প্রাচীন যুগে বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসেরি উৎস Sourees of Social, Cultural and Economic History of Bengal in the Ancient Age


সমাজ, সং সৃতি ও অর্থনীতির ইতহাস সমব्र উপাদানের অপ্রচুর্য পাকবে এটা খুবইবেশির ভাগ উপাদান যােগিয়েছে প্রাচীন লেখমাপা। এই লেখমাপা কিংবা ত্রলপইহােক, এবা অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয় রাজসভাকবি রচিত রাজার অথবা রাজংশ্রে প্রত্তকোনও বিশেষ ঘটনা উপলক্ষে রচিত বিবরণ, বা কোন ভুমি দান-বিক্রয়ের দঙিঙ্গঅথবা কোনও মুর্তি বা মন্দিরে উৎকীর্ণ উৎসর্গ লিপি । ভূমি দান-বি্রয়ের দলিলপ্লোেওসাধারণত রাজা অথবা রাজকর্মচারীদের নিরদ্দেরশে রচিত ও প্রচারিত। এই লেখমালারউপদান ছাড়া কিছু কিছু সাহিত্য জাতীয় উপাদানও আছে, এদের অধিকাংশই আবাররাসভার সভাপণ্তিত, সভা পুরােহিত, রাজগুরু অথবা রাষ্ট্রের প্রধান কর্মচারীদের দ্বারারচিত স্মৃতি ব্যবহার ইত্যাদি জাতীয় গ্রন্থ। ধােয়ীর "পবনদূত', সম্ক্যাকর নব্ীররামচরিত, শ্রীধরদাসের "সদুক্তির্ণাযৃত জাতীয় দুই-চারটি কাবগ্রস্থও আছে, সেগুলােঅধিকাংশ রাজা বা রাজ সভাপুষ্ট কবিদের দ্বারা রচিত বা সংকলিত। বৃহদ্ধর্ম, ব্রহ্ষবৈবর্তএবং ভবিষ্যপুরাণের মতাে দুই-তিনটি অর্বাচীন পুরাণগ্রন্থও আছে, এগুলাে রাজসভায়রচিত হয়তাে নয়, কিন্তু রাজসভা, রাজবংশ অথবা অভিজাত সম্প্রদায় কর্তৃক পুষ্ট ওলালিত ব্াক্মণ্য বুদ্ধিজাবী সম্প্রদায়ের রচনা। এছাড়া অন্যান্য প্রদেশের সমসাময়কলিপিমালা এবং বিভিন্ন গ্রস্থ হতেও কিছু তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলাের চরিত্রও প্রায়একই রকমের। ফা-হিয়েন, য়য়ান-চোয়াং, ইতসিং এর মতো বিদেশি পর্টকদেরবিবরণী, গ্রিক ও মিশরীয় ভৌগােলিক ও ঐতিহাসিকদের বিবরণী, তিঝবতে ও নেপালেপ্রাপ্ত নানা বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্ম ও সম্প্রদায়গত বিভিন্ন বিষয়ক পুথিপত্র হতেও বেশকিছু উপাদান পাওয়া যায়। বিদেশি পর্যটকেরা রাজ-আঅতিথিরূপে বা রাষ্ত্রের সহায়তায়এদেশ পরভরমণ করেছিলেন এবং তারা বিশেষ বিশেষ ধর্মসম্প্দায়ের লোক হিলেন।পুথিপুলাে তাে একা্তভাবে বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্য ধর্মের ছত্রহায়ায় বসেই লেখা হয়েহিল।যতওপাে উপাদানের উল্লেখ করা হলাে তার অধিকাংশই রাজসভা, ধর্মগােষ্ঠী বাবণগাে্ঠ র পােষক তায় রচিত । তবে রাজা, মন্রী বা রাজবংশের অথবা অন্য কোনওঅভিজাত বংশ্রে প্রশাপ্ত লিপিওুলো হতে এরং রামচরিতএর মতাো রসালাে সাহিত্য গ্রস্থ বাংলার সামাঞিক, সংস্ৃতিক ও অর্ণ-তক দতহসজনসাধারণের ইতিহাস। সমাজবিন্যাসের অথবা বৃহত্তর অর্থে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ওঅর্থনতিক ইতিহাস রচনার একটা সুবিধাও আছে। রষ্রীয় ইতিহাস রচনায় যা নেই।