সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির উদ্দেশ্যাবলি বর্ণনা কর।


১০.৩ সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির উদ্দেশ্যাবলি
The Objectives of the Foreign Policy of Sovie Union
দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তীকালে তিনটি উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈদেশি নীতি পরিচালিত হয় ৷
ক. নতুন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার নিমিত্তে পরিচালিত পররাষ্ট্রনী (১৯১৭-১৯২১)
১৯১৭ সালে বলশেভিক সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে শীঘ্রই নানারূপ জটিল সমস সম্মুখীন হয়। অভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি এ সরকারকে বিভিন্ন পুঁজিবাদী রাে প্রবল বিরোধিতা সম্মুখীন হতে হয়। এসব বিরোধিতাকে নির্মূল করার জন্য সোভিে সরকার বিভিন্ন কর্মপন্থা অবলম্বন করে।
রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস ১৯৪৫ খ্রি. পর্যন্ত '
চতুর্থত । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ধনতন্ত্রী দেশগুলোর অর্থনৈতিক বিপর্যয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগে বলশেভিক সরকারের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দেরে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা করে বিশ্বে সাম্যবাদী প্রতিষ্ঠার সংকল্প প্রকাশ্যে ঘোষণা করে। তাঁরা রাশিয়াকে বিপ্লবের কেন্দ্রস্থল (Epicentre of revolution) রূপে চিহ্নিত করে। তাঁরা মনে করে যে, বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশরূপে রাশিয়াকেই বিপ্লব প্রসাবের ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে এবং এছাড়া বিশ্বপুঁজিবাদী ব্যবস্থায় একমাত্র সমাজতান্ত্রিক শক্তিরূপে রাশিয়ার অস্তিত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। তাই বিশ্বে সর্বভার শ্রেণির বিপ্লবকে বাস্তবায়িত করার জন্য পেনিনের উদ্যোগে ১৯১৯ সালের মার্চ মস্কোতে 'কমিন্টার্ন' বা 'তৃতীয় আন্তর্জাতিক' (Third International) নামে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তোলা হয়। এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র বিশ্বে সর্বহারা বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য সাম্যবাদের প্রচার চালানো। লেনিনের অন্যতম সহযোগী জি. ওয়াই, জিনোভিয়েত কমিন্টার্নের সভাপতি নিযুক্ত হন। মস্কোতে এর কেন্দ্র ছিল। জিনোভিয়েত ঘোষণা করেন যে, এক বছরের মধ্যে সমগ্র ইউরোপে সাম্যবাদ প্রসারিত হবে। ১৯১৯-২০ সালের দিকে রাশিয়ার সমর্থনে জার্মানির ব্যাভেরিয়ায় এবং হাঙ্গেরিতে সমাজতান্ত্রিক অভ্যুত্থান ঘটলেও তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সেও এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সোভিয়েত রাশিয়ার উপযুক্ত কার্যাবলির প্রেক্ষিতে পাশ্চাত্য শক্তিবর্গ উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে এবং তারা সম্মিলিতভাবে রাশিয়ার বলশেভিক সরকারকে উৎখাত করতে অগ্রসর হয়। উত্তর রাশিয়াতে বলশেভিক বিরোধী শ্বেতবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য মিত্ররাষ্ট্রবর্গের সেনাবাহিনী আর্চেঞ্জেল (Archangel) ও মুরমানস্ক (Murmansk) অঞ্চল প্রবেশ করে। অন্যদিকে জাপানের সেনাবাহিনী ভ্লাডিভস্টক (Vladivostak ) দখল করে