লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ঃ সংস্কারসমূহ


বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে একজন হিতবাদী গভর্নর জেনারেল হিসেবে বেন্টিঙ্ক ভাস্বর হয়ে আছেন।
জীবনের বিভিন্ন পর্বে তিনি যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন সেটিই তাঁকে একজন দূরদর্শী এবং মহৎ
শাসকে রূপান্তরিত করে। লর্ড উইলিয়াম কেভেল্ডিশ বেন্টিঙ্ক যৌবনে ছিলেন ডিউক অব ওয়েলিংটনের
অধীনে একজন সৈনিক। এরপর ভারতে আসেন (১৮০৩ খ্রি.) মাদ্রাজের গভর্নর হিসেবে এবং স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন করেন ১৮০৭ খ্রি.। মূলত ১৮০৬ খ্রি. ভেলোরে যে সিপাহী বিদ্রোহ দেখা দেয় সেজন্য
কোম্পানি তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি কোম্পানির সদর দপ্তরে খ্যাতিমান প্রগতিশীল দার্শনিক
জেমস্ মিলের সাথে একটি দায়িত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। এ সময় বেন্টিঙ্ক মিলের সহচর্য ও জীবনবোধ দ্বারা
প্রভাবিত হয়েছিলেন। ১৮২৯ খ্রি. বেন্টিঙ্ক ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর
সাথে অনেক উদারপন্থী এবং প্রগতিশীল রাজকর্মচারীও ভারতে আসেন। একই সময় লন্ডনে যে ‘হুইগ'
গোষ্ঠী ক্ষমতা লাভ করেছিল তাদের নীতিই ছিল প্রগতিবাদ ও সংস্কার। বেন্টিঙ্ক ছিলেন উদারপন্থী,
সংস্কারবাদী এবং মুক্ত প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী। তিনি ছিলেন ভিক্টোরিয়ান যুগের মূর্ত প্রতীক। তিনি বিশ্বাস
করতেন যে, ভারতের জনগণের প্রতি শাসক ইংরেজদের এক নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এই চিন্তা থেকেই
তিনি সংস্কারে ব্রতী হয়েছিলেন। অবশ্য সমালোচকদের মতে, বেন্টিঙ্কের এসব কর্মকান্ড ছিল ভিক্টোরিয়
যুগের গর্বোদ্ধত ব্রিটিশ মনোভাবের প্রতিফলন মাত্র।
তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে বেন্টিঙ্কের সংস্কার
বেন্টিঙ্কের শাসনকাল যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্যে বিখ্যাত নয়। বরং শান্তি এবং সংস্কারের
জন্যে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু যুগান্তকারী
সংস্কার সাধন করেন। নি¤েœ তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোÑ
ক. অর্থনৈতিক সংস্কার
বেন্টিঙ্কের দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই কোম্পানির আর্থিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে এবং অর্থনীতির
কাঠামো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় কঠোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেমন ব্যয় সংকোচন, রাজস্ব
বৃদ্ধি, যুদ্ধ বিগ্রহে অর্থ ব্যয় না করে শান্তি স্থাপন ইত্যাদি নানামুখী পদক্ষেপ নেন তিনি। ব্যয় সংকোচনের
জন্যে প্রথম যে পদক্ষেপটি গ্রহণ করেন, তার মধ্যে ছিল সামরিক খাতে ব্যয় হ্রাস। তিনি সৈনিকদের



‘অর্ধেক ভাতা' বাতিল করেন এবং সামরিক কর্তাদেরও বেতন কমিয়ে দেন। এই কঠোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে
ইউরোপীয় কর্মচারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। কিন্তু কোম্পানির নীতি নির্ধারকরা বেন্টিঙ্কের সমর্থন করায়
তিনি সহজেই বিক্ষোভ দমন করেন।
দ্বিতীয়ত, তিনি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি আফিম ব্যবসায়ের ওপর কর
ধার্য করেন। বাংলায় অসাধু উপায়ে যেসব নিষ্কর ভ‚মি দেখানো হয়েছিল তা বাতিল করে রাজস্ব ধার্য
করেন। আগ্রা অঞ্চলের ভ‚মি ব্যবস্থার পরিবর্তন করে তিনি নতুন হারে রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। এছাড়াও
