মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্প Muslim Architecture of Bengal in Mughal Period

বাংলায় মুঘল স্থাপত্য ছিল সুলতানি স্থাপত্য থেকে ভিন্নতর। এটি কোন স্বতন্ত্র বা জাতীয় রীতির বহিঃপ্রকাশ ছিল না, বরং আগ্রা, ফতেপুর সিক্রি, দিল্লি বা লাহোরে যে রাজকীয় মুঘল স্থাপত্য গড়ে উঠেছিল, এটি ছিল তারই প্রাদেশিক সংস্করণ। বাংলায় কর্মরত মুঘলরা তাদের উত্তর ভারতীয় প্রভুদের মতোই ছিলেন মধ্য এশিয়া ও পারস্যের মুঘল-তৈমুরীয়দের সরাসরি বংশধর এবং তারা বাদশাহদের প্রতিনিধিরূপে শাসনকর্তা হিসেবে বাংলায় প্রেরিত হয়েছিলেন। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন সম্রাটদের আত্মীয় বা তাদের আস্থাভাজন। এই আমলে বাংলায় প্রবর্তন করা হয় কেন্দ্রে মুঘল জীবন ও সংস্কৃতির উপর নির্ভরশীল প্রত্যক্ষ শাসন। প্রাক-মুঘল আমলে বাংলার একটি নিজস্ব পরিচিতি ছিল। কিন্তু মুঘল আমলে তা হারিয়ে যায় এবং বাংলা পরিণত হয় মুঘল সামগ্রিক জীবনধারার ক্ষুদ্র সংস্করণসহ একটি মুঘল প্রদেশে। স্থাপত্যের ক্ষেত্রে এর কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি।
১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে আকবর এর সেনাপতিরা বাংলার পশ্চিম অংশ অধিকার করলেও জাহাঙ্গীর এর শাসনামলের (১৬০৫-১৬২৭) গোড়ার দিকের পূর্ব পর্যন্ত সমগ্র বাংলায় মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আকবর ও জাহাঙ্গীরের শাসনামলে বারো ভূঁইয়া নামে পরিচিত স্থানীয় জমিদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেকটা ব্যাপৃত থাকায় এই আমলে খুব
সম্পন্ন হয়েছে। বাংলায় মুঘলদের অধীনে যেসব স্থাপত্যকর্ম ধকাংশই শাহজাহান ও আওরঙ্গজের এর আমলে বাংলা আওরঙ্গজেবের সময়ে বাংলার সুবাহদারি বংশানুক্রমিক গ্রহ করে এবং সুবাহদারগণ এতটাই ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন াবে জীবনযাপন করেন এবং স্বাধীনভাবেই তারা স্থাপত্যের খন। ১৬৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্বল্পকালীন বিরতিসহ শায়েস্তা খান খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন। তাঁর সময়ে বিশেষত ক্লাশসহ দেশে এতো ইমারত নির্মিত হয় যে, কোন কোন কে একটি স্বতন্ত্র স্থাপত্যরীতি হিসেবে চিহ্নিত করে একে আখ্যাত করেছেন।
,
টি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এই যে, শুধু মুঘলরাই তাদের পছন্দ করেনি, হিন্দুরাও মন্দির নির্মাণ করেছে এবং দেশে এখনো খ্যক মন্দির টিকে আছে। এরূপ মনে করার কোন কারণ নেই [ আমলে মন্দির নির্মিত হয়নি। এদের মধ্যে কিছুসংখ্যক সম্পূর্ণ নবে পরিচিত। কিন্তু এরূপ ধারণা অবশ্যই করা যায় যে, কাল ধ্বংস হয়ে গেছে। সেকালে নির্মিত বিদ্যমান মন্দিরের স্বল্পতার রন, ছোট ও ঊর্ধ্বমুখী অবয়ব, বছরের একটা দীর্ঘ সময়ে প্রবল আবহাওয়া, রক্ষণাবেক্ষণের ধরন, যুদ্ধ ও শিল্পকর্মের শত্রু
■ মুঘল শাসনামলে সমভাবে হিন্দু ও মুসলিম জমিদারদের কালের ব্যবধান হিন্দু মন্দির-ইমারতের টিকে থাকার সবচেয়ে অন্তর্ভুক্ত। মুঘল আমলের কয়েকটি মন্দির উল্লেখযোগ্য। এগুলো ঢাকেশ্বরী মন্দির (অনেকটা আধুনিকায়িত), পাবনার জোড় বাংলা কের গোড়ার দিকের), ফরিদপুরের খালিয়ায় রাজারাম মন্দির গাড়ার দিকের), দিনাজপুরে কান্তনগর মন্দির (১৭৫২), পুটিয়ায় ধমন্দির (ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের), চান্দিনায় আটচালা চাব্দী)। পোড়ামাটির অলঙ্করণ শিল্পের উৎকর্ষের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন নগর মন্দির ও গোবিন্দমন্দিরে।
