খলজী সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজী উপাধি ধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।


খলজী সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজী উপাধি ধারণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজী
সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজী নি:সন্দেহে খলজী মালিকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। তিনি
আফগানিস্তানের গরমশিরের অধিবাসী ছিলেন। কালক্রমে তিনি মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজীর সৈন্যদলে যোগ
দেন এবং নিজ বুদ্ধি, সাহস ও চরিত্রের বলে লখনৌতির মুসলিম রাজ্যের শাসকে পরিণত হন। লখনৌতির
মুসলিম রাজ্যকে তিনি শক্তিশালী এবং সংঘবদ্ধ করেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি দেবকোট থেকে রাজধানী
আবার লখনৌতিতে স্থানান্তর করেন এবং রাজধানীর প্রতি রক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য বসনকোর্ট নামে
একটি দুর্গ তৈরি করেন। লখনৌতি নদী তীরে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উপযুক্ত ছিল।
তাছাড়া ইওয়াজ খলজী বুঝতে পারেন যে, নদীমাতৃক পূর্ব বাংলাকে জয় করতে হলে এবং সামগ্রিকভাবে
বাংলাকে শাসনাধীনে রাখতে হলে নৌবহরের প্রয়োজন; ফলে রাজধানী নদীর সন্নিকটে হলে নৌবাহিনী গড়ে
তুলতে সুবিধা হবে। এতদিন তুর্কিরা অশ্বারোহী সৈন্যদের উপর নির্ভরশীল ছিল এবং এই কারণে তারা
নদীমাতৃক পূর্ব বাংলা দখল করতে সমর্থ হয়নি। এসব দিক বিবেচনা করে বাংলার মুসলিম শাসকদের মধ্যে
ইওয়াজ খলজিই প্রথম নৌবাহিনীর গোড়াপত্তন করেন এবং বাঙালি নাবিকদের সাহায্যে যুদ্ধ জাহাজ
চালাবার ব্যবস্থা করেন। এই নৌবাহিনীর দ্বারা তিনি একদিকে যেমন রাজধানী লখনৌতির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
সুদৃঢ় করেন, অন্যদিকে পূর্ব বাংলা জয়েরও পরিকল্পনা করেন।
সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজী নিঃসন্দেহে একজন সুশাসক ছিলেন। তিনি ন্যায় বিচারক ও
প্রজাহিতৈষী ছিলেন। সুলতান আলাউদ্দিন আলী মর্দানের সময় খলজী আমীর ও অন্যান্য প্রজাসাধারণ যে
দুঃখ-দুর্দশা ভোগ করেছিল তিনি তা দূর করেন এবং লখনৌতির সকল অধিবাসীকে একতাবদ্ধ করেন।
এভাবে লখনৌতিতে শান্তি স্থাপন করার পর তিনি রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। তিনি উড়িষ্যা,
কামরূপ, ত্রিহুত এবং পূর্ব-বাংলায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং এসব রাজ্যের রাজারা তাঁর নিকট কর
পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন। বখতিয়ার খলজীর মৃত্যুর পর লখনৌতির খলজী আমীরদের মধ্যে অর্ন্তবিরোধের
সুযোগ নিয়ে উড়িষ্যার সেনাপতি বিষ্ণু লখনৌতির অধিকার করেন। ইওয়াজ খলজী লখনৌতির পুরর্দখল
করে, উড়িষ্যার রাজাদের কর প্রদানের মাধ্যমে তাঁর বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য করেন। ইওয়াজ খলজী করতোয়া
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ইতিহাস পৃষ্ঠা ২৯১
নদীর পূর্বদিকে কামরূপ রাজ্যে অভিযান চালান এবং সেখানকার সামন্ত শাসকদের অন্তর্বিরোধের অবসান
ঘটিয়ে তাদের কাউকে কাউকে করদানে বাধ্য করেন। লখনৌতির পূর্বদিকে অবস্থিত, ত্রিহুতের
অর্ন্তবিরোধের সুযোগ নিয়ে ইওয়াজ খলজী ত্রিহুত আক্রমণ করেন এবং মুসলিম শাসনের অধীনে আনেন।
১২২৬-২৭ খ্রিস্টাব্দ পূর্বে ইওয়াজ খলজী পূর্ববঙ্গ আক্রমণ করেন। লক্ষণসেনের পুত্র বিশ্বরূপ সেন ঐ সময়ে