তিনি যুদ্ধ প্রবণ এলাকায় যেমন সিন্ধুর আমীরদের সাথে এবং পাঞ্জাবে রনজিৎ সিংহের সাথে সন্ধি স্থাপন
করেন। এর ফলে ঐসব অঞ্চলে বণিকদের ব্যবসা বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত হয়। এলাহাবাদে তিনি একটি
রাজস্ব বোর্ড (জবাবহঁব ইড়ধৎফ) প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি দক্ষ ব্যবস্থাপনার সূচনা
করেন যার ফসল অল্পদিনের মধ্যে কোম্পানি পেয়েছিল। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বেন্টিঙ্কের দায়িত্ব গ্রহণের
সময় কোম্পানির বাৎসরিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল দশ লক্ষ টাকা; কিন্তু দু'তিন বৎসর দেখা গেল যে, ঘাটতি
পূরণের পরও আরো পনের লক্ষ উদ্বৃত্ত হতো।
খ. প্রশাসনিক সংস্কার
কর্ণওয়ালিস বাংলা তথা ভারতে যে ঔপনিবেশিক শাসন কাঠামোর প্রবর্তন করেছিলেন, বেন্টিঙ্ক তাতে
ব্যাপক পরিবর্তন করেন। কর্নওয়ালিস যেসব ভ্রাম্যমান বিচারালয় ও আপীল আদালত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
বেন্টিঙ্ক তা বাতিল করে দেন। কারণ এই ব্যবস্থায় বিচার কাজে অযথা বিলম্ব হতো। নতুন ব্যবস্থায়
ফৌজদারি মামলার দায়িত্ব জেলার বিচারকদের হাতে প্রদান করেন এবং কালেক্টরদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা
প্রদান করেন। তাঁর সময় প্রথম কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি বিভাগ তৈরি করা হয় এবং এর প্রধান হিসেবে
যিনি নিযুক্ত হন, তাকে বলা হতো কমিশনার। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জজ ও পুলিশের কাজের তত্ত¡াবধানের
দায়িত্ব ছিল তাঁর। বেন্টিঙ্ক যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতীয়দের সরকারি কাজে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেন।
বেন্টিঙ্কের আগ পর্যন্ত ভারতীয়দের মধ্য থেকে কোন বিচারক নেয়া হতো না। তিনি শুধু ভারতীয়দের
বিচারকই নিযুক্ত করার ব্যবস্থা করেন এমন নয়, তাঁদের বিচার ক্ষমতা, পদমর্যাদা এবং বেতনও বৃদ্ধি
করেন। আগে আদালতগুলোতে ফারসি ভাষায় বিচার কাজ চলতো। তিনি স্থানীয় ভাষায় বিচার কাজ
চালানোর অনুমতি দেন। এর ফলে বিচার ব্যবস্থা জাতীয় চরিত্র ধারণ করে।
বেন্টিঙ্কের সময় থেকে কোম্পানির কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছ থেকে
‘গোপন রিপোর্ট' (ঈড়হভরফবহঃরধষ জবঢ়ড়ৎঃ) প্রেরণের বিধান চালু করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই কর্মকর্তাদের
পদোন্নতি হতো। আজো সরকারের চাকুরিতে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
গ. সামাজিক সংস্কার
বেন্টিঙ্কের সংস্কারের মধ্যে সামাজিক সংস্কারেই সুদূর প্রসারী ভ‚মিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ভারতীয়
সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেসব কুসংস্কার বিরাজমান ছিল তার অনেকটাই দূরীভ‚ত করার যুগান্তকারী পদক্ষেপ
নেন তিনি। বাংলা তথা ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার গোড়াপত্তনও করেন তিনি।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথম থেকেই ভারতে ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে। ফলে
এদেশীয় জনগণের মধ্যে কুসংস্কার এবং অমানবিক প্রথা প্রচলিত ছিল সে বিষয়ে ভারতের এই নব্য
শাসকরা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। সে সময় রাজপুত, জাঠ প্রভৃতি জাতির মধ্যে শিশু হত্যার মতো
