মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের ভূমিকা , বৃহৎ শক্তিসমূহের ভূমিকা , জাতিসংঘের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

মুখ্য শব্দ ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, জাতিসংঘ, আন্তজার্তিক, সম্প্রদায়,
ভেটো, একাত্মতা
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্ব ইতিহাসে এক অসামান্য ঘটনা। বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার এ লড়াই
বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মাত্রা পায়। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে, পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন,
অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সরাসরি অবস্থান গ্রহণ। বস্তুত, তৎকালীন দুই পরাশক্তির
মধ্যকার ¯œায়ুযুদ্ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রতিফলিত হয়।
ভারতের ভ‚মিকা
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। চ‚ড়ান্ত বিজয় আসার আগেই
ভারত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ দিক পর্যন্ত সময়কালে
ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আশ্রয়দান করে। কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকারের কার্যক্রমে সহায়তা দেয়
ভারত। এছাড়াও পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধের অনুক‚লে আন্তর্জাতিক সমর্থন
পাওয়ার জন্য ক‚টনৈতিক প্রচারণা অব্যাহত রাখে ভারত। মে মাসের প্রথম দিক থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রায়
এক কোটি শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে পূর্ব বাংলার সমস্যার প্রত্যাশিত সমাধানের
জন্য ক‚টনৈতিক ও সামরিক প্রচেষ্টা জোরদার করে ভারত। এ সময় ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব ধরনের সমর্থনদানে
সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকট থেকে কার্যকর সমর্থন পায়। ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সরাসরি অংশ গ্রহণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ‚মিকা
মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এম
নিক্সনের একান্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার। নিক্সন-কিসিঞ্জার নিয়ন্ত্রিত মার্কিন
নীতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে পরিচালিত হয়। যুদ্ধচলাকালীন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও বস্তুগত
উভয়ভাবেই সহায়তা করে। নিক্সন মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
তাদের কিছুই করার নেই বলে জানান। উল্লেখ্য, মধ্য-পঞ্চাশের দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান সিয়াটো ও সেন্টো নামে দুটি
প্রতিরক্ষা চুক্তি তথা মৈত্রী জোট গঠন করে। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র তার বিশ্বস্ত মিত্রকে রক্ষা করতেই মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের
পক্ষে সমর্থন দেয়। ২৫ মার্চ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধে না জড়িয়ে নীরব
ভ‚মিকা পালন করে। জুলাই মাসে কিসিঞ্জার গোপনে পাকিস্তানের সহায়তায় চীন সফর করেন। ভারত ও সোভিয়েত
ইউনিয়নের মৈত্রী চুক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার স¤পর্কের উন্নয়ন ঘটানো হয়। এ সময় মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সমস্যার ক‚টনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করার জন্য আহŸান জানায়।
পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সামরিক সরকার ও বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটি রাজনৈতিক
সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা করে। কিন্তু তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বিরতির জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে
বিভিন্নভাবে পাকিস্তানের পক্ষে প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু তেমন ফল লাভ হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন দেখল যে,
জাতিসংঘের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহার করা যাচ্ছে না তখন তাঁরা সামরিক হুমকির আশ্রয় নেয়। দেশটির
উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে যুদ্ধবিরতি মানতে বাধ্য করা, পাকিস্তানকে রক্ষা করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে নস্যাৎ করা। ৯ ডিসেম্বর
নিক্সন ইউএসএস এন্টারপ্রাইজকে বঙ্গোপসাগরে মোতায়ন করেন, যাকে ভারত সরকার পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করার হুমকি
হিসেবে উল্লেখ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকির জবাবে সোভিয়েত নৌ বাহিনী নিউক্লিয়ার মিসাইলবাহী দুটি ডুবোজাহাজ
বঙ্গোপসাগরে প্রেরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিহার করার জন্য তার নৌবহর বঙ্গোপসাগর থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ‚মিকা
মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে সমর্থনদানের নীতির অংশ হিসাবে
সোভিয়েত ইউনিয়ন এই সমর্থন দেয়। এছাড়াও বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চীনকে হীনবল করার বিষয়টি
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাবনায় থাকতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ২ এপ্রিল, ১৯৭১ সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি নিকোলাই পদগোনি পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খানকে একটি পত্রের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের
জনগণের ওপর যে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে তা জরুরিভিত্তিতে বন্ধ করার এবং বিদ্যমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ
