দেবপাল


দেবপাল
ধর্মপালের পর তাঁর পুত্র দেবপাল সিংহাসনে আরোহণ করেন।তাঁর রাজত্বকাল দীর্ঘ ছিল। নালন্দা তাম্রশাসন
দেবপালের ৩৫ রাজ্যাঙ্কে উৎকীর্ণ হয়।বাদল শিলালিপিতে দেখা যায় যে, গুরবমিশ্রের বংশের তিন পুরুষের
তিনজন মন্ত্রী তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন।আনুমানিক ৮২১ খ্রি: হতে ৮৬১খ্রিস্টাব্দ এর মধ্যে দেবপালের
রাজত্বকাল নির্দিষ্ট করা যায়।দেবপালের উপাধি ছিল পরমেশ্বর, পরমভট্টারক এবং মহারাজধিরাজ।তিনি
পিতা ধর্মপালের উপযুক্ত পুত্র ছিলেন এবং পাল সাম্রাজ্য অক্ষুণœ রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।পাল রাজাদের
লিপিমালায় দেবপালের কৃতিত্বের যে গুণগান করা হয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রে ধর্মপালের গুণকীর্তনকেও ¤øান
করে দেয়।এ থেকে অনুমান করা যায় যে, দেবপাল পিতার নীতি অনুসরণ করে সাম্রাজ্য বিস্তারে সচেষ্ট
হয়েছিলেন। তাঁর সাফল্যই সভাকবিগণকে প্রশস্তি রচনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
রাজ্য বিজয়
পাল লিপিমালায় দেবপালকে একজন মহান বিজয়ী রূপে চিত্রিত করা হয়েছে। তাঁর সামরিক সাফল্য
বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে। নাগভট্টের পর প্রতীহার সাম্রাজ্যের দুর্বল উত্তরাধিকারী ও যুবক রাষ্ট্রক‚টরাজা
অমোঘবর্ষের নিস্প্রভতা দেবপালের জন্য রাজ্য বিস্তারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। দেবপালের মুঙ্গের
তাম্রশাসনে উল্লেখ রয়েছে যে, রাজ্য জয় উপলক্ষে তাঁর সৈন্যদল বিন্ধ্য পর্বত ও কম্বোজ (উত্তর-পশ্চিম
সীমান্ত) অঞ্চলে অভিযান চালায়। তিনি উত্তরে হিমালয় হতে রামেশ্বর সেতুবন্ধ পর্যন্ত এবং পূর্বে ও পশ্চিমে


