মানুষ কেন প্রতিরোধ করে- আলোচনা কর। আফ্রিকানদের প্রতিরোধের বিভিন্ন পর্যায় আলোচনা কর।

“ইন্টারডিসিপ্লিনারি' কী? এটা আফ্রিকান প্রতিরোধ আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যায় কা
যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে কর।
উত্তর ভূমিকা : উনিশ শতকের শেষ দিকে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে। আফ্রিকায় প্রথম ইউরোপীয় শক্তিবর্গ উপনিবেশ স্থাপন করে তখন আফ্রিকানরা সহযোগিতা করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা ইউরোপীয় বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। আফ্রিকানদের এ প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ঐতিহাসি সমাজবিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন জাগে কেন মানুষ প্রতিরোধ করে এবং এ নিয়ে শুরু হয় যুগ যুগ ধরে গবেষণা যা আজও চলছে
মানুষের প্রতিরোধের কারণ সম্পর্কে 'ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ : যুগে যুগে পৃথিবীর অসংখ্য অসংখ্যবার গণবিদ্রোহ ও গণপ্রতিরোধের জন্ম হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীতে উত্থানপতন ঘটেছে অসংখ্য স্বৈরা কিংবা উদার শাসকের। মানুষ গণবিদ্রোহ কিংবা গণপ্রতিরোধ করেছে স্বৈরশাসক, উদারশাসক, ঔপনিবেশিক শাসক
আফ্রিকানদের প্রতিরোধের বিভিন্ন পর্যায় আলোচনা কর।
অথবা, আফ্রিকানদের প্রতিরোধের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে আফ্রিকানরা যে প্রতিরোধ আন্দোলন
তোলে তার বিভিন্ন পর্যায় পর্যালোচনা কর।
অথবা, আফ্রিকানদের ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রকৃতি বা স্বরূপ বিশ্লেষণ কর অথবা, আফ্রিকানদের প্রতিরোধ আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে বিবরণ দাও। অথবা, ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে আফ্রিকানদের প্রতিরোধ আন্দোলনের পদ্ধতি বিশ্লেষণ কর। অথবা, আফ্রিকানরা কিভাবে ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলে? বিশ্লেষণ কর উত্তর ভূমিকা : ১৮৮০ এর দশকে স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় প্রবেশ করে এবং বা সম্মেলনের (১৮৮৪) পর আফ্রিকায় প্রবেশের পূর্ণ বৈধতা পায়। ফলে পরবর্তী ত্রিশ বছরের মধ্যে লাইবেরিয়া ও ইথিও বাদে সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ ইউরোপীয় শক্তিবর্গের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। আফ্রিকায় যখন প্রথম ইউরোপীয় শক্তিবর্গ প্র করে, তখন আফ্রিকানরা সহযোগিতা করে এবং আফ্রিকানদের সহযোগিতা নিয়েই ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রি উপনিবেশ স্থাপনের সুযোগ পায়। যদিও প্রথম পর্যায় আফ্রিকানরা সহযোগিতা করে কিন্তু পরবর্তীতে তারা ইউরোপীয় বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ।
আফ্রিকানদের প্রতিরোধের বিভিন্ন স্তর বা পর্যায় : আফ্রিকানরা প্রাথমিক পর্বে ইউরোপীয় সহযোগিতা করলেও পরবর্তীতে তারা প্রথমে বিচ্ছিন্ন এবং পরে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। আফ্রিকান এই প্রতিরোধ আন্দোলন মোট পাঁচটি স্তরে বা পর্যায় ভাগ করা হয়েছে । যথা :
১. দাস বিদ্রোহ ১৫০০–১৮৭০ সাল পর্যন্ত (Resistance up to 1870; Uprising of the slave)।
২. গোত্রীয় প্রতিরোধ ১৮৭০-১৯০০ সাল পর্যন্ত (Tribal resistance 1870-1900)।
৩. ঐক্যবদ্ধ গোত্রীয় প্রতিরোধ ১৯০০-১৯১৪ সাল পর্যন্ত (Organized tribal rebellion, 1900-1914)। ৪. স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাথমিক পর্যায় ১৯১৪-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত (Growth of liberation movement 191
1945) I
৫. স্বাধীনতার প্রস্তুতি পর্ব, ১৯৪৫ সাল পরবর্তী (Preparation for independance)।
নিম্নে এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো :
১. দাস প্রতিরোধ বা বিদ্রোহ (১৫০০-১৮৭০ সাল পর্যন্ত) : আফ্রিকায় ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গের বিরু প্রথম পর্যায়ে যে প্রতিরোধ আন্দোলন হয় তা ছিল মূলত দাস বিদ্রোহের পর্যায়। কারণ এ সময় দাস এ ইউরোপিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ অষ্টাদশ শতকে বাণিজ্যিক উদ্দে আসলেও তারা উনিশ শতকের সত্তর দশকে অর্থাৎ ১৮৭০ সালের মধ্যে উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে এবং এ সময় ১০ আফ্রিকীয় অঞ্চল ইউরোপীয়দের দখলে চলে যায়। এ ১০ ভাগ এলাকায় তারা ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে সেখ দাস ব্যবসায় শুরু করে। এক পর্যায় ইউরোপীয়রা নিজেদের স্বার্থে এ অঞ্চলে দুর্গ, কৃষি খামার ও পশু খামার তৈরি ব ব্যবসায় শুরু করে এবং এই কাজে নিয়োগ দেয়া হয় আফ্রিকার দাসদের। এ কাজগুলো অত্যন্ত কঠিন ছিল। ফলে দাম তা করতে অস্বীকার করে। কিন্তু ইউরোপীয়রা জোর করে তাদের কাজে বাধ্য করে। ফলে দাসদের সাথে শুরু হয় সং এবং এগুলো ছিল বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। যেমন- আফ্রিকার হটেনটস গোত্রের লোকেরা হল্যান্ডের কেপ অঞ্চলে নির্মাণ করতে অস্বীকার করে এবং অন্যান্য অঞ্চলেও দাসরা ইউরোপিয়ানদের খামারগুলোতে কাজ করতে অস্বীকার করে এ প্রসঙ্গে Joan G. Roland বলেছেন, "Upto 1870 it often took the form of uprisings of slave agai slavers." [Africa: The Heritage and the Challenge P-178 ]
২. গোত্রীয় প্রতিরোধ (১৮৭০-১৯০০ সাল পর্যন্ত) : ১৮৮৪ সালে অনুষ্ঠিত বার্লিন সম্মেলনের পর ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকা দখলের বৈধতা পায় এবং আফ্রিকা দ্রুত ইউরোপীয় শক্তিবর্গের দখলে চলে যায়। এ সময় আফ্রিকার শক্তির অঞ্চল ইউরোপীয়দের উপনিবেশবাদের শিকার হয় এবং এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ১৯০০ সালের মধ্যে এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে আফ্রিকানদের প্রতিরোধ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়। এ সময় দাস বিদ্রোহ থেকে গোত্রীয় বিদ্রোহে চলে। যায় অর্থাৎ এ সময় গোত্রীয়ভাবে প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু হয়। এ সময় আন্দোলনের তিনটি রূপ দেখা যায়। যথা :
i.
এ সময় আফ্রিকার বিভিন্ন গোত্র ইউরোপীয়দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। কারণ এ সময় আফ্রিকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিবর্গের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং এ সুযোগ গ্রহণ করে আফ্রিকার বিভিন্ন গোত্র।
ii. এ সময় আফ্রিকার বিভিন্ন গোত্র ইউরোপীয়দের অন্যায় দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। তবে এ আন্দোলন ছিল একক গোত্রীয় আন্দোলন। যেমন- ইতালির সৈন্যদলকে ইথিওপিয়ার গোত্রগুলো পরাজিত করে। ফলে ইথিওপিয়া ইউরোপীয়দের উপনিবেশবাদের শিকার হয় নি।
iii. এ প্রথম গোত্রীয় কাঠামোর বাইরে এসে আফ্রিকানরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে এবং এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে খ্রিস্টান মিশনারিরা। কারণ ইউরোপীয় খ্রিস্টান মিশনারিরা এ সময়ের মধ্যে প্রচুর আফ্রিকানদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে পারে। কিন্তু এই কৃষ্ণাঙ্গ খ্রিস্টানরা শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টানদের কাছ থেকে বৈষম্যমূলক আচরণ করে। ফলে তারা শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে এবং গোত্রীয় কাঠামোর বাইরে এসে ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে।
৩. ঐক্যবদ্ধ গোত্রীয় প্রতিরোধ (১৯০০-১৯১৪ সাল পর্যন্ত) : আফ্রিকানদের প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ গোত্রীয় প্রতিরোধের পর্যায় এবং এর সময়কাল ১৯০০-১৯১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে সমগ্র আফ্রিকা ইউরোপীয়দের দখলে চলে যায়। শুধু লাইবেরিয়া ও ইথিওপিয়া বাদে সমগ্র আফ্রিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপিত হয়। আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের পর ইউরোপীয়রা সেখানে দের শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে এবং শোষণ প্রক্রিয়া শুরু করে। ফলে আফ্রিকানরা সচেতন হয়ে উঠে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এ সময় তারা গোত্রীয় কাঠামোর বাইরে এসে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে। যেমন- মুক্তি-মুজি (কঙ্গো), হিরোরা (পশ্চিম আফ্রিকা), হটেনটস (দক্ষিণ আফ্রিকা) প্রভৃতি গোত্র ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করে।