রটয় বিশেষেভাবে রাজ্বংশের ইতিহাসে সন তারিখ অত্যন্ত প্রয়াোজনীয় তথ্য। কোনরাজার পর কোন রাজা, কে কার পুত্র অথবা দৌহিত্র, কোন যুদ্ধ কবে হয়েছিল ইত্যাদিরসন-তারিখ নিয়ে সেজন্য প্রাচীন ভারতবর্ষের ইতিহাসচুলচেরা বিচার অপরিহার্যআলােচনায় বিতর্ক। এই ইতিহাসে ঘটেনার মূল্যই সকলের চেয়ে বেশি এবং সেইঘটনার কালপরম্পরার উপরই ইতিহাস নির্ভর । সামাজিক, সাংস্কৃতিকইতিহাস রচনায় এই জাতীয় ঘটনার মূল্য অপেক্ষাকৃত অনেক কম। সন-তারিখমােটামুটি ঠिিক হলেই হলাে, যদি না কিছু রট্ট্রীয় অথবা সামাজিক বিপ্লব-উপপ্লবসমাজের চেহারাটাই ইতিমধ্য একেবার বদলিয়ে দেয়। তার কারণ সহজেই অনুমেয়।ভূমিব্যবহ্থা, বাণিজ্যপথ ইত্যাদি এককথায় সমাজবিন্যাস রাজা বা রাজবংশের হঠাৎপরিবর্তনে রাতারাতি বিছু বদলে যায়নি। অন্তত প্রাচীন বাংলায় কাথাও তা হয়নি।প্রাচান পহবীর সর্বরই এরুপ। রট্রীয় ও সামাজিক বৃহৎ কিছু একটি বিপ্লব-উপপ্লবসংঘটিত হলে সমাজবিন্যাসও হয়তাো বদলে যায়। কন্তু তাও একদিনে দুই-দশ বছরেহয় না। অনেক দিন ধরে ধীরে ধীঁরে এ ববর্তন চলতে থাকে সমাজ প্রকৃতির নিয়মে।অবশ্য বর্তমান যুগের ভৌতিক বিজ্ঞানের যুগান্তকারী আবিষ্কারের পূর্বে তা বীরে ধীরেইহতাে। আর্যদের ভার ভাগমন প্রাচীনকালের একটি বৃহৎ সামাজিক উপপ্লবের দুষ্টান্ত

8 বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস পুনর্গঠনের উপাদান
হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। অনার্য অথবা আর্যপূর্ব সমাজ বিন্যাস ছিল একরকম। তারপর আর্যরা যখন তাদের নিজেদের সমাজ-বিন্যাস নিয়ে আসেন, তখন দুই আদর্শের একটা প্রচণ্ড সংঘাত নিশ্চয়ই লেগেছিল। সেই সংঘাত প্রাচীন বাংলা তথা ভারতবর্ষে চলেছিল হাজার বছর ধরে। এর ফলে ধীরে ধীরে যে নতুন বাঙালি সমাজবিন্যাস গড়ে উঠেছিল তাই পরবর্তী হিন্দুসমাজ। প্রাচীন ভারতীয় সমাজে যখন লৌহ ধাতুর আবিষ্কার হয়েছিল, তখনো এরকমই একটি সামাজিক বিপ্লবের সূচনা হয়তো হয়েছিল। কারণ এ আবিষ্কারের ফলে ধন-উৎপাদনের প্রণালি বদলে যাবার কথা এবং তার ফলে সমাজবিন্যাসও। কিন্তু এই পরিবর্তনও একদিনে হয়নি।
প্রাচীন বাংলার ঐতিহাসিককালে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা বলব না। তার কারণ সে সম্বন্ধে স্পষ্ট করে আমরা এখনো কিছুই জানি না। এমনকি কোন সামাজিক উপপ্লব দেখা যায়নি। যুদ্ধ-বিগ্রহ যথেষ্ট হয়েছে, ভিন্নদেশাগত রাজা ও রাজবংশ অনেক দিন ধরে বাংলাতে রাজত্বও করেছেন, মুষ্টিমেয় সৈন্য ও সাধারণ প্রাকৃত জন নানা বৃত্তি অবলম্বন করে এদেশে নিজেদের রক্ত মিশিয়ে দিয়ে বাঙালির সঙ্গে এক হয়েও গিয়েছেন। কিন্তু এসব ঐতিহাসিক পরিবর্তন বিপ্লবের আকার ধারণ করে সমাজের মূল ধরে টেনে সমাজ বিন্যাসের চেহারাটাকে একেবারে বদলিয়ে দিতে পারেনি। অদল- বদল যে একেবারে হয়নি তা নয়। কিন্তু যা হয়েছে তা খুব ধীরে ধীরে হয়েছে। এখানে- সেখানে কোন কোন সমাজ-অঙ্গের রং ও রূপ একটু-আধটু বদলিয়েছে। কোন নতুন অঙ্গের যোজনা হয়েছে। কিন্তু মোটামুটি কাঠামোটা একই থেকে গেছে। প্রাচীন বাংলার সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য ।
