নেহেরু রিপোর্ট ও জিন্নাহ্র চৌদ্দ দফা


বৃটিশ ভারতের শাসনতান্ত্রিক অগ্রগতির উদ্দেশ্যে সুপারিশ করার জন্যে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে
সাইমন কমিশন গঠিত হয়। এর সদস্যদের সবাই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ। কমিশনে কোন ভারতীয় সদস্য না
থাকায় দলমত নির্বিশেষে ভারতীয় নেতৃবৃন্দ শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করেন। একই সঙ্গে এই কমিশনের
গঠন ও পরিকল্পিত কর্মসূচি ভারতীয় নেতৃত্বের প্রতি ছিল একটি চ্যালেঞ্জ, যার মূলকথা ছিল ভারতের
ভবিষ্যত শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে নিজেদের ভেতর একটা মতৈক্য। কাজেই সাইমন কমিশন গঠনের পর নেতৃবৃন্দ
একটা ডোমিনিয়ন সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন লিবারেল
নেতা তেজবাহাদুর সাপ্রন্ড, মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং কংগ্রেস নেতা মতিলাল নেহরু।
শেষোক্ত জনকে আহŸায়ক নিযুক্ত করে যে কমিটি গঠিত হয় তার পেশকৃত সুপারিশমালা নেহরু রিপোর্ট
নামে খ্যাত। নেহেরু রিপোর্ট শেষ পর্যন্ত মুসলিম লীগ কর্তৃক গৃহীত হয়নি। লীগের পক্ষ থেকে বিকল্প
শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা পেশ করা হয় যা জিন্নাহ্র চৌদ্দ দফা নামে পরিচিত। উভয় পরিকল্পনা দলীয়
চিন্তার উর্ধ্বে ওঠে সর্বভারতীয় ভিত্তিতে শাসনতান্ত্রিক রূপরেখা নির্মাণে ব্যর্থ হয়। কাজেই নেহরু রিপোর্ট
এবং জিন্নাহ্র চৌদ্দ দফা সাম্প্রদায়িক সমস্যার অচলায়তন ভাঙ্গার ব্যাপারে নেতৃবৃন্দের অক্ষমতার নিদর্শন।
১৯২৭ খ্রি. শেষ দিকে সাইমন কমিশন গঠিত হওয়ার প্রাক্কালে ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্যের সম্ভাবনা বেশ
উজ্জ্বল ছিল। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগসহ প্রায় সকল প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল উক্ত কমিশন বর্জনের সিদ্ধান্ত
নেয়। শুধুমাত্র কতক আঞ্চলিক দল (উদাহরণ স্বরূপ, মাদ্রাজের জাস্টিস পার্টি এবং পাঞ্জাবের ইউনিয়নিস্ট
পার্টি) এই নীতির ব্যতিক্রম ছিল। ইতোমধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার জন্যে লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
কিছু অবদান রাখেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে দিল্লির সর্বদলীয় সম্মেলনে তিনি অন্যান্য মুসলিম
নেতাকে কংগ্রেসের সঙ্গে একটা আপোষ রফায় রাজি করাতে সক্ষম হন। মুসলিম নেতৃবৃন্দ কিছু
শর্তসাপেক্ষে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তে যৌথ নির্বাচন ব্যবস্থা মেনে নিতে সম্মত হন। শর্তসমূহ ছিল:
সংখ্যালঘুদের জন্যে আসন সংরক্ষণ, কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে মুসলমানদের জন্যে এক-তৃতীয়াংশ আসন
বরাদ্দ, বাংলা ও পাঞ্জাবে জনসংখ্যার অনুপাতে সম্প্রদায়গত প্রতিনিধিত্বের হার নির্ধারণ এবং তিনটি নতুন
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ গঠন (সিন্ধু, বেলুচিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ)। ডিসেম্বর (১৯২৭



খ্রি.) মাসে কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশনে জিন্নাহ্র উপর্যুক্ত পরিকল্পনা গৃহীত হয়। কিন্তু শীঘ্রই পাঞ্জাব এবং
মহারাষ্ট্র থেকে হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক চাপ কংগ্রেসকে এই আপোষ ফর্মুলা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য করে। এর
ফল হয়েছিল মারাত্মক। নেহরু রিপোর্টে এই ফর্মুলার সার্বিক প্রতিফলন ঘটেনি বলে জিন্নাহ এই রিপোর্ট