সমাধানের জন্য আহŸান জানান। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পাকিস্তান চীনের সহযোগিতা পায়। ১৯৬৭-
১৯৬৮ সালে পাকিস্তান, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একত্রিত হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষ শক্তিতে পরিণত হয়। এ
সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে রাষ্ট্রকে সমর্থন দিত সোভিয়েত ইউনিয়ন সাধারণত তার প্রতিপক্ষ রাষ্ট্রকে সমর্থন দিত। এছাড়া
পূর্ব পাকিস্তানে চীনের ভ‚মিকা কী হবে তা সোভিয়েত ইউনিয়ন পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। জুলাই পর্যন্ত দেশটি নিরপেক্ষতা
বজায় রাখে। জুলাই মাসে কিসিঞ্জারের চীন সফরের ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন অবস্থান পরিবর্তন করে। আগস্ট মাসে
ভারতের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি সম্পাদনের পরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন পুরোপুরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়। ১-১০ ডিসেম্বর
জাতিসংঘে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়। এ সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে তিনবার ভেটো দেয়। উল্লেখ্য, পরাশক্তি হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
চীনের ভ‚মিকা
চীনের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। এশিয়া মহাদেশে সোভিয়েত ইউনিয়নের মিত্র ছিল ভারত । ১৯৬০
দশকের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের মধ্যে সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ প্রশ্নে মত পার্থক্য শুরু হয়। তখন
থেকেই দুটি রাষ্ট্র ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করতে শুরু করে। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত সীমান্ত যুদ্ধ শুরু হয়। এই সীমান্ত যুদ্ধে
একটি সমাজতান্ত্রিক দেশ হয়েও সোভিয়েত ইউনিয়ন চীনকে সমর্থন না করে ভারতকে সহযোগিতা করে। পক্ষান্তরে,
১৯৫২ সাল থেকেই পাকিস্তান ছিল চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার ওপরে চীনের
অর্থনৈতিক অগ্রগতি কিছুটা হলেও নির্ভর করত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়।
জাতিসংঘের ভূমিকা
১৯৭১ সালে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম। বাংলাদেশের গণহত্যা ও নির্যাতনের সংবাদ
পেয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব উ থানট ১৯৭১ সালের ২ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিকট
পত্র লেখেন। তিনি বাংলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ প্রেরণের প্রস্তাব দেন । ১৯৭১ সালের ১৯ মে মহাসচিব পূর্ব বাংলা
থেকে ভারতে আগত এক কোটি শরণার্থীর জরুরি সাহায্যের জন্য সকল রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রতি আহবান জানান। তাদের
আশ্রয় ও বাঁচিয়ে রাখার জন্য জাতিসংঘ খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করে। এর উল্টোদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মত
পরাশক্তির চাপে জাতিসংঘকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কোন কোন ক্ষেত্রে ভিন্ন ধরণের ভ‚মিকা পালন করতে দেখা যায়।
সারসংক্ষেপ
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালির বাঁচা-মরার লড়াই। এ যুদ্ধে বৃহৎ শক্তিসমূহ¦ নিজ-নিজ মতাদর্শিক অবস্থান ও জাতীয়
স্বার্থের আলোকে ভূমিকা গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারত বাংলাদেশকে অনবদ্য সাহায্য-সহযোগিতা
প্রদান করে। পক্ষান্তরে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.১৫
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। কত তারিখে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ?
(ক) ৫ ডিসেম্বর (খ) ৬ ডিসেম্বর
(গ) ৭ ডিসেম্বর (ঘ) ৮ ডিসেম্বর
২। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী দেশ কোনটি?
(ক) যুক্তরাষ্ট্র (খ) সোভিয়েত ইউনিয়ন
(গ) ভারত (ঘ) কোনটি নয়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ুন এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
মলি তার নানার কাছে গল্প শুনেছে যে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সাহায্য ও
সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিল, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতিও দিয়েছিল। স্বাধীনতা লাভের পর অনেক দেশই
আমাদের রাষ্ট্র পূণর্গঠনে সাহায্য করেছে।
৩। বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে কোন দেশ?
(ক) ভারত (খ) যুক্তরাজ্য
(গ) ইরাক (ঘ) ইরান
৪। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রসমূহ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করায় স্বাধীনতা
ত্বরান্বিত হয়েছে-
র. সামরিক সহায়তা
রর. কূটনৈতিক তৎপরতা
ররর. বিশ্বব্যাপী প্রচার-প্রচারনা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) রর ও ররর (গ) র ও ররর (ঘ) র, রর, ও ররর
সৃজনশীল:-
১। ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯৪৭ সালে দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর মধ্যে একটি রাষ্ট্রের পূর্ব অংশে বাস করতো
মোট জন সংখ্যার প্রায় ৫৬ ভাগ জনগণ। রাষ্ট্রটির রাজধানী, স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয় পশ্চিম
অংশে। স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য পদে ছিলেন সব পশ্চিমারা। তারা পূর্ব অংশের অধিবাসীদের উপর সব সময়
বৈষম্যমূলক আচরণ করতো। পূর্ব অংশের ছাত্র সমাজ ষড়যন্ত্র রুখতে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখার
জন্য দেশটির সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য লোকের প্রাণ হানি ঘটায়।
(ক) উর্দু ও ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের অন্যতম ভাষা করার দাবি উথাপন করেন কোন গণপরিষদ
সদস্য?