এখনো টিকে থাকা মুসলিম সৌধগুলো সুলতানি আমলের সৌধের বিভক্ত করা যায়- ধর্মীয় ও সেক্যুলার। ধর্মীয় সৌধগুলোর মধ্যে দ এবং এর পরেই আসে সমাধিসৌধ। অপরাপর ধর্মীয় কাঠামো ামবারা ও কদম রসুল সংখ্যায় খুবই কম এবং এগুলো মুঘল দকের বা মুঘল পরবর্তী যুগের এমন কিছু দুর্লভ উদাহরণ যাতে ণীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপত্যশৈলী পরিদৃষ্ট হয় না। মাদ্রাসার একটি য় না। ঢাকার করতলব খান মসজিদ ( ১৭০০-১৭০৪) ও খান
মুহম্মদ মির্ধা মসজিদ এর (১৭০৬) নিচতলার আলাদা আলাদা আবাসকক্ষ এবং মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদ এ (১৭২৪-২৫) ডরমেটরি হিসেবে দ্বিতল খিলান আবৃত কক্ষসমূহ এখনো মসজিদের অংশ হিসেবে বিদ্যমান। এর থেকে বুঝা যায় যে, ত
মাদ্রাসাগুলো মসজিদের সংগেই সংশ্লিষ্ট ছিল, এদের কোন পৃথক অবস্থান ছিল না।
সুলতানি আমলের মতোই মুঘল আমলের মসজিদগুলো ছিল দুধরনের- আসে মসজিদ ও ওয়াক্তিয়া মসজিদ। মুঘল জামে মসজিদগুলো কিছু কিছু ব্যক্তিক্রম সাধারণত ছিল আকারে ছোট, তিন গম্বুজবিশিষ্ট এবং সম্মুখভাগে ছিল উন্মুক্ত পাঠ অঙ্গন (সাহান)। কিন্তু সুলতানি আমলের মসজিদে এ ধরনের কোন অঙ্গন ছিল না মুঘল আমলের ব্যতিক্রমী জামে মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজমহলের জান মসজিদ (১৫৯৫-১৬০৫), ঢাকার করতলব খান মসজিদ ( ১৭০০-১৭০৪) মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদ (১৭২৪-২৫) ও চক মসজিদ (১৭৬৭)। এই ব্যতিক্রমী মসজিদগুলোর মধ্যে রাজমহলের জামে মসজিদ মানসম্মত পরিকল্পনায় নির্মিত একটি বিশালাকায় ইমারত এবং এতে পাণ্ডুয়া-ফিরুজাবাদের সুলতানি মসজিদের ঐতিহ অনুসরণ করা হয়েছে। এতে একটি পিপাকৃতি খিলান ছাদ নামায কক্ষের মূল অংশরে দুটি সমান ভাগে বিভক্ত করেছে। এই দুই অংশের দুপাশে রয়েছে দুটি বারান্দা এবং এর উপরিভাগে প্রতি পার্শ্বে চারটি বড় ও চারটি করে ছোট গম্বুজ স্থাপিত। অন্যান্য মসজিদগুলো পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট। তিন গম্বুজবিশিষ্ট মুঘল মসজিদের সর্বোত্তম উদাহরণ গৌড়-লখনৌতির নিয়ামতউল্লাহ ওয়ালীর মসজিদ (সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগ), ঢাকার লালবাগ কেল্লা মসজিদ ও সাতগম্বুজ মসজিদ (সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগ) এবং মুর্শিদাবাদের পিলখানা মসজিদ (অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ) ৷ এই ধরনের মসজিদের নমুনা সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে আছে। মুঘল আমলের জামে মসজিদের অভ্যন্তরে কোন রাজকীয় গ্যালারি নেই। এই প্রদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে মুঘলীকরণই এর কারণ। ওয়াক্তিয়া মসজিদগুলো সবই ছোট আকৃতির, এক গম্বুজবিশিষ্ট এবং সুলতানি আমলে নির্মিত এ জাতীয় মসজিদের তুলনায় এদের সংখ্যা অনেক বেশি। ঢাকার আল্লাকুরি মসজিদ (সপ্তদশ শতকের শেষের দিক) এ জাতীয় মসজিদের একটি উদাহরণ। মুঘল আমলের মসজিদের একটি চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূল নির্মাণকাঠামোর অবিচ্ছিন্ন অংশ অথবা সাজসজ্জা উপকরণ হিসেবে দোচালা নকশার সংযোজন। মুঘল মসজিদের চৌচালা খিলান ছাদ প্রয়োগরীতির একটি বিশিষ্ট ব্যতিক্রম।
