ধর্মপাল


ধর্মপাল
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল বাংলার সিংহাসনে বসেন। খালিমপুর তাম্রশাসন ধর্মপালের বিজয়রাজ্যের
৩২ সম্বৎসরে লিখিত। সুতরাং ৩৫/৪০ বছর তিনি রাজত্ব করেন (অনুমান করা হয়), সে হিসেবে তাঁর


রাজত্বকাল ৭৮১ খ্রিস্টাব্দ হতে ৮২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্দিষ্ট করা যায়। পাল সাম্রাজ্যের উত্থান ও এর
প্রতিপত্তি বিস্তারে ধর্মপালের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে তাই তিনি বিখ্যাত হয়ে
আছেন। গোপাল বাংলা ও বিহারে পাল শাসন দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে যাওয়ায় ধর্মপাল উত্তর
ভারতের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার মতো নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন। তাছাড়া উত্তর ভারতের
সমসাময়িক অবস্থা ধর্মপালকে সাম্রাজ্য বিস্তারে উদ্যোগী হতে ও আক্রমণাত্মক নীতি অনুসরণ করতে
সহায়তা করেছিল।
ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ
পাল বংশ যে সময়ে বাংলা ও বিহারে তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। সেসময়ে উত্তর ভারতের মধ্যস্থলে
তেমন কোন প্রভাবশালী শক্তি ছিল না।আর্যাবর্তের কেন্দ্রস্থল কান্যকুব্জে তখন রাজনৈতিক শূন্যতা বিরাজ
করছিল।এই রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের জন্য অষ্টম শতাব্দীর শেষ ভাগ হতে প্রায় তিন পুরুষ ধরে পার্শ্ববর্তী
শক্তিবর্গের মধ্যে প্রচন্ড উৎসাহ ও প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়।মালব ও রাজস্থানের গুর্জর ও প্রতীহার,
দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রক‚ট রাজাগণ এবং বাংলার পাল রাজাগণ প্রায় একই সময়ে মধ্যদেশে অধিকার বিস্তারে
প্রয়াসী হন। ফলে এক ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে এটিই ‘ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ'
নামে পরিচিত।
অষ্টম শতাব্দীর শেষ দিকে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।অনুমান করা হয় ৭৯০ খ্রিস্টাব্দ বা
নিকটবর্তীকালে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের প্রথম পর্যায় সংঘটিত হয়েছিল। এই পর্যায়ের সূত্রপাত হয় প্রতিহার ও
পাল সংঘর্ষে। ধর্মপাল যে সময়ে পশ্চিম দিকে বিজয়াভিযান করেন, সে সময়ে প্রতীহার রাজা বৎসরাজও
মধ্যদেশে সাম্রাজ্য স্থাপনের চেষ্টায় পূর্বদিকে অগ্রসর হন। ফলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ যুদ্ধে
ধর্মপাল পরাজিত হন। কিন্তু বৎসরাজ মধ্যদেশে অধিকার বিস্তারের আগেই তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ঘটে।
দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রক‚ট রাজা ধ্রুবধারাবর্ষ এ সময় আর্যাবর্তে বিজয়াভিযানে আসেন।তিনি বৎসরাজকে
পরাজিত করে ধর্মপালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। রাষ্ট্রক‚ট সূত্র হতে জানা যায় যে, ধ্রুব গৌড়রাজকে গঙ্গা ও
যমুনার মধ্যবর্তী অঞ্চলে পরাজিত করেন। এই তথ্য থেকে ধারণা করা যায় যে, ধর্মপাল বারাণসী ও প্রয়াগ
জয় করে গঙ্গা ও যমুনার মধ্যবর্তী ভ‚-ভাগ পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেছিলেন।এই রাজ্য বিস্তারের গতি
