লেনিনের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার নেতৃত্বে সোভিয়েত রাশিয়ায় বলশেভিক শাসন

অক্টোবর ১৯১৭ সালে বিপ্লব দ্বারা ক্ষমতা অধিকারের পর বলশেভিক নেতা লেনিন ও তাঁর সহযোগীরা রাশিয়াকে একটি সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজে হাত দেন। বিপ্লবের প্রাক্কালে লেনিন শ্রমিকদের রুটি, কৃষকদের জমি ও সেনাদলকে শাস্তিদানের প্রতিশ্রুতি দেন। তা পূরণের জন্য বিপ্লবী সরকার আত্মনিয়োগ করে।
ব্রেস্টলিটভস্কের সন্ধির শর্ত
লেনিন সর্বপ্রথম জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করে শাস্তিস্থাপনের কাজে হাত দেন এই উদ্দেশ্যে সন্ধির শর্ত আলোচনার দায়িত্ব তাঁর সহকারী লিও ট্রটস্কিকে দেওয়া হয় ট্রটস্কির প্রচেষ্টায় কাইজারের জার্মানির সঙ্গে ব্রেস্টলিটভস্কের সন্ধি (Treaty of Brestlitovsk) স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা রাশিয়া জার্মানিকে বহু স্থান ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। লেনিন বিশ্বাস করতেন যে, রুশ বিপ্লবকে স্থায়ী করতে হলে যুদ্ধ বন্ধ করে অবিলম্বে শান্তিস্থাপন করা দরকার। এজন্য তিনি জার্মানির প্রস্তাবিত সন্ধির কঠোর শর্তগুলি স্বীকার করেন। ব্রেস্টলিটভস্কের সন্ধির দ্বারা পোল্যান্ড, তিন বাল্টিক ফিনল্যান্ড, বাইলো রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ট্রান্সককেশিয়ার একাংশ রাশিয়াকে ত্যাগ করতে হয়। এছাড়া জার্মানিকে প্রচুর টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। ব্রেস্টলিটভস্কের সন্ধি লেনিনের কূটনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচায়ক ছিল ।
i. পুরাতনতন্ত্রের ধ্বংসের আইন
অতঃপর সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বলশেভিক সরকার পুরাতনতন্ত্রের প্রশাসনিক কাঠামোগুলোকে ভেঙে ফেলে। (১) ডুমা বা সংবিধান সভাকে বাতিল করা হয়। প্রজাতন্ত্রী সরকারের বহু সদস্যকে নির্বাসিত করা হয়। (২) মস্কো ও পেত্রোগ্রাদ শহরের মিউনিসিপ্যালিটিগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়। কারণ এই মিউনিসিপাল কমিউনগুলো ছিল বলশেভিক বিরোধী। (৩) জারের আমলের সিনেট ভেঙে দেওয়া হয়। (৪) জেমেস্টভো বা জেলা পরিষদগুলোকেও ভেঙে দেওয়া হয়। এই জেলাপরিষদগুলো বুর্জোয়া সংবিধানের সমর্থক ছিল। (৫) সেনাদলে অফিসার নিয়োগের নিয়ম বদল করা হয়। (৬) সেনাদলে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুরাতন আইনকানুন লোপ করা হয়। সেনাদের মধ্যে পুরাতন শ্রেণিবিভাগ লোপ করা হয়। সরকারের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে বিশ্বস্ত বলশেভিকদের নিয়োগ করা হয়।
ii. ধর্মীয় সংস্কার
(১) রাশিয়ার জাতীয় গির্জাকে রাষ্ট্র থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করা হয়। (২) গির্জার ভূসম্পত্তিগুলো রাষ্ট্র অধিগ্রহণ করে। (৩) রুশ নাগরিকদের বিবাহ দান ও বিবাহবিচ্ছেদ দানের অধিকার গির্জার হাত থেকে তুলে নেওয়া হয়। (৪) ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