প্রাচীন বাংলার ঐতিহাসিক উপাদান আবিষ্কারের চেষ্টা খুব ভালো করে হয়নি। এক পাহাড়পুর নানা দিক দিয়ে প্রাচীন বাংলার জনসাধারণের ইতিহাস অভিনব আলোকপাত করেছে। কিন্তু তেমন অন্যত্র এখনো দেখা যাচ্ছে না। বেশির ভাগ উপাদানের আবিষ্কার আকস্মিক এবং পরোক্ষ। তবু ক্রমশ নতুন উপাদান সংগৃহীত হচ্ছে। এক্ষেত্রে নরসিংদীর ওয়ারী-বটেশ্বরের কথা বলা যায়। প্রকৃতপক্ষে আজ যা কাঠামোযাত্র, ক্রমশ আবিষ্কৃত উপাদানের সাহায্যে হয়তো এই কাঠামোকে একদিন রক্তে-মাংসে ভরে সমগ্র একটা রূপ দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রাচীন লিপিমালা এবং কিছু কিছু ধর্ম ও সাহিত্য গ্রন্থই বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের প্রকৃত উপাদান এবং এদের সাক্ষ্যই প্রামাণিক ও নিঃসন্দেহ। এই লিপিগুলো সবই সমসাময়িক। স্মৃতি, পুরাণ ব্যবহার এবং কাব্যগ্রন্থগুলোও প্রায় তাই ।
বাংলার লিপিগুলো কালানুযায়ী সাজালে খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক দ্বিতীয় শতক হতে আরম্ভ করে তুর্কি বিজয়েরও প্রায় শতবর্ষকাল পর পর্যন্ত বিস্তৃত করা যায়। তবে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক হতে ত্রয়োদশ শতক পর্যন্তই ধারাবাহিকভাবে পাওয়া যায় এবং এই সাত আট শত বছরের সামাজিক ইতিহাসের রূপই কতকটা স্পষ্ট হয়ে চোখের সম্মুখে ধরা দেয়। পঞ্চম শতকের আগে আমাদের জ্ঞান প্রায় অস্পষ্ট এবং অনেকটা
বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস
আনুমানিকসিদ্ধ। লিপিগুলোর সাক্ষ্য প্রমাণ ব্যবহারের আর একটু বিপদও আছে। খ্রিস্টীয় পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ শতকে উৎকীর্ণ দামোদরপুরের (পুণ্ড্রবর্ধনভূক্তি) প্রাপ্ত কোন তাম্রপটে ভূমি ব্যবস্থা অথবা রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্বন্ধে যে খবর পাওয়া যায় তা যে দশম অথবা একাদশ শতকে সমতলমণ্ডল অথবা খাড়িমণ্ডল, কিংবা পুণ্ড্রবর্ধনভূক্তির অন্য কোনও মণ্ডল বা বিষয় সম্বন্ধে সত্য হবে, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। এমন কি সেই শতকেরই বাংলার অন্য কোনও ভূক্তি অথবা বিষয় সম্বন্ধে সত্য হবে, তাও বলা যায় না। কাজেই যে কোনও লিপিবর্ণিত যে কোনও অবস্থা সমগ্রভাবে বাংলা অঞ্চল অথবা সমগ্র প্রাচীনকাল সম্বন্ধে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে দেখা যায়, একই সময়ে বাংলার বিভিন্ন স্থানে একই বিষয়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা, রীতি ও পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। এজন্যই সাক্ষ্য প্রমাণ উল্লেখ করার সময় লিপিবর্ণিত স্থান ও কালের প্রযোজ্য, এরূপ ইঙ্গিত করা হয়েছে। তারপর বিশেষ কোনও নিয়ম বা পদ্ধতি কতটুকু অন্য কাল ও স্থান সম্বন্ধে প্রযোজ্য, কী পরিমাণে সারা বাংলা অঞ্চল সম্বন্ধে প্রযোজ্য তা সহজেই অনুমেয়।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]