সমুদ্র বেষ্টিত সমগ্র ভ‚ভাগ শত্রুমুক্ত করে শাসন করেছিলেন বলেও এ তাম্রশাসনে উল্লেখ রয়েছে। দেবপালের
মন্ত্রী দর্ভপানি ও কেদারমিশ্রের বংশের বাদল শিলা লিপিতেও দেবপালের রাজ্য জয়ের অনুরূপ বিবরণ
রয়েছে। তবে এ লিপিতে তাঁর দক্ষিণের রাজ্যসীমা সেতুবন্ধের পরিবর্তে বিন্ধ্যপর্বত পর্যন্ত বলা আছে। এ
লিপিতে আরো বলা হয়, দেবপাল উৎকল কুল ধ্বংস, হুনদের গর্ব খর্ব এবং দ্রাবিড় ও গুর্জর রাজাদের
পরাজিত করে দীর্ঘকাল আসমুদ্র পৃথিবী ভোগ করেন। দেবপালের রাজ্যজয় সম্পর্কে নারায়ণপালের
ভাগলপুর তাম্রশাসনে বলা হয়েছে যে, জয়পাল (দেবপালের পিতৃব্য বাকপালের পুত্র) ভাইয়ের আদেশে
রাজ্য জয়ে অগ্রসর হলে উৎকলের রাজা দূর হতে তাঁর নাম শুনেই নিজ রাজধানী ত্যাগ করেন এবং
প্রাগজ্যোতিষের (আসাম) রাজা তাঁর আদেশে যুদ্ধ ত্যাগ করে বন্ধুভাবাপন্ন অবস্থায় বাস করেন।
দেবপালের রাজ্যজয় সম্পর্কে মুঙ্গের তাম্রশাসনের তুলনায় পরবর্তীযুগের বাদল শিলালিপি ও ভাগলপুর
লিপিতে অধিক প্রশস্তিমূলক বর্ণনা রয়েছে। তাছাড়া এগুলোতে রাজ্যসীমার যে বিবরণ রয়েছে তা ভারতীয়
মানসে বহুদিন হতে সুপ্রতিষ্ঠিত উত্তর ভারতীয় সাম্রাজ্যের বিবরণ। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, উত্তর
ভারতের বহু নরপতির সাম্রাজ্য সম্বন্ধে এ ধরনের বিবরণ রয়েছে যা সর্বক্ষেত্রে সঠিক নয় বলে প্রমাণ আছে।
সুতরাং দেবপালের সাম্রাজ্য উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের কম্বোজ দেশ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল,
এ কথা সমসাময়িক ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে তেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই দেবপালের কৃতিত্ব নির্ণয়ে
সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
দেবপাল কর্তৃক উড়িষ্যা জয়ের প্রমাণ পাওয়া যায় বাদললিপি ও ভাগলপুর তাম্রশাসনে। তারনাথের
বিবরণেও এর উল্লেখ আছে। দেবপাল ভঞ্জ বংশীয় রাজা রণভঙ্গের পরবর্তী কোন সময়ে হয়তো সীমান্তবর্তী
রাজ্য উড়িষ্যা জয় করেছিলেন। এই সাফল্যের পর হয়তো তাঁর সৈন্যদল বিন্ধ্য পর্বত এবং আরো দক্ষিণে
অগ্রসর হয়ে পান্ড্যরাজার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। পাল লিপিমালায় সৈন্যদলের বিন্ধ্যপর্বত অভিযান
এবং দ্রাবিড় রাজার দর্পচূর্ণের কথা উল্লেখ আছে। লিপিতে উল্লেখিত দ্রাবিড় রাজা পান্ড্যরাজা হওয়া তেমন
অস্বাভাবিক নয়।বরং উড়িষ্যা জয়ের পর আরো দক্ষিণে তাঁর সৈন্যদলের অগ্রসর ও পান্ড্যরাজার সাথে সংঘর্ষ
ঘটা সম্ভব।সম্ভবত ৮৫১ থেকে ৮৬২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পান্ড্যরাজ শ্রীমার শ্রীবল্লভের বিরুদ্ধে দেবপালের সংঘর্ষ
হয়েছিল।রামেশ্বর সেতুবন্ধ পান্ড্যরাজ্যেই অবস্থিত। তাই দেবপালের সভাকবি এই সমরাভিযান উপলক্ষ
করেই দেবপালের রাজ্য রামেশ্বর সেতুবন্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত বলে বর্ণনা করেছেন।
কম্বোজ দেশের (উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তাঞ্চল) উল্লেখ তেমন যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়।
তবে এই উল্লেখেরও একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো সম্ভব। মুঙ্গের লিপিতে বলা হয়েছে, রাজ্য জয়কালে
দেবপালের সৈন্যদলের হস্তিবাহিনী বিন্ধ্যপর্বতাঞ্চলে তাদের পুরনো সাথীদের সাথে মিলিত হয়েছিল। এরপর
প্রশস্তিকার দেবপালের সৈন্যদলে ব্যবহৃত ঘোড়ার সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে কম্বোজদেশের নাম উল্লেখ করেন।
বলাবাহুল্য যে, কম্বোজদেশে ঘোড়া পাওয়া যায়। তবে সমসাময়িককালে উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও
কম্বোজদেশের উল্লেখ পাওয়া যায়। এখানকার কম্বোজদেশ বলতে সম্ভবত তিব্বতকে বুঝাতো। সুতরাং
দেবপালের সাথে তিব্বতের সংঘর্ষের কথা বিবেচনায় আসতে পারে।
বাদল লিপিতে গুর্জরদের সাথে সংঘর্ষেরও উল্লেখ রয়েছে। মনে হয় পূর্বেকার পাল-গুর্জর প্রতীহার সংঘর্ষ
দেবপালের রাজত্বকালেও ঘটেছিল। দেবপাল যে গুর্জর রাজার দর্পচূর্ণ করেছিলেন তিনি সম্ভবত নাগভট্টের
পৌত্র প্রথম ভোজ। রাষ্ট্রক‚টরাজ তৃতীয় গোবিন্দের হাতে পরাজয়ের পর প্রতীহার রাজ নাগভট্ট ও তাঁর পুত্র
রামভদ্রের শক্তি অতিশয় ক্ষীণ হয়ে পড়েছিল। রামভদ্র শত্রু কর্তৃক বিধ্বস্ত হয়েছিলেন। এরূপ ইঙ্গিতও এ
বংশের লিপিতে পাওয়া যায়। এ পরাজয় দেবপালের হাতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রামভদ্রের পুত্র প্রথম
ভোজ ৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে কনৌজে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।তিনি ৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে রাষ্ট্রক‚টরাজ কর্তৃক
পরাজিত হন।গুর্জরদের বিরুদ্ধে দেবপালের সাফল্য প্রথম ভোজের বিরুদ্ধে ৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের পরে কোন এক
সময়ে হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় দেবপাল পিতার ন্যায় কন্যকুব্জে আধিপত্য বিস্তার
করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং গুর্জরদের বিরুদ্ধে সাফল্য অর্জন করেছিলেন।


