আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ কী? আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশে মিশনারি শিক্ষা ও গোত্রতন্ত্রের ভূমিকা লিখ।

আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ কী? এই জাতীয়তাবাদ বিকাশে মিশনারী শিক্ষা ও গোত্রতল চেতনা কতটুকু অবদান রাখতে পেরেছিল বলে তুমি মনে কর?
উত্তরা ভূমিকা : জাতীয়তাবাদ একটি মানসিক ধারণা বা অনুভূতি, যা কোন নির্দিষ্ট জনসমষ্টিকে ঐক্যবন্ধ করে জাতীয় রাষ্ট্রগঠনের স্বপ্নে বিভোর করে তোলে। কিন্তু এ সূত্র আফ্রিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ আফ্রিকায় জাতীয়তাবাদী বিকশিত হয় ভিন্ন ধারায় এবং ভিন্নসূত্রে এবং সে সূত্র হচ্ছে উপনিবেশবাদ। অর্থাৎ ১৮৮০ এর দশকে আফ্রিকা ইউরোপীয় শক্তিবর্গের উপনিবেশবাদের শিকার হয় এবং আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় শাসন ও শোষণ শুরু করে এবং এক পর্যায় আফ্রিকানরা সচেতন হয়ে উঠে ঔপনিবেশিক শাসনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করে, যা তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয় এবং এটাই আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ নামে পরিচিত। এ আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের পশ্চাতে মিশনারি শিক্ষা ও গোত্রতন্ত্রের বেশ ভূমিকা ছিল।
আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ : জাতীয়তাবাদ কথাটির জন্ম ইউরোপে এবং তা ১৭৮৯ সালে সংঘটিত ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছে। পরবর্তীতে বিশ্বে সর্বত্র তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আধুনিক বিশ্বের প্রধান আদর্শ হচ্ছে এ জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদ হলো এমন একটি মানসিক ধারণা বা অনুভূতি, যা কোন নির্দিষ্ট জনসমষ্টিকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নে বিভোর করে তোলে। এ জাতীয়তাবাদ পৃথিবীর সর্বত্র প্রায় একই ধারায় বিকশিত হলেও আফ্রিকায় ভিন্ন ধারায় গড়ে উঠেছে। অবশ্য এর পশ্চাতে কতিপয় কারণও নিহিত ছিল। যাহোক, আফ্রিকায় যেভাবে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে, তা মূলত ব্যতিক্রমধর্মী জাতীয়তাবাদ । তাই একে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বলাই শ্রেয়।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন ঐতিহাসিক আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে তাদের কয়েকটি সংজ্ঞা প্রদান করা হলো :
“আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ হচ্ছে ইউরোপীয় শাসনের বিরুদ্ধে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এমন একটি রাজনৈতিক অনুভূতি।” - N. Sithole, African Nationalism ]
'African Nationalism is a consiousness of belonging to a common group in being or increation." [Dr. Coleman, the Politics of African Nationalism. P-6]
“আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ ছিল সমকালীন আফ্রিকার সর্বাপেক্ষা সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি।” [টম মোবোয়া]
“আমরা দেখেছি প্রায় সমগ্র আফ্রিকাই তীব্র জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় উদ্বেলিত হয়ে রয়েছে। সমগ্র আফ্রিকায় এ একটি মাত্র প্রবণতাই সর্বত্র নজরে পড়ে যে, অধিকাংশ আফ্রিকানই ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেতে, কিংবা অন্ততপক্ষে নির্যাতনমূলক ব্যবস্থাদির সংশোধন করতে চাইছে।” [জন গান্থার, আফ্রিকার অভ্যন্তরে p-574 অনুবাদ —চৌধুরী শামসুর রহমান] অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ঔপনিবেশিক
আফ্রিকা মহাদেশ প্রধানত গোত্র বিভাজিত সমাজব্যবস্থা এবং
জনসচেতনতার সৃষ্টি সম্ভব হয় নি, যা জাতীয়তাবাদ বিকাশের অন্যতম উপাদান।
জাতীয়তাবাদ বিকাশে বাধা। কিন্তু একথা একদল আফ্রিকান পণ্ডিত স্বীকার করতে নারাজ।
আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশে সহায়তা করেছে। তারা যুক্তি দেখান যে, যদিও বৃহত্তর ঐক্য সম্ভব হয় নি, কিন্তু গোত্ৰতন্ত্র
ঐক্য সাধনে সহায়তা করেছে, যা বৃহত্তর ঐক্য অর্জনের পথ সহজ করে দেয়। এ পণ্ডিত দলের মধ্যে প্রধান হলেন
