সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির প্রধান প্রধান দিকের বর্ণনা দাও। এ সফলতা কী ছিল?


viet Union (1917-1939) শনীতিকে দেখা যেতে পারে। প্রথমত, য়েত বিদেশনীতি বিচার করা যেতে পরিচালনা সম্পর্কে মার্কসবাদ কোনো হ্যাপী বিপ্লবের কথা বলেছে, যার ফলে নিন ও তাঁর সহযোগীদের ক্ষমতায় 5 হয়েছিল। মার্কসীয় অর্থে এই তে পারে। এতে বিস্ময়ের কিছু নেই বছর তাঁরা বিশ্ববিপ্লব আসন্ন বলে ্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে এই বিশ্বাসও {মাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিয়েত নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তর সঙ্গে মেলাতে চেষ্টা করলেন। ই বিপ্লব ঘটবে তা সঠিকভাবে বলা নিনীয় ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে জগৎকে
মতা দখল করলেন, তখন তাঁরা দের কোনো সামঞ্জস্য ছিল না । কে ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিলেন। তে অস্বীকার করেছিলেন। সেই ছলেন। কিন্তু তবু তাঁরা দেশকে বিশ্বে তাঁদের নতুন ভূমিকার নিনি। বস্তুত প্রথম পঞ্চবার্ষিক ত রাশিয়া বিশ্ব কমিউনিজমের থেকে সোভিয়েত বিদেশনীতি শষভাবে তার ‘রুশী' চরিত্রও সাভিয়েত বিদেশনীতির অন্য ১ একটি বৃহৎ আধুনিক রাষ্ট্র ক নিরাপত্তার মতো বাস্তব
কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক ও দ্বতের সাহায্যে সোভিয়েত লা হয়েছে যে, সোভিয়েত গিয়ে ক্রমশ ঐতিহ্যবাদী অবস্থানে পৌঁছেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি কमনো কখনো নতুন আলোকপাত করলেও, এর বিপদ আছে। সোভিয়েত বিদেশনীতি সম্পর্কে প্রামাণ্য দলিল ঐতিহাসিকদের হাতে নেই। এই কারণেই বেলফের মতো অনেক সতর্ক গবেষক এই বিষয়টি সোভিয়েত বিদেশনীতির আলোচনা থেকে বাদ দিয়েছেন। আবার ঠিক এই কারণেই অনেক ঐতিহাসিক সোভিয়েত বিদেশনীতির ব্যাখ্যা করছেন ব্যাপক কমিউনিস্ট ষড়যন্ত্র হিসেবে অথবা রুশ সাম্রাজ্যবাদ প্রত্যাবর্তন হিসেবে। সোভিয়েত বিদেশনীতি সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে একটি দৃঢ়সম্বদ্ধ একশিলা ব্যবস্থার দ্বৈত অথবা ভাঙনের উপর জোর দেওয়া সংগত নয় বলেই মনে হয় বরং সোভিয়েত বিদেশনীতিতে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শের উপর গুরুত্ব দেওয়াই সংগত। সোভিয়েত নেতারা গোঁড়া অথবা বাস্তবাবাদী, ভাববাদী অথবা অসূয়ক এভাবে তাঁদের অভিহিত না করে হয়তো এ কথা বলাই ঠিক যে তাঁদের চিন্তার পদ্ধতি মার্কনীর। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, বহির্দেশীয় আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই সোভিয়েত বিদেশনীতি আত্মরক্ষাত্মক, এই যুক্তি অসঙ্গত নয়। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, পুঁজিবাদী জগদের কাছ থেকে যে বিপদ সোভিয়েত নেতাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তার কারণ শুধু এই নয় যে, এই বিপদ অতিশয় বাস্তব সত্য ছিল। এই বিপদ মার্কসবাদের মৌল সিদ্ধান্তের অঙ্গীভূত ছিল। সাধারণভাবে আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে সদৃশ কিছু রাষ্ট্রের আদানপ্রদান হিসেবে দেখতেই অভ্যস্ত। আঠারো ও উনিশ শতকে এই পরিস্থিতিই বিদ্যমান ছিল। কিন্তু ১৯১৭-র পরবর্তীকালের জগতের সঙ্গে সাদৃশ্য বেশি খ্রিস্টান ও মুসলমানের সংঘাত ভরা মধ্যযুগের অথবা রিফর্মেশন ও প্রতিরিফর্মেশন যুগের। বলশেভিক বিপ্লবের পর বিদেশ দফতরের কমিনার নিযুক্ত হন ট্রটস্কি। তিনি কূটনীতির অবসান ঘটিয়ে তাঁর কাজ শুরু করেন “আমি কয়েকটি বিপ্লবী ঘোষণা করব এবং তারপর এই দত্তর বন্ধ করে দেব। কেননা, বিদেশনীতি পুঁজিবাদী উপরিসৌধের অংশ। যে যুদ্ধ চলছে তা বিশ্বব্যাপী বিপ্লব নিয়ে আসবে এবং এই বিপ্লবে প্রাগ্রসর জাতীয় রাষ্ট্রগুলো মুছে যাবে। এইসব দেশের বিপ্লবীরা নিজেদের মধ্যে সহজ ব্যবহার করবে। সুতরাং কূটনীতি অবান্তর হয়ে যাবে।”
তা দখলের পরই লেনিন এই বিদেশনীতি কার্যকর করার চেষ্টা করেন। আমলে সোভিয়েত বিদেশনীতির সূচনা করে 'শান্তির ঘোষণা' যাতে " সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক রূপান্তরের আভাস মেলে। প্রথমত, এই শান্তির তারা প্রথাসিদ্ধ ইউরোপীয় ব্যবস্থা থেকে বলশেভিক ব্যবস্থা নিজেকে সরিয়ে । সোস্যালিস্ট সরকার হিসেবে বলশেভিক ব্যবস্থা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহের ইরে নিজেকে স্থাপন করল । অবশেষে সোভিয়েত রাশিয়া গভীর বিচ্ছিন্নতায় দ্বিতীয়ত, লেনিনের শাস্তির ঘোষণা বিশ্বব্যাপী বিপ্লবের ডাক শুধু ইউরোপীয় } জগদ্ব্যাপী আন্তর্জাতিক রাজনীতিক ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেছিল। লেনিনের শান্তির ঘোষণা শাক্তির রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রার করে। এই মাত্রা সমাজ বিপ্লবের। অতএব সমাজ বিপ্লব শক্তির রাজনীতির ইশালী হাতিয়ারে পরিণত হলো। ১৯১৭-র নভেম্বরের পর কূটনীতির কানো অস্ত্রই বলশেভিকদের হাতে ছিল না। বিপ্লবী আন্দোলনই ছিল তাদের স্ত্র। অতএব বিপ্লবী আন্দোলন সোভিয়েত বিদেশনীতির একটি স্থায়ী বৈশিষ্ট্য ।। বিপ্লবী আন্দোলন প্রতিষ্ঠানিক রূপে পেল কমিন্টার্নের মধ্যে। অবশ্য এ নেওয়া ঠিক নয় যে, কমিন্টার্ন পুরোপুরি সোভিয়েত বিদেশনীতির যন্ত্র ছিল। ার্নে প্রবেশের এমন সব শর্ত ছিল' যাতে কমিন্টার্নের অন্তর্গত পার্টিগুলোর গভিক নির্দিষ্ট দায়িত্ব ছিল তাদের দেশের সব প্রলেতারীয় সংগঠনে ও সশস্ত্র অনুপ্রবেশের। সর্বোপরি তাদের উপর নির্দেশ ছিল বলশেভিক নীতির । হওয়ার এবং কমিন্টার্নের কার্যনির্বাহী সমিতির সিদ্ধান্ত পালনের স্বভাবতই আধিপত্য ছিল রুশ কমিউনিস্টদের। প্রলেতারীয় একনায়কত্ব ল কমিন্টার্নের লক্ষ্য। তারীয় একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার এই বিশ্বব্যাপী সংগ্রামের কেন্দ্রে ছিল প্রতিষ্ঠার প্রজাতন্ত্র। এর চারপাশ ঘিরে ছিল সব দেশের প্রলেতারিয়েতের প্রাগ্রসর
