প্যারিস শান্তি সম্মেলন

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরীর সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর মিত্র শক্তিবর্গ কর্তৃক জার্মানির সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের দু'মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর শান্তিচুক্তি সম্পাদনের জন্য মিত্র ও সহযোগি শক্তি বর্গ (Allied and Associated Powers) প্যারিসে এক সম্মেলনে মিলিত হয়। প্যারিস শান্তি-সম্মেলনে অনেক আলাপ আলোচনার পর মিত্র ও সহযোগী শক্তিবর্গ জার্মানির সাথে ১৯১৯ সালের ২৮ জুন ভার্সাই চুক্তি, অস্ট্রিয়ার সাথে ১০ সেপ্টেম্বর সেন্ট জার্মাইন চুক্তি, বুলগেরিয়ার সাথে ২৭ নভেম্বর নিউলী চুক্তি, এবং হাংগোরের সাথে ১৯২০ সালের ৪ জুন ত্রিয়ানন চুক্তি সম্পাদন করে। প্যারিস শান্তি সম্মেলনে সর্বশেষ যে চুক্তিটি সম্পাদন করা হয় তা অটোমান সাম্রাজ্যের সাথে ১৯২০ সালের ১০ আগস্ট সেভরে স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু এ চুক্তিতে তুরস্কের বিরুদ্ধে যে কঠোর শর্তাবলী আরোপ করা হয় তাতে তুরস্কবাসিগণ অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং মোস্তফা কামাল পাশার সুযোগ্য নেতৃত্বে সেখানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সেভরের চুক্তি বাতিল দাবি করে। পরিশেষে ১৯২৩ সালের ২৩ জুলাই তুরস্কের সাথে লজেন (Lausanne)- এ এক নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় যা ১৯২৪ সালের ৬ আগস্ট কার্যকর হয়। এভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার ছয় বছর পর বিশ্বব্যাপী শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়। এ শান্তি চুক্তিসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে প্যারিস শান্তি সম্মেলনে আগত মিত্র ও সহযোগী শক্তিবর্গের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং একই সাথে তাদের প্রত্যেকের জার্মানির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিরূপ ছিল তা জানা দরকার ।
১৯১৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্যারিসে যে শান্তি সম্মেলন শুরু হয় তাতে জার্মানির বিপক্ষে যে সকল দেশ যুদ্ধে অংশ নেয় অথবা যুদ্ধ চলাকালে জার্মানির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে তারা প্রতিনিধি পাঠায়। মোট ৩২টি দেশ এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। পূর্বেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রত্যেকটি দেশ তার সামরিকশক্তি অনুযায়ী এক থেকে পাঁচ জন পর্যন্ত প্রতিনিধি প্রেরণ করতে পারবে এবং মোট একাত্তরটি আসনের বন্দোবস্ত করা হয়। সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সকল দেশের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করলেও মূল কাজ সম্পাদনের ভার দেয়া হয় তথাকথিত দশ জনের পরিষদের (Council of Ten ) হাতে। দশ জনের এ
মেসোপটেমিয়া : সিরিয়ার মত মেসোপটেসিয়া (ইরাক) ও আরব জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ছিল অত্যন্ত প্রবল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ও পরে গিলানি, ওমরি এবং সুয়াইদি প্রভৃতি ইরাকি পরিবার আরব জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। স্বাধীনতা লাভের আশায় বহু ইরাকি যুদ্ধের সময় সক্রিয়ভাবে ব্রিটেনকে সহযোগিতা করেছিল। ১৯১৫-১৯১৬ সালে নাজাফ, কারবালা, হিল্লা, কুফা ইত্যাদি স্থানের জনগণ তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। নূরি আল সাঈদের মত তুর্কি সেনাবাহিনীর বেশ কিছু ইরাকি কর্মকর্তা ব্রিটিশদের সহযোগিতা করে এবং ফয়সালের হেজাজী বাহিনীর সাথে যুদ্ধে যোগ দেয়। কিন্তু প্যারিস শান্তি সম্মেলনে তাদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে। আরব বাহিনীর ইরাকি কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বাগদাদে Iraqi Convenanters (আল-আহাদ আল ইরাকি) নামক একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ব্রিটিশ বিরোধী তৎপরতা চালাতে থাকে। ১৯২০ সালের ৮ মার্চ দামেস্কে সিরিয় জাতীয় কংগ্রেস যখন ফয়সালকে সিরিয়ার বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করে তখন বাগদাদে Iraqi Convenanters ফয়সালের বড় ভাই আবদুল্লাহকে ইরাকের বাদশাহ ঘোষণা করে। স্যান-রেমো সম্মেলনে সম্পাদিত ম্যান্ডেট চুক্তির সংবাদ ইরাকে পৌছা মাত্রই তা ব্যাপক বিদ্রোহের সূচনা