বিক্রমপুরে রাজত্ব করতেন এবং ইওয়াজ খলজী পূর্ববাংলা আক্রমণ করে কিছু কিছু এলাকায় স্বীয় আধিপত্য
বিস্তার করেন।
বখতিয়ার খলজীর পরে সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজীই সর্বপ্রথম রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন
এবং তিনি উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম সবদিকেই স্বীয় রাজ্যের সীমা বর্ধিত করেন। তিনিই সর্বপ্রথম
লখনৌতির মুসলিম রাজ্যকে বাংলার মুসলিম রাজ্যে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন। দিল্লির সুলতান
শামসউদ্দিন ইলতুৎমিশ তাঁকে বাধা না দিলে হয়তো স্বপ্ন সফল হতো।
দিল্লির সুলতানেরা বাংলাকে সর্বদা সন্দেহের চোখে দেখতো। ইওয়াজ বাংলায় নিজ নামে মুদ্রা প্রচলন করে
স্বাধীনভাবে শাসন করছিলেন। ইওয়াজ খলজীর স্বাধীনতাকে দিল্লির সুলতান ইলতুৎমিশ সুনজরে দেখেননি।
আনুমানিক ১২২৫ খ্রিস্টাব্দ সুলতান ইলতুৎমিশ ইওয়াজ খলজীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন। যুদ্ধে পরাজিত
ইওয়াজ খলজী ইলতুৎমিশের অধীনতা স্বীকার করেন। কিন্তু ইলতুৎমিশের দিল্লি প্রত্যাবর্তনের পর বিহারে
তাঁর নিযুক্ত মালিক আলাউদ্দিন জানীকে ইওয়াজ খলজী বিহার হতে তাড়িয়ে দেন, ফলে ইলতুৎমিশ তাঁর
জ্যেষ্ঠ পুত্র নাসিরউদ্দিন মাহমুদকে বিশাল সৈন্যবাহিনীসহ লখনৌতিতে প্রেরণ করেন এবং যুদ্ধে ইওয়াজ
খলজী পরাজিত হন। অত:পর তিনি বন্দি হন এবং পরে তাঁকে হত্যা করা হয়। এভাবে ইওয়াজ খলজীর
পরিসমাপ্তি ঘটে এবং বাংলার মুসলিম রাজ্য আবার দিল্লির অধীনে চলে যায়।
বাংলার মুসলমান শাসকদের মধ্যে সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজীই সর্বপ্রথম মুসলিম সুলতান যার
মুদ্রা অধিক পরিমাণে আবিষ্কৃত হয়েছে। ইওয়াজ খলজী সামরিক কারণে এবং প্রজাসাধারণের মঙ্গলের জন্য
রাজধানী লখনৌতির সাথে উত্তরে দেবকোট এবং দক্ষিণে লখনৌতির অর্থাৎ দুই সীমান্ত শহরের মধ্যে
সংযোগ স্থাপন করে একটি দীর্ঘ রাজপথ নির্মাণ করেন। ফলে, যুদ্ধের সময় সৈন্য চলাচলের যেমন সুবিধা
হয়, তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হয়। স্থানে স্থানে বাধ দিয়ে তিনি
কৃষকদেরকেও বন্যার কবল হতে রক্ষা করেন। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাহ্ তৈরি করেন। সুতরাং
বলা যায় যে, ইওয়াজ খলজী বাংলার খলজী শাসকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং সর্বাপেক্ষা সুশাসক ছিলেন। তাঁর
প্রচেষ্টায় বাংলার মুসলমান রাজ্য দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। বখতিয়ার বাংলায় মুসলিম শাসনের
প্রবর্তন করেছিলেন বটে, কিন্তু ইওয়াজ খলজীই মুসলিম শাসনের সুদৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন। বাংলায়
মুসলিম রাজ্যের স্থায়ীত্বে তাঁর অবদান অবশ্য স্বীকার করতে হবে। নৌবহর গড়ে তুলে তিনিই দক্ষিণ-পূর্ব
বাংলায় মুসলিম সম্প্রসারণের পথ সুগম করেন।
সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের বাংলা অভিযান
১২২৭ খ্রিস্টাব্দ সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজীর পরাজয় ও মৃত্যুর পর বাংলার মুসলিম রাজ্য দিল্লির
মুসলিম সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশে পরিণত হয়। ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর দিল্লির দুর্বল শাসনের সুযোগে
বাংলায় মুসলমান শাসনকর্তারা একাধিকবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন। ১২৬৬
