বঙ্গীয় আইনসভা, ১৯৩৭

মুখ্য শব্দ আইনসভা, মন্ত্রিসভা, কোয়ালিশন, কৃষক, প্রজা, কৃষিখাতক, ঋণ সালিশী বোর্ড,
চাকরি নিয়োগ বিধি।
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রদেশে স্বায়ত্বশাসন প্রবর্তন করে। এ ছাড়া এ আইনে ভোটাধিকার ও
আইনসভার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। ফলশ্রæতিতে প্রাদেশিক পর্যায়ের নির্বাচন এবং সরকার গঠনের বিষয়টি
গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় বাংলার রাজনীতিতে মুসলিম নেতৃত্বের উত্থান ঘটে। ব্রিটিশ শাসনের শেষ দশকে (১৯৩৭-
১৯৪৭) বাংলায় চারটি মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এগুলো ফজলুল হকের প্রথম মন্ত্রিসভা (১৯৩৭-৪১), ফজলুল হকের দ্বিতীয়
মন্ত্রীসভা (১৯৪১-৪৩), নাজিমুদ্দীন মন্ত্রিসভা (১৯৪৩-৪৫) ও সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভা (১৯৪৬-৪৭)।
প্রথম বঙ্গীয় আইনসভা বা ফজলুল হকের প্রথম মন্ত্রিসভা
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে ভারতের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হয়। এ নির্বাচনে বাংলায় মুসলমানদের জন্য বরাদ্দকৃত ১১৭টি আসনের মধ্যে মুসলিম লীগ ৪০টি, ফজলুল হকের কৃষকপ্রজা পার্টি ৩৫টি এবং স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থীরা ৪২টি আসন লাভ করে। কোনো দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায়
কোয়ালিশন সরকার গঠন অনিবার্য হয়ে ওঠে। সাধারণ আসনের নির্বাচনে কংগ্রেস ৫৪টি আসন পায়। নির্বাচনে
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও কংগ্রেস সরকার গঠনে অসম্মতি জানায়। এমতাবস্থায়, কৃষক-প্রজা পার্টির নেতা ফজলুল হকের
ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বিবেচনায় নিয়ে ফজলুল হককে সরকার গঠনের আহŸান জানানো হয়।
ফজলুল হক প্রথমে কংগ্রেসের সাথে মন্ত্রিসভা গঠনের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে সে উদ্যোগ সফল হয়নি। এরপর
তিনি মুসলিম লীগকে নিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রজা-লীগ কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। এই মন্ত্রিসভার
সদস্যদের মধ্যে ৬ জন মুসলমান ও ৫ জন হিন্দু ছিলেন। এদের মধ্যে ৬ জন জমিদার, ১ জন পুঁজিপতি এবং ৪ জন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
প্রথম বঙ্গীয় আইনসভা বাংলার কৃষক ও বাঙালি শিক্ষিত মুসলমানদের স্বার্থে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নি¤েœ
এ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলÑ
১. বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) আইন, ১৯৩৮
এ আইনের মাধ্যমে জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত ফি, জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে জমিদারদের প্রাধান্য, সার্টিফিকেট প্রথার মাধ্যমে
খাজনা আদায় এবং সাধারণ চাষীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অবৈধ আদায় প্রভৃতি বাতিল করা হয়। তাছাড়া এই আইনে
বকেয়া খাজনার উপর ধার্যকৃত সুদের হার ১২.৫% থেকে কমিয়ে ৬.২৫% করা হয়।
২. কৃষি-খাতক আইন, ১৯৩৮
এই আইনের মাধ্যমে সমগ্র প্রদেশে অসংখ্য ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করা হয়।
৩. মহাজনি আইন, ১৯৪০
বঙ্গীয় মহাজনি আইনের মাধ্যমে সকল মহাজনের ট্রেড লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হয় এবং সুদের হার স্থির
করে দেয়া হয়।
৪. বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগ বিধি বা সম্প্রদায় ভিত্তিক বণ্টন বিধি, ১৯৩৯
এই আইনের মাধ্যমে বাংলায় শিক্ষিত মুসলমানরা সবচেয়ে বেশী উপকৃত হয়। এর মাধ্যমে শতকরা ৫০ ভাগ চাকরি
মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখা হয় এবং নিয়োগ নীতি তদারকির জন্য একজন কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়।
সারসংক্ষেপ
প্রথম বঙ্গীয় আইন সভাকে অনেক প্রতিকূƒল অবস্থার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হতে হয়। সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি
পূরণ করতে না পারলেও এ আইনসভা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম গ্রহণ করে। বকেয়া খাজনার উপর ধার্যকৃত কর হ্রাস, ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন, চাকরির নিয়োগ বিধি উল্লেখযোগ্য।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-১.১৪
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। ব্রিটিশ শাসন আমলে বাংলায় কয়টি মন্ত্রিসভা গঠিত হয়?
(ক) ২টি (খ) ৩ টি
(গ) ৪ টি (ঘ) ৫ টি
২। বঙ্গীয় আইন সভার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলর. কৃষি-খাতক আইন, ১৯৩৮
রর. মহাজনী আইন, ১৯৪০
ররর. বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগ বিধি, ১৯৩৯
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র ও রর (খ) র ও ররর
(গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]