গ্রহণে অস্বীকার করেন।
১৯২৮ সনের আগস্ট মাসে নেহরু রিপোর্ট প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়। রিপোর্টের প্রধান সুপারিশসমূহ ছিল
নি¤œরূপÑ
(১) সর্বত্র যৌথ নির্বাচন প্রথা চালু হবে ;
(২) মুসলমানদের জন্যে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে কেন্দ্রে এবং মুসলিম সংখ্যালঘিষ্ঠ প্রদেশসমূহে ;
(৩) সিন্ধুকে বোম্বাই থেকে পৃথক করে একটি প্রদেশের মর্যাদা দেওয়া হবে; কিন্তু তা করা হবে ভারত
ডোমিনিয়নের মর্যাদা লাভ করার পর। সেখানকার হিন্দু সংখ্যালঘুদের জন্যে অনুপাতের অতিরিক্ত
গুরুত্বের (বিরমযঃধমব) ব্যবস্থা করা হবে ;
(৪) রাজনৈতিক কাঠামো হবে মূলত এক-কেন্দ্রিক এবং কেন্দ্রের হাতে থাকবে অতিরিক্ত (ৎবংরফঁধষ)
ক্ষমতা।
নেহরু রিপোর্ট মুসলমানদের ভীতি দূর করে তাদের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়। স্পষ্টতই দেখা যায়
যে, এতে জিন্নাহর আপোষনীতি অগ্রাহ্য হয়েছে। রিপোর্টের যে অংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের নিকট সবচেয়ে
বেশি আপত্তিকর মনে হয়েছে তা ছিল অবশিষ্ট (ৎবংরফঁধষ) ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে রাখার সুপারিশ, কার্যত
এর ফলে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন অস্বীকার করা হয়। ফলে জিন্নাহ কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে যুক্ত নির্বাচন প্রথা
গ্রহণ তাৎপর্যহীন হয়ে যায়। নেহরু রিপোর্টের আরেক ক্ষতিকর দিক ছিল এর দ্বারা লখনৌ চুক্তি (১৯১৬
খ্রি.) সত্যিকার অর্থে বাতিল হয়ে যাওয়া। এই চুক্তি ছিল কংগ্রেস-লীগ সমঝোতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
দলিল। এই চুক্তি অস্বীকারের জন্যে মুসলিম নেতৃত্ব কখনও কংগ্রেসকে ক্ষমা করেনি। জিন্নাহ এবং আলী
ভ্রাতৃদ্বয়ের মতো প্রভাবশালী মুসলিম নেতা এই রিপোর্টের ফলে কংগ্রেসের প্রতি সম্পূর্ণ বীতশ্রদ্ধ হয়ে
পড়েন। অতপর তাঁরা মুসলমানদের জন্যে রক্ষাকবচ (ংধভবমঁধৎফং)-এর ব্যবস্থা করার জন্যে আরো
জোরালো দাবি উত্থাপন করেন।
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর কলিকাতায় একটা সর্বদলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল
নেহরু রিপোর্টের বিচার-বিশ্লেষণ করা। মুসলিম লীগের তরফ থেকে জিন্নাহ বিরাজমান অচলাবস্থার একটা
সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করেন। তিনি পূর্ববর্তী বছরের মার্চ মাসে পেশকৃত তাঁর আপোষনীতি
পুনরুত্থাপন করেন। জিন্নাহ অত্যন্ত আবেগপূর্ণ ভাষায় বলেন, “আপনারা কি চান না যে ভারতের সাত কোটি
মুসলমান আপনাদের সাথে থাকুক?” কিন্তু কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ নেহরু রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারতের ভবিষ্যত
শাসনতান্ত্রিক কাঠামো তৈরির ব্যাপারে অটল থাকেন। জিন্নাহ একজন হতাশ মানুষ হিসেবে কলিকাতার
সম্মেলন ত্যাগ করেন। বোম্বাই ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি একজন পার্সী বন্ধুকে সজল চক্ষে বলেছিলেন,
“এখানেই আমাদের রাস্তা আলাদা হয়ে গেল।” [ঞযরং রং ঃযব ঢ়ধৎঃরহম ড়ভ ঃযব ধিুং.] নেহরু রিপোর্টের
অন্যতম প্রণেতা তেজবাহাদুর সাপ্রন্ড জিন্নাহর দাবি মেনে নেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন; কিন্তু তাঁর মত গ্রাহ্য
করা হয়নি।


২৮ মার্চ (১৯২৯ খ্রি.) দিল্লিতে মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে জিন্নাহ তাঁর চৌদ্দ দফা পেশ করেন।
