তিতুমীরের আন্দোলনের স্বরূপ কি ছিল?


পলাশীর যুদ্ধের পর একশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলার মুসলমানেরা চরম অধপতনের সম্মুখীন হন।
পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে মুসলমানেরা রাজ্যহারা হয়। সামরিক ও অন্যান্য লোভনীয় প্রশাসনিক চাকুরি
থেকেও তারা বঞ্চিত হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলায় যে স্বল্পসংখ্যক মুসলমান জমিদার ছিলেন,
তারাও তাদের জমিদারী হারান। ইংরেজরা তাদের শাসনের শুরু থেকেই মুসলমানদের সন্দেহের চোখে
দেখতো, কেননা তাদের কাছ থেকেই তারা বাংলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল। আবার একই কারণে
মুসলমানেরাও ইংরেজদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতেন। ধর্ম, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির দিক দিয়ে
মুসলমানদের এই অধপতনের বিষয়টি কিছু সমাজ সংস্কারককে আলোড়িত করে। উনিশ শতকের শুরুর
দিকে কয়েকজন মুসলমান ধর্মীয় ও সমাজ সংস্কারকের আবির্ভাব হয়। এঁরা মুসলিম সমাজের প্রচলিত
কুসংস্কারসমূহ দূর করে মুসলমানদের মধ্যে একটি ঐক্য সৃষ্টি করা এবং একই সাথে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের
লক্ষ্য সামনে রেখে অগ্রসর হতে থাকেন। এই একই উদ্দেশ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে পরিচালিত ওয়াহাবি
আন্দোলনের প্রভাব বাংলাতেও লক্ষ্য করা যায়। তবে বাংলায় বিশেষ করে ইংরেজ নীলকর ও উচ্চ বর্ণের
হিন্দু জমিদার শ্রেণীর অত্যাচার ও শোষণ নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য দরিদ্র চাষী, তাঁতি ও জোলা
শ্রেণী সশস্ত্র প্রতিরোধের দিকে অগ্রসর হয়। বাংলায় এই প্রতিরোধ সংগ্রামের অন্যতম নেতা ছিলেন
ওয়াহাবি আদর্শের অনুসারী তিতুমীর।
তিতুমীরের আসল নাম মীর নিসার আলী, কিন্তু তিতুমীর নামেই তিনি বেশি পরিচিত। ১৭৮২ খ্রি. চব্বিশ
পরগণা জেলার বারাসত মহকুমার চাঁদপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলমান পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
ছেলেবেলায় তিনি লেখাপড়া করেন গ্রামের এক মাদ্রাসায়। এ সময় থেকেই দু'টি গুণের সমন¦য় ঘটেছিল
তাঁর মধ্যে; একদিকে তিনি ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও ধর্মপ্রাণ, অন্যদিকে তিনি ছিলেন শক্তিশালী ও অসম সাহসী।
গ্রামেরই একটি ব্যায়ামাগারে অনুশীলন করে একজন কুস্তিগীর হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এক সময়
নদীয়ার জমিদারের অধীনে লাঠিয়ালের চাকরিও গ্রহণ করেন। উনচল্লিশ বছর বয়সে তিনি মক্কায় হজ্জ্ব
করতে যান। সেখানে ওয়াহাবি আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আহমদ বেরেলভির সংস্পর্শে এসে তিতুমীর তাঁর
আদর্শ ও মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। চার বছর পর দেশে ফিরে এসে তিনি কলিকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে
বসবাস করে অবশেষে নারিকেলবাড়িয়ার কাছে হায়দারপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। এ সময়েই তিনি ধর্ম
সংস্কারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। স্থানীয় অনেক চাষী ও তাঁতি তাঁর অনুসারী হয়।



ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন আর জমিদার শ্রেণীর অত্যাচারে নি¤œবর্ণের মুসলমানেরা তখন বিপর্যস্ত ও
সর্বশান্ত। এদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তিতুমীর প্রথমে মুসলমান সমাজে অনুপ্রবেশ করা বিভিন্ন
ধরনের কুসংস্কার দূর করতে সচেষ্ট হলেন। পীর মানা, কবরের ওপর মাজার তৈরি করা, পীরের মাজারে
গান-বাজনা, মৃতদের উদ্দেশ্যে শিরনি দেওয়া তিনি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তাঁর শিক্ষা ছিল ইসলাম ধর্মের