কমিউনিস্ট পার্টি। তার বাইরে পুঁজিপতি শত্রুদের জগৎ বা তার অস্তিত্বের ॥ মৃত্যুপথযাত্রী। কমিন্টার্নের কাজ হলো সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের সক্রিয় ায় এই দ্বান্দ্বিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করা। এই সহযোগিতা বিশেষভাবে লক্ষ্য খেন ১৯১৯ এর মার্চে লেনিন বেলাকুনকে সাহায্য করার জন্য সৈন্য কিনের শ্বেত বাহিনীর অগ্রগতির জন্য
রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস ১৯৪৫ খ্রি. পর্যন্ত সম্পর্ক রয়েছে তাতে ব্রেস্টলিটভস্কের সন্ধিতে স্বাক্ষর করা ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই দেশে ও বিদেশে সোভিয়েত ইউনিয়ন যে অনিশ্চিত অবস্থায় ঝুলছিল তাতে পুঁজিবাদী পরিবেষ্টনের অবস্থার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছিল। ১৯১৮-এর মে মাসের প্রতিবেদনে লেনিন লিখেছেন। “অপেক্ষা করার কৌশলে আমাদের স্থির থাকতে হবে, সুযোগ নিতে হবে সাম্রাজ্যবাদীদের সংঘাতের, অন্তর্দ্বন্দ্বের এবং ক্রমশ শক্তি সঞ্চয়। করতে হবে আমাদের।” ১৯১৮-এর জুলাইয়ে বিদেশ দফতরের কমিসার চিটেরিন বিস্তারিতভাবে বিদেশনীতির ব্যাখ্যা করেন : ক্ষমতা দখলের পরেই যে বিপ্লবী অভিযান করা হয়েছিল, তারপর সোভিয়েত বিদেশনীতি পরিবর্তিত হয়েছে। এখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আত্মরক্ষাত্মক নীতি অনুসরণ করছে। যতদিন আন্তর্জাতিক বিপ্লব পরিণত না হচ্ছে, যতদিন দেশের অভ্যন্তরে নতুন বিপ্লবী প্রতিষ্ঠানসমূহের শিকড় প্রোথিত না হচ্ছে, ততদিন সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় প্রয়োজন। সোভিয়েতের কিছু সুবিধাও আছে যা সে কাজে লাগাতে পারে। তা হলো পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিচ্ছেদ। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে ভয়ানক যুদ্ধে ব্যাপৃত। অতএব চিচেরিনের সিদ্ধান্ত, বলশেভিক বিদেশনীতি এই সুযোগ নেবে।
কিন্তু যতদিন গৃহযুদ্ধ চলছিল ততদিন সোভিয়েতের পক্ষে একটি স্থির বিদেশনীতি অনুসরণ করা কঠিন ছিল। ১৯২০-তে যখন গৃহযুদ্ধ ও বিদেশি হস্তক্ষেপের অবসান হলো, তখন সোভিয়েত বিদেশনীতির পক্ষে একটি নির্দিষ্ট পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হলো। ক্রমে সোভিয়েতকে এবং কমিন্টার্নকেও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর স্থায়িত্ব স্বীকার করে নিতে হলো। দেশের অভ্যন্তরে নতুন অর্থনৈতিক নীতি-নিপী সাময়িকভাবে যুদ্ধকালীন কমিউনিজম থেকে দেশকে পেছনে সরিয়ে নিল। সোভিয়েত রাশিয়ায় সোস্যালিস্ট নির্মিতির জন্য পুঁজিবাদী দেশের সহায়তার প্রয়োজন হলো। ১৯১১-এর এপ্রিলে জেনোয়ার অর্থনৈতিক সম্মেলনে সোভিয়েত প্রতিনিধিমণ্ডলী যোগ দিল ।
যেহেতু সোভিয়েত সরকার নিজেকে সমাজতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করতো এবং যেহেতু তার এই স্থির ধারণা ছিল যে ভবিষ্যতে সব সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রই তার চারদিকে জড়ো হবে, তাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সোভিয়েতের সম্পর্ক বিশেষ তাৎপর্যময় হয়ে উঠেছিল। ভার্সেই সন্ধিব্যবস্থা সোভিয়েতের পশ্চিম দিকে কিছু অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রের শৃঙ্খল তৈরি করে একটি প্রতিবন্ধক বেষ্টনী (Cordon Sanitaire) নির্মাণ করেছিল। এভাবে বিপ্লবী সম্ভাবনাময় দেশ এবং সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়েছিল ।
এই প্রাচীর ভেঙে ফেলাই এ সময়ে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল। ১৯২০ ও ১৯২১-এ পরপর কয়েকটি চুক্তি করে সোভিয়েত সরকার তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে স্বীকৃতি দেয়। এই সন্ধিসমূহের প্রধান শর্ত ছিল এই যে এই দেশগুলো তাদের রাজ্যের মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে আক্রমণ করতে দেবে না। রোমানিয়া ১৯১৮ তে বেসারাবিয়া দখল করেছিল। তাই রোমানিয়ার সঙ্গে কোনো স্থির সম্পর্ক
রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ে চিচেরিনের জন্য ভূস্বামী বংশে এবং ক নেতাদের সংকীর্ণ গোষ্ঠীর মধে করেন জারতন্ত্রের যুগের বিচে । হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ব তির পরিচালনা করেন,
ব্যবস্থায় প্রকৃত ায়েটে নয় । সুতরাং চিচেরিনে রোর তত্ত্বাবধানে।
চেরিনের প্রধান কাজ হলো সো য়িত্ব বিধান করা। হাঙ্গেরি ও ব নের বাইরে অন্য কোথাও কমি হিনীর পরাজয় ও মিত্রপক্ষের এক ব্যবস্থার শিকড় রাশিয়ায় পরিণত হলো এরপর দুই পক্ষে য়ত ইউনিয়ন তৃতীয় কমিউনি ¡ এই আন্তর্জাতিক প্রতি চয়েভ। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিদেশিদের বাজেয়াপ্ত স
বরং রাশিয়ায় মিত্রপক্ষের হ য়ত। বিশেষত গোটা বিশে বিপ্লবের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত বলা চলে। পুঁজিবাদী : য় বড় বাধা ছিল কমিন্টার্ন ংশ রাষ্ট্রের ।
১৯২২-এর বসন্তে সোভি
বেরিয়ে আসে। জেনো য়ত ইউনিয়ন প্রথম যো ই সম্মেলনের সুযোগ নি হয়। কিছু রাজনৈতিক এই সন্ধি স্থায়ী হয়েছি র সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু পারস্পরিক সহানুভূতি সোভিয়েত রাশিয়া ও এরা হাত মিলিয়েছিল।
১৯২১ এর নভেম্বর রুশ মতে সমঝোতা হতে কিছু বেশি সময় লে সোভিয়েত সরকার জারের আমলে বাতিল বলে ঘোষণা করে। শুধু ত প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের দাবিও পরিত
করতে প্রস্তুত হয়।
দূরপ্রাচ্যের সঙ্গে আনুষ্ঠানি কালে, যখন জাপান সাইবেরি পলিটব্যুরো পিকিঙে ডিকটেটার আলাপ আলোচনা শুরু করে । ছিল সান ইয়াৎ-সেনের জাত সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয় । বোরোডিনকে পাঠায় কুয়োমি সাহায্য করার জন্য। সাম্রাজ পার্টির। পলিটব্যুরো জানত হলে একটি অত্যন্ত মূল্যবান হবে সমস্ত পূর্ব ও দক্ষিণ- প্রভাবিত হবে। সুতরাং স থাকে যাতে ঘটনা পরস্পরা
