফ্রিকাতে এ ব্যবসার রমরমা অবস্থা সৃষ্টি করেছিল । একসময় আফ্রিকানরা মানুষ ধরে দাস হিসেবে ইউরোপীয়দের হাতে তুলে দিত। বিনিময়ে তারা মদ ও অস্ত্র পেত।  
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আফ্রিকানদের জন্য ইউরোপীয় শোষণ অত্যন্ত ভয়ানক ছিল। বেশিরভাগ সময়ই আফ্রিকানরা স্বল্প সুবিধা লাভের আশায় ইউরোপীয়দের সাহায্য করতো। কিন্তু ইউরোপীয়রা এর পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে আফ্রিকানদের ঠকাত। এটি বুঝতে আফ্রিকানদের অনেক সময় লেগেছিল। আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার প্রকারভেদ আলোচনা কর । 

 আফ্রিকায় ইউরোপীয় প্রশাসন পদ্ধতি সম্পর্কে লিখ ৷  ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ আফ্রিকায় কয় ধরনের শাসন পদ্ধতি চালু করেছিল? এ সম্পর্কে বিবরণ দাও । আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক প্রশাসনিক অবকাঠামো সম্পর্কে আলোকপাত কর । অথবা, ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গের শাসনব্যবস্থা বর্ণনা কর। অথবা, আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের প্রশাসনিক নীতি পর্যালোচনা কর । 

 
উত্তরা ভূমিকা : আফ্রিকার ইতিহাস বিশ্বের ব্যতিক্রমধর্মী ইতিহাস। কারণ এখানে কখনো অন্ধকারের দেশ, আবার কখনো উপনিবেশবাদের শিকারের দেশ। উনিশ শতকের শেষ দশকে আফ্রিকা উপনিবেশবাদের শিকার হয় এবং ইউরোপীয় শক্তিবর্গ সমগ্র আফ্রিকা দখল করে নেয়। শুধু লাইবেরিয়া ও ইথিওপিয়া তারা দখল করতে পারে নি। ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকা মহাদেশ দখলের পর সেখানে তাদের নিজস্ব শাসন পদ্ধতি চালু করে। কিন্তু এ শাসন পদ্ধতি চালুতে দেখা দেয় ভিন্নতা। কারণ ইউরোপীয় যেসব দেশ আফ্রিকা দখল করে তাদের দেশের প্রচলিত শাসনব্যবস্থার ভিন্নতা ছিল এবং এ ভিন্নতার প্রভাব আফ্রিকা মহাদেশের উপরও পড়ে। তাই ঔপনিবেশিক আফ্রিকার শাসন পদ্ধতিতে দেখা দেয় বিভিন্ন ব্যবস্থা, যার প্রভাব বর্তমান পর্যন্ত পরিলক্ষিত। মোঃ ১৫০ ঔপনিবেশিক শাসন পদ্ধতির প্রকারভেদ/ধরন : আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা চালু করার, সেখানে প্রধানত চার ধরনের শাসনব্যবস্থা লক্ষ করা যায়। যথা :  
ক. সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থা,  
খ. পরোক্ষ শাসনব্যবস্থা, 
গ. পিতৃতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও  
ঘ. কোম্পানি শাসনব্যবস্থা । নিম্নে এসব শাসন পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হলো  
: ক. সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থা : সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থা মূলত এক ধরনের প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা, যা সাধারণ মধ্যযুগে প্রচলিত ছিল। এখানে কেন্দ্রের জনগণের সাথে প্রদেশের জনগণের কোন প্রকার পার্থক্য নির্ধারণ করা হয় না আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের পর ইউরোপীয় কিছু দেশ সেখানে সমন্বয়মূলক শাসন পদ্ধতি চালু করে। যেমন- ফ্রান্স। সমন্বয়মূলক শাসন বলতে এমন এক ধরনের শাসনব্যবস্থা বুঝায় যেখানে ঔপনিবেশিক দেশের জনগণের সাথে ঔপনিবেশিক শক্তির দেশের জনগণের কোন পার্থক্য নেই। এ সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থা আবার দুই প্রকার হয়ে থারে যথা : ১. ব্যক্তিক সমন্বয় ও ২. অব্যক্তিক সমন্বয় । নিম্নে এ দুই প্রকারের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো : ১. ব্যক্তিক সমন্বয় : ব্যক্তিক সমন্বয়ের মূলকথা হচ্ছে ঔপনিবেশিক রাজ্যের জনগণের সাথে ঔপনিবেশিক শক্তি দেশের জনগণের সমন্বয় সাধন করে এ শাসন পদ্ধতি চালু করা। তবে এ শাসনব্যবস্থা আফ্রিকার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়ে উ নি। কারণ আফ্রিকার জনগণের সাথে ইউরোপীয় জনগণের অনেক পার্থক্য ছিল। আফ্রিকার জনগণ ছিল অ কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পশ্চাৎপদ ও অশিক্ষিত জাতি। অন্যদিকে, ইউরোপীয় জনগণ ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থাৎ শিক্ষিত, আধুনি ও বিজ্ঞানচেতা। তাই আফ্রিকায় ব্যক্তিক সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থা ব্যর্থ হয়ে যায়। ২. অব্যক্তিক সমন্বয় : যেখানে ব্যক্তিক সমন্বয় সম্ভব নয় সেখানেই প্রয়োজন হয় অব্যক্তিক সমন্বয়ের এবং আফ্রিক ক্ষেত্রেও এটা বেশি প্রযোজ্য ছিল। তাই ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ আফ্রিকায় অব্যক্তিক সমন্বয় চালু করে। তবে এ অব্যক্তিকে তিনটি পর্যায় রয়েছে।  