করে। ১৯২০ সালের ৩ মে বিদ্রোহীরা দুজন ব্রিটিশ কর্মকর্তাতে হত্যা করে। এবং জুলাই মাস নাগাদ সমগ্র মেসোপটেমিয়া বিদ্রোহে ফেটে পড়ে। বিদ্রোহের প্রকোপ এত বেশী ছিল যে, মেসোপটেমিয়াতে মোতায়েনকৃত ব্রিটেনের এক লক্ষ ত্রিশ হাজারেরও বেশী সৈন্য এ বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হয়। অতিরিক্ত সৈন্য প্রেরণ করে অক্টোবর মাসের দিকে ব্রিটেন পরিস্থিতি শান্ত করতে সামর্থ হয় । বিদ্রোহের ফলে ব্রিটেনের প্রায় দুই হাজার পাঁচ শত সৈন্য প্রাণ হারায়। যুদ্ধ পরবর্তী টানা পোড়েনের মধ্যেও ব্রিটেনকে বিদ্ৰোহ দমনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। অবশেষে সিরিয়ার মত মেসোপটেমিয়ার জনগণও ম্যাণ্ডেটরি ব্যবস্থা মেনে নিতে বাধ্য হয় ।
ফিলিস্তিন : সিরিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ফিলিস্তিনের আরবদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। ফিলিস্তিনের আরবরা সিরিয়ার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরব রাজ্য গঠনের স্বপ্ন দেখত। কিন্তু সিরিয়াকে ফ্রান্সের মান্ডেটাধীনে অর্পণ করা হলে তাদের সে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। উপরন্তু ফিলিস্তিনকে জাইয়নবাদের মোকাবেলা করতে হয়েছিল। ১৯২০ সালের এপ্রিল মাসে জেরুজালেম এবং জাফায় আরব- ইহুদি সংঘর্ষে প্রায় পঞ্চাশ জন ইহুদি নিহত হয়। এ ঘটনা ব্রিটেনকে তার সিদ্ধান্ত থেকে বিচ্যুত করতে পারে নি। ২৪ এপ্রিল ব্রিটেনকে ফিলিস্তিনের ম্যান্ডেট প্রদান করা হয়। ১ জুলাই ফিলিস্তিনে সামরিক শাসনের বদলে বেসামরিক শাসন চালু হয়। স্যার হার্বার্ট স্যামুয়েল ব্রিটিশ হাইকমিশনার নিযুক্ত হন এবং ব্যালফোর ঘোষণার যথাযথ বাস্তবায়নে সচেষ্ট হন ।
আরবিয় উপদ্বীপ : আরবীয় উপদ্বীপের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হয়। শরীফ হুসাইনের শাসনাধীনে হেজাজ একটি স্বাধীন আরব রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। তবে ইবনে সউদের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি কিছুটা শঙ্কিত ছিলেন। নেজদের সুলতান ইবনে সউদ পশ্চিমের হেজাজের সীমানা থেকে পূর্বে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত সমগ্র মধ্য আরবের একচ্ছত্র শাসকে পরিণত হন। রাশিদীরা নেজাদের উত্তর সীমা হতে ইরাক সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত শামার অঞ্চল শাসন করেছিল। তবে যুদ্ধে তুরস্কের পরাজয়ের ফলে তাদের শক্তি ও মর্যাদা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছিল। দক্ষিণ আরবের আসির ইদ্রিসি এবং ইয়েমেন ইমাম ইয়াহইয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের শেখ শাসিত আমিরাতগুলির শাসন ব্যবস্থায়ও কোন পরিবর্তন সূচিত হয় নি।
ম্যান্ডেট প্রস্তাবে চূড়ান্ত সমঝোতা : বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্রিটেন আরবদের অসন্তোষ প্রশমনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তাই এ অঞ্চলের জন্য একটি সমন্বিত নীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বৃটিশ সরকার ১৯২০ সালের ডিসেম্বর মাসে উপনিবেশ দপ্তরের অধীনে মধ্যপ্রাচ্য বিভাগ নামে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। ১৯২১ সালের ১২ ও ১৪ জুন উপনিবেশ মন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতি নির্ধারণের উদ্দেশ্যে কায়রোতে একটি সম্মেলন আহবান করেন। চার্চিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে ইরাকের হাই কমিশনার স্যার ক্রক, ফিলিস্তিনের হাই কমিশনার স্যার হাবার্ট স্যামুয়েল, টি ই লরেন্স, গারট্রুড বেল সহ বিখ্যাত মধ্যপ্রাচ্য বিশারদগণ যোগদান করেন। এ সম্মেলনে সিরিয়া থেকে বিতাড়িত ফয়সালকে ইরাকের বাদশাহ এবং আবদুল্লাহকে ট্রান্স জর্ডানের (জর্ডান নদীর পূর্ব তীরবর্তী আরব ভূ-খণ্ড যা নিয়ে বর্তমান জর্ডান রাজ্য গঠিত) আমীর পদে অধিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকার ফয়সালের মতামত জানতে চাইলে তিনি ইরাকের উপর তার বড় ভাই আবদুল্লাহর অধিকারের কথা উল্লেখ করে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। কর্ণেল লরেন্স আবদুল্লাহকে ফয়সালের অনুকূলে ইরাকের উপর তার দাবি পরিত্যাগে রাজী করানোর দায়িত্ব দেন। এ সময় আবদুল্লাহ ফয়সালের প্রতি ফরাসি আচরণের প্রতিশোধ নিতে তার হেজাজি সেনাবাহিনী নিয়ে জর্ডানে অবস্থান করছিলেন। ফয়সালকে