ভাগলপুর তাম্রশাসন হতে জানা যায় দেবপালের সেনাপতি জয়পালের আদেশে প্রাগজ্যোতিষের (আসাম)
রাজা যুদ্ধ ত্যাগ করে পাল সাম্রাজ্যের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন এ থেকে মনে হয়, দেবপাল পূর্ব
সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলের বিরুদ্ধেও সাফল্য অর্জন করেছিলেন। এছাড়া বাদল স্তম্ভলিপিতে হুনদের সম্বন্ধে যা
বলা হয়েছে সে বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব নয়। কেননা, হুন রাজ্যের অবস্থিতি কিংবা যে
অঞ্চলে হুনদের দেবপাল পরাজিত করেছিলেন তা আজও নির্দেশ করা সম্ভব হয়নি।
ওপরের আলোচনা হতে বলা যায়, দেবপাল পিতার যোগ্য উত্তরাধিকারী ছিলেন। পিতার ন্যায় তিনিও
বাংলার রাজ্যসীমা বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছিলেন।সীমান্তবর্তী রাজ্য উড়িষ্যা ও আসামে তাঁর অভিযান সফল
ছিল। উড়িষ্যায় সাফল্যের পর তাঁর সৈন্যদল দাক্ষিণাত্যের পান্ড্যরাজার বিরুদ্ধে ও বিন্ধ্য পর্বতাঞ্চলে অভিযান
চালায়।এ দুটি অভিযানের ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায় না।তবে লিপিমালায় দেবপালের
যে বিশাল উত্তর ভারতীয় সাম্রাজ্যের ইঙ্গিত রয়েছে তার বাস্তব ভিত্তি নেই।বরং প্রশস্তিকারের কল্পনায় এটি
সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে দেবপালের সাম্রাজ্য কতদূর বিস্তৃত ছিল তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
দেবপাল পিতার ন্যায় বৌদ্ধধর্মের অনুসারী ছিলেন। তথাপি হিন্দুধর্মের প্রতি তাঁর উদার মনোভাব লক্ষ করা
যায়। তাঁর মন্ত্রী কেদারমিশ্র ছিলেন একজন উচ্চবর্ণের হিন্দু। দেবপালের পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধ শিক্ষা ও
সংস্কৃতি প্রসার লাভ করে। জাভা ও সুমাত্রার শৈলেন্দ্র রাজ কর্তৃক নালন্দায় প্রতিষ্ঠিত মঠের ব্যয় নির্বাহের
জন্য দেবপাল পাঁচটি গ্রাম দান করেন। দেবপালের নালন্দা তাম্রশাসনে এই দানের উল্লেখ আছে। এ থেকে
প্রমাণ পাওয়া যায় যে, বাংলার সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান ছিল।
অরাজকতার যুগের অবসান ঘটিয়ে গোপাল পাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মপাল ও দেবপাল উত্তর
ভারতে সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ ঘটিয়েছিলেন। বাংলার রাজার উত্তর ভারতে সাফল্য লাভ বাংলার ইতিহাসে
অবশ্যই ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলার ইতিহাসে অনুরূপ সাফল্য পূর্বে বা পরে আর কখনও ঘটেনি। এই
সাফল্য পাল সাম্রাজ্যের গৌরবের কথাই ঘোষণা করে। প্রায় এক শতাব্দীকাল ধরে এই তিনজন পাল রাজার
রাজত্বকাল নি:সন্দেহে পাল রাজবংশের এবং ব্যাপকভাবে বাংলার ইতিহাসে গৌরবময় যুগের সূচনা
করেছিল।


