ইঙ্গ-মিশরিয় চুক্তি, ১৯৩৬
ইঙ্গ-মিশরিয় চুক্তি মধ্যপ্রাচ্য তথা পশ্চিম এশিয়ার ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ চুক্তি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল ।
ইঙ্গ-মিশরিয় চুক্তির পটভূমি : ১৯২৭ সালের এপ্রিল মাসে লিবারেল পার্টির নেতা আদলী ইয়েকেন পাশা পদত্যাগ করলে তার সহকর্মী আব্দুল খালেক সারওয়াত মিশরে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন করেন। তার সময় পার্লামেন্টের সম্মানিত সদস্যবর্গ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, সেনাবাহিনীর ‘সিরাদার' বা প্রধান হিসেবে একজন মিশরিয় সামরিক বাহিনীর সদস্যকে নিয়োগ করতে হবে। ফলে ১৯২৭ সালের ২৭ মে ব্রিটেন আলেকজান্দ্রিয়ায় একটি নৌবহর প্রেরণ করে। ১৯২৭ সালে জননেতা সাদ জগলুল পাশার মৃত্যুতে সহকর্মী নাহাস পাশা ওয়াফদ পার্টির নেতৃত্বে আসেন। সারওয়াত পাশা রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের জন্য ১৯২৭
সালের মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনার জন্য লন্ডনে গমন করেন । সারওয়াত-চেম্বারলেন আলোচনা ফলপ্রসু হয় নি এবং সারওয়াত মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পার্লামেন্টের নির্বাচিত স্পীকার নাহাস পাশাকে পরবর্তী সরকার গঠনের আহ্বান জানান হয়। ১৯২৮ সালের ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ওয়াফদ সরকার গঠিত হয়। কিন্তু স্বৈরাচারী রাজা ফুয়াদ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সাথে ষড়যন্ত্র করে ২৫ জুন নাহাস মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করেন। এরপর মোহাম্মদ মাহমুদ সরকার গঠন করে ১৯ জুলাই পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন। রাজা ফুয়াদ রাজনৈতিক সঙ্কট দূরীকরণের জন্য পার্লামেন্টে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন ৩ বছরের (১৯২৮-৩০) জন্য স্থগিত করেন। ১৯২৯ সালে ব্রিটেনের নির্বাচনে কনজারভেটিভ সরকারের ভরাডুবি হয়, এবং লিবারেল পার্টি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। লিবারেল পার্টি ব্রিটিশ সরকার গঠনে মিশরিয়দের মনে প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের আশা সঞ্চার করে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য আদলী একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন। ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাহাস পাশার সুযোগ্য নেতৃত্বে ওয়াফদ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে মন্ত্রীসভা গঠন করে। উল্লেখ্য যে, এটি ছিল তৃতীয় ওয়াফদ মন্ত্রীপরিষদ ।
১৯৩০ সালে নাহাস পাশা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করার পর ব্রিটিশ সরকারের সাথে সুদান এবং যুদ্ধকালীন সময়ে মিশরে ব্রিটিশ সৈন্য রাখার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। নাহাস পাশা এ ধরনের ঘৃণ্য প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ১৭ জুন তার মন্ত্রীসভার পতন হয়। রাজা ফুয়াদ তার স্থলে তার ভক্ত ইসমাইল সিদকীকে মন্ত্রী পরিষদ গঠনের আহ্বান জানান। তিনি ১৯২৩ সালের সংবিধান বাতিল এবং নির্বাচন স্থগিতই করলেন না, ব্রিটিশ তাবেদারীতে দেশ শাসন এবং ওয়াফদ পার্টির প্রভাব ও প্রতিপত্তি খর্ব করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় । সংবাদপত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং সভাসমিতির উপর কড়াকড়ি আরোপিত হয়। সিদ্কী পাশায় ওয়াফদ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠ হ্রাসের জন্য নির্বাচনি আইন পরিবর্তন