যথা : i. প্রশাসনিক সমন্বয় : প্রশাসনিক সমন্বয় বলতে বুঝায় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে উভয় দেশের মায়ে সমন্বয় সাধন করা। আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থায় এ প্রশাসনিক সমন্বয় পরিলক্ষিত হয়। 
 ii. রাজনৈতিক সমন্বয় : রাজনৈতিক সমন্বয় সাধারণত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। অর্থাৎ ঔপনিবেশিক রাজ্যে রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে ঔপনিবেশিক শক্তির রাজনৈতিক সংগঠনের সমন্বয় সাধন। যেহেতু আফ্রিকায় ঔপনিবেশি শাসনামল পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠে নি তাই গোত্রই ছিল রাজনৈতিক সমন্বয়ের কেন্দ্রস্থল। এক্ষে ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ স্থানীয় শক্তিশালী গোত্রপতির সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে তাকে কিছু রাজনৈতিক অধিকার দিয়ে এবং বিনিময়ে ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ স্থানীয় গোত্রপতির কাছ থেকে কিছু রাজনৈতিক অধিকার নিয়েছে। এভাবেই আফ্রিকা উপনিবেশে রাজনৈতিক সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। 
 iii. অর্থনৈতিক সমন্বয় : ঔপনিবেশিক রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনাই হলে অর্থনৈতিক সমন্বয়। অর্থাৎ ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করে তোলার লক্ষ্যে ঔপনিবেশি রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। এ অর্থনৈতিক অবকাঠামোর মাধ্যমেই ঔপনিবেশিক রাজ্যগুলে শোষণ প্রক্রিয়া জোরদার হয়েছিল। অর্থাৎ শিল্পকারখানার জন্য কাঁচামালের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও আফ্রিকায় বে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হয় নি। সমস্ত শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হয়েছিল ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গের দেশে এ সেখানের উৎপাদিত দ্রব্য ঔপনিবেশিক রাজ্যে বিক্রি করা হতো। এভাবে অর্থনৈতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ঔপনিবেশি শক্তিবর্গ আফ্রিকাকে শোষণ করতো।  
 খ. পরোক্ষ শাসনব্যবস্থা : পরোক্ষ শাসনব্যবস্থা মূলত বিকল্প ধারায় গঠিত এক ভিন্ন শাসনব্যবস্থা। এ শাসনব্যবস্থা তৈরি করা হয় ঔপনিবেশিক শক্তি দ্বারা কিন্তু পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করা হয় স্থানীয়দের মাধ্যমে। আফ্রিকায় যখন ইউরোপীয় শক্তিবর্গ উপনিবেশ স্থাপন করে তখন পর্যন্ত আফ্রিকা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশ। কারণ এখানে ছিল না কোন। উন্নত শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতি। আফ্রিকায় ছিল গোত্রভিত্তিক সমাজকাঠামো। তাই এখানে গোত্রীয় রাজনীতিই পরিচালিত ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, শিক্ষানীতি সবকিছুই ছিল। উন্নত। তাছাড়া সেখানকার রাজনীতিতে গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। তাই ইউরোপীয় শাসনব্যবস্থা প্রত্যক্ষভাবে আফ্রিকায় চালু করা সম্ভব ছিল না। এ অবস্থা চিন্তা করেই আফ্রিকায় প্রবর্তন করা হয় পরোক্ষ শাসনব্যবস্থা। এ শাসনব্যবস্থার মূলকথা হচ্ছে আফ্রিকার প্রচলিত শাসন নীতি অনুযায়ীই আফ্রিকাকে ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ শাসন করবে। অর্থাৎ পরিচালনায় থাকবে ইউরোপীয়রা এবং বাস্তবায়ন করা হবে আফ্রিকান নীতি অনুযায়ী। এ শাসনব্যবস্থার প্রবক্তা হলেন ব্রিটিশ নাইজেরিয়ার গভর্নর লর্ড লুগার্ড। তিনি এ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের পিছনে যুক্তি দেখান যে, "এ শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক যায় কম হবে। কারণ স্থানীয়দের দ্বারা প্রশাসন চালানো হলে এসব স্থানীয়দের বেতন কম দিতে হবে। অপরপক্ষে, ইউরোপীয়দের প্রশাসনে নিয়োগ করলে তাদের উচ্চহারে বেতন দিতে হবে। তাছাড়া এ শাসনব্যবস্থায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণের জন্য বিদ্রোহের মাত্রাও কমে যাবে।” এ পরোক্ষ শাসনব্যবস্থায় দুটি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় ।  