খ্রিস্টাব্দ সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন দিল্লির সিংহাসন আরোহণ করে লখনৌতির বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন
করেন। বলবন জানতেন যে, বাংলা সর্বদা বিদ্রোহ করে।সুতরাং তিনি আমীন খানকে লখনৌতির শাসনকর্তা
এবং তুিঘ্রল খান সহকারি গভর্নর নিযুক্ত করেনÑ যাতে একে অপরের বিদ্রোহাত্মক কাজে বাধা দিতে পারে
এবং দৈনন্দিন ঘটনা সুলতানের গোচরে আনতে পারে। কিন্তু তুঘ্রিল খান অল্পদিনের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে
তাঁর উপরিস্থ গভর্নর আমীন খানকে বহিষ্কার করেন এবং লখনৌতির রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি করার দিকে
মনোযোগ দেন। তিনি উড়িষ্যা আক্রমণ করেন এবং বিপুল ধনরতœ ও হাতি হস্তগত করার পর তুঘ্রিল খানের
মনে স্বাধীন হবার সাধ জাগে। তিনি প্রচলিত রীতি ভঙ্গ করে যুদ্ধলব্ধ অর্থ দিল্লিতে না পাঠিয়ে নিজে রেখে
এস এস এইচ এল
ইউনিট--- পৃষ্ঠা ২৯২
দেন। তিনি পূর্ববঙ্গে অভিযান পরিচালনা করেন এবং সোনারগাঁও-এর নিকটবর্তী এলাকা পর্যন্ত জয় করেন।
সোনারগাঁও-এর অদূরে একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ তৈরি করেন যা ‘তুঘ্রিলের কিল্লা' বা ‘নারকিল্লা' নামে অভিহিত।
সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের রাজত্বকালে মোঙ্গলেরা পাঞ্জাব সীমান্তে প্রায় প্রতি বৎসরই আক্রমণ চালায়;
তাই, বলবন তাঁর রাজত্বের ষষ্ঠ বৎসরে পাঞ্জাব সীমান্তে গমন করেন এবং সেখানে প্রায় দুই বৎসরকাল
অতিবাহিত করেন। এই সময়ে তিনি একবার কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলে কিছুদিন দরবারে উপস্থিত হতে
অপারগ হয়ে পড়েন। ফলে, বাইরে রটে যায় যে, সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মৃত্যু হয়েছে। এই
সুযোগে বাংলায় তুঘ্রিল খানের অনুচরেরা তাঁকে স্বাধীনতা ঘোষণার পরামর্শ দেন এবং তুঘ্রিল তাঁর
অনুচরদের পরামর্শ মেনে সুলতান মুগিসউদ্দিন নাম ধারণ করে লখনৌতিতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
তুঘ্রিল কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার খবর পেয়ে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েন।
তিনি তুঘ্রিলকে শাস্তি দেয়ার জন্য অযোধ্যার গভর্নর মালিক তুরমতীকে সেনাপতি নিযুক্ত করে তুঘ্রিলের
বিরুদ্ধে এক সৈন্যবাহিনী পাঠালেন। ত্রিহুতের নিকট উভয় বাহিনী সামনাসামনি শিবির স্থাপন করে বেশ
কিছুদিন অপেক্ষা করে রইল। দূরদর্শী তুঘ্রিল খান এই সুযোগে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে নতুন নতুন সৈন্য সংগ্রহ
করেন এবং দিল্লির সৈন্যবাহিনীর সেনানায়কদের মধ্যে গোপনে প্রচুর ধনরতœ বিলি করেন। এতে দিল্লিস্থ
বাহিনীর অনেকেই ভিতরে ভিতরে তুঘ্রিল খানের পক্ষ অবলম্বন করে। যুদ্ধ আরম্ভ হলে দিল্লির সৈন্যবাহিনীর
অনেকেই যুদ্ধ করা হতে বিরত থাকে। ফলে, দিল্লি বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং পলায়ন করে।
সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন এর পরের বৎসর তুঘ্রিলকে দমন করার জন্য শিহাবউদ্দিন নামে আর একজন
সেনাপতির অধীনে এক নতুন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন। তিনি অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। কিন্তু
হঠাৎ দিল্লির সৈন্যবাহিনীর কিছু অংশ যুদ্ধক্ষেত্র হতে সরে দাঁড়ায়। সম্ভবত, তুঘ্রিলের নিকট হতে তারা