নেয়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ককেসাস ও ফরাসি সেনাবাহিনী দক্ষিণ রাশিয়ার কিছু অঞ্চল দখল করে রুশ বিপ্লব বিরোধী শ্বেতবাহিনীকে সাহায্য করতে থাকে। ফ্রান্স সেই সঙ্গে ১৯২০ সালে পোল্যান্ডকে রাশিয়া আক্রমণে এবং ইউক্রেনে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে উৎসাহিত করে। রাশিয়ার অভ্যন্তরেও বিপ্লব বিরোধী শ্বেতবাহিনী আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে। লেনিন বিপ্লব বিরোধী শক্তির মোকাবিলার জন্য ট্রটস্কির নেতৃত্বে দুর্ধর্ষ লাল ফৌজ (Red Army) গঠন করেন। ১৯২০ সালের শেষভাগে লাল ফৌজ ক্রিমিয়ায় শ্বেতবাহিনীকে পরাজিত করে এবং ইউক্রেনীয় কমিউনিস্টদের সাহায্যে ইউক্রেনের অভ্যুত্থান দমন করা হয়। এদিকে লাল ফৌজের হাতে আক্রমণকারী পোলবাহিনীও পরাজিত হয় এবং পোল্যাণ্ড রাশিয়ার সাথে ১৯২১ সালের মার্চ মাসে ‘রিগা শান্তিচুক্তি' স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয় ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও রণক্লান্ত হয়ে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ বন্ধ করে এবং তাদের সেনাবাহিনী রাশিয়া থেকে সরিয়ে নেয়। এভাবে শেষ পর্যন্ত বলশেভিক সরকার বৈদেশিক হস্তক্ষেপ ও অভ্যন্তরীণ প্রতিবিপ্লব এই দ্বৈত বিপদ থেকে মুক্তি পায় এবং সাথে বিপ্লবী রাশিয়ার অস্তিত্বও রক্ষা পায় ।
বিত স্থানসমূহ রাশিয়া টিভিয়া, লিখুনিয়া ও ধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠন র স্থির করা হয়। মোট হয়। এভাবে পাশ্চাত্য বস্থায় রাশিয়াও ভার্সাই বলশেভিক সরকারের ভিক নেতৃবৃন্দ উপলব্ধি সম্ভব নয় তেমনি নিজ তাদের নিকট থেকে য় গৃহযুদ্ধ ও বৈদেশিক ।। ১৯২১ সালে সমগ্র
রীণ ক্ষেত্রে পূর্বে গৃহীত বা NEP চালু করে। এ ক্তগত মালিকানা বহাল ম রাশিয়ার অর্থনৈতিক বর্তনের প্রভাব পররাষ্ট্র তিক জর্জ চিচেরিনকে ার চেষ্টায় ১৯২১ সালে যার বিরাট বাজার দখল এর মধ্যে রাশিয়ার সাথে ১৯২২ সালে ব্রিটিশ
এবং পরে ইতালির জেনোয়াতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি অর্থনৈতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জার সরকারের আমলে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে বলশেভিক সরকারের অস্বীকৃতির কারণে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের আপত্তির মুখে এ সম্মেলন ে পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিচেরিন সম্মেলন ত্যাগ করে ১৯২২ সালের ১৬ এপ্রিল জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াল্টার র‍্যার্থেনিউ ( Walter Rathenau) এর 'রাপলো চুক্তি' স্বাক্ষর করেন। র‍্যাপালো চুক্তি ছিল পাশ্চাত্য শক্তিবর্গের নিকট বিন মেঘে বজ্রঘাত। কারণ এ চুক্তি দ্বারা জার্মানি ও রাশিয়া দুই ভার্সাই চুক্তি বিরোধী শক্তি জোটবদ্ধ হয়। র‍্যাপালো চুক্তিতে স্থির হয় যে,
সোভিয়েত ভূমিতে জার্মান সৈন্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র তৈরি সুযোগ দেওয়া হবে।
জার্মানি ও রাশিয়া উভয় দেশ পরস্পরকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি ও বাণিজ্যিক সুবিধা দেবে।