১৯২৪ এ পিকিঙে সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত কৌশল অবলম্বন করে এ সমর্থন করে। সান জাতীয়তাবাদীরা যখন ব ও সামরিক ক্ষেত্রে রুশ পায় । ১৯২৭ এর মার্চ ও ইয়াংসি উপত্যকাসহ ঠিক এই মুহূর্তে নিয়ে যান এবং কিছু দলিল-পত্রগুলো সতে পিকিঙের সোভিয়েত ক্রিয়াকলাপকে আি সম্পর্ক ছিন্ন হয় । ৪. ত্রিশের দশকে সোভিয়েত বিদেশনীতি
রাশিয়ার স্বীকৃতি এবং সোভিয়েত কূটনৈতিক সম্পর্কের দ্বায়িত্ব বিধান, এই ছিল বিশের দশকে চিচেরিনের প্রধান কাজ। কিন্তু বিশের দশকে আরো উচ্চ বিদেশনীতি অনুসৃত হয়। এই নীতি পরিকল্পিত হয়েছিল স্টালিন ও পলিটব্যুরোর দ্বারা। কিন্তু এই নীতি কার্যকর করার দায়িত্ব ছিল মাকসিম লিটভিনভের উপর। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত তিনি বিদেশ দফতরের কমিসার ছিলেন। এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গির লক্ষ্য ছিল স্থিতাবস্থায় বিশ্বাসী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতর সম্পর্ক স্থাপন। কেননা ভার্সেই ি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রগুলোর ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য এই নতুন সম্প আবশ্যিক হয়ে উঠেছিল। রাষ্ট্রসংঘে সোভিয়েতের যোগদান এবং নিরস্ত্রীকরণ ও যৌথ নিরাপত্তার উপর লিটভিনভের বিশেষ গুরুত্ব প্রদান এই নতুন নীতিরই পরিণতি। সোভিয়েত কূটনৈতিক কৌশলের এই পরিবর্তনের অর্থ বুঝতে হলে এ কথা জানা দরকার যে বলশেভিক নেতৃত্ব দীর্ঘকাল গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে তার প্রধান শত্রু বলে মনে করেছে এবং রাষ্ট্রসংঘকে মনে করেছে জঙ্গি সাম্রাজ্যবাদের মুখ্য আন্তর্জাতিক সংস্থা। মনে হয় মুখ্য পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিশেষত গ্রেট ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে, একটি যুদ্ধ পলিটব্যুরোর প্রত্যাশিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে ১৯৩১-এ চীনের মূল ভূখণ্ডে জাপানের আগ্রাসন এবং ১৯৩৩ এর জানুয়ারিতে জার্মানিতে হিটলারের উত্থান ও তাঁর অনুসৃত নীতি রাশিয়ার কাছে প্রচণ্ড ধাক্কার মতো আসে। হিটলারের আবির্ভাবের জন্য প্রস্তুত ছিল না সোভিয়েত ইউনিয়ন। এই নতুন বিপদের প্রকৃত তাৎপর্য হৃদয়ঙ্গম করতেও রাশিয়ার কিছু দেরি হয়েছিল। অবশ্য এই প্রসঙ্গে এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অন্যান্য রাষ্ট্রের হিটলারকে বুঝতে আরো বেশি দেরি হয়েছিল। কিন্তু একবার যখন দেওয়ালের লিখন স্পষ্ট হয়ে উঠল, তখন এই ফ্যাসিবাদী শত্রুকে ঠেকিয়ে রাখবার জন্য যা করা প্রয়োজন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন সবই করেছিল। এই উদ্দেশ্যে সোভিয়েত রাশিয়া সারা জগতের কমিউনিস্ট পার্টিগুলোকে এই শত্রুর বিরুদ্ধে পরিচালিত করেছিল আর সাধারণ কূটনৈতিক সব পন্থাই সে অনুসরণ করেছিল। ত্রিশের দশকে রাশিয়া সেই কারণেই ‘পপুলার ফ্রন্ট' গড়ে তুলেছিল। সেই কারণেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পশ্চিমি গণতন্ত্রগুলোর মধ্যে অভাবিত হৃদ্যতার ভিত্তি ছিল শোচনীয় উপযুক্তি, পারস্পরিক আস্থা নয়। তাই পশ্চিমের সঙ্গে সমঝোতা ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ এ বিপর্যয়করভাবে ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য রঙ্গমঞ্চ প্রস্তুত হয় ।
১৯২৮ এ কেলগ-ব্রিয়া চুক্তি যুদ্ধকে অবৈধ ঘোষণা করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন এই সুযোগ নিয়ে লিটভিনড প্রোটোকল প্রচার করে। এই প্রোটোকল কেলগ-ব্রিয়া চুক্তিকে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের কথা বলে। পোল্যান্ড, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, তুরস্ক, পারস্য ও ডানজিগের মুক্ত নগরী সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এই প্রোটোকল স্বাক্ষর করতে রাজি হয়। ১৯৩২ এ সোভিয়েত ইউনিয়ন পোল্যান্ড, এস্টোনিয়া, ল্যাটভিয়া, ফিনল্যান্ড ও ফ্রান্সের সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। অবশেষে ১৯৩২ এ
ঐ বছরেরই গ্রীষ্মকালে করে। রোমানিয়ার সঙ্গে । এই যে এতকাল পরে মনে নিল। ১৯৩৪ এর
চুক্তি সম্পন্ন হলো। উভয় হলে অপর রাষ্ট্র সামরিক চুক্তিতে একটি বিশেষ শর্ত । সঙ্গে একটি পারস্পরিক ত এই কথা বলা হলো যে সে তবে সোভিয়েত সরকার ই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে প্রস্তাব দিয়েছিল, ফ্রান্স সেই ও রোমানিয়া তাদের দেশের যাওয়ার পথ করে দিতে
অনেক কমে গেছে। ১৯৩৫ এ টর' নতুন নীতি ঘোষণা করে; াৎ মত পালটাতে হলো এবং দের দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক 1। পুনরস্ত্রীকরণও সমর্থন করতে । দাবি করল যে আগ্রাসী রাষ্ট্রের বে এবং শান্তির সব শক্তি একত্র [থবা আলাদাভাবে কোনো রাষ্ট্র এ । বিনা বাধায় ইথিওপিয়া জয় করে দ্ধেও কোনো প্রতিবন্ধক ছিল না। ই গৃহযুদ্ধে একদিকে ছিল ফ্রাংকোর র মিত্ররা। আর অন্যদিকে ছিল এখানেও সোভিয়েত ইউনিয়ন মথচ ফ্রান্স ও ব্রিটেন দ্বিধায় ভুগছিল, নীতি অনুসরণ করছিল। তারা দূরে ও জার্মানি বসে থাকেনি। ইতালি বহু
রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের উडान ১৯৪ 1. পর্যা ডিভিশন সৈন্য পাঠিয়েছে এবং ইতালীয় বাহিনী ফ্রাংকার হয়ে যুদ্ধ করেছে। আসুন বিমান ও ট্যাংক পাঠিয়েছে। বিমান থেকে বোমা ফেলেছে। নতুন মারণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। সোভিয়েত কিছু সামরিক অফিসার ও প্রতিবিদ পাঠিয়েকে প্রাই সরকারের সাহায্যার্থে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলন অস্ত্রশস্ত্র ও ে সৈনিক পাঠিয়েছে বিখ্যাত 'আন্তর্জাতিক ব্রিগেড' যুদ্ধ করার জন্য। স্পেনে সোভিয়েত হস্তক্ষেপ সম্পর্কে কঠিন তথ্যাদি এখনো জানা যায় না। তবে ক্যান্টোলের (Cattle) গবেষণা থেকে জানা যায় যে ফ্রাংকোকে পরাজিত করার আন্তরিক চেষ্টা করেছি সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু ইতালি ও জার্মানির সমর্থন শেষ পর্যন্ত ফ্রাংকোকে ঘ হতে সাহায্য করে। ১৯৩৯-এর বসন্তকালে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়।