সমাধিসৌধগুলোতে সাধারণত পুরানো ঐতিহ্য অনুসরণ করা হতো, যেমন, গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকার কাঠামো এবং অভ্যন্তরভাগে প্রস্তর নির্মিত একটি বা একাধিক সমাধি। ঢাকায় বিবি পরীর সমাধিসৌধ (আনু. ১৬৮৪) এবং রোহনপুর অষ্টভুজী সমাধিসৌধ এ (সপ্তদশ শতকের মধ্যভাগ) এর ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়। বিবি পরীর সমাধিসৌধের মূল বর্গাকার অংশের মধ্যস্থলে গম্বুজটি স্থাপিত এবং এই বর্গাকার
অংশের চারপাশ ঘিরে রয়েছে খিলানছাদ আবৃত কক্ষ। এই সমাধিসৌধটি মূলত পারস্য দেশীয় ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত বিখ্যাত মুঘল সমাধিসৌধ, যেমন দিল্লির খান-ই- খানানের সমাধি অথবা আগ্রার তাজমহলের স্থাপত্য চটকের কতকটা অনুকরণ বলে। প্রতীয়মান হয়। বর্গাকার গম্বুজবিশিষ্ট সমাধিসৌধের প্রতিনিধিত্বশীল নিদর্শন হিসেবে। প্রায়শ ঢাকায় অবস্থিত দারা বেগমের সমাধিসৌধের (সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ )
উল্লেখ করা হয়ে থাকে ।
টিকে থাকা সেক্যুলার ইমারতের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঢাকা ও এর আশপাশে কয়েকটি দুর্গের অবশেষ, যেমন, লালবাগ দুর্গ (১৬৭৮), ইদ্রাকপুর দুর্গ (১৬৬০), সোনাকান্দা দুর্গ (সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ), জিনজিরা দুর্গ (সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ) ইত্যাদি, এবং গৌড়-লখনৌতির ফিরুজপুরে তথাকথিত তাহখানা কমপ্লেক্স (সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ)। এদের মধ্যে লালবাগ দুর্গ নির্মিত হয়েছিল সুবাহদারদের বসবাসের জন্য একটি প্রাসাদ-দুর্গ হিসেবে, তাহখানা নির্মিত হয় সুফি- দরবেশ নিয়ামতউল্লাহ ওয়ালীর আবাসস্থলরূপে এবং নদীতে নির্বিঘ্ন নৌচলাচলের জন্য নিরাপত্তা ফাঁড়ি হিসেবে নির্মিত হয়েছিল অপরাপর জলদুর্গগুলো। এসকল দুর্গের সাধারণ বৈশিষ্ট্য প্রায় একই রকম। এগুলোতে ছিল সুউচ্চ দুর্গ-প্রাকার, ঈওয়ান আকৃতির ফটক, উত্তর ভারতের মুঘল দুর্গের অনুকরণে বহিঃপ্রাচীরে বন্দুকে গুলো চালাবার ফোকর ও ঘুলঘুলি (কুলুঙ্গিযুক্ত) জানালা এবং অভ্যন্তরভাগে নির্মিত প্রয়োজনীয় অপরাপর কাঠামো। এসকল দুর্গের অভ্যন্তরভাগের ইমারত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধ্বংস হয়ে গেছে; শুধু লালবাগ কেল্লার অভ্যন্তরে টিকে আছে ‘দরবার হল' নামে পরিচিত ছোট আবাসিক প্রাসাদটি, বিবি পরীর সমাধিসৌধ ও জামে মসজিদ । গৌড়-লখনৌতির তাহখানা একটি অনাড়ম্বর সাদাসিদা ধরনের অরক্ষিত এক-কক্ষ ইমারত এবং একজন দরবেশের সরল জীবন যাপনের উপযোগী করে নির্মিত। এটিকে দুর্গ-প্রাসাদ না বলে বরং খানকাহ বললেই মানায় ভালো।
দেশের বিভিন্ন অংশে বেশ কিছুসংখ্যক সেতু এখনো টিকে আছে। এদের মধ্যে ফতুল্লা, বিক্রমপুর ও সোনারগাঁয়ের সেতুগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সবগুলো সেতুই খিলানকার স্তম্ভের উপর স্থাপিত এবং এগুলো সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি বা শেষভাগে নির্মিত বলে ধরে নেওয়া যায় ।