এ চুক্তির ফলে ভার্সাই চুক্তির সামরিক শর্ত ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। এ ছি ফলে রুশ-জার্মান কূটনীতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটে এবং ইউরোপীয় রাজনীতিতে তাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। ব্রিটেন ও ফ্রান্স এই চুক্তির ফলে শঙ্কিত হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাশিয়ার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। হিটলারের আগমন (১৯৩৩ সাল) পর্যন্ত রুশ-জার্মান সম্পর্কের ভিত্তি ছিল এই র‍্যাপালো চুক্তি। র‍্যাপালো সন্ধির পর পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো রুশ কূটনীতিকে সমীহ করে চলতে শুরু করে। এ সময় বলশেভিক সরকার ঘোষণা করে, যে রাষ্ট্র সর্বাগ্রে রাশিয়াকে স্বীকৃতি দেবে রাশিয়া সেই রাষ্ট্রকেই বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা দেবে। ১৯২৪ সালে ব্রিটেনের নির্বাচনে লেবার পার্টির ক্ষমতাসীন হয়ে সোভিয়েত সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ফ্রান্স, ইতালিসহ ইউরোপের আরও ৯টি দেশ রাশিয়াকে স্বীকৃতি দেয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখনো সোভিয়েত সরকারকে স্বীকৃতি দানে বিরত থাকে। এ ছিল লেনিনের কূটনীতির বিজয়। ১৯২৪ সাল রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের প্রধান পুরাধা লেনিন মৃত্যুমুখে পতিত হন।
ভ. ই. লেনিনের মৃত্যুর পর জোসেফ স্টালিন রাশিয়ার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু অল্পকালের মধ্যেই সাম্যবাদের প্রয়োগ প্রশ্নে স্টালিন ও ট্রটস্কির মধ্যে ঘোরতর মতানৈক্য দেখা দেয় । ট্রটস্কির মতে, পুঁজিবাদী দেশসমূহের মধ্যে এককভাবে রাশিয়ার পক্ষে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ রক্ষা করে চলা সম্ভব নয়। তাই সোভিয়েত ইউনিয়নের মূলনীতি হওয়া উচিত পুঁজিবাদী দেশসমূহে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সৃষ্টি করা অপরদিকে স্টালিন আপাতত শুধুমাত্র রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের পূর্ণ প্রয়োগের পক্ষে ছিলেন। এই দ্বৈত নীতির কারণে এ সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিতে দুটি বিপরীতমুখী বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। একদিকে সোভিয়েত সরকার পুঁজিবাদী দেশগুলো থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য গ্রহণের চেষ্টা করে, অপরদিকে কমিন্টার্ন বা তৃতীয় ইন্টান্যাশনাল কর্তৃক অনুসৃত সারা বিশ্বে পুঁজিবাদ বিরোধী প্রচারকার্যে উৎসাহ দেয়। ইতোমধ্যে বুলগেরিয়ায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়। চীনে কুয়োমিনটাং সরকারের মধ্যে
সালের ব্রিটেনের
• ব্রিটেনের টোরি রে। একই বছরে ইজিং এ অবস্থিত শিয়ার সম্পর্কের য়। এরূপ নাজুক ং কমিউনিস্ট পার্টি সাপদ বাতিল করে এর সাথেও রাশিয়ার য়াগ স্পৃহা অনেকটা য় স্বার্থে পররাষ্ট্রনীতি নয়ন ইউরোপ ও মধ্য চালের কেলোগ, বিয়া ১৯২৯ সালে ব্রিটেনের য়া ইতালি ও তুরস্কের
। এরপর দুই বছরের পারস্য, আফগানিস্তান, যুগোশ্লাভিয়ার সাথে য়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীত হয়ে ১৯৩৪ সালে জাপানের শক্তিবৃদ্ধি এবং নৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য র প্রধান কারিগর ছিলেন
সাথে অনাক্রমণ চুক্তি
ই সন্ধিকে সমর্থন করেনি। নর আগ্রাসন, হিটলার কর্তৃক গাভিয়েত সরকার শেষ পর্যন্ত রা রাশিয়ার দিকে জার্মানির বা, হিটলার তার জীবনী গ্রন্থ ারণের নীতি ঘোষণা করেন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]