মধ্যযুগের বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি


ক. সামাজিক অবস্থা
তের থেকে আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ তুর্কি, স্বাধীন সুলতানি, মুঘল সুবাদারি ও নবাবি শাসনের
অধীন ছিল। বাংলা ভুখন্ডে দীর্ঘ এই সময়ে সামন্ত কৃষি অর্থনীতিই প্রধান ছিল। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কুটিরশিল্পও ধীরে ধীরে
বিকাশ লাভ করেছিল। রাষ্ট্র ও অর্থনীতির প্রভাবে মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতি নির্মিত হয়েছিল।
বাংলার মধ্যযুগের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে বহির্দেশ থেকে আগত মুসলিম প্রভাব শুধুমাত্র শাসন ক্ষেত্রেই
নয় সমাজজীবনেও স্থায়ী আসন লাভ করেছিল। হিন্দু ধর্ম বাংলাদেশের সমাজে যতখানি শক্ত ভিত্তি পেতে সমর্থ হয়েছিল
বৌদ্ধ ধর্ম ততখানি ধরে রাখতে পারেনি। বহিরাগত মুসলিম রাজ শাসন বাংলার সমাজজীবনের সঙ্গে দ্রুত আত্মীকরণ করার
ফলে ধর্মীয়ভাবে ইসলাম বৃহত্তর বাঙালি সমাজে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। মধ্যযুগে বিশেষত
ইলিয়াসশাহী শাসনের সূচনাকাল থেকেই বাঙালি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সমাজ সৌহার্দ্য ও স¤প্রীতির সঙ্গে পাশাপাশি বসবাস
করেছিল। মুঘল আমলে ধর্মনিরপেক্ষ জীবনের প্রতি আগ্রহ বেড়ে উঠে। ঐ সময়ে দ্বিজবংশীর লেখা ‘মনসামঙ্গল’ ধর্ম
সহিষ্ণুতার উজ্জ্বল উদাহরণ। ধর্মীয় পরিচয় বাঙালি হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধের মধ্যে তেমন কোনো বিরোধ বা সংকট সৃষ্টি
করেনি। মুসলিম শাসন নিয়ে যেমনিভাবে হিন্দু ও বৌদ্ধ সমাজে সা¤প্রদায়িক সংঘাত বা বিরোধ সৃষ্টি করেনি, মুসলিম
শাসকগোষ্ঠীও হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় স¤প্রদায়ের স্বাধীনতা দানে কার্পণ্য করেনি, রাষ্ট্র ও প্রশাসনে তাদের অংশ গ্রহণে বাধার
সৃষ্টি করেনি। দেখা গেছে হিন্দু সমাজের মধ্যে যারা লেখাপড়া ও আর্থিকভাবে অগ্রসর (ব্রাহ্মণ, ক্ষৈত্রিয়) ছিলেন তারাই
সামন্ত সমাজের নিয়ম অনুযায়ী অভিজাত শ্রেণী হিসেবে রাষ্ট্র ক্ষমতার সুযোগ-সুবিধা বিশেষভাবে গ্রহণ ও ভোগ করেছে।
সামন্ত সমাজের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে আর্থিক ও শিক্ষা সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়া মানুষ অধিকতর শোষিত ও অবহেলিত হতো।
বাংলাদেশও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দরিদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক শোষিত হতো, অপেক্ষাকৃত অসচ্ছলভাবে জীবনযাপন
করতো। তবে মধ্যযুগে বাংলাদেশে খাদ্য, পুকুরে মাছ, গোয়াল ভরা গরু থাকার উল্লেখ পাওয়া যায়।
খ. জাতিগত পরিচয়
বাংলাদেশ ভূখন্ডে বসবাসকারী বিভিন্ন জনপদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বিভিন্ন রাজশাসনের ফলে মধ্যযুগের আগেই সংগঠিত
হতে থাকে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টি হতে থাকে। তবে বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তিই