(খ) ১৯৫৪ সালে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের পটভূমি উল্লেখ করুন।
(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত ছাত্র-আন্দোলনের মধ্যে কি কোনো সাদৃশ্য খুঁজে পান ? ব্যাখ্যা করুন।
(ঘ) বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে ছাত্র সমাজের আন্দোলটির অবদান মূল্যায়ন করুন।
২। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে ‘ছয়দফা’ কর্মসূচি একটি অনন্য দলিল। বঙ্গবন্ধু ছয় দফাকে বাঙালির বাঁচার
দাবি বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। ছয় দফা কেন্দ্রিক আন্দোলনের পথ বেয়েই ঊনসত্তরের গণঅভ্যূথান এবং সত্তরের
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণরায় আসে। যা জন্ম দেয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। তাই ছয় দফাকে বাঙালির মুক্তির
সনদ বা বাঙ্গালির ম্যাগনাকার্টা বলা হয়।
(ক) কখন কোথায় আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয় ?
(খ) কখন কোথায় এবং কীভাবে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ?
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত নির্বাচনের সাথে স্বাধীন বাংলাদেশের যোগসূত্র ব্যাখ্যা করুন।
(ঘ) “ছয়দফা বাঙালির মুক্তি সনদ বা বাঙালীর ম্যাগনাকার্টা” উক্তিটি মূল্যায়ন করুন।
৩। নিচের ছকটি লক্ষ করুন ও প্রশ্নের উত্তর দিন।
সরকার
রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ
অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ
স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামান
(ক) কত মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়?
(খ) বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কেন ?
(গ) উল্লিখিত ছকটি বাংলাদেশের কোন সরকারকে নির্দেশ করে ?
(ঘ) মুক্তিযুদ্ধে উক্ত সরকার গঠনের তাৎপর্য মূল্যায়ন করুন।
৪। রহিম সাহেব তার নাতনীকে একটি গণঅভ্যুত্থানের গল্প শুনাচ্ছিলেন । তিনি এই আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে
এ আন্দোলন সারা দেশজুড়ে প্রবল হয়ে উঠলে শাসক গোষ্ঠী মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে সকল আসামীকে মুক্তিদান করে।
(ক) কে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন ?
(খ) ছাত্রদের ১১ দফার গুরুত্বপূর্ণ দুটি দাবি উল্লেখ করুন।
(গ) উদ্দীপকে যে মামলার ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে তা বর্ণনা করুন।
(ঘ) উদ্দীপকে যে আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে তার ফলাফল বিশ্লেষণ করুন।
উত্তরমালা :
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১ ঃ ১। ক ২। গ ৩। গ ৪। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.২ ঃ ১। গ ২। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৩ ঃ ১। ঘ ২।গ ৩। গ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৪ ঃ ১। খ ২। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৫ ঃ ১। খ ২। খ ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৬ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৭ ঃ ১। ক ২। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৮ ঃ ১। ঘ ২। গ ৩। ঘ ৪। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.৯ ঃ ১। খ ২। খ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১০ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ঘ ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১১ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ঘ ৪। ক
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১২ ঃ ১। ক ২। ক ৩। খ ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১৩ ঃ ১। ঘ ২। গ ৩। গ ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১৪ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ক ৪। ঘ
পাঠোত্তর মূল্যায়ন- ২.১৫ ঃ ১। খ ২। ক ৩। ক ৪। ঘ

FOR MORE CLICK HERE
এইচএসসি বাংলা নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
ENGLISH 1ST & SECOND PAPER
এইচএসসি আইসিটি নোট
এইচএসসি অর্থনীতি নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র
এইচএসসি পৌরনীতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ১ম পত্র
এইচএসসি সমাজকর্ম নোট ২য় পত্র
এইচএসসি সমাজবিজ্ঞান নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইতিহাস নোট ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ১ম পত্র
এইচএসসি ইসলামের ইতি. ও সংস্কৃতি নোট ২য় পত্র
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ভূগোল ও পরিবেশ নোট ১ম পত্র ও ২য় পত্র
এইচএসসি ইসলামিক স্টাডিজ ১ম ও ২য় পত্র

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]