যথা ঃ i. এ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হতো ইউরোপীয়দের পরিচালনায় ।  
ii. স্থানীয় প্রশাসনিক যন্ত্রের যথাযথ বাস্তবায়ন করা হতো।  
গ. পিতৃতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা : পিতৃতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মূলত একটি তৃতীয় পন্থা বা ব্যবস্থা। অর্থাৎ যেখানে সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থা ও পরোক্ষ শাসনব্যবস্থা কার্যকর হয় না, সেখানে এই পিতৃতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়। এ শাসনব্যবস্থা পরোক্ষ ও সমন্বয়মূলক শাসনব্যবস্থার মধ্যখানে অবস্থান করে। এ শাসনব্যবস্থার মূলকথা হচ্ছে পিতার ন্যায় শাসন অর্থাৎ পিতা যেমন তার সন্তানকে লালনপালনসহ সুশাসন করে, তেমনি ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গও তাদের উপনিবেশকে লালনপালনসহ সুশাসন নিশ্চিত করবে। এ অর্থে এটি একটি সুশাসন। যারা এ তত্ত্ব প্রবর্তন করেন তাদের মতে, “সমন্বয় নীতি ও পরোক্ষ নীতি শাসন পদ্ধতির কোনটাই আফ্রিকার জন্য প্রযোজ্য নয়। তাই এখানে অন্য ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে, যা হবে পিতৃতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।" পিতৃতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ ও উপনিবেশের জনগণ উভয় দেশের লোকজনেরই লাভ হতো। কারণ শাসনব্যবস্থা তেমনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ। তারা মূলত দুটি ক্ষেত্রে বেশি লাভবান হয়েছিল। যথা : ১. সুবিন্যস্ত ও অনুগত প্রশাসনিক যন্ত্র । ২. প্রশাসনিক ব্যয় হ্রাস । 
 ঘ. কোম্পানি শাসনব্যবস্থা : পৃথিবীতে যেখানেই ইউরোপীয় শক্তিবর্গ উপনিবেশ স্থাপন করেছে, সেখানেই প্রথমে কোম্পানি শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। বিশেষ করে ব্রিটিশ উপনিবেশে। কেননা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো প্রথমে আগমন করে এবং বিভিন্ন পন্থায় স্থানীয়দের কাছ থেকে রাজ্য দখল করে সেখানে ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপন করে। ফলে ব্রিটিশ সরকার কোম্পানির হাতেই প্রথম পর্যায়ে উপনিবেশের শাসনভার তুলে দেন। আফ্রিকার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটে নি। যেমন- নাইজেরিয়াতে ব্রিটিশ রয়েল নাইজার কোম্পানি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিটিশ সাউথ আফ্রিকান কোম্পানি ঔপনিবেশিক শাসনকর্তার ভূমিকায় ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। পরে অবশ্য পরোক্ষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। তাছাড়া প্রথম পর্যায়ে কোম্পানি শাসনব্যবস্থায় ব্রিটিশ সরকারের কোন রাজস্ব ব্যয় হতো না, বরঞ্চ রাজস্ব আয় হতো। ফলে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় কোম্পানি শাসনব্যবস্থা চালু করেছিল। উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে সেখানে কোন একক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারে নি। কারণ ইউরোপীয় কোন একক শক্তি আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করতে পারে নি। বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করায় সেখানে শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে বিভিন্নতা লক্ষ করা যায়। তবে যে প্রকারের শাসনব্যবস্থাই প্রবর্তন করুক না কেন সবার একই উদ্দেশ্য ছিল যে আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ হরণ করা। ফলে যে যার মত করে আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে সেখানে তাদের অর্থনৈতিক শোষণকে জোরদার করে। তাইতো আজও আফ্রিকা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে নি। 

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]