করেন যাতে ‘ফেলাহীন' বা কৃষক শ্রেণি ওয়াফদ পার্টির প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারে। দমন-পীড়ন চলতে থাকে এবং সিদ্কী পাশা ওয়াফদ পার্টির জনপ্রিয়তা হ্রাসের জন্য 'হিযব-আল সাফ' বা জনগণের দল গঠন করেন। এর ফলে লিবারাল ও ওয়াফদ পার্টি ১৯৩১ সালের ৩১ মার্চ একটি জাতীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সংঘবদ্ধ হয়। সিদকী পাশা রাজনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন। যা প্রতিহত করা তারপক্ষে সম্ভব হয় নি। ১৯৩০ সালের জানুয়ারিতে সিদকী পাশা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। রাজা ফুয়াদ তার স্থলে আব্দুল ফাতাহ ইয়াহইয়ার উপর একটি রাজকীয় মন্ত্রীসভা গঠনের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এ সরকার বেশি দিন স্থায়ী হয় নি। আবদুল ফাতাহকে অপসারণ করে তৌফিক নাসিমকে মন্ত্ৰী পরিষদ গঠনের আহ্বান জানান। এ দায়িত্ব পেয়ে নাসিম ১৯২৩ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে এবং ১৯৩৫ সালের এপ্রিলে একটি রাজকীয় ফরমানের
মাধ্যমে সংবিধান পুনরায় কার্যকরি করে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে ইতালি, ১৯২৫ সালে লিবিয়া এবং ১৯৩৬ সালে আবিসিনিয়া (ইথিওপিয়া) দখল করে নেয়। নাসিম ক্রমেই ফুয়াদের আস্থা হারাতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। তিনি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্বৈরাচারী রাজা তাকে ১৯৩৬ সালের ২২ জানুয়ারি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। নাসিমের স্থলে প্রধান রাজকীয় চেম্বারলেন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে এবং নির্বাচনে নাহাস পাশা বিজয়ী হয় । ইতোমধ্যে রাজা ফুয়াদ ১৯৩৬ সালের ২৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করলে ৬ মে তার পুত্র এবং সর্বশেষ মিশরিয় রাজা ফারুক সিংহাসনে বসেন। ১০ মে নাহাস পুনরায় ক্ষমতায় আসেন এবং তৃতীয় বারের মত মন্ত্রীসভা গঠন করেন। ১৯৩৬ সালে সম্পাদিত ইঙ্গ-মিশরিয় চুক্তি এবং সুদান প্রশ্নে নাহাসের সাথে রাজার বিরোধ বাধে এবং ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি অপসারিত হন। তার স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ মাহমুদ পাশা ।
১৯৩৫ সালের মাঝামাঝি ইতালি আবিসিনিয়া দখল করলে ব্রিটিশ সরকার মিশরের সাথে সমঝোতা করার আগ্রহ প্রকাশ করে। Axis power এর আধিপত্য উত্তর আফ্রিকায় বিস্তার লাভ করলে মিত্র শক্তি মিশরকে সুরক্ষিত করে একটি ঘাটিতে পরিণত করার প্রয়াস পায়। আর্থার গোল্ডস্মিথ বলেন, “১৯৩৫-১৯৩৬ সালের কতগুলো সৌভাগ্যজনক ঘটনা মিশরে ক্ষমতার লড়াই এর গতি পরিবর্তন করে।” লিবিয়া ও আবিসিনিয়া ইতালির অবস্থিতিতে মিশরে ব্রিটিশ সরকারের প্রভাব ও স্বার্থ ক্ষুন্ন হবার উপক্রম হয়। এ ঘটনা উভয় দেশকে নিকটতর করে এবং ব্রিটিশ সরকারকে দমন নীতি প্রত্যাহারে বাধ্য করে। রাজধানী কায়রোতে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ, গণআন্দোলন ও রাজনৈতিক অচলাবস্থা পরিস্থিতিকে আরো সংকটাপন্ন করে তোলে। এসব কারণে ব্রিটিশ সরকার নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করেন। বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার মিশরিয় সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করে। এ সম্মেলনে মিশরিয় পক্ষে ১৩ জন, এর মধ্যে ওয়াফদ পার্টির ৭ জন এবং অপরাপর সদস্যরা অন্যান্য দলভুক্ত ছিলেন। অপরদিকে কমিশনার মাইলস ল্যামসন ‘ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ব্রিটিশ ও মিশরিয় প্রতিনিধি দল আলাপ-আলোচনা করে