এই দফাসমূহ ছিল জিন্নাহ কর্তৃক নেহরু রিপোর্টের প্রত্যুত্তর। পরবর্তী দিনগুলোতে চৌদ্দ দফা মুসলিম
রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে এ সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নেই। চৌদ্দ দফাসমূহ নি¤েœ উল্লেখিত হল ঃ
(১) ভবিষ্যত শাসনতান্ত্রিক কাঠামো যুক্তরাষ্ট্রীয় (ঋবফবৎধষ) হবে এবং বাড়তি (ৎবংরফঁধৎু) ক্ষমতা
প্রদেশসমূহের কাছে ন্যস্ত থাকবে;
(২) সব প্রদেশকে সমপরিমান স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে;
(৩) দেশের সমস্ত আইনসভায় এবং অন্যান্য নির্বাচিত পরিষদসমূহে সংখ্যালঘুদের পর্যাপ্ত এবং যথার্থ
প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কোন প্রদেশে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘুর সমপর্যায়ে নামানো যাবে না;
(৪) কেন্দ্রীয় আইনসভায় মুসলমান প্রতিনিধির সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশের কম হবে না;
(৫) বর্তমানে প্রচলিত পৃথক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু থাকবে। তবে কোন সম্প্রদায় যে কোন সময় যুক্ত
নির্বাচনী প্রথা গ্রহণ করতে পারবে;
(৬) কোন সময়ে কোন এলাকাগত পুনর্বন্টন (ঞবৎৎরঃড়ৎরধষ ৎবফরংঃৎরনঁঃরড়হ) প্রয়োজন হলে তা কোনভাবে
পাঞ্জাব, বাংলা এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থান ক্ষুন্ন করতে পারবে
না;
(৭) সকল সম্প্রদায়ের পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে;
(৮) কোন নির্বাচিত পরিষদের যে কোন সম্প্রদায়ভুক্ত তিন-চতুর্থাংশ সদস্য যদি কোন বিলের বিরুদ্ধে এই
মর্মে আপত্তি উত্থাপন করে যে, উক্ত বিল সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের স্বার্থহানি করে তবে ঐ বিল উক্ত
পরিষদে গৃহীত হবে না। সেই ক্ষেত্রে অন্য কোন সম্ভাব্য ও বাস্তবসম্মত বিকল্পের ব্যবস্থা করতে হবে;
(৯) সিন্ধুকে বোম্বাই প্রেসিডেন্সি থেকে পৃথক করতে হবে;
(১০) অন্যান্য প্রদেশের মত উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বেলুচিস্তানে সংস্কার প্রবর্তন করতে হবে;
(১১) এইমর্মে শাসনতান্ত্রিক বিধান থাকতে হবে যাতে মুসলমানগণ অন্যান্য ভারতীয়দের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় এবং
আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে চাকুরির পর্যাপ্ত সুযোগ লাভ করতে পারে;
(১২) শাসনতন্ত্রে পর্যাপ্ত রক্ষাকবচের (ঝধভবমঁধৎফং) মাধ্যমে মুসলিম সংস্কৃতি রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থা, ভাষা, ধর্ম, ব্যক্তিগত আইন এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সংরক্ষণ এবং
উন্নয়নের বন্দোবস্ত করতে হবে। রাষ্ট্র এবং অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদানে
উক্ত বিষয়সমূহের যথাযোগ্য অংশীদারিত্ব থাকতে হবে;
(১৩) কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান মন্ত্রি ব্যতীত কেন্দ্রে বা প্রদেশে কোন মন্ত্রিসভা গঠন করা যাবে
না;
(১৪) ভারতীয় ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশসমূহের সম্মতি ব্যতীত আইনসভা কোন শাসনতান্ত্রিক
পরিবর্তন সাধন করতে পারবে না।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ইতিহাস পৃষ্ঠা  ২৬৯
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের পরস্পর বিরোধী অবস্থানের ফলে ভারতের শাসনতান্ত্রিক প্রশ্নে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত
হতে পারেনি। এরপর দুই দলের মধ্যকার দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। জিন্নাহ উত্তরোত্তর কংগ্রেসকে একটা