মৌল বিষয়গুলো নিষ্ঠার সাথে পালন করা আর অন্য ধর্মের যেসব কুসংস্কার ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করেছে তা
বর্জন করা। মুসলমান সমাজে প্রবেশ করা ইসলাম বিরোধী রীতি-নীতির বিরুদ্ধেই তিতুমীরের আন্দোলনের
সূচনা হয়। তিতুমীরের এই আন্দোলনের ফলে একদিকে যেমন তাঁর অনুসারী একটি দল সৃষ্টি হয়, আবার
অপরদিকে মুসলমানদের মধ্যেও এমন অনেকে ছিলেন, যারা এসব রীতি-নীতি বা কুসংস্কার ছাড়তে রাজি
ছিলেন না। ফলে তিতুমীর ও তাঁর সংস্কারপন্থীদের সাথে ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরোধ দেখা দেয়। আবার
তিতুমীরের অধীনে কৃষক-প্রজাদের সংগঠিত হতে দেখে হিন্দু জমিদারেরা তিতুমীরের সংস্কার আন্দোলনে
আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফলে তিতুমীরের সাথে হিন্দু জমিদারদের সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সৃষ্ট জমিদারদেরকে সরকারের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব
পরিশোধ করতে হতো। এর ফলে জমিদারিতে তাদের একচেটিয়া অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে তারা
চাষী রায়তদের কাছ থেকে ভ‚মি কর ও অন্যান্য কর আরোপ করে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে আদায়
করতো। অনেক সময় হিন্দু জমিদারেরা তাদের পূজা পার্বণের জন্যেও প্রজাদের কাছ থেকে জবরদস্তি কর
আদায় করতো; অনেক সময় তাদেরকে আটকও করতো। নারিকেলবাড়িয়ার অধিকাংশ প্রজা ছিল মুসলমান
তাঁতি ও কৃষক, তাই তারা সংগঠিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জমিদারদের অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং শিগগিরই
উভয়পক্ষে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
জমিদারেরা দাড়ির ওপর কর আরোপ করলে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই দাড়িকর তিতুমীর
ও জমিদারদের মধ্যে সংঘর্ষের তাৎক্ষণিক কারণ। বিশেষ করে গুনিয়ার জমিদার রামনারায়ণ ও পুঁড়ার
জমিদার কৃষ্ণদেব রায় দাড়িকর নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু করেন। তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা এই কর দিতে
অস্বীকার করলে জমিদার লাঠিয়াল পাঠিয়ে তাদের উপর হামলা করে। প্রজারা জমিদারদের বিরুদ্ধে থানায়
নালিশ করে বারাসতে মামলা দায়ের করে এমনকি কলিকাতার কমিশনারের কাছে প্রতিকার চেয়েও তারা
ব্যর্থ হয়। তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা বুঝতে পারে ইংরেজ সরকার জমিদারদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতেই
বেশি আগ্রহী, চাষীদের ভালমন্দের ব্যাপারে ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী একেবারেই উদাসীন। তাই তারা নিজেরাই
প্রতিশোধ গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর হয়।
তিতুমীরের দলের সাথে সংঘর্ষ বাধে জমিদারদের। নওঘাটার জমিদার দেবনাথ রায় তাদের হাতে নিহত
হন। এরপর জমিদারদের সাথে আরো দু'টি সংঘর্ষে তিতুমীরের বাহিনী জয়লাভ করে। এতে তাদের
আত্মবিশ্বাস এতো বেড়ে যায় যে, তারা ইংরেজদের ক্ষমতার কথা ভুলে ইংরেজ রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে
মুসলিম শাসন পুনপ্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষণা করে। জমিদারেরা নীলকরদেরকে বোঝাতে চেষ্টা করে যে,
তিতুমীরের সংগ্রাম মূলত ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। জমিদারদের প্ররোচণায় মোল্লাহাটির নীলকর
ডেভিস তিতুমীরকে আক্রমণ করে পরাজিত হয়। তিতুমীরের দল প্রতিশোধ নিতে নীলকুঠি আক্রমণ করে
লুটপাট করে। এর ফলে আশেপাশের এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি হয়। জমিদার ও নীলকর সাহেবেরা সরকারের
কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানায়। ইংরেজ সরকার অত্যন্ত দ্রুত সাড়া দেয়। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৫