একটি চুক্তি সম্পাদনে সম্মত হন। মিশরিয় দলের নেতা নাহাস পাশা মিশরিয় সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এবং ব্রিটিশ কমিশনার ল্যামসন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৯৩৬ সালের ২৬ আগস্ট লন্ডনে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিটি ইতিহাসে ইঙ্গ-মিশরিয় চুক্তি নামে পরিচিত। ১৯৩৬ সালের ২৬ আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ইঙ্গ-মিশর চুক্তি অনুমোদন করে। পরে মিশরিয় পার্লামেন্টে এ চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হয় এবং তা
অনুমোদিত হয় ৷
ইঙ্গ-মিশরিয় চুক্তি-১৯৩৬ এর শর্তাবলি : এ চুক্তির শর্তাবলি নিম্নরূপ : ১. মিশরে ব্রিটিশ সামরিক দখলদারিত্বের অবসান ঘোষণা করা হয়।
২. মিশরে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এবং ব্রিটেনে মিশরের রাষ্ট্রদূত স্ব-স্ব দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ।
৩. মিশর লীগ অব নেশন সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করবে। মিশরকে একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী ব্রিটিশ সরকার এ ব্যাপারে মিশরকে সহযোগিতা করবে।
৪. উভয় পক্ষের মধ্যে বন্ধুত্ব, আন্তরিকতাপূর্ণ সমঝোতা এবং সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে ।
৫. কোন পক্ষই অন্য কোন বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে এ মৈত্রী চুক্তির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে না। অথবা এমন কোন রাজনৈতিক চুক্তি করবে না, যা বর্তমান চুক্তির ধারাসমূহের সাথে সঙ্গতিপূৰ্ণ নয় ৷
৬. কোন পক্ষের সাথে যদি তৃতীয় কোন পক্ষের বিরোধের ফলে বিবাদমান পক্ষটির রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাহলে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসবে এবং লীগ অব নেশনসের কভেনান্ট ও এক্ষেত্রে প্রযোজ্য অন্যান্য আন্তজার্তিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী উক্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান করবে।
৭. দুপক্ষের মধ্যে কোন পক্ষ যদি তৃতীয় কোন পক্ষের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে অন্যপক্ষ যত দ্রুত সম্ভব সহযোগিতার পথ প্রসারিত করবে। যুদ্ধের সময় অথবা যুদ্ধ অত্যাসন্ন হলে অথবা আন্তর্জাতিক কোন জরুরী অবস্থা বিরাজ করলে মিশরের রাজা তার আওতাধীন বন্দর, বিমান ঘাঁটিসহ যোগাযোগের সকল ব্যবস্থা ব্রিটিশদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন। এসব সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতা কার্যকরভাবে প্রদানের জন্য প্রয়োজনে তিনি সামরিক শাসন ও সেন্সরশিপ আরোপ করবেন ।
৮. সুয়েজ খাল মিশরের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মিশরিয় সেনাবাহিনী সুয়েজ খালের নিরাপত্তা রক্ষা করার মত শক্তিশালী না হওয়া পর্যন্ত এ সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য এ ধারায় সংযুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুয়েজ খাল এলাকায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী অবস্থান করবে। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর এ উপস্থিতি দখলদারিত্ব হিসেবে বিবেচিত হবে না এবং তা মিশরের সার্বভৌম অধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে না। যতক্ষণ চুক্তির ১৬নং ধারায় উল্লেখিত ২০ বছর সময় অতিক্রান্ত হবার পর মিশরিয় সেনাবাহিনী সুয়েজ খালের নিরাপত্তা রক্ষার মত শক্তিশালী হয়েছে কিনা তা বিবেচনা করে উভয় পক্ষ সুয়েজ খাল এলকায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতির যৌক্তিকতা নির্ধারণ করবে। এ ব্যাপারে কোন বিরোধ দেখা দিলে তা লীগ অব নেশনসের কভেনাট