হিন্দু সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করেন। তিনি মনে করেন যে, এই সংগঠনের কাছ থেকে
ভারতীয় মুসলমানগণ কোন সুবিচার আশা করতে পারে না। তিনি আরো শক্তিশালী অবস্থান থেকে
কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষির জন্যে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানান। এ জাতীয় চিন্তার
মধ্যেই ভারতীয় মুসলমানদের জন্যে স্বতন্ত্র আবাসভ‚মি তথা পাকিস্তান আন্দোলনের বীজ নিহিত ছিল।
সারসংক্ষেপ
১৯২৭ খ্রি. শেষ দিকে সাইমন কমিশন গঠিত হয় বৃটিশ ভারতের ভবিষ্যত শাসনতান্ত্রিক অগ্রগতির
লক্ষ্যে সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্যে। এই কমিশনে কোন ভারতীয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সাইমন
কমিশনের গঠন এবং কর্মসূচি ছিল ভারতীয় নেতৃত্বের প্রতি বৃটিশ সরকারের একটা চ্যালেঞ্জস্বরূপ।
ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহ এই কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে।
শাসনতন্ত্রের মূলনীতি প্রণয়নের নিমিত্তে একটা কমিটি গঠিত হয় কংগ্রেস নেতা মতিলাল নেহরুর
সভাপতিত্বে। এই কমিটির পেশকৃত রিপোর্ট ছিল নেহরু রিপোর্ট। সর্বদলীয় সম্মতির ভিত্তিতে উক্ত
কমিটি গঠিত হলেও এর রিপোর্ট অন্যতম প্রধান দল মুসলিম লীগের নিকট গ্রহণযোগ্য হয়নি। এই
রিপোর্টের বিকল্প হিসেবে লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ তাঁর চৌদ্দ দফা পেশ করেন যা কংগ্রেস
অগ্রাহ্য করে। ফলে রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক ভাবধারা বৃদ্ধি পায় এবং ঐক্যবদ্ধ ভারতীয় জাতীয়তার
সম্ভাবনা সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়।
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জী ঃ
১. ঝ.গ. ইঁৎশব ধহফ ঝধষরস অষ-উরহ ছঁৎধরংযর, ঞযব ইৎরঃরংয জধল রহ ওহফরধ: অহ ঐরংঃড়ৎরপধষ জবারব,ি
উযধশধ, ১৯৯৫.
২. ঝঁসরঃ ঝধৎশধৎ, গড়ফবৎহ ওহফরধ, ১৮৮৫-১৯৪৭, উবষযর, ১৯৮৩.
পাঠোত্তর মূল্যায়নÑ
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। নিæের কোন দল সাইমন কমিশনের সহিত সহযোগিতা করে?
(ক) কংগ্রেস (খ) উলামা-ই-হিন্দ
(গ) জাস্টিস পার্টি (ঘ) মুসলিম লীগ।
২। মুসলিম লীগ নেহরু রিপোর্টÑ
(ক) গ্রহণ করে (খ) বর্জন করে
(গ) মত প্রকাশে বিরত থাকে (ঘ) কোনটিই নয়।
৩। জিন্নাহ শর্তসাপেক্ষে যৌথ নির্বাচন প্রথা গ্রহণ করতে রাজি ছিলেনÑ
(ক) মিথ্যা (খ) সত্য
(গ) অপ্রাসঙ্গিক (ঘ) আংশিক সত্য।
৪। নেহরু রিপোর্ট কোন ধরনের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর সুপারিশ করে?
(ক) এক-কেন্দ্রিক (খ) যুক্তরাষ্ট্রীয়
(গ) কনফেডারেল (ঘ) সবগুলোই।
৫। জিন্নাহর চৌদ্দ দফায় প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারে কি বলা হয়েছিল?
(ক) সমর্থন করা হয়েছিল (খ) বিরোধিতা করা হয়েছিল
(গ) কিছু বলা হয়নি (ঘ) কোনটিই নয়।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১। নেহরু কমিটি কেন গঠন করা হয়? এর প্রধান সুপারিশগুলো কি ছিল?
২। জিন্নাহ কর্তৃক পেশকৃত আপোষ ফর্মুলাসমূহ কি?
৩। চৌদ্দ দফার সারমর্ম আলোচনা করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১। নেহরু রিপোর্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি? কেন মুসলিম লীগ এই রিপোর্ট গ্রহণে অস্বীকার করে?
২। শাসনতান্ত্রিক নীতি হিসেবে নেহরু রিপোর্ট এবং জিন্নাহর চৌদ্দ দফার তুলনামূলক আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]