দুর্গের সমতুল্য অপরাপর নির্মাণকাঠামো হলো স্থানীয়ভাবে ‘কাটরা' নামে অভিহিত সরাইখানা। মালদহ, ঢাকা ও মুর্শিদাবাদে এদের কিছুসংখ্যক নিদর্শন রয়েছে। এখন এই কাঠরাগুলোর শুধু ফটকই পরিদৃষ্ট হয়। এগুলো একটি অখণ্ড পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছিল বলে মনে হয়। এর একদিকে একটি ফটক এবং মধ্যখানে উন্মুক্ত অঙ্গনের পাশ ঘিরে নির্মিত হয়েছিল কতগুলো। সবগুলো সরাইখানারই অবস্থান নদীর তীরে। এর থেকে বুঝা যায় যে, মুঘল আমলে নদীপথে ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছিল।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলায় মুঘল আমলে নির্মিত সৌধগুলো ছিল উত্তর ভারতের মুঘল ইমারতের ক্ষুদ্রতর সংস্করণ। কিন্তু ব্যবহৃত উপকরণ ও অলঙ্করণ শৈলীর দিক থেকে এগুলো ছিল স্বতন্ত্র। সুলতানি আমলের সৌধের ন্যায় বাংলার মুখ সৌধেও মূল উপকরণ হিসেবে ইটের ব্যবহার অব্যাহত ছিল। কিন্তু মুঘল আমলের বাংলার ইমারতসমূহের সম্মুখভাগে সুলতানি আমলের পোড়ামাটির অলঙ্করণ এবং রাজকীয় মুঘলরীতির মর্মর বসানো নকশা ও মূল্যবান প্রস্তরের কারুকার্যখচিত শ্বেতমদ ব্যবহার করা হয়নি। তৎপরিবর্তে এ আমলের দেয়ালগুলো আন্তর করা এবং ছে কুলুঙ্গিতে আস্তরের প্যানেল ব্যতিরেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাদামাটাভাবে তা হয়েছে। মধ্যবর্তী প্রবেশপথ এ সময় নিরবচ্ছিন্নভাবেই ছিল পার্শ্ববর্তী প্রবেশপথ থেকে বৃহদাকার এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো সামনের দিকে কিছুটা প্রলম্বিত হয়ে এব অর্ধগম্বুজাকৃতি ঈওয়ানের আকৃতি দিয়েছে। সুলতানি আমলের গম্বুজ থেকে আলাদা এ আমলের রুক্ষ ও কন্দাকৃতি গম্বুজগুলো কর্বেল-পেন্ডেন্টিভের পরিবর্তে গোলাকা পেন্ডেন্টিভের উপর বসানো ছিল। প্রবেশপথের সংখ্যা ছাদে গম্বুজের সংখ্যা অভ্যন্তরভাগে মিহরাবের সংখ্যার অনুরূপ। ছাদের বাঁকানো কার্নিসের প্রচলন তখন টা গেছে এবং এর পরিবর্তে কার্নিস সজ্জার জন্য প্রবর্তিত হয়েছে মেরলোন শোভিত প্যারাপেট। গম্বুজের গোড়ার চতুর্দিকে এই একই ধরনের মেরলোন নকশা পরিলক্ষিত হয় এবং এর চারপাশে বসানো থাকে রেলিং দ্বারা যুক্ত ছোট ছোট চূড়াসদৃশ কিনিয়াল। এসময় দ্বিকেন্দ্রিক খিলানের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় চতুষ্কেন্দ্রিক খিলান এবং পূর্ববর্তী আমলের স্থূল প্রস্তরস্তম্ভের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় ইটনির্মিত স্তম্ভ। কোণের বুরুজগুলো মাঝেমধ্যে অলংকৃত পাত্রসদৃশ ভিতের উপর স্থাপিত এবং এই বুরুজের শীর্ষভাগ ছাদের সীমা ছাড়িয়ে ঊর্ধ্বে সম্প্রসারিত। এই বুরুজগুলোর শীর্ষভাগে প্রধান গম্বুজের আকৃতির অনুরূপ এবং ফিনিয়াল শোভিত ক্ষুদ্র গম্বুজ বসানো। কখনো কখনো সম্মুখভাগের ঈওয়ানের অর্ধ-গম্বুজের খিলানগর্ভ ও প্রধান মিহরাব আস্তর করা মুকার্নসি নকশা দ্বারা অলঙ্কৃত ।
সুলতানি আমলের টিকে থাকা সৌধের চেয়ে মুঘল আমলের বিদ্যমান সৌধের সংখ্যা অনেক বেশি। নির্মাণকালের নৈকট্য, নির্মাণ সামগ্রীর স্বল্পমূল্য এবং নির্মাণের সহজ কলাকৌশলই এর কারণ। নির্মাণের সরল পদ্ধতি ও ব্যয়স্বল্পতার কারণে এই নির্মাণরীতি সারা বাংলায় ব্যাপক প্রসারলাভ করে এবং রাজধানী থেকে দূরে