অব্যাহত রেখে তিনি মধ্যদেশের দিকে অগ্রসর হন এবং ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের প্রথম পর্যায়ে ধর্মপাল উভয় শক্তির কাছে পরাজিত হলেও তাঁর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।
কারণ ধ্রুব তাঁর বিজয় সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা না করেই দাক্ষিণাত্যে প্রত্যাবর্তন করেন।এতে ধর্মপাল
পরাজিত হয়েও ক্ষমতা বিস্তারের সুযোগ পান।এর কারণ খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে বৎসরাজের
পরাজয়ের পর প্রতীহারদের পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে বেশ কিছু সময় লেগেছিল।তাই ধ্রুবের প্রত্যাবর্তনের
পর ধর্মপাল প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দি¡তায়ই নিজ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ধর্মপাল কান্যকুব্জে তাঁর প্রতিনিধি বসাতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর প্রমাণ রয়েছে নারায়ণপালের ভাগলপুর
তাম্রলিপির একটি শ্লোকে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ধর্মপাল ইন্দ্ররাজকে (ইন্দ্রায়ুধ) পরাজিত করে মহোদয়
(কান্যকুব্জ) অধিকার করেন এবং চক্রায়ুধকে শাসনভার অর্পণ করেন। ধর্মপালের খালিমপুর তাম্রলিপিতে
এই ঘটনার সমর্থন পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখ আছে ঃ ‘তিনি মনোহর ভ্রুভঙ্গী বিকাশে (চোখের ইঙ্গিত
দ্বারা) কান্যকুব্জে রাজ অভিষেক সম্পন্ন করেছিলেন; ভোজ, মৎস্য, মদ্র কুরু, যদু, যবন, অবন্তি, গান্ধার এবং
কীর প্রভৃতি রাজ্যের নরপালগণ প্রণতিপরায়ণ চঞ্চলাবনত মস্তকে সাধু সাধু বলে এর সমর্থন করেছিল, এবং
হৃষ্টচিত্তে পাঞ্চালদেশের বৃদ্ধগণ কর্তৃক তাঁর অভিষেকের স্বর্ণকলস উদ্ধৃত করেছিলেন।' এই শ্লোকের ওপর
ভিত্তি করে ঐতিহাসিকগণ মত পোষণ করেন যে, এই শ্লোকে উল্লেখিত সকল নরপতিকে ধর্মপাল পরাজিত
করেন এবং প্রায় সমগ্র উত্তর ভারত পদানত করেন। শ্লোকে উল্লেখিত প্রায় সবকটি দেশেরই অবস্থান নির্দিষ্ট
করা সম্ভবÑ গান্ধার উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত ও পাঞ্জাবের উত্তর-পশ্চিমাংশ, মদ্র মধ্য পাঞ্জাব, কীর উত্তর পাঞ্জাব,


কুরু পূর্ব পাঞ্জাব, অবন্তি মালবে, মৎস্য আলওয়ার ও জয়পুর, যবন ও ভোজ বেরার, যদু পাঞ্জাব বা সুরাটে
অবস্থিত। যবন সিন্ধুনদের তীরবর্তী কোন মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল।গান্ধার ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে
এবং কীর হিমালয়ের পাদদেশের অঞ্চল। এই রাজ্যসমূহের অবস্থিতি প্রায় সমগ্র উত্তর ভারত জয়ের কথাই
ঘোষণা করে।দেবপালের মুঙ্গের তাম্রলিপির সপ্তম শ্লোকেও এ ধরনের রাজ্যজয়ের প্রমাণ রয়েছে।এ শ্লোকে
বলা হয়েছে যে, ধর্মপাল দিগি¦জয়ে প্রবৃত্ত হয়ে কেদার (হিমালয়ে অবস্থিত) ও গোকর্ণ (বোম্বাই কিংবা
নেপালে অবস্থিত) এই দুই তীর্থ এবং গঙ্গাসাগর সঙ্গম দর্শন করেছিলেন।
ওপরের উল্লেখিত শ্লোকদ্বয়ে ধর্মপালের রাজ্য জয়ের যে বিবরণ রয়েছে তার ভিত্তিতে বলা যায় যে, ধর্মপাল
পাঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় সমগ্র উত্তর ভারতে রাজ্য বিস্তারে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এ
ধরনের প্রশস্তিমূলক উক্তির সমর্থনে অন্য কোন প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় এ ধরনের উক্তির সামগ্রিক সত্যতা
নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের প্রথম পর্যায়ের পর ধর্মপাল রাজ্য বিস্তারে কিছু সাফল্য
নিশ্চয়ই অর্জন করেছিলেন।তিনি কান্যকুব্জ অধিকার করে স্বীয় প্রতিনিধি চক্রায়ুধকে সেখানে অধিষ্ঠিত
করেছিলেন সে বিষয়ে তেমন কোন সন্দেহ নেই। কারণ রাষ্ট্রক‚ট ও প্রতীহার উৎসসমূহে এর সমর্থন পাওয়া
যায়। তাঁর এই সাফল্য লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে সভাকবি স্বভাবতই কিছুটা অতিরঞ্জনে লিপ্ত হন এবং
পশ্চিমাঞ্চলের যে ক'টি দেশের নাম তাঁর জানা ছিল কিংবা যে ক'টি দেশের নাম কবিতার ছন্দে মিলে,
তাদের উল্লেখ করেছেন। যদি সত্যিই কান্যকুব্জে বিভিন্ন রাজন্যবর্গের সমাগম ঘটে থাকে তাহলে, এমনও
হতে পারে যে, কান্যকুব্জের সাথে যেসব রাজ্যের সম্পর্ক ছিল সেসব রাজাগণ কান্যকুব্জের পরিবর্তনের সময়
সেই অভিষেক সভায় উপস্থিত ছিলেন।তাছাড়া ক‚টনৈতিক কারণেও তারা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন।
মুঙ্গের লিপিতে কেদার ও গোকর্ণের উল্লেখও খুব স্বাভাবিক। কারণ দুটিই সমসাময়িককালের সুপরিচিত
তীর্থস্থান এবং সভাকবি এ স্থান দুটিরও উল্লেখ করেছেন।
ওপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা চলে যে, ধর্মপাল কান্যকুব্জে প্রভুত্ব বিস্তার করে নিজ
প্রতিনিধিত্ব অধিষ্ঠিত করেছিলেন। তাম্রলিপির প্রশস্তিতে যে অন্যান্য রাজন্যবর্গের উল্লেখ রয়েছে তা কতটুকু
সত্য বা কল্পনাপ্রসূত তা বলা কঠিন।প্রশস্তিতে কিছু অত্যুক্তি থাকা খুবই স্বাভাবিক।তাছাড়া কান্যকুব্জে
সাফল্যও বাংলার ইতিহাসে কম গৌরবের কথা নয়। মধ্যদেশে বাংলার নরপতির এটি সম্ভবত প্রথম ক্ষমতা
বিস্তার। সুতরাং সেই গৌরবের জন্য ধর্মপাল অবশ্যই কৃতিত্বের দাবিদার।
কান্যকুব্জে ধর্মপালের আধিপত্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। প্রতীহার রাজা বৎসরাজের পুত্র দ্বিতীয় নাগভট্ট নতুন
মৈত্রীর মাধ্যমে আবার স্বীয় রাজ্যের শক্তি বাড়াতে সক্ষম হন। প্রতীহার উৎসে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয়
নাগভট্ট চক্রায়ুধকে পরাজিত করেন। গোয়ালিয়র প্রশস্তি হতে জানা যায় যে, ধর্মপালের বিপুল সামরিক
শক্তি থাকা সত্তে¡ও নাগভট্ট তাঁকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। অন্য এক লিপিতে উল্লেখ রয়েছে যে, এই
যুদ্ধ মুঙ্গের (পাল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে) বা নিকটবর্তী কোন স্থানে সংঘটিত হয়েছিল। এতে এটি স্পষ্ট হয়
যে, নাগভট্ট পশ্চাদ্ধাবমান চক্রায়ূধকে অনুসরণ করে মুঙ্গের পর্যন্ত এসেছিলেন।অন্যদিকে চক্রায়ুধ খুব
স্বাভাবিক কারণেই তাঁর অধিকর্তার নিকট আশ্রয় পাওয়ার জন্য পাল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থলের দিকে
এসেছিলেন। কিন্তু এরপরও প্রতীহার রাজ মধ্যভারতে ক্ষমতা বিস্তারে ব্যর্থ হন। কেননা, এ সময়
রাষ্ট্রক‚টরাজ তৃতীয় গোবিন্দ উত্তর ভারতে আগমন করেন নাগভট্টকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।
নাগভট্টের পরাজয়ের পর ধর্মপাল ও চক্রায়ুধ উভয়েই স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রক‚টরাজের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ
