প্যান আফ্রিকানিজমের সংজ্ঞা দাও । প্যান আফ্রিকানিজমের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ভূমিকা : আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ চলতে থাকে। এ প্রেক্ষাপটে আফ্রো-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ ও আফ্রিকার জাতীয় নেতৃবৃন্দ মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে, যা প্যান আফ্রিকানিজম বা প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে পরিচিত।
প্যান আফ্রিকানিজম : প্যান আফ্রিকান আন্দোলন হচ্ছে সমগ্র আফ্রিকান ও আফ্রিকার বাইরে বিশেষ করে পশ্চিমাদেশে যেসব আফ্রিকানরা বসবাস করতো তাদের মিলিত আন্দোলন। মূলত এরা ছিল শিক্ষিত আফ্রিকান জনগোষ্ঠী যাদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান সহজ হয় এবং তাদের মধ্যে খুব সহজেই জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকশিত হয়। আফ্রো- আমেরিকান হচ্ছে মূলত দাস শ্রেণির বংশধর। অর্থাৎ যেসব আফ্রিকানসের দাস হিসেবে আমেরিকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল তারা অথবা তাদের বংশধরগণ পরবর্তীতে বিশেষকরে ১৮৬৫ সালের পর মুক্ত মাগরিকে পরিণত হয় এবং তারা অমেরিকার স্বাধীন নাগরিক শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরা পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত শ্রেণিতে পরিণত হয়। কিন্তু এয়া আমেরিকান হলেও এদের শিকড় ছিল আফ্রিকায় এবং এ শিকড়কে তারা ভুলতে পারে নি। তাই তারা ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের হাত থেকে আফ্রিকাকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর ছিল। তাছাড়া এসব আগ্রো-আমেরিকান পশ্চিমা বিশ্বে বর্ণবাদের শিকার হয়, যা উপ-উপনিবেশের শোষণ প্রক্রিয়ার শামিল। এর ফলে তাদের মনে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। তাই তারা আফ্রিকার জনগণের সাথে মিলিত হয়ে ঐঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে যা প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে পরিচিত।
প্যান আফ্রিকানিজ সম্পর্কে N. Sikhole মন্তব্য করেছেন যে, "এটা আফ্রিকান এবং আফ্রিকান জাতদের একটি সাধারণ পরিচয়, যাতে তারা বিশ্বের সকল বর্ণের লোকদের মতো সমান ব্যবহার বা অধিকার দাবি করেন।"
অন্যদিকে, কলিন লেগাম বলেছেন, "কারো মানুষেরা যে অন্যরকম সে ধারণার বিরুদ্ধে বিদ্রোহই হচ্ছে পান আফ্রিকানিজম। তাছাড়া এটা আদর্শ ও আবেগের আন্দোলন। এ আন্দোলন গড়ে উঠেছে একটি জটিল আটলান্টিক ত্রিভুজকে কেন্দ্র করে, যার একপাশে আফ্রো-আমেরিকান অন্য দু'পাশে ইউরোপ ও আফ্রিকা রয়েছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্যান আফ্রিকান আন্দোলন ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এবং এটা আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সহায়তা অংশ হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।

