আফ্রিকায় সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ সম্পর্কিত তত্ত্ব

আফ্রিকায় সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ সম্পর্কিত তত্ত্ব : আফ্রিকায় স্বাধীনতার পর ঘন ঘন সামরিক নিয়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক, পণ্ডিত, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও গবেষকবৃন্দ দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছেন। তাদের গবেষণার ফলে বেশকিছু অভ্যুত্থান ঘটে এবং পৃথিবীর অন্য কোন মহাদেশে এত সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে নি। তাই আফ্রিকার সামরিক অভ্যূত্থান তত্ত্ব বেরিয়ে এসেছে । নিম্নে আফ্রিকার সামরিক শাসন ও তার কারণ সম্পর্কে কতিপয় তত্ত্ব আলোচনা করা হলো :
আসেন মার্কিন অধ্যাপক রড-ই ওয়েলচ। তিনি এ গবেষণা কার্য পরিচালনা করেন সরকারি সহায়তায়। তিনি তাঁর কড-ই ওয়েলচের তত্ত্ব : স্বাধীনতার পর আফ্রিকার সামরিক শাসন ও তার কারণ নিয়ে গবেষণার জন্য প্রথমে এগিয়ে গবেষণার ফলাফল নিয়ে ১৯৬৭ সালে একটি প্রবন্ধ রচনা করেন এবং এ গবেষণাপত্রের নাম দেন "Journal of Moder African Studies." অবশ্য এ প্রবন্ধটি 'Soldier and State in Africa' নামে পরিচিত। ক্লড-ই ওয়েলচ তাঁর
গবেষণালব্ধ প্রবন্ধে আফ্রিকার সামরিক শাসনের পিছনে আটটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এ আটটি কারণ হচ্ছে ?
১. সরকারের ক্রমহ্রাসমান রাজনৈতিক বৈধতা ।
২. ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।

সামরিক বাহিনী যদি নিশ্চিত হয় যে, ক্ষমতা দখল পরবর্তী সময় ক্ষমতাচ্যুত সরকারকে সাহায্য করার মতো বা সামরিক বাহিনীকে প্রতিহত করার মতো কোন বৈদেশিক শক্তির সাথে সে রাষ্ট্রের যোগাযোগ নেই। তাহলে তারা ক্ষমতা দখলে উৎসাহিত হয়।
৪. একটি দেশের সামরিক অভ্যুত্থান অন্য একটি দেশের সামরিক অভ্যুত্থানকে ডেকে আনে।
৫. আফ্রিকান দেশসমূহের সামাজিক অস্থিতিশীলতা।
৬. যে কোন দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা।
৭. প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অদক্ষতা।
৮. সেনাবাহিনীর শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব ।
অধ্যাপক ডুবয় : আফ্রিকার সামরিক শাসন ও তার কারণ সম্পর্কে গবেষণা করেছেন আফ্রো-আমেরিকান পণ্ডিত অধ্যাপক ডুবয়। তিনি আফ্রিকার সামরিক শাসনের কারণ সম্পর্কে ব্লড-ই ওয়েলচ এর তত্ত্বকে স্বীকার করেছেন এবং ওয়েলচ এর আটটি কারণের সাথে তিনি আরও দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন । যথা :
১. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনাত ।
২. সেনাবাহিনীর উ. প্রাতিষ্ঠানিক আঘাত ।
আলী-এ-মাজরুই এর তত্ত্ব : যেসব গবেষক আফ্রিকার সামরিক শাসন সম্পর্কে গবেষণা করে আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ চিহ্নিত করেছেন তাদের মধ্যে আলী-এ-মাজরুই অন্যতম। তিনি কেনিয়ার অধিবাসী ছিলেন। তিনি আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এর চারটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। যথা :
১. আফ্রিকা সহ তৃতীয় বিশ্বের সবকয়টি দেশে, ঔপনিবেশিক শাসনামল থেকেই উৎপাদনমুখী কৃষি ও শিল্পখাত অপেক্ষা ধ্বংসের প্রযুক্তি অর্থাৎ মারণাস্ত্রের বিস্তার ঘটেছে উত্তরোত্তর। ফলে সেনাবাহিনীর একটি প্রভাব সর্বর সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আফ্রিকাতে অহরহ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে।
২. রাষ্ট্র পরিচালনায় যতগুলো সংগঠন রয়েছে তাদের মধ্যে সেনাবাহিনীই সবচেয়ে শক্তিশালী। এখানে তিনি যুক্তি দেখান যে, অধিক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার অধিকারী। সেনাবাহিনী অস্ত্রের বলে বলীয়ান এবং কোন না কোন সময় সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
৩. বর্তমানে আফ্রিকার দেশগুলোর সেনাবাহিনীকে ছোটখাটো সীমান্ত সংঘর্ষ ছাড়া তেমন কোন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয় না। ফলে তাদের পেশাদারি মনোভাব হারিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার অভিলাষী হয়ে উঠে। ৪. দৈনন্দিন প্রশিক্ষণ ছাড়া সেনাবাহিনীর যখন আর কিছুই করার থাকে না, তখন একঘেয়েমিপূর্ণ ব্যারাক জীবন কাটিয়ে উঠার জন্য অনেক সময় সামরিক কর্মকর্তারা ষড়যন্ত্রমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় এবং অন্য কোথাও বীরত্ব দেখানোর সুযোগ না থাকায় নিজ দেশের জনগণকে দখল করে বসে থাকে।
উইলিয়াম গাটারিজের তত্ত্ব : আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ সম্পর্কে আরেকজন ঐতিহাসিক গবেষণা করেছেন যার নাম উইলিয়াম গাটারিজ। গাটারিজ 'Military Regimes in Africa' নামক গ্রন্থে তাঁর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি আফ্রিকার ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। যথা :
১. দুর্বল ও অপরিমিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া
২. দুর্বল জাতীয় সংহতি ও
৩. অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনা।
গাটারিজ তাঁর তত্ত্বে বলেন যে,
তিনটি কারণে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সেনাবাহিনীর অভিলাষ
মিলে যায় এবং তখনই সেনাবাহিনী সুযোগ বুঝে ক্ষমতা দখল করে নেয়।
অধ্যাপক জনসনের তত্ত্ব : আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে অধ্যাপক জনসন গবেষণা করেছেন এবং তিনি তা
The Role of Military in Underdevelopment Countries' নামক 4ন্থে প্রকাশ করেছেন। তিনি চারটি কারণকে
আফ্রিকার সামরিক শাসনের জন্য দায়ী করেছেন। যথা
১. হিংসাত্মক কার্যকলাপের উপর সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
২. সামরিক বাহিনীর সুসংঘবদ্ধতা।

অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাথে পরিচিত ।
৪. ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি হতে তারা মনে করে দেশের উপর তাদের প্রাধান্য আছে। তাই তারা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে।
মার্কসবাদী তত্ত্ব : মার্কসবাদী লেখক, পণ্ডিত ও গবেষকবৃন্দ আফ্রিকার সামরিক শাসন ও তার কারণ সম্পর্কে
গবেষণা করে ভিন্ন ধারায় ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের মতে, যখন পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোকে আর স্বাভাবিক প্রশাসন যন্ত্ৰ নিয়ে টিকিয়ে রাখা যায় না, তখন বিশ্ব পুঁজিবাদ ও তার দেশীয় এজেন্টদের স্বার্থে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে থাকে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে আফ্রিকানরা স্বাধীনতা পেলেও তারা আবার সামরিক শাসন নামক পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়। এ সামরিক শাসনের কারণ নিয়ে অনেক পণ্ডিত ও গবেষক দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে যে কারণ চিহ্নিত করেছেন তা মোটামুটিভাবে যুক্তিসঙ্গত। তাইতো Moris Junowit বলেছেন যে, আফ্রিকান দেশসমূহে সামরিক শাসন জারি হলেও সেখানে কখনো স্থিতিশীলতা ফিরে আসে না, বরং অস্থিতিশীলতা লেগে থাকে ।