সমাজতন্ত্র বলশেভিক রাষ্ট্র ক্ষমতা নভেম্বর বিপ্লবে গ্রহণ করলেও, প্রতিবিপ্লবী শক্তিগুলো | তা নতশিরে মেনে নেয়নি। প্রতিবিপ্লবীদের সাম্যবাদী পরিভাষায় “শ্বেত প্রতিবিপ্লবী। (White counter revolutionaries) বলা হয়। এই শ্বেত গোষ্ঠীতে ছিলেন উৎ প্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রী নেতা কেরেনস্কি ও তাঁর সমর্থকগণ, জারের আমলের কোনো কোনো সেনাপতি, জমির অধিকারচ্যুত কুলাকগণ এবং ডন অঞ্চলের কিছু ভ্রান্ত কৃষক পরিবার প্রভৃতি। পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক সরকারগুলি এশিয়ার বলশেভিক বিপ্লবের ফলে আপনা করে যে, এই বিপ্লব তাদের দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া ব্রেস্টলিটভঙ্গের সন্ধির দ্বারা একতরফাভাবে যুদ্ধ ত্যাগ করে জার্মানির সঙ্গে সন্ধি করায় এই শক্তিগুলি কূপিত হয়। পশ্চিমি শক্তিগুলো প্রতিবিপ্লবীদের সহায়তা দিয়ে এবং রুশ সীমান্তে সেনা আক্রমণ ঘটিয়ে বলশেভিক সরকারকে উৎখাত করতে চায়। অভ্যন্তরীণ প্রতিবিপ্লবী বিদ্রোহ এবং বৈদেশিক আক্রমণের সাঁড়াশর চাপে বলশেভিক সরকারকে চূর্ণ করার চেষ্টা করা হয় ।
iv. বৈদেশিক শক্তিকে বাধা দান
পশ্চিমি সরকারগুলো প্রতিবিপ্লবীদের অস্ত্র সরবরাহ করে। সাইবেরিয়া থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এই প্রতিবিপ্লবী শক্তি শ্বেত সন্ত্রাস (White Terror) চালাতে থাকে। ডন নদীর উপত্যকা ও কুবান উপত্যকার কসাক কৃষকরা বিপ্লবী সরকারের বিরোধিতা করে। জারের আমলের সেনাপতিরা যথা : ডেনিকিন, কোলচাক, যুডেনিখ্ প্রভৃতি এই প্রতিবিপ্লবী সরকারের পক্ষে যুদ্ধ পরিচালনা করেন প্রতিবিপ্লবী শ্বেত সেনারা জারিৎসিন বা স্টালিনগ্রাড দখল করে একদিক থেকে মস্কোর দিকে ছুটে আসে। প্রতিবিপ্লবী সেনাপতি কোলচাক ৪,০০০ চেক সেনা নিয়ে ট্রান্স- সাইবেরীয় রেলপথ ধরে মস্কোর দিকে আসেন। এদিকে পশ্চিম ইউরোপীয় বাহিনী উত্তর সাগরের আর্কেঞ্জেল বন্দরে এবং অপরদিকে পোল্যান্ডের ভেতর দিয়ে এগিয়ে আসে।
লেনিনের নেতৃত্বে তাঁর দুই সহকর্মী ট্রটস্কি এবং চেকা এক গুপ্ত পুলিশ বাহিনী গঠন করেন। এর সাহায্যে তিনি প্রতিবিপ্লবী এবং কুলাক বিদ্রোহীদের ধ্বংস করেন। স্টালিন শ্বেত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাল সন্ত্রাস চালান। বহু লোক চেকার হাতে নিহত হয় আবার কমিউনিস্ট সন্দেহে বহু নিরীহ লোককে শ্বেত সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করে। উভয় পক্ষের সন্ত্রাসে মোট ১৪ মিলিয়ন লোক নিহত হয়। ২ মিলিয়ন লোক দেশ ছেড়ে চলে যায়। এদিকে ট্রটস্কি সামরিক কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে শ্রমিক ও কৃষকদের সাহায্যে লাল ফৌজ নামে সেনাদল গঠন করেন। জারের আমলের প্রায় ৫০ হাজার দেশপ্রেমী সেনা অফিসার লাল ফৌজকে তালিম দান ও পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। রুশ জাতি ছিল স্বভাবতই দেশপ্রেমিক। বৈদেশিক আক্রমণের বিরুদ্ধে দেশরক্ষার জন্য তারা বলশেভিক সরকারকে সহায়তা দেয়। বরিস পাস্তেরন্যাকের বিখ্যাত উপন্যাস ‘ডা. জিতাগোতে' দেখা যায় যে, খাদ্যসমস্যা, মহামারির আক্রমণ, রণক্লান্ত রুশ জাতির কাছে তখন বেঁচে থাকাটাই ছিল একমাত্র পথ। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে প্রতিবি
প্রতিবিপ্লবী সেনাদল ১৯১১ সাল পেত্রোগ্রাদ শহরের