অনুযায়ী মিমাংসা করা হবে। উল্লেখ্য যে সুয়েজ খাল এলাকায় ব্রিটেনের অনধিক ১০,০০০ পদাতিক বাহিনী, ৪০০০ পাইলট, ৪,০০০ বেসামরিক নাগরিক এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রযুক্তিবিদ ও প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ অবস্থান করবে। এতে তাদের অবস্থানের এলাকা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে।
৯. বর্তমান চুক্তির আওতায় মিশরে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকগণ বিচার ও শুল্ক ক্ষেত্রে কি কি সুযোগ-সুবিধা ও দায়মুক্তি ভোগ করবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে একটি পৃথক কনভেনশনের মাধ্যমে তা স্থির করা হবে
১০. লীগ অব নেশনসের কভেনান্ট অথবা ১৯২৮ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি কর্তৃক উভয় পক্ষের উপর আরোপিত দায়-দায়িত্ব ও প্রদত্ত অধিকারসমূহকে এ চুক্তির কোন ধারা ক্ষুন্ন করবে না ।
১১. উভয়পক্ষ ১৮৯৯ সালে সম্পাদিত কনডোমিনিয়াম চুক্তি অনুযায়ী সুদানের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। উক্ত চুক্তিতে গভর্নর জেনারেলকে ক্ষমতা অনুযায়ী তিনি মিশর ও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে সুদান শাসন করবেন। এ শাসন ব্যবস্থা সুদানের জনগণের কল্যাণার্থে পরিচালিত হবে। সুদানের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বৃটিশ এবং মিশরিয় সেনাবাহিনীও সুদানের প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আইন শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কারণ ছাড়া সুদানে মিশরিয়দের অভিবাবসন নিষিদ্ধ করা হবে না। বাণিজ্য, অভিবাসন এবং সম্পত্তির মালিকানা বিষয়ে সুদানে অবস্থানরত বৃটিশ নাগরিক ও মিশরিয়দের মধ্যে কোন প্রকার বৈষম্য করা হবে না ।
১২. মিশরিয় সরকার মিশরে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান করবে।
১৩. সময়ের পরিবর্তন এবং মিশরের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে ক্যাপিচুলেশন প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় ।
১৪. মিশর ও ব্রিটেনের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সকল চুক্তি বা আইন বাতিল বলে গণ্য হবে ।
১৫. যদি চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এ ধারাসমূহ ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কোন মতপার্থক্য দেখা দেয় এবং উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় তাহলে লীগ অব নেশনসের চুক্তি অনুযায়ী এর সমাধান করতে হবে।
১৬. চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পর ২০ বছর অতিক্রান্ত হলে যেকোন এক পক্ষের অনুরোধে উভয় পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে চুক্তির ধারাসমূহ সংশোধন করতে পারবে। এ ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য দেখা দিলে তা লীগ অব নেশনসের চুক্তি অনুযায়ী মিমাংসার জন্য লীগ কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে। তবে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর উভয় পক্ষের সম্মতিতে তা সংশোধন করা যাবে।
১৭. চুক্তিটি কার্যকর হলে উভয় দেশের সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে । যত দ্রুত সম্ভব কায়রোতে এ অনুমোদনপত্র বিনিময় হবে। অনুমোদনপত্র বিনিময়ের দিন থেকেই চুক্তিটি কার্যকর হবে। এরপর চুক্তিটি লীগ অব নেশনসে নিবন্ধিত
হবে।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত