'ফিরে চলো আফ্রিকা' সম্পর্কে লিখ। মাকার্স গার্ডের ‘আফ্রিকানদের জন্য আফ্রিকা' সম্পর্কে যা জান লিখ।

উত্তর ভূমিকা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে আফ্রিকায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে এবং অবশে তা স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯৬০ এর দশকে আফ্রিকান দেশগুলো স্বাধীনতা অর্জন করে। আফ্রিকান জাতীয়তাবা আন্দোলনে যেসব উপাদান বিশেষভাবে সহায়তা করেছে তার মধ্যে 'ফিরে চলো আফ্রিকা' সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং এ চলো আফ্রিকা'র প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন মার্কাস গার্ভে। মাকার্স গার্ডের এ আন্দোলন ব্যাপক সাড়া জাগায় এবং তিনি সফলতা পর কারণ তাঁর প্রচেষ্টায় আফ্রিকার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সফল হয়। তাইতো ঘানার সাংবাদিকগণ লিখেছেন, “প্যান আফ্রিকা কংগ্রেসের বদলে মার্কাস গার্ভের আন্দোলন আফ্রিকার জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।”
এর দশকে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করলেও বহু পূর্ব থেকে করতো, বিশেষকরে দাস ব্যবসায় করতো এবং ঔপনিবেশিক শাসন াবে চলতে থাকে। এ দাসদেরকে আমেরিকায় বিক্রি করে দেয়া হতো এবং তার সবাস করতে থাকে। পরবর্তীতে এ দাস শ্রেণি বা তাদের বংশধরগণ আমেরিকার করে শিক্ষিত শ্রেণিতে পরিণত হয়। কিন্তু এখানে তারা বর্ণবাদের শিকার হন। অন্যদিয়ে শোষণ চলতে থাকে। এ প্রেক্ষাপটে আফ্রো-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ ও আফ্রিকার জাতীয় ন গড়ে তোলে, যা প্যান আফ্রিকানিজম বা প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে পরিচিত। এ তা সংঘটিত হয় পশ্চিমা বিশ্বের দেশসমূহে। তাই এ আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম নর পটভূমি বা প্রেক্ষাপট : আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ আন্দোলনের সময়ে যে পান তার পশ্চাতে কতিপয় কারণ নিহিত ছিল, যা তার প্রেক্ষাপট বা পটভূমি হিসেবে কাজ াচনা করা হলো :
চানদের অভিজ্ঞতা : আফ্রিকায় পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তন করা হলে বহু আফ্রিকান পাশ্চাত ক্ষার জন্য ইউরোপ ও আমেরিকায় যান। কিন্তু তারা এখানে এসে বর্ণবাদের শিকার হন ক্তবর্গের শাসন ও শোষণ সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় এবং এ অভিজ্ঞতা থেকেই তাদের ঘটে। তবে এটা ছিল প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ। তাছাড়া এ হয় যে, এর মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব আফ্রিকার মূল শিকড় বিচ্ছিন্ন করতে চায়। এ সম্পর্কে াধ্যমে ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কবি ক্লান্ড ম্যাকি। তিনি তাঁর
Something in me is lost,
Forever lost
Some vital thing has,
Some out of my heart.
কবিতার চরণে দেখা যাচ্ছে যে, কালোদের শিকড় হারানোর আকুতি যা তাদের মধ্যে বর্ণবৈষম্যের শিকড় দ্বারা সংঘটিত হয়েছে এবং তা আবার ফিরে পেতে আগ্রহী।
3. ব্লোকনেস বা কৃষ্ণবর্ণ : Blackness এসেছে ইংরেজি ভাষা থেকে যার বাংলা শব্দ কালোত্ব বা কৃষ্ণবর্ণ। আফ্রিকান জনগণ ছিল কালো এবং তারা সাধারণত দাস হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকায় বিক্রি হতো। এসব কালো আফ্রিকানরা শ্বেতাঙ্গ সমাজে ঘৃণার ও অবহেলার পাত্র ছিল। কারণ ইউরোপ ও আমেরিকার জনগণ ছিল সাদা চামড়ার বা বর্ণের অর্থাৎ তাদের গায়ের রং সাদা ছিল। এ সাদা রং নিয়ে তারা সর্বদা গর্ববোধ করত এবং কালোদের অবহেলা ও ঘৃণা করে তাদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন করতো। এর ফলে কালোরা সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত থাকত এবং এক ধরনের হীনম্মন্যতা তাদের মধ্যে কাজ করতো। অবস্থার প্রেক্ষাপটে তারা এক সময় সচেতন হয়ে উঠে এবং তারাও কালো বর্ণ নিয়ে গর্ববোধ করতে শুরু করে। কারণ অত্যাচারিতরা অত্যাচার সহ্য করতে করতে এক সময় হয়ে উঠে নির্মম অত্যাচারী। আফ্রিকার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে এবং তারাও এক সময় আবেগময় যুক্তি দাঁড় করায় যে, সাদার সমান্তরালে কালোও একটি বর্ণ। তারা বলতে থাকে, “সাদারা যদি তাদের সাদা রং নিয়ে গর্ববোধ করতে পারে তাহলে আমরা কেন আমাদের কালো রং নিয়ে। গর্ববোধ করতে পারব না।” এ সম্পর্কে কবি R. A. Armattoe লিখেছেন যে,
"Our God is black,
Black is eternal blackness."