৪. স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাথমিক পর্যায় (১৯১৪-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত) : আফ্রিকান প্রতিরোধ আন্দোলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান পর্যায় হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাথমিক পর্যায় (১৯১৪-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত)। এ সময়টা ছিল দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় এবং এ সময় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গের অত্যাচার, অনাচার ও নির্যাতনসহ শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে আফ্রিকান জনগণ সচেতন হয়ে উঠে এবং ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায় এ প্রতিরোধ আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। এ সময় বিশ্বে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আফ্রিকানদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছিল। যেমন-
i. ১৯১৭ সালে রুশ-বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত সমাজতান্ত্রিক সরকার আফ্রিকাসহ সমগ্র ঔপনিবেশিক রাজ্যের জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় প্রচার করা হয়, "Declaration to the colonial people of the world."
ii. আফ্রিকায় পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করার পর অনেক আফ্রিকান ছাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপে যায় এবং শিক্ষা শেষে তারা ইউরোপীয় দেশের উদারনৈতিক গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের ধারণা নিয়ে দেশে ফিরে। দেশে ফেরার পর তারা ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।
iii. এ সময় আফ্রিকার জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে অর্থাৎ সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় এবং এটি প্রকাশিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। এসব সংবাদপত্রে ইউরোপীয় শাসন শোষণের বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ হতে থাকে। ফলে আফ্রিকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
iv. এ সময় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যা আফ্রিকানদের স্বাধীনতা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। ৈ
হচ্ছে শ্রমিক সংগ্রাম ও ধর্মঘট। তাছাড়া শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শ্রমিক সংগঠন তৈরি করে এ সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ৫. স্বাধীনতার প্রস্তুতি পর্ব (১৯৪৫ সাল পরবর্তী) : আফ্রিকান প্রতিরোধ আন্দোলনের শেষ পর্যায় হচ্ছে ১৯৪৫ পরবর্তী পর্যায়। এ সময় আফ্রিকানরা স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। এ সময় আফ্রিকানরা তীব্র জাতীয়তাবা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঔপনিবেশিক ধরে রাখার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া ঔপনিবেশিক রাজ্য তখন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন উদীয়মান শক্তি এবং মার্কিন যুদ্ধরাষ্ট্র ছিল ঔপনিবেশিকবাদের বিরুদ্ধে। এসব কারণে ইউরোপ শক্তিবর্গ উপনিবেশ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে ড. নক্রুমার নেতৃত্বে ঘানায় স্বাধীনতা সংগ্রাম তীব্র আকার করলে ব্রিটিশ সরকার ১৯৫৭ সালে ঘানার স্বাধীনতা দেয়। ফলে ঘানা হয় প্রথম স্বাধীনপ্রাপ্ত আফ্রিকান দেশ। এর পূর্ব পর্যায় ১৯৬০ সালে ১৩টি দেশ স্বাধীন হয়। সুতরাং এ পর্যায় ছিল আফ্রিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইউরোপীয়দের উপনিবেশবাদকে এ আফ্রিকানরা সহযোগিতা করলেও পরবর্তীতে তারা সহযোগিতা না করে বরং প্রতিরোধ করেছে। আফ্রিকানদের এ প্রতিরে আন্দোলন প্রথমে দাসদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা দাসদের সীমানা পেরিয়ে ঐক্যবদ্ধ স্বাধীনতা আন্দোলনে নেয়। আফ্রিকানরা যে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তা পাঁচটি পর্যায় এসে শেষ হয় এবং শেষ পর্যায় ছিল দ্বিতীয় বিশ্বা পরবর্তী পর্যায় । এ সময় আফ্রিকা স্বাধীনতা পেতে থাকে এবং ১৯৬০ সালে এসে ১৩টি আফ্রিকান দেশ একযোগে স্বাধীনতা

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]