আরব জাতীয়তা বিকাশে গুপ্ত সমিতি অবদান

আরব জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশে গুপ্ত সমিতির অবদান প্রশংসনীয় । সিরিয়ার সর্বত্র তুর্কি শাসন বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছিল। তখন একটি ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান দল সিরিয়ায় ওসমানিয় শাসনের দমন নীতির প্রতিবাদে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। তুরস্কের স্বৈরশাসনে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক মতামত প্রদান করা ছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই ১৮৭৫ সালে সিরিয়ান প্রটেস্টান্ট কলেজে শিক্ষাপ্রাপ্ত ৫ জন যুবক ‘Secret Society of Beirut' নামে একটি গুপ্ত সংস্থা গঠন করে। এ সংস্থা গঠনের পিছনে যার অবদান অনস্বীকার্য তিনি হলেন সিরিয়ান প্রোটেস্টান্ট কলেজের ফরাসী ভাষার শিক্ষক ইলিয়াছ হাব্বালিন, ফরাসি বিপ্লবের ভাবধারায় উদ্দীপ্ত হাব্বালিন তার ছাত্রদের স্বৈরাচারী তুর্কি সরকারের দুর্নীতি ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহবান জানান। ১৮৭১–১৮৭৪ সাল পর্যন্ত সিরিয়ান প্রটেস্টান্ট কলেজে শিক্ষকতা করার পর ১৮৭৫ সালে তিনি সিরিয়া ত্যাগ করে মিশরে চলে যান। কিন্তু যে আদর্শের বীজ তিনি তার ছাত্রদের মনে বপন করে গিয়েছিলেন তা বিনষ্ঠ হয় নি। এ বছরই তার আদর্শে দীক্ষিত ছাত্ররা গঠন করেছিল 'Secret Society of Beirut'। এরা সকলেই ছিল খ্রিস্টান। তবে তারা উক্ত সংস্থার উদ্দেশ্য অর্জনে মুসলিম ও দ্রুজদের অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিল, তাই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিভিন্ন ধর্মের ২২ জন সদস্যকে এ সংস্থার সদস্যভুক্ত করেছিল। সংস্থার মূল কেন্দ্র ছিল বৈরুত, পরবর্তীতে দামেস্ক, ত্রিপলি এবং সাইদনে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রথম দিকে এ গুপ্ত সমিতির সদস্যরা দক্ষিণ বৈরুতের পার্বত্যাঞ্চলে গোপনে মিলিত হয়ে তাদের বিপ্লবী চিন্তাধারা নিয়ে আলোচনা করত এবং তা বাস্তবায়নে উপায় নিয়ে ভাবত। তখন তাদের কার্যক্রম শুধু মাত্র গোপন সভায় আলাপ আলোচনা, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ব্যক্তিগত প্রচারণার মাধ্যমে নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কয়েক বছর পর তারা আরো বৃহত্তর পরিসরে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা রাতের অন্ধকারে শহরের দেয়ালে দেয়ালে তাদের দাবী দাওয়া সম্বলিত পোস্টার লাগাতে থাকে। কর্তৃপক্ষ যাতে প্রকৃত লেখক সনাক্ত করতে না পারে সেজন্য পোস্টারের লেখকরা হাতের লেখা পরিবর্তন এবং ইচ্চাকৃতভাবে ব্যাকরণগত ভুল করত। সকাল বেলা লোকজন এগুলোর পাশে ভিড় জমাত। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলত। এবং আশেপাশে জড়ো হওয়া নিরপরাধ লোকজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেত।
বৈরুতের উত্তেজনা প্রশমিত হতে না হতেই দামেস্ক, ত্রিপলী অথবা সাইদন একই ধরনের পোস্টার পাওয়া যাওয়ার খবর আসত। ভিড়ের মধ্যে গুপ্ত সমিতির সদস্যরাও মিশে যেত এবং পোস্টারগুলো পড়ে জনগণের মাঝে কী ধরণের প্রতিক্রিয়া হয় তা লক্ষ্য করত। জনগণের প্রতিক্রিয়ার প্রতি লক্ষ্য রেখে পরবর্তী পোস্টারগুলো রচিত হত। কিন্তু লিখিত উৎসের অভাবে এসব পোস্টারের বিষয়বস্তু এবং গুপ্ত সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে দীর্ঘদিন কিছু জানা যায় নি। ঐতিহাসিক জর্জ এন্টোনিয়াস এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানসহ কায়রো ও বাগদাদে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি গুপ্ত সমিতির দু'জন সদস্য সহ আরো অনেকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। কিন্তু তারা কেউই পোস্টারের বিষয়বস্তু এবং গুপ্ত সমিতির সদস্যদের প্রকৃত উদ্দেশ্য-সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারে নি। এর বছর খানেক পর এন্টোনিয়াস যখন গবেষণার প্রয়োজনে লণ্ডনের পাবলিক রেকর্ড অফিসে পুরনো দলিল দস্তাবেজ দেখছিলেন তখন বৈরুতের গুপ্ত সমিতির ৩টি পোস্টার তার চোখে পড়ল। বৈরুতের বৃটিশ কনস্যুল জেনারেল ও দামেস্কের বৃটিশ প্রতিনিধিগণ-ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে গিয়ে এগুলো পাঠিয়েছিলেন। পোস্টার তিনটির একটি ছিল মূলকপি, তুর্কি পুলিশ আসার পূর্বেই এটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, যা পরে ব্রিটিশ প্রতিনিধি ইংল্যাণ্ডে পাঠিয়ে দেন। আর বাকী দুটি ছিল মূল কপির অনুলিপি। আরবিতে লিখিত এসব পোস্টারের বিষয়বস্তু হতে সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায় ৷
.
১৮৮০ সালের ৩ জুলাই ব্রিটেনে প্রেরিত প্রথম পোস্টারটি ছিল সংক্ষিপ্ত। পোস্টারটি ব্রিটিশ কনসুলেট কর্তৃক প্রেরিত প্রথম পোস্টার হলেও গুপ্ত সমিতি কতক প্রচারিত প্রথম পোস্টার ছিল না। এর বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা হতে পূর্বে আরো পোস্টার প্রকাশিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এতে তুরস্কের স্বৈরশাসনে আরবদের নিস্পৃহতাকে ভর্ৎসনা করা হয়। এবং সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে তুর্কি শাসন বিরোধী আন্দোলনের জন্য আরবদের প্রতি আহবান জানানো হয় । একই দিনে প্রেরিত দ্বিতীয় পোস্টারটিতে আরো সুনির্দিষ্টভাবে তুর্কি শাসনের সমালোচনা করা হয় । এতে বিশ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৮৬০ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার বাস্তবায়ন না করার জন্য কঠোর ভাষায় সরকারের সমালোচনা করা হয়। শুধু তাই নয় এতে সিরিয়ার স্বায়ত্ত শাসন এবং প্রয়োজনে স্বাধীনতার দাবীও জানানো হয়। ১৮৮০ সালের ৩১ ডিসে'র প্রেরিত তৃতীয় পোস্টারটি ছিল সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এ পোস্টারেই প্রথমবারের মত স্পষ্টভাবে গুপ্ত সমিতির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তারা প্রয়োজনে তরবারির আশ্রয় নেয়ার কথাও উল্লেখ করে ।
পোস্টারের উল্লেখিত মূল বিষয়বস্তুগুলো ছিল :
১. লেবাননসহ সিরিয়াকে স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে।
২. আরবীকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে হবে ।
৩. বাক স্বাধীনতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
৪. স্থানীয়ভাবে নিযুক্ত সৈনিকদেরকে স্থানীয় সেনাবাহিনীতেই দায়িত্ব দিতে হবে । অর্থাৎ তাদেরকে বাইরে পাঠানো যাবে না ।
প্রথম দাবিটি ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ার স্বাধীনতা চাওয়া হয়েছিল কেননা ১৮৬০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর ইউরোপিয় মধ্যস্থতায় ১৮৬৪ সালে লেবাননকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হয়েছিল। এর ফলে লেবানন স্বায়ত্তশাসনের সুবিধা ভোগ করলে তা রাজনৈতিকভাবে সিরিয়া থেকে পৃথক হয়ে পড়েছিল, যা ছিল আরব ঐক্য তথা আরব জাতীয়তাবাদী আশা-আকাঙ্খার পরিপন্থি। তাই গুপ্ত সমিতির সদস্যরা ধর্মীয় আনুগত্যের বদলে জাতীয়তার ভিত্তিতে বৃহত্তর সিরিয়ার স্বাধীনতা চেয়েছিল।

সমকালীন সিরিয়ার দ্বিতীয় দাবিটিরও প্রেক্ষাপট তৈরী হয়েছিল । ১৮৬৪ সালের পর থেকে ওসমানিয় সরকার কেন্দ্রীয়করণ নীতির উপর জোর দেয়। এরই ফল হিসেবে সাম্রাজ্যের সর্বত্র রাষ্ট্রভাষা তুর্কির ব্যবহারের উপর সরকারি নির্দেশ জারি করা হয় ।
সিরিয়ায়ও তুর্কি ভাষার ব্যাপক ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। খ্রিস্টান মিশনারি ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা যখন আরবি ভাষার পুনর্জাগরণের জন্য তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তখন এ পদক্ষেপটি গৃহীত হয়। সরকারি ভাষা হিসেবে তুর্কিকে চাপিয়ে দেয়ার ফলে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয় ।
তাই গুপ্ত সমিতির সদস্যগণ তাদের পোস্টারে আরবিকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায় । ওসমানিয় কর্তৃপক্ষ শুধু তুর্কিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি। সুলতান আব্দুল হামিদ তার স্বৈরশাসনকে সুদৃঢ় করতে মুক্তচিন্তা বিকাশের সকল পথ রুদ্ধ করার প্রয়াস চালান। তিনি পুস্তক আমদানি নিষিদ্ধ করেন। স্থানীয়দের মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে ইয়াজিজী ও বুস্তানির মত জ্ঞানী ব্যক্তিদের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। ওসমানিয় সরকারের এ পদক্ষেপটি গুপ্ত সমিতির সদস্যদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। কেননা