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, এক সময় কালোরা তাদের কালো রং নিয়ে গর্ববোধ করতে শুরু করে এবং এ চেতনা থেকেই প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের উদ্ভব।
৩. ব্যক্তিত্ব ও নিগ্রোত্ব : ব্যক্তিত্ব ও নিগ্রোত্ব বলতে বুঝায় আফ্রিকানদের মধ্যে কালো নিয়ে যে গর্ববোধের জন্ম হয়, সে গর্ববোধ থেকে তাদের মধ্যে মর্যাদাবোধেরও সৃষ্টি হয়। এটিই Personality and Negritude নামে খ্যাত। এর প্রবক্তা ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কবি এ্যামি সিজারে এবং এটি প্রথম উত্থাপন করা হয় ১৯৫৬ সালের প্যারিস সম্মেলনে, যেখানে নিগ্রো লেখক ও সাহিত্যিকদের সভা আহ্বান করা হয়েছিল। এ নিগ্রোত্ব হচ্ছে আফ্রিকানদের মধ্যে সংহতি গড়ে তোলার ভিত্তি। এ সম্পর্কে জ্যা পল সার্ত্রে মন্তব্য করেছেন যে, “নিগ্রোত্ব হলো আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কৃষ্ণ আত্মার আত্মপ্রকাশের একটি চেতনা।
৪. আফ্রো-আমেরিকান নেতৃত্বের উদ্ভব : প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করেছেন আফ্রো-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ। এ আফ্রো-আমেরিকান হচ্ছে আমেরিকায় বসবাসরত দাস শ্রেণির বংশধর। অর্থাৎ যেসব আফ্রিকানদের দাস হিসেবে আমেরিকায় বিক্রি করা হয়েছিল তারা কিংবা তাদের বংশধর পরবর্তীতে দাসত্ব প্রথা হতে মুক্তি পেয়েছিল ১৮৬৫ সালের পর থেকে। এরা পাশ্চাত্য শিক্ষাগ্রহণ করে আফ্রিকায় ফিরে এসে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জজ প্যাডমোর, ডুবয়, মার্কাস গার্ভে, সিলভেস্টার প্রমুখ। এরা কয়েকটি সংগঠন তৈরি করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যান। যেমন- First American Negro Academy (1897), National Association for the Advancement of the Colonial People (1906), Negro Society for Historical Research (1911) ইত্যাদি।
৫. ব্যাক টু আফ্রিকান মুভমেন্ট : আফ্রিকা থেকে যেসব লোকদের ধরে নিয়ে আমেরিকায় দাস হিসেবে বিক্রি করা হয় তারা ১৮৬৫ সালের পর মুক্তি পায় এবং সাধারণ নাগরিকের মর্যাদা পায়। কিন্তু শ্বেতাঙ্গ সমাজে তারা কোন নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে নি। তাদেরকে সবসময় ঘৃণা করা হতো এবং নীচ বলে মনে করা হতো। এর ফলে আফ্রিকানদের মধ্যে হীনম্মন্যতা কাজ করে এবং তারা তাদের পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান আফ্রিকায় ফিরে আসার জন্য উৎসাহী হয়ে পড়ে। কারণ এদের প্রচুর মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এরা তার মূল্যায়ন পেত না। ফলে তারা আফ্রিকায় ফিরে যাবার জন্য পরিকল্পনা করে এবং এটাই Back to African Movement বা ফিরে চলো আফ্রিকা আন্দোলন নামে পরিচিত
। এর প্রবক্তা ছিলেন মার্কাস গার্ভে। এ সম্পর্কে মার্কাস গার্ভে বক্তব্য রাখেন যে, “একজন কৃষ্ণাঙ্গ যত মেধাসম্পন্ন হোক না কেন শ্বেতাঙ্গ সমাজে তার মেধার মূল্যায়ন হবে না। কালোরা যদি আফ্রিকায় ফিরে যায় তাহলে তারা তাদের মর্যাদা ফিরে পাবে ।” তার এ আন্দোলন সফল হয় এবং এ সম্পর্কে ঘানার সাংবাদিকগণ বলেছেন যে, মার্কাস গার্ভের Back to African Movement প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের ক্ষেত্রে বেশি প্রাসঙ্গিক।
৬. মার্কসবাদ : মার্কসবাদ হচ্ছে সমাজতন্ত্র এবং এ সমাজতন্ত্র ইউরোপের দেশ রাশিয়ায় উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছে। পরে রাশিয়া সমগ্র বিশ্বে তা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে এবং প্রায় সফলও হয়। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ সরকার ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে কথা বলে তা বিলোপের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানায়। আফ্রিকান অনেক ছাত্র রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যায় এবং তারা সমাজতন্ত্রের ধারণা নিয়ে আফ্রিকায় ফিরে এসে উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যা প্যান আফ্রিকান আন্দোলনে সহায়তা করে ।
৭. আরব বিশ্ব : আরব বিশ্ব বলতে বুঝায় আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমির উপরের অংশের রাষ্ট্রসমূহ নিয়ে গঠিত এলাকাকে। এ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে মিশর, আলজেরিয়া, লিবিয়া, তিউনিশিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশ। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, এসব দেশ বর্ণবাদের শিকার না হয়েও প্যান আফ্রিকান আন্দোলনে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, মিশরের সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদ আলী 'African Times' এবং 'Orient Review' নামক দুটি পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে প্যান আফ্রিকান আন্দোলনে সহায়তা করেছে।
৮. ঘানার মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব ও বিকাশ : প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের পিছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পটভূমি ছিল ঘানার মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব ও বিকাশ। যে কোন দেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সহ গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনগুলোর পিছনে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিশেষ অবদান থাকে। কারণ তাদের নেতৃত্বেই আন্দোলন সফল হয়। তেমনি ঘানার মধ্যবিত্ত শ্রেণির সকল নেতৃত্বে প্যান আফ্রিকান আন্দোলন সফল হয়। ঘানায় ব্রিটিশ শাসন প্রচলিত ছিল। ঘানার ত্রিশটি ঔপনিবেশিক সরকার, নিজেদের প্রয়োজনেই এখানে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তন করে এবং পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ঘানা অধিবাসীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেয়। ফলে ঘানার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণ সম্পর্কে অবহিত হয় এবং তারা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। তাছাড়া আমেরিকায় বসবাস করতো ঘানা বাসীরাও আন্দোলন শুরু করে যার নেতৃত্ব দেন ড. নক্রুমা। এদের আন্দোলনই প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে খ্যাত ৷
৯. আমেরিকার দাসপ্রথা বিলুপ্তি : দাসত্ব প্রথার উদ্ভাবক ইউরোপীয়রা হলেও এ প্রথার অবসান করে ইউরোপীয়রাই। তবে প্যান আফ্রিকান আন্দোলনের পশ্চাতে আমেরিকার দাসত্ব প্রথা বিলুপ্তির বিশেষ ভূমিকা ছিল। কারণ যাদেরকে আফ্রিকা থেকে ধরে নিয়ে আমেরিকার দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল; তারা ১৮৬৫ সালের দাসপ্রথা বিলুপ্তি আইনে মুক্ত মানুষে পরিণত হয়। ফলে তারা আমেরিকার নাগরিকের মর্যাদা লাভ করে এবং এরাই আফ্রো আমেরিকান নামে পরিচিত। এ আফ্রো-আমেরিকানগণ আফ্রিকার উপনিবেশবাদের অবসানের জন্য বিদেশের মাটিতে যে আন্দোলন করে তাই প্যান আফ্রিকান আন্দোলন নামে খ্যাত।
মূল্যায়ন : প্যান আফ্রিকান আন্দোলন ছিল আফ্রো-আমেরিকান ও স্থানীয় আফ্রিকানদের নিয়ে গড়ে উঠা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এ আন্দোলনের উদ্ভব হয় বর্ণবাদের শিকার থেকে এবং ঔপনিবেশিক শোষণ প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে। আফ্রিকানরা মানুষ হয়েও শুধু কালো বর্ণের হওয়ার কারণে দাস হিসেবে আমেরিকায় বিক্রি হতো এবং তারা অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতো। বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তারা মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা পেলেও শ্বেতাঙ্গ সমাজ তাদের গ্রহণ করে নি, বরং তাদেরকে কালো বলে গালি দিত এবং নীচ মনে করে ঘৃণা করতো। এ বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়ে এক সময় আফ্রিকানরা সচেতন হয়ে উঠে এবং তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য প্যান আফ্রিকান আন্দোলন গড়ে তোলে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, প্যান আফ্রিকান আন্দোলন ছিল একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন এবং এটা আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সহায়ক অংশ হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল। কারণ এ আন্দোলনে শুধু আফ্রিকানরাই অংশগ্রহণ করে নি, বরং আফ্রো-আমেরিকান সম্প্রদায় অংশগ্রহণ করে এবং নেতৃত্ব তারাই দেয়। ফলে আফ্রিকান জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছিল। তবে এ আন্দোলনের ভিত্তি রচিত হয়েছিল বর্ণবাদের শিকড় হতে এবং শেষ পর্যন্ত বর্ণবাদের অবসান ঘটিয়ে আফ্রিকানরা তাদের স্বাধীনতা অর্জন করে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]