কর্মরত মুঘল কর্মকর্তারাই শুধু নন, জনকল্যাণে অবদান রাখতে আগ্রহী জমিদাররাও এই নির্মাণরীতি অনুসরণে এগিয়ে আসেন। গ্রামাঞ্চলের মসজিদের অধিকাংশই বর্গাকৃতি ও এক গম্বুজবিশিষ্ট এবং এই ঐতিহ্য অদ্যাবধি অনুসৃত হয়ে আসছে। মুঘল আমলে মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে পুরানো নির্মাণরীতিকে সম্পূর্ণ পরিহার করা হয়নি, এ ক্ষেত্রে সমন্বয় ঘটেছে সুলতানি ও মুঘল স্থাপত্যরীতির। এ আমলে নির্মিত মন্দিরগুলোকে এই অব্যাহত স্থাপত্যরীতির নিদর্শন বলে বিবেচনা করা যায়।
বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস সুলতানি ও মুঘল নির্মাণশৈলীর ফসল মধ্যযুগীয় বাংলার স্থাপত্যকে ব্যাপক পরিসরে ইন্দো-মুসলিম স্থাপত্যের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও গুণগত মান ও বৈশিষ্ট্যে এই স্থাপত্য উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের স্থাপত্য থেকে স্বাতন্ত্র্য অর্জন করেছে। এই স্বাতন্ত্র্য বাংলার স্থাপত্যকে দিয়েছে এক নতুন ও কাঙ্ক্ষিত অবস্থান, আর এতে রূপলাভ করেছে একটি স্বতন্ত্র জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন শিল্পকলা ।
১৩.৭ মুঘল আমলে বাংলার বিখ্যাত মুসলিম স্থাপত্যকীর্তিসমূহ
The Famous Muslim Architecture Performances of Bengal
১. সাত গম্বুজ মসজিদ : সম্ভবত শায়েস্তা খানের আমলে তৈরি হয় সাত গম্বুজ মসজিদ। সতেরো শতকের শেষার্ধে এ মসজিদটি নির্মিত হয়। এটি ত্রিগম্বুজবিশিষ্ট । মসজিদের কেন্দ্রীয় গম্বুজটি দু'পার্শ্বস্থ গম্বুজগুলো অপেক্ষা বৃহৎ। গম্বুজ ও ছাদের উপর যে রেলিং সেখানে নীল রংয়ের ব্যবহার দেখা যায়। বিভিন্ন অংশের সামঞ্জস্যপূর্ণতায় সুসজ্জিত শিল্পের চমৎকারিত্বে এটি সত্যিই সুন্দর ।
২. পরি বিবির মসজিদ : শায়েস্তা খানের আমলে নির্মিত। এ মসজিদটি নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। এটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট ।
৩. লালবাগ মসজিদ : এটি মুঘল যুগের তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদের নিদর্শন। এটি লালবাগের কেল্লায় স্থাপিত, শাহজাদা মোহাম্মদ আজম কর্তৃক তার শাসনামলে লালবাগ মসজিদ নির্মিত হয়।
৪. হোসেনী দালান : এটি শিয়াদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এটি নাজিমউদ্দিন রোডে বকশীবাজারে অবস্থিত। এটি শায়েস্তা খানের আমলে নির্মিত।
৫. বিবি চম্পার মাজার : এটি ছোট কাটরায় অবস্থিত। তিনি শায়েস্তা খানের কন্যা ছিলেন। মাজারের চারকোণায় চারটি জলাশয় ছিল। সৌধটি উঁচু মঞ্চের উপর দণ্ডায়মান। বাহিরের গঠন প্রকৃতি লালবাগের মসজিদের মতো ।
৬. বিবি মরিয়মের মাজার : নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ দুর্গের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিবি মরিয়মের মাজার। এটি বিবি পরির মাজারের মতো একই রীতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। কথিত আছে যে, বিবি মরিয়ম শায়েস্তা খানের কন্যা ছিলেন।
৭. লালবার্গ দুর্গ : আওরঙ্গজেবের আমলে শাহজাদা মোহাম্মদ আজমের সময়ে তৈরি। এটি সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়ায় পরে শায়েস্তা খান এর কিছু কাজ করেন।