সামরিক শাসন সম্পর্কে আলী এ মাজরুই ও উইলিয়াম পাটারিজের তত্ত্ব আলোচনা কর।


অথবা, আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের পশ্চাতে আলী এ মাজরুই ও উইলিয়াম পার্টারিজ কী কী কারণ চিহ্নিত করেছেন? উল্লেখ কর।
অথবা, আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ গবেষণায় উইলিয়াম গাটারিজ ও আলী এ মাজরুই এর অবদান তুলে ধর ।
উত্তর ভূমিকা : অসামরিক সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে সংগঠিত ও পরিচালিত একটি রাজনীতি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামরিক বাহিনী সমাজে পরিচিত। সামরিক বাহিনীর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব সম্পাদন করা ও বিশেষ প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ বাহিনীকে সাহায্য করা। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশেরও অধিক রাষ্ট্রের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী নানাভাবে জড়িয়ে পড়েছে। তবে এটিকে কেবল তৃতীয় বিশ্বের একক কোন বিষয় বলা চলে না। কেননা উন্নত, অনুন্নত, গণতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক, পুঁজিবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, বৈধ, অবৈধ নির্বিশেষে সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যবস্থাতেই সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ হস্ত ক্ষেপ বা শাসন পরিলক্ষিত হয়।
আলী এ মাজরুই তত্ত্ব : পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের সাথে আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের তেমন মিল নেই। তবে যেসব গবেষক আফ্রিকায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার কারণ বর্ণনা করেছেন, তাদের মধ্যে আলী এ মাজরুই অন্যতম । তিনি কেনিয়ার অধিবাসী ছিলেন। তিনি আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনাগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এর ৪টি কারণ নির্দেশ করেন। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. সামরিক বাহিনীকে সংগঠিত ও উন্নত করার মানসিকতা : “আফ্রিকাসহ তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎপাদনের প্রযুক্তি অপেক্ষা ধ্বংসের প্রযুক্তি শক্তিশালী” এ অভিমতটি মাজারুই এর। আফ্রিকান দেশগুলো মূলত কৃষিপ্রধান। কিন্তু এখানে কৃষি প্রযুক্তির উন্নতি তেমন হয় নি। অথচ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বেড়েছে উত্তরোত্তর। এমনও দেখা গেছে যে, দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশ কিন্তু অস্ত্র কেনা অব্যাহত রেখেছে। সে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসার সঠিক যোগান না থাকলেও সে দেশে সামরিক বাহিনীকে সুসংগঠিত করা হয়। সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করা হয়। মাজরুই এর মতে, সেনাবাহিনী যদি অন্যান্য খাত থেকে বেশি শক্তিশালী হয় তাহলে সময়ের প্রেক্ষিতে সে তার প্রভাব বিস্তার করে। আর এ অবস্থা হতে পরিত্রাণ পেতে হলে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন।
২. অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অপেক্ষা কাঠামো ও কর্মকাণ্ডে শক্তিশালী : রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে উঠে। কাঠামো ও কর্মকাণ্ডে বেসামরিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সামরিক বাহিনীর তুলনায় দুর্বল। এছাড়া রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নিয়োজিত অন্যান্য সংগঠন; যেমন- পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনীসমূহ সেনাবাহিনীর তুলনায় দুর্বল। কারণ সেনাবাহিনীতে কোন গণতন্ত্র নেই। এদের মধ্যে একটি Chain of command আছে। জুনিয়র অফিসার সিনিয়র অফিসারের আদেশ মানতে বাধ্য থাকে। সেনাবাহিনী যেহেতু অস্ত্রের বলে বলীয়ান, তাই সে সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করার
প্রয়াস পায়। মাজরুই যুক্তি দেখান যে, অধিক শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার অধিকারী
যদি সঠিকভাবে পালন করা হয় তাহলে তাকে পেশাদারিত্ব বলা হয়। কিন্তু আফ্রিকান সেনাবাহিনীর মধ্যে পেশাগত ৩. নিচুমানের পেশাদারিত্ব : পেশাদারিত্ব হলো প্রত্যেক পেশার কতকগুলো দায়িত্ব ও কর্তব্য। নির্দিষ্ট পেশার দায়িত্ব মানসিকতার অভাব বিদ্যমান। তারা দেশরক্ষার চেয়ে দেশের ক্ষমতা দখলের দিকেই অধিক মনযোগী থাকে। কারণ আফ্রিকার দেশসমূহে সীমান্ত সমস্যা ব্যতীত বহিঃশত্রুর আক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে। ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের
চিন্তাচেতনা গড়ে উঠে। বিশেষত রাজনৈতিক যা তাদের ক্ষমতার অভিলাষী করে তোলে।
৪. একঘেয়েমিপূর্ণ কাজ থেকে মুক্তি : মাজরুই বলেছেন, ব্যারাকে বসবাসরত সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরনের ” একঘেয়েমি এসে যায়। উপনিবেশ আমল থেকে সেনাবাহিনীকে যেভাবে গড়ে তোলা হয় তাদের জীবনের অধিকাংশ সময় সেনা ছাউনিতে থাকতে হয়। এখানে দৈনন্দিন প্রশিক্ষণ ছাড়া অন্য কোন কাজ থাকে না। ফলে তাদের মধ্যে একঘেয়েমি চলে আসে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য তাদের মধ্যে কিছু করার স্পৃহা জেগে উঠে। তাই রাজনীতিকে তারা তাদের কর্মক্ষেত্র হিসেবে গ্রহণ করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার সুযোগে তারা দেশ, জনগণ ইত্যাদি রক্ষার অজুহাতে ক্ষমতায় আসে।
উইলিয়াম গাটারিজের তত্ত্ব : আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণ সম্পর্কে আরেকজন ঐতিহাসিক গবেষণা করেছেন, যার নাম উইলিয়াম গাটারিজ। গাটারিজ 'Military Regimes in Africa' নামক গ্রন্থে তাঁর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি আফ্রিকার ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। যথা :
১. দুর্বল ও অপরিচিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া।
২. দুর্বল জাতীয় সংহতি এবং
৩. অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন ও অব্যবস্থাপনা।
গাটারিজ তাঁর তত্ত্বে বলেছেন যে, উক্ত তিনটি কারণে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে উচ্চাকাঙ্ক্ষী সেনাবাহিনী সুযোগ বুঝে ক্ষমতা দখল করে নেয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে আফ্রিকানরা স্বাধীনতা পেলেও তারা আবার সামরিক শাসন নামক পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়। এ সামরিক শাসনের কারণ নিয়ে অনেক পণ্ডিত ও গবেষক দীর্ঘ গবেষণার পর যেসব তত্ত্ব দিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে আলী এ মাজরুই ও উইলিয়াম গাটারিজের তত্ত্ব বেশ যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবসম্মত। তাই আফ্রিকার সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে উক্ত কারণগুলো পরিলক্ষিত হয়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]