রিচার্ড আর স্কালার। তিনি যুক্তি দেখান যে, আফ্রিকার জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে গোত্রতন্ত্র বৃহত্তর ঐক্য সাধন করতে না। পারলেও ক্ষুদ্র ঐক্যের মাধ্যমে বৃহত্তর ঐক্যের পথে অগ্রসর হয়েছিল। তিনি উদাহরণস্বরূপ নাইজেরিয়ার ইউরোবা গোত্রের কথা বলেছেন । এ গোত্রে কিছুসংখ্যক ছাত্র আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যায় এবং ১৯৪৪ সালে সেখানে তারা 'Pan Youruba Culture Society' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। ১৯৫১ সালে এর একটি শাখা 'Action Group ' নাইজেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সরকার গঠন করে। এভাবে নাইজেরিয়ার জাতীয়তাবাদ বিকাশে ইউরোবা গোত্র সাহায্য করে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয়তাবাদ থেকে ভিন্ন ধারায় যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে তা মূলত আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ নামে পরিচিত। এ জাতীয়তাবাদ বিকাশে মিশনারি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আফ্রিকানরা আধুনিক জগতে প্রবেশ করে এবং সেখানে তারা সচেতন হয়ে উঠে। এ সচেতনতা থেকে তাদের মধ্যে প্রতিবাদের জন্ম দেয় বা জাতীয়তাবাদ বিকাশে সহায়তা করে। তাই মিশনারি শিক্ষার গুরুত্বকে অস্বীকার করার উপায় নেই। গোত্রতন্ত্র জাতীয়তাবাদ বিকাশের পথে বাধা হলেও তা জাতীয়তাবাদ বিকাশের পথে সহায়তা করেছে বলে অনেক পণ্ডিত মনে করেন, বিশেষ করে ক্ষুদ্রতর ঐক্যের পথে গোত্রতন্ত্র ভূমিকা রেখেছে।

আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশে দুই মহাযুদ্ধের প্রভাব আলোচনা কর।
অথবা, আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশের ক্ষেত্রে দুই বিশ্বযুদ্ধ কতটা অবদান রাখতে
পেরেছিল বলে তুমি মনে কর?
অথবা, দুই বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব কিভাবে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদকে প্রভাবিত করেছিল? তোমার উত্তরের সপক্ষে মতামত দাও ।


উত্তর ভূমিকা : জাতীয়তাবাদ একটি মানসিক চেতনা বা অনুভূতি, যা রাজনৈতিক দিক হিসেবে বিবেচিত। জাতি থেকেই জাতীয়তাবাদের উদ্ভব। জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি জাতি হলো রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ একদল মানুষ, যাদের আছে রাজনৈতিক উৎসাহ উদ্দীপনা, যাদের একই রকম ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে, আছে ভিন্ন সাংস্কৃতিক যোগ এবং সাধারণত যারা একই ভৌগোলিক অখণ্ড অঞ্চলে বসবাস করে। এ অর্থে জাতীয়তাবাদ হচ্ছে একটি ঐক্যবদ্ধ মানুষের চেতনা যারা একটি জাতীয় রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখে। এ সম্পর্কে 'Essays on Nationalism' গ্রন্থে J. H. Hayes বলেছেন, "Nationalism consists of modern emotional fusion and exaggeration of two very pehnomena nationality and patriotism." পৃথিবীতে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে বিভন্ন দেশভিত্তিক ও অঞ্চলভিত্তিক। সেক্ষেত্রে আফ্রিকায় যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে তা মূলত আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ। এ আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশে দু' মহাযুদ্ধের গভীর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
আফ্রিকার জাতীয়তাবাদ বিকাশে দুই মহাযুদ্ধের প্রভাব : "The civils of war world assume specially fatal character if the natives were late to zake siglized power." (আমরা সাদারাই যদি মারামারি করি, তাহলে কালোরাও আমাদের উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে।) উক্তিটি করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর প্রিন্স অটোফন বিসমার্ক তাঁর সভাপতিত্বের ভাষণে ১৮৮৪ সালে বার্লিন সম্মেলনে। অর্থাৎ আফ্রিকার উপনিবেশ স্থাপনকে কেন্দ্র করে যখন ইউরোপীয় শক্তিবর্গের মধ্যে দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হতে রক্ষার জন্য বার্লিন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তখন বিসমার্ক উপর্যুক্ত উক্তি করেছিলেন। কারণ ইউরোপীয়রা ছিল শ্বেতাঙ্গ তথা সাদা বর্ণের আর আফ্রো-এশিয়ানরা কালো বর্ণের। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখে বিসমার্কের মনে ভয় লেগেছিল যে, শ্বেতাঙ্গদের মারামারির সুযোগে কালোরা হয়ত একদিন তাদের উপর চড়াও হবে এবং উপনিবেশগুলো স্বাধীন হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত বিসমার্কের ভয়ই সত্যি হলো। কারণ তার প্রমাণ দুটি বিশ্বযুদ্ধ বা মহাযুদ্ধ। এ মহাযুদ্ধের পরপরই উপনিবেশগুলোতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন জোরদার হয় এবং তারা তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয় । তাই আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশে দুই মহাযুদ্ধের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