ত্রিশের দশকে কূটনৈতিক পরিস্থিতি সোভিয়েত ইউনিয়নের অবস্থা সংকটজনর করে তোলে। ১৯৩৬-এর নভেম্বরে জার্মানি ও জাপান তথাকথিত কমিন্টার্ন বিরোধী চুক্তি করে। এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৩৭-এ ইতালি এই চুক্তিতে যোগ দেয়। স্পেন যোগ দেয় ১৯৩৯ এ। দূরপ্রাচ্যে জাপান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কে চাপা উত্তেজনা ছিল। জাপান যত সম্প্রসারিত হচ্ছিল ততই তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাচ্ছিল। অন্যদিকে সোভিয়েত নেতারা চিয়াং কাই-শেককে সাহায্য করেছিলেন এবং এশিয়ার কমিউনিস্ট আন্দোলনের পরিচালনা ও সমর্থন করছিলেন। বস্তুত ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ এ জাপানি ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে জাপানের চেয়েও বড় বিপদ ছিল হিটলারের জার্মানি। ফুরের বার বার বলছিলেন তিনি কমিউনিজম ধ্বংস করবেন এবং তিনি মনে করতেন যে পূর্বদেশই জার্মানির সম্প্রসারণের তার বৈধ লেবেন প্রাউমের স্বাভাবিক অঞ্চল । তাছাড়া পশ্চিমা দেশ দুটি আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইটালি ও জাপানই তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। তাছাড়া ১৯৩৬-এ রাইনল্যান্ডের পুনরায় সামরিকীকরণ করেছেন হিটলার, ১৯৩৮ এর মার্চে অস্ট্রিয়াকে তৃতীয় রাইয়ের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, ভার্সেই সন্ধিকে ছিঁড়ে ফেলেছেন অনায়াস অবহেলায়। এই সবই পশ্চিমি গণতন্ত্র দুটি নীরবে দেখেছে । সন্দেহ নেই তাতে রাশিয়ার শঙ্কিত হওয়ার কারণ ছিল।
৫. ১৯৩৮-এর সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৪১-এর জুন পর্যন্ত সোভিয়েত বিদেশনীতি হিটলার তোষণের চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত মিউনিখ। চেকোস্লোভাকিয়ার সুদেতেনল্যান্ড জার্মানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। হিটলারের দাবি ছিল সুদেতেনল্যান্ডের জার্মানিতে অন্তর্ভুক্তি। গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির এই দাবি মেনে নেয়। চেম্বারলেন ও দালাদিয়ে মিউনিখে উড়ে যান এবং সেখানে হিটলার ও মুসোলিনির সঙ্গে এক বৈঠকে চেকোস্লোভাকিয়ার বাঁটোয়ারা সম্পন্ন করেন। মিউনিখে হিটলারের কাছে চেম্বারলেন ও দালাদিয়ে যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তা থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সন্দেহ হয়েছিল যে হিটলারের সঙ্গে চেম্বারলেন ও দালাদিয়ের যোগসাজস ছিল। তাঁরা জার্মানিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। এই সন্দেহ অস্বাভাবিক ছিল না। কেননা মিউনিখ সম্মেলনে সোভিয়েত সরকারকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ সোভিয়েত ইউনিয়ন চেকোস্লোভাকিয়াকে রক্ষা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ফ্রান্স চেকোস্লোভাকিয়াকে রক্ষার করার জন্য
মার্চে মিউনিখের পর সি করলেন। বোহেমিয়া ও গত হলো। হিটলারের এই 1 গেল যে, শুধুমাত্র জার্মান । নয়। হিটলার তার বাইরে র পোল্যাণ্ডের দিকে হাত ড় দিতে হবে এবং পোলিশ থ দিতে হবে জার্মানিকে তার
ছিল না। মার্চের শেষদিকে য়ছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ক্রমশ বিস্থান অধিকতর অর্থবহ হয়ে তরের কমিসার নিযুক্ত হলেন ছিলেন না। সুতরাং তাঁর পক্ষে গলে কিছুপত্র বিনিময়ের পর গ্রট ব্রিটেন ও ফ্রান্স সোভিয়েত আলোচনা শুরু হয়েছিল কিন্তু কোনো তাড়া ছিল না ব্রিটেন মিশন মস্কোতে পাঠিয়েছিল তা ব্রাত্যজনের মতো ব্যবহার করা তাবিক ছিল যে এবারও হয়তো । অথচ যুদ্ধবাঁধলে রণাঙ্গন হবে তুলে আনবে না সোভিয়েত লিন আগেই বলেছিলেন। ট্রলারের পক্ষে স্টালিনের সঙ্গে ।রম্ভ হিটলারের এক দৃঢ় ধারণা ব হলে শেষ পর্যন্ত ব্রিটেন হয়তো ও ছিল অত্যন্ত জরুরি।
৬. পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত বৈদেশিক নীতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হবার কারণে ইউরোপের যে সকল অঞ্চল রাশিয়ার প্রভাববলয়ে (Sphere of influence) এসেছে তার মধ্যে প্রাক্তন এগারোটি স্বাধীন দেশ অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর মধ্যে এসটোনিয়া (Estonia), লাটভিয়া (Latvia) ও লিথুয়ানিয়া (Lithuania) এ তিনটি দেশকে সরাসরি দখল করে ১৯৪০ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য (Constituent Republic) হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক দখলকৃত পূর্ব এশিয়ার উত্তরাংশ, পোল্যান্ডের পূর্বদিকের প্রদেশসমূহ, চেকোস্লোভাকিয়ার রুথেনিয়ান প্রদেশ, বেসারাভিয়া ও উত্তর বুকোভিনাসহ রুমানিয়ার কিছু অংশ এবং কারেলিয়া বেসারাভিয়া ও উত্তর বুকোভিনাসহ রুমানিয়ার কিছু অংশ এবং কারেলিয়া প্রদেশসহ ফিনল্যান্ডের কিছু অংশ সে তার নিজ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। ইউরোপের অন্য আটটি দেশ নাম মাত্র স্বাধীনতা বজায় রাখলেও প্রকৃতপক্ষে রাশিয়ার প্রভাববলয়ে চলে যায়। এগুলোর মধ্যে চারটি দেশ, যথা : চেকোস্লোভাকিয়া, যুগোশ্লাভিয়া, আলবেনিয়া ও পোল্যান্ডকে সে নাৎসিদের কবলমুক্ত করেছে এবং ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রুমানিয়া ও বুলগেরিয়া এ চারটি দেশ যেগুলো প্রাক্তন অক্ষশক্তির (Axis Powers) তাঁবেদার দেশ হিসেবে জার্মানির পক্ষে যুদ্ধ করেছে সেগুলোকে রাশিয়া যুদ্ধে পরাজিত করে। ১৯৪৫ সনের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী চার্চিল (Winston