কিন্তু লাল ফৌজের প্রতিরোধ ও জনসমর্থনের অভাবে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক সরকার পূর্ণ জয়লাভ করে। রুশভূমি শ্বেত রুশদের সন্ত্রাসমুক্ত হয়। বিপ্লবী রুশ সরকার প্রতিবিপ্লবীদের নিষ্ঠুর শাস্তি দেয়। গুপ্ত পুলিশ বা চেকার হাতে বহু লোক মারা পড়ে। বহু বুর্জোয়াপন্থি সাদা রুশ বিদেশে পালিয়ে প্রাণ বাঁচায় ।
পোল যুদ্ধ
রাশিয়ায় বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত হলেও পোল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ চলতে থাকে। পোল জাতি দীর্ঘকাল ধরে রাশিয়ার অধীনে ছিল। এজন্য পোলদের মধ্যে রাশিয়ার প্রতি বৈরী মনোভাব দেখা দেয়। তারা বিপ্লবী রুশ সরকারকে ধ্বংস করার সংকল্প নেয়। তাছাড়া পোল জাতির উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার শস্যাগার ইউক্রেনের বৃহৎ অংশ অধিকার করা। ইউক্রেনবাসীরা রুশ জাতির অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রতার বীজ বুনে ইউক্রেনকে রাশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত করা হয়। রাশিয়ার প্রতিবিপ্লবী সেনাপতি র‍্যাঙ্গেল (Wrangle) পোলদের সামরিক সহায়তা দিলে পোলদের শক্তি বাড়ে। ফরাসি সরকারও পোলদের পক্ষ নেয় ।
v. কার্জন লাইন গঠন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক
পোল যুদ্ধে লাল ফৌজ বিরাট সফলতা দেখায়। সেনাপতি তুখাচেভস্কির নেতৃত্বে লাল ফৌজ পোলদের হটিয়ে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ নিকট চলে আসে। তুখাচেভস্কির লক্ষ্য ছিল ওয়ারশ অধিকার করে পোলদের নতি স্বীকারে বাধ্য করা। কিন্তু মিত্রশক্তি পোল্যান্ডকে বাঁচাবার জন্য কার্জন লাইন বরাবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে রাশিয়া বাধ্য হয়ে তা মেনে নেয়। রিগার সন্ধির দ্বারা রুশ-পোল যুদ্ধের অবসান ঘটে। ইউক্রেনের কিছু অংশ পোল্যান্ডের হাতে চলে যায়। রাশিয়ার অপরদিকের সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য রুশ সরকার প্রতিবেশী পারস্য, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো, রুমানিয়া ও তুরস্কের সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করে ।
vi. সংবিধান রচনা
লেনিন বৈদেশিক সমস্যাগুলোকে দৃঢ় হাতে মোকাবিলার পর অভ্যন্তরীণ সংগঠনের দিকে দৃষ্টি দেন। ১৯১৭ সালের নভেম্বর মাসে ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর এই মাসের শেষদিকে সংবিধান সভা গঠনের জন্য একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তার মধ্যে মাত্র ১০ মধ্যপন্থি বিপ্লবীরা পায়। সমাজতন্ত্র চায়। এই সংবি দেওয়া হয়। ১৯১৮ সালে বলশেভিকদের দ্বারা সোভি এটা অস্থায়ী ব্যবস্থা। পরে সংবিধান ১৯২৪ সালে বাড়ি গৃহীত হয়। এই সংবিধানে Soviet Socialist Rep প্রজাতন্ত্রে নিম্নলিখিত অঙ্গরা ককেশিয়া, (ঘ) তুর্কমেন, ( সংখ্যা দাঁড়ায় (২) দেশের র যথা : (ক) সোভিয়েতগুলি পার্টি, (গ) গুপ্ত পুলিশ, (ঘ)
9
হাতে রাখা হয়। জনসাধার কাজ করে।
সোভিয়েত গঠন
(৪) সোভিয়েত গঠনে গ্রামে একটি করে গ্রামসভ গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রাপ্তবয় সোভিয়েতগুলোর সদস্যরা আঞ্চলিক সোভিয়েতগুলো প্রাদেশিক সোভিয়েতগুলো প্রা সোভিয়েতের সদস্যরা কেন সদস্যদের নির্বাচন করে। সংখ্যা হয় ২ হাজার। (৬) প্র অধিবেশন ডাকার ব্যবস্থা ক কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহক সমিি নির্বাচন করে। এই ৩০০ স প্রেসিডিয়াম বা মন্ত্রিসভা গঠন দেশের শাসন কাজ চালাবার মন্ত্রিসভার প্রধান। তাঁর মৃত্যুব
রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস ১৯৪৫ খ্রি. পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষে যতটা সম্ভব ততটা অবাধ নির্বাচন হয়। প্রায় ৪২ মিলিয়ন ে তার মধ্যে মাত্র ১০ মিলিয়ন বলশেভিকরা পায়। প্রায় ২০ মিলিয়ন মধ্যপন্থি বিপ্লবীরা পায়। অর্থাৎ জনতা উগ্র সমাজতন্ত্রের বদলে একটি সমাজতন্ত্র চায়। এই সংবিধান সভা ২৪ ঘণ্টা চলার পর লেনিনের নির্দেশে দেওয়া হয়। ১৯১৮ সালের জুলাই মাসে অন্য রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ে বলশেভিকদের দ্বারা সোভিয়েত গঠন করে শাসনকার্য চালান হয়। পেনিন এটা অস্থায়ী ব্যবস্থা। পরে স্থায়ী সংবিধান চালু করা হয়। ১৯১৮ সালে এ সংবিধান ১৯২৪ সালে বাতিল করা হয়। ১৯২৪ সালে রাশিয়ায় একটি স্বায়ী গৃহীত হয়। এই সংবিধানে (১) রাশিয়াকে সংযুক্ত সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র Soviet Socialist Republic or USSR) বলে ঘোষণা করা হয়। এ প্রজাতন্ত্রে নিম্নলিখিত অঙ্গরাজ্য ছিল যথা : (ক) ইউক্রেন, (খ) শ্বেত রাশিয়া, ককেশিয়া, (ঘ) তুর্কমেন, (ঙ) উজবেগ, (চ) তাজিক। ১৯৩৬ সালে এই অ সংখ্যা দাঁড়ায় (২) দেশের রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষমতা ৪টি সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দে যথা : (ক) সোভিয়েতগুলি, (খ) CPSU অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের র পার্টি, (গ) গুপ্ত পুলিশ, (ঘ) সেনাদল। (৩) দেশের শাসন ক্ষমতা সোভিয়ে হাতে রাখা হয়। জনসাধারণ ও সরকারের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে সোভি কাজ করে।
সোভিয়েত গঠন
(৪) সোভিয়েত গঠনের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা স্থির করা হয়, যথা : গ্রামে একটি করে গ্রামসভা বা গ্রামবাসীদের দ্বারা সোভিয়েত গঠন ক গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কের ভোটে গ্রাম সোভিয়েত গঠিত হয়। সোভিয়েতগুলোর সদস্যরা আঞ্চলিক সোভিয়েত সদস্যদের নির্বাচন করে আঞ্চলিক সোভিয়েতগুলো প্রাদেশিক সোভিয়েতের সদস্যদের নির্বাচন কে প্রাদেশিক সোভিয়েতগুলো প্রজাতন্ত্রের সোভিয়েত সদস্যদের নির্বাচন করে। সোভিয়েতের সদস্যরা কেন্দ্রীয় সোভিয়েত বা সুপ্রিম বা সর্বোচ্চ সোনি সদস্যদের নির্বাচন করে। (৫) ইউনিয়ন সোভিয়েত বা সুপ্রিম সোভিয়েতে সংখ্যা হয় ২ হাজার। (৬) প্রতিবছর অন্তত এক সপ্তাহ সুপ্রিম সোভিয়েতের স অধিবেশন ডাকার ব্যবস্থা করা হয়। সুপ্রিম সোভিয়েতের সদস্যরা ৩০০ সদ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহক সমিতির (Central Executive Committee) নির্বাচন করে। এই ৩০০ সদস্যের কার্য নির্বাহক সমিতির সদস্যরা ১০ জন প্রেসিডিয়াম বা মন্ত্রিসভা গঠন করে। এই মন্ত্রিসভা বা কাউন্সিল অব পিপলস ব দেশের শাসন কাজ চালাবার প্রত্যক্ষ দায়িত্ব পায়। (৭) স্বয়ং লেনিন ছিলে মন্ত্রিসভার প্রধান। তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকেন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]