তাদের সকলেই ছিলেন ইয়াজিজী ও বুস্তানীর শিষ্য। আর অধিকাংশই ছিলেন এই দুই বিখ্যাত ব্যক্তির ছাত্র। ফলে গুপ্ত সমিতির পোস্টারে সরকারি সেন্সরশিল্প প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। শেষ দাবিটির একটি যৌক্তিক প্রেক্ষাপট ছিল । সিরিয়া থেকে নিযুক্ত আরব সেনাদের ইয়েমেনী আরবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠানোর প্রতিবাদে এ দাবিটি উত্থাপিত হয়। ১৮৭২ সালে তুর্কিরা পুনরায় ইয়েমেন দখল করলেও স্থানীয় আরবদের বিরোধীতার কারণে তুর্কিদের পক্ষে ইয়েমেনের উপর নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ওসমানিয় কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল আরবদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সেনাবাহিনী যদি ইয়েমেনে প্রেরণ করা হয় তাহলে তারা কম বিরোধীতার সম্মুখীন হবে। এ চিন্তা থেকেই সিরিয় আরবদের ইয়েমেনে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । কিন্তু আরব জাতীয়তাবাদীরা আরবদের বিরুদ্ধে আরব সেনাদের ব্যবহারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। এছাড়া ১৮৭৮ সালে রুশ-তুর্কি যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য-সিরিয় সেনাদের প্রেরণ করা হয় । অথচ যে কারণে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় তার সাথে সিরিয়ার ন্যূনতম কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এ সব কারণেই গুপ্ত সমিতির পোস্টারে ওসমানিয় সরকারের এসব পদক্ষেপের বিরোধিতা করা হয় ।
পোস্টারে উল্লেখিত দাবিসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে প্রথম দাবিটির সাথে অন্য দাবিগুলোর অসামঞ্জস্য রয়েছে। স্বাধীনতার মত চূড়ান্ত দাবিটির সাথে বাকি দাবিগুলো উত্থাপন করা একেবারেই অবান্তর। কেননা স্বাধীনতা অর্জিত হলে অবশিষ্ট দাবিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকে না। মূলকপি থেকে অনুলিপি তৈরী করতে গিয়ে এ ধরণের ভ্রান্তি ঘটে থাকতে পারে। এছাড়া সিরিয়ার মুসলমানরা তুর্কিশাসনের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে খ্রিস্টানদের প্রতিবাদকে সমর্থন করলেও তখনও তুর্কিদেরকে বিতাড়িত করে স্বাধীনতার কথা ভাবতে শুরু করে নি ।
তাই তৎকালীন পরিস্থিতি ও পরবর্তী দাবিগুলো বিবেচনা করে স্বাধীনতার পরিবর্তে স্বায়ত্তশাসনের দাবী করা হয়েছিল বলে ধরে নেয়া যায় ।
যা হোক, তুর্কি গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতা এবং বাড়ী বাড়ী তল্লাশি করে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের ফলে গুপ্ত সমিতির সদস্যরা দেশ ত্যাগ করে মিশরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ।
সর্বোপরি গুপ্ত সমিতির সদস্যরা চাপের মুখে দেশ ত্যাগ করলেও তাদের বহুবিধ কর্মকাণ্ড আরবদের মধ্যে সাড়া ফেলেছিল। বিশেষ করে তাদের দাবি দাওয়াগুলো-জনগণকে সচেতন করে তোলে। যা আরব জাতীয়তাবাদ বিকাশের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল ।
সার্বিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিশেষে বলা যায় যে, দীর্ঘ পাঁচশত বছরেরও বেশি সময় তুর্কি শাসনাধীন থাকার পর আরবদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উদ্ভব হয় । বিভিন্ন ব্যক্তি সংগঠনের কর্মকাণ্ড ও তৎপরতার ফলে তা বিকাশ লাভ করে । কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত আরবরা তাদের জাতীয়তাবাদী আশা- আকাঙ্খা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি। প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মক্কার শরীফ হুসেইনের নেতৃত্বে আরবরা তুর্কি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং আরব জাতীয়তাবাদ আশা-আকাঙ্ক্ষা-বাস্তবায়নে অগ্রসর হয় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]