সবচেয়ে সংগঠিতভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে, যা অন্য উপজাতিগুলো পারেনি। তবে পূর্বাঞ্চলের মধ্যে আরাকানদের প্রভাব
ছিল, মধ্যযুগের মাঝামাঝি ও শেষের দিকে চাকমাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি উপজাতি পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে এসে পার্বত্যঞ্চলে
বসতি স্থাপন করে। অন্যান্য উপজাতির সঙ্গে বৃহত্তর বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর যোগাযোগ তেমন ছিল না। উত্তরাঞ্চলের
সাঁওতাল, রাজবংশী, গারো জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বাঙালির অপেক্ষাকৃত যোগাযোগ ছিল। বাঙালিদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক
স¤প্রীতিমূলক ছিল।
ত্রয়োদশ শতকে বঙ্গদেশে ইসলাম ধর্মের প্রবেশ ঘটে সুফিসাধক এবং রাষ্ট্র ক্ষমতার প্রভাবে। বঙ্গদেশে নিম্নবর্ণের
অত্যাচারিত ও শোষিত মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ফলে বাঙালি মুসলিম বলে একটি স¤প্রদায়ের সংযোজন ঘটে। এর আগে
এখানে জৈন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও পারসিক ধর্মাবলম্বীর বসবাস ছিল। তবে মধ্য যুগে তুর্কি, আফগান, মুঘল, ইরানি, আরব,
হাবসিসহ মধ্য প্রাচ্যের আরো কিছু জাতিগোষ্ঠীরও আগমন ঘটে বাংলায়। ষোড়শ শতকে পর্তুগিজ এবং আর্মেনীয়দেরও
বসতি বাংলায় স্থাপিত হয়। চট্টগ্রামে আরাকানি জাতিগোষ্ঠীর বসতি স্থাপিত হয়। ফলে মধ্যযুগে বাঙালি জাতিসত্তায় অন্যান্য
জাতিগোষ্ঠীর আরো ব্যাপক মিশ্রণ ঘটেছিল।
গ. সুফিবাদের প্রভাব

মধ্যযুগে মুসলিম শাসনামলে ইসলাম প্রচার, চরিত্র গঠন, আত্মার উৎকর্ষ সাধন, মানব কল্যাণে কাজ করা ইত্যাদি আদর্শকে
সম্মুখে নিয়ে সুফিসাধকগণ বাংলাদেশে আসেন। বাংলার প্রতিটি আনাচে-কানাচে তাদের প্রতিষ্ঠিত ‘খানকা’ গুলো
আধ্যাত্মিক, মানব কল্যাণ ও বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ক্রমে তারা বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতি ও
ধর্মীয় চিন্তাকে সমন্বিত করে সুফিবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের মরমী চিন্তাধারাকে আত্মস্থ করায়
সুফিবাদের প্রতি হিন্দু ও বৌদ্ধ স¤প্রদায় আকৃষ্ট হয়। ফলে বাংলার সুফিবাদ ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অধিকতর
উদার ও মানবকেন্দ্রিক চরিত্র অর্জন করে। সুফিবাদের কারণে বাংলার সমাজে দ্ব›দ্ব সংঘাত দারুণভাবে লোপ পায়। মরমী
বাউলরা হিন্দু-মুসলিম মিলনের আদর্শই প্রচার করে।
ঘ. বঙ্গীয় সামন্ত সমাজ
দীর্ঘ যে সব রাজশাসন ব্যবস্থা বাংলাদেশ ভূখন্ডে কার্যকর ছিল তাতে ইসলাম ধর্ম, সুফিবাদ, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্ম, বিদেশী শাসক,
বণিক ও সাধারণ মানুষের আগমন বাংলার সমাজ ব্যবস্থার ওপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছিল। মুঘল আমলে ঢাকা
রাজধানী হওয়ার কারণে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ফলে ধর্মান্তরিত হওয়ার
বিষয়টি পূর্বাঞ্চলে বেশি ঘটেছিল। কিন্তু সামন্ত রাজতান্ত্রিক আর্থ-শাসন ব্যবস্থা এবং সমাজের অভ্যন্তরে টিকে থাকা বর্ণ ও