Churchill), প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট (Franklin D. Roosevelt) ও মার্শাল স্টালিনের (Marshal Stalin) মধ্যে অনুষ্ঠিত ইয়াল্টা সম্মেলনের (Yalta Conference) মুক্ত ইউরোপ সম্পর্কিত ঘোষণায় (Declaration on Liberated Europe) বলা হয় যে “সরকারত্রয় ইউরোপের কোনো মুক্ত দেশ অথবা প্রাক্তন অক্ষশক্তির ইউরোপীয় তাঁবেদার দেশের জনগণকে তাদের দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিনিধিত্বকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারি কর্তৃপক্ষ গঠনে সম্মিলিতভাবে সাহায্য করবে এবং যতশীঘ্র সম্ভব অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতি সহানুভূতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারদ্ধ।” পোলান্ড সম্পর্কিত এক বিশেষ ঘোষণায় বলা হয় যে, সেখানকার অস্থায়ী সরকার গঠনের সময় সমস্ত গণতান্ত্রিক দলের কথা বিবেচনা করা হবে। কিন্তু ইয়াল্টা সম্মেলন শেষ হবার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন এ অঙ্গীকার ভঙ্গ করে উপরে উল্লিখিত দেশসমূহকে তার নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। রাশিয়ার এ বিশাল প্রভাববলয়ের সাথে যুক্ত হয় জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় তার সামরিক দখলদার অঞ্চলসমূহ। মোটের উপর যে সকল এলাকা সরাসরি রাশিয়ার সাথে যুক্ত হয় তার জনসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪০ লক্ষের মতো, এবং ফিনল্যান্ড বাদে যে দেশগুলো রাশিয়ার তাঁবেদার সরকারে পরিণত হয় তার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৯ কোটি।
রাপের মধ্যে 'লৌহ নকার অন্তরালে সর্বময় সোভিয়েত
উদ্দেশ্য ছিল প্রধানত তিনটি, যথা :
! মধ্যকার সংঘর্ষ নিবারক অঞ্চলে ন্ধুত্বপূর্ণ' সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং না যাতে যুদ্ধের সময় যেন তারা রযোগ্য মিত্র হিসেবে থাকে; (২)
প্রত্যেক ক্ষেত্রে পূর্ব ইউরোপীয় র গড়ে তোলা এবং পশ্চিমের প্রভাব র্থনৈতিক সম্পদরাজি ব্যবহার করে ব্যজনকভাবে আরেকটি যুদ্ধ চালিয়ে
পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, Napoleon Bonaparte), প্রথম র (Adolf Hitler) সকলেই পশ্চিম তরাং সোভিয়েত ইউনিয়ন যে তার ভাবিক। পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহ উনিয়নের নিকট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। করা যে এ দেশগুলো যেন পশ্চিমা ভয়েত ইউনিয়ন এ দেশগুলোর উপর ট কথা বলা প্রয়োজন যে দ্বিতীয় য়ত ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ কন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা লড়াইয়ে নার জন্য তার সম্প্রসারণের প্রাথমিক ন্ত্রণে রাখার প্রয়াস পায়। তাছাড়া জন্য এবং একটি পরাশক্তি হিসেবে ক্ষত্রে অগ্রগতি সাধন। পূর্ব ইউরোপীয় যন্ত্রপাতি কাজে লাগিয়ে সোভিয়েত জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার দখলদার অঞ্চল
রাশিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস ১৯৪৫ খ্রি. পর্যন্ত
থেকে প্রচুর পরিমাণে কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি ও তেল নিজ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজে লাগানোর জন্য নিয়ে যায়। এভাবে যদিও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাঁবেদার দেশসমূহ থেকে তার যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয়তা মিটাতে সক্ষম হয় তবুও
এ দেশগুলোকে নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখার পেছনে রাশিয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তার নিজ নিরাপত্তা বাড়ানো। পাঁচটি প্রধান ধাপে সে এ নিরাপত্তা নীতিকে বাস্তবে রূপদান করে। নিয়ে এগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
প্রথম ধাপ ছিল মুক্তকরণের যখন লাল বাহিনী এ দেশগুলোকে নাৎসি আক্রমণ ও উৎপীড়নের কবলমুক্ত করে। এ ব্যাপারে রাশিয়ানরা কিছুটা জনপ্রিয়তা লাভ করে বিশেষত এ কারণে যে তখন তারা নিজেদের শাসন চাপিয়ে না দিয়ে প্রত্যেক দেশে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু তলে তলে রাশিয়ানরা স্থানীয় কমিউনিস্টদের ট্রেনিং দিতে থাকে যাতে তারা পুঁজিপতি শোষকদের হটিয়ে দিয়ে নিজেরা রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করতে পারে। এভাবে গোমুলকা (Gomulka) পোল্যান্ড, গট ওয়াল্ট (Gottwald) চেকোস্লোভাকিয়ায়, রাজক (Rajk) এবং রাকোসি (Rakosi) হাঙ্গেরি, আনা পুকার (Ana Pauker) রুমানিয়ায় এবং দিমিত্রভ (Dimitrov) বুলগেরিয়ায় চলে আসেন। কিন্তু দুঃখর বিষয় যে যুগোশ্লাভিয়ায় এটা করার দরকার হয়নি কারণ লাল বাহিনী সেখানে পৌঁছার পূর্বেই মার্শাল টিটো (Marshal Tito)-র নেতৃত্বে সে দেশ নাৎসিদের কবলমুক্ত হয় এবং যেহেতু এ কারণে তিনি রাশিয়ানদের নিকট ততটা কৃতজ্ঞ ছিলেন না, সেহেতু পরিণামে তিনি তাদের তাঁবেদারি না করে স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম হন।
দ্বিতীয় ধাপে রাশিয়ানরা শুধু স্থানীয় কমিউনিস্ট দলকে ক্ষমতায় না বসিয়ে প্রত্যেক দেশে নাৎসিবিরোধী দলসমূহের কোয়ালিশন সরকার (Coalition goverment) প্রতিষ্ঠা করে। এ ধরনের কোয়ালিশনের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়, যেমন- চেকোস্লোভাকিয়ায় জাতীয় ফ্রন্ট (National Front), হাঙ্গেরিতে স্বাধীন জনতার ফ্রন্ট (Independent Peoples Front), রুমানিয়ায় জনতার গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (People's Democratic Front) ইত্যাদি। প্রথম দিকে এ ধরনের সরকারগুলোকে সত্যিকারের কোয়ালিশন সরকার মনে হলেও রাশিয়ানদের চাপের মুখে স্থানীয় কমিউনিস্টগণ অন্যান্য দলে অনুপ্রবেশ করতে সমর্থ হয়।