নভেম্বর বারাসতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডার ১২৫ জনের একটি পুলিশ বাহিনী নিয়ে
নারিকেলবাড়িয়ায় পৌঁছলে তিতুমীরের দল হঠাৎ তাদের আক্রমণ করে। অপ্রস্তুত ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডার
তার দল নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও কয়েকজন সিপাহী ও বরকন্দাজ ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এই
বিজয়ে বিদ্রোহীদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। তারা আশেপাশের নীলকুঠিগুলো লুট করে। এরপর নদীয়ার
জেলা-ম্যাজিস্ট্রেট ২৫০ জন পুলিশ ও বেশ কিছু হাতি নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া যান, জেলার নীলকর


সাহেবরাও তাদের লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়। কিন্তু তিতুমীরের বিরাট বাহিনী ঢাল, তলোয়ার, লাঠি,
বর্শা, সড়কি নিয়ে এই দলের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ পরিচালনা করলে ম্যাজিস্ট্রেট তার দলবল নিয়ে
পালিয়ে যান। এখানে সরকার পক্ষের অনেকে আহত হয়।
বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডার কলিকাতা পৌঁছে সরকারকে পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে
অবহিত করে তিতুমীরের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। ইংরেজ সরকার এবার আরো চিন্তিত
হয়ে পড়ে; তারা পুরো ব্যাপারটিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা বলে মনে করে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন
করে সরকার নারিকেলবাড়িয়ায় একটি নিয়মিত ও শক্তিশালী বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অন্যদিকে, তিতুমীর ইংরেজ বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য নারিকেলবাড়িয়ায় একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ
করেন। ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে দেশী পদাতিক বাহিনীর ১১টি
রেজিমেন্ট, কয়েকটি কামানসহ গোলন্দাজ বাহিনীর সেনাদল নিয়ে একটি শক্তিশালী বাহিনী
নারিকেলবাড়িয়ায় তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। কেল্লার বাইরে এসে তিতুমীর বীরবিক্রমে যুদ্ধ
পরিচালনা করেন। সুশিক্ষিত ইংরেজ বাহিনীর প্রচন্ড গোলাবর্ষণে তিতুমীরের বাহিনী বিপর্যস্ত ও ছত্রভঙ্গ হয়ে
পড়ে। কামানের গোলার আঘাতে স্বাভাবিকভাবেই তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। যুদ্ধ
করতে করতেই তিতুমীর তাঁর প্রায় ৫০ জন অনুসারী সহ নিহত হন। বিদ্রোহীরা উপায়ন্তর না দেখে
আত্মসমর্পণ করে। উন্মত্ত ইংরেজ সৈন্যরা তিতুমীর ও তাঁর সহযোগীদের মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়। পরে
কলিকাতায় তিতুমীরের অনুসারীদের বিচার করা হয়। প্রহসনমূলক একতরফা এই বিচারে তিতুমীরের
অনুসারীদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিতুমীরের সেনাপতি গোলাম মাসুমকে মৃত্যুদন্ড
দেওয়া হয়। এভাবে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
তিতুমীরের এই আন্দোলনের স্বরূপ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। একে সংস্কার আন্দোলন, প্রজা বিদ্রোহ
আবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবেও চিত্রিত করা হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ আন্দোলনটিতে এই তিনটি উপাদান
সম্মিলিতভাবেই কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। তিতুমীর ওয়াহাবি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিম
সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করার প্রচেষ্টাই প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছিলেন। মক্কায় অবস্থানকালে তিনি