৮. বড় কাটরা : ঢাকার চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার তীরে তিন তলা গেট, চারদিকে ঘর ও মাঝে ফাঁকা জায়গাকে কাটরা বলে। এটি অস্থায়ী আবাসস্থল । ব্যবসায়ীরা এখানে আশ্রয় নিত। তবে শাহসুজা যখন বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তখন তাঁর বাস ভবন ছিল বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় এটি শাহ সুজা কর্তৃক নির্মিত। এছাড়া মুর্শিদাবাদে বহু সুরম্য অট্টালিকা নির্মিত হয়। এগুলোর মধ্যে
৩৩৪ বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যশিল্প : সুলতানি আমল ও মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্য রীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য
মুর্শিদকুলী খানের চেহেল সেতুন প্রাসাদ, তাঁর একটি কাটরা ও
মসজিদ, ঘসেটি
বেগমের মতিঝিল প্রাসাদ ও নবাব সিরাজউদ্দৌলার মুনসুরগঞ্জ প্রাসাদ সেযুগে স্থাপত্য |
সৌন্দর্যের প্রতীক ছিল।
৯. ছোট কাটরা : এটি বড় কাটরার থেকে দু'শ গজ দূরে বুড়িগঙ্গার তীরে ।
অবস্থিত । শায়েস্তা খান এটি নির্মাণ করেন ।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে, মসজিভিত্তিক স্থাপত্য উদ্ভাবন ও বিকাশের ফলেই মুসলিম স্থাপত্য শিল্পকলার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেে নিজস্ব স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য চালাঘরের প্রতিফলন সুলতানি ও মুঘল আমলে বহু মসজি দেখা যায়, মুঘল আমলে নির্মিত গৌড়ের ফতেহ খানের সমাধি সম্পূর্ণরূপে বাংলার দোচালা ঘরের ইটে রূপান্তর মাত্র। খিলান চক্রাকার বার্নিশ ও দোচালা রীতিতে নির্মিত বাংলার অসংখ্য মন্দিরে মুসলিম স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষণীয়। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের বৈশিষ্ট্য ও বাংলার স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে বাংলায় মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে ।
১৩.৮ মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্পে প্রধান বৈশিষ্ট্য
The Main Characteristics of Muslim Architecture of Bengal in Mughal Period
দেয়ালগুলোতে আস্তর দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ দেয়ালে চুন, বালির প্রলেপের কাজ আছে।
দেয়ালে আস্তরের জন্য টেরাকোটা রীতি লুপ্ত হয়ে যায় ।
জমকালো দরওজা বা তোরণ দ্বার মুঘল স্থাপত্যের আকর্ষণীয় সৌধ। মুঘল মসজিদসমূহে গম্বুজ নির্মাণ ছিল প্রধান বৈশিষ্ট্য। মসজিদগুলো একটি গম্বুজ বা তিনটি গম্বুজ দিয়ে সজ্জিত করা হতো।
নানা বর্ণে সুশোভিতকরণ; যেমন- আয়তাকার চিত্র ও খিলান পদ্ধতিতে সজ্জিত করা এবং নানা ধরনের খিলানের কাজ দ্বারা কারুকার্যের ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল ।
স্কন্ধভিত্তিক গম্বুজ, চারকোনাবিশিষ্ট সূচালো খিলানসমূহ এবং ছিদ্রহীন মারলোনসহ সমান্তরাল দুর্গ পাকা গম্বুজ স্কন্ধের উপর দণ্ডায়মান এবং এর ফলে এটি খুব উঁচু হতো ।
সাধারণত কেন্দ্রীয় গম্বুজটি পার্শ্বস্থ গম্বুজগুলো অপেক্ষা বৃহদাকার ছিল। b. অলংকরণে মুঘল আমলে পাথরের ব্যবহার বেশি দেখা যায় !