থেকে মনে করা যায় যে, গোবিন্দ ধর্মপালের আহŸানেই উত্তর ভারত এসেছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোন
সুস্পষ্ট প্রমাণ নেই। পিতার ন্যায় গোবিন্দকেও দাক্ষিণাত্য ফিরে যেতে (আনুমানিক ৮০১ খ্রিস্টাব্দে)
হয়েছিল।
গোবিন্দের প্রত্যাবর্তনের পর কান্যকুব্জের অবস্থা কি হয়েছিল সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয়।
এমনও হতে পারে যে, ধর্মপাল আবার সেখানে তাঁর প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন। তবে প্রমাণের অভাবে
একথাও তেমন জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে ৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কান্যকুব্জ হতে প্রতীহার রাজ ভোজের লিপি
প্রকাশিত হয়। সুতরাং বলা যায় ৮০১ খ্রিস্টাব্দ হতে ৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোন এক সময়ে কান্যকুব্জ


প্রতীহারদের হাতে যায় এবং ভোজ মধ্যদেশে প্রতীহার সাম্রাজ্য সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। অন্যদিকে দেবপালের
মুঙ্গের তাম্রশাসন হতে জানা যায় যে, দেবপালের সিংহাসন আরোহণকালে রাজ্যে কোন প্রকার বিপদ ছিল
না। অর্থাৎ গোবিন্দের প্রত্যাবর্তনের পর ধর্মপাল আর কোন বিপদের সম্মুখীন হননি বলেই মনে করা হয়।
ধর্মপালের সাফল্য
ওপরের আলোচনা হতে দেখা যায় যে, ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের উভয় পর্যায়েই ধর্মপাল খুব একটা কৃতিত্বের
পরিচয় দিতে পারেননি। তবে দুই পর্যায়ের মধ্যবর্তী সময়ে ধর্মপাল পাল সাম্রাজ্যের সীমা পশ্চিম দিকে বেশ
কিছুদূর বাড়াতে সক্ষম হন এবং কান্যকুব্জে নিজ প্রতিনিধি বসান। এ সময় তাঁর অধীনে বাংলা সর্বপ্রথম
উত্তর ভারতীয় রাজনীতিতে স্বল্পকালের জন্য হলেও কিছু সাফল্য অর্জন করেছিল। এই সাফল্যকে প্রকাশ
করতে গিয়ে পাল সভাকবিগণ তাঁর প্রশস্তি রচনায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু অতিরঞ্জন করেছেন। তথাপি
ধর্মপালের অধীনে বাংলার নতুন শক্তি ও উদ্দীপনার পরিচয় এই প্রশস্তিসমূহেই পাওয়া যায়।
পাল রাজাদের মধ্যে ধর্মপালই প্রথম সর্বোচ্চ সার্বভৌম উপাধি পরমেশ্বর, পরমভট্টারক ও মহারাজাধিরাজ
গ্রহণ করেন। পিতার ন্যায় তিনিও বৌদ্ধ ছিলেন। বরেন্দ্র অঞ্চলের সোমপুর নামক স্থানে (বর্তমান নওগাঁ
জেলার পাহাড়পুরে) একটি বিহার বা বৌদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন যা সোমপুর মহাবিহার নামে
পরিচিত। খুব সম্ভবত এটি সমগ্র ভারতবর্ষে সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ বিহার। ভাগলপুরের ২৪ মাইল পূর্বে তিনি
আরেকটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মপালের অপর নাম ‘বিক্রমশীল' অনুসারে বিহারটির নাম দেয়া হয়
বিক্রমশীল বিহার। তারনাথ উল্লেখ করেন যে, ধর্মপাল বৌদ্ধ শিক্ষার জন্য ৫০টি শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা
করেন।
ধর্মপাল নিজে বৌদ্ধ হলেও হিন্দু ধর্মের প্রতি উদার ছিলেন। নারায়ণ মন্দিরের জন্য তিনি নিষ্কর ভ‚মিদান
করেন। এটি তাঁর ধর্মীয় উদারতারই পরিচায়ক। ধর্মপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ। রাষ্ট্রীয়
পর্যায়ে তিনি ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নীতি প্রবর্তন করেছিলেন।

FOR MORE CLICK HERE

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]