তৃতীয় ধাপে রাশিয়ানরা পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহে স্থানীয় কমিউনিস্ট ব্যতীত অন্য সকলকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে। রাশিয়ানদের চোখে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের বহিষ্করণের কাজটি তারা বিশেষ দক্ষতা সহকারে সমাধান করে। দেশে দেশে এর পদ্ধতি ছিল ভিন্ন। তারা খুব সহজেই অকমিউনিস্টদের কলঙ্কিত করতে সমর্থক হয়। উদাহরণস্বরূপ, রুমানিয়ার কৃষক দলের নেতা মানিউ (Maniu)-র উপর বিজয়ীদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়। অনেক সময় রাশিয়ানরা পশ্চিমের প্রতি 'সহানুভূতিশীল কোনো নেতাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য তার পক্ষে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব করে তোলে। পোল্যান্ডের কৃষক দলের
বার কলে চেকোস্লোভাকিয়া
পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহ ছল না, কারণ ক্রেমলিনের এসব নেতা চিরদিন রাশিয়ার রা জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নজে কমিউনিস্ট হয়েও যখন চলতে অস্বীকার করেন তখন ইউরোপীয় দেশসমূহে স্থানীয় ানের কাজ হবে না। এভাবে স্থানীয় কমিউনিস্টদের ক্ষমতা ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা সেখানকার স্থানীয় কমিউনিস্ট সালে পোল্যান্ডের ক্ষমতা থেকে ১ আনা পুকারকে অপসারণ করা না হয় তা হলো একদল স্থানীয় ওয়া এবং তারপর এক শ্রেণিকে অন্য শ্রেণির নেতৃবর্গ ভীত হয়ে তা রাজককে ১৯৪৯ সালে মৃত্যুদণ্ড ও তাঁর পদে বহাল রাখা হয়। ও ক্লিমেনটিস (Clementis) কে ৩ সনে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত নাম দেরকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের ভিন্ন দেশের ক্ষমতায় রাশিয়ানদের চ্যান্ডে এটা অনেকটা খোলাখুলিভাবে স্থি সেনানায়ক জেনারেল রকসোভস্কি মন্ত্রী ও সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে ভাবে করা হয় যাতে জাতীয় মর্যাদায় তৃতীয় সারির জাতীয় কমিউনিস্টদের সিদ্ধান্তসমূহ অতি সহজেই মেনে নিতে
তবুও রাশিয়া নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করতে পারেনি। এটা তাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক ছিল যে ইউরোপের যে অংশ তারা নিজেদের দখলে আনে সেখানকার অধিবাসীদের অধিকাংশই ছিল এমন শ্রেণির এবং ধর্মালম্বী যাদের নিকট কমিউনিস্ট প্রচারণা কোনোই প্রভাব ফেলতে পারে না। পোল্যান্ড, যুগোশ্লাভিয়া, রুমানিয়া ত বুলগেরিয়ায় কৃষক শ্রেণি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং চেকোস্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরিতেও অনেক কৃষক ছিল। আবার পোল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরির জনগণের এই বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। সাধারণত কৃষক শ্রেণির লোকজন চাষাবাদের উপযোগী জমি নিজেদের দখলে রাখতে চায় যেজন্য তারা কমিউনিজমের বিরোধী। অন্যদিকে ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারিগণও কমিউনিজমের অবাধ্য হিসেবে সুপরিচিত। পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ চিত্রস্তরী করতে হলে এ বাধা দুটো দূর করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পঞ্চম ধাপে তাই রাশিয়ানরা তাঁবেদার দেশসমূহে কৃষক শ্রেণি ও ক্যাথলিক চার্চ (Catholic Church) ধ্বংস করার কাজে লেগে যায়। রাশিয়া প্রথমে ভূমি আইনের (Land Act) মাধ্যমে এসব দেশে বৃহৎ জোতদার শ্রেণির কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে তা গরিব ও ছোট কৃষকদের মধ্য বিতরণ করে। এ কাজে তারা কিছুটা জনপ্রিয়তাও অর্জন করে যে জন তারা রোমান ক্যাথলিকদের পোপের (Pope) বিরুদ্ধে কোনো বড় রকমের বাধাবিপত্তি ছাড়াই ব্যবস্থা নিতে সমর্থ হয়। ১৯৪৯ সাল নাগাদ তারা কৃষি আবাদযোগ্য জমি সরকারি নিয়ন্ত্রণে খামারজাতকরণের (Collectivization) কাজ শুরু করে দেয়। কয়েক বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করে সমগ্র পূর্ব ইউরোপীয় দেশে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমে সক্ষম হয়। এভাবে রাশিয়া নিজ নিরাপত্তা বিধানকে জোরদার করার লক্ষ্যে তার নিজের ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যকার সংঘর্ষ নিবারক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সেখানে নিজ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কায়েম করে যাতে এ তাঁবেদার দেশসমূহ সবসময়ই তার নির্দেশ মেনে চলতে রাজি থাকে। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহ নিয়ে ক্রেমলিনের নেতৃবৃন্দের মাথাব্যথার অন্ত নেই। অনেক পূর্বেই এ ধরনের পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ফরাসি নেতা দ্য গল (Charles de Gaulle) কে ১৯৪৪ সালের নভেম্বর মাসে বলেছিলেন, 'বর্তমানে রাশিয়া এক সরিয়ে বিরাট পশু যে দীর্ঘকাল যাবৎ অনাহারে আছে। তাকে এখন আহার থেকে দূরে কিন্তু রাখা সম্ভব নয়, বিশেষত যখন সে একপাল বলির পশুর মধ্যে অবস্থান করছে। খাবার পর আসে পরিপাকের প্রশ্ন। যখন পরিপাকের সময় আসবে তখন রাশিয়ানরা তাদের কঠিন মুহূর্তের সম্মুখীন হবে (At present, Russia is a great beast which has been starved for a long time. It is not possible to keep her from eating, especially since she now lies in the middle of the herd of her victims. But after the meal comes the digestion period. When it is time to digest, the Russians will have their difficult moments ...)। ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে এ ধরনের কয়েকটি সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
াকে সরিয়ে ১৯৫৬ সালের ধিষ্ঠিত করা হয়। এছাড়াও ার করে নেয়, তার অভ্যন্ত সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে লে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক
৯৫৬ সালের ২৩ অক্টোবর স্ট ও সোভিয়েতবিরোধী এ আসন্ন অমঙ্গলের সংকেত খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় কারণ এবং সেখানকার পরিস্থিতি রা কমিউনিস্ট দলকে ভেঙে এবং সোভিয়েত শাসনের সিন্ন বিপদ দূর করতে এবং ত মস্কো ৪ নভেম্বর বিদ্রোহ চায়। এভাবে পেশিশক্তি ও তত্ত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। ভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ াহার করতে এবং হাঙ্গেরির om ist intervention in forces from Hungary an people.) সোভিয়েত [য়েজ সংকট (The Suez ধারণ পরিষদের আহ্বানের যুদ্ধ বাধার ভয়ে হাঙ্গেরির এরন (Raymond Aron ) ক যুগের অলিখিত আইন' অভিহিত করেছেন, অর্থাৎ রে তার প্রভাববলয়ের মধ্যে
তবুও হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেকগুলো তিক্ত শিক্ষা লাভ করে। প্রথমত, শুধু লাল বাহিনীর সহায়তায় সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব ইউরোপে তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে। এক্ষেত্রে মতাদর্শের চেয়ে সামরিক শক্তিই অধিক ফলদায়ক। দ্বিতীয়ত, পূর্ব ইউরোপীয় তাঁবেদার দেশসমূহে জাতীয়তাবাদী চেতনা এখনো শক্তিশালী এবং তা কিছুটা রাশিয়া বিরোধী। তৃতীয়ত, কর্তৃত্ব একবার ঢিলে হয়ে গেলে তা পুনঃস্থাপন করা খুব সহজ নয়। চতুর্থত, সোভিয়েত প্রাধান্যে নিয়ন্ত্রিত ওয়ারশ চুক্তির সামরিক মৈত্রীর সাথে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক ও সামরিক আনুগত্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন এ দেশগুলোতে অধিক পরিমাণ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা।

১৯৬৪ সনের অক্টোবর মাসে ক্রুশ্চেভ (Nikita S. Khrushchev) এর পতনের পর থেকে পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত নীতিতে প্রকৃতপক্ষে অনেক পরিবর্তন এসেছে স্টালিন যুগের সহানুভূতিহীন এক পক্ষীয় শোষণ থেকে ব্যবসায়ীসুলভ অর্থনৈতিক আদানপ্রদানের দিকে অধিক দৃষ্টি প্রদান করা হয়। এছাড়াও মস্কোর কড়া প্রহরা ও গুপ্তচরদের প্রেরিত তথ্যের ভিত্তিতে দৈনন্দিন নিয়ন্ত্রণের স্থলে যতদিন পর্যন্ত শাসনকর্তাদের কমিউনিস্ট চরিত্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর আনুগত্যের প্রতি ভীতি না আসে ততদিন পর্যন্ত জাতীয় কমিউনিস্টদেরকে তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার পরিচালনার জন্য অনেকটা স্বাধীনতা দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে সোভিয়েত বিরোধী মনোভাব মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। এ ধরনের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো ১৯৬৮ সনের চেকোস্লোভাকিয়া সংকট (Czechoslovakia Crisis) যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন হস্তক্ষেপ করে ।
১৯৬৮ সনের জানুয়ারি মাসে অসন্তুষ্ট স্টালিনবাদী ও সংস্কারবাদীদের (Reformers) একটি দল চেকোস্লোভাকিয়ার কমিউনিস্ট দলের সাধারণ সম্পাদক প্রাগে রাশিয়ার নিজস্ব লোক এন্টনিন নভোটনি (Antonin Novotny) কে ক্ষমতাচ্যুত করে তাঁর স্থলে আলেক্সজান্ডার ডুবচেক (Alexander Dubcek) কে বসায়। ডুবচেক ক্ষমতায় এসেই চোকোস্লোভাকিয়ার সমাজ উদারভাবে গড়ে তুলতে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অধিক স্বায়ত্তশাসন চান। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ সংস্কারমুক্তির কাজ এত দ্রুতবেগে সম্পন্ন হতে থাকে যে বসন্তকালের শেষ দিকে তা জনগণকে স্বাধীনতার জন্য উত্তেজিত করে তোলে। একই সাথে গণতন্ত্রীকরণের কাজও অগ্রসর হতে থাকে। এভাবে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিক থেকে আগস্ট পর্যন্ত চেকোস্লোভাকিয়ায় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মুক্তির পুনর্জন্ম ঘটে। কিন্তু প্রাগের সে সুদিন ক্ষণস্থায়ী হয়। কারণ ২১ আগস্ট খুব ভোরবেলা সোভিয়েত সৈন্যদল চেকোস্লোভাকিয়া আক্রমণ করে। তাদের সাথে যোগ দেয় পোল্যান্ড, পূর্ব জার্মানি, হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়ার সেনাবাহিনী যাতে এ হস্তক্ষেপকে ওয়ারশ চুক্তির অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ বলে প্রতিপন্ন
ট নিবন্ধ প্রকাশিত হয় উপস্থাপন করা হয়। এ য কোনো সমাজতান্ত্রিক অধিকার। এতে আরও গণের নিকট দায়ী নয়, এর প্রতিও তার বিশেষ কর্তব্য পালনের জন্যই [ঝতে কারোরই অসুবিধা স্ত্রি নয় বরং সোভিয়েত lovakia was Soviet
ভিয়েত ইউনিয়নের জন্য এর অভিজ্ঞতার আলোকে কে সংকটের পর এগুলো ১৯৮৯ সনে সমগ্র পূর্ব াতে এতদ্‌ঞ্চলে সোভিয়েত মধ্যায় বিস্তারিত আলোচনা
ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে ত ইউনিয়ন একটি পরাশক্তি হিত পর সে তার অভ্যন্তরীণ
• ব্যস্ত থাকার ফলে পশ্চিম । তবে ১৯৪৭ সাল থেকে লিনের (Marshal Stalin ) রোপ। এ সময় তিনি পশ্চিম বৃষ্টি করে সেখানকার স্থানীয় চষ্টা চালান। তাঁর এ ধরনের কার্যাবলির জবাবে দুর্বল ও অরক্ষিত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে অর্থনৈতিক ও পরে সামরিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়। ১৯৪৯ সালে ৪ এপ্রিল উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (North Atlantic Treaty Organization, সংক্ষেপে NATO) প্রতিষ্ঠিত হবার পর স্টালিনের প্রচেষ্টা ছিল পশ্চিম জার্মানিকে এ চুক্তি সংস্থায় যোগদান থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা। এজন্য ১৯৫২ সালের ১০ মার্চ পশ্চিমা শক্তিবর্গের নিকট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে জার্মানির পুনঃএকত্রীকরণের প্রস্তাব করেন। স্টালিনের এসকল কাজের পেছনে উদ্দেশ্য ছিল সুস্পষ্ট এবং তা হলো ইউরোপে সোভিয়েত সামরিক শক্তির প্রাধান্য বিস্তার।