অমানবিক প্রথা প্রচলিত ছিল। ভারতের অনেক উপজাতির মধ্যে কন্যা সন্তান ভ‚মিষ্ট হলে তাকে গঙ্গা
নদীতে নিক্ষেপ করা হতো এবং এটাকে তারা পূণ্য কাজ হিসেবে বিবেচনা করতো। এসব নিষ্ঠুর প্রথা দেখে


প্রগতিশীল ও উদারপন্থী ইংরেজ শাসকগণ বিচলিত বোধ করেন। ফলে দেখা যায় যে, স্যার জন শোরের
সময় ১৭৯৫ খ্রি. এক আইনে শিশু হত্যা দন্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভারতের সমাজের
সবচেয়ে নিষ্ঠুর প্রথা সতীদাহ তখনও অব্যাহত ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর হিন্দু বিধবাগণকে স্বামীর চিতায়
ঝাঁপ দিতে হতো এবং এভাবে তাদের জোরপূর্বক হত্যা করা হতো। অবশ্য অনেকেই স্বেচ্ছায় ঝাঁপ দিতো।
যাহোক এ প্রথা ছিল অমানবিক। ফলে দেখা যায় যে, লর্ড কর্নওয়ালিসের সময় থেকে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ
করার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীকালে অনেক গভর্নর জেনারেল এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন, তবে সফল
হননি। কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বেন্টিঙ্ক এই প্রথা নিষিদ্ধ করতে সমর্থ হন। তিনি ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয়
বিচারকগণ, রাজা রামমোহন রায় এবং প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখ হিন্দু উদারপন্থীদের সহযোগিতায় এক
আইনের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। শুধু তাই নয়, সতীদাহে প্ররোচনা এবং সহায়তা
করাকেও গুরুতর শাস্তিযোগ্য অপরাধরূপে ঘোষণা করা হয়েছিল।
বেন্টিকের অন্যতম প্রধান কৃতিত্ব হলো ‘ঠগী দমন'। এই ঠগীরা ছিল কালী ও দুর্গার উপাসক। ডাকাত এবং
মানুষ খুনই ছিল তাদের পেশা ও নেশা। মুঘল যুগ থেকেই এরা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়ে
আসছিল। এরা নিরীহ পথিকদের অনুসরণ করে নির্জন স্থানে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং সর্বস্ব লুট করতো।
বেন্টিঙ্ক ঠগী দমনের জন্য এক স্বতন্ত্র প্রশাসনিক বিভাগ স্থাপন করেন এবং কর্নেল শ্লীম্যানের সহায়তা
১৮২৯Ñ৩৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ঠগীদের সম্পূর্ণভাবে দমন করেন।
পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তন
আধুনিক শিক্ষা প্রচারের মাধ্যমে ইংরেজরা এদেশে একটি বিপ্লব সাধন করেছিলেন। এই আধুনিক শিক্ষা
বিস্তারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পৃষ্ঠপোষকতা করেন লর্ড বেন্টিঙ্ক। অবশ্যক বেন্টিঙ্কের আগে থেকেই একটি
প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্টে সর্বপ্রথম কোম্পানি বাৎসরিক এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ
করে। এই টাকার দেশীয় ভাষা যেমন সংস্কৃত ও ফারসি ভাষায় শিক্ষাদানের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়।
১৮৩৩ খ্রি. বেন্টিঙ্ক সিদ্ধান্ত নেন যে, ইংরেজি ভাষায় শিক্ষাদানের জন্যে এই টাকা ব্যয় করা হবে।
তৎকালীন ব্রিটিশ সেক্রেটারী প্রিন্সেপ (ঐ.ঞ.চৎরহপবঢ়) এবং ঐতিহাসিক উইলসন (ডরষংড়হ) প্রাচ্য ভাষায়
শিক্ষার জন্যে সরকারি অর্থ ব্যয় করার পক্ষপাতি ছিলেন। অন্যদিকে গভর্নর জেনারেলের আইন বিষয়ক
সদস্য এবং বেন্টিঙ্কের ঘনিষ্ঠ সহচর লর্ড মেকলে যুক্তি দেখান যে, ভারতীয় ভাষাগুলোর অবস্থা এত হীন যে,
এর মাধ্যমে পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষাদান অসম্ভব। রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে সে সময়ের
প্রগতিশীল ব্যক্তিগণ মেকলের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। ফলে দেখা যায় যে, ১৮৩৫ ইংরেজি ভাষায়
শিক্ষাদানের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ঐ বছর বেন্টিঙ্কের প্রচেষ্টায় কলিকাতায় একটি মেডিকেল
কলেজ এবং বোম্বাই-এ এলফিন্স্টোন ইনস্টিটিউশন স্থাপন করা হয়। সরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু ইংরেজি
স্কুল ও কলেজ খোলা হয়েছিল।
ইতিহাসে বেন্টিঙ্কের স্থান
উদারপন্থী এবং মানবতাবাদী বেন্টিঙ্ক রাজ্য বিস্তারের চেয়ে সমাজ সংস্কার এবং প্রজাদের উন্নয়নের জন্যে
প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। লর্ড মেকলে বেন্টিঙ্কের প্রশংসা করে বলেছেন যে, তিনি ছিলেন একজন জনহিতৈষী
শাসক। মেকলে আরো বলেছেন যে, লর্ড বেন্টিঙ্ক সর্বপ্রথম প্রাচ্য দেশের স্বৈরাচারী শাসকদের বদলে ব্রিটিশ
জাতির স্বাধীনতার স্বাদ ভারতীয়দের দিয়েছিলেন। এই বক্তব্যে অতিরিক্ত আবেগ ও উচ্ছ¦াস থাকলেও
বিষয়টি অসত্য নয়। আধুনিক ও মুক্তমনা মানুষ তৈরির জন্যে পরিবেশ সৃষ্টি, পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের
প্রচার, নিষ্ঠুর ও অমানবিক ধর্মীয় প্রথা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে বেন্টিঙ্ক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেন।
বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে বেন্টিঙ্ক তাই অমর হয়ে আছেন।

সারসংক্ষেপ
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রি. ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর
শাসনকালে যুদ্ধ-বিগ্রহ বা সাম্রাজ্যবিস্তারের পরিবর্তে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বেশ
কিছু যুগান্তকারী সংস্কার সাধন করেন। সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরণ ও পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তন তার মধ্যে
অন্যতম। বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসে হিতবাদী একজন শাসক ও সংস্কার হিসেবে তিনি তাই অমর
হয়েআছেন।

সহায়ক গ্রন্থপঞ্জী ঃ
১. আবদুল করিম, বাংলার ইতিহাস (১২০০-১৮৫৭ খ্রি.)।
২. ড. মুহম্মদ আবদুর রহিম ও অন্যান্য, বাংলাদেশের ইতিহাস।
পাঠোত্তর মূল্যায়নÑ
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। বেন্টিঙ্ক কত খ্রি. গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকরেনÑ
(ক) ১৮২০ (খ) ১৮২৯
(গ) ১৮৩৮ (ঘ) ১৮৪৭ খ্রি.।
২। বেন্টিঙ্ক কোথায় রাজস্ব বোর্ড স্থাপন করেনÑ
(ক) ঢাকায় (খ) কলিকাতায়
(গ) এলাহাবাদে (ঘ) চট্টগ্রামে।
৩। প্রশাসনিক সংস্কারের জন্যে বেন্টিঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেনÑ
(ক) বিভাগ (খ) জেলা
(গ) থানা (ঘ) ইউনিয়ন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১। বেন্টিঙ্ক রাজস্ব ব্যয় সংকোচন ও রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য কি কি পদক্ষেপ নেন?
২। পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনে বেন্টিঙ্কের ভ‚মিকা মূল্যায়ন করুন।
৩। সংক্ষেপে বেন্টিঙ্কের কৃতিত্ব মূল্যায়ন করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১। বেন্টিঙ্কের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার সম্পর্কে আলোচনা করুন।
২। ভারতীয় সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে বেন্টিঙ্কের পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা করুন। এগুলো ভারতীয় সমাজকে
কতটুকু রূপান্তরিত করেছিল।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]