প্রথম মহাযুদ্ধের প্রভাব : অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফার্দিনান্ডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ইউরোপে যে যুদ্ধ সংঘটিত হ প্রথম মহাযুদ্ধ। এটি শুরু হয় ১৯১৪ সালে যখন সর্বত্র উপনিবেশবাদ চলছিল। ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, রাশিয়া একপক্ষে এবং অন্যপক্ষে ছিল জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম। এরা সবাই তখন ঔপনিবেশিক শক্তি। তাই নিজস্বার্থেই ঔপনিবেশিক রাজ্য থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে তাদেরকে যুদ্ধে পাঠানো হয়। তেমনি আফ্রিকান উপনির থেকেও সৈন্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত আফ্রিকার সিয়েরালিওন, লাইবেরিয়া, ঘানা প্রভৃতি দেশ হতে সৈন্য সংগ্রহ ক হয় এবং এসব সৈন্যদের এশিয়ান ইউনিটে পাঠানো হয়। যুদ্ধের সময় এদের সাথে শ্বেতাঙ্গরা খুব ভালো ব্যবহার কর কিন্তু যুদ্ধ শেষে কিছু সৈন্যদের ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শহরে রাখা হয় এবং বাকি সৈন্যদের আফ্রিকায় পাঠানো ইউরোপে অবস্থানরত সৈন্যরা শ্বেতাঙ্গদের সংস্পর্শে আসে এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদি যুদ্ধ ফেরত সৈন্যদেরকে অবহেলা করা হয়। ফলে তাদের মনে ঘৃণা ও প্রতিশোধ পরায়ণতা কাজ করে এবং ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে, যা তাদের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব : জার্মান কর্তৃক পোল্যান্ড আক্রমণকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় এবং এ যুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ রূপ লাভ করে। এ বিশ্বযুদ্ধেও ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ তাদের ঔপনিবেশিক রাজ্য থেকে নৈ সংগ্রহ করে যুদ্ধে প্রেরণ করে। যুদ্ধ শেষে ঔপনিবেশিক সৈন্যদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। তাছাড়া এ যুদ্ধ শে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং উপনিবেশ ধরে রাখার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে এ সুযোগ গ্রহণ আফ্রিকা উপমহাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। এ সময় আফ্রিকান নেতারা ঔপনিবেশিক শা ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যা স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। এ সময় আফ্রিকান নেত ঔপনিবেশিক শাসকদের হয়ে আর যুদ্ধ করতে রাজি ছিল না। কারণ তারা বলল যে, "Don't us about Hitlar, we a not interested, we are only interested about the enemy on our shoulder now." এ বক্তব্য থেকেই য যায় যে, আফ্রিকানরা কিভাবে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
মূল্যায়ন : আফ্রিকান জাতীয়তাবাদের ইতিহাস একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। এ ইতিহাস সফল করা পিছনে যেসব উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তার মধ্যে দুটি উপাদান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ যুদ্ধের ইউরোপীয়রা আফ্রিকানদের সৈন্য হিসেবে ব্যবহার করে। এসব নিগ্রো সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে দেখলো যে, তাদের শ্বেতাঙ্গরা মারা যাচ্ছে। তাদের মনে এ ধারণা জন্মে যে, শ্বেতাঙ্গরা অজেয় নয়, তাদেরও পরাজয় আছে। এক্ষেত্রে আফ্রিকানরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে তাহলে অবশ্যই ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গকে পরাজিত করা যুদ্ধরত সৈন্যদের এ ধারণা হতেই তাদের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনার উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বয় চলাকালে ১৯৪১ সালে প্রণীত আটলান্টিক চার্টারের একটি সনদে বলা হয় যে, ঔপনিবেশিক রাজ্যের জনগণকে যুদ্ধে সমাপ্তিতে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার দেয়া হবে। কিন্তু যুদ্ধ শেষে তা বাস্তবায়ন করা না হলে আফ্রিকান জনগণ বিদ্রোহী হয়ে এবং তারা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে তাদের স্বাধীনতা আসে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পৃথিবীতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠে তা থেকে আফ্রিকায় ভিন্ন ধারায় জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, যা আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ নামে খ্যাত। এ আফ্রিক জাতীয়তাবাদ বিকাশে দুই মহাযুদ্ধের প্রভাব বিশেষভাবে পরিলক্ষিত। প্রথম মহাযুদ্ধের পর আফ্রিকানদের যা জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে তা বিকশিত হতে থাকে এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষে তা চূড়ান্ত আকার ধারণা আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ সফল হয় অর্থাৎ এর মাধ্যমে আফ্রিকার স্বাধীনতা আসে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]