মুখ্য শব্দ অসহযোগ আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন, প্রাদেশিক ক্ষমতা, ভাষণ, অ্যাসেম্বলি, স্বাধীনতা
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা
ক্ষমতা লাভের স্বপ্ন দেখে। কারণ এটা তাঁদের ন্যায্য অধিকার। পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করলেও গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। ১ মার্চ আহুত জাতীয়
পরিষদের অধিবেশন হঠাৎই স্থগিত করে। ফলে এতদিনের ধূমায়িত ক্ষোভে বাঙালি বারুদের মতো ফেটে পড়ে। বঙ্গবন্ধু ২
মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এই আন্দোলন চলে ২৫ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা পর্যন্ত। আর এই
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষ মানুষের এক বিশাল সমাবেশে বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণ দেন। যা ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে আখ্যাায়িত।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের
জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে
রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে।
আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কি অন্যায় করেছিলাম,
নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ স¤পূর্ণভাবে আমাকে আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলী বসবে,
আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করবো এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো, এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক
ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার
অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাঙলার
ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে
জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত
আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা
হয়েছে। ১৯৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি
বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম।
তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেল, নির্বাচন হলো। আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি,
শুধু বাংলার নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসাবে তাকে অনুরোধ করলাম, ১৫ই ফেব্রæয়ারি তারিখে আপনি
জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন,
প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা এসেম্বলীতে বসবো। আমি বললাম, এসেম্বলীর মধ্যে
আলোচনা করবো; এমনকি আমি এ পর্যন্ত বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও
যদি সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেব।
জনাব ভুট্টো সাহেব এখানে এসেছিলেন, আলোচনা করলেন। বলে গেলেন যে, আলোচনার দরজা বন্ধ না, আরও
আলোচনা হবে। তারপর অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করলাম, আপনারা আসুন বসুন, আমরা আলাপ করে শাসনতন্ত্র
তৈয়ার করি। তিনি বললেন, পশ্চিম পাকিস্তানের মেম্বাররা যদি এখানে আসেন, তাহলে কসাইখানা হবে এসেম্বলী। তিনি
বললেন, যে যাবে তাকে মেরে ফেলে দেওয়া হবে। যদি কেউ এসেম্বলীতে আসে তাহলে পেশোয়ার থেকে করাচী পর্যন্ত
দোকান জোর করে বন্ধ করা হবে। আমি বললাম, এসেম্বলী চলবে। তারপর হঠাৎ ১ তারিখে এসেম্বলী বন্ধ করে দেওয়া
হলো। ইয়াহিয়া খান সাহেব প্রেসিডেন্ট হিসাবে এসেম্বলী ডেকেছিলেন। আমি বললাম যে, আমি যাবো। ভুট্টো সাহেব
বললেন, তিনি যাবেন না। ৩৫ জন সদস্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এখানে আসলেন। তারপরে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া
হলো। দোষ দেওয়া হলো বাংলার মানুষকে, দোষ দেওয়া হলো আমাকে। বন্দুকের মুখে মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠল।
আমি বললাম, শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা হরতাল পালন করেন। আমি বললাম, আপনারা কলকারখানা সব কিছু বন্ধ করে
দেন। জনগণ সাড়া দিল। আপন ইচ্ছায় জনগণ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য
দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো।
কি পেলাম আমরা? যে আমার পয়সা দিয়ে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রæর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, আজ সেই
অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে আমার দেশের গরীব-দুঃখী আর্ত মানুষের বিরুদ্ধে, তার বুকের উপর হচ্ছে গুলি। আমরা পাকিস্তানের
সংখ্যাগুরু। আমরা বাঙালিরা যখনই ক্ষমতায় যাবার চেষ্টা করেছি, তখনই তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
টেলিফোনে আমার সঙ্গে তার কথা হয়। তাকে আমি বলেছিলাম, জনাব ইয়াহিয়া খান সাহেব, আপনি পাকিস্তানের
প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কিভাবে আমার গরীবের উপরে, আমার বাংলার মানুষের উপরে গুলি করা হয়েছে, কি করে আমার
মায়ের কোল খালি করা হয়েছে। আপনি আসুন, দেখুন, বিচার করুন। তিনি বললেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০ তারিখে
রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ডাকব।
আমি বলেছি, কিসের বৈঠক বসবে, কার সঙ্গে বসবো? যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে তাদের সঙ্গে বসবো? হঠাৎ
আমার সঙ্গে পরামর্শ না করে পাঁচ ঘণ্টা গোপনে বৈঠক করে যে বক্তৃতা তিনি করেছেন, সমস্ত দোষ তিনি আমার উপরে
দিয়েছেন, বাংলার মানুষের উপর দিয়েছেন।
ভাইয়েরা আমার, ২৫ তারিখে এসেম্বলী কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে, ওই
শহীদের রক্তের উপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না। এসেম্বলী কল করেছে। আমার দাবি
মানতে হবে: প্রথম, সামরিক আইন মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে, সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে
হবে, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে, আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা এসেম্বলীতে বসতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে এসেম্বলীতে বসতে আমরা
পারি না।
আমি, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই যে,
আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরীবের
যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য সমস্ত অন্যান্য জিনিসগুলো আছে সেগুলির হরতাল কাল থেকে
চলবে না। রিকশা, গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে; শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট,
সেমিগভর্ণমেণ্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবে না।
২৮ তারিখে কর্মচারীরা বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি বেতন দেওয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি
আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল,- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের
যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবেলা করতে হবে, এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু, আমি যদি
হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই,
তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না।
সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।
আর যে সমস্ত লোক শহীদ হয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের থেকে যদ্দুর পারি তাদের সাহায্য করতে
চেষ্টা করবো। যারা পারেন আমার রিলিফ কমিটিতে সামান্য টাকা পয়সা পৌঁছিয়ে দেবেন। আর এই সাতদিন হরতালে যে
সমস্ত শ্রমিক ভাইরা যোগদান করেছেন, প্রত্যেকটা শিল্পের মালিক তাদের বেতন পৌঁছায়ে দেবেন। সরকারি কর্মচারীদের
বলি, আমি যা বলি তা মানতে হবে। যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে খাজনা-ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো, কেউ
দেবে না। মনে রাখবেন, শত্রæবাহিনী ঢুকেছে, নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটপাট করবে। এই বাংলায় হিন্দু
মুসলমান বাঙালি অবাঙালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের যেন
বদনাম না হয়। মনে রাখবেন রেডিও টেলিভিশনের কর্মচারীরা, যদি রেডিওতে আমাদের কথা না শোনেন, তাহলে কোন
বাঙালি রেডিও স্টেশনে যাবেন না। যদি টেলিভিশন আমাদের নিউজ না দেয়, কোন বাঙালি টেলিভিশনে যাবেন না। দুই
ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে যাতে মানুষ তাদের মায়না পত্র নিবার পারে। কিন্তু পূর্ববাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক
পয়সাও চালান হতে পারবে না। টেলিফোন টেলিগ্রাম আমাদের এই পূর্ববাংলায় চলবে এবং বিদেশের সঙ্গে নিউজ পাঠাতে
পারবেন। কিন্তু যদি এদেশের মানুষকে খতম করার চেষ্টা করা হয়, বাঙালিরা বুঝে শুনে কাজ করবেন। প্রত্যেক গ্রামে,
প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্র¯ত্তত
থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের
সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। জয় বাংলা।
প্রাসঙ্গিক ঘটনাক্রম
১ মার্চ ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার সঙ্গে-সঙ্গে লাখ-লাখ মানুষ রাজপথে বেরিয়ে আসে।
অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে কারফিউ জারি
করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে অব্যাহতভাবে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সামরিক জান্তার
বুলেটের আঘাতে ঢাকাতে ২৬ জন আর চট্টগ্রামে ১২ জন নিহত হয়। খুলনায় মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ২১
জনকে। এমনিভাবে যশোর, পাবনা, ফরিদপুর, দিনাজপুরসহ নানা স্থানে অনেকে নিহত হয়। কিন্তু বিপ্লবী জনতা মৃত্যুকে
তুচ্ছ করে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যায়।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দশ লাখ মানুষের বিশাল জনসমুদ্রে যে
ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। এই ভাষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল
ঘোষণা হিসেবে পরিগণিত হয়। ৭ই মার্চ ছিল বাঙালির জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন।
৭ই মার্চ বেলা ৩:২০ মিনিটে পশ্চিম পাকিস্তানীদের ষড়যন্ত্রের জবাবদানে জনতার সামনে উপস্থিত হন বঙ্গবঙ্গু। ওই
দিন বঙ্গবন্ধু ছিলেন একমাত্র বক্তা। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণ আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনটি পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ঐ ভাষণ বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছে স্বাধীনতার পবিত্র সংগ্রামে।
সারসংক্ষেপ
অসহযোগ আন্দোলনের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের
বীজমন্ত্র হিসেবে কাজ করে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হবার মুহূর্ত পর্যন্ত বীর বাঙালি এই ভাষণের নির্দেশনাকে মান্য করে যুদ্ধ
চালিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ সারা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.১২
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। ৭ই মার্চের ভাষণের জন্য বঙ্গবন্ধু কখন সভা মঞ্চে উপস্থিত হন ?
(ক) ৩:২০ মিনিটে (খ) ৩:২৫ মিনিটে
(গ) ৩:৩০ মিনিটে (ঘ) ৩:১৫ মিনিটে
২। ২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন?
(ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (খ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
(গ) তাজউদ্দিন আহমেদ (ঘ) আতাউল গণি ওসমানী
নিচের উদ্দীপকটি পড়ুন এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
হাবিব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দশম শ্রেণীতে পড়তো। প্রথমে সে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহী ছিল না। কিন্তু
একজন মহান রাজনীতিকের জাদুকারি ভাষণে সে রোমাঞ্চিত হয় এবং নির্ভয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
৩। হাবিব কার ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়-
(ক) সৈয়দ নজরুল ইসলাম (খ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
(গ) তাজউদ্দীন আহমেদ (ঘ) এ এইচ এম কামরুজ্জামান
৪। উদ্দীপকের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উক্ত ভাষণের উদ্দেশ্য হিসাবে সমর্থনযোগ্য হলর) জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করে
রর) জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা
ররর) পশ্চিম পাকিস্তানীদের মুখোশ উন্মোচন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র ও রর (খ) রর ও ররর (গ) রও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র