সিরিয়ায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে তিনি জর্ডান ও সিরিয়া আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কর্ণেল লরেন্স ফয়সালকে ইরাকের বাদশাহ করার ব্রিটিশ পরিকল্পনার কথা আবদুল্লাহকে অবহিত করেন। আবদুল্লাহ এতে সম্মত হন। ব্রিটিশ সরকার পুনরায় ফয়সালের মতামত জানতে চাইলে ফয়সাল আর আপত্তি করেন নি। কায়ারো সম্মেলন শেষে চার্চিল জেরুজালেম সফর করেন। সেখানে তিনি আবদুল্লাহর সাথে একটি সমঝোতায় উপনীত হন। এতে বলা হয় আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দামেস্কে একটি আরব সরকার গঠনের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার ফ্রান্সের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে ফ্রান্সের সম্মতি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আবদুল্লাহ ব্রিটেনের সহযোগিতায় জর্ডানের
পূর্বাঞ্চল শাসন করবেন। কিন্তু সিরিয়া বিষয়ক নীতিতে পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা না থাকায় ফ্রান্স ব্রিটেনের প্রস্তাবে সম্মত হয় নি। ফলে একটি সামরিক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্ব জর্ডানে প্রতিষ্ঠিত আবদুল্লাহর শাসন ব্যবস্থা স্থায়ী রূপ লাভ করে । তিনি ট্রান্স জর্ডানের আমীর নিযুক্ত হন। অন্যদিকে ব্রিটেনের প্রভাবে ১৯২১ সালের ১১ জুলাই ইরাকের আরব নেতৃবৃন্দ ফয়সালকে ইরাকের বাদশাহ হিসেবে মেনে নেয় ।
প্যারিস শান্তি সম্মেলনে ব্রিটেন ও ফ্রান্স যুদ্ধকালীন গোপন চুক্তিগুলির বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতার কারণে চুক্তিগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি। ম্যান্ডেট ব্যবস্থার মাধ্যমে পরস্পর বিরোধী দাবি- দাওয়াগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের চেষ্টা করা হয়। এর ফলে সমগ্র আরব অঞ্চলে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠিত হয়। অথচ সাইকস-পিকো চুক্তি শুধুমাত্র সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ফরাসী নিয়ন্ত্রণ এবং দক্ষিণ ইরাকে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। দামেস্ক হম্‌স, হামা এবং আলেপ্পো নিয়ে গঠিত সিরিয়ার অভ্যন্তর ভাগ এবং ইরাকের অবশিষ্টাংশ নিয়ে একটি আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা ছিল । অবশ্য ম্যাণ্ডেট চুক্তিতে বৃটেন ও ফ্রান্সকে শুধু অভিভাবকের দায়িত্ব প্রদান করা হয় । কিন্তু পরবর্তীকালে তারা অভিভাবকত্বের পরিবর্তে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় । এ ব্যাপারে ফ্রান্স ছিল অগ্রগামী। সম্ভবত শাসন করার এ সুপ্ত বাসনা থেকেই তারা সাইকস-পিকো চুক্তিতে উল্লেখিত অঞ্চলের উপর প্রত্যক্ষ শাসনের সুযোগ ত্যাগ করে ম্যান্ডেট ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল । তবে এ কথা সত্য যে, পূর্ণ রাজনৈতিক মুক্তি না পেলে ও তুরস্কের কঠোর নিয়ন্ত্রণের তুলনায় ম্যাণ্ডেটরী শাসন ব্যবস্থা আরবদের প্রতি কিছুটা নমনীয় ছিল। উপরন্ত আরবদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারকে স্বীকার করে নিয়েই এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল । তাই মনোভাব যাই থাকুক না কেন ম্যান্ডেটরি কর্তৃপক্ষকে আরবদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার স্বীকার করে নিয়েই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। অন্যদিকে ফ্রান্স আরবদেরকে কোন প্রকার ছাড় দিতে রাজী না হলেও ব্রিটেন তার ম্যান্ডেটরী অঞ্চলে ফয়সাল এবং আবদুল্লাহকে প্রতিষ্ঠিত করে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব প্রদান করে। সম্ভবত আরবদের ক্ষোভ প্রশমনের উদ্দেশ্যেই ব্রিটেন এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে শান্তি সম্মেলনে ইহুদিদের সবগুলি উদ্দেশ্যই পূর্ণ হয় ।
ফিলিস্তিনে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের বদলে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ব্যালফোর ঘোষণাকে ম্যান্ডেট চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয় ।
সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কেন্দ্রিক মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একটি পরিপূর্ণ চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী, যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধপরবর্তী এসব ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]