১৯৫৩ সালের ৫ মার্চ স্টালিনের মৃত্যুর পর নতুন সোভিয়েত নেতৃবৃন্দ শান্তির ইঙ্গিত দিতে আরম্ভ করেন যাতে পশ্চিম ইউরোপেরও বিশেষ উল্লেখ ছিল। ১৬ মার্চ সুপ্রিম সোভিয়েতের ( Supreme Soviet ) সামনে এক বক্তৃতায় মালেনকভ (G. M. Malenkov) সোভিয়েত শাসকবর্গের মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন যে, শান্তি হলো তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। এর কয়েকদিনের মধ্যে জেনেভায় অবস্থিত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিশনের (United Nations Economic Commission for Europe) পূর্ব-পশ্চিম বাণিজ্য বৈঠকে সোভিয়েত প্রতিনিধিবর্গ ব্যবসায়ীসুলভ কৃতিত্বের পরিচয় দেন। সোভিয়েত ও পশ্চিমা আমলাবর্গ ও বুদ্ধিজীবিগণের মধ্যে অধিক যোগাযোগ রক্ষার ইচ্ছা ব্যক্ত করা হয় এবং সোভিয়েত কূটনীতিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালনে অধিক নিষ্ঠার পরিচয় দিতে থাকেন। এর ফে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে জার্মান প্রশ্নে ও নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় আসতে উৎসাহবোধ করে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যায় যে, এ বিষয়সমূে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়নি।
ক্রুশ্চেভ (Nikita S. Khrushchev) ক্ষমতায় আসার পর যে নীতি অনুসর করা আরম্ভ করেন তাতে দেখা যায় যে, তিনি পশ্চিম ইউরোপের চেয়ে তৃতীয় বিশ্বে (The Third World) প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। কিন্তু যদিও তাঁর নেতৃে সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিম ইউরোপের ব্যাপারে কিছুটা নমনীয়তার পরিচয় দেয়, তবু তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে সমর্থনের মাধ্যমে ইউরোপী ঔপনিবেশিক শক্তিসমূহের স্বার্থের ক্ষতিসাধন করা। তাঁর এ নীতি অচিরেই সোভিয়ে ইউনিয়নের জন্য সুফল বয়ে আনে। ইন্দোচীন ও উত্তর আফ্রিকায় ফরাসি অবস্থান দুর্ব হতে থাকে এবং ব্রিটেন মালয়কে স্বাধীনতা দিতে রাজি হয়। এছাড়াও ১৯৫৬ সনে সুয়েজ সংকটের (The Suez Crisis) সময় অ্যাংলো-মার্কিন সম্পর্ক কিছুটা খার হয়ে যায় ।
ক্রুশ্চেভ ও তাঁর উত্তরাধিকারী ব্রেঝনেভ-কোসিগিনের (Brezhnev Kosygi উদ্দেশ্য ছিল পরোক্ষভাবে উৎসাহ দানের মাধ্যমে পশ্চিমা শিবিরে অর্থাৎ ল‍ ওয়াশিংটন, প্যারিস ও বন এর নিজেদের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কে ফাটল ১ করা। ১৯৫৮ সনে চার্লস দ্য গল (Charles de Gaulle) ফ্রান্সের ক্ষমতায় ফিরে এ
তক সম্প্রদায় (European ইউরোপীয় সাধারণ বাজার ৫৭ সনের মার্চ মাসে রোন সাফল্যমণ্ডিত হলে তা সদস্য " ধনতন্ত্রের অবশ্যম্ভাবী পতন | আন্দোলন কিছুটা ক্ষতিগ্ৰস্ত হসেবে আত্মপ্রকাশ করলে তা ক্ষুণ্ণ করবে, কারণ এর ফলে রুদ্ধে ব্যবহার করে বাণিজ্যিক বাজারভুক্ত দেশসমূহের সাথে পনের কারণে ঐ সকল নদ্য দার্থিক সুবিধালাভেরও কোনো দ্য গল যখন সাধারণ বাজারে টো প্রয়োগ করেন তখন মস্কো
প্রথমদিকে সমন্বিত সামরিক অংশগ্রহণকে প্রত্যাহারের ইচ্ছা উক্ত চুক্তি সংস্থার সদর দফতর পর্কে নির্দেশ দেন সোভিয়েত দুর্বল করার লক্ষ্যে দ্য গলের চয়েত বন্ধুত্বের অনুরোধ জানান । ন সফরে গেলে তাঁকে প্রাণঢালা ঘোষণা করা হয় যে দুই দেশের
সম্পর্কোন্নয়নের পন্থা উদ্ভাবনের সম্ভাব্য
মাসে লাল বাহিনীর চেকোস্লোভাকিয়া দখলের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রচারমাধ্যমগুলো পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে প্রচারণার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং মস্কো বন এর সাথে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাবার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। ১৯৬৯ সনের অক্টোবর মাসে সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক দল (Social Democratic Party) ক্ষমতার এলে মস্কো-বন সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার এক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ দলের নেতা পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর উইলি ব্রান্ড (Willy Brandt) এর 'পূর্বনীতির' Brezhnev) এর ‘পশ্চিমনীতি (Ostpolitik ) সাথে ব্রেঝনেভ (Leonid (Westpolitik) খাপ খায়। ব্রান্ড বুঝতে পেরেছিলেন যে, অদূর ভবিষ্যতে যেহেতু পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির পুনঃএকত্রীকরণের সম্ভাবনা নেই, তাই পশ্চিম বার্লিনবাসীদের সুবিধার জন্য দুই জার্মানির শত্রুতা কমানো এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ১৯৬৯ সালের ৭ ডিসেম্বর মস্কোতে পরস্পরের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার অথবা ভীতি প্রদর্শন না করার জন্য দু'দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহের প্রতি সোভিয়েত নীতি ছিল এসব দেশের অভ্যন্ত রীণ ও পররাষ্ট্রনীতিকে এমনভাবে প্রভাবিত করা যাতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে সোভিয়েত স্বার্থের অনুকূল আচরণ প্রদর্শন করে। মস্কো স্বভাবতই চাইত যে পশ্চিম ইউরোপে সংহতি ও ঐক্যের বন্ধন ভেঙে গিয়ে যেন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় যাতে সে এরূপ অব্যবস্থাকে নিজের সুবিধায় কাজে লাগাতে পারে। মস্কো তা উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থকে পূরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে চাতুর্যের সাথে অগ্রসর হওয়া ও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তার সনাত অস্ত্রশস্ত্রে (Conventional weapons ) সজ্জিত শক্তিশালী পদাতিক বাহিনী পাশাপাশি বিরাট ধ্বংসযজ্ঞ সাধনে সক্ষম পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রসমূহও (Nuclea missiles) সর্বদা প্রস্তুত রাখত ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]