গোপনে উৎকোচ গ্রহণ করেছিল। ফলে, শিহাবউদ্দিনও পরাজিত হয়ে দিল্লি ফিরে যান। অত:পর ১২৮০-
৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রথম দিকে সুলতান বলবন নিজে বিশাল সৈন্যবাহিনীসহ লখনৌতি আক্রমণ করেন। পথে
দোয়াব ও অযোধ্যা হতে তিনি অনেক সৈন্য সংগ্রহ করেন। বলবন লখনৌতির কিছু দূরে পৌঁছলে তুঘ্রিল
লখনৌতি ছেড়ে পলায়ন করেন। বলবন সিপাহসালার হিসামউদ্দিনকে লখনৌতির শাসক নিযুক্ত করেন।
অত:পর বলবন তুঘ্রিলের পশ্চাদ্ধাবন করেন। তুঘ্রিল সোনারগাঁও-এর সন্নিকটে নির্মিত দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ
করেন। কিন্তু বলবন সোনারগাঁও-এর রাজা দনুজ রায়ের সাহায্যে দুর্গ আক্রমণের প্রাক্কালে তুঘ্রিল উড়িষ্যার
দিকে পলায়ন করেন। বলবন খবর পেয়ে ক্ষিপ্রগতিতে তুঘ্রিলকে অনুসরণ করেন। এবং উভয় সৈন্যদলকে
কয়েকভাগে ভাগ করে তুঘ্রিলের খোঁজে পাঠান। একদিন এইরূপ এক ক্ষুদ্রবাহিনী মালিক শের মান্দাজের
অধীনে বেশ কয়েক মাইল দূরে যায় এবং একদল ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলিত হয়। এই ব্যবসায়ীদের কাছ
থেকে মালিক জানতে পারেন যে, মাইল খানেক দূরে একটি নদীর তীরে তুঘ্রিল শিবির স্থাপন করেছেন।
মালিক শের মান্দাজ তাঁর ক্ষুদ্রবাহিনীসহ ক্ষিপ্রগতিতে তুঘ্রিলের শিবির আক্রমণ করেন এবং তুঘ্রিল এইরূপ
আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাঁর সৈন্যরা যে যেদিকে পারে পালিয়ে যায় এবং তুঘ্রিল নিজে সাঁতরিয়ে
নদী পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি তীর বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন কিছুদিন
লখনৌতিতে অবস্থান করেন এবং পুত্র বুঘরা খানকে লখনৌতির শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দিল্লি ফিরে যান,
ফলে বাংলা আবার দিল্লির শাসনাধীনে আসে।
সার সংক্ষেপ
হিন্দু-বৌদ্ধ শাসনের অবসানের পর মুসলিম শাসকদের আগমন বাংলার সমাজ সংস্কৃতিতে ব্যাপক
পরিবর্তন বয়ে আনে। বাংলায় প্রাথমিক মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার কালে বখতিয়ার খলজী অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন। নিজের দৃঢ়তা, অভিযানে ঝাড়খন্ড অঞ্চল ব্যবহার এবং ঝটিকা
আক্রমণ বখতিয়ারের সহজ সাফল্যের কারণ। খলজী মালিকদের অধীনে (আলী মর্দান খলজী, শীরান
খলজী) বাংলায় মুসলমান শাসন অব্যাহত থাকে। এরপর ইওয়াজ খলজী লখনৌতির মুসলিম রাজ্যকে
বাংলার মুসলিম রাজ্যে পরিণত করতে শুন্ডু করেন। মুসলমান শাসকদের মধ্যে তিনিই প্রথম বাংলায়
নৌবাহিনীর পত্তন করেন। তাঁর আমলের অনেক মুদ্রা পাওয়া গেছে। ইওয়াজ দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায়


মুসলিম সম্প্রসারণের পথ সুগম করেন। ইওয়াজের মৃত্যুর পর দিল্লির সুলতান বলবন বাংলা অভিযান
পরিচালনা করেন। এসময় বুঘরা খান লখনৌতির শাসনকর্তা নিযুক্ত হন এবং বাংলা দিল্লির
শাসনাধীনে আসে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
সঠিক উত্তরের পাশে (√) চিহ্ন দিন।
১। বখতিয়ার খলজী কোন অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন?
(ক) আফগানিস্তানের গরমশির (খ) মধ্য এশিয়ার
(গ) উত্তর ভারতের (ঘ) দক্ষিণ ভারতের।
২। বখতিয়ার খলজী কোন বিহার জয় করেন?
(ক) সোমপুর বিহার (খ) শালবন বিহার
(গ) ওদন্তপুরী বিহার (ঘ) আনন্দ বিহার।
৩। বখতিয়ারের নদীয়া আক্রমণের পথ কোনটি?
(ক) তেলিয়াগড় (খ) ঝাড়খন্ড
(গ) দেবকোট (ঘ) সোনারগাঁও।
৪। খলজী মালিকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]