সারসংক্ষেপ
শশাঙ্কের পরবর্তী প্রায় একশত বছর বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে অস্থির অবস্থা বিরাজমান ছিল যা
‘মাৎস্যন্যায়ম্' হিসেবে পরিচিত। এই অস্থির বা অরাজকতার যুগের অবসান ঘটিয়ে গোপাল বাংলার
সিংহাসনে আরোহণ এবং পালবংশের শাসনের সূচনা করেন। গোপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শাসনের ওপর
ভিত্তি করে তাঁর পরবর্তী দুই উত্তরাধিকারী ধর্মপাল ও দেবপাল পাল সাম্রাজ্যকে উন্নতির চরম শিখরে
উন্নীত করতে সক্ষম হন। ধর্মপাল উত্তর ভারতীয় রাজনীতিতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রাখেন এবং ত্রিপক্ষীয়
সংঘর্ষে অংশ নিয়ে বাংলার পক্ষে গৌরব অর্জন করেন। ধর্মপালের অধীনেই বাংলার নতুন শক্তি ও
উদ্দীপনার সূচনা হয়। উদার ধর্মীয় নীতির চর্চা, শিল্পকলার নজির সৃষ্টি এবং সোমপুর মহাবিহার
নির্মাণের মাধ্যমে তিনি তাঁর গৌরবকে বৃদ্ধি করেন। ধর্মপালের পুত্র দেবপাল ছিলেন পিতার যোগ্য
উত্তরসুরী। তিনি পাল সাম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাজ্য শাসন
করেন। গোপাল, ধর্মপাল এবং দেবপালের রাজত্বকাল নিঃসন্দেহে পাল রাজবংশের এবং ব্যাপকভাবে
বাংলার ইতিহাসে গৌরবময় যুগের সূচনা করেছিল।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন।
১। ‘মাৎস্যন্যায়ম্' কাল কোনটি?
(ক) অষ্টম শতাব্দী থেকে নবম শতাব্দী
(খ) সপ্তম শতাব্দী থেকে অষ্টম শতাব্দী
(গ) অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি
(ঘ) সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি।
২। গোপালের পিতার নামÑ
(ক) বপ্যট (খ) সুভট
(গ) তাতট (ঘ) দয়িতবিষ্ণু।
৩। রাষ্ট্রক‚ট বংশ কোন অঞ্চলে রাজত্ব করতো?
(ক) মধ্য এশিয়ায় (খ) মধ্য ভারতে
(গ) রাজস্থানে (ঘ) দাক্ষিণাত্যে।
৪। ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের ৩টি পক্ষ কারা?
(ক) গুর্জর-প্রতীহার, গৌড়, মালব (খ) গুর্জর-প্রতীহার, পাল, সেন
(গ) গুর্জর-প্রতীহার, রাষ্ট্রক‚ট, পাল (ঘ) পাল, রাষ্ট্রক‚ট, গৌড়।
৫। ধর্মপালের চোখের ইশারায় কান্যকুব্জের সিংহাসনে বসেনÑ
(ক) ইন্দ্রায়ুধ (খ) চক্রায়ুধ
(গ) ধ্রুবধারাবর্ষ (ঘ) বৎসরাজ।
৬। সোমপুর মহাবিহার কোথায় অবস্থিত?
(ক) পাহাড়পুর (খ) ময়নামতিতে
(গ) মহাস্থানে (ঘ) বাণগড়ে।
৭। দেবপাল সম্পর্কে জানার প্রধান উৎস কোনটি?
(ক) খালিমপুর তাম্রশাসন (খ) বাদল শিলালিপি
(গ) ভাগলপুর তাম্রশাসন (ঘ) লামা তারনাথ।
৮। দেবপাল সফল অভিযান পরিচালনা করেনÑ
(ক) দাক্ষিণাত্যে (খ) উড়িষ্যা ও আসামে


(গ) বিহারে (ঘ) বিন্ধ্য পার্বত্যাঞ্চলে।
৯। কেদার মিশ্র কার শাসনামলে মন্ত্রি ছিলেন?
(ক) ধর্মপালের (খ) গোপালের
(গ) দেবপালের (ঘ) মহীপালের।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ঃ
১। শশাঙ্ক পরবর্তী বাংলার রাজনৈতিক অবস্থা কিরূপ ছিল?
২। ধর্মপাল সম্পর্কে একটি টীকা লিখুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১। ‘মাৎসন্যায়ম্' অর্থ কি? গোপাল কর্তৃক পালবংশ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আলোচনা করুন।
২। ‘উদীয়মান প্রতিপত্তির যুগ' বলতে কি বোঝায়? এই যুগের উল্লেখ যোগ্য ঘটনা পর্যালোচনা করুন।
৩। ধর্মপালের কৃতিত্ব মূল্যায়ন করুন। তিনি কি সমগ্র উত্তর ভারতের অধিপতি ছিলেন?
৪। ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষের বিশেষ উল্লেখ পূর্বক ধর্মপালের সাফল্য চিহ্নিত করুন। তাঁর রাজ্যসীমা কতদূর
পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল?
৫। দেবপালের রাজ্যবিজয় কাহিনী পর্যালোচনা করুন। তাঁর সাম্রাজ্যসীমা চিহ্নিত করুন।
৬। দেবপালের কৃতিত্ব মূল্যায়ন করুন।
সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি
১। অনফঁষ গড়সরহ ঈযড়ফিযঁৎু, উুহধংঃরপ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ইবহমধষ.
২। জ.ঈ. গধলঁসফধৎ, ঐরংঃড়ৎু ড়ভ অহপরবহঃ ইবহমধষ.
৩। আবদুল মমিন চৌধুরী ও অন্যান্য, বাংলাদেশের ইতিহাস।
৪। রমেশচন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশের ইতিহাস, ১ম খন্ড।

FOR MORE CLICK HERE

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]