ইসলামের মহান সংস্কারক সৈয়দ আহমদ বেরেলভির সান্নিধ্য লাভ করেন। দেশে ফিরে এসে তিতুমীর
সমাজ সংস্কারে মনোযোগ দেন। এভাবেই তাঁর একদল অনুসারী গড়ে ওঠে এবং তিতুমীর এদের নেতৃত্ব
দেন। তিতুমীরের আন্দোলনে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বহিপ্রকাশও ঘটেছিল। বিশেষ করে
আন্দোলনের একটি পর্যায়ে কয়েকটি ধারাবাহিক সফলতার পর আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে তিতুমীর ও তাঁর
দল এদেশ থেকে ইংরেজদের বিতাড়িত করে আবার মুসলিম শাসন পুনপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে থাকেন।
জমিদারদের বিরুদ্ধে তিতুমীরকে যুদ্ধ করতে হয়েছিল বলে এই বিদ্রোহকে প্রজা বিদ্রোহও বলা হয়ে থাকে।
তবে একে কোনভাবেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলা ঠিক হবে না। কেবলমাত্র ঘটনাচক্রেই জমিদারেরা সকলে
ছিলেন হিন্দু এবং এই জমিদারদের বিরুদ্ধেই তিতুমীরকে অস্ত্র ধরতে হয়েছিল। তবে জমিদারেরা তিতুমীরের
অনুসারীদের কাজে-কর্মে বাধা না দিলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়তো হতো না। তিতুমীরের এই আন্দোলন
শুধুমাত্র নারিকেলবাড়িয়া অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল, তাদের এই সংহতি, চেতনা আঞ্চলিক সীমারেখা অতিক্রম
করতে পারেনি। এ কারণে ইংরেজ শাসক ও দেশীয় জমিদারদের সম্মিলিত শক্তির পক্ষে অঞ্চলকেন্দ্রিক এই
আন্দোলন দমন করা কঠিন হয়নি। অন্যদিকে ইংরেজদের উন্নততর রণকৌশল ও অস্ত্রের কাছে তিতুমীরের
পরাজয় ঘটেছে। ইংরেজদের হাতে ছিল শক্তিশালী কামান, আর তিতুমীরের হাতে ছিল বাঁশের লাঠি।
কাজেই বিদ্রোহের এই পরিণতি ছিল অনিবার্য।
তিতুমীরের সংগ্রাম সাময়িকভাবে ব্যর্থ হলেও বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এর গুরুত্ব অনেক। তার মৃত্যুর
পরও স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারা থেমে থাকেনি বরং জোরদার হয়েছে।


সারসংক্ষেপ
বাংলায় ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও তাদের এদেশীয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনগুলোর মধ্যে
তিতুমীরের আন্দোলন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মুসলিম সমাজ সংস্কার আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও
পরবর্তী সময়ে এটি বাংলার মানুষদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জী ঃ
১। সুপ্রকাশ রায়, ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, কলকাতা, ১৯৯০।
২। আবদুল করিম, বাংলার ইতিহাস (১২০০-১৮৫৭ খ্রি.), ঢাকা, ১৯৯২।
৩। সৈয়দ মকসুদ আলী, রাজনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তায় উপমহাদেশ, ঢাকা, ১৯৯২।
৪। ড. মুহম্মদ আবদুর রহিম ও অন্যান্য, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঢাকা, ১৯৮৭।
পাঠোত্তর মূল্যায়নÑ
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। তিতুমীর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) ঢাকা (খ) ফরিদপুর
(গ) চব্বিশ পরগণা (ঘ) কলিকাতা।
২। তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা কোথায় অবস্থিত ছিল?
(ক) বারাসাত (খ) নারিকেলবাড়িয়া
(গ) চাঁদপুর (ঘ) হায়দারপুর।
৩। তিতুমীরের বাহিনীর সেনাপতি কে ছিলেন?
(ক) গোলাম মাসুম (খ) মজনু শাহ
(গ) মিসকিন শাহ (ঘ) কেদার বক্স।
৪। তিতুমীর কত খ্রিস্টাব্দে শহীদ হন?
(ক) ১৮৫৭ খ্রি. (খ) ১৭৮২ খ্রি.
(গ) ১৮১৫ খ্রি. (ঘ) ১৮৩১ খ্রি.।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১। তিতুমীরের আন্দোলনের স্বরূপ কি ছিল?
২। তিতুমীর সম্পর্কে একটি টীকা লিখুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১। তিতুমীরের আন্দোলনের কারণসমূহ উল্লেখপূর্বক তাঁর বিদ্রোহের বর্ণনা দিন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]