শ্রেণী বৈষম্যের কারণে বঙ্গীয় মধ্যযুগীয় সমাজ থেকে শ্রেণী বিভেদ সমূলে উৎপাদন করা যায়নি। আভিজাত্যের ভিত্তিতে স্বয়ং
মুসলিম সমাজই আশরাফ, আতরাফ ও আরজল নামে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দেশীয় ও বহিরাগত মুসলমানদের মধ্যে অনেক
ক্ষেত্রেই মিল হচ্ছিল না। হিন্দুদের মধ্যেও জাতিভেদ, বর্ণভেদ প্রথা প্রবল ছিল। বস্তুত বঙ্গীয় সামন্ত সমাজে ব্যবসা-বাণিজ্য,
প্রশাসন, জমি বণ্টন ইত্যাদি কাজে যারা জড়িত ছিলেন তারা অভিজাত বা উচ্চবংশীয় বলে নিজেদের চালচলন, জীবনযাপনে
প্রতিষ্ঠিত করে, অপেক্ষাকৃত কম কড়ির কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন সমাজের নিম্নবর্ণ, আতরাফ, ক্রীতদাস, চাকরবাকর
ইত্যাদি নামে পরিচিত হয়। অর্থনৈতিক বৈষম্য বঙ্গীয় সামন্ত সমাজে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল ক্ষেত্রেই বিভাজন সৃষ্টি করে
রেখেছিল।
মধ্যযুগে বাংলার অর্থনীতি
ক. বিভিন্ন শাসনামলে অর্থনৈতিক অবস্থা
মধ্যযুগের বিভিন্ন দেশী-বিদেশী রাজশাসনের ফলে এই ভূখন্তে এক ধরনের মধ্যযুগীয় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়
ঘটেছিল। এর ফলে প্রশাসন, অর্থনীতিসহ সর্বত্র মধ্যযুগীয় ব্যবস্থাপনার প্রচলন ঘটে। ইবনে বতুতা, মাহুয়ান, বারথেমা,
বারবোসা, আবুল ফজলসহ বিদেশী বিভিন্নজনের লেখায় বাংলাদেশের তৎকালীন অর্থনীতির সমৃদ্ধির উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করা
হয়েছে। তারা সকলেই বাংলাদেশের অর্থনীতির সচ্ছলতার কথা উলে- খ করেছেন। মূলত সুলতানি যুগে বাংলা স্বাধীন
থাকার কারণে কৃষি, কুটিরশিল্প ও বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটার ফলে বাংলার অর্থনীতিতে চরম সমৃদ্ধি ঘটেছিল। মুঘল
আমলে পরাধীনতার কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য না থাকায় সমৃদ্ধি অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তারপরও মুঘল সম্রাট হুমায়ুন
বাংলার জীবনযাত্রার মান দেখে অভিভূত হয়েছিলেন। তিনি ‘বঙ্গদেশের আনাচে কানাচে বেহেস্ত’ বিরাজ করছে বলে তার
স্মৃতি কথায় লিখেছেন। বস্তুত মুঘলদের আগের মামলুক বংশ, ইলিয়াসশাহী বংশ, হুসেনশাহী বংশ, শূর বংশের রাজত্বকালে
বাংলার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সমৃদ্ধির ধারায় চলেছিল। মুঘলরা ক্ষমতা দকলের পর রাজস্বনীতি, কৃষি, শিল্প,
ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর সরকারি নীতি-নিয়ম আরোপ করায় অর্থনীতি কতিপয় সুনির্দিষ্ট নীতিতে পরিচালিত হতে থাকে।
সম্রাট জাহাঙ্গীর প্রতিষ্ঠিত সুবা-বাংলার সঙ্গে ভারতসহ বহির্বিশ্বের যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ফলে মুঘল যুগে আধুনিক বাংলার
প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনারই প্রবর্তন ঘটেছিল।
খ. কৃষি অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি চিরকালই কৃষিনির্ভর ছিল। মধ্যযুগের সকল রাজবংশের শাসনামলে এর ব্যত্যয় ঘটেনি। বাংলাদেশ
চিরকালই শস্য-শ্যামলা চিরসুন্দর নয়নাভিরাম বলে দেশী-বিদেশীদের হৃদয় জুড়িয়েছে। এতে কৃষিপ্রধান বাংলাদেশেরই