অনুশীলনী
(Brief Questions & Answers )
৩৩৫
S.
বাংলায় কখন মুসলিম শাসনের সূচনা হয়?
উত্তর : ১২০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে বখতিয়ার খলজি কর্তৃক বঙ্গ বিজয় থেকেই সূচনা
হয় বাংলায় মুসলিম শাসনের।
বাংলায় কখন মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটে?
উত্তর : মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার ফলে মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটে।
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্য রীতির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তর : সংযোজক পদার্থ হিসেবে চুন, বালি ও পানি মিশ্রিত দ্রব্য এবং সাজসজ্জার
নিমিত্তে উজ্জ্বল ও রঙিন টালির ব্যবহার মুসলিম স্থাপত্য রীতির বৈশিষ্ট্য ছিল। বাংলায় মুসলিম স্থাপত্য পদ্ধতির প্রধান উপাদানগুলো কী ছিল?
8
উত্তর : খিলান (আর্চ), গম্বুজ (ডোম), মিনার ও মেহরাব ।
t.
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্য পদ্ধতির উপাদানগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত করা হয়?
উত্তর : মুসলমানদের দালানকোঠা, মসজিদ, সমাধি সৌধ ইত্যাদি নির্মাণে এসব
উপাদান ব্যবহার করা হয় ।

মুসলিম বাংলার স্থাপত্য শিল্পের বৈশিষ্ট্যগুলোকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ৪ ভাগে ৷
9
স্থাপত্য শিল্পের বৈশিষ্ট্য ৪টি কী?
উত্তর : জলবায়ু, অলঙ্করণ, উপাদান বা ঐতিহ্য।
মুসলিম বাংলার স্থাপত্য শিল্পের অলঙ্করণের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল? উত্তর : টেরাকোটা ।
বাংলায় মুঘল পূর্ববর্তী মসজিদগুলো কয় রকমের ছিল ও কী কী?
উত্তর : ৪ রকমের; এক গম্বুজ বিশিষ্ট, সম্মুখে বারান্দাসহ এক গম্বুজ বিশিষ্ট, বহু গম্বুজ
বিশিষ্ট এবং বহু গম্বুজ বিশিষ্ট খিলান করা ধনুকের মতো ছাদ বিশিষ্ট মসজিদ। বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
১০
উত্তর : দু'ভাগে ।
১১
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যের ভাগ দুটি কী কী?
উত্তর : সুলতানি আমল (প্রাক মুঘল আমল) এবং মুঘল আমল ।
১২
বড় সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : হুসেন শাহ।
৩৩৬ বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যশিল্প : সুলতানি আমল ও মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্য রীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য
১৩
হুসেন শাহ কেন বড় সোনা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন?
উত্তর: আসাম বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য হোসেন শাহ বড় সোনা মসজিদ।
নির্মাণ করেছিলেন।
১৪
বড় সোনা মসজিদের অপর নাম কী?
উত্তর : বারদুয়ারি মসজিদ।
১৫
বড় সোনা মসজিদের কয়টি দরজা ছিল?
উত্তর: ১২টি।
১৬
বড় সোনা মসজিদের এরূপ নামকরণের কারণ কী?
উত্তর : এ মসজিদে সোনালি রঙের গিলটি করা কারুকার্য ছিল বলে এটি সোনা
১৭
মসজিদ নামে অভিহিত হতো।
বাবা আদমের মসজিদ কোথায়?
উত্তর : ঢাকা জেলার রামপালে ।
১৮
ষাট গম্বুজ মসজিদ কখন নির্মিত হয়?
উত্তর : পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে।
ষাট গম্বুজ মসজিদটি কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : পীর খান জাহান আলী (র)।
20
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাগেরহাট জেলায়।
২১. কে ছোট সোনা মসজিদ নির্মাণ করেন?