প্যান আফ্রিকানিজমের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।


উত্তর ভূমিকা : আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ চলতে থাকে। এ প্রেক্ষোপটে আফ্রো-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ ও আফ্রিকার জাতীয় নেতৃবৃন্দ মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে, যা প্যান আফ্রিকানিজম বা প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে পরিচিত।
প্যান আফ্রিকানিজমের বৈশিষ্ট্য : প্যান আফ্রিকানিজম আন্দোলন আফ্রিকা নিয়ে হলেও তা সংঘটিত হয় পশ্চিমা বিশ্বের দেশসমূহে। প্যান আফ্রিকানিজম বা প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের কতিপয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন-
১. এটি ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
এর বিষয়বস্তু আফ্রিকা কিন্তু সংঘটিত হয় বিদেশের মাটিতে।
৩. এটি আফ্রিকান জাতীয় ও আফ্রো-আমেরিকান নেতৃবৃন্দের মিলিত আন্দোলন।
এ আন্দোলন প্রথম রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৫. এ আন্দোলন অঞ্চলের সীমানা পার হয়ে মহাদেশে প্রবেশ করে অর্থাৎ এটি ছিল অঞ্চল ভিত্তিক নয় বরং মহাদেশ ভিত্তিক আন্দোলন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্যান আফ্রিকান আন্দোলনে শুধু আফ্রিকানরাই অংশগ্রহণ করে নি, বরং আফ্রো- আমেরিকান সম্প্রদায় অংশগ্রহণ করে এবং নেতৃত্ব তারাই দেয়। ফলে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছিল।
বাস্তাবায়িত হয় তাদের অনুষ্ঠিত কংগ্রেস দ্বারা।
।।এভাবে, নিয়ামক ছিল। এ প্যান আফ্রিকান আন্দোল

প্যান আফ্রিকানিজম বলতে কী বুঝায় ?


অথবা, প্যান আফ্রিকানিজম কাকে বলে?
উত্তরা৷ ভূমিকা : ইউরোপীয়দের করাল গ্রাস থেকে আফ্রিকা মহাদেশও রেহাই পায় নি। ইউরোপীয় শক্তির পৃথিবীর সর্বত্র উপনিবেশ স্থাপন করার পাশাপাশি আফ্রিকাতেও উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। উনিশ শতকের শেষ পর্যাে ইউরোপের শক্তিবর্গ আফ্রিকায় প্রবেশ করে এবং মাত্র তিন দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ আফ্রিকা দখল করে নেয়।
প্যান আফ্রিকানিজম : আফ্রিকার ইতিহাসে প্যান আফ্রিকানিজম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্নে এ সম্পে আলোচনা করা হলো :
প্যান আফ্রিকানিজম হলো মূলত একটি আন্দোলন। এ আন্দোলনে সমগ্র আফ্রিকান ও আফ্রিকার বাইরে বিশেষ কে পশ্চিমা দেশে যেসব আফ্রিকানরা বসবাস করতো তাদের মিলিত আন্দোলন। মূলত এরা ছিল শিক্ষিত আফ্রিকান জনগোষ্ঠ যাদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান সহজ হয় এবং তাদের মধ্যে খুব সহজেই জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকশিত হয়। আরে আমেরিকান হচ্ছে মূলত দাস শ্রেণির বংশধর। অর্থাৎ যেসব আফ্রিকানদের দাস হিসেবে আমেরিকায় বিক্রি করে দেন হয়েছিল । তারা অথবা তাদের বংশধরগণ পরবর্তীতে বিশেষ করে ১৮৬৫ সালের পর মুক্ত নাগরিকে পরিণত হয় এবং তার আমেরিকায় স্বাধীন নাগরিক শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরা পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষিত শ্রেণিতে পরিণত হয়। কি এরা আমেরিকান হলেও এদের শিকড় ছিল আফ্রিকায় এবং এ শিকড়কে তারা ভুলতে পারে নি। তাই তারা ঔপনিবেশি শাসন ও শোষণের হাত থেকে আফ্রিকাকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর ছিল। তাছাড়া এসব আফ্রো আমেরিকান পশ্চিমা বিে বর্ণবাদের শিকার হয় যা উপনিবেশবাদের শোষণ প্রক্রিয়ার সামিল। ফলে তাদের মনে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠী বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে। তাই তারা আফ্রিকার জনগণের সাথে মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শু করে যা প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে পরিচিত। এ আন্দোলনের ভিত্তি ছিল মর্যাদা, বর্ণ, সমতা ও স্বাধীনতার দাি আদায় । শেষ পর্যন্ত এ আন্দোলন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে পরিণত হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্যান আফ্রিকান আন্দোলন ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এ আফ্রিকানদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উদ্ভব ঘটিয়েছিল। এ থেকেই তারা স্বাধীনতা অন্দোলনের প্রেরণা পেতে থাকে একসময় তারা স্বাধীনও হয়েছিল ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]