পরিচয় ফুটে উঠেছে। বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করতো বলেই মধ্যযুগে বাংলার দেড় কোটি মানুষকে তিন বেলা ভাত
খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ধানের পাশাপাশি পাট, গম, আম, যব, লাক্ষা, তেলবীজ, রসুন, মরিচ, মসলা,
রেশম, রবিশস্য, ইক্ষু ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করা হতো। বাংলা থেকে প্রচুর চাল ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা
হতো।
গ. কুটির শিল্প
মধ্যযুগের বিভিন্ন শাসনামলে কৃষিভিত্তিক কুটির শিল্প ছাড়াও বেশ কিছু শিল্প বিশ্বজোড়া বাংলার খ্যাতি নিয়ে এসেছিল- এর
মধ্যে বস্ত্রশিল্প ও রেশম শিল্পের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বাংলার বেশ কিছু জায়গায় লোহাজাত জিনিসপত্র তৈরি
হতো। বাংলায় কাঠের আসবাবপত্র ও সময়েই বিশেষ গুরুত্ব পায়। নদ-নদীর দেশে নৌকা ছাড়া চলাফেরা করা যেত না।

ফলে এখানে নৌকা ও জাহাজ শিল্প প্রসার লাভ করে। দেশবিদেশে বাণিজ্যের জন্য বড় বড় নৌকা ও জাহাজ তৈরি করা
হতো। বাংলার ‘মসলিন’ কাপড়ের চাহিদা দেশের বাইরে তুরস্ক, খোরাসান, পারস্যসহ বিভিন্ন দেশে ছিল। তখনকার
অর্থনীতিতে এর প্রভাবও ব্যাপক ছিল। ইউরোপের বণিকদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জায়গা হিসেবে বাংলার গুরুত্ব ছিল। এর
নানা রকমের কাঁচামাল, মসলিন, তাঁতের কাপড় ইত্যাদির প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল।
ঘ. ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নগর-বন্দরের ভূমিকা
মধ্যযুগের বাঙালি সওদাগররা ‘সপ্তডিঙ্গা-মধুকর’ ভাসিয়ে বিদেশে পাড়ি দিতেন বলে অনেক গল্প চালু আছে। তখন বাঙালিরা
সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রহ্মদেশ (মায়ানমার), মালয়, জাভা, সুমাত্রা, ইন্দোচীন ইত্যাদি দেশ পাড়ি দিত। বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে
চট্টগ্রামের নাম তখন দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ফলে বিপুল অর্থ উপার্জন করার ফলে
মধ্যযুগে গৌড়, পান্ডুয়া, সোনারগাঁও, হুগলী, ঢাকাসহ বেশ কিছু উন্নতমানের শহর এখানে গড়ে উঠেছিল। মধ্যযুগে বাংলার
অর্থনীতিতে মুদ্রার প্রবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য অবদান। বিনিময় প্রথার উলে খযোগ্য পরিবর্তন ঘটে মধ্যয - ুগে। শেরশাহ
রৌপ্যমুদ্রা তথা ‘রুপিয়া’ চালু করেন। আকবর স্বর্ণ নির্মিত ‘‘েমোহর’ ও রূপা নির্মিত ‘জালালা’ এক সঙ্গে চালু করেন। খুচরা
বাজারে ‘কড়ি’ চলতো। সরকার এগুলোর মূল্যমান নির্ধারণ করতো। এর ফলে অচিরেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স¤প্রসারণ
প্রাণ ফিরে পায় বাংলার অর্থনীতি। অর্থনীতির এসব সংস্কার বাংলায় নগর সভ্যতা চাঙ্গা করে, বেনিয়া ইংরেজদের আকৃষ্ট
করে, মজুরিভিত্তিক কর্মচারী, চাকরিজীবী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখে। এর ফলে সম্ভব হয়েছিল অষ্টাদশ শতকে
সামন্তকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে অভ্যস্ত অভিজাত ব্যবস্থায় আধুনিক নগরকেন্দ্রিক আভিজাত্যের প্রচলন ঘটানো।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]