উত্তর: ওয়ালি মুহাম্মদ ।
22
কোন সুলতানের আমলে ছোট সোনা মসজিদ নির্মাণ করা হয়?
উত্তর : সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের আমলে ।
২৩
আদিনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : সুলতান সিকান্দার শাহ।
২৪
বাংলার কোন মসজিদে হিন্দু স্থাপত্য রীতির প্রতিফলন দেখা যায়? উত্তর: একলাখী মসজিদ।
২৫. একলাখী মসজিদের এরূপ নামকরণের কারণ কী?
উত্তর : এক লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছিল বলে একলাখী মসজিদ নামকরণ করা
হয়।
২৬. গিয়াসউদ্দিন আজম শাজের সমাধি কোথায়?
উত্তর : সোনারগাঁয়ে ।
২৭
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি কখন নির্মিত হয়?
উত্তর : ১৪১০ খ্রিস্টাব্দে।
সাত গম্বুজ মসজিদ কার আমলে তৈরি হয়?
উত্তর : সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে ।
বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস সাত গম্বুজ মসজিদ কখন নির্মাণ করা হয়?
উত্তর : সতেরো শতকের শেষার্ধে ।
30
কার আমলে পরিবিবির মসজিদ নির্মিত হয়? উত্তর : শায়েস্তা খানের আমলে ।
৩১
লালবাগ মসজিদ কয় গম্বুজ বিশিষ্ট?
উত্তর : ৩ গম্বুজ।
৩২. লালবাগ মসজিদ কে নির্মাণ করেন? উত্তর : শাহজাদা মোহাম্মদ আজম ।
৩৩
হোসেনী দালান কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান? উত্তর : এটি শিয়াদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
1
৩৪. লালবাগ দূর্গ কোন আমলের স্থাপত্য?
উত্তর : মুঘল আমলের।
৩৫
বড় কাটরা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ঢাকার চকবাজারের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার তীরে ।
৩৬
বড় কাটরা কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : শাহ সুজা।
৩৭. ছোট কাটরা কোথায় অবস্থিত?
৩৩৭
উত্তর : বড় কাটরা থেকে দু'শ গজ দূরে রাজধানী ঢাকার চকবাজারের দক্ষিণে
বুড়িগঙ্গার তীরে।
৩৮
ছোট কাটরা কে নির্মাণ করেন?
উত্তর : শায়েস্তা খান ৷
৩৯
মুঘল স্থাপত্যের আকর্ষণীয় সৌধ কী?
উত্তর : জমকালো দরওজা বা তোরণ দ্বার মুঘল স্থাপত্যের আকর্ষণীয় সৌধ।
খ-বিভাগ (B-Part)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি
(Short Questions )
১. সুলতানি ও মুঘল আমলে বাংলায় মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ সম্পর্কে
সংক্ষেপে আলোচনা কর।
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ ।
৩. সুলতানি আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের বিবরণ দাও।
৪. সুলতানি আমলে বাংলার বিখ্যাত স্থাপত্য কীর্তিসমূহের বিবরণ দাও ।
৫. সুলতানি আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে লিখ।
মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্য শিল্প সম্পর্কে আলোচনা কর ।
মুঘল আমলে বাংলার বিখ্যাত স্থাপত্য কীতিসমূহ লিখ ।
মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য লিখ ।
৩৩৮ বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যশিল্প । সুলতানি আমল ও মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্য রীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য
(C-Part)
রচনামূলক প্রশ্নাবলি (Broad Questions)
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা কর।
বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর
সুলতানি আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্প সম্পর্কে আলোচনা কর।
৪. সুলতানি আমলে বাংলার বিখ্যাত মুসলিম স্থাপত্যকীর্তিসমূহের বর্ণনা দাও।
৫. সুলতানি আমলে বাংলার স্থাপত্যশিল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ ।
মুঘল আমলে বাংলার মুসলিম স্থাপত্যশিল্প সম্পর্কে আলোচনা কর। উত্তর :
মুঘল আমলে বাংলার বিখ্যাত মুসলিম স্থাপত্যকীর্তিসমূহের বর্ণনা দাও উত্তর :
মুঘল আমলে বাংলার স্থাপত্যশিল্পের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ । উত্তর :

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]